Daffodil International University
Faculty of Science and Information Technology => Evening Program (FSIT) => Topic started by: obayed on September 14, 2017, 10:50:16 AM
-
বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের স্নাতক শেষে স্রেফ একটা সনদ যে ক্যারিয়ারের নিশ্চয়তা দেবে না, শিক্ষার্থীরা এই সত্যটা জানেন। অনেকে প্রথম বর্ষ থেকেই লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে থাকেন। আবার কেউ হয়তো শখের বশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বা গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেন, এই অভিজ্ঞতাই কর্মজীবনে তাঁর কাজে আসে। একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি কীভাবে নেবেন ক্যারিয়ারের প্রস্তুতি?
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম আর জানার আগ্রহকেই গুরুত্ব দিতে বললেন। তাঁর বক্তব্য, ‘পশ্চিমের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, একজন প্রকৌশলের শিক্ষার্থী দর্শন পড়ছে, শিল্প ইতিহাসও পড়ছে। যে ডাক্তারি পড়ছে সে নৃবিজ্ঞানও পড়ছে, যে আইন পড়ছে সে সামাজিক ইতিহাস পড়ছে। তার মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সার্বিকভাবে জ্ঞানের পথগুলো খুলে দেবে, জ্ঞানের পথ বিছিয়ে দেবে। শিক্ষার্থী সেই পথে হাঁটবে। পরবর্তী সময়ে সে শুধু একটি পেশানির্ভর জীবন কাটাবে তা নয়, সে মানুষের মতো মানুষ হবে। তাঁর মনের জানালাগুলো খুলে যাবে। তার ভেতরে কোনো কুসংস্কার থাকবে না। একজন উদারনৈতিক মানুষ হবে। এ জন্য সে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পড়বে, শিখবে এবং জানবে।’ পড়ালেখাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে, তারপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহশিক্ষা কার্যক্রম, বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা যেমন কেস কমপিটিশন, রোবটিকস কমপিটিশন বা অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দিলেন। তাঁর মতে, একজন শিক্ষার্থী এসবের মধ্য দিয়ে নিজের সক্ষমতা তুলে ধরার সুযোগ পায়।
গবেষণায় আগ্রহ থাকলে শিক্ষকদের পরামর্শ নিন
বিসিএস যাঁদের লক্ষ্য, অনেকে প্রথম বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারে গেলেই চোখে পড়বে এই চিত্র। তবে এত আগে পড়া শুরু করা জরুরি মনে করছেন না ৩৫তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডার সুপারিশ পাওয়া হাসান মো. হাফিজুর রহমান। তাঁর পরামর্শ হলো, ‘নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করো। এ ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে চোখ বোলানোই যথেষ্ট।’
একটি মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং) ইশমাম আহমেদ চৌধুরী। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে। ইউনিলিভার আয়োজিত ‘ফিউচার লিডারস লিগ’–এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ইশমাম ও তাঁর দল। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কমপিটিশনে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী যে সরাসরি চাকরি পেয়ে যায় এমনটা নয়। তবে বেশ খানিকটা সুবিধা হয়। কারণ, এখন বড় বড় প্রতিষ্ঠান শুধু কাগজে–কলমে পরীক্ষা বা ভাইভার মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ করে না, প্রার্থীকে বিভিন্ন ধরনের আলোচনায় বসিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছেলেমেয়েরাই ভালো করে।’ এসব প্রতিযোগিতার জন্য প্রথম বর্ষ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করা দরকার বলে মনে করেন আইবিএর আরেক সাবেক ছাত্র রাকিব ইবনে হোসাইন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল গ্র্যাজুয়েট (মার্কেটিং) রাকিব ইবনে হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথমে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা উচিত। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে করতেই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা তৈরি হবে।’
বিসিএস প্রস্তুতির জন্য নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করুন
রাকিব যেমনটা পরামর্শ দিচ্ছেন, সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাঈশা মফিজ। প্রথমে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। পরে হাল্ট প্রাইজের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ঘুরে এসেছেন চীন থেকে। মাঈশা মনে করেন, এসব কার্যক্রম চাকরির ক্ষেত্রে তাঁর সিভিটা আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। একটি স্বনামধন্য বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করেছিলেন, সেখানে এখন এইচ আর কো–অর্ডিনেটর হিসেবে আছেন তিনি। বলছিলেন, ‘আমার ইন্টারভিউর সময় এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাকে বেশ মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতা অন্য চাকরিপ্রার্থীদের তুলনায় আমাকে এগিয়ে দিয়েছে।’
ভিনদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যাঁদের লক্ষ্য, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে করা গবেষণা এবং ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিলেন বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ফাহমিদা রহমান। বৃত্তি নিয়ে তিনি পড়তে যাচ্ছেন আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব কেনটাকিতে। জানালেন, বাইরে পড়তে যাবেন বলে ২০১৬ সালে স্নাতক সম্পন্ন হলেও চাকরিতে যোগ দেননি। লেগে ছিলেন গবেষণার কাজে। সঙ্গে প্রস্তুতি নিয়েছেন জিআরই এবং টোয়েফলের জন্য। তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যেতে চাইলে গবেষণাপত্র (টেকনিক্যাল পেপার, জার্নাল, কনফারেন্স পেপার) থাকাটা জরুরি। কারণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কনভিন্স করতে হয় মূলত কাজ দেখিয়ে। আর এখানে কাজ বলতে গবেষণাই।’ ফাহমিদার অভিমত, ধৈর্যটা দরকার বৃত্তির জন্য। এ জন্য একটা লম্বা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক অধ্যাপককে মেইল করে সবার কাছ থেকে রিপ্লাই পাওয়া যাবে না। এতে হাল ছাড়া যাবে না বলেও জানান তিনি।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ আপনার দক্ষতা বাড়াবে
বুয়েটের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী ইকরাম হাসান। বৃত্তি নিয়ে আমেরিকার মিসৌরি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে যাচ্ছেন স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার জন্য। তিনি বলেন, ‘৩.৫০ সিজিপিএই বাইরে পড়তে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। এর কম সিজিপিএ পেয়ে যে কেউ যাচ্ছে না তা নয়। সে ক্ষেত্রে জিআরই টোয়েফল স্কোরটা একটু ভালো করতে হয়।’ তিনিও গুরুত্ব দিলেন প্রকাশিত গবেষণাপত্রের ওপর। আর বললেন, গবেষণায় আগ্রহ থাকলে শুরু থেকেই শিক্ষকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলা উচিত, তাঁদের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সময়টাকে বেশি গুরুত্ব দিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা পঁচিশ-ছাব্বিশ বছর বয়সে যাচ্ছে দেশের বাইরে পড়তে। ফলে দেখা যায়, বয়স বেড়ে যাওয়ায় একটা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে চাকরিতে ঢুকে যাচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের একটি ছেলে ২২ বা ২৩ বছর বয়সে গিয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে শুরু করছে। সে পিএইচডি ডিগ্রি নিচ্ছে এবং গবেষণার কাজ করছে। তাই আমাদের ছেলেমেয়েদেরও টার্গেট নিতে হবে, যেন স্নাতক শেষ করেই সে বাইরে যেতে পারে। এ জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
-
Good Guidelines for all.............. :)
-
:)
-
Thanks
-
সুন্দর কথা!
-
good post
-
Thanks
-
nice post
-
Good Guidelines, thanks
-
Nice guidelines....
-
Some most proper guidelines if students follow it they will be benefited.
-
helpful