Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - khairulsagir

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 10
31
আবহমান কাল ধরে বাংলার কৃষকদের মধ্যে মাঠে-ঘাটে কাজের ফাঁকে দু-মুঠো খেয়ে একটু ভাতঘুমের চল রয়েছে। এতে ক্লান্তি দূর করে নতুন উদ্যমে আবারও কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার শক্তি পাওয়া যায়। বাংলার এই ভাতঘুম বা স্পেনের সিয়েস্তার মতোই দুনিয়ার নানা অঞ্চলে ঘুমের এমন চল বহু আগে থেকেই ছিল। আধুনিক সমাজে দিনের বেলায় এই একটু ঘুমিয়ে নেওয়াকে বলা হচ্ছে- পাওয়ার ন্যাপ। নতুন উদ্যম তো বটেই, গবেষকেরা বলছেন দিনের বেলায় এমন একটু ভাতঘুম স্মরণশক্তির সক্ষমতা পাঁচগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

জার্মানির সারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আক্সেল মেকলিঙ্গার সাম্প্রতিক এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিউরোসাইকোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনের বেলায় কাজের ফাঁকে ৪৫ থেকে ৬০ মিনিটের ঘুম স্মরণশক্তি প্রায় পাঁচ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।

শেখার ক্ষমতার ক্ষেত্রে মনে রাখা বা স্মরণশক্তির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মেকলিঙ্গার বলেন,‘মানুষ যেকোনো শিক্ষার পরিবেশে থাকলে ঘুমের ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে আমাদের।’

এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। একদলকে কাজের ও পড়ালেখার ফাঁকে ঘুমাতে দেওয়া হয়, আরেক দলকে না ঘুমিয়ে অন্য কিছু করতে বলা হয়। গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস অংশটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। মস্তিষ্কের এই অংশই পাঠ বা অভিজ্ঞতা থেকে শেখা বিষয়গুলো দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত হয় বা এখানে স্মরণশক্তি তৈরি হয়।

গবেষক সারা স্টাডটে বলেন,‘স্লিপ স্পিন্ডল নামে মস্তিষ্কের বিশেষ একটা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছি আমরা। এটা ঘুমের সময় স্মৃতি সমন্বয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।’

জার্মানির এই গবেষকদের পরামর্শ হলো শেখা ও মনে রাখার মতো কাজে লাগাতার সময় দেওয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে নিন, এতে আপনার স্মরণশক্তি বাড়বে, আপনি সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্য মনে করতে পারবেন। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি অফিসেও কাজের ফাঁকে এমন একটু ভাতঘুম ঘুম দারুণ উপকারী হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।





Source: www.prothom-alo.com

32



প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পরিচর্যাকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের উপযোগী একটি বিশেষ ট্যাবলেট কম্পিউটার (ট্যাব) তৈরি করা হয়েছে। ক্লোরিনে ভেজানো অবস্থায় এটি সক্রিয় থাকবে এবং এভাবে সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকবে। সিয়েরা লিওনের কয়েকটি চিকিৎসাকেন্দ্রে ইতিমধ্যে যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু হয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের সহায়তায় একদল স্বেচ্ছাসেবী প্রযুক্তিবিদ ওই অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবের নকশা তৈরি করেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা দস্তানা (গ্লাভস) পরা হাতে এটি চালাতে পারবেন। ঝড়বৃষ্টি ও উচ্চ আর্দ্রতার মধ্যেও এই ট্যাব ব্যবহার করা সম্ভব।

আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তামূলক সংস্থা মেদ্সাঁ সঁ ফ্রঁতিয়েহ্ (এমএসএফ) বা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস রোগীদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উপযোগী একটি ইবোলা-প্রতিরোধী ট্যাব তৈরির আহ্বান জানিয়েছিল। ভাইরাসটি পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে গত বছর মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ইবোলা আক্রান্ত রোগীকে অন্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে আলাদা রাখতে হয়। সংক্রমণ এড়াতে প্রচলিত ব্যবস্থায় চিকিৎসকেরা দূর থেকে চিৎকার করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। এ পদ্ধতিতে ভুল হতে পারে বলে মনে করে এমএসএফ।

আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন তরল পদার্থের সংস্পর্শে ইবোলা ভাইরাস ছড়ায়। এমনকি এক টুকরো কাগজের মাধ্যমেও এ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে এমএসএফ। তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের সব ধরনের সংক্রমণ এড়িয়ে কাজ করতে হয়। তাঁরা গরমের মধ্যেও সারা শরীরে বিশেষ ধরনের পুরু পোশাক পরেন, চোখে সুরক্ষা চশমা (গগলস) এবং হাতে কয়েক স্তরের গ্লাভস ব্যবহার করেন। এসব বাধা মোকাবিলায় একদল আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রযুক্তিবিদ এগিয়ে এসে কাজ শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পিম দ্য উইত, দানিয়েল কানিংহাম প্রমুখ। পরে তাঁরা গুগলে যোগ দেন। তাঁদের তৈরি নতুন ট্যাবটি পানিনিরোধী আবরণে (ক্যাসিং) মোড়ানো। ইবোলা ভাইরাস মেরে ফেলার উপযোগী দশমিক পাঁচ শতাংশ ক্লোরিনের দ্রবণে ওই ট্যাব ডুবিয়ে রাখা যায়। সুরক্ষাবিহীন অবস্থায় কেউ এটিতে হাত দিলে ক্লোরিন দ্রবণের সাহায্যে জীবাণুমুক্ত করা যায়। ট্যাবটির তীক্ষ্ণ কোনাগুলো অপসারণ করা হয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যকর্মীর বিশেষ সুরক্ষা পোশাকের ক্ষতি না হয়। এ ছাড়া যন্ত্রটি দ্রুত এবং তারবিহীন অবস্থায় একটি টেবিলে রেখে চার্জ করা যায়। তারবিহীন প্রযুক্তিতে ট্যাবটি একটি স্থানীয় যোগাযোগব্যবস্থায় (লোকাল নেটওয়ার্ক সার্ভার) যুক্ত থাকে। স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর উন্নতি পর্যবেক্ষণ, হৃৎস্পন্দনের গতির ওঠানামা, শরীরের তাপমাত্রা ইত্যাদি জানতে ওই ট্যাব ব্যবহার করতে পারেন।

এমএসএফের প্রযুক্তি উপদেষ্টা আইভান গেটন বলেন, মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ইবোলা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করতে হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। কিন্তু ভাইরাসটির বিস্তারের গতি ও ধরন সম্পর্কে এ পর্যন্ত খুব সামান্যই জানা সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে রোগটির ব্যাপারে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারলে হয়তো তা জানা যাবে এবং আরও উন্নতমানের চিকিৎসাসেবাও দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

ইবোলা প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। কিন্তু উপদ্রুত এলাকাগুলো প্রত্যন্ত ও সেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অপর্যাপ্ত হওয়ায় রোগটির বিস্তার ঠেকাতে প্রযুক্তিগত সমাধানের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। গুগলের পণ্য ব্যবস্থাপক গণেশ শঙ্কর বলেন, ইবোলার মতো সমস্যা মোকাবিলায় নতুন ট্যাবটি ব্যবহার করে বেসরকারি সংস্থাগুলো সুফল পাবে।
সূত্র: বিবিসি ও টেলিগ্রাফ।






Source: www.prothom-alo.com

33
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিদ্যুৎ ঘাটতি বৈশ্বিক সমস্যাই বটে। যেকোনো উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এ সমস্যার সমাধান হতে পারে না। পরিবেশের ওপর তার প্রভাব ভেবে দেখতে হচ্ছে সবার আগে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিবেশবান্ধব উপায় নিয়ে গবেষণা হচ্ছে সারা বিশ্বেই। আমাদের তরুণেরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) তড়িৎ কৌশল বিভাগের চার শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন চাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদ্ধতি, যা পাইজোইলেকট্রিসিটি নামে পরিচিত।
জনাকীর্ণ কোনো এলাকায় মেঝে বা ভূমিতে এ যন্ত্র স্থাপন করলে পথচারী হেঁটে গেলেই উৎপাদিত হবে নবায়নযোগ্য এই বিদ্যুৎ। এই প্রকল্পের দলনেতা মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান জানালেন খুঁটিনাটি।

স্মার্টফোন, ট্যাবলেট তো আছেই, হাতের নাগালে নানা কাজের পরিধেয় প্রযুক্তি পৌঁছাতেও খুব একটা বাকি নেই। সবকিছুর মূলে কিন্তু মানবজীবনের স্বাচ্ছন্দ্য। দিন দিন এই যন্ত্রগুলোর চাহিদা বেড়েই চলেছে। হাবিবুর রহমান জানালেন, ‘এই যন্ত্রগুলো কিন্তু কম বিদ্যুতে চলে। এ ধরনের যন্ত্রগুলোর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা মাথায় রেখেই আমরা কাজ শুরু করি। ঢাকার কথাই বলি। ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে দিনে অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে। সিঁড়ির প্রতিটি ধাপে যদি এই যন্ত্রগুলো বসানো যায় তবে ভালো পরিমাণের বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।’

হাবিবুর রহমান প্রাথমিকভাবে নকশা করা যন্ত্রটি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। হাতের নাগালে পাওয়া যায় এমন উপাদান দিয়ে এক বর্গফুট কাঠামো তৈরি করেছেন। তাতে বেশ কয়েকটি অংশ। তিন স্তরে কাঠের তক্তার মধ্যে ১২টি পাইজোইলেকট্রিক সেন্সর সমান্তরাল বিন্যাসে বসানো। এই পাটাতনে চাপ প্রয়োগে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যাটারিতে সংরক্ষণের উপযোগী ডিসি ভোল্টেজে রূপান্তরিত হয়ে জমা হয় ১.৩ অ্যাম্পিয়ার ১২ ভোল্টের একটি ব্যাটারিতে। ব্যাটারি থেকে এই বিদ্যুৎ বিভিন্ন কাজে লাগানো যায়। বহুল প্রচলিত এসি ভোল্টেজের প্রয়োজন পড়লে সঙ্গে থাকা ইনভার্টার ব্যাটারির ডিসি ভোল্টেজ এসি ভোল্টেজে রূপান্তর করে দেয়। যন্ত্রটি কীভাবে কাজ করে, জানতে চাইলে এভাবেই বলে গেলেন হাবিবুর রহমান। বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাতি জ্বালিয়েও দেখালেন।

সবচেয়ে বড় কথা স্বল্প খরচেই তৈরি করা সম্ভব এই যন্ত্র। প্রতি বর্গফুটের জন্য ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা খরচ পড়বে, এক সপ্তাহে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ৩.১৮ কিলোওয়াট। আপাতদৃষ্টিতে কম মনে হলেও বড় এলাকাজুড়ে স্থাপন করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিন্তু বেড়ে যাবে। হাবিবুর রহমান জানালেন, মূল বিদ্যুতের বিকল্প না বরং সহায়ক হিসেবে রাখা যেতে পারে।

বাংলাদেশে নতুন হলেও কম্পন বা চাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ধারণা মোটেও নতুন না। প্রথম ১৮৮০ সালে ফরাসি পদার্থবিদ কুরি ভ্রাতৃদ্বয় পাইজোইলেকট্রিসিটি আবিষ্কার করেন। বর্তমানে অনেক দেশেই গবেষণা হচ্ছে, কাজেও লাগাচ্ছে।

এআইইউবির তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিব মুহাম্মদ নাজির আহমেদের তত্ত্বাবধানে গবেষণাপত্রটি তৈরিতে হাবিবুর রহমানের দলে ছিলেন আমিরুল ইসলাম, আবু সালেহ আবীর এবং মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম। তাঁরা একই বিভাগের শিক্ষার্থী।

বৃষ্টির ফোঁটা, রেললাইনের পাত, জুতার সোল কিংবা গাড়ির টায়ারের ভেতর এই যন্ত্রগুলো বসিয়েও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। সবচেয়ে ভালো হয় যদি স্থির কিছুর নিচে স্থাপন করা যায়। আপাতত চাকরিজীবন শুরু করে পাইজোইলেকট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে চান এর নির্মাতারা। কিছুটা হলেও লাঘব করতে চান দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি।






Source: http://www.prothom-alo.com/technology/article/478057/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E

34
Quotations / 7 Lovely Logics
« on: March 09, 2015, 11:21:50 AM »

1. Make peace with your past so it doesn't spoil hour present.

2. What others think of you is none of your business.

3. Time heals almost everything; give the time, some time.

4. No one is the reason of your happiness except you yourself.

5. Don’t compare your life with others, you have no idea what their journey is all about.

6. Stop thinking too much, it’s alright not to know all the answers.

7. Smile, you don’t own all the problems in the world.

35
৫০ ওভারের ম্যাচ। তাতেই ৩৫ চার আর ১৯ ছয়ে ৩২৫ রান করেছেন লালমানিরহাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিপু। জাতীয় স্কুল তো বটেই, বয়সভিত্তিক পর্যায়েই এটি সর্বোচ্চ রান।
আজ শুক্রবার ইয়ং টাইগার্স জাতীয় স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পক্ষে এ রেকর্ড গড়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান লিপু। লালমনিরহাটের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। লালমনিরহাট ক্রিকেট একাডেমির খেলোয়াড় লিপু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব দলেরও একজন সদস্য। ম্যাচে লিপুর ৩২৫ রানের ওপর ভর করে ৯ উইকেটে ৫১৫ রান করে লালমনিরহাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। জবাবে স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় ১১৭ রানে অলআউট হলে ৩৯৮ রানে পরাজিত হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা বুলবুল বাশার জানান, বয়সভিত্তিক এবং জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের সীমিত ওভারের যেকোনো প্রতিযোগিতায় এটিই ব্যক্তিগত ও দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস।


http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/250x0x1/uploads/media/2015/02/06/727a21d844c97fe0a74bcab6fe1f9053-Lalmonirhat.png



Source: www.prothom-alo.com

36
দেশে এখন দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত সিরামিক। সিরামিক টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার—তিনটি শিল্পকে একত্রে সিরামিক খাত বলা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে সিরামিক পণ্যের অভ্যন্তরীণ বাজার ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত আছেন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। প্রতিবছর এ শিল্পের প্রসারের সঙ্গে বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
সিরামিকশিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যারস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডব্লিউএমএ) হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সিরামিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০। এর মধ্যে সিরামিক টেবিলওয়্যার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৪টি, টাইলস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ২০টি ও স্যানিটারি উৎপাদনকারী ১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সরাসরি কর্মরত আছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ।
দেশের অন্যতম সিরামিক টাইলস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্রেটওয়াল সিরামিক। ২০০৬ সাল থেকে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত টাইলস দেশের বাজারে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। সিরামিক খাতে চাকরির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল হুদা জানান, উচ্চশিক্ষিত তরুণদের কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে এ খাতে। উৎপাদননির্ভর শিল্প হিসেবে কারখানা পরিচালনার জন্য প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপক, সিরামিস্ট, কেমিস্ট, গ্রাফিক ডিজাইনার, আইটি খাতের কাজ জানেন—এমন লোকদের কাজের সুযোগ আছে। পাশাপাশি বিপণনে দক্ষ লোকের ভালো চাহিদা আছে।
গ্রেটওয়ালে কাজের পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সামছুল হুদা বলেন, ‘আমরা সব সময় নতুনদের কাজের সুযোগ করে দিয়ে আসছি। শুরু থেকে কাজ করছেন এমন অনেকেই এখন আমাদের এখানে নীতিনির্ধারণী পদে কাজ করছেন।’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পড়া একজন তরুণের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তিনি জানান, এ পর্যায়ের একজন তরুণ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন। প্রকৌশল ও সিরামিক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের বেতন দক্ষতা অনুযায়ী আরও বেশি হয়।
আরএকে সিরামিকের মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান জানান, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরএকে সিরামিকসে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কাজের প্রচুর চাহিদা আছে। পাশাপাশি কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, নকশা, বিপণন, সিরামিস্ট পদেও কাজের সুযোগ আছে। নির্বাহী পদে ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতনে কাজ শুরু করতে হয়। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়ার সঙ্গে কর্মীদের বেতন-ভাতা, পরিবহন, আবাসনসহ অন্যান্য সুবিধা প্রতিষ্ঠান বহন করে বলে জানালেন তিনি।
সিরামিকের কারখানা গুলোতে আছে নানা কাজের সুযোগ। গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রেট ওয়ালের কারখানা থেকে ছবি তুলেছেন মাসুদ রানাকাজের বড় ক্ষেত্র আছে সিরামিক পণ্য উৎপাদনের প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। মুন্নু সিরামিকের ভাইস চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম বলেন, ১৯৮৪ সাল থেকে দেশের সিরামিকশিল্পে কর্মসংস্থান তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে। মুন্নুর কারখানায় এখন দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কর্মকর্তা পর্যায়ে কর্মরত আছেন ১৬০ জন। দক্ষ শ্রমিকদের বেতন ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আরও বেশি হয়ে থাকে। আর কর্মকর্তা পর্যায়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকার বেশি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। এ ছাড়া পরিবারের চিকিৎসা, সঞ্চয়, বিমাসুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা কর্মকর্তারা পেয়ে থাকেন।
ফার সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরফান উদ্দিন বলেন, ‘কাজের প্রচুর সুযোগ আছে সিরামিকশিল্পে। রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, করপোরেট পর্যায়ে সম্পর্ক, আবার দেশের বাজারে বিপণন করতে পারে—এমন লোকদের আমরা নিয়ে থাকি। এ ছাড়া অফিস ব্যবস্থাপনা, অর্থ ও হিসাব নিয়ন্ত্রণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তির কাজে পারদর্শী অনেক লোক আমাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।’ নিজের প্রতিষ্ঠানের হিসাব দিয়ে তিনি জানান, তাঁদের কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা দেড় হাজার। তাঁদের দেখভালের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা আছেন প্রায় ৩০০।সিরামিক খাতে কমবেশি সরাসরি কর্মসংস্থানের ২০ শতাংশ কর্মকর্তা পর্যায়ের চাকরির সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় আট হাজার। প্রতিবছরই উৎপাদনক্ষমতা ও বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নতুন চাকরি তৈরি হচ্ছে এ খাতে। সে হিসাবে বছরে কর্মকর্তা পর্যায়ে কমপক্ষে ৪০০ নতুন চাকরি তৈরি হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা জানান, চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এ জন্য অনেক সময় চীন, ভারত থেকে লোক এনে কারখানা
চালাতে হয়।






Source: www.prothom-alo.com

37
এক​টি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো কী খুব কঠিন কোনো কাজ? এর উত্তর শোনা যাক ফেসবুকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতার মুখ থেকেই। মার্ক জাকারবার্গ বলেন, একা একা কিছুই হয় না। শুধু মেধাবী হলেই কী হয়? স্মার্ট আর মেধাবী হলেও শুধু একা কোনো প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো সম্ভব নয়।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি প্রতিষ্ঠার বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তাদের। ব্যবসা ও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, অনেক সময় গণমাধ্যমে কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলো এমনভাবে তুলে আনা হয়, যেখানে অনেকেই সউদ্যোগে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে নিরুৎসাহী হন।

সম্প্রতি জাকারবার্গকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, ঠিক কখন কোন মুহূর্তে তিনি ফেসবুক তৈরির কথা ভেবেছিলেন? জাকারবার্গ হাসতে হাসতে বলেন, ঠিক এক মুহূর্তে কোনো কোম্পানির প্রতিষ্ঠার ধারণা মাথায় আসে না। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা, চিন্তাভাবনার ফসল হিসেবে একটি কোম্পানি দাঁড়িয়ে যেতে পারে।
জাকারবার্গ বলেন, একটি কোম্পানি বা একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে হলে একজনের প্রচেষ্টায় কিছুই হয় না।

গণমাধ্যমে অনেক সময় উদ্যোগ গড়ে তোলার ধারণাটিকে খুব সহজ করে বলা হয়। আদতে বিষয়টি এতটা সহজ নয়। একজন ব্যক্তি তাঁর স্মার্টনেস আর ভালো ধারণা নিয়ে কখনো একটি চমৎকার প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন না। অথচ মিডিয়াতে উদ্যোক্তা গড়ে তোলার জন্য বিষয়টিকে এভাবেই উপস্থাপন করা হয়।
জাকারবার্গ যুক্তি দিয়ে বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে একসঙ্গে কয়েকজনকে একই চিন্তাধারা বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যেতে হবে। চমৎকার একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে শুরুতেই নিজের চমক থাকতে হবে বিষয়টি তা নয়; বরং নিজেকে ধৈর্যশীল এবং লক্ষ্যে অটুট রাখতে হবে।

জাকারবার্গ আরও বলেন, প্রতিষ্ঠান তৈরি নিয়ে মিডিয়াতে যেসব প্রতিবেদন আসে, প্রতিষ্ঠান তৈরি করাটা অতখানি চ্যালেঞ্জিং নয়; বরং খুব সহজেই কয়েকজন মিলে ধৈর্য নিয়ে কাজ করলে প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে যায়।






Source: www.prothom-alo.com

38
প্রতিবছর দুনিয়াজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যান কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে। শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কীভাবে এর সঠিক যত্ন নিতে হয়, কীভাবে কিডনির ক্ষতি এড়িয়ে দৈনন্দিন জীবনযাপন করতে হয়। প্রতিদিনের জীবনে আমরা এমন অনেক কিছুই করি যা কিডনির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। অর্গানিক হেলথ ডটকম এক প্রতিবেদনে এমন ১০ কারণের কথা জানিয়েছে।

পর্যাপ্ত পানি পান না করা
প্রতিদিন যেসব কারণে কিডনির ক্ষতি হয় তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণটি হলো পর্যাপ্ত পানি পান না করা। কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ শরীর থেকে পরিপাক প্রক্রিয়ার বর্জ্য অপসারণ করা এবং লোহিত রক্তকণিকার ভারসাম্য রক্ষা করা। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি পান না করলে বৃক্বের রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এর ফলে রক্তে দূষিত রাসায়নিক জমা হতে থাকে।

দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করে থাকা
দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করে থাকা প্রাত্যহিক সমস্যাগুলোর একটা। বিশেষত পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের অভাবে শহরাঞ্চলের নারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। দীর্ঘক্ষণ মূত্রাশয় পূর্ণ করে রাখা শরীরে নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। পেশির ওপর চাপ থেকে ডাইভারটিকিউলোসিসের মতো জটিল রোগ হতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করা থেকে হাইড্রোনেফ্রোসিস বা কিডনিতে প্রস্রাবের চাপ বেড়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়। এসব থেকেই কিডনি কর্মক্ষমতা হারায় এবং ডায়ালাইসিস প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

বেশি লবণ খাওয়া
বিভিন্ন খাবার-দাবারে মিশে থাকা লবণকে পরিপাক করা কিডনির আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। রান্না করা বা প্যাকেটজাত খাবারে ব্যবহার করা লবণ আমাদের শরীরে সোডিয়ামের বড় উৎস। কিন্তু পরিপাকের মধ্য দিয়ে এই সোডিয়ামের বেশির ভাগটাই বর্জ্য হিসেবে শরীর থেকে বের করে দিতে হয়। আমরা যখন বেশি বেশি লবণ খাই, তখন এই সোডিয়াম প্রক্রিয়াজাত করা নিয়ে কিডনিকে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। এতে কিডনির ওপর প্রবল চাপ পড়ে।

ক্যাফেইনে বেশি আসক্তি
তৃষ্ণা পেলে আমরা অনেক সময় পানি পান না করে নানা ধরনের কোমল পানীয় পান করি। কিন্তু এসব পানীয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন মেশানো থাকে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত রক্তচাপ কিডনির ওপরও চাপ প্রয়োগ করে এবং এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ব্যথানাশকের প্রতি নির্ভরশীলতা
মাথাব্যথা, গলাব্যথা যা-ই হোক না কেন কথায় কথায় ব্যথার ওষুধ খাওয়ার বাজে অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু প্রায় সব ব্যথানাশক ওষুধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কিডনিসহ নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য এসব ওষুধ ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধের ওপর নির্ভরতা রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।

বেশি বেশি প্রোটিন খাওয়া
কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়লে লাল মাংস বা গরু-ছাগলের মাংস বেশি খাওয়া ঠিক না। বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার কিডনির ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। তবে, কিডনির সমস্যা না থাকলে বা চিকিৎসকের নিষেধ না থাকলে এমন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে।

অ্যালকোহলে আসক্তি
মদ্যপানের অভ্যাস আছে এমন অনেকেরই অনেক সময় মাত্রাজ্ঞান থাকে না। আর খুব বেশি পরিমাণে মদ পান করা কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। অ্যালকোহলে নানা ধরনের টক্সিন থাকে, যেগুলো শরীর থেকে দূর করতে কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যায়। ফলে কিডনি বাঁচাতে হলে অবশ্যই অ্যালকোহলে আসক্তি কমাতে হবে।

ধূমপানে আসক্তি
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের অভিমত অনুসারে ধূমপান কিডনিসহ শরীরে সব অঙ্গের জন্যই ক্ষতিকর। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষণাতেই ধূমপানের সঙ্গে কিডনি রোগের সম্পর্ক আছে। সুস্থ কিডনি চাইলে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।

সর্দি-কাশিকে পাত্তা না দেওয়া
সাধারণ সর্দি-কাশিকে পাত্তা না দেওয়া আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। কিন্তু এই সর্দি-কাশিই কিডনির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়া নানা গবেষণায় দেখা গেছে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন অনেকেরই অসুস্থতার সময়ে ঠিকমতো বিশ্রাম না নেওয়ার ইতিহাস আছে।

রাত জেগে থাকা
রাত জেগে থাকা, ঘুমাতে না পারা আমাদের অনেকেরই নিয়মিত সমস্যা। কিন্তু ঘুম শরীরের জন্য নানা কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময়ই শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর টিস্যুর নবায়ন ঘটে। ফলে ঘুমাতে না পারার সমস্যাটা নিয়মিত চলতে থাকলে কিডনিসহ শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর এই কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে কিডনির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা কমে যায়।



http://paimages.prothomalo.com/contents/cache/images/400x0x1/uploads/media/2015/01/14/b8fd3170d254e36843a9ffacbb93c9a8-KIDNEY-DAMAGE.jpg


Source: www.prothom-alo.com

39
স্মার্টফোনের ব্যবহার সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বাড়ছে। তবে পরিমিত ব্যবহারের অভাবে এর থেকে জন্ম নিতে পারে আসক্তি। সম্প্রতি কয়েকটি সমীক্ষায় বহির্বিশ্বে স্মার্টফোনে আসক্তির বিষয়টি উঠে এসেছে।

বাংলাদেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৩ হাজার। জনসংখ্যার তুলনায় মুঠোফোন গ্রাহকের সংখ্যায় বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে। মুঠোফোন গবেষণা ও উন্নয়নভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান মোবিফোর্জের চলতি বছরের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মুঠোফোন গ্রাহকের অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশের মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ১ শতাংশ। কিন্তু ২০১৩ সালে থ্রিজি সেবা চালুর কারণে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশে। চলতি বছর বাজারে স্মার্টফোনের বিক্রি আরও বেড়েছে। কিন্তু স্মার্টফোন ব্যবহারে যথেষ্ট সচেতনতার অভাব রয়েই যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা ভালো। এতে স্মার্টফোন আসক্তি থেকে দূরে থাকা ছাড়াও এড়ানো যাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

১. নির্দিষ্ট সময়ের বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার নয়। তাই ঠিক করে নিন ঠিক কতটুকু সময়ে আপনি প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারবেন।

২. সব সময়ই স্মার্টফোনে গেম খেলার অভ্যাস ত্যাগ করুন। কারণ, এতে আসক্তি তৈরির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ বিঘ্ন ঘটতে পারে।

৩. প্রয়োজনীয় কল সেরে নিন।

৪. দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। অপ্রয়োজনে ব্রাউজ করা বন্ধ রাখুন।

৫. সব সময়ই ছবি তোলা আর তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার বন্ধ রাখুন। এটি একসময় আসক্তি হিসেবে দেখা দিতে পারে। ৬. মানুষকে এড়িয়ে চলা বন্ধ করুন। প্রয়োজনে সাড়া দিন।
বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের ব্যবহার হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিটুএক্স। এতে দেখা যায়, স্মার্টফোনের ব্যবহারের মাত্রা ছাড়িয়ে আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে। পশ্চিমা দেশ থেকে শুরু করে ভারত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে এ ধরনের আসক্তি

সারা বিশ্বের চিত্র

৯৮% যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের ঘুমানোর সময়ও সঙ্গে থাকে স্মার্টফোন
৬৩% ব্রাজিলের মানুষ দিনে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে এতে। পাঁচজনে তিনজন প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ব্যবহার করে
৮৪% জার্মান নাগরিকের স্মার্টফোনে ন্যূনতম আসক্তি আছে। আর প্রতি পাঁচজনে চারজন সবচেয়ে আধুনিক স্মার্টফোনটি চায়
৭৭% চীনা নাগরিক সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে এতে। প্রতি চারজনে তিনজন ২৫০ মার্কিন ডলারের স্মার্টফোন কেনে
৫৭% ভারতীয় মনে করে, স্মার্টফোন ছাড়া তারা বাঁচতে পারবে না। প্রতি পাঁচজনে এই হার তিনজন




Source:http://www.prothom-alo.com/technology/article/396946/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE

40
Career Advice / Practice makes a man perfect
« on: December 11, 2014, 03:58:05 PM »
Practice means constant use of one's intellectual and aesthetic powers. Perfect means 'ideal', complete and excellent'. Proper planning and practice promote perfect performance. Practice depends on training and it means repeating an activity. Constant practice also sharpens talents.

One has to follow certain qualities to be perfect. These are hard work, strong well power, faith, tolerance, positive approach, self confidence and dedication. The quality that prepares one for all other qualities is practice. One should not stop practicing and be satisfied until one achieves perfection.

Practice is the best way by which one can achieve perfection. Practice makes one feel and understand the same idea or thing again and again. The more one practices, the more errorless one becomes. One doesn't repeat the errors that were done previously.





Source:http://www.publishyourarticles.net/knowledge-hub/essay/an-essay-on-practice-makes-a-man-perfect.html

Practice begins in the cradle and ends in the grave. Right from childhood, man practices various activities like talking, reading, writing, eating, cooking etc. For learning an art or any activity, one needs constant practice. The child practices speaking first by learning the alphabets, then the words, sentences and finally the speech. The child through repeated practice reaches perfection in speaking. One can't ride a bicycle or a motor bike or drive a car at the very first instance. One needs practice till one achieves perfection in the same. The same method applies to other areas too.

Perfection makes art survive the test of time. Such works of art give joy to generations. There is no end of practicing while learning fine arts, viz, music, dance, drama, painting etc. Writers put their imagination into words. They express their emotions feelings and ideas by writing. The perfection in their style of writing is some how dependent on practice. They never consider the popularity gained by one book as the end of their practice.

Practice or 'riyaaz' plays an important role for a musician to become perfect. Music can't flourish without 'riyaaz'. Every good musician takes proper education or 'talim' from his master or guru. Only laborious process of education can make one a perfect musician. Dance is the expression of one's deep-emotion by the movements of the body. To achieve perfection is this art, co-ordination between the body and the music matters the most. This co-ordination is achieved only by practice. The painter expresses his thoughts and ides on a canvas with the help of colors. A single curve can change the expression of the painting. Practice make a painter perfect. But is it is not the same case always. They are some inborn. Without practice they can draw very well. Still practice make their work better.

Perfection is necessary in every shape of life. Perfection in shooting is an essential quality that the Defence personnel possess. Practice is essential in law and medicine too. Surgery can be mastered by practice. Even the practice of cooking enables one to get the perfect taste one wants. Thus, from the kitchen to the office, practice is needed to gain perfection in every field.

A person cannot be perfect is every sphere of life. It is quite natural to have certain deficiencies. But once can practice repeatedly to lessen the deficiencies. One may face difficulties during the course of practice. One should not feel dejected in such a case, He should overcome them in order to achieve perfection.

Practice enables a person to reach the heights of success in all walks of life. Practice develops outstanding qualities in one's character. Practice not only brings perfection but also helps in building character. Thus, it is practice that makes a man perfect who can face every challenge in his life.

41

ট্যারা তো নয়, লক্ষ্মীট্যারা—ট্যারা চোখ নিয়ে কেউ কেউ এমন মন্তব্য করেন। আসলে কোনো ট্যারাই লক্ষ্মী নয়। কেননা ট্যারা চোখের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হলে পরবর্তী সময়ে আক্রান্ত চোখটি ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। তাই ট্যারা চোখ নিয়ে অযথা কালক্ষেপণ করা ঠিক নয়।

কাকে বলে ট্যারা চোখ
ট্যারা চোখকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলে স্কুইন্ট বা স্ট্রাবিসমাস। এতে একটি চোখ সামনে কোনো কিছুর দিকে ফোকাস করার সময় অন্য চোখটি সেদিকে না তাকিয়ে বরং ওপর-নিচে বা ডানে-বাঁয়ে যেকোনো দিকে ফোকাস করে। সাধারণত ট্যারা চোখ শিশুবয়সেই দেখা যায়। পরিসংখ্যান বলে, প্রতি ৫০০ শিশুর মধ্যে একজন ট্যারা। স্কুলে যাওয়ার আগেই, বলতে গেলে তিন বছর বয়সের আগে মা-বাবার কাছে ধরা পড়ে যে তার শিশুর চোখ দুটো একই সময়ে একই দিকে তাকায় না। শিশুটি তখন ভালো দেখার সুবিধার্থে আক্রান্ত চোখ দিয়ে দেখা বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসা না হলে ওই চোখটি ধীরে ধীরে দৃষ্টি হারাতে পারে।

কেন হয় ট্যারা
ট্যারা চোখ আসলে চোখের সমস্যা নয়, বরং চোখের অন্তর্গত পেশির সমস্যা। আমাদের চোখ এদিক-ওদিক নাড়াচাড়ার জন্য আমরা কিছু সূক্ষ্ম পেশি ব্যবহার করি। কোনো এক দিকে তাকানোর সময় এই পেশিগুলোর একযোগে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা। কোনো কারণে এদের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে দুই চোখ দুই দিকে তাকাতে শুরু করে। কোনো কোনো শিশু জন্মগতভাবে ট্যারা—একে বলে কনজেনিটাল স্কুইন্ট। ছয় মাস বয়সের মধ্যেই তা দৃশ্যমান হয়। অনেকের ট্যারা চোখ আবার বংশগত। আবার দৃষ্টিশক্তির সমস্যায়, যেমন হ্রস্বদৃষ্টি বা দীর্ঘদৃষ্টিতে আক্রান্ত শিশুরা কোনো কিছুতে ফোকাস করতে গিয়ে ধীরে ধীরে ট্যারা হতে থাকে। জন্মগতভাবে সমস্যাযুক্ত শিশু, যেমন: ডাউনস সিনড্রোম, সিরিব্রাল পালসি বা মস্তিষ্কের টিউমার, চোখের টিউমার ইত্যাদি রোগেরও একটা উপসর্গ হতে পারে ট্যারা চোখ।

চিকিৎসা কী, কেন?
সাত বছর পর্যন্ত একটি শিশুর ভিশন বা দেখার প্রক্রিয়া গড়ে উঠতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে ট্যারা চোখের চিকিৎসা না করা হলে এই গঠনপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। শিশু আক্রান্ত চোখ দিয়ে দেখা বন্ধ করে দেয় অভ্যাসবশত, ওই চোখটি ‘দেখা’ শিখে উঠতে পারে না এবং ধীরে ধীরে দৃষ্টি হারাতে থাকে। এই সমস্যাকে বলে অ্যামব্লিওপিয়া। এ ছাড়া ট্যারা চোখের কারণে শিশুরা ঝাপসা দেখে, কখনো দুটো দেখে। আশ্চর্য হলেও সত্যি, অ্যামব্লিওপিয়া রোধ করতে ভালো চোখটিকে ঢেকে রাখতে হয় এবং ট্যারা চোখটিকে দিয়ে ‘দেখা’ দেখাতে হয়। এটা করা হয় আই প্যাচিং-এর মাধ্যমে। এ ছাড়া দরকার হতে পারে ভিশন থেরাপি, চোখের ব্যায়াম বা বিশেষ চশমা। কারও কারও জন্য চোখের পেশির শল্যচিকিৎসাও লাগতে পারে। যত অল্প বয়সে চিকিৎসা শুরু করা যায় তত বেশি দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা যায়। তাই শিশুর চোখ ট্যারা মনে হলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই উচিত।
সূত্র: এনএইচএস, প্যাশেন্ট কো ইউকে|

42
ইচ্ছা হয় প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করি। কিন্তু ইচ্ছাটা পূরণ করতে গেলেই আসে নানা রকমের বাধা। শরীরচর্চা হয়ে পড়ে অনিয়মিত। আর তাতে লক্ষ্য থাকে অপূর্ণ। ব্যায়াম করার ইচ্ছা ঠিকঠাক পূরণ হয় মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের। অন্যরা অনেক অজুহাত দেখান, যেগুলো শুনতে কিছুটা যৌক্তিকই মনে হয়। এ রকম ১০টি কারণ এবং নেপথ্যের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা:

সময় নেই
প্রত্যেকেই দিনে ২৪ ঘণ্টা সময় পায়। এটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্ন। ব্যায়াম করার সময় না থাকলে হাসপাতালে যাওয়ার সময় বের করে নিতে হবে। পছন্দটা আপনার। বই পড়া, মুভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার সময় তো ঠিকই পাওয়া যায়। কাজেই দিনে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করার সময় বের করা অসম্ভব নয়।

চাকরি করব, নাকি ব্যায়াম করেই সময় কাটাব?

এটা দুর্বল অজুহাত। খুব বেশি কাজের তাড়া বা সময়ের অভাবের কারণে যেমন কেউ কখনো বিনা কাপড়ে অফিসে যায় না, তেমনি শরীরচর্চা ছাড়া অন্যান্য কাজ করাটাও অযৌক্তিক।

স্কুল-কলেজে থাকতে পাগলের মতো ব্যায়াম করেছি
অতীতে গোসল করা, দাড়ি কামানো, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি কাজও আপনি প্রচুর করেছেন। তাই বলে সেগুলো কি এখন বাদ দিতে পারবেন? ব্যায়ামটাও সে রকম। আগে যেমন করেছেন, এখনো করতে হবে।

সপ্তাহে দু-এক দিন ব্যায়াম করলেই তো হয়
এটা হয় না। আপনি ব্যায়াম বাদ দিতে পারবেন সেই দিনটিতে, যেদিন আপনি কিছুই খাবেন না। প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়া করলে পরিশ্রমও করতে হবে। ঠিক আছে, সপ্তাহে একটা দিন বিরতি দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এর বেশি নয়।

ঘরের কাজ এত বেশি! সব শেষ করে আর ব্যায়াম করার শক্তি পাই না
যত গড়িমসি করবেন, তত ক্ষতির শিকার হবেন। ছোটখাটো বা হালকা ব্যায়াম দিয়েই শুরু করুন। ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। শিশুরা যেমন দোলনা থেকে শুরু করে একসময় ধাপে ধাপে সবকিছুই শিখে নেয়, সে রকম।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেক কাজ থাকলেও আমি দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম করি
এমন করলে আপনার উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে। চার-পাঁচ দিন নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে শরীরটা অনমনীয় হয়ে পড়ে। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রচুর পরিশ্রম করলে পেশিতে টান লাগতে পারে।

শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমার নানা রকমের ব্যথা তো কমেনি, বরং বেড়েছে

বছরের পর বছর আপনি শরীরচর্চা করেননি, যা আপনার সারা জীবনই করে যাওয়া উচিত। যখনই শুরু করতে যাবেন, কিছুটা কষ্ট হবে। নিজের ইচ্ছায় তৈরি ব্যথাগুলো কয়েক দিনের মধ্যেই দূর হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন শরীর আলস্যে থাকার কারণেই এসব রোগ তৈরি হয়।

অনেক তো বয়স হয়ে গেছে, এখন আর শুরু করে কী হবে?

আপনি এমন বুড়ো হয়ে যাননি যে আর শুরু করতে পারবেনই না। নিশ্চয় অন্য অনেক কাজকর্ম ঠিকমতো করতে পারছেন। কাজেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম থেকে পালানোর চেষ্টা না করাই ভালো।

যখনই সময় পাই, হাঁটি অথবা সাঁতার কাটতে যাই

মনে করুন, আপনি একজন ব্যক্তিকে কাজে নিয়োগ দেবেন। তিনি মেধাবী। কিন্তু যদি তিনি বলেন: ‘যখন সময় পাই কাজ করতে আসব।’—তাকে কি আপনি চাকরি দেবেন?
১০
আগামীকাল থেকে শুরু করব
অবশ্যই আপনি সেটা করতে পারেন। কিন্তু সেই আগামীকাল তো কখনোই আসবে না।
সূত্র: আইএএনএস।

43
১৯৯৬ সালের অক্টোবরে তাঁর অভিষেক। দেখতে দেখতে কেটে গেছে ১৮টি বছর। জীবনের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে। এর পর থেকেই শহীদ আফ্রিদির নামের সঙ্গে ‘মারদাঙ্গা ব্যাটিং’ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৩৮৪টি ওয়ানডে। এর মধ্যে ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন ৩৫৬টি ম্যাচে। ছয়টি সেঞ্চুরি আর ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরির মালিক এই আফ্রিদি এমন একটা রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন, যা কেবল তাঁকেই মানায়। শুনলে অবাক হতে হয়, আফ্রিদি এই ৩৫৬টি ইনিংসে এখন পর্যন্ত বল মোকাবিলায় ‘সেঞ্চুরি’ করতে পারেননি। মানে, এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্যারিয়ারে কোনো ম্যাচেই তাঁর খেলা হয়নি ১০০টি বল। ১৯৯৮ সালে কানাডার টরন্টোয় ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৪ বল মোকাবিলা করে ১০৯ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তাঁর ছয়টি সেঞ্চুরির প্রতিটিতেই রানসংখ্যার চেয়ে মোকাবিলা করা বলের সংখ্যা অনেক কম। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর ক্যারিয়ার-সেরা ১২৪ রানের ইনিংসটি এসেছিল মাত্র ৭৫ বল মোকাবিলায়!

ছিয়ানব্বইয়ে ওয়ানডে অভিষেক হলেও আফ্রিদি প্রথম টেস্ট খেলেছিলেন ১৯৯৮ সালে। ২০১০ সালে স্বপ্রণোদিত হয়েই বিদায় জানিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটকে। এই পুরোটা সময়ই তাঁকে ‘টেস্ট ক্রিকেটের উপযোগী নয়’—এমন অভিধা কানে নিতে হয়েছে। ২৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৪৮ ইনিংসে তাঁর ব্যাটিং-গড় একেবারেই মন্দ নয়। ৩৬.৫১ গড়কে যেকোনো বিচারেই অভিহিত করা যেতে পারে উন্নত-গড় হিসেবে। পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরিও নেই নেই করে পাওয়া হয়ে গেছে তাঁর। হাফ সেঞ্চুরি আটটি। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি এক ইনিংসে সর্বোচ্চ বলের মুখোমুখি হয়েছেন ১৯১টি। ১৯৯৯ সালে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসটি তিনি সম্পন্ন করেছিলেন ১৯১ বল মোকাবিলা করে। টেস্টে তাঁর দ্রুততম সেঞ্চুরিটি ২০০৬ সালে লাহোরে ওই ভারতের বিপক্ষেই। মাত্র ৮০ বল মোকাবিলা করে সেদিন আফ্রিদি খেলেছিলেন ১০৩ রানের ইনিংস।
একদিনের ক্রিকেটে তাঁর স্ট্রাইকরেট ১১৫.৪০। টেস্টে ৮৬.৯৭। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে তা ১৪৩.৭৪। তবে টেস্ট ও ওয়ানডের তুলনায় তাঁর টি-টোয়েন্টি রেকর্ড একটু পিছিয়েই থাকবে। ৭৫টি ম্যাচ খেলে তাঁর গড় ১৮.৮৮। সেঞ্চুরি এখনো পাননি, ফিফটি মাত্র চারটি। তবে এই ফরম্যাটে আফ্রিদি কোনো ম্যাচেই ৪০ বলের বেশি খরচ করেননি। সূত্র: ক্রিকইনফো।




Source: www.prothom-alo.com

44
Science and Information / ধূমকেতুতে জৈব অণু!
« on: November 20, 2014, 10:13:00 AM »
ধূমকেতুতে ‘জৈব উপাদানের’ চিহ্ন পেয়েছে রোবটযান ফিলে। সেখানকার পৃষ্ঠতল বিজ্ঞানীদের ধারণার চেয়েও বেশি শক্ত। সিক্সটিসেভেনপি নামের ধূমকেতুতে অবতরণকারী প্রথম মহাকাশযানটির পাঠানো তথ্য-উপাত্তের নমুনা দেখে গত মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায় ফিলে শনিবার থেকে তথ্য পাঠানো বন্ধ রাখে। এটি বর্তমানে সূর্যের দিকে প্রতি সেকেন্ডে ১৮ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে। ধূমকেতুতে জৈব উপাদানের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে নতুন দিক উন্মোচিত হবে। এএফপি।



Source: www.prothom-alo.com

45
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর রান ৩৪ হাজারেরও বেশি। সব ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেট মিলিয়ে রান তুলেছেন ৫০ হাজার। সেই শচীন টেন্ডুলকার রান চুরি করেছিলেন। তাও মাত্র ৬ রান!
শুনে অনেকের বিশ্বাস নাও হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। আত্মজীবনী প্লেয়িং ইট মাই ওয়েতে এই রান ‘চুরি’র কথা লিখেছেন টেন্ডুলকারই।
সেটি অবশ্য একেবারে টেন্ডুলকারের শৈশবের ঘটনা। মাত্রই ক্রিকেটটা শুরু করেছেন। মহল্লার গলি ক্রিকেট ছেড়ে সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের স্কুল ক্রিকেটে শুরু হয়েছে পদযাত্রা। আর স্কুলের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ঘটেছিল এই রান চুরির ঘটনা।
স্কুলের হয়ে অভিষেক ম্যাচটিতে টেন্ডুলকার ২৪ রান করেন। যেটা খুব একটা খারাপ ছিল না। অন্তত এর আগে ক্লাব ক্রিকেটে তাঁর ভয়াবহ অভিষেকের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। গুরু রমাকান্ত আচরেকার পরিচালিত কামাথ মে​মোরিয়াল ক্লাবের হয়ে শুরুতে বেশ কটা শূন্য মেরেছিলেন টেন্ডুলকার। সেই তুলনায় স্কুল ক্রিকেটের শুরুতে ২৪ করা তাঁকে সে সময় বেশ স্বস্তি দিয়েছিল।
এরপরই ঘটল সেই চুরির ঘটনা। টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘স্কুলের হয়ে আমার প্রথম ম্যাচটা আজীবন মনে রাখব, সেটিও অন্য একটি কারণে। কারণ এই ম্যাচ থেকে আমি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যক্তিগত শিক্ষা পেয়েছিলাম। এটা আমাকে শিখিয়েছিল, অন্যায়ভাবে কোনো কিছুর চেষ্টা না করতে, ন্যয় ও সততার সঙ্গে খেলাটি খেলতে।’
টেন্ডুলকারের অন্যায়টি তো আগেই জেনেছেন, রান চুরি। সেটিও অবশ্য তিনি নিজে সরাসরি করেননি, করেছেন অন্যের প্ররোচনায়। কিন্তু তাতে সায় তো দিয়েছেন। টেন্ডুলকার অনেক বড় মাপের মানুষ বলেই খুবই ‘ছোট’ এই ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি।
ঘটনা হলো, সেই সময় মুম্বাইয়ের পত্রিকাগুলো একটি অলিখিত নিয়ম বেঁধে দিয়েছিল। খেলার খবরগুলোতে তারা যে কোনো ম্যাচ রিপোর্টে শুধু সেই ব্যাটসম্যানদের নাম উল্লেখ করত, যারা কমপক্ষে ৩০ রান করেছে। কিন্তু টেন্ডুলকার করেছিলেন ২৪।
এরপর কী হলো? টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘আমি ২৪ করেছিলাম, কিন্তু ম্যাচে আমাদের ইনিংসে অনেকগুলো অতিরিক্ত রান এসেছিল। ফলে স্কোরার এক্সট্রা থেকে ছয়টি রান আমার নামের পাশে লিখে দিয়েছিল, যেন আমার স্কোর ৩০ হয়। স্কোরারের যুক্তি ছিল, এতে দলের মোট রানের তো আর হেরফের হবে না। কী হতে পারে না ভেবেই আমি তাতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।’
পরিণতি হয়েছিল ভয়াবহ। তাঁর গুরু রমাকান্ত আচরেকার পরদিন পত্রিকায় টেন্ডুলকারের নাম এবং নামের পাশে রান দেখে রীতিমতো খেপে যান। যে রান টেন্ডুলকার করেননি, সেটি তাঁর নামের পাশে লেখা হবে কেন। হয়তো ছোট একটা অপরাধ। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতেই এই ছোট অপরাধের জন্য টেন্ডুলকারকে ভীষণ বকেন আচরেকার।
এটার প্রয়োজনও ছিল। পুরো ক্যারিয়ারে টেন্ডুলকার তাই শতভাগ বিশুদ্ধ সততা নিয়েই ক্রিকেটটা খেলেছেন। আর সেভাবে খেলেছেন বলেই হয়তো টেন্ডুলকার ‘টেন্ডুলকার’ হতে পেরেছেন।





Source: www.prothom-alo.com

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 10