Daffodil International University

Fair and Events => Students' Activities => Topic started by: S. M. Ashraful Alam on January 31, 2017, 09:33:28 AM

Title: সিভির কিছু ভুল, যা সবারই এড়িয়ে চলা উচিত
Post by: S. M. Ashraful Alam on January 31, 2017, 09:33:28 AM
চাকরির জন্য সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত লেখার সময় কিছু সাধারণ ভুলের কারণে তা বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই ভুলগুলো যেন না হয় সে জন্য মনোযোগী হতে হবে।

এ লেখায় পাচ্ছেন জীবনবৃত্তান্তের কিছু সাধারণ ভুল, যা সবারই এড়িয়ে চলা উচিত।
১. টাইপিং ভুল

টাইপের সময় অনেকেই ছোটখাটো বানান ভুল করেন। এগুলোকে টাইপো কিংবা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তা মোটেই ভালো নয়। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নজরে যদি আপনার সে বানান ভুলগুলো পড়ে তাহলে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা হারাবেন, এ কথা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়। এ ছাড়া কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। আপনার অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতিটি শব্দ তার নির্দিষ্ট অর্থেই ব্যবহৃত হয়।

২. বিভ্রান্তিকর উদ্দেশ্য

জীবনবৃত্তান্তে অনেকেই উদ্দেশ্য উল্লেখ করে দেন। যদি আপনি লিখে দেন যে ‘আমি একটি চ্যালেঞ্জিং চাকরি খুঁজছি’, তা নিয়োগকর্তার পছন্দ নাও হতে পারে। কারণ আপনার চ্যালেঞ্জিং কাজ তাঁর যদি আর্থিক লাভ এনে না দেয় তাহলে তিনি এতে আগ্রহী হবেন না। এ ছাড়া কিছু শব্দ বা বাক্য রয়েছে যা সবাই ব্যবহার করে। এ ধরনের শব্দ বা বাক্য বাদ দেওয়াই ভালো।

৩. অতিরঞ্জিত তথ্য

আপনার সঠিক তথ্যটিই জীবনবৃত্তান্তে লিখুন। অতিরঞ্জিত তথ্য সহজেই নিয়োগকর্তা ধরে ফেলবেন। আর এতে যোগ্যতা থাকার পরও আপনার চাকরির সম্ভাবনা নষ্ট হবে।

৪. অতিরিক্ত বড় জীবনবৃত্তান্ত

জীবনবৃত্তান্তের আকার কখনোই এত বড় হওয়া উচিত নয়, যা পড়তে নিয়োগকর্তা বিরক্ত হন। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, প্রতিটি জীবনবৃত্তান্ত পড়ার জন্য অল্প কয়েক সেকেন্ডই বরাদ্দ রাখেন তাঁরা। আর তাই সাধারণ একটি জীবনবৃত্তান্তের আকার দুই পাতার বেশি হওয়া উচিত নয়। আপনার যদি বাড়তি বহু গুণ থাকে তাহলে অবশ্য তা বড় হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে আপনার মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই বাড়তি তথ্য দিয়ে তাঁদের বিরক্ত করা উচিত নয়।

৫. সাধারণভাবে সাজানো

জীবনবৃত্তান্তে কখনোই কোনো ধরনের কঠিন ফরম্যাট ব্যবহার করা উচিত নয়। এর লেখার আকার যেমন পাঠযোগ্য হওয়া উচিত, তেমনি তা মানসম্মত হওয়াও জরুরি। এটি চোখের সামনে মেলে ধরলেই তা পড়তে ও বুঝতে পারা যায়। এর সৌন্দর্য বাড়ানোর চেয়ে এটি যেন পাঠযোগ্য হয়, সে বিষয়টিই সবার আগে ভাবতে হবে।

৬. অন্যের তথ্যের কপি-পেস্ট নয়

জীবনবৃত্তান্তে আপনার নিজের তথ্যগুলোই নিজের ভাষায় তুলে ধরুন। অন্য কেউ যদি বড় কোনো জীবনবৃত্তান্ত দেয় তাহলেই যে তা ভালো এমন কোনো কথা নেই। আপনার নিজের তথ্য ছাড়া অন্যের তথ্য দিয়ে চাকরিক্ষেত্রে সুবিধা হবে না। তাই শুধু নিজের তথ্য দিয়ে কিছুটা ছোট হলেও মানসম্মত জীবনবৃত্তান্ত বানান।

টাইমস অব ইন্ডিয়া