Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: sisyphus on April 02, 2019, 09:41:27 AM

Title: ডিম খাওয়ার সবচেয়ে পুষ্টিকর পাঁচ উপায়
Post by: sisyphus on April 02, 2019, 09:41:27 AM
খাবার হিসেবে ডিমের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্ভরযোগ্য খাদ্যসঙ্গী হিসেবে ডিম সমসময় আমাদের পাশেই থাকে। শুধুমাত্র দামে সস্তা বলে নয়, বরঞ্চ সহজ খাবার ও সুস্বাদু হওয়ার কারণেও।

বিশেষ করে সকালের নাস্তা এবং সেরা জলখাবার হিসেবে প্রায় প্রত্যেকেরই পছন্দ ডিম। কিন্তু ডিমে থাকা সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়ার উপায় জানা আছে কি?

খাবার বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্পুন ইউনিভার্সিটি’তে প্রকাশিত লেখায় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ওয়ার ফরেস্ট ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী ফ্রান্সেসকা জেন্টেল জানিয়েছেন, পাঁচ উপায়ে ডিম খেলে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণভাবে পাওয়া যায়।

তিনি পুষ্টিমান অনুসারে র‌্যাংকিং করেছেন ডিম খাওয়ার পাঁচটি সাধারণ উপায়।

কাঁচা



তাপ দিয়ে ডিম করলে কুসুমে থাকা পুষ্টির উপাদান কমতে পারে, তাই আপনি যদি হজমে সক্ষম হয়ে থাকেন তাহলে ডিম কাঁচা খান। এটা আপনাকে আরো বেশি শক্তিশালী করবে। তবে কাঁচা ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। সালমোনেলাযুক্ত ডিম খেলে সংক্রমণে হঠাৎ বমি, পেটের পীড়া থেকে শুরু করে টাইফয়েড পর্যন্ত হতে পারে। সালমোনেলা খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটায়। মুরগি ডিম প্রসবের পর তা কোনো নোংরা স্থানে, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠার মধ্যে পড়ে থাকলে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া ডিমের মধ্যে ঢুকে পড়ার সুযোগ পায়। তবে সব ডিমে সালমোনেলা থাকে না। শুধুমাত্র অপরিষ্কার স্থানে পড়ে থাকা ডিমেই এই জীবাণু থাকতে পারে।

পোচ



 

ভাজা বা বেকিং এর তুলনায় ডিম পোচ কম চর্বি এবং কম ক্যালোরি সুবিধার। কারণ ডিম পোচে কম তাপ ও কম তেল যোগ করতে হয়। স্বাস্থ্যকর ও দ্বিতীয় সেরা পুষ্টিমান পেতে এভাবে ডিম খেতে পারেন।

সেদ্ধ



 

খাবার হিসেবে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ডিম সেদ্ধ করাটা শুধু যে সবচেয়ে দ্রুততর এবং সহজ উপায় তা নয়, পাশাপাশি এটি অন্যতম স্বাস্থসম্মত একটি উপায়। ডিম সেদ্ধ করার ক্ষেত্রে কুসুম কাঁচা রাখুন, তাহলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।

স্ক্রামবলড




নিজের কিছু ক্যালোরি সংরক্ষণ করতে দুধের পরিবর্তে পানি ব্যবহার করুন। এ উপায়ে সেদ্ধ ডিমের মতো একই পরিমাণ চর্বি, কোলেস্টেরল এবং ক্যালোরি বজায় থাকে। আপনি যদি আরো ক্যালোরি কমাতে চান তাহলে কুসুম বাদ দিয়ে শুধু ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করুন।

ভাজা



ডিম ভাজায় অনেক বেশি তাপের প্রয়োজন হয়, যা ডিমের রাসায়নিক রচন প্রভাবিত করে পুষ্টিগুণ কমায়। পুষ্টিগুণ পেতে নন-স্টিক প্যানে ডিম ভাজুন অথবা শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ করতে নারকেল তেল দিয়ে ভাজুন।

ডিমের স্বাদ উপভোগ করার পাশাপাশি যদি অনাবশ্যক ক্যালোরি থেকে দূরে থাকতে চান, তাহলে ডিম খাওয়ার এসব উপায় রুটিন হিসেবে ফলো করতে পারেন।

তথ্যসূত্র : বিজনেস ইনসাইডার, রাইজিংবিডি