Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - arefin

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 26
31
Hadith / Ash-Shirk ul-Khafie (The hidden shirk)
« on: February 02, 2015, 06:06:45 PM »
শিরক সম্পর্কে মোটামুটি সবাই জানেন যে-- শিরক হল সবচাইতে বড় পাপ। শিরক অবস্থায় মারা গেলে চিরকাল জাহান্নামে থাকতে হবে। তাই শিরক সম্পর্কে সতর্ক-সাবধান থাকা খুব জরুরী। গোপন শিরক হ’ল যা বাহ্যিকভাবে দেখা যায় না। উক্ত শিরক সাধারণতঃ নিয়ত বা সংকল্পের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর তা হ’ল, রিয়া বা লোক দেখানো আমল করা।
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ) বের হয়ে আমাদের নিকটে আসলেন। এমতাবস্থায় আমরা দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তখন রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে দাজ্জালের চেয়েও অধিক ভয়ংকর কিছুর সংবাদ দিব?
আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তা হ’ল,ﺍﻟﺸِّﺮْﻙُ ﺍﻟْﺨَﻔِﻰُّ ‘গোপন শিরক’। কোন  ব্যক্তি ছালাতে দাঁড়ালে যখন অন্য ব্যক্তি তার ছালাতের দিকে লক্ষ্য করে, তখন সে আরও সুন্দরভাবে ছালাত আদায় করে’ (মুসনাদে আহমাদ হা/১১২৭০; ইবনু মাজাহ হা/৪২০৪; মিশকাত হা/৫৩৩৩)। অতএব লোক দেখানো প্রত্যেকটি আমলই গোপন শিরক। যেমন কেউ যুবক বয়সে-ই দাড়ি রাখেছে কিন্তু কিছুদিন পর মানুষ তার প্রশংসা শুরু করল, তখন সে আরো প্রশংসা পাওয়ার জন্য দাড়ির পাশাপাশি আরো কিছু আমল শুরু করল যাতে মানুষ তাকে বাহবা দেয়।
আবার কোন মেয়ে হিযাব পরিধান শুরু করল স্বামী, বাবা, বন্ধু বা পরিচিত জনের নিকট প্রশংসা পাওয়ার জন্য। অনেকেই অনেক মজলিশে হাজার হাজার টাকা দান করে তার খ্যাতির জন্য, অনেকে ভাল ডাক্তার হয়ে বিনা মূল্যে মানুষের চিকিৎসা করতে চায় খ্যাতির জন্য অথবা লোকে তাকে দয়ালু বলুক এজন্য। এমন সকল আমল-ই যা আল্লাহ্-র সন্তুষ্টির জন্য করা হয় না বরং মানুষকে দেখানোর জন্য করা হয়, অথবা আল্লাহর সন্তুষ্টির পাশাপাশি মানুষকে দেখানোর জন্য করা হয়--- দুটাই শিরক!!!!! যা থেকে বেঁচে থাকা আমাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।
এছাড়া কথার মাধ্যমে উক্ত শিরক হয়ে থাকে। যা ব্যক্তির অগোচরে তার নিয়তের মধ্যে ঢুকে পরে। যেমনঃ ইবনু আববাস (রাঃ) উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেমন কেউ বলল, আল্লাহর কসম এবং হে অমুক! তোমার ও আমার জীবনের কসম। অথবা বলল, যদি এই কুকুরটা না থাক, তাহ’লে আমাদের কাছে চোর আসত। অথবা কেউ কাউকে বলল, যা আল্লাহ চান ও আপনি চান। অথবা যদি আল্লাহ না থাকতেন ও অমুক না থাকত। তিনি বলেন, তুমি তোমার কথায় ‘অমুক’-কে যোগ করো না। কেননা এগুলি সবই শিরক। হাদীছে এসেছে,
একদিন জনৈক ব্যক্তি এসে রাসূল (ছাঃ)- কে বলল, যদি আল্লাহ চান ও আপনি চান। উত্তরে রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর সাথে শরীক করছ? (আহমাদ, আদাবুল মুফরাদ হা/৭৮৩; ইবনু কাছীর, তাফসীর বাক্বারাহ ২২)।

শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল উছায়মীন বলেন, ব্যক্তির বিশ্বাস অনুযায়ী এগুলি বড় অথবা ছোট শিরকে পরিণত হয়। (আল- ক্বাওলুল মুফীদ ২/৩২৩)।
অতএব এগুলি থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। আর এজন্য নিজের নিয়াতকে সহিহ করতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে, এবং বেশি বেশি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। ছোট-বড় সকল প্রকার শিরক থেকে বাঁচার জন্য রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে দুয়া শিখিয়েছেন---
- ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃُﺷْﺮِﻙَ ﺑِﻚَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﻭَﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﻟِﻤَﺎ ﻻَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ
(হে আল্লাহ! জেনেশুনে তোমার সাথে শিরক করা থেকে আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং অজ্ঞতাবশে শিরক করা থেকে আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি’। (আল আদাবুল মুফরাদ হা/৭১৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৭৩১,)
সংগৃহীত

32
Internet / Free WiFi at Shah Jalal International Airport
« on: February 02, 2015, 05:38:10 PM »
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্রি ওআইফাই জোন চালু হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আসা-যাওয়ার সময় যাত্রীরা যেন তাদের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করতে পারেন এজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
 
রোববার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওআইফাই জোনের নাম ওয়েলকাম টু ডিজিটাল বাংলাদেশ (welcome to digital Bangladesh)। এর পার্সওয়ার্ড হচ্ছে জয়বাংলা (joybangla)।
 
অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ফ্রি ওআইফাই জোন চালুর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনসহ কয়েকটি স্থানে চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধা চালু করা হবে।

33
র্তমান এমন কিছু কুসংস্কার প্রবেশ করেছে, যেগুলো মানুষকে ধীরে ধীরে শিরক এবং কুফুরিতে লিপ্ত করাতে পারে। মানুষের ঈমান-আমল বিনষ্টকারী কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।

প্রচলিত এসব কুসংস্কার থেকে মানুষকে সতর্ক করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কারগুলো উল্লেখ করা হলো:

১. পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।
২. নতুন বউকে কোলে করে ঘরে আনতে হবে, আর কোলে নিবেন দুলা ভাই।
৩. দোকানের প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নাই।
৪. নতুন বউকে শ্বশুর বাড়ীতে নরম স্থানে বসতে দিলে বউয়ের মেজাজ নরম থাকে।
৫. বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ ‘সদকা’ করতে হয়।
৬. ওষুধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বললে রোগ বেড়ে যায়।
৭. জোড়া কলা খেলে জমজ সন্তান জন্ম নেয়।
৮. রাতে নখ, চুল, দাঁড়ি-গোফ ইত্যাদি কাটতে নেই।
৯. প্রথম সন্তান মারা গেলে পরের সন্তানের কান ফুটো করে দিতে হয়, তাতে সে দীর্ঘ হায়াত পায়।
১০. ভাই-বোন মিলে মুরগি জবাই করা যায় না।
১১. ঘরের ময়লা পানি রাতে ঘরের বাইরে ফেলতে হয় না, তাতে সংসারে অমঙ্গল হয়।
১২. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পেছন থেকে ডাক দিলে তার যাত্রা অশুভ হয়।
১৩. ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হয়।
১৪. কোরআন শরীফ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল ‘সদকা’ করতে হয়, না হলে মাথার চুল উঠে যায়।
১৫. ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে তা ইঁদুরের গর্তে ফেলতে হয়, না হলে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়।
১৬. মুরগির মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যুর সময় কাছে থাকার সুযোগ হয় না।
১৭. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পেছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ; তাতে যাত্রা ভঙ্গ হয় বা যাত্রা অশুভ হয়।
১৮. ঘরের প্রবেশকৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা নিষেধ। তাহলে জ্বরে আক্রান্ত হতে হয়।
১৯. রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
২০. রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া ও ফল তোলা নিষেধ।
২১. ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হয়।
২২. ঘরের চৌকাঠে বসা, দারিদ্রতার লক্ষণ।
২৩. মহিলাদের বিশেষ দিনে সবুজ কাপড়ের কিছু একটা পড়তে হয় এবং তাদের হাতের কিছু খাওয়া যায় না।
২৪. বিধবা নারীকে অবশ্য অবশ্যই সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে।
২৫. ভাঙা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না, তাতে অমঙ্গল হয়, চেহারার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়।
২৬. ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসে, আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসে।
২৭. নতুন কাপড় পরিধান করার আগে তা আগুনে ছ্যাঁকা দিতে হয়।
২৮. নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাতে নাই।
২৯. ভাগিনাকে মারলে মৃত্যুর সময় মামার হাত কাঁপে।
৩০. আশ্বিন মাসে কোনো নারী বিধবা হলে তার আর কোনো দিন বিয়ে হয় না।
৩১. সোমবারের দিন কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া নিষেধ।
৩২. রাতের কাউকে সুঁই-সূতা দিতে নেই।
৩৩. গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে তা সেলাই করে ব্যবহার করতে মানা।
৩৪. খালি ঘরে সন্ধ্যায় বাতি দিতে হয়, না হলে বিপদ অনিবার্য।
৩৫. নবী করিম (সা.)-এর নাম শুনলে হাতে চুম্বন খাওয়া, তদ্রুপ মক্কা-মদিনার ছবি দেখলে চুমো খাওয়া।
৩৬. গর্ভবতী মহিলার জন্য কোনো কিছু কাটা-কাটি কিংবা জবাই করা নিষিদ্ধ, তাতে বাচ্চা ঠোঁট কাটা জন্ম নেয়।
৩৭. পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়।
৩৮. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সামনে দিয়ে খালি কলস নিয়ে কেউ গেলে বা খালি কলস পড়লে যাত্রা অশুভ হয়।
৩৯. ছোট বাচ্চাদের শরীরে লোহা জাতীয় কিছু বেঁধে দিতে হয়, তাতে সে দুষ্টু জ্বীন-শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
৪০. রুমাল, ছাতা, হাতঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার দিতে হয় না।
৪১. হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে মনে করা হয়।
৪২. হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে বলে মনে করা।
৪৩. নতুন বউ কোনো ভালো কাজ করলে তা শুভ লক্ষণ বলে মনে করা।
৪৪. ইষ্টি কুটুম পাখি ডাকলে বলা হয় আত্মীয় আসবে।
৪৫. কাঁচামরিচ হাতে দিতে নেই।
৪৬. তিন রাস্তার মোড়ে বসতে মানা, তাতে বংশ উজাড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪৭. খাওয়ার সময় ঢেঁকুর আসলে অথবা খাবার আটকে গেলে কেউ তাকে স্মরণ করছে বা গালি দিচ্ছে মনে করা।
৪৮. কাকের ডাক বিপদের পূর্বাভাস মনে করা।
৪৯. শকূন ডাকলে বা দেখলে কেউ মারা যাবে, এটা মনে করা।
৫০. অনুরূপভাবে পেঁচার ডাককেও বিপদের কারণ মনে করা।
৫১. তিনজনের একসঙ্গে পথ চলা অকল্যাণজনক মনে করা।
৫২. দু’জনের কথার ফাঁকে টিকটিকির আওয়াজকে কথার সত্যায়ন মনে করা।
৫৩. কারো মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দেওয়া আবশ্যক মনে করা, না হলে মাথায় রোগ হয় ভাবা।
৫৪. ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে হয় না।
৫৫. নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত এক পদ দিয়ে খাওয়ানো।
৫৬. নতুন বউকে শ্বশুরালয়ে কমপক্ষে আড়াই দিন অবস্থান করতে হয়।
৫৭. পাতিলে ভাত খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়।
৫৮. পোড়া ভাত ইত্যাদি খেলে পানিতে ডুবার আশঙ্কা থাকে।
৫৯. পিঁপড়া বা জল পোকা খেলে ফেললে শরীরে ঘা হয়।
৬০. দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত বাড়ি থেকে চাল উঠিয়ে তা রান্না করে কাককে খাওয়ানো ও নিজেও খাওয়া।
৬১. সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়ার জন্য কাউকে কোনো কিছু দেওয়া নিষেধ।
৬২. রাতে কোনো কিছুর লেন-দেন করা ভালো নয়।
৬৩. সকালে দোকান খোলে নগদ বিক্রি না করা পর্যন্ত কাউকে বাকি দেওয়া নিষেধ, তাহলে সারাদিন শুধু বাকিই বিক্রি করতে হয়।
৬৪. দাঁড়িপাল্লা কিংবা মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সেটাকে সালাম করতে হয়, না হলে ঘরের লক্ষ্মী চলে যায়।
৬৫. শূকরের নাম মুখে নিলে ৪০ দিন পর্যন্ত মুখ নাপাক থাকে।
৬৬. রাতে কাউকে চুন দিতে হলে তখন চুনকে চুন না বলে দই বলতে হয়।
৬৭. রাস্তায় চলা সময় হোঁচট খেলে পিছিয়ে পুনরায় চলা শুরু করতে হয়।
৬৮. ফলবান বৃক্ষ বা বাগানে মানুষের বদ নজর এড়াতে মাটির পাতিলে সাদা-কালো রং মেখে তা ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
৬৯. বিনা ওযুতে বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে শরীরের পশম পড়ে যায়।
৭০. সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা কিছু কাটলে গর্ভের সন্তান নাক-কান বা ঠোঁট কাটা অবস্থায় জন্ম নেয়।
৭২. মহিলাদের হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হয়।
৭৩. স্ত্রীর নাকে নাক ফুল পরিধান স্বামীর জন্য মঙ্গলজনক মনে করা।
৭৪. দা, কাঁচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে তা সেলাম করা। না হলে ক্ষতির আশঙ্কা আছে মনে করা।
৭৫. গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাফ চাইতে হয়।
৭৬. বেচা-কেনা বা লেনদেনের সময় জোর সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন, এক লাখ টাকা হলে সেখানে এক লাখ এক টাকা দিতে হয়।
৭৭. নতুন ঘরের উল্টর-পশ্চিম পার্শ্বের খুটিঁতে লাল ফিতা বেঁধে রাখা।
৭৮. হঠাৎ বাম চোখ কাঁপলে দুঃখ আসবে মনে করা।
৭৯. কোরবানির ঈদের দিন দু’পা বিশিষ্ট প্রাণী (হাঁস, মুরগী) ইত্যাদি জবাই করা নিষেধ।
৮০. স্বামীর নাম মুখে বলা যাবে না এতে স্বামীর অমঙ্গল হয়।
৮১. গরুর বাছুরের গলায় জুতার টুকরা ঝুলিয়ে দিলে সেটা মানুষের কু- দৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকে।
৮২. নতুন বউকে বাপের বাড়ি থেকে ধান এনে স্বামীর বাড়ির গোলায় রাখা।
৮৩. পর পর কয়েক সন্তান মারা যাওয়ার পর ছেলে হলে বড়শি পুরে তার কপালে দাগ দেওয়া।
৮৪. মৃতের বাড়িতে ৩ দিন পযর্ন্ত মাছ-গোশত না খাওয়া, বাধ্যতামূলক নিরামিশ খাওয়া।
৮৫. কবরের খোদাইয়ের সময় প্রথম কোপের মাটি রেখে দেওয়া।
৮৬. ঢেকির ওপর বসে আহার করলে বউ মারা যায় বলে মনে করা।
৮৭. জুতা পরিধান করে মাচায় না উঠা, কিংবা গোলা ঘরে না যাওয়া।
৮৮. গর্ভবতী গাভী মেহেদি গাছের পাতা খেলে বা মেহেদি পাতায় পা দিলে গরুর গর্ভ নষ্ট হয়ে যায়।
৮৯. আঙ্গুলের ইশারায় কবর দেখালে সেই আঙ্গুল পঁচে যায়।
৯০. যে নারীর নাসিকাগ্র ঘামে সে স্বামীকে অধিক ভালোবাসে।
৯১. ভাঙ্গা কুলায় লাথি মারলে জমির ফসল কমে যায়।
৯২. পুরুষের বুকে লোম থাকা স্ত্রীকে ভালোবাসার পরিচয়াক মনে করা।
৯৩. কুকুরকে পা দিয়ে বাড়িতে গর্ত করতে দখেলে কারো মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে, এটা মনে করা।
৯৪. মাটিতে আঁকাআঁকি করলে বা কিছু লেখলে মেধা কমে যায়।
৯৫. গর্ভবর্তী মহিলাকে এক কাতে শয়ন করতে নেই। এতে বাচ্চা প্রতিবন্ধী হয়।

এছাড়া এলাকাভেদে আরও অনেক কুসংস্কারের প্রচলন রয়েছে। আমাদের উচিত এসব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা। আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে প্রচলিত এ সব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন।

34
Hadith / Anger: What Islam says about it?
« on: February 02, 2015, 05:30:21 PM »


রাগ নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এক সাহাবি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে অল্প কথায় কিছু নসিহত করুন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, রাগ বর্জন করো। সাহাবি কয়েকবার বললেন, আরও নসিহত করুন। প্রত্যেকবারই রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, রাগ বর্জন করো। -বুখারি শরীফ

রাগ মানবিক আবেগের অংশ বিশেষ। তবে অনিয়ন্ত্রিত রাগ মারাত্মক ক্ষতিকারক। জ্ঞানীরা বলেন, রাগ হলো বারুদের গুদামের মতো। আগুনের স্ফূলিঙ্গের ছোয়ায় সব কিছু ধ্বংস করে দিতে পারে এই রাগ। এ কারণে রাগ নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কোনো কোনো মানুষ দ্রুত রেগে যায় এবং তাদের রাগও প্রচ-। এমনকি মানুষ রেগে গিয়ে গালিগালাজ শুরু করতে পারে, মানুষের সঙ্গে মেলামেশাও বাদ দিতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিরা রাগের কারণে নানা দৈহিক রোগেও আক্রান্ত হতে পারে।

আরেক ধরনের লোক হলো এরকম যে, তারা ভারসাম্যপূর্ণ। বিবেক ও নৈতিক শিক্ষার ভিত্তিতে যৌক্তিক পন্থায় নিজেদের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ধরনের ব্যক্তিরা সাধারণত সাহসী ও আশাবাদী হয়। এই দুই ধরনের লোকদের বাইরেও আরেক দল আছে, যারা ভয়ের কারণে রাগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে না। বিষয় যেটাই হোক, এটা সত্য যে, নৈতিক শিক্ষা মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ হতে সাহায্য করে। এ কারণে মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে।

সাধারণত কোনো কারণ ছাড়া মানুষ ক্রুদ্ধ হয় না। এর মধ্যে কোনো কোনো কারণ গ্রহণযোগ্য, আবার কোনো কোনোটি অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক। ব্যর্থতা, অযৌক্তিক প্রত্যাশা, হিংসা-বিদ্বেষ ও অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানোর মতো কিছু অভ্যাস ও ঘটনার পাশাপাশি অবিচার, জুলুম ও দারিদ্রের মতো সামাজিক অসঙ্গতিগুলো মানুষের রাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে রাগ প্রকাশের ধরনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিভেদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। কিছু লোক আছে, একজনের ওপর রাগ পুষে রেখে অন্যের ওপর তার প্রকাশ ঘটায়। অনেকে আবার সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখায়। কেউ কেউ আছেন, শত অন্যায়ের পরও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান না। এ ধরনের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ভালো নয়। তবে যারা রাগকে কৌশলে সংবরণ করে সেই শক্তিকে ভালো কাজে লাগাতে পারেন, তারাই প্রকৃত সফলকাম।

ইসলাম মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম মনে করে, রাগ মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। রাগের কারণে মানুষের আচার-আচরণ ও চিন্তায়া খারাপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তাই রাগান্বিত অবস্থায় ক্ষমা করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। বিশেষ করে কোনো ব্যক্তি যদি প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা থাকার পরও প্রতিশোধ না নেয় এবং ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তার এ কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, বড়া বড় মনিষীরা ক্ষমা করার ক্ষেত্রে ছিলেন অগ্রগামী। তারা রাগান্বিত হলে সূরা আল ইমরানের ১৩৪ নম্বর আয়াতটি তেলাওয়াত করতেন। এ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে ও অন্যের দোষ-ক্রটি মাফ করে দেয়। এ ধরনের সৎলোকদের আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন।’

মহান ও আধ্যাত্মিকভাবে পরিশুদ্ধ ব্যক্তিরা সব সময় অন্যের জন্য দোয়া করেন। মানুষকে সংশোধন করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন জানান। তাদের কথা হলো, কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব আপনার ওপর রেগে থাকলে ক্ষুব্ধ লোকটির কাছে গিয়ে নম্রভাবে তাকে স্বান্তনা দিন, তার ক্ষোভ উপশমের ব্যবস্থা করুন, যাতে সে শান্ত হয়। এমনটি করলে ক্ষুব্ধ ব্যক্তিটির ক্ষোভ কমবে, তার কোনো ক্ষতি করার পরিকল্পনা থাকলে তা থেকে সরে আসবে।

রাগ নিয়ে ইসলামের এমন অবস্থানের পরও কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষোভকে সঠিক বলে রায় দিয়েছে। সমাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জুলুম ও বৈষম্য দূর করা এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অপরাধী ও জুলুমবাজদের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে রাগ বৈধ। জাতীয়, ধর্মীয় ও মানবিক আদর্শ ও মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে রাগকে কাজে লাগাতে হবে। তবে অন্যায় দমন করতে যেয়ে অন্যায়কে যাতে প্রশ্রয় না দেওয়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বস্তুত রাগ মানুষের জীবনকে সহজেই বিষাক্ত করে তুলতে পারে। রাগের মাথায় এমন সব কাজ ঘটে যাতে পারে- যা ব্যক্তি, সমাজ তথা গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। তাই রাগ হলে আলেমরা ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম’ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যখন তোমাদের কারও রাগ আসে, তখন সে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে। তাতে যদি রাগ দমে না যায়, তাহলে সে যেন শুয়ে পড়ে।’ –তিরমিজি

আবু দাউদ শরীফের একটি হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাগ আসে শয়তানের কাছ থেকে। শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুন নেভাতে লাগে পানি। তাই যখন তোমরা রেগে যাবে, তখন অজু করে নেবে।’
আর মুসলিম শরীফের এক হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রাগের সময় নিজেকে সামলে নিতে পারে, সেই প্রকৃত বাহাদুর। আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাগ দেখানোর সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আল্লাহতায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করবেন।

35


দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশ-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। এবার এই প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি মর্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে গুগল ও ফিডেলটি। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে স্পেস এক্সের ১০ শতাংশের মালিকানা পেয়ে গেল গুগল ও ফিডেলটি।

এত বড় বিনিয়োগ পাওয়ার পর কী করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা জানায়নি স্পেস এক্স। তবে প্রযুক্তি-বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক আগামী ১২ বছরের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন করতে চান। সেখানে একটি শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্পেস এক্স কাজ করছে। এ ছাড়া স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেও কাজ করছে এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি।
গুগল হঠাৎ কেন মহাকাশ প্রকল্পে এত বিনিয়োগ করছে? প্রযুক্তি-বিশ্লেষকদের মতে, স্পেস এক্সে বিনিয়োগ ছাড়াও প্রজেক্ট লুন নামে বেলুনের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার আলাদা একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্ণধার ল্যারি পেজ ও সের্গেই বিন, এ দুজনেরই মহাকাশ প্রকল্প নিয়ে উৎসাহ বেশি। এ প্রকল্পে গুগলের লাভের পরিমাণও বেশি হবে। কারণ, মানুষ যত বেশি অনলাইনমুখী হবে, ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন ও ডিজিটাল অ্যাড নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে গুগলের মুনাফা করার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।
এক বিবৃতিতে গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘মহাকাশভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যেমন ইমেজিং স্যাটেলাইটের মতো প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ আরও সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের হাতের নাগালে আসবে। এ কারণে স্পেস এক্সে বিনিয়োগ করতে পেরে গুগল রোমাঞ্চিত। স্পেস এক্স মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে।’
স্পেস এক্সের সঙ্গে চুক্তিতে গুগলের ডোনাল্ড হ্যারিসন স্পেস এক্সের পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।
বর্তমানে স্পেস এক্সের মহাকাশযান ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রসদ সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্পেস এক্স ছাড়াও সম্প্রতি মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর আরেকটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ওয়ানওয়েব নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্রুপ এবং মার্কিন চিপ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান কোয়ালকম।



মহাকাশ থেকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার প্রকল্প এটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সারা বিশ্বে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা দিতে ৬৪৮টি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ভার্জিন ও কোয়ালকম। বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষ এখনো ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে। বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে সাশ্রয়ী খরচে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে এই প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে।
মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর জন্য মহাকাশযান নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ভার্জিন বিশেষ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সেবা লাঞ্চারওয়ান তৈরি করছে। এ ছাড়া মহাকাশে পর্যটক পাঠানোর জন্য স্পেসস্পেস টু নামে একটি যান তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ বসাতে একসঙ্গে কাজ করছে স্পেস এক্স, গুগল ও ফিডেলটিওয়ার্ল্ডভু স্যাটেলাইট নামের প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ওয়ানওয়েব নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়ে সম্ভাব্য নির্মাতা, সরবরাহকারীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়ানওয়েবের প্রধান নির্বাহী গ্রেগ ওয়েলার।
মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে ১৫০ কোটি থেকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হবে। বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবা দেওয়াই এর কাজ হবে।
ওয়ানওয়েবের তৈরি এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলোর একেকটির ওজন হবে ১৩৬ কেজি, যা পৃথিবী থেকে ৭৫০ মাইল দূরে অবস্থান করবে।
ওয়ানওয়েব কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওয়ানওয়েব সিস্টেম বিশ্বজুড়ে মোবাইল অপারেটরদের জন্য নেটওয়ার্ক সেবা দেবে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছেও মোবাইল সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, ‘যেসব এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া অসম্ভব বলে মনে করা হতো, সেই ৩০০ কোটি মানুষের কাছেও পৌঁছে যাবে ইন্টারনেট।

36
আপনি যদি একজন প্রোগ্রামার হয়ে থাকেন তাহলে এখনি ভালো সময়। শ্রম পরিসংখ্যান মার্কিন ব্যুরো অনুযায়ী, আগামী সাত বছরে চাকরীর একটি অংশে এই প্রকল্প ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনি যদি একজন হটশট কোডার হয়ে থাকেন তাহলে এক ঘন্টায় আপনি ৩০০ ডলারেরও বেশী আয় করতে পারেন।

তাই আসুন দেখে নেই গুরুত্বপুর্ন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেগুলো জানা খুবই জরুরী একজন প্রোগ্রামারের-

জাভা(Java) ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ল্যাংগুয়েজ জাভা। জাভা এবং এর ফ্রেমওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে ওয়েব ডেভেলপাররা ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন আকার পরিবর্তনযোগ্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ করতে পারেন। এছাড়াও জাভা স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের জন্য নেটিভ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস উন্নয়নে ব্যবহৃত প্রধান ভাষা।

জাভাস্ক্রিপ্ট(JavaScript) আধুনিক সকল ওয়েবসাইটে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডজনেরও বেশী জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করা যায়।

সি শার্প(C#) মাইক্রোসফট প্ল্যাটফর্মে প্রাইমারী ল্যাঙ্গুয়েজ হল সি স্ল্যাশ। আপনি যেখানে অ্যাজিউর এবং ডট নেট ব্যবহার করে মডার্ন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছেন অথবা উইন্ডোজ ডিভাইস ও বিজনেসের জন্য শক্তিশালী ডেস্কটপ অ্যাপ বানাচ্ছেন সেখানে সি শার্প মাইক্রোসফট প্ল্যাটফর্মে খুব দ্রুত করা যায়।

পিএইচপি(PHP) মাই এসকিউএলের মতো ডেটাবেজের সাথে পিএইচপি খুবই দরকারি একটি টুল মডার্ন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে। আজকের তথ্য চালিত ওয়েবসাইটের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা পিএইচপি এবং এটির ভিত্তি প্রযুক্তি ওয়ার্ডপ্রেসের মতো যা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য শক্তিশালী কন্টেন্ট।

সি প্লাস প্লাস(C++) পাওয়ারফুল ডেস্কটপ সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার গেম, ডেস্কটপে মেমোরি ইন্টেন্সিভ অ্যাপ, কনসোল অথবা মোবাইল ডিভাইসে কাজ করতে চাইলে সি প্লাস প্লাস আপনার সঠিক পছন্দ।

পাইথন(Python) পাইথন প্রায় সবই করতে পারে। ওয়েব অ্যাপ, ইউজার ইন্টারফেস, ডেটা অ্যানালাইসিস, স্ট্যাটিস্টিক সকল কিছুই করা যায় এটি দিয়ে। এছাড়াও সম্প্রতি পাইথন, তথ্য বিজ্ঞানীরা কোন শিল্পের জন্য বিশাল তথ্য সেট খুঁজে বের করার জন্য কী টুল হিসেবে ব্যবহার করছে।

সি(C) সি ল্যাংগুয়েজটি এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয়। সি দিয়ে ইনবিডেড সিস্টেমের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করা হয়।

এসকিউএল(SQL) দ্রুতগতিতে সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে এসকিউএলের জুড়ি নেই। এসকিউএল ব্যবহার করে সহজেই প্রশ্ন করতে এবং বড়, জটিল উপাত্ত থেকে অর্থপূর্ণ তথ্য নিষ্কাশন করতে পারবেন।

রুবি(Ruby) রুবি ল্যাংগুয়েজ সহজবোধ্য এবং অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী প্লাস সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ওয়েব অ্যাপসের জন্য কার্যকরী।

অবজেক্টিভ সি(Objective-C) আইওএসের জন্য যদি আপনি অ্যাপ বানাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই অবজেক্টিভ সি জানতে হবে। টেক জায়ান্ট অ্যাপলের এখনও মূল ল্যাঙ্গুয়েজ হল এই অবজেক্টিভ সি।

ডটনেট(.NET) যদিও ডটনেট নিজেই একটি ল্যাংগুয়েজ না। ক্লাউড, সার্ভিস এবং অ্যাপ ডেভলোপমেন্টে মাইক্রোসফট প্ল্যাটফর্মে মূল হল ডটনেট। মাইক্রোসফটের ওপেন সোর্সের জন্য ডটনেট এখন গুগল ও অ্যাপল প্ল্যাটফর্মে আসছে।


- See more at: http://tech.priyo.com/news/2015/1/20/27200.html#sthash.pYKSHXC8.dpuf

37
Latest Technology / Quantum dot display: New era in Television
« on: January 23, 2015, 10:17:51 AM »


টেলিভিশন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গুলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে টেলিভিশনে যোগ করে চলেছেন একের পর এক নিত্য নতুন সব ফিচার সমূহ। এই চেষ্টার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করা, যেন তারা সেই নতুন সকল ফিচার গুলোতে মুগ্ধ হয়ে একটি টিভি কেনেন। এর ফলেই ত্রিমাত্রিক টেলিভিশন (3D), 4K টেলিভিশন এবং কার্ভড (বাঁকানো) টেলিভিশনের পর আসতে চলেছে আরও এক নতুন প্রযুক্তি, নামঃ কোয়ান্টাম ডট!

যদিও এই ‘কোয়ান্টাম ডট’ টেকনোলজিকে সম্পুর্ন ভাবে নতুন বলা যায়না তবুও নির্মাতারা আশা করছেন যে এই টেলিভিশন ব্যবহারকারীদের মন খুব সহজেই জয় করে নিতে সক্ষম হবে এবং খুব শীঘ্রই হয়তো আপনি টেলিভিশনে নতুন এই প্রযুক্তির টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন।

LED , Plasma এবং OLED টেলিভিশন সম্পর্কে কিছু কথা

কোয়ান্টাম ডট নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে এলইডি, প্লাজমা এবং ওএলইডি প্রযুক্তি গুলো নিয়ে অল্প কিছু কথা বলা যাক। তাহলে হয়তো, সেগুলোর সাথে কোয়ান্টাম ডটে’র পার্থক্য আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
কোয়ান্টাম ডট নামের এই প্রযুক্তি মূলত এলইডি টেলিভিশনের একটি ত্রুটিপুর্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করে। অনেক ব্যবহারকারীরা আছেন যারা প্লাজমা এবং ওএলইডি ডিসপ্লে (অর্গানিক এলইডি) ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। এবং এই জনপ্রিয়তার পেছনে মূলত কাজ করে এসকল ডিসপ্লে ইউনিটের পিওর ব্লাক কালার এবং অন্যান্য রিচ কালার।

বাজারে যে সকল এলইডি টেলিভিশন সমূহ পাওয়া যায় সেগুলো মূলত এলসিডি টেলিভিশনই যাতে শুধুমাত্র এলইডি ব্যাকলাইটিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক বছর আগেও এলসিডি টেলিভিশনে ফ্লুরোসেন্ট টিউব (CCFL) ব্যবহার করা হত যা সাদা রঙের আলো উৎপন্ন করতো। এবং সেই সাদা রঙই টেলিভিশনের ডিসপ্লের পিক্সেলের মধ্যে দিয়ে যাবার সময় প্রয়োজন মত যে কোন রঙে পরিবর্তিত হত। অন্যদিকে, এলইডি টেলিভিশনে ব্যবহার করা হয় এলইডি ব্যাক লাইটিং প্রযুক্তি যা তুলনামূলক ভাবে পরিমাণে কম শক্তি অপচয় করে এবং কম তাপমাত্রা উৎপন্ন করে। শুধু তাই নয়, এলইডি ব্যাক লাইটিং ব্যবহারের ফলে টেলিভিশনে জায়গাও কম লাগে এবং একারণেই বর্তমানের আধুনিক টেলিভিশন সমূহ এতটা বেশি স্লিম এবং পাওয়ার এফিসিয়েন্ট হয়ে থাকে।


এলসিডি’র তুলনায় এলইডি’র সুবিধা বেশি হলেও এটিও কিন্তু ত্রুটিমুক্ত নয়। একটু আগেও বলেছি যে এলইডি টেলিভিশনে ব্যবহার করা হয় এলইডি ব্যাক লাইটিং যা ব্যাক লাইটিং-এর জন্য নীল আলো উৎপন্ন করে। এবং এরপর সেই নীল আলোই টেলিভিশনের ডিসপ্লে ফিল্টারের মধ্যে দিয়ে যাবার সময় প্রয়োজন মাফিক রঙে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। কিন্তু, এলসিডি প্রযুক্তির সাদা রঙের পরিবর্তে এলইডি’র এই নীল রঙ কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি করে। সাদা রঙের পরিবর্তে নীল এই রঙের জন্য ডিসপ্লে ইউনিটের কালো অংশ গুলোতে যতটুকু কালো রঙের প্রয়োজন তার থেকে প্রদর্শিত কালো রঙ গুলো কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে থাকে এবং অন্যান্য রঙ গুলোও কিছুটা কম ভাইব্র্যান্ট হয়ে থাকে। এবং এই সমস্যার সমাধান করতেই পরবর্তি সময়ে নির্মাতারা ঠিক করেন যে কালো অংশ গুলোতে ব্যাক লাইটিং এর পরিমাণ কিছুটা ডিম করে দেয়া হবে। আপনি এলইডি টিভির বিজ্ঞাপনের স্পেসিফিকেশন লক্ষ্য করলেই ‘Local dimming’ ফিচারটি দেখতে পারবেন। এই ফিচারটির ফলে পিক্সেল গুলো নির্ভুল ভাবে ঠিক ততটাই কালো রঙ প্রদর্শন করতে পারবে যতটুকু দরকার।

সমস্যার নতুন সমাধানঃ কোয়ান্টাম ডট

‘কোয়ান্টাম ডট’স হচ্ছে মূলত লাইট-এমিটিং ন্যানো ক্রিস্টাল যা এক প্রকারের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘকে শোষণ (absorb) করে তা কনভার্ট করতে পারে। এটি মূলত ১৯৮২ সালের দিকে বেল ল্যাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
কোয়ান্টাম ডট’স হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্রিস্টাল যা এলইডি টেলিভিশনের ব্যাকলাইট স্তরের উপরে যোগ করা যায় অথবা আলাদা একটি স্বতন্ত্র ডিসপ্লে হিসেবেও তৈরি করা যায়। আর সেই নীলাভ আলো যা এলইডি টেলিভিশনের ব্যাক লাইটিং প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপন্ন হয় তা পিক্সেলের মধ্যে দিয়ে বা ফিল্টারের মধ্যে দিয়ে যাবার পর ক্রিস্টালে যখন পৌছবে তখন সেই ক্রিস্টাল গুলো এই নীল আলোকে ভেঙ্গে আরও শক্তিশালী সাদা রঙের আলো উৎপন্ন করবে যার মধ্যে স্পেকট্রামের সকল রঙ বিদ্যমান থাকবে। এবং এই আলোই শেষ স্তরে এসে চমৎকার পিকচার কোয়ালিটি তৈরি করতে সক্ষম হবে যা হবে আগের চাইতে অনেক বেশি ভাইব্র্যান্ট। আপনি কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি সহ তৈরি একটি এলইডি টেলিভিশনের পিকচার কোয়ালিটি একটি প্লাজমা বা ওএলইডি টেলিভিশনের পিকচার কোয়ালিটির সাথে তুলনা করে দেখতে পারেন। অনেকটা একই।



Plasma অথবা OLED: কেন নয়?

হোম থিয়েটার প্রেমিদের কাছে প্লাজমা টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা হয়তো সবচাইতে বেশি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আর প্লাজমা টেলিভিশন তৈরি করছেন না। এর পেছনে আসলে বেশ কিছু কারণ আছে, তবে মূল কারণ গুলো হচ্ছেঃ প্লাজমা টেলিভিশন আকৃতিতে কিছুটা বেঢপ, অনেক ভারী এবং অবশ্যই এটি অনেক বেশি ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করে থাকে।


অনেক নির্মানকারি প্রতিষ্ঠান OLED ডিসপ্লে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন। কেননা, এই প্রযুক্তিতে কোন ব্যাক লাইটিং-এর প্রয়োজন ছিলোনা। ব্যাক লাইটিং-এর পরিবর্তে এই প্রযুক্তিতে প্রতিটি পিক্সেল তার প্রয়োজন অনুযায়ী রঙের ব্যাক লাইট তৈরি করতে সক্ষম। যেমন ধরুন, একটি পিক্সেলকে কালো রঙ প্রদর্শন করতে হবে! এই প্রযুক্তিতে সেই পিক্সেলটি ঠিক কালো রঙই প্রদর্শন করতে সক্ষম হবে। এবং এই প্রযুক্তির কারণেই আপনি আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারির শক্তি কিছুটা হলেও বাঁচাতে পারেন কালো ওয়ালপেপার ব্যবহারের মাধ্যেমে, তবে এর জন্য আপনার স্মার্টফোনটির ডিসপ্লেটি ওএলইডি প্রযুক্তির হতে হবে। যাই হোক, এরকম সব চমৎকার ফিচারে ওএলইডি খুব ভালো কাজ করলেও কিছু ড্র-ব্যাক ছিল! যেমন ধরুন, এর সবচেয়ে বড় মাইনাস পয়েন্ট এর মূল্য! এখন পর্যন্ত এই প্রযুক্তির টেলিভিশন গুলোর মূল্য অনেক বেশি এবং এগুলো নির্মান করাও কষ্টসাধ্য। এজন্যেই, নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান গুলো এলইডি টেলিভিশন নিয়েই বেশি কাজ করে যাচ্ছেন এবং কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তিকেও এলইডি প্রযুক্তির সাথে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। কেননা, এলইডি টিভিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র একটি বাড়তি লেয়ারের প্রয়োজন হচ্ছে তাদের।



আপনার অপেক্ষা করা উচিৎ!

আমি যতটুকু জানি এবং যা লিখেছি, যা পড়ে আপনারা যতটুকু জানতে পারলেন – নিশ্চয়ই কিছুটা হলে আপনি এটা নিশ্চিত যে ‘এই কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি আমাদের টেলিভিশনের এক্সপেরিয়েন্সে নতুন পরিবর্তন আনতে চলেছে!’ তবে বাস্তবিক অর্থে, এই কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির টেলিভিশন গুলোও হতে যাচ্ছে বেশ ব্যায়বহুল। এবং এখন পর্যন্ত যেহেতু এটি বাজারে আসেইনি সেহেতু এখনই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবারও কিছু নেই। আমি মনে করি, কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির টিভি বাজারে কিছুটা সচল হতে হতে 4K টিভিগুলোর দাম আমাদের সাধ্যের মধ্যেইচলে আসবে। আর যদি তাই হয় তবে আমি বলবো, 4K টেলিভিশনই কি যথেষ্ট নয়? এর চাইতেও দামী কোন টিভি কি আদৌ দরকার আছে? তবে আপনি যদি অতিমাত্রায় সৌখিন হন তাহলে ভিন্ন কথা।

তবে আশার বিষয় হচ্ছে, যেহেতু প্রযুক্তির সাথে সাথে ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযুক্তিবিদরা পণ্যের মূল্য ব্যবহারকারীদের সাধ্যের মধ্যেই রাখতে চাচ্ছেন – সেক্ষেত্রে কোয়ান্টাম ডটের এই টিভি গুলো হয়তো কম দামেও বাজারে পাওয়া যেতে পারে, যদিও এমনটা হওয়া কিছুটা কঠিনই বলা চলে। তবুও, আশা করতে দোষ নেই। কি বলেন?



শেষ কথাঃ
সংক্ষেপে নতুন এই কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি আপনাদের বোঝাতে চেষ্টা করলাম। আশা করি কেন এই প্রযুক্তির আগমন এবং কীভাবেই বা কাজ করে – এগুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এখন শুধু অপেক্ষা করার পালা... কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি টেলিভিশন প্রযুক্তিতে কতটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম তা দেখার। চলুন, অপেক্ষাই করা যাক।

- See more at: http://tech.priyo.com/blog/2015/1/15/27189.html#sthash.YJky3IZj.dpuf

38
Internet Technology / Renowned Messaging App WhatsApp for PC Added to Web
« on: January 23, 2015, 10:08:57 AM »
The messaging app, WhatsApp that is acquired by the most popular social networking site, Facebook last year is now to provide a service of sending messages through a web browser. Facebook that purchased the well-used messaging app for $22 billion in stock-and-cash deal is set on fire.



WhatsApp for PC
The popular 500 million users messaging app, WhatsApp for PC is to come with a new service on web. You can messages through web browser now.

The well-known messaging app is on web store now. WhatsApp, which has about 500 million users is now providing a service for sending messages on web through a browser.

The app that is acquired by Facebook last year for $22 billion is on vogue today to start services from the web servers which is at everyone fingertip with a Smartphone.

The web service will be as the app on Phone and need an internet connection to access similar to app but now in addition with a browser too.

People who are working with this messaging app told that their web client is an extension for mobile. It seems that the Web browser mirrors conversations and messages from your mobile device. It clearly projects that one can message through phone.

It is said that this app is currently on work with Google work and iPhone users can’t access due to Apple platform limitations.

The purchase of WhatsApp to Facebook is on the stunning growth of messaging on Smartphone. But it also encouraged analyst questions on the price paid by Facebook. It took a sequence of future plans for the service sold.

See How to Use WhatsApp on PC With a Web Browser
http://indread.com/how-to-use-whatsapp-on-pc/

39
Latest Technology / Lego Braille Printer Crafted by a 13 Year Teen
« on: January 23, 2015, 10:05:58 AM »
আমাদের সবার মনে হয়তো এই প্রশ্ন উঁকি দেয়নি কখনও যে অন্ধ মানুষ কিভাবে পড়াশোনা করে থাকে? এই প্রশ্নটি ১৩ বছর বয়সী সুভম তার বাবা মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো। তাদের উত্তর ছিল, 'গুগলকে প্রশ্ন করো'। মাত্র ১৩ বছর বয়সী সুভম ব্যানার্জিকে জিজ্ঞাসা করলেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

সুভম গুগলে খোঁজ করে এবং গবেষণা করে দেখে যে, ব্রেইল প্রিন্টার যা ইম্বোসারস নামেও পরিচিত তার মূল্য ২০০০ ডলার। যা খুবই ব্যয়বহুল। আর উন্নয়নশীল দেশগুলতে আরও দুঃসাধ্য ব্যাপার। তখন তার মাথায় আসলো এটির দাম আসলে এত বেশী হওয়া উচিত নয়।

সিলিকন ভ্যালিতে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার জন্য ১৩ বছর বয়স খুব একটা তাড়াতাড়ি নয়। ক্যালিফোর্নিয়ার অষ্টম গ্রেডের ছাত্র সুভম ব্যানার্জি কম খরচে ব্রেইল প্রিন্ট মেশিন বিকাশের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছে। যেখানে দৃষ্টিশক্তিহীনদের জন্য স্পৃশ্য লেখার সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। টেক জায়ান্ট ইন্টেল কর্পোরেশন সম্প্রতি তার স্টার্ট আপ ব্রেইগো ল্যাবস এ বিনিয়োগ করেছে। তবে তার বাবার দেয়া ৩৫০০০০ ডলার দিয়ে শুরু করে সুভম। সুভম এর ধারণা উপর ভিত্তি করে ব্রেইগো ল্যাবের নকশা ও ব্রেইল প্রিন্টার নির্মাণে পেশাদার প্রকৌশলী এবং উপদেষ্টা ভাড়া করার জন্য এই টাকা ব্যবহার করা হয়।

সুভম, লেগো রোবোটিক কিট ব্যবহার করে ব্রেইল প্রিন্টার আবিষ্কার করে তার স্কুলের বিজ্ঞান মেলার প্রোজেক্ট হিসাবে। তিনি বহু রাত পার করে একটি লেগো মাইন্ডস্ট্রোম ইভি৩ দিয়ে এই প্রিন্টার সজ্জিত করে। সুভম ডেস্কটপ ব্রেইল প্রিন্টার উন্নত করতে চায় যেখানে ডিভাইসটি হবে হালকা এবং দাম পরবে মাত্র ৩৫০ ডলার। যার বর্তমান মডেলএর ওজন ২০ পাউন্ড। ব্রেইলি এবং লেগোর সমন্বয়ে এর নাম দেয়া হয়েছে ব্রেইগো।

মেশিনটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে, কালির পরিবর্তে রেইজড ডট ব্যবহার করে কাগজে ব্রেইল পড়ার উপকরণ প্রিন্ট করা যাবে।

সুভমের বাবা নিলয় ব্যানার্জি যিনি বর্তমানে ইন্টেলে কর্মরত আছে তিনি বলেন, অন্ধদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি এই গ্রীষ্মে পরীক্ষামূলক এবং এই বছর পরে বাজারে একটি ব্রেইগো প্রিন্টার নিয়ে আসার লক্ষ্যে প্রোটোটাইপ প্রস্তুত করছে।


40
Life Science / Printing food for consumption!
« on: January 23, 2015, 09:56:13 AM »
CONSIDER yourself as a publisher, and you have to be at the press for twenty four hours to ensure accurate and timely publication of a book!  Do you have to go hungry? Or you wished to savour the most delicious meal of a restaurant at the other end of the world but you do not have the ability to go there. Would you go drooling? Well, a solution to such problem is on the way!
A three-dimensional or 3-D printer in the press next to your 2-D printer will make pizza, pancake or ice cream at the touch of a button. The same 3-D printer should also make the most delicious meal if its recipe is fed into the machine's memory, say from Seattle in Washington state! 
A printer will make food? Yes, not only food, a 3-D printer theoretically will make anything you want -- toy, fabric, or ornament, or even your heart, not sweetheart though!  Soon you should be able to make your eye or kidney if one becomes defective. Of course you will need a surgeon because although you can eat the food by yourself, you should not do a replacement or transplant surgery on yourself. These later biological devices can be made in what is called 3-D bioprinters.
Our normal printers can write only in two dimensions lengthwise and widthwise. A 3-D printer adds a height or thickness above length and width. You must have seen the simplest 3-D printing in embossed wedding cards. The 3-D printing being discussed here uses a virtual model of almost anything in the memory of the printer. The printer is hooked with reservoirs of plastic, colours, metal, ceramic, cell, cellular or food components, or anything that is contained in the virtual model.
In bioprinting, aggregates of tens of thousands of live cells are “printed” or layered on top of another in a specific pattern, and allowed to fuse together naturally.
Founder of Modern Medow, a company pioneering bioprinters said that our current meat consumption requiring 60 million farm animals will nearly double by 2050, pushing us to the limits of the earth's land, water, carbon and other resources. His proposed solution is to create a 3-D bioprinting machine that would use cultured cells as “ink”. 
Once a cell mass has been excised from an animal, it is possible to keep on making the same cell in the laboratory for months! The “ink” will be digitised and layered one on top of the other for tissue growth. The tissue then can be given the form of a stake, or further processed as minced or sausage. Flavour, colour or specific taste materials can be added during or after the 3-D printing process to cater all types of consumers. Making meat this way will avoid consumption of live animals, and therefore, of earth's resources.


An article published in the Popular science magazine on November 1 mentioned of an EU study which predicted that If produced in large scale, lab grown meat would use 99.7%, and 94% less land and water, respectively, than farm meat, and would contribute 98.8% less green house gasses.
The main step in the Modern Medow's concept has already been realised. In a major breakthrough in February, researchers were able to fabricate a 3-D bioprinting machine using human embryonic stem cells as “ink” to consistently produce high quality spheroidal aggregates. This success has the great potential of making unlimited supply specialised tissues and human organs should it become necessary. 
The second step of the Modern Medow's concept is already in the market. You can have a personalised chocolate of flavour, taste, colour, shape and design, and even have your name printed on it. A recipe and demonstration for making pancake or cookie is already available free in the net!

What is remaining is the actual meat product with a mouth watering taste.
In another development, the US space agency NASA has awarded a grant to a private company to device a 3-D printing machine to produce fresh meals for astronauts while in space. This technology is based on layering one component on top of another, for example, dough, then oil, then minced meat or other nutritionally rich components. Therefore making pizza or sandwich or hot dog will be the first step. Developer of the technology envisions a much wider user in feeding the hungry millions in famine and disaster-prone areas.
So let us have patience for a meal from a 3-D printer, but for now you can buy a printer at less than $500!

Courtesy : S. Ashraf AhmedThe writer is working as a bio medical scientist in the USA.

41
IT Forum / Bangladesh gets Google Street View
« on: January 23, 2015, 09:52:03 AM »
January 22, 2015 থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের স্ট্রিট ভিউ। এর মাধ্যমে (www.google.com/streetview) এই ঠিকানায় গিয়ে স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ, ডেস্টটপ থেকে অনায়াসেই খুঁজে পাওয়া যাবে কাঙ্খিত জায়গা। এই দুটি এলাকার সড়কের ছবিও দেখতে পাওয়া যাবে স্ট্রিট ভিউয়ারের সাহায্যে। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের আরো ৫০টি দেশে গুগল স্ট্রিট ভিউ চালু রয়েছে।



গুগল এই সেবাটি প্রথম চালু করে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০০৭ সালের ২৫ মে এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে সেদেশের বাসিন্দারা পথ-ঘাট খুঁজতে শুরু করে।

এ বিষয়ে ম্যাপিং বাংলাদেশে (www.mappingbd.org) প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক হাসান শাহেদ বলেন, ‘গুগল ম্যাপে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে আমরা অনেকদিন ধরেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। এখন গুগল স্ট্রিট ভিউ চালুর ফলে আশা করছি আমাদের কাজ আরও উন্নত হবে এবং চাইলেই যে কেউ আরও সহজে সেবা পাবেন।’

গুগল স্ট্রিট ভিউ হল গুগলের একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। যেটির মাধ্যমে গুগল ম্যাপস এবং গুগল আর্থে প্যানারোমিক ভিউতে ছবি দেখার পাশাপাশি বিশ্বের যে কোনো নির্দিষ্ট রাস্তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র দেখা যায়। মূলত গুগলের একটি গাড়ি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাস্তায় গিয়ে প্যানোরোমা সুবিধা ব্যবহার করে ওই স্থানের ছবি তোলে। ওই গাড়িটিতে রয়েছে নয়টি ক্যামেরা, যেগুলোর সাহায্যে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউতে ছবি তোলা যায়। সঙ্গে থাকে বিশেষ লেজার ও জিপিএস সুবিধা, যেটি ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে যেখান থেকে ছবি তোলা হলো সেখান থেকে ছবি তোলার স্থানটির দূরত্ব কতটুকু সেটি নির্ধারণ করে দেয়। নির্দিষ্ট একটি এলাকার ছবি তোলা শেষে ছবি ওই স্থানের তথ্য সংগ্রহ, একাধিক মান নির্বাচন শেষে যুক্ত হয় গুগল ম্যাপসে। গুগলের স্ট্রিট ভিউ ব্যবহারের সুবিধার্থে স্মার্টফোনের জন্য বিশেষ অ্যাপসও রয়েছে। যার মাধ্যমে এ সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা।




গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তরা থেকে যাত্রা শুরু করে গুগলের স্ট্রিট ভিউ গাড়ি। গুগল ম্যাপে বাংলাদেশের পথঘাট, আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান ও বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের অবস্থান ও ছবি তুলে ধরা হয় এ সেবার মাধ্যমে।


যে কাজে লাগবে স্ট্রিট ভিউ
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, গুগল স্ট্রিট ভিউ’র বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বাংলাদেশের মানুষের নানা প্রয়োজন মেটাবে। এতে বাংলাদেশে পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে। স্ট্রিট ভিউ’র ছবিগুলো বাংলাদেশের ব্যস্ত রাস্তাকে নতুন আঙ্গিকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ ও পর্যটককেও আকৃষ্ট করবে। এ ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের গুগল ম্যাপসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখায় স্ট্রিট ভিউ।

42
IT Forum / Google bus in Bangladesh
« on: November 13, 2014, 06:37:13 AM »
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন গুগল বুধবার ঢাকার রাস্তায় ‘গুগল বাস বাংলাদেশ প্রকল্প’ চালু করেছে। মূলত শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতেই বিশ্বের দেশে দেশে এ সেবার সম্প্রসারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতেও গুগল বাস সেবা চালু হয় ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে। তার ঠিক পাঁচ বছর পর গতকাল বুধবার বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করলো গুগল বাস (ঢাকা মেট্রো-স ১১-০২৪১)। গুগল বাসে কী আছে তা এক নজরে জেনে নেওয়া যাক।

গুগল বাস দেখতে অনেকটা ৫২ সিটের বাসের মতো, বেশ দীর্ঘ। অনেকটা ভলভো বাসের মতোও। বিশাল এই বাসটার সব আকর্ষণ ভেতরে। তবে বাসের বাইরের অংশটা সাদা রঙের। সেই সাদার মাঝে ফুটে রয়েছে গুগল বাস লোগোসহ ছবি। পাশে লেখা গুগল বাস বাংলাদেশ পাওয়ারড বাই গুগল। বাসের সামনের স্ক্রিনের ওপর লেখা গুগল বাস বাংলাদেশ। বাসের ভেতরে রয়েছে মাত্র তিনটি আসন। যেহেতু এটি যাত্রী পরিবহন করার কোনও বাস নয়, তাই সিট কয়টি সেটা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। মাথা ঘামানোর বিষয় রয়েছে অন্য জায়গায়।

বাসটির ভেতরে রয়েছে আলোর খেলা। লেজার দিয়ে আলোকে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কমলা রঙের আলো (কারো কাছে হলুদও মনে হতে পারে) বেশ চোখ কাড়ে। বাসের ভেতরের দেওয়ালে বা গায়ে রয়েছে চার ধরনের রং। এক পাশে রয়েছে হলুদ এবং সবুজ এবং অন্য পাশে রয়েছে গাঢ় লাল ও নীল রং। বাসের ভেতরটা ঝাঁ চকচকে। স্টেইলেস স্টিলে মোড়ানো। মেঝেটাও তাই। এ কারণে আলোর খেলা জমে ওঠে। দেওয়ালে ঝোলানো রয়েছে ৮টি মনিটর। প্রথম দেখায় ওগুলোকে টেলিভিশন ভুল হতে পারে যে কারো। আসলে ওগুলো টাচ স্ক্রিন মনিটর। এসবে রয়েছে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ। শিক্ষার্থীরা বা যে কেউ মনিটরের স্পর্শকাতর পর্দা ছুঁয়ে ছুঁয়ে ঢুকে যেতে পারেন ভার্চুয়াল দুনিয়ায়।

বাসটিতে রয়েছে থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগসহ ও উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম। বাসের ভেতরেই অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এমন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস বা মোবাইল ফোনে চর্চা করারও সুযোগ পাবে। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে গুগল বাসে যুক্ত হবে এমন স্মার্টফোন এবং ট্যাব দিয়ে গুগল গ্লাস, গুগল ড্রাইভ, গুগল কমিউনিটিস এবং গুগল হ্যাংআউট বিষয়েও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গেল।
গুগল বাসটি আগামী এক বছরে বাংলাদেশের ৩৫টি স্থানে ৫০০টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করে শিক্ষার্থীরা যাতে নিজ নিজ প্রচেষ্টায় ব্যবসায় ও কোনো প্রকল্প তৈরি ও পরিচালনার কলাকৌশল জানতে পারেন সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবে গুগল। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি শিগগিরই গুগল বাস চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল—এই ছয়টি বিভাগীয় শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরগুলোর নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছাবে।

শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের কলাকৌশল ও উপযোগিতা শেখাতে গুগল বাসের কর্মশালায় একজন প্রশিক্ষক থাকবেন। সেই সঙ্গে তাঁদের গুগলের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা সম্পর্কে ধারণা দেবেন তিনি। গুগলের এসব পণ্য-সেবার মধ্যে রয়েছে—গুগল সার্চ, ক্রোম, ডক্স, ম্যাপস, ইউটিউব, গুগল প্লাস ইত্যাদি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা যা শিখেছেন তা নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এমন ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস বা মোবাইল ফোনে প্র্যাকটিস বা চর্চা করার সুযোগ পাবেন।
গুগলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুগল বাসের মাধ্যমে ইন্টারনেটবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। শিক্ষার্থীদের গুগলের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ব্যবহারের কলাকৌশল জানাবে গুগল। গুগলের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এমার্জিং মার্কেটসের কান্ট্রি ম্যানেজার জেমস ম্যাকক্লুর জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ তরুণেরাই দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারেন। আমরা মনে করি, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে তাঁরাই ইন্টারনেট কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন।’


Source: http://www.priyo.com/2014/11/13/118280.html ,


43
Hadith / Amal For The Month Of Zil Hajj
« on: September 22, 2014, 03:07:10 PM »
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের জন্য ইসলাম ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। দরূদ ও শান্তির অবিরাম ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমণি মুহাম্মদ (সা) এবং তাঁর পবিত্র বংশধর ও সম্মানিত সাথীদের উপর।
রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “আমার উম্মতের বয়স ষাট থেকে সত্তর বছরের মাঝখানে”। (তিরমিজী) অন্যান্য নবীর উম্মতদের তুলনায় উম্মতে মুহাম্মাদীর বয়স যদিও কম কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে এমন কিছু মূল্যবান সময় দান করেছেন যাতে অল্প সময়ে অল্প আমল করেও আল্লাহর কাছে অতীতের উম্মতগুলির চেয়ে অধিক প্রিয় বলে গণ্য হতে পারবে। আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদ মুহাম্মাদীকে যেসমস্ত ফজীলতপূর্ণ সময় দান করেছেন, তার মধ্যে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন অন্যতম।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, “জিল হজ্জ মাসের প্রথম দশকের চাইতে উত্তম এমন কোন দিন নেই, যে দিনগুলোর সৎ আমল আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয়”। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। অবশ্য সেই মুজাহিদ ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে স্বীয় জান-মাল নিয়ে জিহাদে বেড়িয়ে পড়ে। অতঃপর উহার কিছুই নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেনা। (বুখারী)
তাই প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির উচিৎ এই দশটি দিনের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার সৎ আমল বেশী করে সম্পাদন করার মাধ্যমে এই মহান ফজীলত অর্জন করে আল্লাহর নৈকট্য লাভে সচেষ্ট হওয়া। আমরা এই প্রবন্ধে জিল হজ্জ মাসের প্রথম দশকের কতিপয় ফজীলতপূর্ণ আমলের বর্ণনা করব ইনশাআল্লাহ।
১) হজ্জ ও উমরা পালন করা: الحج والعمرة
হজ্জ ইসলামের পঞ্চম রোকন। সামর্থবান ব্যক্তির উপর ইহা জীবনে একবার আদায় করা ফরজ। হজ্জের ফজিলতে অনেক সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি হজ্জ করল, এবং হজ্জ করা অবস্থায় কোন পাপের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে এমন নিষ্পাপ অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করল, যেমন নিষ্পাপ অবস্থায় মায়ের পেট থেকে জন্ম গ্রহণ করেছিল”। (বুখারী) আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “এক উমরা থেকে অপর উমরা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কৃত অপরাধ সমূহ উমরার মাধ্যমে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর মকবুল হজ্জের পুরস্কার আল্লাহর কাছে জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু নয়। (বুখারী)
২) রোযা পালন করা: الصيام  ইমাম নববী বলেন, “এই দিন গুলোতে রোযা পালন করা মুস্তাহাব। বিশেষ করে যে ব্যক্তি হজ্জে যায়নি, তার জন্য আরাফার দিন অর্থাৎ জিল হজ্জ মাসের ৯ তারিখে রোযা রাখা মুস্তাহাব”। আবু কাতাদাহ (রা:) হতে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আরাফার দিবসের রোযা বিগত এবং আগত এক বছরের গুনাহ মোচন করে দেয়। (সহীহ মুসলিম) তবে যিনি হজ্জের করতে গিয়ে আরাফার মাঠে অবস্থান করছেন, তার জন্য রোজা রাখা বৈধ নয়।
৩) বেশী বেশী তাকবীর বলাঃ الإكثار من التكبير
জিল হজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকেই উঁচু আওয়াজে বেশী বেশী তাকবীর পাঠ করা সুন্নত। ফরজ নামাযের পর, মসজিদে, বাজারে এবং রাস্তায় চলার সময় এ তাকবীর বেশী করে পাঠ করা। মহিলাগণ নিচু আওয়াজে তাকবীর পাঠ করবে। তবে দলবদ্ধভাবে সমস্বরে তাকবীর পাঠ করা সুন্নতের পরিপন্থী। কারণ সাহবাদের থেকে দলবদ্ধভাবে তাকবীর পাঠ করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না। অথচ তারা ছিলেন সৎকাজে আমাদের চেয়ে অনেক অগ্রগামী। এই তাকবীর দু‘ ধরণের।
(ক) অনির্দিষ্ট তাকবীর: التكبير المطلق
সময় ও স্থান নির্ধারণ না করে বাড়ী, মসজিদ, রাস্তা ও বাজারে উঁচু আওয়াজে তাকবীর পাঠ করা। জিল হজ্জের প্রথম দিন থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত এ তাকবীর চলতে থাকবে। ইমাম বুখারী (রঃ) বলেন, ইবনে উমর ও আবু হুরায়রা (রা:) এই দিন গুলোতে তাকবীর বলতে বলতে বাজারে যেতেন। তাদেরকে তাকবীর বলতে শুনে লোকেরাও তাকবীর পাঠ করত।
(খ) নির্দিষ্ট তাকবীর:  অর্থাৎ নির্দিষ্টভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর তাকবীর পাঠ করা। এই তাকবীর জিল হজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাযের পর থেকে শুরু করে আইয়ামে তাশরীক তথা জিল হজ্জ মাসের ১৩তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকবে।
তাকবীরের শব্দ:
الحمد ألله أكبر , ألله أكبر, لاإله إلا الله, والله أكبر , الله أكبر ولله
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
৪) ঈদুল আযহার বিধান সমূহ: أحكام عيد الأضحى
ক) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা: التتطهر
ঈদের দিন সকাল বেলা গোসল করা, সাধ্যানুযায়ী নতুন কাপড় পরিধান করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। তবে মহিলাগণ সুগন্ধি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে।
খ) ঈদের নামায আদায় করা: صلاة العيد
মুসলমানদের সাথে ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামায আদায় করা এবং ঈদের মাঠে ইমাম সাহেবের খুৎবা শ্রবণ করা। ইবনে উমর (রা:) হতে বর্ণিত, “নবী (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই ঈদের দিন তাকবীর পাঠ করতে করতে ঈদের মাঠের দিকে বের হতেন।” বৃষ্টি বা অন্য কোন কারণে মাঠে যেতে অসম্ভব হলে মসজিদেও ঈদের নামায আদায় করা যায়। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমীয়া সহ কতিপয় আলেমের মতে ঈদের নামায আদায় করা ওয়াজিব। কেননা আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন:
فصل لربك وانحر
“তুমি তোমার প্রভুর জন্য নামায আদায় কর এবং কুরবানী কর”। (আল কাউছারঃ২) তবে অধিকাংশ আলেমের মতে তা
সুন্নাতে মুআক্কাদাহ; ওয়াজিব নয়। মহিলাদের জন্যও ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের নামায আদায় করা বৈধ। তবে বেপর্দা হয়ে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করে নয়। এমন কি ঋতুবতী মহিলাগণও ঈদের মাঠে গমন করবে। তারা নামায আদায় করবেনা। বরং মুসলমানদের সাথে দু‘আয় শরীক হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে আমাদের দেশের কিছু আলেম মহিলাদের ঈদের নামাযে আসাকে হারাম ফতোয়া দিয়ে থাকেন।
গ) পায়ে হেঁটে ঈদের নামাযে গমন করা: إلى الصلاة مشيا الذهاب
সম্ভব হলে পায়ে হেটে ঈদগাহে যাওয়া। ঈদের মাঠে যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং আসার সময় অন্য রাস্তা ফেরত আসা সুন্নত। (বুখারী)
ঘ) ঈদের নামায আদায়ের পদ্ধতি: كيفية أداء صلاة العيد
বিনা আযানে ও বিনা ইকামতে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত বার তাকবীরে দুই রাকাত নামায আদায় করা। প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমার পর কিরাত পাঠের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে কিরাতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর পাঠ করা। সহীহ হাদীসে এভাবেই তাকবীরের সংখ্যা উল্লেখিত হয়েছে।
ঙ) ঈদের শুভেচ্ছা প্রদান করা: تبادل تهاني العيد
ঈদের আনন্দ বিনিময় করা এবং একে অপরকে শুভেচ্ছা প্রদান করা জায়েজ আছে। শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় একথা বলা যায়, (تقبل الله منا ومنكم) অর্থাৎ আল্লাহ তা‘য়ালা আমাদের ও আপনাদের সৎ আমলগুলো কবুল করুন।
চ) ঈদের দিন পানা-হার করা: الأكل والشرب يوم عيد الأضحى
দুই ঈদের দিনে পানা-হারের ব্যাপারে রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নত হল ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাযের পূর্বে কিছু খেয়ে ঈদের নামাযে গমন করা। আর ঈদুল আজহার দিন না খেয়ে ঈদের মাঠে যাওয়া। বুরায়দা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতরের দিন না খেয়ে বের হতেন না। এবং ঈদুল আজহার দিন না খেয়ে বের হতেন এবং নামায থেকে এসে কুরবানী করে কুরবানীর গোশত থেকে খেতেন। (আহমদ) অনেকে এটাকে রোযা বলে থাকেন। রোযা বলা ঠিক নয়। কারণ দুই ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম।
ছ) কুরবানী করা: ذبح الأضحية
সামর্থবান ব্যক্তির উপর কুরবানী করা সুন্নাতে মুআক্কাদা। কুরবানী দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এমন ব্যক্তির জন্য কুরবানী না দেওয়া মাকরূহ। অনেক আলেম আল্লাহর বাণী: (فصل لربك وانحر) “আপনার প্রতিপালকের জন্য নামায আদায় করুন এবং কুরবানী করুন।” এই আয়াতকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করে কুরবানী দেওয়াকে ওয়াজিব বলেছেন। ইবনে উমর (রা:) বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনাতে দশ বছর অবস্থান করেছেন। তিনি প্রতি বছরই কুরবানী করেছেন। (তিরমিজী-আহমদ) কুরবানী নিজ হাতে করা উত্তম। নিজে করতে না পারলে
অন্যকে দিয়ে করা যেতে পারে। কুরবানী জবাই করার সময় বিসমিল্লাহ আল্লাহ আকবার বলে জবাই করবে। জবাই করার সময় কুরবানী আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার দু‘আ করা মুস্তাহাব।
জ) কুরবানীর পশু নির্বাচন: اختيار المواشي للأضحية
উট, গরু, ছাগল, দুম্বা-ভেড়া ও মহিষ দিয়ে কুরবানী করা বৈধ। তবে কুরবানীর পশুর ক্ষেত্রে শর্ত হল তা সকল প্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে। ইমাম বুখারী ও মুসলিম আনাস
(রা:) হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিং বিশিষ্ট দু‘টি কাল মুখ ও কাল পা বিশিষ্ট ভেড়া দিয়ে কুরবানী করেছেন। (বুখারী) চার প্রকার পশু দিয়ে কুরবানী করা সিদ্ধ নয়। সুস্পষ্ট অন্ধ, সুস্পষ্ট রোগ বিশিষ্ট, সুস্পষ্ট খোঁড়া এবং একেবারে দুর্বল ও গোশত হীন যা জবেহ করার স্থান পর্যন্ত হেটে যেতে অক্ষম। (তিরমিজী)
একটি ছাগল বা দুম্বা এক পরিবারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে। যদিও পরিবারের লোক সংখ্যা অনেক হয়ে থাকে। একটি উটে দশজন এবং একটি গরুতে সাত জন পর্যন্ত শরীক হয়ে কুরবানী করা বৈধ। এব্যাপারে সহীহ হাদীস রয়েছে। তবে ছাগল-খাসীতে শরীক হওয়া জায়েজ নাই। আমাদের দেশে কুরবানীর গরুর সাথে ভাগে আকিকা দেওয়ার নিয়ম প্রচলিত আছে। হাদীসে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না। সুতরাং ইহা আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নিয়ে খেলা-ধুলার শামিল।
ঝ) কুরবানীর পশুর বয়স: أعمار مواشي الأضحية
কুরবানীর পশুর জন্য শর্ত হল, তার বয়স পূর্ণ হতে হবে। ভেড়া-দুম্বার ক্ষেত্রে ছয় মাস পূর্ণ হতে হবে। (নাসাঈ) ছাগল-খাসীর বয়স এক বছরের কম হলে তার দ্বারা কুরবানী চলবে না। গরুর বয়স দুই বছর পূর্ণ হতে হবে। উটের বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। (মুসলিম)
ঞ) কুরবানী করার সময়: أوقات ذبح الأضحية
ঈদের নামাযের পর থেকেই কুরবানী করার সময় শুরু হয়। ঈদের নামাযের পূর্বে জবাই করলে তা কুরবানী হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবেনা। কেহ যদি নামাযের আগেই জবাই করে ফেলে, তবে তাকে নামাযের পর তদস্থলে আর একটি পশু জবাই করতে হবে। কুরবানী করার শেষ সময় হল জিল হজ্জ মাসের ১৩তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। অর্থাৎ ঈদের দিন এবং ঈদের পর তিন দিন। পরের তিন দিনকে হাদীসের পরিভাষায় আইয়ামে তাশরীক বলা হয়। তাশরীক অর্থ সূর্যের আলোতে শুকানো। সাহাবিগণ এই দিনগুলিতে কুরবানীর গোশত কেটে টুকরো টুকরো করে রৌদ্রে শুকাতেন বলে এই দিনগুলোকে আইয়ামে তাশরীক বলা হয়।
ট) কুরবানীর গোশত খাওয়া:
কুরবানীর গোশত থেকে অল্প হলেও খাওয়া সুন্নত। রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম)মদীনাতে অভাবী লোক থাকার কারণে কুরবানীর গোশত তিন দিনের বেশী রাখতে নিষেধ করেছিলেন।পরবর্তীতে যখন মুসলমানদের অবস্থার পরিবর্তন হল, তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর গোশতযতদিন ইচ্ছা রেখে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন।
ঠ) কুরবানী দাতা যা থেকে বিরত থাকবে: الأشياء التي يبتعد عنها المضحي
যে ব্যক্তি কুরবানী দিতে উচ্ছা করবে, তার জন্য জিল হজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে কুরবানীর করার পূর্ব পর্যন্ত মাথার চুলহাত বা পায়ের নক কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। উম্মে সালামা (রা:) হতে বর্ণিত রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন, যখন তোমরা জিল হজ্জ মাসের চাঁদ দেখবে এবং তোমাদের কেহ কুরবানী করার ইচ্ছাপোষণ করবে, সে যেন কুরবানীর পশু জবাই করার পূর্বে তার মাথার চুল বা হাত-পায়ের নখকাটা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম-আহমদ) এই বিধান শুধুমাত্র পরিবারের যে কুরবানী করবে, তার জন্য স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্য এ বিধানের অন্তর্ভুক্তনয়।
ড) কুরবানীর গোশত বণ্টন করা: توزيع لحوم الأضاحي
কুরবানী দাতার জন্য সুন্নত হল নিজে পরিবারসহ কুরবানীর গোশত খাবে, প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে উপহার দিবে এবং গরীব-মিসকিনকে ছদকা করবে। আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন, “তোমরা উহার গোশতখাও এবং ফকীর ও অভাবগ্রস্তদেরকে খেতে দাও”। (সূরা হজ্জঃ২৮)
অনেক উলামায়ে দ্বীন কুরবানীর গোশত তিন ভাগে বণ্টন করে একভাগ নিজে খাওয়া, একভাগ ধনী আত্মীয়দেরকে হাদীয়া দেওয়া এবং আর একভাগ ফকীর-মিসকিনদেরকে দান করা পছন্দ করতেন। তবে এধরণের বণ্টন করা ওয়াজিব নয়।
ঢ) মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা: الأضحية عن الميت
মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা তিন ধরণের হতে পারে। যথা:
(১) নিজের কুরবানিতে পরিবারের মৃত ও জীবিত ব্যক্তিদেরকে নিয়তের মাধ্যমে শামিল করা। ইহা বৈধ। নবী (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এধরণের কুরবানী করার কথা প্রমাণিত আছে। এভাবে দেওয়া কুরবানীর গোশত পরিবারের সবাই খেতে পারবে।
(২) মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর পক্ষ থেকে কুরবানী করার ওসীয়ত করে থাকলে ওসীয়ত বাস্তবায়ন করার জন্য মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে কুরবানী করা জায়েজ আছে।
(৩) মৃত ব্যক্তির জন্য আলাদাভাবে কুরবানী করা। এব্যাপারে বিদ্যানগণ মতবিরোধ করেছেন। কারণ এ ধরণের কুরবানী করার কথা হাদীসের মাধ্যমে সরাসরি প্রমাণিত নাই। আল্লামা ইবনু উসাইমীন ছদকা স্বরূপ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা বৈধ বলে মত প্রকাশ করেছেন। এভাবে কুরবানী করলে গোশত দরিদ্রদের মাঝে ছাদকাহ করে দিতে হবে। নিজে খাওয়া যাবে না।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা এই যে তিনি যেন আমাদের সমস্ত সৎ আমল কবুল করেন ।

44
Hadith / Different Dua during Sujud (Sijdah)
« on: August 24, 2014, 07:52:34 PM »
সিজদার বিভিন্ন দোয়া

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সালাতে সিজদার জন্য শুধু একটি দোয়াই শিখেছি। অথচ আমাদের রাসুল ﷺ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দোয়া সিজদার সময় পড়েছেন এবং শিখিয়েছেন। আসুন এই সহজ দোয়াগুলো আমরা শিখে নিই এবং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দোয়াগুলো যেকোনো একটি করে বিভিন্ন সময়ে পড়ি, যাতে সালাতের অতি অভ্যস্ততার কারণে অমনোযোগিতা আমরা দূর করতে পারি। সেই সাথে কিছু সুন্নাহ জাগ্রত করতে পারি।

১) سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى

“সুবহানা রব্বিয়াল ‘আলা”
অর্থঃ আমার মহান সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। (তিনবার)
[সহীহ আত তিরমিযী ১/৮৩]

২)سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي

“সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকাল্লাহুম মাগফিরলী”
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার রব্ব! তোমার পূত পবিত্রতা ঘোষণা করি (তোমার প্রসংশা সহ) হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করে দাও।
[বুখারী ও মুসলিম]

৩) سُبُّوحٌ، قُدُّسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ

“সুব্বুহুন ক্কুদ্দুসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ”
অর্থঃ ফেরেশতাবৃন্দ এবং রুহুল কুদ্দুস (জিব্রাঈল আঃ) এর রব প্রতিপালক স্বীয় সত্তায় এবং গুনাবলীতে পবিত্র।
[মুসলিম ১/৫৩৩]

৪) اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ

“আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা ‘আ-মানতু ওয়ালাকা ‘আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খলাক্কাহু ওয়াসাও ওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু তাবারকাল্লাহু আহসানুল খ-লিক্কীন”
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য সিজদা করেছি, তোমারই প্রতি ঈমান এনেছি, তোমার জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছি, আমার মুখমণ্ডল (আমার সমগ্র দেহ) সিজদায় অবনমিত সেই মহান সত্তার জন্য যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন এবং উহার কর্ণ ও চক্ষু উদ্ভিন্ন করেছেন, মহিমান্বিত আল্লাহ সর্বোত্তম স্রষ্টা।
[মুসলিম ১/৫৩৪]

৫) "سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرْوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ".

“সুবহানা যিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি ”
অর্থঃ পাক পবিত্র সেই মহান আল্লাহ বিপুল শক্তির অধিকারী, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গরিমা এবং অতুল্য মহত্বের অধিকারী।
[আবু দাউদ ১/২৩০]

৬) اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ، دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَعَلَانِيَتَهُ وَسِرَّهُ

“আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবীকুল্লাহু, দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউওয়ালাহু ওয়াআ-খিরাহু ওয়া ‘আলানিয়াতা ওয়া সিররাহু”
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও, ছোট গুনাহ, বড় গুনাহ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য এবং গোপন গুনাহ।
[মুসলিম ১/৩৫০]

৭) اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ منْ عُقُوبَتِكَ، وَاَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لَا أُحصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

“আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা, ওয়া বিমু’আ-ফাতিকা মিন ‘উক্কুবাতিকা ওয়া ‘আউযু বিকামিনকা, লা-উহসী সানা-আন ‘আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা”
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই তোমার অসন্তুষ্টি হতে তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে, তোমার শাস্তি হতে তোমার ক্ষমার মাধ্যমে, আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই তোমার গজব হতে। তোমার প্রশংসা গুণে শেষ করা যায় না; তুমি সেই প্রশংসার যোগ্য নিজের প্রশংসা যেরূপ তুমি নিজে করেছ।
[মুসলিম ১/৩৫২]

45
IT Forum / Hi-Tech Park, Star Computer to train 3000 youths
« on: August 02, 2014, 09:10:49 AM »


To build up the ICT skilled and efficient human resources Bangladesh Hi-Tech Park authority and local training institutes have arranged a number of   training programs on ICT.

According to a press release, under the training programs, total 3000 people will get the opportunity to have this training initially.

The opportunity will continue till 2016.

The local graduates and those who have the basic knowledge of computer are eligible to get the scholarship training through founded by Bangladesh Hi-Tech Park Authority, the release added.

Star computer System Limited has been selected as a training service provider partner of Bangladesh Hi-Tech park authority to train the local youth on PHP (Web Design) and C#.NET (Software Development) which will help the youth to serve the IT industries as Web Developer and Software Developer.

Not only the professionals but also the unemployed graduates can apply for it. Priority will be given to the underprivileged and women who are under 30 are selected based on their merit.

The course duration is 2.5 month.  Bangladesh Hi-Tech Park Authority and Star Computer Systems Limited will jointly award certificates to the participants who would finish the training successfully.

Interested candidates are requested to call at 01670181811, 0171141980 or contact Star Computer Systems Limited, Fattah Plaza, level 8, 70 green road, Dhaka. Registration is open for limited period of time.

ICT being considered as a tool to change the nation, change the economic growth of any developing country like Bangladesh.  ICT sector has the opportunity especially for the youth to change their fortune so does the country. And to clutch this opportunity the country needs skilled and efficient youth pool.


Courtesy: http://www.banglanews24.com/en/fullnews/bn/95367.html

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 26