Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Forman

Pages: [1] 2 3
1
উইন্ডোজ ১০-এর নতুন হালনাগাদে ফিরবে উইন্ডোজ ৭-এর অন্যতম সেরা একটি ফিচার। এতে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা খুব দ্রুত ও সহজে সব ড্রাইভার ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে পারবেন এবং অপশনাল আপডেটের মাধ্যমে তাঁদের পিসি চালু থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন।



প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকরাডারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, উইন্ডোজ ১০-এর হালনাগাদ সংস্করণটি হচ্ছে উইন্ডোজ ১০ বিল্ড ১৯০৪১.৪৫০। এতে একটি অপশনাল আপডেট পেজ যুক্ত হয়েছে। এটি খুঁজে পেতে Settings > Update & Security > Windows Update > View optional updates অনুসরণ করতে হবে।

এই আপডেটের মাধ্যমে উইন্ডোজ আপডেট থেকে নতুন ড্রাইভারের খোঁজের পাশাপাশি ইনস্টল করা যাবে। এতে ডিভাইস ম্যানেজারে আলাদা করে যেতে হবে না। একে ড্রাইভার আপডেট সহজ ও ব্যবহারবান্ধব হবে। বেশ কিছুদিন ধরে উইন্ডোজ ১০ আপডেট নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।

সমস্যা সমাধানের বদলে নতুন আপডেটে সমস্যা বেড়ে যায়, তবে এসব আপডেট অপশনাল রাখা হয়েছে। তবে পিসিতে কী ইনস্টল হচ্ছে, সে বিষয়ে ব্যবহারকারীকে অধিক নিয়ন্ত্রণ দিলে অপ্রয়োজনীয় আপডেট ব্যবহারকারী এড়াতে পারবেন। পিসিতে হালনাগাদ ড্রাইভার ইনস্টল থাকলে পিসি আরও ভালোভাবে চলে। তাই

বিশেষজ্ঞরা পিসিতে ড্রাইভার ইনস্টল করার জন্য বলে আসছিলেন। এখন ড্রাইভার আপডেটসহ সফটওয়্যারের যেকোনো আপডেট অপশনাল আপডেট পেজ থেকে দেখা যাবে। কেউ যদি নতুন ড্রাইভার ইনস্টলের পদ্ধতি দেখতে চান, তবে উইন্ডোজ ১০ কেবি ৪৫৬৬৭৮২ সংস্করণ পিসিতে থাকতে হবে।

Source: Prothon Alo

2
নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হাত ধোয়াকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থার তালিকায় ১ নম্বরে রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।



হাত দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত মুঠোফোন, টিভির রিমোট, দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং, পানির কল, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, চাবি, টাকা, কাঁচা মাছ-মাংস, সবজি ইত্যাদি কত কিছুই না ধরি। এসব জিনিসে লেগে থেকে অসংখ্য জীবাণু। হাত দিয়ে নাক–মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিলেও হাতে জীবাণু লেগে যায়। এরপর হাত না ধুয়ে খাবার প্রস্তুত বা খাওয়া হলে, অথবা মুখ–চোখ–নাক স্পর্শ করা হলে জীবাণু শরীরে ঢুকে যায়।

সাবান-পানি দিয়ে নিয়মিত এবং নিয়মমতো হাত ধুলে করোনাভাইরাসসহ যেকোনো জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাওয়ার আগে ও টয়লেটের পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে। কাঁচা মাছ-মাংস বা পশু–পাখি স্পর্শ করলেও ভালো করে হাত ধুতে হবে। হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে বা হাত দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিলেও হাত ধুতে হবে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

সাবান-পানি দিয়ে ধোয়ার সময় প্রথমে পানি দিয়ে হাত ভেজাতে হবে। তারপর সাবান নিয়ে দুই হাতের উভয় দিকে, আঙুলের ফাঁকে এবং নখের নিচে খুব ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সাবান-পানি না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা যায়।

অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ্‌, বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ

courtesy: prothomalo

3
কোয়ারেন্টিন মানে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যক্তির চলাফেরাকে সীমাবদ্ধ করা। কোয়ারেন্টিন তাঁদের জন্যই প্রযোজ্য, যাঁরা রোগে আক্রান্ত হননি কিন্তু রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, রোগের প্রাদুর্ভাবযুক্ত এলাকায় থেকেছেন, অর্থাৎ যাঁরা রোগ ছড়াতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।



কথাটা এসেছে ‘কোয়ারান্টাগাইরন’ থেকে, যার অর্থ ফরটি ডে (৪০ দিন)। প্লেগের সময় জাহাজের মাল খালাস করার আগে ৪০ দিন তীরে ভিড়ে থাকতে হতো। সম্প্রতি চীনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের কারণে কোয়ারেন্টিনের আগে কুষ্ঠ রোগ, পীতজ্বর বা ইয়েলো ফিভার, কলেরার মতো রোগের বিস্তার ঠেকানোর জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ের ইবোলাও এর একটা উদাহরণ।

কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন এই দুটি বিষয় আমাদের কাছে একই রকম মনে হলেও এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। রোগ ছড়ানোর ভয়ে রোগীকে যখন আলাদা রাখা হয়, সেটা প্রোটেক্টিভ সিকোয়েস্ট্রশন (রিভার্স কোয়ারেন্টিন)। আক্রান্ত রোগীকে আলাদা ব্যবস্থায় রেখে চিকিৎসা করাকে বলে আইসোলেশন।

কত দিন কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে?
এটা নির্ভর করবে ওই রোগের ইনকিবেশন পিরিয়ড বা জীবাণু প্রবেশ থেকে রোগ প্রকাশিত হওয়ার মধ্যবর্তী সময় কত দিন, তার ওপর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ১৪ দিন ধরা হয়েছে।

কোয়ারেন্টিনের প্রতীক
কুইবেক অর্থ ইয়েলো বা হলুদ। হলুদ রঙের পতাকা তাই একসময় কোয়ারেন্টিন বোঝাত। সবুজ, কালো বা হলুদ-কালোর সংমিশ্রণ কোয়ারেন্টিন বোঝাতে সবই ব্যবহার হয়েছে ইতিহাসে। সাম্প্রতিক কালে অবশ্য হলুদ পতাকার অর্থ বোঝায় জাহাজ সংক্রমণমুক্ত এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উপযোগী।

কোয়ারেন্টিনের নীতিমালা
টাইফয়েড মেরির ২৭ বছরের কোয়ারেন্টিনের ঘটনা মানবাধিকারে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রয়েছে। কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে ব্যক্তির কিছু অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। ১৯৮৪ সালের জাতিসংঘ স্বীকৃত সিরাকুসা নীতিমালা অনুসারে কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতাগুলো হলো:

১. যারা থাকবে, তাদের মৌলিক প্রয়োজন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধের সব ব্যবস্থা করতে হবে।
২. প্রিয়জন ও পরিচর্যাকারীর সঙ্গে যোগাযোগের পর্যাপ্ত সুযোগ থাকতে হবে।
৩. কর্মস্থল, চাকরি, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৪. সামাজিক মর্যাদা যা–ই হোক, যোগাযোগ, চলাফেরার সীমাবদ্ধতা সবার জন্য সমান হতে হবে।
৫. কোয়ারেন্টিন সমাজ ও জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় বলে প্রতীয়মান হতে হবে।
৬. একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে (যেমন রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ) এটা করতে হবে।

হোম কোয়ারেন্টিন কী?
হোম কোয়ারেন্টিন মানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি নিজ বাড়িতে স্বেচ্ছায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে থাকবেন এবং এ সময় নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

করোনাভাইরাসের কারণে কারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন?
যেসব দেশে কোভিড-১৯–এর স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেছে, সেসব দেশ থেকে যেসব যাত্রী এসেছেন এবং আসবেন (দেশি-বিদেশি যেকোনো নাগরিক), যাঁরা দেশে শনাক্তকৃত ৩ জন কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন এবং যার অথবা যাঁদের কোনো শারীরিক উপসর্গ নেই, তাঁদের ১৪ দিন স্বেচ্ছা/গৃহ কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।

করোনাভাইরাসের জন্য কীভাবে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন?
হোম কোয়ারেন্টিন মানে শুধু বাড়িতে থাকা নয়। তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধও পালন করতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে।

১. বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকুন।
২. আলো–বাতাসের সুব্যবস্থাসম্পন্ন আলাদা ঘরে থাকুন। সম্ভব না হলে অন্যদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফুট) দূরে থাকুন। রাতে পৃথক বিছানা ব্যবহার করুন।
৩. আলাদা গোসলখানা ও টয়লেট ব্যবহার করুন। সম্ভব না হলে অন্যদের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়—এমন স্থানের সংখ্যা কমান এবং ওই স্থানগুলোতে জানালা খুলে রেখে পর্যাপ্ত আলো–বাতাসের ব্যবস্থা করুন।
৪. স্তন্যদায়ী মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। তবে শিশুর কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন এবং ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।
৫. বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে একই ঘরে অবস্থান করলে, বিশেষ করে ১ মিটারের মধ্যে আসার প্রয়োজন হলে, অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৬. কাশি, সর্দি, বমি ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে ফেলুন এবং নতুন মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্ক ব্যবহারের পর ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলুন এবং সাবান–পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।
৭. সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৮. সাবান-পানি ব্যবহারের পর টিস্যু দিয়ে হাত শুকনো করে ফেলুন। টিস্যু না থাকলে শুধু হাত মোছার জন্য নির্দিষ্ট তোয়ালে/গামছা ব্যবহার করুন এবং ভিজে গেলে বদলে ফেলুন।
৯. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।
১০. কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। হাঁচি–কাশির সময় টিস্যু পেপার/মেডিকেল মাস্ক/কাপড়ের মাস্ক/বাহুর ভাঁজে মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন এবং ওপরের নিয়মানুযায়ী হাত পরিষ্কার করুন।
১১. ব্যক্তিগত ব্যবহার্য সামগ্রী অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করবেন না। আপনার খাওয়ার বাসনপত্র—থালা, গ্লাস, কাপ ইত্যাদি, তোয়ালে, বিছানার চাদর অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করবেন না। এসব জিনিসপত্র ব্যবহারের পর সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।

কখন আপনার কোয়ারেন্টিন শেষ হবে?
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার কোয়ারেন্টিন শেষ হবে। একজন থেকে অন্যজনের কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা আলাদা হতে পারে। তবে সাধারণত এ সময়সীমা ১৪ দিন।

কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে কী কী করা যাবে?
কোয়ারেন্টিনের অবসর সময়কে কাজে লাগান। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), সিডিসি এবং আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে সঠিক তথ্য পাবেন। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ফোন/মোবাইল/ইন্টারনেটের সাহায্যে যোগাযোগ রাখুন। দৈনন্দিন রুটিন, যেমন: খাওয়া, হালকা ব্যায়াম ইত্যাদি মেনে চলুন। সম্ভব হলে বাড়িতে বসে অনলাইনে বা ফোনে অফিসের কাজ করতে থাকুন। বইপড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা অথবা ওপরের নিয়মগুলোর পরিপন্থী নয়, এমন যেকোনো বিনোদনমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন বা ব্যস্ত রাখুন।

পরিবারের সদস্যদের জন্য নির্দেশাবলি
বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, অ্যাজমা প্রভৃতি) ভুগছেন না, এমন একজন ব্যক্তি পরিচর্যাকারী হিসেবে নিয়োজিত হতে পারেন। তিনি ওই ঘরে বা পাশের ঘরে থাকবেন, অবস্থান বদল করবেন না। কোয়ারেন্টিনে আছেন—এমন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো অতিথিকে দেখা করতে দেবেন না। পরিবারের মানুষ যে কাজগুলো করবেন:

১. কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা তার ঘরে ঢুকলে হাত পরিষ্কার করবেন সাবান–পানি দিয়ে।
২. খাবার তৈরির আগে ও পরে, খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত পরিষ্কার করবেন।
৩. গ্লাভস পরার আগে ও খোলার পরে হাত পরিষ্কার করবেন।
৪. যখনই হাত দেখে নোংরা মনে হবে, তখনই হাত পরিষ্কার করবেন।
৫. খালি হাতে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির ঘরের কোনো কিছু স্পর্শ করবেন না।
৬. কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত বা তাঁর পরিচর্যায় ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, টিস্যু ইত্যাদি অথবা অন্য আবর্জনা ওই রুমে রাখা ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে রাখুন। এসব আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে পুড়িয়ে ফেলুন।
৭. ঘরের মেঝে, আসবাবের সব পৃষ্ঠতল, টয়লেট ও বাথরুম প্রতিদিন অন্তত একবার পরিষ্কার করুন। পরিষ্কারের জন্য ১ লিটার পানির মধ্যে ২০ গ্রাম (২ টেবিল চামচ পরিমাণ) ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করুন ও ওই দ্রবণ দিয়ে সব স্থান ভালোভাবে মুছে ফেলুন। তৈরিকৃত দ্রবণ সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
৮. কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে নিজের কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি গুঁড়া সাবান বা কাপড় কাচা সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে বলুন এবং ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে ফেলুন। নোংরা কাপড় একটি লন্ড্রি ব্যাগে আলাদা রাখুন। মলমূত্র বা নোংরা লাগা কাপড় ঝাঁকাবেন না এবং নিজের শরীর বা কাপড়ে যেন না লাগে, তা খেয়াল রাখবেন।
৯. যদি কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ দেখা দেয় (জ্বর, কাশি, সর্দি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি), তবে দ্রুত আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন।

লেখক: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সাবেক অধ্যাপক, বারডেম হাসপাতাল

Source: Prothomalo

4

করোনার হালনাগাদ তথ্য মাইক্রোসফট বিংয়ের ওয়েবসাইটে
 

করোনাভাইরাসের হালনাগাদ তথ্য দিতে মাইক্রোসফট বিং ওয়েবসাইট চালু করল। গুগলও এখন এ-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে। খবর বার্তা সংস্থা আইএএনএসের।

মাইক্রোসফট বিংয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে করোনাভাইরাস ছড়ানো প্রতিটি দেশের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে। ওই ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার ৭৬১ জন। মারা গেছেন ৬ হাজার ৫১৬ জন।

এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৪। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৬১ জন।

মাইক্রোসফটের বিং গ্রোথ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের মহাব্যবস্থাপক মাইকেল স্কেচার বলেন, বিংয়ের বেশ কয়েকজন কর্মী (বাসায় থেকে) এ সপ্তাহে কাজ করে কোভিড-১৯-সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য এ ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন।

এ ওয়েবসাইটে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ ম্যাপ আছে। সেখানে ক্লিক করে ব্যবহারকারীরা যেকোনো দেশের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত এবং আরোগ্য হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা পেতে পারেন। এ ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) থেকে নেওয়া হচ্ছে।

মাইক্রোসফট বিংয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকতে ভিজিট করুন: https://bing.com/covid

Source: prothomalo

5
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সমর্থনে দুটি উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। একটি হলো ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং ইউএনডিপির সঙ্গে অংশীদারত্বে হোয়াটসঅ্যাপ করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাবের উদ্বোধন এবং আরেকটি হলো পোয়েন্টার ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ককে (আইএফসিএন) ১০ লাখ ডলার অনুদান প্রদান।

হোয়াটসঅ্যাপের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বুধবার হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাব চালু হয়েছে। এখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগকারী স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষাবিদ, কমিউনিটি লিডার, এনজিও, স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ও কার্যকর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাইটটি বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সাধারণ টিপস এবং তথ্য দেবে। এতে গুজব ছড়ানো কমবে বলে মনে করছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।

হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা বিশ্বজুড়ে সরাসরি ব্যবহারের জন্য মেসেজিং হটলাইন সেবা দিতে ইউনিসেফ ও ডব্লিউএইচওর সঙ্গে কাজ করছে। হটলাইনগুলো হোয়াটসঅ্যাপ করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাবে তালিকাভুক্ত করা হবে। এ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ সিঙ্গাপুর, ইসরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে সঠিক তথ্য প্রদান করতে বেশ কয়েকটি জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এনজিওর সঙ্গে কাজ করেছে।

আইএফসিএনকে দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ফ্যাক্টস অ্যালায়েন্সের ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের কাজ করবে। এটি ৪৫টি দেশের ১০০টিরও বেশি স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে এ কাজ চালিয়ে যাবে।

হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট বলেন, ‘বিপর্যয়ের সময় মানুষ আরও বেশি করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। আমরা একটি সহজ রিসোর্স নিয়ে এসেছি, যা তাদের পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে সহায়তা করবে।’

Source: Prothomalo

6
এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শোতে (সিইএস) ডিজিটাল সহকারী গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের নতুন এক সুবিধা তুলে ধরে গুগল। বলা হয়েছিল, অ্যাপটি কোনো ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ভাষার লেখা পড়ে শোনাতে পারবে। সুবিধাটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল। ক্রমান্বয়ে ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাটি ছাড়া হবে।



সুবিধাটি ব্যবহার করতে ‘হে গুগল, রিড দিস’ বা ‘রিড দিস পেজ’ নির্দেশ দিতে হবে। এরপর গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সেটি পড়া শুরু করবে। পর্দায় তখন পড়তে থাকা লেখাটি দেখাবে। একই সঙ্গে পড়ার গতি কমবেশিও করা যাবে।

গুগল জানিয়েছে, নতুন সুবিধাটি আপাতত ৪২টি ভাষা সমর্থন করবে। এর অর্থ, যেকোনো ওয়েবপেজ ৪২টি ভাষায় অনুবাদ করা যাবে এবং সহকারী এটি জোরেশোরে পড়ে শোনাতে পারবে। যেমন অন্য কোনো কাজ করার সময় আপনাকে হয়তো অনলাইনে খবর পড়ে শোনাতে পারবে এটি। কিংবা রান্নার সময় রন্ধনপ্রণালি বা রেসিপি পড়েও শোনাতে পারবে।

Source: Prothomalo

7
শুরুর ধাক্কা সামলে কঠিন পথ পার করে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমেইল সেবা এখন গুগলের জিমেইল। বিশ্বজুড়ে দেড়শ’ কোটির বেশি সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে জিমেইলের।
ছোট একটি পরীক্ষা থেকে শুরু করে এখন গুগলের জি সুইটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জিমেইল। সাফল্যের এই পর্যায়ে আসতে কঠিন সময়ও পার করতে হয়েছে সেবাটিকে, শুরুর ধাক্কা তো ছিলোই। জিমেইলের সেই দীর্ঘ পথ পেরোনোর গল্প সম্প্রতি বলেছে সিএনবিসি।



১৯৯৯ সালে জিমেইলে নিয়ে কাজ শুরু করে গুগল। সে সময় ইয়াহু মেইলের সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ছিল এক কোটি ২০ লাখ এবং মাইক্রোসফটের হটমেইলের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় তিন কোটি।

গুগলের ২৩তম কর্মী পল বুখেইট তখন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ইমেইল সেবা নিয়ে লড়েছেন। কিন্তু অনেক নির্বাহী কর্মকর্তাই এতে আস্থা রাখতে পারেননি। তারা বুঝতে পারছিলেন না একটি সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান কীভাবে ইমেইল সেবা থেকে লাভবান হতে পারে। সে সময় অনেক নির্বাহী কর্মকর্তাই এই প্রকল্প থেকে সরে এসেছেন বলে বেশ কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘২০ শতাংশ’ প্রকল্প হিসেবে সেবাটি বানিয়েছিলেন বুখেইট। কিছু কিছু সময় কর্মীদের নিজের বাছাই করা প্রকল্প নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয় গুগল। প্রতিষ্ঠানের এই অনানুষ্ঠানিক প্রকল্পগুলোকেই বলা হয় ‘২০ শতাংশ’ প্রকল্প।

গুগল যখন জিমেইল উন্মোচন করে তখন গ্রাহক এটিকে আসলে কৌতুক হিসেবেই নিয়েছিল। এর পেছনে কারণও ছিলো। ২০০৪ সালের এপ্রিল ফুল’স ডে-তে উন্মোচন করা হয় সেবাটি। ফলে গ্রাহক মনে করেন গুগল তাদেরকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে।

গ্রাহক যখন বুঝতে পারেন গুগল আসলেই সেবাটি উন্মোচন করেছে তখন বিনামূল্যের ইমেইল সেবাগুলোর তালিকায় গ্রাহকের পছন্দের তালিকায় আসতে শুরু করে জিমেইলও।

নব্বইয়ের দশকে প্রথম ওয়েবভিত্তিক ইমেইল সেবা ছিল মাইক্রোসফটের হটমেইল এবং ইয়াহু মেইল।

জিমেইল চালুর পর এই সেবাটি থেকে আয়ের পথ বের করাটা তখন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করে। কিছু ব্যক্তি তখন বলেছেন জিমেইলের পরিধি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে গ্রাহকের কাছ থেকে নিবন্ধন ফি না নিয়ে এতে বিজ্ঞাপন সমর্থন আনতে হবে।

জিমেইলে বিজ্ঞাপনের মডেল আনার প্রস্তাব পাশ হলেও ২০০৭ সালে সাধারণ জনগণের জন্য সেবাটি উন্মুক্ত করার আগেই বাধার মুখে পড়ে এটি। ইমেইল স্ক্যান করে এর কনটেন্ট ব্যবহার করে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন দেখানোর কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে গুগল।

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে বিজ্ঞাপন টার্গেট করতে জিমেইল অ্যাকাউন্ট স্ক্যান করে অ্যাপ ডেভেলপাররা। এরপর আবারও সমালোচনার মুখে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৯ সালেও সমালোচনা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে। গ্রাহকের গোপনতা বিষয়ে গুগলসহ অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে তোপের মুখে রাখে কংগ্রেস। গ্রীষ্মে গুগল স্বীকার করে যে, গ্রাহক জিমেইল ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে তার তালিকা রাখে প্রতিষ্ঠানটি।

২০১২ সাল পর্যন্তও অন্যান্য প্রতিযোগিদের চেয়ে খুব বেশি ভালো করতে পারেনি জিমেইল। কিন্তু নিজেদের উদ্ভাবন চালিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভোক্তা এবং এন্টারপ্রাইজ দুই ধরনের গ্রাহককেই লক্ষ্য বানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন নতুন ফিচার এনে এখন শীর্ষ অবস্থান করছে গুগলের জিমেইল।

Source: Bdnews24

8
ইউরোপ থেকে স্বল্প খরচে ফ্রিল্যান্সারদের পারিশ্রমিক আনতে যুক্তরাজ্যের বৈশ্বিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান সার্ভিস স্ক্রিল লিমিটেড ও হোমপে’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সোনালী ব্যাংক।
তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের স্ক্রিল লিমিটেড, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এবং হোমপে’র মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্ক্রিল মানি ট্রান্সফার সেবার মাধ্যমেস্বল্প খরচে দ্রুত সময়ে বাংলাদেশে অর্থ পাঠাতে পারবেন।



পাশাপাশি বাংলাদেশে থেকে বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ইউরোপ থেকে সরাসরি কেনাকটা করা যাবে।

এ ছাড়াও স্ক্রিল মানি ট্রান্সফার সেবা ব্যবহার করে দেশের ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পারিশ্রমিক বৈধভাবে স্বল্প খরচে আনতে পারবেন।

সম্প্রতি লন্ডনে স্ক্রিল লিমিটেডের কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দা মুনা তাসনীম।

স্ক্রিল প্রধান নির্বাহী লরেনজো পেলিগ্রিনো এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবদুল ওয়াহাব এই সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

পলক বলেন, "আমাদের তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত যারা অনলাইনে কাজ করে তাদের বিশ্ববাজারে অংশ নিতে সহায়তা করার জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ। ফ্রিল্যান্সার এবং অন্যান্য নাগরিককে অনলাইনে বৈশ্বিক অর্থ আদান প্রদান এবং অনলাইন বাজার ব্যবস্থা এবং মার্চেন্ট ইকোসিস্টেমগুলোর সঙ্গে যুক্ত করবে এই সেবা।”

Source: Bdnews24

9
২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে তথ্য ফাঁসের পরিমাণ বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। ২০২০ সালে মোবাইলভিত্তিক ম্যালওয়্যার এবং ব্যাংকিং ট্রোজানের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে।



শীর্ষস্থানীয় অ্যাকাউন্টিং ও কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৫জি এবং ইন্টারনেট অফ থিংস-এর (আইওটি) পরিধি বাড়ছে, ডেটার গতি বাড়বে, সঙ্গে বাড়বে সাইবার হামলার গতিও-- খবর আইএএনএস-এর।

‘সাইবার ট্রেন্ডস ইন ২০১৯ অ্যান্ড প্রেডিকশনস ফর ২০২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “হামলার গতি এবং কার্যকরিতা বাড়াতে হ্যাকাররা উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক হামলা চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডেটা সুরক্ষায় নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়বে আইওটি।”

“সাইবার হামলা বাড়ছে এবং এটি বাড়তেই থাকবে। যদি ঘটে তা নয়, বিষয়টি হচ্ছে কখন ঘটবে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং ফ্রেইমওয়ার্কভিত্তিক পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার নিরাপত্তা আরও ভালো এবং সক্রিয়ভাবে মোকাবেলা করতে পারবে,” বলেন গ্র্যান্ট থর্নটন ইন্ডিয়ার সাইবারসিকিউরিটি অ্যান্ড আইটি রিস্ক অ্যাডভাইজরি পার্টনার আকশায় গারকেল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইবার হয়রানিসহ সাইবারনিরাপত্তার ঘটনা আগের বছরের তুলনায় ছয় গুণের চেয়েও বেশি বেড়েছে। আর অপরাধের ধরন শনাক্তকরণ এবং সাইবার অপরাধ কমানো ডেটা বিশ্লেষকদের জন্য আরও জটিল হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, “৯৫ শতাংশ সাইবার নিরাপত্তা ভাঙ্গবে মানুষের ভুলের কারণে। মানবকেন্দ্রিক নিরাপত্তা চিন্তার মূল কারণ এবং মানবকেন্দ্রিক সমাধানের পাশাপাশি প্রযুক্তিও দরকার।”

ধারণা মতে, ২০১৯ সালে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ৪৩০ কোটি। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন ব্যক্তির মাধ্যমে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।

Source: Bdnews24

10
অলিম্পিক এবং ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) অফিশিয়াল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে টুইটার। এই অ্যাকাউন্টগুলো সাময়িকভাবে লক করে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইমেইল ববৃতিতে টুইটারের এক মুখপাত্র বলেন তৃতীয় পক্ষের একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টগুলোয় আক্রমণ করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে আর বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি-- খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।



“যখনই আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ অ্যাকাউন্টগুলো লক করে দিয়েছি এবং এগুলো পুনরুদ্ধার করতে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি,” বলেছেন টুইটার মুখপাত্র।

আলাদাভাবে আইওসি’র এক মুখপাত্র বলেন, সম্ভাব্য হ্যাকিংয়ের বিষয়ে তারাও তদন্ত চালাচ্ছে।

টুইটারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, শনিবার স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার অ্যাকাউন্টও একই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছে।

হ্যাকিংয়ের পর এক টুইট বার্তায় বার্সেলোনার পক্ষ থেকে বলা হয়, “এফসি বার্সেলোনা একটি সাইবার নিরাপত্তা নীরিক্ষণ চালাবে এবং তৃতীয় পক্ষের টুলের সঙ্গে সব প্রোটোকল ও লিঙ্ক পর্যালোচনা করবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।”

আগের মাসেই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) বেশ কিছু দলের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট।

চলতি মাসের শুরুতে ফেইসবুকের টুইটার অ্যাকাউন্টও কিছু সময়ের জন্য আক্রান্ত হয়েছে।

Source: Bdnews24

11
উইন্ডোজ ১০-এ গুরুতর ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। সংস্থাটি বলছে, উইন্ডোজ ১০-এর  ওই ত্রুটির সুযোগ নিয়ে সহজেই ম্যালিশাস সফটওয়্যাকে আসলের বেশে চালিয়ে দিতে পারবে হ্যাকাররা।
এরই মধ্যে ত্রুটি সারাতে প্যাচ ছেড়েছে মাইক্রোসফট। ত্রুটিটির সুযোগ নেওয়া হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ এখনও দেখতে পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ত্রুটিটি সম্পর্কে জানিয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)। -- খবর বিবিসি’র।



এনএসএ ওই ত্রুটি সম্পর্কে আগে থেকেই জানতো কিনা সে বিষয়টি পরিষ্কার নয় বলেই উল্লেখ করেছে বিবিসি।

ত্রুটিটি সম্পর্কে প্রথমে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান ক্রেবস। তিনি জানান, ত্রুটি সারাতে মার্কিন সামরিক বাহিনী ও অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য প্যাচ ছেড়েছে মাইক্রোসফট। ত্রুটিটিকে ‘অসাধারণ ভীতিকর’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

উইন্ডোজের মূল উপাদান ‘ক্রিপ্ট৩২.ডিএলএল’ ফাইলে পাওয়া গেছে গুরুতর ওই নিরাপত্তা ত্রুটিটি। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা ওই প্রোগ্রামটির মাধ্যমে নানাবিধ ফাংশনে প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে, ‘ডিজিটাল সার্টিফিকেট’, যা সফটওয়্যারে ‘সাইন-ইন’ করার কাজে লাগে।

ফলে চাইলেই হ্যাকাররা ত্রুটিটির সাহায্যে ম্যালিশাস প্রোগ্রামকে পুরোপুরি ‘আসল’ বলে চালিয়ে দিতে পারবে। এনএসএ’র সাইবার-নিরাপত্তা পরিচালক অ্যান নিউবার্গার সাংবাদিকদের বলেছেন, বাগটি “ভরসার জায়গাকেই অরক্ষিত” করছিল।

তিনি আরও জানিয়েছেন, মাইক্রোসফটের অনুরোধেই বাগ সম্পর্কে সবাইকে জানিয়েছে এনএসএ।

শুধু উইন্ডোজ ১০ নয়, উইন্ডোজ সার্ভার ২০১৬ এবং ২০১৯-এও ত্রুটিটি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি। ইউনিভার্সিটি অফ সারের অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড বলেছেন, “বিষয়টি বড়, কারণ মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহৃত মূল ক্রিপ্টোগ্রাফিক সফটওয়্যারকে আক্রান্ত করেছে এটি। হ্যাকাররা এর সুযোগ নিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ না মিললেও, অসংখ্য ব্যবহারকারীকে আক্রমণ ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বিষয়টি। এটি আতংকিত না হয়ে দ্রুত প্যাচ দিয়ে সারিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা।”

Source: Bdnews24

12
যাঁরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের অ্যাপ ডাউনলোডের সময় সতর্ক থাকতে হবে। এখন অনেক জনপ্রিয় অ্যাপের ছদ্মবেশে ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম স্মার্টফোনে ঢুকে সর্বনাশ ঘটাতে পারে। স্মার্টফোনে এসব প্রোগ্রাম চালু থাকলে গোপনে ফোনের কার্যকলাপের তথ্য পাচার করে দেয়। গোয়েন্দাগিরির শিকার হতে পারেন অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তাই গুগলের প্লেস্টোরে থেকে ডাউনলোড করা কয়েকটি অ্যাপ দ্রুত সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন।



ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিপিএন প্রোর পক্ষ থেকে ২৪টি বিপজ্জনক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। এসব অ্যাপ ইতিমধ্যে ৩৮ কোটি ২০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে। মোবাইল ফোন থেকে তথ্য সরানোর অভিযোগে গুগল ইতিমধ্যে এসব অ্যাপ সরিয়ে দিয়েছে। তবে স্মার্টফোন এসব অ্যাপ থাকা মানেই বিপদ ঘটতে পারে। এসব অ্যাপের মধ্যে রয়েছে ক্যামেরা ও ব্যাটারির অ্যাপ, প্রয়োজনীয় তথ্য, ছবি, ভিডিও ধারণ করার বিভিন্ন অ্যাপ।

বিপজ্জনক ২৪ অ্যাপের তালিকা দেখে নিন: ওয়ার্ল্ড জু, ওয়ার্ড ক্রাশ, ওয়ার্ড ক্রসি, ওয়েদার ফোরকাস্ট, ভাইরাস ক্লিনার ২০১৯, টার্বো পাওয়ার, সুপার ক্লিনার, সুপার ব্যাটারি, সাউন্ড রেকর্ডার, সকার পিনবল, পাজল বক্স, প্রাইভেট ব্রাউজার, নেট মাস্টার, মিউজিক রোম, লেজার ব্রেকার, জয় লঞ্চার, হাই ভিপিএন, ফ্রি ভিপিএন, হাই ভিপিএন প্রো, হাই সিকিউরিটিজ ২০১৯, ফাইল ম্যানেজার, ডিগ ইট, ক্যান্ডি সেলফি ক্যামেরা, ক্যান্ডি গ্যালারি, ক্যালেন্ডার লাইট।

Source: Prothomalo

13


টম অ্যান্ড জেরিকে বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে পরিচিত ডুয়েটের একটি হিসেবে ধরা হয়। ইঁদুর-বিড়াল যুগলের এ কাহিনি নির্মাণের চিন্তাটি আসে, যখন নির্মাতা বিল হ্যান্না ও জো বারবেরা একেবারে খাদের কিনারায় ছিলেন। তারা কাজ করতেন প্রযোজক সংস্থা এমজিএম’র অ্যানিমেশন বিভাগে।

জানা যায়, দু’জনেরই বয়স তখন ত্রিশের নিচে। তারা অনেকটা বিরক্ত হয়েই ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করতে থাকেন। তখন বারবেরা প্রস্তাব করেন ইঁদুর ও বিড়ালের প্রতিদিনের খুনসুঁটির কাহিনি নিয়ে অ্যানিমেশন তৈরি করার। যদিও এর আগে অনেকবার এ পটভূমিতে কার্টুন তৈরি হয়েছে।



সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৪০ সালে তারা প্রথমবার প্রকাশ করেন ‘পুস গেটস দ্য বুটস’। প্রথম ছবিটিই সফলতা পায়। নির্মাতা স্টুডিও সেরা অ্যানিমেটেড শর্টফিল্ম বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পায়। কিন্তু যারা তৈরি করেছিল, তাদের কোনো কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি।

প্রথম পর্বে ইঁদুর ও বিড়ালের নাম ছিল ‘জ্যাসপার’ ও ‘জিঙ্কস’। পরে তা পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘টম’ ও ‘জেরি’। কার্টুনের চরিত্রদের সব কার্যকলাপ ফুটিয়ে তোলে স্কট ব্র্যাডলির আবহ সংগীত। টমের মানুষের মত চিৎকারের কণ্ঠ দেন হ্যান্না।



পরের দুই দশকে প্রায় ১০০টি ছোট পরিসরের কার্টুন তৈরির পেছনে ছিলেন হ্যান্না ও বারবেরা। প্রতিটি পর্ব তৈরি করতে কয়েক সপ্তাহ লাগতো এবং প্রায় ৫০ হাজার ডলার খরচ হতো। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকে বিখ্যাত এই কার্টুন। তোপের মুখে পড়েন কখনো কখনো।

আপাত দৃষ্টিতে সহিংস কিছু কাহিনির চিত্রায়ন ও ইঙ্গিতপূর্ণ হাস্যরসাত্মক দৃশ্যপট থাকলেও বিশ্বজুড়ে এখনো দারুণ জনপ্রিয় টম অ্যান্ড জেরি। নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আশি বছরে পা রেখেছে বহুল পরিচিত এ কাহিনি। যা নিয়ে গীতিনাট্যভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রও তৈরি করা হয়। ওই ছবিতে চরিত্রগুলো গান গাইতো এবং কথাও বলতো।

নির্মাতা বিল হ্যান্না মারা যান ২০০১ সালে। জো বারবেরার মারা যান ২০০৬ সালে। মারা যাওয়ার এক বছর আগে জো বারবেরা শেষবারের মতো টম অ্যান্ড জেরির একটি পর্ব তৈরি করেছিলেন। যেটি ছিল সঙ্গী বিল হ্যান্নাকে ছাড়া তার তৈরি করা টম অ্যান্ড জেরির প্রথম পর্ব।



টম অ্যান্ড জেরির বর্তমান স্বত্ত্বাধিকারী ওয়ার্নার ব্রাদার্স এ বছরের বড়দিনের আগে নতুন একটি লাইভ-অ্যাকশন ফিল্ম বাজারে ছাড়বে। তাতে ক্লো গ্রেস মোরেৎজ ও কেন জেওং কাজ করবেন। এছাড়া এ সম্পর্কে বিশেষ আর কিছু জানা যায়নি।

টম অ্যান্ড জেরি এখনো শিশুদের কাছে জনপ্রিয়। হ্যান্না ও বারবেরার এই অমর কীর্তি শিশুদের আজীবন আনন্দ দিয়ে যাবে। শত-সহস্র বছর পেরিয়ে যাবে এর আবেদন ও গ্রহণযোগ্যতা।

Source: jagonews24

14
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল হ্যাকারদের একটি গ্রুপ। শুক্রবার বিকেলে ‘আওয়ারমাইন’ নামে ওই হ্যাকিং গ্রুপটি ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম হ্যাকিংয়ের পর ‘এমন কি ফেসবুকও হ্যাক করা সম্ভব’ লিখে সতর্কবার্তা দেয়।



আওয়ারমাইন বলছে, সাইবার দুর্বলতা তুলে ধরার প্রচেষ্টা হিসেবে তারা এ হামলা চালিয়েছে। জানুয়ারিতে তারা মার্কিন জাতীয় ফুটবল লিগের বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিল।

ফেসবুকের টুইটার অ্যাকাউন্টে গ্রুপটি এক বিবৃতি পোস্ট করে। যাতে লেখা হয়, ‘আমরা আওয়ারমাইন। বেশ, তাহলে ফেসবুকও হ্যাক করা সম্ভব কিন্তু তাদের নিরাপত্তা টুইটারের তুলনায় ভালো।’

তারা ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও হ্যাক করে সেখানে আওয়ারমাইনের একটি লোগো পোস্ট করে।

এদিকে টুইটার নিশ্চিত করেছে যে, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এ হ্যাকিং করা হয়েছে এবং বুঝতে পাওয়ার পর সেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তারা বলে, ‘বুঝতে পারার সাথে সাথে আমরা সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছি এবং ফেসবুকে আমাদের অংশীদারদের সাথে মিলে সেগুলো পুনরুদ্ধারে কাজ করছি।’

আওয়ারমাইন হচ্ছে দুবাই ভিত্তিক একটি হ্যাকিং গ্রুপ, যারা এর আগে বিভিন্ন করপোরেশন এবং হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে হামলা চালিয়েছে। অতীতে, টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি এবং গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাইয়ের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট এবং নেটফ্লিক্স ও ইএসপিএনের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিল তারা।

গ্রুপটি দাবি, নিরাপত্তার অভাবটিকে দেখানোর জন্যই তারা এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকে। এ ধরনের হামলার শিকার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তারা নিজেদের সেবা ব্যবহারেরও নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

Source: jagonews24

15
বতর্মানে বাংলাদেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু রয়েছে। এদিকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কিছু দেশে এই নেটওয়ার্ক চালু হলেও এখন অনেক দেশে তা বিস্তৃত করার কাজ চলছে।

ফাইভ-জির এই অবস্থার মধ্যে সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা দিয়েছে চীন। ইতোমধ্যে দেশটির সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয় সিক্স-জির প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। এই দ্রুতগামী ইন্টারনেট ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও করে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি।



বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিক্স-জির গতি হবে ফাইভ-জির চেয়ে ৮ হাজার গুণ বেশি। সেই হিসাবে সিক্স-জির গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ টেরাবাইট।

সিক্স-জি নিয়ে গবেষণা কাজের জন্য দুটি গ্রুপ করেছে চীন। এর একটি করা হয়েছে এক্সিকিউটিবদের নিয়ে, যারা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে থেকে কাজটির দেখভাল করবে। আরেকটি গ্রুপ করা হয়েছে একেবারে টেকনিক্যালদের নিয়ে, যারা কাজটি করবে।

দুটি গ্রুপে বিভিন্ন বিষয়ের ৩৭ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, প্রযুক্তি কোম্পানিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজগুলো করবে।

ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে অন্তত ১০ বছর সময় লেগেছে চীনের। সিক্স-জির উন্নয়নে এখন কাজ শুরু করলে তা সফল হতে অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা। অবশ্য চীনের আগেই সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ইলেক্ট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং। গত বছরের জুনেই সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে তারা।

Source: jagonews24

Pages: [1] 2 3