Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Forman

Pages: 1 [2] 3 4
16
যাঁরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের অ্যাপ ডাউনলোডের সময় সতর্ক থাকতে হবে। এখন অনেক জনপ্রিয় অ্যাপের ছদ্মবেশে ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম স্মার্টফোনে ঢুকে সর্বনাশ ঘটাতে পারে। স্মার্টফোনে এসব প্রোগ্রাম চালু থাকলে গোপনে ফোনের কার্যকলাপের তথ্য পাচার করে দেয়। গোয়েন্দাগিরির শিকার হতে পারেন অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তাই গুগলের প্লেস্টোরে থেকে ডাউনলোড করা কয়েকটি অ্যাপ দ্রুত সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন।



ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিপিএন প্রোর পক্ষ থেকে ২৪টি বিপজ্জনক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। এসব অ্যাপ ইতিমধ্যে ৩৮ কোটি ২০ লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে। মোবাইল ফোন থেকে তথ্য সরানোর অভিযোগে গুগল ইতিমধ্যে এসব অ্যাপ সরিয়ে দিয়েছে। তবে স্মার্টফোন এসব অ্যাপ থাকা মানেই বিপদ ঘটতে পারে। এসব অ্যাপের মধ্যে রয়েছে ক্যামেরা ও ব্যাটারির অ্যাপ, প্রয়োজনীয় তথ্য, ছবি, ভিডিও ধারণ করার বিভিন্ন অ্যাপ।

বিপজ্জনক ২৪ অ্যাপের তালিকা দেখে নিন: ওয়ার্ল্ড জু, ওয়ার্ড ক্রাশ, ওয়ার্ড ক্রসি, ওয়েদার ফোরকাস্ট, ভাইরাস ক্লিনার ২০১৯, টার্বো পাওয়ার, সুপার ক্লিনার, সুপার ব্যাটারি, সাউন্ড রেকর্ডার, সকার পিনবল, পাজল বক্স, প্রাইভেট ব্রাউজার, নেট মাস্টার, মিউজিক রোম, লেজার ব্রেকার, জয় লঞ্চার, হাই ভিপিএন, ফ্রি ভিপিএন, হাই ভিপিএন প্রো, হাই সিকিউরিটিজ ২০১৯, ফাইল ম্যানেজার, ডিগ ইট, ক্যান্ডি সেলফি ক্যামেরা, ক্যান্ডি গ্যালারি, ক্যালেন্ডার লাইট।

Source: Prothomalo

17


টম অ্যান্ড জেরিকে বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে পরিচিত ডুয়েটের একটি হিসেবে ধরা হয়। ইঁদুর-বিড়াল যুগলের এ কাহিনি নির্মাণের চিন্তাটি আসে, যখন নির্মাতা বিল হ্যান্না ও জো বারবেরা একেবারে খাদের কিনারায় ছিলেন। তারা কাজ করতেন প্রযোজক সংস্থা এমজিএম’র অ্যানিমেশন বিভাগে।

জানা যায়, দু’জনেরই বয়স তখন ত্রিশের নিচে। তারা অনেকটা বিরক্ত হয়েই ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করতে থাকেন। তখন বারবেরা প্রস্তাব করেন ইঁদুর ও বিড়ালের প্রতিদিনের খুনসুঁটির কাহিনি নিয়ে অ্যানিমেশন তৈরি করার। যদিও এর আগে অনেকবার এ পটভূমিতে কার্টুন তৈরি হয়েছে।



সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৪০ সালে তারা প্রথমবার প্রকাশ করেন ‘পুস গেটস দ্য বুটস’। প্রথম ছবিটিই সফলতা পায়। নির্মাতা স্টুডিও সেরা অ্যানিমেটেড শর্টফিল্ম বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পায়। কিন্তু যারা তৈরি করেছিল, তাদের কোনো কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি।

প্রথম পর্বে ইঁদুর ও বিড়ালের নাম ছিল ‘জ্যাসপার’ ও ‘জিঙ্কস’। পরে তা পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘টম’ ও ‘জেরি’। কার্টুনের চরিত্রদের সব কার্যকলাপ ফুটিয়ে তোলে স্কট ব্র্যাডলির আবহ সংগীত। টমের মানুষের মত চিৎকারের কণ্ঠ দেন হ্যান্না।



পরের দুই দশকে প্রায় ১০০টি ছোট পরিসরের কার্টুন তৈরির পেছনে ছিলেন হ্যান্না ও বারবেরা। প্রতিটি পর্ব তৈরি করতে কয়েক সপ্তাহ লাগতো এবং প্রায় ৫০ হাজার ডলার খরচ হতো। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকে বিখ্যাত এই কার্টুন। তোপের মুখে পড়েন কখনো কখনো।

আপাত দৃষ্টিতে সহিংস কিছু কাহিনির চিত্রায়ন ও ইঙ্গিতপূর্ণ হাস্যরসাত্মক দৃশ্যপট থাকলেও বিশ্বজুড়ে এখনো দারুণ জনপ্রিয় টম অ্যান্ড জেরি। নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আশি বছরে পা রেখেছে বহুল পরিচিত এ কাহিনি। যা নিয়ে গীতিনাট্যভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রও তৈরি করা হয়। ওই ছবিতে চরিত্রগুলো গান গাইতো এবং কথাও বলতো।

নির্মাতা বিল হ্যান্না মারা যান ২০০১ সালে। জো বারবেরার মারা যান ২০০৬ সালে। মারা যাওয়ার এক বছর আগে জো বারবেরা শেষবারের মতো টম অ্যান্ড জেরির একটি পর্ব তৈরি করেছিলেন। যেটি ছিল সঙ্গী বিল হ্যান্নাকে ছাড়া তার তৈরি করা টম অ্যান্ড জেরির প্রথম পর্ব।



টম অ্যান্ড জেরির বর্তমান স্বত্ত্বাধিকারী ওয়ার্নার ব্রাদার্স এ বছরের বড়দিনের আগে নতুন একটি লাইভ-অ্যাকশন ফিল্ম বাজারে ছাড়বে। তাতে ক্লো গ্রেস মোরেৎজ ও কেন জেওং কাজ করবেন। এছাড়া এ সম্পর্কে বিশেষ আর কিছু জানা যায়নি।

টম অ্যান্ড জেরি এখনো শিশুদের কাছে জনপ্রিয়। হ্যান্না ও বারবেরার এই অমর কীর্তি শিশুদের আজীবন আনন্দ দিয়ে যাবে। শত-সহস্র বছর পেরিয়ে যাবে এর আবেদন ও গ্রহণযোগ্যতা।

Source: jagonews24

18
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল হ্যাকারদের একটি গ্রুপ। শুক্রবার বিকেলে ‘আওয়ারমাইন’ নামে ওই হ্যাকিং গ্রুপটি ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম হ্যাকিংয়ের পর ‘এমন কি ফেসবুকও হ্যাক করা সম্ভব’ লিখে সতর্কবার্তা দেয়।



আওয়ারমাইন বলছে, সাইবার দুর্বলতা তুলে ধরার প্রচেষ্টা হিসেবে তারা এ হামলা চালিয়েছে। জানুয়ারিতে তারা মার্কিন জাতীয় ফুটবল লিগের বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিল।

ফেসবুকের টুইটার অ্যাকাউন্টে গ্রুপটি এক বিবৃতি পোস্ট করে। যাতে লেখা হয়, ‘আমরা আওয়ারমাইন। বেশ, তাহলে ফেসবুকও হ্যাক করা সম্ভব কিন্তু তাদের নিরাপত্তা টুইটারের তুলনায় ভালো।’

তারা ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও হ্যাক করে সেখানে আওয়ারমাইনের একটি লোগো পোস্ট করে।

এদিকে টুইটার নিশ্চিত করেছে যে, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এ হ্যাকিং করা হয়েছে এবং বুঝতে পাওয়ার পর সেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তারা বলে, ‘বুঝতে পারার সাথে সাথে আমরা সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছি এবং ফেসবুকে আমাদের অংশীদারদের সাথে মিলে সেগুলো পুনরুদ্ধারে কাজ করছি।’

আওয়ারমাইন হচ্ছে দুবাই ভিত্তিক একটি হ্যাকিং গ্রুপ, যারা এর আগে বিভিন্ন করপোরেশন এবং হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে হামলা চালিয়েছে। অতীতে, টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি এবং গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাইয়ের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট এবং নেটফ্লিক্স ও ইএসপিএনের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিল তারা।

গ্রুপটি দাবি, নিরাপত্তার অভাবটিকে দেখানোর জন্যই তারা এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকে। এ ধরনের হামলার শিকার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তারা নিজেদের সেবা ব্যবহারেরও নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

Source: jagonews24

19
বতর্মানে বাংলাদেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু রয়েছে। এদিকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কিছু দেশে এই নেটওয়ার্ক চালু হলেও এখন অনেক দেশে তা বিস্তৃত করার কাজ চলছে।

ফাইভ-জির এই অবস্থার মধ্যে সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা দিয়েছে চীন। ইতোমধ্যে দেশটির সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয় সিক্স-জির প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। এই দ্রুতগামী ইন্টারনেট ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও করে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি।



বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিক্স-জির গতি হবে ফাইভ-জির চেয়ে ৮ হাজার গুণ বেশি। সেই হিসাবে সিক্স-জির গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ টেরাবাইট।

সিক্স-জি নিয়ে গবেষণা কাজের জন্য দুটি গ্রুপ করেছে চীন। এর একটি করা হয়েছে এক্সিকিউটিবদের নিয়ে, যারা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে থেকে কাজটির দেখভাল করবে। আরেকটি গ্রুপ করা হয়েছে একেবারে টেকনিক্যালদের নিয়ে, যারা কাজটি করবে।

দুটি গ্রুপে বিভিন্ন বিষয়ের ৩৭ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, প্রযুক্তি কোম্পানিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজগুলো করবে।

ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে অন্তত ১০ বছর সময় লেগেছে চীনের। সিক্স-জির উন্নয়নে এখন কাজ শুরু করলে তা সফল হতে অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা। অবশ্য চীনের আগেই সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ইলেক্ট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং। গত বছরের জুনেই সিক্স-জি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে তারা।

Source: jagonews24

20
Internet / আলো দিয়ে চলবে ইন্টারনেট!
« on: February 08, 2020, 03:41:00 PM »
যখন এই আলোগুলো চালু হয়, তখন শুধু ঘরটিই উজ্জ্বল হয় না, তথ্যও প্রচার হয়। বার্লিনের ফ্রাউনহফার হাইনরিশ হারৎস ইন্সটিটিউটের এই গবেষকরা আলো ব্যবহার করে তারহীন তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছেন। এই প্রযুক্তি 'লাইফাই' নামে পরিচিত। ইংরেজি ‘লাইট ফেডালিটি' শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ এটি।



এলইডি ল্যাম্পের মাধ্যমে কাজ করে লাইফাই। এলইডি বাতি অত্যন্ত দ্রুত বন্ধ ও চালু করা যায়। রিসিভার ডিভাইসে থাকা সেন্সরগুলো সিগন্যাল গ্রহণ করে। সিগন্যাল ট্রান্সমিটারের গতিও অনেক। লাইফাই অত্যন্ত বিস্তৃত স্পেকট্রাম ব্যবহার করে যা ইতিবাচক ব্যাপার। আমাদের সিলিং লাইট থেকে তারহীন প্রযুক্তিতে তথ্যও দ্রুত সরবরাহ করা যায়৷ কিন্তু এটা কি আমাদের দৃষ্টিশক্তির জন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে?

ফ্রাউনহফার হাইনরিশ হারৎস ইন্সটিটিউটের আনাগ্নোস্টিস পারাস্কেভোপিওস বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি সারাক্ষণ মিটমিট করে জ্বলে? উত্তর হচ্ছে না, যা এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি। এক্ষেত্রে খুব চমৎকার সামঞ্জস্য আনা হয়েছে। সেটা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে চোখের পক্ষে সনাক্ত করা সম্ভব না হয়৷

এখানে জ্বলতে থাকা সবুজ আলোগুলো শুধু ডিজাইন উপকরণ হিসেবে কাজ করছে। বার্লিনের বিজ্ঞানীরা এই ডিভাইসগুলো সম্প্রতি তৈরি করেছেন। সবুজ আলো দেখলে বোঝা যায় যে এগুলো কাজ করছে। এই অপটিক্যাল তারহীন ব্যবস্থা কাজ করার ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হচ্ছে- তথ্যে প্রেরণ আর গ্রহণ করার যন্ত্রের মধ্যে ভিজ্যুয়াল সংযোগ থাকতে হবে। আলোর সূত্র যদি বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে সিগন্যাল পাওয়া যাবে না। তথ্য সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

উনহফার হাইনরিশ হারৎস ইন্সটিটিউটের আনাগ্নোস্টিস পারাস্কেভোপিওস বলেন, অপটিক্যাল ডেটা কানেকশনের একটি সুবিধা হচ্ছে এটাকে সহজেই এক ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়। এজন্য আমার শুধু জানালার পর্দা নামিয়ে ফেলতে হবে। আর তখন এই ব্যবস্থায় সরবরাহ করা সব তথ্য ঘরের মধ্যেই থেকে যাবে। রেডিও লিংকের সঙ্গে তুলনা করলে এটা একটা বড় সুবিধা। কারণ অন্য ব্যবস্থায় ঘরের বাইরে থাকা ডিভাইসও একই তথ্য গ্রহণ করার সুযোগ থেকে যায়।

তথ্য সরবরাহের এই ব্যবস্থায় বাইরে থেকে বিঘ্ন ঘটানোও সম্ভব নয়। আলোভিত্তিক এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা ইতোমধ্যে গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন এই প্রযুক্তির রিসিভার হচ্ছে এই বাক্সটি।

পাশাপাশি অন্যান্য লাইফাই ডিভাইসগুলোকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে সেগুলোর অন্তত একটি সবসময় রিসিভারের দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকে। ফলে রোবটটি সার্বক্ষণিক নড়াচড়ার মধ্যে থাকলেও তথ্য সরবরাহ কোনো বিঘ্ন ঘটছে না। আর এই প্রকল্পের জন্য এটা এক বড় সাফল্য।

আনাগ্নোস্টিস বলেন, আমার মত হচ্ছে, এই প্রযুক্তি প্রথমে একটি শিল্পখাতে প্রয়োগ করা উচিত। কেননা সেখানেই এটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট কিছু চাহিদা পূরণ করতে পারি এবং একইসঙ্গে এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের আরো সুযোগ রয়েছে।

পরবর্তীতে আলোর মাধ্যমে তথ্য সরবরাহের এই ব্যবস্থা আমাদের নিত্যদিনের কাজকর্মেও ব্যবহার করা যাবে। যেমন মিউজিয়াম এবং গণপরিবহনে এটা কাজে লাগতে পারে। বিশেষ করে এমন পরিবেশে যেখানে একসঙ্গে অনেক মানুষ রয়েছে কিংবা যেখানে সাধারণ তারহীন প্রযুক্তি ব্যবহারে জটিলতা রয়েছে। তবে, সেসবের আগে বেশি কিছু সমস্যাও সমাধান করতে হবে।

গবেষকরা আগামী তিন বছরের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধানের আশা করছেন। আর তখন নিত্যদিনে ব্যবহার করা যাবে লাইফাই।

Source: Kalerkontho

21
ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অনলাইনে লেনদেন–সম্পর্কিত তথ্য চুরির ক্ষেত্রে ফেসবুককে বেশি কাজে লাগাচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। ফিশিং বা ক্ষতিকর লিংকযুক্ত মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে ফেসবুককে নকল করার হার এখন সবচেয়ে বেশি।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব ব্যস্ত অনলাইন কেনাকাটার মৌসুমের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান চেকপয়েন্ট সফটওয়্যার টেকনোলজিস। তাদের সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদনটি গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে।



চেকপয়েন্টের থ্রেট ইনটেলিজেন্স শাখা চেকপয়েন্ট রিসার্চের গবেষকেরা বলেন, সবচেয়ে বেশি ই-মেইল ফিশিং আক্রমণের শিকার হওয়া ব্র্যান্ডের শীর্ষে ছিল ইয়াহু। সুইডেনের মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ স্পটিফাইকে ওয়েবভিত্তিক ফিশিং আক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নকল করা হয়।

ব্র্যান্ড ফিশিং আক্রমণের ক্ষেত্রে সাইবার দুর্বৃত্তরা কোনো অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা পরিচিত কোনো ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট নকল করে। এ ক্ষেত্রে তারা কাছাকাছি ডোমেইন নেম ও ইউআরএল বা ওয়েবপেজ ডিজাইন নকল করে প্রকৃত সাইটের মতোই তৈরি করে।

ভুয়া ওয়েবসাইটে একধরনের ফরম থাকে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের ‘ব্র্যান্ড ফিশিং রিপোর্ট’ অনুযায়ী, সাইবার দুর্বৃত্তরা নানা রকম কৌশল খাটিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার কারকারীদের ধোঁকা দেয়।

থ্রেট ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের পরিচালক মায়া হরোইজ বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে বা লগইনসংক্রান্ত পাসওয়ার্ড পেতে নানা রকম কৌশল নিতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা। সাধারণত স্প্যাম মেইল বা কোনো কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে পাঠানো ক্ষতিকর লিংকযুক্ত মেইল এ ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়েবপেজের মতো নকল ওয়েবপেজ তৈরি করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট আক্রমণ পরিচালনা করে দুর্বৃত্তরা। নেটফ্লিক্স, পেপ্যাল ও মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইটের নকলও করে তারা।

Source: Prothomalo

22
Online Money Earning / অনলাইনে ছবি বিক্রি
« on: February 04, 2020, 10:28:41 AM »
অনেকের জন্য ফটোগ্রাফি একটি নেশা, আবার অনেকের জন্য পেশা। নেশা বা পেশা যা-ই হোক না কেন, চাইলে ভালো মানের ছবি অনলাইনে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব। ডিএসএলআর ক্যামেরাই হোক আর ভালো মোবাইল ফোন ক্যামেরাই হোক, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ক্রেতার চাহিদা পূরণে সক্ষম যেকোনো ছবিই বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।



ছবির অনলাইন বাজার

অনলাইনে ছবি বিক্রি করার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট আছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করার শর্তাবলি ভিন্ন ভিন্ন হয়। একেকটি ওয়েবসাইটে লাখ লাখ ছবি বিভাগ অনুযায়ী সাজানো থাকে ক্রেতাদের প্রদর্শনের জন্য। আর অনলাইনে ছবি ক্রেতার সংখ্যাও কম নয়। শাটার স্টক, আই-স্টক ফটো, অ্যালামাই, ফটোলিয়া (অ্যাডোবি স্টক), ক্রেস্টক, বিগস্টকফটো, গেটি ইমেজেস, ড্রিমসটাইমসহ আরও অনেক মার্কেটপ্লেসে ছবি বিক্রি করা যায়।

নিবন্ধন ও মান যাচাই
প্রতিটি ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করার আগে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করতে হয়। কাজের মান যাচাইয়ের জন্য ওয়েবসাইটে নির্দিষ্টসংখ্যক ছবি জমা দিতে হয় অথবা পোর্টফোলিও তৈরি করতে হয়। মান যাচাইয়ের পর উত্তীর্ণ ছবিগুলো ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।

কারা কেনেন, কেন কেনেন

বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, গণমাধ্যম, ব্লগ ও অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো মূলত তাদের কাজে ব্যবহারের জন্য ছবি কিনে থাকে। সব ধরনের ছবিই বিক্রি হতে পারে। ছবির বিষয়বস্তু হতে পারে প্রকৃতি, ভ্রমণ, খাবারদাবার, সাজসজ্জা, শিক্ষা, চিকিৎসা, আন্দোলন, যানবাহন, যন্ত্রপাতি, সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্ক ইত্যাদি। প্রাতিষ্ঠানিক কাজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে কপিরাইটমুক্ত ছবি। গুগল ইমেজ সার্চ থেকে সরাসরি ছবি নিলে স্বত্ব নিয়ে ঝামেলা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তারা গুগল থেকে সরাসরি ছবি না নিয়ে অনলাইন বাজার থেকে কপিরাইটমুক্ত ছবি কিনে থাকেন।

কত সম্মানী পাওয়া যায়

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যায়, তার একটি অংশ ছবির মালিককে সম্মানী হিসেবে দেওয়া হয়। ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করে থাকে। দৈনিক বা মাসিক ছবির সংখ্যার ওপর প্যাকেজের মূল্য নির্ধারিত হয়। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট ভেদে ছবি বিক্রির ২০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছবির মালিককে সম্মানী হিসেবে দেওয়া হয়। তবে একজন বিক্রেতা যদি একটি নির্দিষ্ট ছবি শুধু একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে (এক্সক্লুসিভলি) বিক্রি করেন, তাহলে বেশি সম্মানী পেতে পারেন আর যদি একটি নির্দিষ্ট ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে (নন-এক্সক্লুসিভলি) বিক্রি করেন, তাহলে সম্মানীর পরিমাণ কমে যেতে পারে। সম্মানীর পরিমাণ কম হলেও ছবি বিক্রির পরিমাণ বেশি হলে কোনো নির্দিষ্ট মার্কেটপ্লেস থেকে বেশি আয় করা সম্ভব।

যা খেয়াল রাখা উচিত

কাজ শুরুর আগে নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখা ভালো।

১. নিবন্ধন করার আগে মার্কেটপ্লেসের শর্তাবলি ভালোভাবে জেনে নেওয়া

২. বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে স্থান পাওয়া ছবিগুলো দেখে ছবির মান ও ধরন সম্পর্কে ধারণা নেওয়া

৩. ছবির রেজল্যুশন ও উচ্চতা-প্রস্থের অনুপাত সম্পর্কে সচেতন থাকা

৪. ছবিতে আলোর পরিমাণ যথাযথ রাখা

৫. ছবিটি কেনার পর ক্রেতার যেন খুব বেশি সম্পাদনার প্রয়োজন না পড়ে, সেদিকে নজর রাখা

৬. বাংলাদেশ থেকে টাকা তোলা যাবে কি না

৭. কত শতাংশ সম্মানী হিসেবে পাওয়া যাবে

৮. কত দিন পরপর টাকা তোলা যাবে

৯. সর্বনিম্ন কত টাকা তোলা যাবে

Source: Prothomalo

23
এখন অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং বা ঘরে বসে করা যায়, এমন কাজ খোঁজেন। গুগল তাদের সার্চ ফিচারে এমন সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। গুগলে চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করার বছরখানেক পরে চাকরি খোঁজার ফিচারে নতুন এ সুবিধা যুক্ত করছে গুগল।



গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিয়োগদাতা ও চাকরি দেওয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সাহায্য করার পাশাপাশি আরও বেশি চাকরিপ্রার্থীকে যুক্ত করতে উন্নত চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করছে গুগল। এতে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি ঘরে বসে বা দূরে বসে কাজ করার সুবিধা পাওয়া যাবে।

যাঁরা ঘরে বসে কাজ খোঁজেন, তাঁদের জন্য এই ফাংশন দারুণ কাজে দেবে। গুগলের ক্লাউড পণ্য ব্যবস্থাপক জেনিফার সু গত বুধবার এক ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানান।

গুগল তাদের সাইটে ১০০টি ভাষার চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করেছে।

গুগল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন গুগল সার্চ ব্যবহারকারীরা ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা আছে, এমন কাজ খুঁজছেন বেশি। তাঁদের কথা ভেবেই নতুন সুবিধা আনা হচ্ছে।

Source: Prothomalo

24
ছাত্রছাত্রী, কর্মজীবী বা গৃহিণী, অনেকেই শখের বশে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। কিন্তু লেখার মান ভালো হলে এই শখের কাজ থেকেই আয় করা সম্ভব। তা ছাড়া আপনার লেখা প্রিন্ট মাধ্যম বা অনলাইনে প্রকাশিত হলে আপনি সবার কাছ থেকে পাবেন বাড়তি কদর। অফলাইন ও অনলাইন দুইভাবেই কনটেন্ট রাইটিংয়ের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। দেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের জন্য আর্টিকেল লিখে অফলাইনে আয় করা যায়। আর অনলাইনে আয় করতে আপওয়ার্ক, ফিভার, ফ্রিল্যান্সারসহ অন্যান্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিবন্ধন করে খুঁজে নিতে হবে নিজের পছন্দের লেখালেখির কাজটি।

কনটেন্ট রাইটার হতে হলে কী কী যোগ্যতা লাগে

যে কেউই কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন। কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন চাকরি করতে চাইলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হতে পারে। তবে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে বা অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। লেখার ভালো হাত থাকলে যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই ভালো কনটেন্ট রাইটার হওয়া সম্ভব। ভাষাগত দক্ষতা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে যে কেউই স্বাধীন আয়ের উৎস হিসেবে বিভিন্ন কনটেন্ট লিখতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং কী কী ধরনের হতে পারে

বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ দিয়ে থাকেন। কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তার মধ্যে কিছু ধরন হলো ওয়েবসাইট কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগ রাইটিং, ই-বুক রাইটিং, নিউজ কনটেন্ট রাইটিং, এসইও কনটেন্ট রাইটিং, অ্যাফিলিয়েট কনটেন্ট রাইটিং, পণ্যের রিভিউ লেখা, পণ্যের বর্ণনা লেখা, একাডেমিক কনটেন্ট রাইটিং, সিভি রাইটিং, ট্রান্সক্রিপশন রাইটিং, গবেষণার কাজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ও ব্রশিউর রাইটিং ইত্যাদি। তা ছাড়া রি-রাইটিং, প্রুফরিডিং ও এডিটিংয়ের কাজও করা যায়।

পেশা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট রাইটিং থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব, তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। দেশের পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের জন্য আর্টিকেল লিখলে প্রতিটি লেখা ছাপা হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্মানী পাওয়া যায়। অন্যদিকে বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমের উল্লেখযোগ্য প্রসারের কারণে প্রয়োজন পড়ছে অধিক সংখ্যক অনলাইন কনটেন্টের। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একেকটি কাজ জমা দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার আয় করা সম্ভব। অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে শুরুর দিকে উচিত কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ভালো মানের কাজ প্রদান করে সেবাগ্রহীতার থেকে ভালো মন্তব্য আদায় করে নেওয়া। তবে প্রথমেই পূর্ণ পেশা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিংয়ের আয়ের ওপর নির্ভর না করে পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি লেখালেখির কাজটি চালিয়ে যাওয়া উচিত। অভিজ্ঞতা ও কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ভালো মানের কাজের বিপরীতে পারিশ্রমিকও বেশি পাওয়া যাবে। তখন কনটেন্ট রাইটিংকে পূর্ণ পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে।

ভালো কনটেন্ট তৈরির উপায়

কাজ পাওয়ার পর প্রথমেই বুঝে নিতে হবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কী উদ্দেশ্যে আপনি কনটেন্ট তৈরি করছেন। কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আপনি আপনার মেধা দিয়ে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।

● বিভিন্ন ভালো কনটেন্ট পড়ে একটি সামগ্রিক ধারণা তৈরি করা

● অন্যের কনটেন্ট কপি-পেস্ট না করে স্বতন্ত্র কনটেন্ট তৈরি করা

● বানান, ব্যাকরণ ও বাক্যের গঠনের দিকে খেয়াল রাখা

● নিশ্চিত না হয়ে অনুমানের ভিত্তিতে কোনো তথ্য না দেওয়া

● নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র উল্লেখ করা

● অনেক বড় প্যারাগ্রাফ না লিখে একেকটি বিষয়ের জন্য একেকটি ছোট প্যারাগ্রাফ তৈরি করা

● যথাযথ কি–ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা

● নিয়মিত চর্চা করা

Source: Prothomalo

25
এখন ফ্রিল্যান্সিং দারুণ আকর্ষণীয়। অনেকেই চাকরি না করে ফ্রিল্যান্সিং করার স্বপ্ন দেখেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদিকে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে তেমনি আয়ের পরিমাণও বেশি।



কাজের স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি কাজের স্থান ও সময়ের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না বলে অনেকেই এ পেশায় আসতে চান। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার আগে এ ক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জগুলোও জানা থাকা জরুরি। একাকিত্ব, রাত জেগে কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা, সামাজিক স্বীকৃতির আক্ষেপের মতো অনেক বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত।
বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার মনে করেন, অনেক সময় ক্লায়েন্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হয় বলে ফ্রিল্যান্সারকে দিন-রাত পরিশ্রম করা লাগে। এ ছাড়া চাকরিতে নির্দিষ্ট বেতন থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং কাজ সব সময় হাতে না–ও থাকতে পারে। কাজের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। যাঁরা চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাঁদের জন্য কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি। জেনে নিন বিষয়গুলো:

একাকিত্বের সঙ্গী প্রয়োজন
মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে একাকী করে দেবে। আপনার জীবনযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা হয়ে যাবে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে। রাতের বেলা জেগে কাজ করতে হবে। আপনার কাজে সহকর্মী না থাকায় নির্দিষ্ট সময় অফিসে যাওয়া লাগবে না। কাজের সময় তাই অফিসের পরিবেশ পাবেন না। তাত্ত্বিকভাবে এটা ভালো শোনালেও প্রকৃতপক্ষে আপনি একাকী হয়ে যাবেন। এই একাকিত্ব দূর করতে সাপোর্ট নেটওয়ার্ক থাকা জরুরি। এতে দিনের বেলা বা অন্য সময় গল্প-গুজব বা আড্ডা দিতে পারেন। তা না হলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা জরুরি। কাজের সময় নির্ধারিত না থাকায় সকাল–বিকেল কাজ করা লাগতে পারে, এ কারণে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়।

নিজের অর্থের ব্যবস্থাপনা
যখন বড় কোম্পানিতে কাজ করেন, তখন অনেক জটিল অর্থনৈতিক বিষয় কোম্পানি ঠিক করে রাখে। বিশেষ করে বেতন ও ট্যাক্সের মতো বিষয়টি। যখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো স্বাধীন কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তখন নিজের অর্থ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। সঠিক সময়ে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার পাশাপাশি অর্থ জমানোর মতো বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া প্রয়োজন। চাকরি শেষে যেমন পেনশনের সুবিধা থাকে, তেমনি নিজের কাজের শেষ বছরান্তে যাতে অর্থ গচ্ছিত থাকে, সে বিষয়টিতে ফ্রিল্যান্সারকে গুরুত্ব দিতে হবে।

অসুস্থতার জন্য অর্থ সাশ্রয়
অসুস্থ হলে চাকরিতে ছুটি পাওয়া যায়। আপনার কাজের জন্য অসুস্থতাজনিত বিরতি বা বছর শেষে বেড়ানোর মতো সময় রাখবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করলে তবে অর্থ পাবেন। যদি কাজ না করেন, তবে সে সময়গুলোতে আপনার অর্থ আসবে না। তাই ফ্রিল্যান্সিং বা স্ব–উদ্যোগে কাজ করার আগে থেকে অর্থ জমানোর অভ্যাস করা প্রয়োজন। অনেক সময় কাজ শুরু করার সময় হাতে অর্থ না–ও থাকতে পারে। কোন মাসে কত আয় করবেন, তারও কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না। কোনো মাসে অনেক আয় আসতে পারে, আবার কোনো মাস একেবারে শূন্য যেতে পারে। তাই আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য রাখা অবশ্যই উচিত। এ ছাড়া নিজের জন্য ছুটি রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

নিজের দক্ষতা বাড়ান
যাঁরা নতুন কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বেশ কঠিন। কাজ পাওয়া এখন অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও যাঁদের অনেক কাজদাতা আছে, তাঁদের জন্য সুবিধাও বেড়েছে। তাই যাঁদের ক্লায়েন্ট কম ও যাঁরা কাজ খুঁজছেন, তাঁরা অনলাইনে দারুণ পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এ ছাড়া শুরুতে কঠোর পরিশ্রম করুন। নিজের সম্মান ও দক্ষতা অর্জন করুন। ক্লায়েন্টকে আপনার কাজ দিয়ে, যোগাযোগ দক্ষতা দিয়ে মুগ্ধ করুন। পেশাদার আচরণ করুন। তবে সবার আগে প্রয়োজন নিজের দক্ষতাকে প্রমাণ করার। আপনি যে কাজে দক্ষ, তা ভালোভাবে চর্চা করুন। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে নিয়ে তা সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ইতিবাচক ফিডব্যাক নিন। এটাই আপনার উন্নতির চাবিকাঠি। যখন আপনি সফল হতে শুরু করবেন, তখন কোন সুযোগটি আপনার জন্য অধিক জুতসই, তা নির্বাচন করতে ভুলবেন না।

কাজ করুন দক্ষতা অনুযায়ী
আপনার দক্ষতা কি ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপযোগী? অনেকেই না বুঝে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে চান। মনে রাখবেন, এটা দক্ষ ব্যক্তিদের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রে সীমিত দক্ষতা নিয়ে টিকে থাকা কঠিন। আপনি কাজের ক্ষেত্র নষ্ট করলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাই কাজ না জেনে এ ক্ষেত্রে আসা উচিত হবে না। বাড়িতে বসে কাজ করার বিষয়টি আকর্ষণীয় হতে পারে। তবে এ কাজ শুরুর আগে এ ক্যারিয়ারে আসার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। ফাইবার, আপওয়ার্কের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর কারণে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি, যেমন ডিজাইন, মিউজিক ও অডিওর পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ও টেক খাতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাপক কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে এ খাতে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার আগে আপনি কোন খাতে ভালো করবেন, সেটি ভাবুন।

প্রয়োজন নিজস্ব প্রণোদনা
আপনি কি স্ব–উদ্যোগী? আপনার নিজের কাজ ঠিক রাখতে মোটিভেশন বা প্রণোদনার প্রয়োজন হবে। অনেক সময় ফ্রিল্যান্সিং খাতে কাজ করতে এসে ফ্রিল্যান্সাররা হতাশ হন। এমন সময়ে নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে। ফ্রিল্যান্সার মানে নিজের ব্যবসা, নিজেই ব্যবস্থাপক, নিজেই হিসাবরক্ষক। নিজের সঙ্গে মিটিং করতে হবে। সময়সীমার মধ্যে কাজ করার তাড়া থাকতে হবে। ক্রেতার প্রত্যাশা পূরণের তাড়া থাকতে হবে। অর্থাৎ, সব সময় নিজেকে কাজের চাপ, যোগাযোগের মতো বিষয়ে তটস্থ থাকতে হবে। তবে অনেক সময় হাতে কাজ না থাকতে পারে, তখন হতাশ হলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি কাজে ওঠানামা থাকে। নিজেকে মোটিভেশন দিতে হবে। নিজের কাজের প্রতি সদিচ্ছা ও আত্মনিয়োগ আপনাকে এগিয়ে রাখবে। নিজের কাজে শৃঙ্খলা থাকলে, স্বাধীন ও নমনীয় সময়ে কাজ করার সুবিধাও নিতে পারবেন।

Source: Prothomalo

26
গিগ ইকোনমি বা শেয়ারড অর্থনীতির ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাইড শেয়ারিং, ই-কমার্স, অনলাইন মার্কেটপ্লেস, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপভিত্তিক নানা কাজে যুক্ত হচ্ছেন দেশের তরুণেরা। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে গিগ অর্থনীতির দিক থেকে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই গিগ অর্থনীতির বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় আলোচিত হচ্ছে।



গিগ ইকোনমির সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে, ‘গিগ ইকোনমি’ এমন একটা পরিবেশ, যেখানে অস্থায়ী চাকরির ছড়াছড়ি থাকবে আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে স্বতন্ত্র কর্মীদের (ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্কার্স) নিয়োগ দেবে। তারা ফুল টাইম কর্মীদের চেয়ে ফ্রিল্যান্সারদের গুরুত্ব বেশি দেবে এবং বেশির ভাগ কাজ এই ফ্রিল্যান্সারদের দিয়েই করাবে। এই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতাকে বা এই রকম ফ্রিল্যান্স দক্ষতাগুলোকে বলা হচ্ছে, ‘গিগ ক্যাপাসিটি’। যেই দেশ বা শহর যত বেশি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ও গতিশীল, সেই দেশে বা শহরে এই ‘গিগ ক্যাপাসিটিসম্পন্ন’ লোকবলের দরকার বেশি হবে। মজার ব্যাপার হলো, এই গিগস রাই কিন্তু হবে শহুরে অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।

অর্থনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, উন্নত বিশ্বে এই ধারা ইতিমধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং ধারণা করা যাচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ আমেরিকান চাকরির এই ধারা (ট্রেন্ড) দ্বারা প্রভাবিত হবেন, যা আস্তে আস্তে পুরো বিশ্বে ছড়াবে। বাংলাদেশও ইতিমধ্যে গিগ অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গিগ ইকোনমির মতো বিষয়গুলোতে আগ্রহ বাড়ছে। গিগ ইকোনমিতে কাজের বিষয়গুলো কতটা সংগতিপূর্ণ বা টেকসই হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের হাত ধরে বাংলাদেশে গিগ ইকোনমির ধারাটি শুরু হয়েছে। এটা কতটা প্রভাব ফেলবে তা গবেষণা জরুরি। বিশ্বের অনেক দেশে এখন গিগ অর্থনীতি ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। অনেক কাজ হচ্ছে ঘরে বসে। বাজার অনেক প্রতিযোগিতামূলক আর দ্রুত পরিবর্তনশীল। দেশের গিগ ইকোনমি কোন পর্যায়ে, এখন তা জানাটা জরুরি। যে অর্থনীতির দিকে আমরা যাচ্ছি, তার আয় বণ্টন কেমন হবে, শ্রমিকেরা কতটুকু পাবেন, নতুন ধারা নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে এটা যে দেশের অর্থনীতির অন্যতম ধারা হবে, তা নিয়ে দ্বিমত নেই। তবে উদ্বেগের জায়গা হচ্ছে, মানসম্মত কর্মসংস্থান। এটা নিয়ে গবেষণা করে তার ফলাফলের ভিত্তিতে নীতিমালা তৈরিতে জোর দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এডিসন রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৪ সালের তুলনায় বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৩০০ গুণ বেড়েছে। প্রায় ৬ কোটি আমেরিকান বর্তমানে ফ্রিল্যান্সের সঙ্গে যুক্ত। এটা ধারণা করা হচ্ছে যে ২০২৭ সালের মধ্যে আমেরিকার বেশির ভাগ কর্মীই ফ্রিল্যান্সের সঙ্গে যুক্ত হবেন।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আপওয়ার্ক ও ফ্রিল্যান্সার্স ইউনিয়নের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট শ্রমশক্তির চেয়ে তিন গুণ দ্রুত বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং শ্রমশক্তি। এ ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি ব্লক চেইন, বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ফ্রিল্যান্সিং কর্মী নিয়োগের ইচ্ছা বড় ভূমিকা রাখবে।

দূর–নিয়ন্ত্রিত কর্মীদের চাহিদাও এখন বাড়ছে। ফ্লেক্সজবস নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কর্মকর্তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৭০টি ভার্চ্যুয়াল কোম্পানি কাজ করছে। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ২৬। এর মধ্যে রয়েছে অটোমেটিক, আনসার কানেক্ট, ইনভিশন ও টপটালের মতো বড় প্রতিষ্ঠান।

গিগ ইকোনমির দিক থেকে বিবেচনায় এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত। কিন্তু ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে এশিয়ার অন্যান্য দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সিং অ্যান্ড ক্রাউডসোর্সিং মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতে গিগ অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গিগ অর্থনীতির দিক থেকে ভারত বিশ্ব ও এশিয়া অঞ্চলে নেতৃত্ব দেবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশের গিগ ইকোনমি এগিয়ে নিতে ফ্রিল্যান্সার ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বড় ভূমিকা রাখছেন।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট (ওআইআই) ডিজিটাল গিগ ইকোনমি নিয়ে ২০১৭ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই তালিকায় গিগ ইকোনমিতে এশিয়ার দেশগুলোর প্রাধান্য দেখা যায়। ওই প্রতিবেদনে ছয়টি দেশের কথা তুলে ধরা হয়। এ ছয়টি দেশ গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সিং ইকোসিস্টেমের অনলাইন জবগুলোর অধিকাংশ পেয়ে থাকে।

ওই তালিকায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। বৈশ্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং সাপোর্ট কাজগুলো ভালোভাবে করে। বাংলাদেশের সফটওয়্যার নির্মাতাদের সংগঠন বেসিস সূত্রে জানা গেছে, দেশে এখন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ বিভিন্ন ধরনের বেশি আয়ের কাজগুলো বাড়ছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আরও দক্ষ কর্মী সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছে।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের (ওআইআই) ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে অনলাইনে শ্রমদাতা (আউটসোর্সিং) দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারত অন্য সব দেশের চেয়ে এগিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অনলাইনে শ্রমদান বা অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রে ভারত ২৪ শতাংশ অধিকার করেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ১৬ শতাংশ ও যুক্তরাষ্ট্র ১২ শতাংশ অধিকার করেছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, রাশিয়া, ইতালি ও স্পেন বাংলাদেশের পেছনে অবস্থান করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারনেট ফ্রিল্যান্স কাজ করা এবং ডিজিটালি তা ছাড় করানোর জন্য বৈশ্বিক বাজার সৃষ্টি করেছে এবং এই বাজার দ্রুত বাড়ছে। শীর্ষ পেশাদারির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লেখন ও অনুবাদ গুরুত্ব পাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতীয় উপমহাদেশে সফটওয়্যার উন্নয়ন ও প্রযুক্তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনলাইনে ফ্রিল্যান্স কাজের ক্রেতা-বিক্রেতাদের চারটি বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।

‘অনলাইন লেবার ইনডেক্স ওয়ার্কার সাপ্লিমেন্ট’ চারটি অনলাইন লেবার প্ল্যাটফর্ম, তথা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে সংগ্রহ করা হয়। এগুলো হচ্ছে ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, গুরু ও পিপলপার আওয়ার।

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে ভারতীয় উপমহাদেশের কর্মীদের প্রাধান্য দেখা যায়, যা এই খাতের ৫৫ শতাংশ। প্রফেশনাল সার্ভিস ক্যাটাগরিতে যুক্তরাজ্যের কর্মীদের প্রাধান্য দেখা যায়, যা এই খাতের ২২ শতাংশ।

সার্বিক বিবেচনায় ‘অনলাইন লেবার’-এ ‘সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, ক্রিয়েটিভ, মাল্টিমিডিয়া, ক্ল্যারিক্যাল, মাল্টিমিডিয়া ও ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানসহ বিপণন সহায়তায় বাংলাদেশ অন্য সব দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

গিগ অর্থনীতির বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সিং বাজারের বড় একটি গন্তব্য বাংলাদেশ। এ খাতের কর্মী সরবরাহে বাংলাদেশ ১৬ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখানে মাসে ৬০ মার্কিন ডলার মতো মাসিক আয়। সেখানে গিগ অর্থনীতি বা আউটসোর্সিং আর্থিক স্বাধীনতা ও আয় বাড়ানোর জন্য বড় সুযোগ। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী সে সুযোগ নিচ্ছে।

দেশে বসেই বিদেশের চারটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কর্মী নিয়োগ দেওয়া, মানবসম্পদ বিভাগ দেখাসহ প্রতিষ্ঠানের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন মেরিলিন আহমেদ। অনলাইনের একটি মার্কেটপ্লেস থেকেই তাঁর মাসে গড়ে দুই লাখ টাকা আয় হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্কে কাজ করা মেরিলিন বলেন, ঘরে বসে বাইরের এ কাজে দেশের তরুণদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ছে। অনেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে খণ্ডকালীন কাজ করছেন।

গিগ অর্থনীতি বা ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুযোগ খুঁজে দেয় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান সেবা এক্সওয়াইজেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ঈশা আবরার বলেন, কয়েক বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং কাজে আগ্রহ বাড়তে দেখা গেছে। তাঁদের সাইটে এ ধরনের কাজের ব্যবহারকারীর বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। যাঁরা এ ধরনের কাজের জন্য একা বা কয়েকজন মিলে উদ্যোগ নেন, তাঁদের বলে উদ্যোক্তা। ২০১৬ সালে তাঁদের সাইটে ছিলেন ১৪২ জন উদ্যোক্তা। ২০১৭ সালে তা ১ হাজার ৫০৮ জন, যা ২০১৮ সালে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজারে। ভালো উদ্যোক্তারা মাসে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা আয় করছেন।

‘অনলাইন লেবার ইনডেক্স ওয়ার্কার সাপ্লিমেন্ট’–এর তথ্য অনুযায়ী, গিগ অর্থনীতিতে পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুণ ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল গিগ অর্থনীতির ৮ শতাংশ পাকিস্তানের।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের ভাষ্য, বিশ্বে আউটসোর্সিং তালিকায় কর্মী সরবরাহে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে। এখানে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ লাখ কাজ করেন মাসিক আয়ের ভিত্তিতে। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ তরুণ। তাঁরা চাকরির বদলে ফ্রিল্যান্সিংকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন। বাংলাদেশে ১৬ শতাংশ তরুণের মধ্যে এখন ঘরে বসে ইন্টারনেটে আয় বা অনলাইনে কাজ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাকরির চেয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিয়ে অনেকেই এখন ঝুঁকছেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ২ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। ২০২০ সাল নাগাদ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রচলিত কাজ ছেড়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢুকছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। মার্কেটপ্লেসগুলোতে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেশি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং খাতে আরও এগিয়ে যেতে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা এখন ৩০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আগামী ২০২১ সালে আমরা এক লাখ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার টার্গেট নিয়েছি। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর এই তরুণেরা জনশক্তিতে পরিণত হবেন।’

অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘গিগ ইকোনমিতে অস্থায়ী কাজ হওয়ায় এ ক্ষেত্র ঘিরে উদ্বেগও কম নয়। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের অধিকার ও পারিশ্রমিক ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা দেখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে মানসম্মত কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় ধরতে হবে। যেহেতু এ খাতে তরুণেরা জড়িয়ে পড়ছেন, এটি কতখানি আমাদের দেশে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করাও জরুরি।’

Source: Prothomalo

27
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বৈশ্বিক ধারা (ট্রেন্ড) প্রকাশ করেছে ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় অনলাইন মাধ্যম পেওনিয়ার। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক গিগ অর্থনীতির সূচক প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের স্থান অষ্টম।



গিগ অর্থনীতির সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে, এটি এমন একটি পরিবেশ, যেখানে অস্থায়ী চাকরি বেশি থাকবে আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে স্বতন্ত্র কর্মীদের (ইনডিপেনডেন্ট ওয়ার্কার্স) নিয়োগ দেবে। তারা পূর্ণকালীন কর্মীর চেয়ে মুক্ত পেশাজীবী ফ্রিল্যান্সারদের গুরুত্ব বেশি দেবে।

পেওনিয়ার জানাচ্ছে, তাদের নেটওয়ার্কে থাকা বিশ্বব্যাপী তিন লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার, সেবাদাতা ও আউটসোর্সিং পেশাজীবীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে ফ্রিল্যান্সিং অর্থনীতির সূচকটি তৈরি করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী সেবাদাতারা অন্য বয়সের কর্মীদের তুলনায় আয় করেন বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের পেশাজীবীদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং জীবনযাপনে আগ্রহ বাড়ায় গিগ অর্থনীতি বড় হচ্ছে ও অনলাইনে মার্কেটপ্লেসের আকার বাড়ছে। গত বছরের এ সময়ের তুলনায় চলতি বছরে এশিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের আয় দ্বিগুণ বেড়েছে। ইউক্রেনে প্রচুর শিক্ষিত তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী দেশটির আউটসোর্সিং পেশাকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন এবং সেখানকার অর্থনীতি আরও মজবুত হয়েছে। পেওনিয়ারের প্রতিবেদনে আয় বৃদ্ধির দিক থেকে গত বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশ। সে কারণে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে। গত এক বছরে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ৭৮ শতাংশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এরপর ৫৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আছে যুক্তরাজ্য। ব্রাজিলের প্রবৃদ্ধি ৪৮ শতাংশ। এক বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে পাকিস্তান, ইউক্রেন ও ফিলিপাইনের। ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ায় বাংলাদেশের ঠিক ওপরে আছে ভারত। বাংলাদেশের পর ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রাশিয়া ও ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে সার্বিয়া।

অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের ভাষ্য, নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গিগ অর্থনীতির মতো বিষয়ে আগ্রহ বাড়ছে। গিগ অর্থনীতিতে কাজের বিষয়গুলো কতটা সংগতিপূর্ণ বা টেকসই হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের হাত ধরে বাংলাদেশে গিগ ইকোনমির ধারাটি শুরু হয়েছে। এটা কতটা প্রভাব ফেলবে, তা গবেষণা জরুরি।

পেওনিয়ারের বাংলাদেশে ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিদ হাসান বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী বৈশ্বিক গিগ ইকনোমি সূচকে বাংলাদেশ শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক দুর্দান্তভাবে কাটানোয় বিশ্বের ফ্রিল্যান্সার হাব হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। গিগ অর্থনীতি ছাড়াও অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বৈশ্বিক বাজারে পণ্য বিক্রি করছে। তাদের কাজে সহযোগিতা করছে পেওনিয়ার। উন্নয়নশীল বাজার হিসেবে বাংলাদেশ দারুণ প্রবৃদ্ধি করছে।

Source: Prothomalo

28
ফ্রিল্যান্সাররা ভালো আয় করলেও বিয়ে নিয়ে ঝামেলা, ব্যাংকঋণসহ নানা সুবিধা পান না। ফ্রিল্যান্সারদের নানা সুবিধা দিতে ‘ফ্রি আইডি’ নামের এক ধরনের বিশেষ কার্ড চালু করতে চায় সরকার। ‘ফ্রি আইডি’ অর্থাৎ, ফ্রিল্যান্সার আইডি হবে ন্যাশনাল আইডির আদলে এক ধরনের কার্ড যাতে ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন তথ্য থাকবে।



আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে বিডা মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এ কথা বলেন।


প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কী কী সুবিধা দেওয়া যায়, সে জন্যই আমরা এখানে বসেছি। বাংলাদেশে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এ সভার মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক অলাইন মার্কেটপ্লেসে কর্মরত ফিল্যান্সারদের সমস্যা চিহ্নিতকরণে ও সমাধানে করণীয় নির্ধারণে মতবিনিময় সভা।’ এখানে ব্যাংক, সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মকর্তারা মতামত দেন। ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা দিতে ‘ফ্রি আইডি’ কার্ড বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা দিতে ও গাইডলাইন দিতে তারা একটি উদ্যোগ নিচ্ছেন। তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে ফ্রিল্যান্সার সংস্থা বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সারস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস) ।

সরকার ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে যে তথ্যভাণ্ডার গড়বে এতে একটি সাইটে ফ্রিল্যান্সাররা তথ্য দেবেন। এটি পরে অ্যাপ হিসেবেও থাকবে। এর বাইরে একটি পরিচয়পত্র থাকবে, যাতে নাম, মোবাইল নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে। এর অপর পাশে কিউআর কোডসহ বিশেষ কোড থাকবে, যাতে ব্যাংক বা থার্ড পার্টি চাইলে ফ্রিল্যান্সারের পরিচয় যাচাই করতে পারবেন। এতে কেওয়াইসির সব ডেটা থাকবে।

পলক বলেন, এটি পৃথিবীর অন্যতম কোড হবে। এতে নিজস্ব কোড বসানো থাকবে। নিজস্ব ডেটাবেইস হবে। এতে কার লোন, ব্যাংক লোনসহ নানা সুবিধা পাবেন।

Source: Prothomalo

29
যাঁরা প্রচলিত অফিস বাদ দিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে সবচেয়ে বেশি আয় করতে চান, তাঁদের জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্ষেত্রের দক্ষতা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। সম্প্রতি এ দুটি খাতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি বাড়তে দেখা গেছে। ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, কর্মী নিয়োগদাতাদের কাছে ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জানা কর্মীর চাহিদা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। সম্প্রতি ‘ফাস্ট ৫০’ নামে দক্ষতাবিষয়ক প্রান্তিক সূচক প্রকাশ করেছে ফ্রিল্যান্সার ডটকম। ওই তালিকায় সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতার মধ্যে স্থান পেয়েছে ডেটা অ্যানালিটিক্স, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মাইক্রোসফট অফিস, কপি টাইপিং, ট্রান্সক্রিপশন, রাশিয়ান ট্রান্সলেশন, বুককিপিং, ই-মেইল হ্যান্ডেলিং ও কাস্টমার সাপোর্ট। যাঁদের এ ধরনের কাজে দক্ষতা আছে, তাঁরা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ভালো করতে পারেন।



ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গত প্রান্তিকে ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্ষেত্রের চাহিদা বেড়েছে ৫৮.৯ ও ৫৫.৬ শতাংশ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে তাদের সাইটে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ফ্রিল্যান্সিং কাজের পোস্ট হয়েছে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ৫০টি কাজের তালিকা থেকে তৈরি করা হয়েছে ‘ফাস্ট ৫০’। দেখে নিন সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে:

ডেটা অ্যানালিটিক্স: বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডেটা অ্যানালিটিক্সের চাহিদা বাড়তে থাকবে। ২০২৩ সাল নাগাদ ডেটা অ্যানালিটিক্স মার্কেট বেড়ে দাঁড়াবে ২৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ডেটা অ্যানালিটক্সে চাহিদাসম্পন্ন কর্মীর চাহিদা ৫৮.৯ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমান ব্যবসার ট্রেন্ড বুঝতে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতে দক্ষ কর্মীদের জন্য নানা প্রকল্প নিচ্ছে নিয়োগদাতারা। তাই যাঁরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এ দক্ষতা বাড়তি আয়ের পথ খুলে দেবে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি আগের প্রান্তিকে পোস্ট হওয়া ৭ হাজার ৯২৫ থেকে ১২ হাজার ৩২৯টিতে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এ খাতে চাহিদা বেড়েছে ৫৫ শতাংশের বেশি। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের নানা রকম কাজে নিয়োগদাতাকে সাহায্য করতে হয়। গ্রাহকসেবা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগ পোস্টিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল অফিসে বাস্তব অফিসের সহকারীর মতো কাজ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রকল্পভিত্তিক বা ঘণ্টা ভিত্তিতে আয়ের সুযোগ থাকে।

মাইক্রোসফট অফিস: গত প্রান্তিকে মাইক্রোসফট এক্সেলে দক্ষ কর্মীদের প্রচুর চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে। সাধারণ টাইপিং বা ডেটা এন্ট্রি কাজের তুলনায় এক্সেল দক্ষতা কিছুটা জটিল। এক্সেল ও প্রোগ্রামিং দক্ষতাসম্পন্ন একজন কর্মী কাজকে স্বয়ংক্রিয় করে তোলার মাধ্যমে নিয়োগকারীর সময় বাঁচাতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে ২০ ঘণ্টার কাজ এক ঘণ্টায় হয়ে যায়। এ ধরনের কাজে দক্ষ কর্মীরা স্বল্প সময়ে প্রচুর আয় করতে পারেন। যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং কাজে ঢুকতে আগ্রহী, তাঁরা এক্সেল নিয়ে কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

কপি টাইপিং: টানা দুই প্রান্তিক জুড়ে শীর্ষ ১০ চাহিদাসম্পন্ন কাজের মধ্যে রয়েছে কপি টাইপিং। গত প্রান্তিকে এর চাহিদা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। বিস্তৃত ও এলোমেলো তথ্য থেকে পরিষ্কার তথ্যে কপি তৈরি, হাতে লেখা পোস্টকে সম্পাদনা উপযোগী পোস্টে রূপান্তর করার মতো নানা কাজ করতে হয় কপি টাইপিং কর্মীকে। নির্দিষ্ট প্রকল্পে নির্দিষ্ট বাজেট বা ঘণ্টা ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যাঁরা দ্রুত ও নির্ভুল কপি টাইপ করতে পারেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বাজারে কাজের সুযোগ রয়েছে।

ট্রান্সক্রিপশন: যাঁরা ভাষান্তর কাজে পারদর্শী তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সক্রিপশনে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ চাহিদা বেড়েছে ট্রান্সক্রিপশন কাজে দক্ষ কর্মীদের। যাঁরা নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাঁরা ভাষান্তর কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আরবি, রুশ, মান্দারিন, ফ্রেঞ্চসহ যত বেশি ভাষা জানবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন।

অন্যান্য: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এখন অন্যের জন্য বই লিখে দেওয়ার কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিয়োগদাতার চাহিদা ও নির্দেশ অনুযায়ী সময়মতো বই লিখে দিতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করেও ব্যাপক আয় করতে পারবেন।

Source: Prothomalo

30
আগামী বছর হতে যাচ্ছে ফ্রিল্যান্স কর্মীদের জন্য দারুণ সময়। বিশ্বের বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্স কর্মীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেবে। কর্মী ও নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোভাবের পরিবর্তন শুরু হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

‘দ্য ২০২০ ট্যালেন্ট টেকনোলজি আউটলুক’ নামের ওই সমীক্ষা পরিচালনা করে কর্মী সমাধানদাতা প্রতিষ্ঠান এসসিআইকেই।



এখন চাকরির জন্য যোগ্য কর্মী খুঁজে বের করা এবং তাঁদের ধরে রাখা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর কর্মী নিয়োগ আরও কঠিন হয়ে গেছে বলে ৭৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এক সমীক্ষায় তাদের মতামত দিয়েছে।

গত দশকে কর্মশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে সাম্প্রতিক ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, চাকরি থেকে ঝরে পড়ার হার বেড়ে যাওয়া ও এবং হতাশার হার ২২ শতাংশ ছাড়ানোর ফলে এখন নিয়োগ মানেই চাকরি নয় বরং কর্মীকে আকর্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমীক্ষায় বিশ্বের ৪টি মহাদেশের ১০০ জনের বেশি প্রধান নির্বাহী পর্যায়ের কর্মকর্তা, মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের মতামত বিশ্লেষণ করা হয়। তাঁদের নিয়ে করা সমীক্ষা, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা ইনপুট, সাক্ষাৎকার ও প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন এসসিআইকেইর গবেষকেরা।

গবেষকেরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় চাকরি থেকে ঝরে পড়ার হার বাড়ে এবং হতাশার ফলে কর্মীর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হার বেড়ে গেছে। এতে নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া যেমন ব্যয়বহুল হয়েছে, তেমনি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায় প্রভাব ফেলতে পারে, এমন যোগ্য কর্মীকে আকর্ষণ করার বিষয়টিও অনেক কঠিন হয়ে গেছে।

সমীক্ষায় বলা হয়, ৬৮ শতাংশ কর্মী আংশিক বা পুরোপুরিভাবে কাজের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকায় কয়েক বিলিয়ন ডলার উৎপাদন পর্যায়ে লোকসান হচ্ছে।

গবেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানগুলো এ বাস্তবতা বুঝতে পারবে। তাই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও ব্র্যান্ডিংয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেবে। এতে দ্রুত প্রতিষ্ঠানের জন্য মেধাবী কর্মীকে আকর্ষণ করা যাবে। প্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়াতে ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়ার হার বাড়বে আগামী বছর। এতে দক্ষ কর্মীদের কাছে প্রতিষ্ঠানের সঠিক তথ্য তুলে ধরা যাবে। এ ছাড়া মানবসম্পদ মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আগামী বছর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গবেষণায় ফ্রিল্যান্সার বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য সুখবর উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালে ব্যয়বহুল কর্মীর চেয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি চুক্তিভিত্তিক বা গিগ কর্মী নিয়োগ দেবে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৪ শতাংশ সিইওদের মত হচ্ছে, আগামী দুই বছরে তাঁদের ব্যবসার প্রয়োজনে ক্রাউড রিসোর্স ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ, ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগে আগামী দুই বছরে বেশি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো।

গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ণকালীন চাকরির অনিশ্চয়তা কর্মীদের আরও বেশি চুক্তিভিত্তিক কাজের দিকে বা গিগ ইকোনমির দিকে ঠেলে দেবে। ২০২০ সালে কর্মী ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মানসিকভাবে পরিবর্তন দেখতে শুরু করবে বিশ্ব।

গিগ ইকোনমির সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে, ‘গিগ ইকোনমি’ এমন একটা পরিবেশ, যেখানে অস্থায়ী চাকরির ছড়াছড়ি থাকবে আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে স্বতন্ত্র কর্মীদের (ইনডিপেনডেন্ট ওয়ার্কার্স) নিয়োগ দেবে। তারা ফুলটাইম কর্মীদের চেয়ে ফ্রিল্যান্সারদের গুরুত্ব বেশি দেবে এবং বেশির ভাগ কাজ এই ফ্রিল্যান্সারদের দিয়েই করাবে। এই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতাকে বা এই রকম ফ্রিল্যান্স দক্ষতাগুলোকে বলা হচ্ছে, ‘গিগ ক্যাপাসিটি’। যেই দেশ বা শহর যত বেশি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ও গতিশীল, সেই দেশে বা শহরে এই ‘গিগ ক্যাপাসিটিসম্পন্ন’ লোকবলের দরকার বেশি হবে। মজার ব্যাপার হলো, এই গিগস রাই কিন্তু হবে শহুরে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

অর্থনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, উন্নত বিশ্বে এই ধারা ইতিমধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং ধারণা করা যাচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ আমেরিকান চাকরির এই ধারা (ট্রেন্ড) দ্বারা প্রভাবিত হবেন, যা আস্তে আস্তে পুরো বিশ্বে ছড়াবে। বাংলাদেশও ইতিমধ্যে গিগ অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন।

Source: Prothomalo

Pages: 1 [2] 3 4