Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Ishtiaque Ahmad

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 10
31

প্রতিদিন ব্যায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষয় রোধ করে এর বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকানো সম্ভব বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণাগারের প্রাণীর উপর চালানো পরীক্ষায় এ তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ইঁদুরের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেন, ব্যায়াম করলে স্নায়ুতন্ত্রে এসআইআরটি৩ এনজাইমের মাত্রা বেড়ে যায়। এই এনজাইম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মূলত মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্কের কোষগুলোর শক্তি ক্ষয় হয়।

পরীক্ষার জন্য গবেষকরা একটি চলমান চাকার মধ্যে ইঁদুরগুলোকে ছেড়ে দেন এবং সেগুলো সেখানে ক্রমাগত দৌড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে দেখা যায় ইঁদুরগুলোর শরীরে এসআইআরটি৩ এনজাইমের মাত্রা বেড়ে গেছে।

প্রধান গবেষক মার্ক ম্যাটসন বলেন, “চলমান চাকায় দৌড়ানোর ফলে ইঁদুরের স্নায়ুতন্ত্রে এসআইআরটি৩ এনজাইমের মাত্রা বেড়ে যায়, যা তাদের মস্তিষ্কের কোষের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।”

যখন আমাদের বয়স বাড়তে থাকে তখন মস্তিষ্কের কোষগুলো পুরোপুরি সচল থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এর ফলে স্নায়ুতন্ত্রের দুর্বলতা জনিত রোগ যেমন: স্মৃতিভ্রংশের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

সেল মেটাবলিজম জার্নালে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ পায়।

32
যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপনে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় ধরনের এক সফল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে চেহারা ফিরে পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী এক অগ্নিনির্বাপনকর্মী।

গোটা মাথার চামড়া, কান, এমনকি চোখের পাতাও অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছেন চিকিৎসকরা।

প্লাস্টিক সার্জন এডোয়ার্ডো রডরিগুয়েজের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক ২৬ ঘণ্টাব্যাপী এ জটিল অস্ত্রোপচার করে চেহারা ফিরিয়ে আনেন ৪১ বছর বয়সী অগ্নিনির্বাপণকর্মী প্যাট্রিক হার্ডিসনের।

একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে আটকা পড়া এক নারীকে উদ্ধার করতে গিয়ে  পুড়ে বীভৎস হয়ে গিয়েছিল হার্ডিসনের চেহারা। আগুনে তার পুরো মুখমণ্ডল এবং মাথারচামড়া পুড়ে যায়।

প্রতিস্থাপনের জন্য মুখমণ্ডলের দাতা হচ্ছেন, ২৬ বছর বয়সী যুবক ডেভিড রোডবাহ। একটি সাইক্লিং দুর্ঘটনায় যিনি মারা যান। তারই দান করে যাওয়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাহায্যে ফেরানো হয় হার্ডিসনের চেহারা।

গত অগাস্টে অস্ত্রোপচারটি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে হার্ডিসন তার চোখের পাতার পাশাপাশি চোখের পাতা ফেলার ক্ষমতাও ফিরে পেয়েছেন। তাছাড়া, এখন  তারমাথাভর্তি চুল এমনকি ভ্রুও আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

চিকিৎসক এডোয়ার্ডো রডরিগুয়েজ বলেন, এ অপারেশনে যতগুলো টিস্যু লাগানো হয়েছে, এর আগে কোন অপারেশনেই তা লাগানো হয়নি। অপারেশন সফল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৫০:৫০।

কয়েক লাখ ডলারের এ অস্ত্রোপচারের তিন মাস পর হার্ডিসন ভালোভাবেই সেরে উঠছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে  প্রতিস্থাপিত মুখমণ্ডলের টিস্যুগুলোকে টেকসই রাখতে তাকে বাকি জীবন ওষুধ সেবন করে যেতে হবে বলে জানান তারা।

33
কৃতের টিউমার ও ক্যান্সার নিরাময়ে ট্রান্স-আরটারিয়াল কেমো-এম্বোলাইজেশন (টেইস) পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।

আকৃতি ও অবস্থানের কারণে যাদের যকৃতের টিউমার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সরানো সম্ভব নয়, তাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিই বিশ্বে সবচেয়ে কার্যকর বলে বিবেচিত হচ্ছে এখন। এ পদ্ধতিতে রক্তনালীর মাধ্যমে সরাসরি টিউমারে কেমোথেরাপি দেয়া যাবে। 

শুক্রবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ‘সফল’ হয়েছেন বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন-আল-মাহতাব স্বপ্নীল এ দলের নেতৃত্ব দেন।   

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, নতুন এ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজির আঙিনায় প্রবেশ করল।

“আমাদের রোগীরা এখন থেকে দেশেই লিভার ক্যান্সারের এই চিকিৎসা পাবেন। তাদের খরচ পড়বে ভারতের অর্ধেক।”

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিগগিরই এ চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই চিকিৎসক।

এই দলে আরও আছেন শেখ মোহাম্মদ নুর-ই-আলম, মো. আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ আবুল ফজল, জাহাঙ্গীর সরকার, আহমেদ লুৎফুল মোবেন, মো. আবদুর রহিম ও ফয়েজ আহমেদ খন্দকার।

তাদের প্রায় সবাই নয়া দিল্লির ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেস এবং চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হেলথ সিটিতে ‘টেইস’ পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে স্বপ্নীল জানান।

বাংলাদেশে ক্যান্সারে ভুগে প্রতি বছর যত লোকের মৃত্যু হয়, তাদের মধ্যে যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। ক্রনিক হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসের সংক্রমণকেই এ দেশে যকৃতের ক্যান্সারের মূল কারণ বলে মনে করা হয়।

“অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগীরা আসেন একেবারে শেষ পর্যায়ে। তখন আর অস্ত্রোপচার করার উপায় থাকে না,” বলেন স্বপ্নীল।

34
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে দিনটা যেমন ঝরঝরে হয় না কাটে নেশাচ্ছন্নভাবে, তেমনই হজমেও সমস্যা হয়। শরীরে অবসাদ ভর করে, শক্তিও কমে যায়। আর এসবই বলছে, একটি ইউরোপীয় স্বাস্থ্য সমীক্ষা। খবর ডয়চে ভেলের।

অ্যামেরিকান জার্নাল ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত ঐ সমীক্ষার ফলাফলে প্রমাণ উল্লেখ করে দেখানো হয়েছে, কম ঘুম ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কম ঘুম শুধু যে ক্ষুধা বাড়ায় তাই নয়, ক্যালোরি ধ্বংস করে খুবই কম। সমীক্ষাকাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস্টিয়ান বেনেডিক্ট। তিনি বললেন, যথেষ্ট ঘুম ওজন বাড়ানো প্রতিরোধ করে, সমীক্ষাতে আমরা দেখেছি, এক রাত যদি ভালো ঘুম না হয়, তাহলে সুস্থ মানুষের শরীরেও ক্লান্তি ভর করে, অবসাদ জেঁকে বসে। এর আগেও বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঘুমের ব্যাঘাত ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। শুধু তাই নয়, আরো দেখা গেছে, মানুষ যখন জেগে থাকে তখনও কম ঘুম কী ভাবে, চাপ এবং ক্ষুধার সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোনগুলোর স্বাভাবিক মাত্রাতে ব্যাঘাত ঘটায়।

কম ঘুমের কারণে শরীরে আসলে কী ধরণের প্রভাব পড়ে তা শনাক্ত করতেই বেনেডিক্ট এবং তাঁর সহকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন ছাত্রের ঘুমের বিভিন্ন পর্যায় পর্যবেক্ষণ করেছেন। অল্প ঘুম, একেবারে না ঘুমানো এবং স্বাভাবিক ঘুমের কারণে কয়েকদিন শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ, হরমোনের মাত্রা এবং তাদের বিপাক প্রক্রিয়ায় কী ধরণের পরিবর্তন হয় সেটা তাঁরা লক্ষ্য করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, মাত্র একদিন ঘুম না হলে, পরেরদিন সকালে বিপাক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। রাতে যার খুব ভালো ঘুম হয়েছে তার সাথে তুলনা করে দেখা গেছে, যার ঘুম হয়নি তার শরীরে ক্লান্তি ভর করেছে, নিশ্বাস নেওয়া বা হজমের মত ব্যাপারগুলো শতকরা বিশভাগ থেকে নেমে এসেছে শতকরা পাঁচ ভাগে।

35
নতুন একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মাত্র এক মাস প্রশিক্ষণে নতুন একটি কম্পিউটার গেম বয়োবৃদ্ধদের স্মৃতি ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
পরিকল্পনা, দৈনন্দিন জীবনযাপন ও স্বনির্ভরভাবে বাঁচতে যে ধরনের স্মৃতি দরকার হয় - বয়োবৃদ্ধের তা ফিরিয়ে আনতে এই কম্পিউটার গেম কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

বৃদ্ধ ব্যক্তি, যিনি ‘কগনিটিভ-ট্রেনিং’ গেম খেলেছেন, তার ক্ষয়িঞ্চু অবস্থার তুলনায় স্মৃতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তির সমবয়সী একাধিক জনের সঙ্গে তুলনা করে এ ফলাফল নির্ধারণ করা হয়।

কানাডার টরেন্টোতে অবস্থিত দ্যা রটম্যান রিসার্চ ইনস্টিটিউট বেক্রেস্ট হেলথ সায়েন্সেস এ গবেষণা চালায়।

‘প্রোসপেক্টিভ মেমোরি’ অর্থাৎ, মনে রাখার ক্ষমতা ও লক্ষ্যে অনড় থাকা, পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনযাপনের পরিকল্পনা করা- যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে।
গবেষকরা দাবি করেন, প্রতিদিন যেসব মানসিক সমস্যার কথা রোগীরা জানান, তার ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ স্মৃতি সংক্রান্ত।

গবেষণাটিতে ‘ট্রেন ফর ট্রান্সফার’ পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কম্পিউটার গেমটিতে ব্যক্তিকে দৈনন্দিন জীবন সাপেক্ষে ‘প্রোসপেক্টিভ মেমোরি’ ব্যবহার করে সমাধানে যেতে হয়।

বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে তাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে বের করা খুবই দরকার, যেন তারা স্বনির্ভরভাবে বাঁচতে পারে। বলেন, গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী বিশেষজ্ঞ মেলবোর্নের দ্যা অস্ট্রেলিয়ান ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সাইকোলজি বিভাগের রিসার্চ ফেলো ডা. নাথান রোজ।

গবেষকদের মতে, সবচেয়ে উত্তেজনাদায়ক বিষয় হলো- ল্যাবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ফলে ব্যক্তি জীবনে এর প্রভাব পড়ে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তির উন্নতি।

খেলোয়াড়কে বিভিন্ন ধরনের কাজ মনে রাখতে হয় গেম খেলার সময়। ওষুধ খাওয়া, সময়মতো ওভেন থেকে রাতের খাবার বের করা ইত্যাদি। এতে অংশ নেওয়া ৬০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ৫৯ জন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি এক মাসের মধ্যে ২৪টি স্তর শেষ করেন।

মূলত সমস্যায় পড়তে হয়, খেলোয়াড়কে কি কি করতে হবে এটা বোঝাতে, বলেন গবেষকরা।

36
 স্মার্টফোনটি নিয়ে প্রায়শঃই বেকায়দার পড়তে হয়, কারণ চার্জ থাকে না। দিনে একবার নিয়ম করে চার্জ করিয়ে নিতে হয়, নয়তো ব্যাগে, পকেটে নিয়ে ঘুরতে হয় পাওয়ার ব্যাংক। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে এবার আসছে এমন স্মার্ট ফোন যা হবে সাত দিনে একবার চার্জ করে নিলেই যথেষ্ট।

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরাই এই সমাধানের পথ নিয়ে এসেছেন। তারা এমন এক ম্যাটেরিয়াল তৈরি করেছেন যা স্মার্টফোনের স্ক্রিন গ্লাসের পরিবর্তে বসবে, যাতে কোনও বৈদ্যুতিক শক্তিই খরচ হবে না। কেবল স্মার্টফোন কেন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচেও ব্যবহার হতে পারবে একই পদ্ধতি। মানে ওগুলো সবই সপ্তাহে একদিন চার্জ করে চালানো যাবে গোটা এক সপ্তাহ।

এই আবিষ্কারকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা হচ্ছে কারণ এই ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলোর ৯০ শতাংশ বৈদ্যুতিক শক্তিই খরচ হয়ে যায় স্ক্রিনের প্রয়োজনে।

প্রযুক্তির কারখানাগুলো আগে থেকেই ব্যাটরির জীবনকাল বাড়ানোর জন্য করণীয় খুঁজছিলো। তবে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্যাটারির শক্তি বাড়িয়ে নয়, বরং ব্যাটারির শক্তি যে খেয়ে ফেলছে তাকেই পাল্টে ফেলুন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী ড. পিম্যান হোসেইনির কথাই ধরুন। তিনি বলছেন, স্মার্টওয়াচটিকে কিন্তু আপনাকে নিত্য চার্জ করিয়ে নিতে হয়। কিন্তু আপনার যদি স্মার্ট গ্লাস থাকে, তাহলে ঘড়িটি সপ্তাহে একদিন চার্জ করালেই হবে।

বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে ডিসপ্লে তৈরির জন্য ইলেক্ট্রিকাল পালস ব্যবহার করেছেন যাতে কোনও বৈদ্যুতিক শক্তির প্রয়োজন হয় না কিন্তু সহজেই দেখা যায়, এমনকি সূর্যালোকেও সমস্যা হয় না। ড. হোসেইনির কোম্পানি বোডল টেকনোলজিস এক বছরের মধ্যেই এমন স্ক্রিনের প্রোটোটাইপ বাজারে নিয়ে আসতে পারবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে।

গ্যাজেটগুলো যারা আনছে তারাও কিন্তু এই সমস্যার সমাধান আনতে অনেক দিন ধরেই লেগে আছে।

অ্যাপল’র কথাই ধরুন না। ওরাতো রীতিমতো গবেষণা আর অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে যাতে তাদের আইফোন, ল্যাপটপগুলো ফুয়েল সেল ব্যবহার করতে পারে।

37
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউম ঢাকাবাসীর রসনাবিলাসের ঐতিহ্য সন্ধান করেছেন তাঁর ‘রসনাবৃত্তি: বৈচিত্র্য ও রূপান্তর’ প্রবন্ধে। কোথা থেকে এল ঢাকাই খাবার, সেটি খুঁজতে গিয়ে তিনি উদাহরণ টেনেছেন চর্যাপদ থেকে। তিনি বলেন, প্রাচীন যুগের (অষ্টম-দ্বাদশ শতক) প্রথম সাহিত্যিক নিদর্শন ‘চর্যাপদে’ চালের উল্লেখ আছে, দুগ্ধ ও দুগ্ধপানের কথা উল্লেখ আছে। চতুর্দশ শতাব্দীতে অবহট্ট ভাষায় লেখা ‘প্রাকৃত পৈঙ্গল’ বইয়ের একটি পদে বলা হয়েছে, ‘...যে প্রেয়সী (নিয়মিত) ওগরা বা নরম-গরম ভাত কলার পাতায় গাওয়া ঘি-দুধের সংযোগে মৌরলা মাছের ঝোল ও নালিতা শাক পরিবেশন করে, তার কান্তা বা স্বামী (অবশ্যই) পুণ্যবান।’

ঐতিহাসিকেরা বলছেন, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ঢাকায় পাল ও সেনরাজাদের অধীনে জনগণের খাদ্যাভ্যাস ছিল এক ধরনের। বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্যধর্মের প্রভাবে ঢাকার খাদ্যতালিকায় প্রাধান্য পায় ভাত ও নিরামিষ। ধীরে ধীরে ভাত, মাছ ও দুধ ঢুকে যায় জনসাধারণের নিয়মিত খাদ্যতালিকায়। প্রাক-মোগল যুগে ঢাকার সুলতানি খাদ্যাভ্যাস ছিল তুর্কি, আরব, ইরানি বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। তাদের মাংস ও রুটি খাওয়ার অভ্যাস ঢাকার ভাত-মাছের অভ্যাসের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। এরপর আসে মোগলেরা। ঢাকায় সুবেদার ইসলাম খানের বাবুর্চিদের হাতে তৈরি খাবার মোগল খাবার হিসেবে পরিচিতি পায়। ঢাকার রান্নায় ব্যবহূত অনুষঙ্গ যুক্ত হয়ে দিনে দিনে এই খাবারই ঢাকাই খাবার নামে পুরান ঢাকায় প্রচলিত হয়। এসব খাবারের মধ্যে আছে বিরিয়ানি, কাবুলি, খিচুড়ি, শিরবিরঞ্জ, হালিম, বাকরখানি রুটি, চালের গুঁড়ার পিঠা, দোলমাজাতীয় তরকারি। পরে পর্তুগিজ, আর্মেনীয়, ইউরোপীয়সহ বিভিন্ন জাতির আগমনে মোগল চাপাতি রুটির পাশাপাশি পাউরুটি, বিস্কুট, পনির, ছানার মিষ্টি ঢাকাই খাবারের তালিকায় যুক্ত হয়।

 

কিছু খাবার হারিয়ে গেছে, কিছু টিকে আছে পরিবর্তিত রূপে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ই বতুল গবেষণা করেছেন ঢাকার বিলুপ্ত খাবার নিয়ে। তিনি বলেন, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের মুনশি মীর আমান দেহেলভির (দিল্লিবাসী) ১৮০১ সালে প্রকাশিত বাগ ও বাহার বইয়ে শাহি নিমন্ত্রণের খাবারের তালিকায় তোররাবন্দি, শবডেগ, মোরগপোলাও, মোরগ মোসাল্লাম, সিশরাঙ্গা (খাগিনা), হালিম, নার্গিসি কোফতা, কাবাব, হারিরা, মাকুতি, মুতানজান, শিরমাল, গাওজাবান রুটি, গাওদিদা রুটি, বাকরখানি রুটি—এমন সব খাবারের নাম পাওয়া যায়। এসব খাবারের অনেকগুলো হারিয়ে গেছে। কিছু টিকে আছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে।

কানিজ ই বতুল হারিয়ে যাওয়া জনপ্রিয় ‘জাহাজি কোরমা’র কথা বলেছেন। তিনি জানান, গরু বা খাসির হাড়বিহীন মাংস মরিচ ছাড়া জয়তুনের তেলে রান্না করে চীনামাটির পাত্রে করে সঙ্গে নিতেন সমুদ্রপথের যাত্রীরা। ১৫ দিন পর্যন্ত এই মাংস ভালো থাকত। সমুদ্রপথে যাঁরা হজ করতে যেতেন বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে আরব, ইরাক, ইরানসহ নানা দেশে যেতেন, তাঁরাই এমন খাবার সঙ্গে রাখতেন।

 

আরেক জনপ্রিয় খাবার রেজালা বাংলাদেশের যেকোনো উত্সবে অবিচ্ছেদ্য। ঐতিহাসিকেরা বলছেন, ‘রেজালা’ শব্দটি এসেছে ‘রজিল’ (নিম্নবিত্ত) থেকে। মোগল দরবারি লোকেরা খাবারে মরিচ ব্যবহার করতেন না। কিন্তু দরবারের কর্মচারীরা ছিলেন এ-দেশীয়। তাঁরা ঝাল খাবারে অভ্যস্ত ছিলেন। একপর্যায়ে দরবারের কর্মচারীরা কোরমায় ঝাল দিয়ে খেতে শুরু করলেন। এ খাবারের ভিন্ন স্বাদ ও ঘ্রাণের প্রতি ধীরে ধীরে অন্দরমহলের নারীরাও আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাঁরা কাঁচামরিচের বোঁটা ছিঁড়ে বিচি ফেলার পর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে দুধে ভিজিয়ে রাখতেন। তারপর দুধসহ কাঁচামরিচ কোরমায় দিয়ে ভিন্ন স্বাদের কোরমা, অর্থাত্ রেজালা রান্না করতেন।

 

ঢাকাই খাবার এখন

বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ঢাকাবাসীর কাছে প্রিয় ঢাকাই খাবার। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকাই খাবারের সুখ্যাতি। এখনো রোজার মাসজুড়ে পুরান ঢাকার চকবাজারে চলে ঢাকাই খাবারের বেচাকেনা। চকবাজার ও এর আশপাশের এলাকা বাহারি খাবারের সুবাসে এখন ম-ম করছে। কয়েক শ বছরের পুরনো চকবাজারে এখনো বিরিয়ানি, মুরগি মোসাল্লাম, বিভিন্ন জাতের কাবাবের পাশাপাশি শরবত বিক্রি হয়।

চকবাজারের শরবত বিক্রেতা চুয়াডাঙার ছেলে জামান মিঞা অত কিছু বোঝেন না। শুধু জানেন এখানে বাহারি শরবতের চল আছে, ভালো বিকোয়। ‘কিংবদন্তির ঢাকা’য় নাজির হোসেন লিখেছেন, ‘ফাতেহা-ই-দোয়াজ দাহম উপলক্ষে বিভিন্ন মহল্লা থেকে বহু লোক মওলুদ (মিলাদ) পড়ার জন্য সমবেত হতেন। অপরাহ্নে বিভিন্ন দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরম্ভ হত। এই অনুষ্ঠানে প্রৌঢ় ও যুবকেরা অংশগ্রহণ করতেন এবং এ দৃশ্য দেখার জন্য বহু লোক রাস্তা ও মসজিদের বারান্দায় সমবেত হতেন। তা ছাড়া এখানকার পান ও শরবত ছিল অত্যন্ত উত্কৃষ্ট ধরনের। এ জন্যও বহু দূরদূরান্ত থেকে লোক এখানে এসে পান ও শরবত খেয়ে তৃপ্ত হত। এককালে শহরের খোশবাশ বলে পরিচয় দানকারীগণ পান-শরবতের পশরা নিয়ে এখানে জলসার মত আড্ডা জমিয়ে রাখতো।’

জামান মিঞার মতো বহু মানুষ জেনে না-জেনে শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য ফেরি করে বেড়ান। আর ভোজনরসিকেরা ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে বরাবরই ভিড় জমান পুরান ঢাকায়; আর রোজার মাসে তা যেন নতুন মাত্রা যোগ করে।শুধু ইফতারের জন্য নয়, মধ্যরাতে সেহরির জন্য ভিড় দেখা যায় পুরান ঢাকার খাবারের দোকানগুলোতে।

38
Travel / Visit / Tour / কুলু - মানালি
« on: November 11, 2015, 10:29:11 AM »
 মানালি হিমাচল প্রদেশের অন্যতম সুন্দর শহর এবং ভারতের বিখ্যাত শৈলশহর গুলির মধ্যে একটি। পর্যটকদের কাছে মানালি সবসময় আকর্ষনীয়। বিপাশা নদীর স্বচ্ছ জলরাশি, দেবদার-পাইনের জঙ্গল এবং পাহাড়ের মিলিত সৌন্দর্য্য অপরিসীম। পূর্নিমার রাতে মানালির শোভা অপরূপ। শীতের সময় সাদা বরফের চাদরে মুড়ে থাকে মানালি। সারা মানালি ছড়িয়ে রয়েছে প্রচুর আপেল, পিচ ও চেরি গাছ।

মানালির বাজার এবং ম্যাল অঞ্চলটি বেশ জমজমাট, সুন্দর সাজানো দোকানপাট, হোটেল, রেস্তরাঁ দিয়ে সাজানো। সবসময় প্রচুর লোকের আনাগোনা। হাঁটা পথেই ঘুরে নিন মানালি ম্যাল।

বাজারের পিছনেই রয়েছে একটি তিব্বতি মনেষ্ট্রি। যার ভিতরে বিশাল বুদ্ধমূর্তি ছাড়াও রয়েছে বৌদ্ধধর্ম ও তিব্বতি সংস্কৃতির নানা নিদর্শন।

মানালি সাইট সিয়িং-এ প্রথমেই দেখে নিন ডুংরি পাহাড়ের কোলে ষোড়শ শতকে মহারাজা বাহাদুর সিংহের তৈরি হিড়িম্বা মন্দির, যা স্হানীদের কাছে ডুংরি মন্দির নামে পরিচিত। দেওদার গাছে ঘেরা অপরুপ পরিবেশে তৈরি ২৭ মিটার উচু কাঠের মন্দির ও এর কারুকার্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এর পাশেই রয়েছে ভীম ও ঘটেৎকচের মন্দির।

এবার চলুন আপ্পুঘর এবং হিমাচল লোকসংস্কৃতির নানা নিদর্শন সমৃদ্ধ হিমাচল ফোক মিউজিয়ামে, তারপর নেহরু পার্ক হয়ে নদী পেরিয়ে ওল্ড মানলি গ্রাম। যেতে পারেন মানসলু নদীর ধারে মানালি ক্লাব হাউসে। টিকিটের মূল্য ১০ টাকা। এখানে রোলার স্কেটিং সহ নানা ইনডোর গেমসের ব্যবস্হা আছে। কাছেই রয়েছে মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট।

বশিষ্ঠ মুনির আশ্রম রয়েছে এখানে। পাহাড়ের মধ্যে প্রকৃতির মাঝে এই আশ্রমের গর্ভগৃহে রয়েছে কালো কষ্টি পাথরের বশিষ্ঠ মুনির মূর্তি। রয়েছে একটি উষ্ঞপ্রস্রবন। এখানে স্নানের ব্যবস্হা আছে। আর রয়েছে প্রাচীন রাম মন্দির। রাম-সীতা-হনুমানের শ্বেতপাথরের মূর্তি আপনাকে মুগ্ধ করবে।

এবার চলুন রোটাং পাস, মানালির সেরা আকর্ষন। মানালি থেকে গাড়ি নিয়ে পৌছে যান রোটাং পাস, দূরত্ব ৫১ কিমি। জুন-জুলাই থেকে অক্টোবর-নভেম্বর আদর্শ সময় রোটাং পাস যাওয়ার। বাকি সময় বরফের জন্য রাস্তা বন্ধ থাকে। যতই উপরে উঠবেন চোখে পড়বে তুষারশৃঙ্গ। চারিদিকে বরফ আর বরফ। এই বরফ নিয়ে খেলতে খেলতে হারিয়ে যান তুষার রাজ্যে। এখানে অনেক রকম অ্যাডভেঞ্চার স্পোটর্সের ব্যবস্হাও রয়েছে। চাইলে আপনি এর মজা নিতে পারেন। ফেরার পথে দেখে নিন সোলাং ভ্যালি। দেবদারু গাছে ঘেরা এই সবুজ ভ্যালির শোভাও অপরিসীম। এখানে প্যারাগ্লাইডিং-এর ব্যবস্হা আছে।

হাওড়া থেকে কালকা মেলে কালকা, সেখান থেকে বাস বা ভাড়া গাড়িতে পৌছে যান মানালি। সাইট সিয়িং জন্য ছোটো ভাড়া গাড়ির ব্যবস্হা আছে।

কেনাকাটা:- এখানকার বিভিন্ন দোকানে সঠিক মূল্যে শীতবস্ত্র পেয়ে যাবেন। যেমন- শাল, সোয়াটার, টুপি, জ্যাকেট ইত্যাদি। কুলুতে শালের ফ্যাক্টরি রয়েছে, তবে দেখে কিনবেন। আসল উল বলে দেদার বিকোচ্ছে অ্যাক্রিলিক উলের জিনিস। মানালির ফ্রেশ ফলের জ্যাম, জেলি খুবই লোভনীয়।

বরফ দেখতে হলে যাবেন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে মার্চ পর্যন্ত।

39
Travel / Visit / Tour / অপরুপ আন্দামান
« on: November 11, 2015, 10:28:25 AM »
ছোটবেলায় ম্যাপ পয়েন্টিঙের সময় ভারতের ম্যাপের নীচের দিকে ছোট ছোট কয়েকটা বিন্দু বিন্দু একে লিখে দিতাম আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুন্জ। তখন কি আর জানতাম কি অপরুপ রুপ নিয়ে সমুদ্রের মাঝে জেগে রয়েছে আন্দামান? আন্দামানের রাজধানী পোর্টব্লেয়ার। বঙ্গোপসাগরে ৫৭২টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপূঞ্জ। এর মধ্যে মাত্র ২২ টি তে জনবসতি গড়ে উঠেছে। এখানকার প্রধান ভাষা হল আন্দামানিজ, বাংলা, ইংরাজী, হিন্দী, নিকোবরিজ, তেলেগু, তামিল ইত্যাদি। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে কলকাতার জলপথে দূরত্ব - ১২৫৫ কিলোমিটার। বছরে দুইবার বর্ষা হয় এখানে। আন্দামান যাবার দুটি প্রধান পথ - জলজাহাজ অথবা বিমানে। প্রতিদিন দমদম বিমানবন্দর থেকে পোর্টব্লেয়ারের দিকে বেশ কয়েকটি বিমান  রওনা হচ্ছে। পোর্টব্লেয়ারে  থাকার অনেক রকমের হোটেল রয়েছে। তাছাড়া শহর থেকে দূরে দক্ষিন দিকে ওয়ান্ডুরে বিচের আশে পাশে হোটেলে থাকলে সবুজের মাঝে থাকার আনন্দ পাওয়া যাবে। নির্মল বাতাস, কোনো রকমের দূষন নেই। পের্টব্লেয়ারে পৌছনোর দিন দেখে নেওয়া যায় কভলিন কোভ বিচ। বিচে হেটে জলে পা ভিজিয়ে বিচের ওপর ডক চেয়ারে আধশোয়া হয়ে হলুদ ডাবের জল খেতে খেতে সমুদ্রের ওঠা পড়া দেখতে ভালো লাগে। ৫টার পর দেখে নেওয়া যাবে সেলুলার জেলের লাইট ও সাউন্ড শো। কত মানুষের, কত উদার জীবনের জীবন দানের ফলে ভারতবাসী উপভোগ করছে স্বাধীনতা। সেলুলার জেলের বুড়ো অশ্বথ্ব গাছের গায়ে পরম মমতায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিতে ইচ্ছা করবে। এই সেই প্রান যে আজও সাক্ষী আছে সেইসময়ের। চরম কষ্ট ভোগ করা জীবনের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা। পর দিন সারাদিনের জন্য চলে যাওয়া যায় নর্থ বে বিচ। লন্চে করে যেতে হবে পোর্টব্লেয়ারের একটু উত্তরে নর্থ বে বিচ। গ্লাস লাগানো বোট করে দেখা যাবে বিভিন্ন রঙের কোরাল। কোরাল মনে হবে খুব কাছে চলে এসেছে। কোরালের ফাকে ফাকে রঙীন মাছের দল ঘুরে বেড়াচ্ছে। নর্থ বে বিচে ‘সি ওয়াকিং’ সমুদ্রের নীচে হাটানোর ব্যবস্হা, স্নোকেরিং, স্কুবা ডাইভিং ইত্যাদি নানা রকমের জলের খেলা আছে। খাবারের ব্যবস্হা আছে, কেনাকাটাও করা যায়। বিভিন্ন রকমের কোরালের গয়না, মুক্তোর কানের দুল, গলার হার পাওয়া যাচ্ছে অনেক কম দামে। নর্থ বে থেকে লন্চে করে চলে আসা যায় রস আইল্যান্ডে। রস আইল্যান্ড যা ব্রিটিশ সরকারের কর্মক্ষেত্র ছিল। কত যুগ আগে ওখানে জল পরিশোধনের ব্যবস্হা ছিল, বিস্কুট – কেক বানানোর জন্য বেকারি ছিল। এখন এখানে মানুষের বসবাস নেই, তবে অনেক হরিন, খরগোশ আছে।

পরের দিন চাইলে চলে যাওয়া যায় হ্যাভলক আইল্যান্ড। সরকারী ফেরির টিকিট আগের দিন কাটতে হবে লাইনে দাড়িয়ে। ফেরি হ্যাভলক পৌছতে ৪ – ৬ ঘন্টা নেয়। হাই স্পিড ফেরি ‘ম্যাকক্রজ’ ধরা যেতে পারে। হ্যাভলক পৌছতে সময় নেয় ৯০ মিনিট। দিনে দিনে ঘুরে আসা যায় হ্যাভলক থেকে। চাইলে থাকতে পারেন, আনেক হোটেলের ব্যবস্হা আছে। সময় থাকলে ঘুরে নেবেন পাশের নীল আইল্যান্ড। হ্যাভলকে আছে তিনটি বিচ, রাধানগর, কালাপাথ্থার আর এলিফ্যান্ট বিচ। এলিফ্যান্ড বিচে জলের খেলাধুলোর ব্যবস্হা আছে। হ্যাভলকের বিচগুলির জল নীল, আবার কোথাও সবুজ। জল এত স্বচ্ছ যে নীল আকাশের ছায়া, সবুজ গাছের ছায়া জলের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। জলের রং বদলায়, নীল, ঘন নীল, সবুজ, সাদা অপরুপ মনে হয়। জলের রঙের সঙ্গে সঙ্গে মনের অনুভূতি স্নিগ্ধ হয়। ভালো লাগে। কালাপথ্থার বিচে কালো রঙের পাথর দেখা যায়। তবে বালির রঙ সোনালী। জলে বা বিচে কোথাও গলা মাটি নেই। হ্যাভলকে অতি অবশ্যই খাবেন রাধানগর বিচের ধারে বিক্রি করা গোটা পাকা পেঁপে, আনারস। কি যে অপূর্ব স্বাদ! পাশে ছোট ছোট ঝুঁপড়ি হোটেলে দূপুরের ভাত খাবেন সুরমাই, কোকারি মাছ আর সব্জি দিয়ে। আসল বাঙাল রান্নার স্বাদ পাবেন। নীল আইল্যন্ড ঘুরে আসতে পারেন। সমুদ্রের মাঝে যাওয়া আসার পথে একদিকে দেখা যায় উত্তর আন্দামানের জঙ্গল অন্চল আর অন্য দিকে দেখা যায় আদিগন্ত সমুদ্র, শান্ত সমুদ্র।

পরের একদিন দেখে নেওয়া যায় ওয়ান্ডুর বিচ, যা পোর্টব্লেয়ার থেকে আধঘন্টার গাড়ির পথে পৌছে যাওয়া যাবে। ওয়ান্ডুর থেকে ছেড়ে লন্চে করে চলে যাওয়া যায় জলি বয় আইল্যান্ড। জলি বয় আইল্যান্ড না খোলা থাকলে রেড স্কিন আইল্যান্ড যাওয়া যায়। সেখানে আনেক রকমের, নান রঙের প্রবালের দেখা মেলে। অবশ্যই একদিন পোর্টব্লেয়ার দেখে নিন। সেলুলার জেল, চাথ্থাম শ মিল, মিউজিয়াম ইত্যাদি। সেদিন ঘুরে নিতে পারেন ভাইপার আইল্যান্ড। আন্দামান গেলাম আর জারোয়া দেখলাম না তা কি কখনো হয়? পুরো একদিন রাখতে হবে জারোয়া জঙ্গল আর পাশের ম্যানগ্রুভ জঙ্গল দেখে নেওয়া যায়। সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়তে হবে, জিরাকটাঙের দিকে, সেখানে সকাল ৮।৩০ ও সকাল ৯টার সময় পুলিসের কনভয় জারোয়া জঙ্গলে নিয়ে যায়। কনভয় ধরার সময় জারোয়া জঙ্গল শুরুর মুখে অতি অবশ্যই খাবেন সাউথ ইন্ডিয়ানের হাতের রান্না করা বড়া, ইডলি, ধোসা, সাম্বার আর চাঠনি। আমাদের চিরপরিচিত স্বাদের থেকে একদম আলাদা। দোকানের সাউথ ইন্ডিয়ান দিদি বললেন, জঙ্গলে ঢোকার এক কিমির মধ্যেই দেখা যেতে পারে। সত্যিই তাই, দেখা মিলল, তিন জন জারোয়া যুবক, লাল, নীল রঙের রঙ চঙে সাজ, হাতে কপালে রঙিন কাপড় জড়ানো। গল্প করছিল তিন জারোয়া যুবক, এক জনতো রীতিমতো জিন্স টি শার্ট গায়ে দিয়ে। ফেরার পথে দেখা মিলল তিন টি গ্রুপে আরও ১৩ – ১৪ জনের। বাচ্চারা, যাদের বয়স ১২-১৪ বছরের মধ্যে তারা একদম কিছু গায়ে নেই, আবার যাদের বয়স ৪০ এর ওপর তারাও কোনো মতে লাল, নীল কাপড় কোমরে জড়ানো। সেইভাবে সাজের প্রতি নজর কম। সবার মুখে শরীরে সাদা রঙের দাগ কাটা রয়েছে। পথের পাশে জলের ধারার পাশে দেখা গেল তাদের সাদামাটা পাতার ছাউনি দেওয়া ঝুপড়ি। পুরো জঙ্গলটার পথ অপূর্ব, রেন ফরেস্ট, সেজন্য গাছগুলি সব লম্বা লম্বা এবং ঘন সবুজ। জিরাকটাং থেকে শুরু করে বারাটাং পর্যন্ত জারোয়া বাস। বারাটাঙে ভেসেল করে অন্য পাড়ে গিয়ে ধরতে হল স্পিড বোট, যা নিয়ে গেল ম্যানগ্রুভ জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। সমুদ্রের ব্যাক ওয়াটার, দু পাশে এক সাইজের ম্যানগ্রুভের জঙ্গল, নীল আকাশ আর পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। জলের বুক চিরে স্পিড বোটে করে ৯ কিমি পথ চলে যাওয়া। সেখান থেকে এক কিমি পায়ে হেটে দেখা যায় প্রচীন গুহা। গুহার হাঁ করে থাকা মুখ আমাদের প্রাচীন সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। হাতে আরও তিন চার দিন সময় থাকলে চলে যাবেন জাহাজ করে মায়া বন্দর। ঘুরে আসবেন ডিগ্লিপুর। আন্দামান থেকে ঘুরে আসার পর শহুরে জীবনে অনেক দিন তাড়া করবে সমুদ্রের নীল জল, সবুজ জল, স্বচ্ছ জলের রঙীন মাছ।


40
 সুখের দেশ ভুটান । ভুটানের পাহাড়ি মানুষেরা অল্পে সুখি । সেজন্য তাদের মুখে হাসি সবসময় থাকে । এত কঠিন পরিস্হিতির মধ্যে থাকলেও তারা মনে করেন আনন্দে আছেন । এই অভাব বোধের দর্শনই ভুটানিদের সুখী মানুষ করে তুলেছে । সুখের দেশের সুখী মানুষদের এবং তাদের ছবির মতো দেশটিকে একবার দেখে আসতে ইচ্ছে করছে তো ? ইচ্ছে পাখিকে বাধা দিতে নেই তাই ঘুরে আসুন ভুটান । শীতকাল ভুটান  বেড়াবার ঠিক সময় নয়। আগস্ট থেকে অক্টোবর এই তিন মাস ভুটানে ঘুরবার সময়। বর্ষাকালে ভুটানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় বলে বর্ষা মৌসুমেও দেশটিতে না যাওয়াই ভালো । ভুটানী বিমান ড্রুক এয়ারলাইন্সে যাওয়া যেতে পারে ছোট শহর পারো তে । বিমান যখন পারোর মাটি ছোবার চেষ্টা করে প্রতি মুহুর্ত মনে হবে এই বুঝি পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা লাগলো, কিন্তু ঠিক নেমে যাবেন কয়েকটি চক্কর দিয়ে । আর সঙ্গে যোগ হবে অসাধারন অভিজ্ঞতা আর অনুভুতি । এছাড়া ফুন্টসেলিং দিয়ে সড়ক পথে ভুটান যাবার একটি পথ আছে । ফুন্টসলিং থেকে দিনের বেলা বাস যায়। সময় লাগবে ছয়-সাত ঘণ্টা।


পারো : ছোট্ট শহর পারো এক কথায় অসাধারণ। এখানে রয়েছে পারো জং, ন্যাশনাল মিউজিয়াম। এ অঞ্চলের সব থেকে বড় আকর্ষণ টাইগার্স নেস্ট। পথে যেতে যেতে পাবেন ছোটো ছোটো দোকান যেখানে মোমো খেতে ভুলবেন না ।


থিম্পু : ভুটানের রাজধানি । থিম্পু  দেশের সংস্কৃতির মূল কেন্দ্র। এখানে রয়েছে রাজধানী থিম্পুর প্রাণ থিম্পু জং,  সিমতোখা জং।  ১৬২৭ সালে তৈরি থিম্পু ভ্যালির গেটওয়ে। আছে রিগনে স্কুল ফর জঙ্ঘা অ্যান্ড মোনাস্টিক স্টাডিজ। এছাড়াও ফ্রেশকো এবং স্টেট কার্ভিংস এ অঞ্চলের বিশেষ আকর্ষণ। এটি তৈরি হয় ১৬৬১ সালে। ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দরজি ওয়াঙ চুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭৪ সালে মেমোরিয়াল কর্টেন নামে এই স্তূপ তৈরি হয়েছিল। এই কর্টেন মূলত একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এর ভেতরে অনেক ধরনের পেইন্টিং এবং স্ট্যাচু রয়েছে, যা বৌদ্ধ দর্শনের প্রতিবিম্ব। থিম্পু পুনাখা শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুনাখা। এখান থেকে হিমালয়কেও দেখতে পাওযা যায় । ভুটানের সব থেকে উর্বর ভ্যালি এই পুনাখা। থিম্পুতে আরও রয়েছে হ্যান্ডিক্রাফট এম্পোরিয়াম, ট্র্যাডিশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট, পেন্টিং স্কুল এবং ন্যাশনাল লাইব্রেরি। আর পারো থেকে থিম্পু যাবার পথটি ছবির মতো, পথে পথে ভুটানি মেয়েরা বিক্রি করছে মোমো, ঝাল দেওয়া চাটনি ।


বুমথাং : ভুটানের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জং মন্দির  । বুমথাংকে বলা হয় ভুটানের আধ্যাত্মিক হৃদয়ভূমি। ওয়াংগডিচোলিং প্যালেস, জাম্বে লাখাং মন্দির, সব থেকে বড় ভুটানিজ মন্দির জাকার এবং হট স্প্রিং ।

41
চিনির ক্ষতিকারক প্রভাব মানুষের স্থূলতা, বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির পেছনে দায়ী।
জিরো ফ্যাট ইয়োগার্ট (দই) ক্যানে প্রায় পাঁচ চা-চামচ চিনি থাকে। টমেটো স্যুপে থাকে প্রায় চার চা-চামচ চিনি। চকলেট বারে থাকে প্রায় আট চা-চামচ চিনি।
একজন পূর্ণবয়স্ক  নাগরিক দিনে ১২ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করে থাকেন। অনেকে আবার দিনে ৪৬ চা-চামচ চিনিও খেয়ে থাকেন। চিনি আহরণের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  জানায়, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করতে পারেন, এর বেশি নয়।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিশ্বব্যাপী স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুর পেছনে মূল ভূমিকা চিনির।
স্থূলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের সংক্রমণে ভূমিকা রাখে।

42
Life Style / অনিদ্রা কাটানোর খাবার
« on: November 11, 2015, 10:19:31 AM »
সারাদিনের খাটুনির পরও ঘুম আসছে না! অনেকেই মনে করেন ‘ইনসমনিয়া’ বা অনিদ্রায় ভুগছেন। আর এ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ঘুমের ওষুধের উপর আশ্রয় নেন।



ঘুমের ওষুধের অভ্যাসের কারণে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যার ঘুমের ওষুধের উপর নির্ভরশীল তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো অনিদ্রার সমস্যা কিছুটা কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সাইটে এই ধরনের কয়েকটি খাবারের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।

কলা

কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটইশয়াম। আর মানুষের শরীরে পটাশিয়ামের উপস্থিতি, রাতে ঘুম কতটা গাঢ় হবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া কলার ট্রাইপটোফ্যান এবং ম্যাগনেসিয়াম রাতে ঘুম হতে সাহায্য করে। তাই ঘুমের ওষুধ বাদ দিয়ে রাতে কলা খেয়ে বিছানায় যেতে পারেন।


মধু

ঘুমাতে যাওয়ার আধা ঘন্টা আগে হার্বাল চা বা হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়ার যেতে পারে। মধু স্নায়ু শীতল করতে সাহায্য করে। ফলে রাতে ঘুমে সাহায্য করে।

বাদাম

শরীরে সেরোটোনিন হরমোনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে বাদাম। এই হরমোন মস্তিষ্ককে সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। বাদামেও রয়েছে ট্রাইপটোফ্যান এবং ম্যাগনেসিয়াম। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০ থেকে ১৫টি বাদাম ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে।

দই

দুগ্ধজাত খাবার হিসেবে দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এই উপাদান ঘুমে সাহায্যকারী ট্রাইটোফ্যান এবং মেলাটোনিন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

ভেষজ চা

অনেকে মনে করেন লাল চা বা ‘গ্রিন টি’-এর মতো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ ভেষজ চাগুলো রাতে ঘুমে ব্যঘাত ঘটাতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে ক্যামোমাইল সমৃদ্ধ ভেষজ চা দুশ্চিন্তা কমায় এবং অনিদ্রার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

 

আঙুর

এই ফল শরীরে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে। আর এই হরমোন ঘুমে সাহায্য করে।

ডিম

রয়েছে ট্রাইটোফ্যান নামক এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই উপাদান ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ঘুমানোর আগে খাওয়ার জন্য আদর্শ একটি খাবার হল ডিম।

43

সংরক্ষণ করার জন্য নানান কৌশল ও খাদ্য সম্পর্কীয় যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

খাবারের মধ্যে এনজাইমের ক্রিয়া, জীবাণুর বৃদ্ধি, পোকামাকড়ের আক্রমণ, আলো, অক্সিজেন, তাপমাত্রা, শুষ্কতা এমনকি কাটা, ফাটা, ও থ্যাঁতলানো ইত্যাদি কারণে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা উচিত।

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা সঠিক উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ করার উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, “খাদ্য সংরক্ষণ করার সঠিক উপায় নির্ভর করে ওই খাদ্যের পচনশীলতার বৈশিষ্টের উপরে। তাই সংরক্ষণের পদ্ধতি নির্বাচনের আগে খাদ্যের গুণগত মান ও পচনশীলতার বৈশিষ্ট সম্পর্কে ভালো ভাবে ধারণা রাখা দরকার।”

ফারাহ মাসুদা জানান, খাদ্য পচনশীলতার ভিত্তিতে তিন রকমের হয়ে থাকে।

১. দ্রুত পচনশীল: মাংস, দুধ, পাকাফল।

২. আংশিক পচনশীল: মাটির নিচে জন্মানো ফসল-আলু। কলা, সবজি, বেকারির খাদ্য।

৩. অ-পচনশীল খাদ্য: শস্যজাতীয় খাদ্য- ডাল, চিনি, মসলা, শুকনা খাবার ইত্যাদি।

পচনকাজে সাহায্য করে এমন সব বিষয়কে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে খাদ্য অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এই ক্ষেত্রে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। যেমন-

* খাদ্য থেকে পানি অপসারণ করে, বায়ুশূণ্য পরিবেশে রাখলে বা বরফে জমিয়ে রাখলে খাদ্যের ভেতরের জীবাণু ও এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

* ফুটানো, সিদ্ধ বা টিনজাত করে খাদ্যের জীবাণু ধ্বংস করা যায়।

* সংরক্ষক দ্রব্য যেমন- চিনি, লবণ, সিরকা, মসলা ও নানান রাসায়নিক সংরক্ষক দ্রব্য ব্যবহার করে খাদ্য পচন, গাঁজন ও জারণ রোধ করা যায়।

* রন্ধন পদ্ধতির পরিবর্তন এনেও খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়।

ঘরের সাধারণ যন্ত্রপাতি ও সংরক্ষক দ্রব্য ব্যবহার করে খাদ্য সংরক্ষণ করা প্রসঙ্গে ফারাহ মাসুদা বলেন, “হাতের নাগালে পাওয়া যায় এমন কিছু উপাদান ও কৌশল অবলম্বন করে এক মৌসুমের খাদ্য অন্য মৌসুম পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।”

এমনই কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানান তিনি।

শুষ্ককরণ: খাদ্যবস্তু থেকে পানি শুকিয়ে নিয়ে তা সংরক্ষণ করা যায়। এতে খাদ্যের ছত্রাক, জীবাণু ও এনজাইম প্রতিহত হয় এবং কোনো বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়াই খাদ্য অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়। এই পদ্ধতিতে বড়ই, খেজুর, আঙুর ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যায়।

হিমায়িতকরণ: সঠিকভাবে ঠাণ্ডা করলে খাদ্যের পুষ্টিমান, রং ও গন্ধ অটুট থাকে। তবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হলে খাদ্য দ্রব্যকে প্রথমে ভালো ভাবে পরিষ্কার করা দরকার। জীবাণু বৃদ্ধি ও এনজাইমের ক্রিয়া রোধ করার জন্য তিন,চার মিনিট ফুটন্ত পানিতে ভাপিয়ে নিয়ে তারপর ঠাণ্ডা পানিতা তা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে এরপর পানি ঝরিয়ে তা বায়ুশূন্য পলিথিন ব্যাগে মুড়ে বরফের মধ্যে রাখতে হবে।

রেফ্রিজারেশন ও ফ্রিজিং: রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ৪.৪ থেকে ১২.৮ সেলসিয়াসে থাকে। এতে খাদ্যের পানি ও রস বরফে পরিণত হয়না। তাই খাদ্য স্বল্প মেয়াদে ভালো থাকে।

ফ্রিজিংয়ের ক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে এই পদ্ধতি স্বল্প সময়ের জন্য প্রযোজ্য। বেশি দিন ফ্রিজিংয়ে রাখলে মাছ, মাংস ও চর্বির গন্ধ পরিবর্তন হয়। মাংসের হাড়ের রঞ্জক পদার্থ বাদামি রং ধারণ করে।

ফারাহ মাসুদা বলেন, “ফ্রিজে ছয় মাস পর্যন্ত মাছ ও মাংসের গুণ ঠিক থাকে। তাই বেশি দিন মাছ মাংস ফ্রিজে না রাখাই ভালো বলে মনে করি আমি।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস একবারই বের করা ভালো। একটি প্যাকেট থেকে মাছ বা মাংস খানিকটা বের করে আবার বাকিটা ফ্রিজে রেখে দেওয়া ঠিক না। প্রয়োজনে ছোটো ছোটো প্যাকেট করে রাখা যেতে পারে।”

উচ্চতাপ প্রয়োগ: দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য সংরক্ষণ করতে চাইলে উচ্চতাপ প্রয়োগ পদ্ধতি অবলম্বন করা সবচেয়ে ভালো। এতে জীবাণু কোষ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়।

পাস্তুরণ: এই পদ্ধতিতে অল্প তাপে খাদ্যবস্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উত্তপ্ত করা হয়। রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করা ও খাদ্যের বিশেষ পরিবর্তন ছাড়া কিছু সময় ধরে খাদ্য সংরক্ষণ করা পাস্তুরণের মূল উদ্দেশ্য। দুধ, জুস, বিয়ার ইত্যাদি পানীয় এই পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করা হয়।

ধুমায়িতকরণ: মাছ, মাংস ও এর থেকে তৈরি খাদ্য ধোঁয়ার মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করা হয়। কাঠ, তুষ, খড় ইত্যাদির ধোঁয়ায় জীবাণুনাশক উপাদান থাকে। স্মোকড ফিস, কাবাব ইত্যাদি খাবার মসলা মিশিয়ে ধুমায়িত করলে স্বাদ ও গন্ধে পরিবর্তন আনে এবং কিছু দিন সংরক্ষণ করা যায়।

বোতলজাতকরণ: কম অম্লযুক্ত খাদ্য একশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখলে টিনজাত খাদ্যের জীবাণু ধ্বংস

হয়। এতে একটি মাধ্যম। ব্যবহার করা হয়- ফলের রস, চিনির সিরা, তেল, লবণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে।

চিনি ও লবণের দ্রবণে সংরক্ষণ: ঘন চিনির সিরায় খাদ্যের পানির ক্রিয়া হ্রাস পায়, ফলে জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে জ্যাম, জেলি, মারমালেড ইত্যাদি তৈরি করে অনেকদিন পযর্ন্ত রেখে দেওয়া যায়।

লবণের সাহায্যে খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষণ করা যায়। যেমন- ইলিশ, লবণ মাংস, লবণ সবজি ও নানা রকমের আচার।

এই সকল পদ্ধতি ছাড়াও ফারমেন্টেশন ও পিকলিং, এলকোহলের গাঁজন, ইরাডিয়েশন বা গামা-রশ্মি ব্যবহার করেও খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়।

খাদ্য সংরক্ষণের সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরমর্শ দেন ফারাহ মাসুদা। -

* সংরক্ষণের আগে টাটকা ও নিখুঁত খাদ্য বাছাই করে নিতে হবে।

* মাছ মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তা কাটা থেকে শুরু করে প্যাকেট করা পর্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

* তামা, কাঁসা, পিতল বা লোহার হাঁড়ি বা চামচ দিয়ে টক ফল নাড়াচাড়া করা ঠিক না। কাঠের চামচ ব্যবহার করা ভালো।

* সংরক্ষক পাত্র ঠিক ভাবে আটকানো উচিত ও সঠিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত।

44

ঠিক কোন সময় নাস্তা খাওয়া উচিত। নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মধ্যে ঠিক কতটা বিরতি রাখতে হবে এ বিষয়গুলো জানা থাকা সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে খাবার খাওয়ার টুকিটাকি নিয়ম নিয়ে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়।

সকালের নাস্তা

- ঘুম থেকে ওঠার আধা ঘণ্টার মধ্যে সকালের নাস্তা খাওয়া উচিত।

- নাস্তা খাওয়ার আদর্শ সময় সকাল ৭টা।

- সকাল ১০টার মধ্যে নাস্তা খেয়ে নিতে হবে।

- সকালের নাস্তায় প্রোটিনজাতীয় খাবার রাখা উচিত।

দুপুরের খাবার

- দুপুরের খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় ১২:৪৫ মিনিট

- সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মধ্যে চার ঘণ্টা বিরতি থাকা উচিত।

- বিকাল ৪টার আগেই দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে হবে।

রাতের খাবার

- আন্তর্জাতিক সময় হিসেবে সন্ধ্যা ৭টায় রাতের খাবার খাওয়া উচিত। তবে সাধারণত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে।

- রাত ১০টার পর রাতের খাবার খাওয়া উচিত নয়।

- ঘুমানোর ঠিক আগেই খাবার খেলে ঘুমে ব্যঘাত ঘটতে পারে।

ব্যায়ামের সময়

- ওজন ওঠানো ধরনের ব্যায়াম খালি পেটে করা উচিত নয়। তবে একেবারে ভরা পেটেও ব্যায়াম করা যাবে না। খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করা সবচেয়ে ভালো।

- ব্যয়ামের আগে প্রোটিন যেমন চিকেন বা টুনা স্যান্ডউইচ, ডিম, হোল গ্রেইন রুটি, পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ ইত্যাদি খেয়ে নিতে হবে।

45

ঘুমের অভাব ছাড়াও বিভিন্ন কারণে অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন। সেগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এরকম কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়।

ক্লান্তির কারণে ব্যায়াম ছেড়ে দেওয়া

শরীরের শক্তি সঞ্চয়ের জন্য প্রতিনিকার ব্যায়াম ছেড়ে দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

জর্জিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্ক কিন্তু স্বাস্থ্যবান বৃদ্ধ যারা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ন্যুনতম ২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম শুরু করেছেন, ছয় সপ্তাহ পর তারা আরও বেশি সতেজ ও কম ক্লান্ত বোধ করছেন।

নিয়মিত শরীরচর্চা শক্তি ও সহিষ্ণুতা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার পদ্ধতি সচল রাখে। শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই যখনই ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়তে চায়, অন্তত কিছু সময় হাঁটুন- উপকার পাবেন।

যথেষ্ট পানি পান না করা

টেক্সাস হেলথ বেন হোগান স্পোর্টস মেডিসিনের পুষ্টিবিদ অ্যামি গুডসন জানান, মাত্র দুই শতাংশ পানি শূন্যতাও স্বাভাবিক কর্মোদ্যম কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

তিনি বলেন, “পানির অভাব রক্তের পরিমাণ হ্রাস করে রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হৃদপিণ্ডের রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়, পেশি ও দেহযন্ত্রগুলোতেও অক্সিজেন ও পুষ্টির সরবরাহের গতি কমে যায়।”

তিনি পরামর্শ দেন, শরীরের দৈনিক পানির চাহিদা নির্ণয় করতে হলে নিজের ওজনকে পাউন্ডে রূপান্তর করে তার অর্ধেক হিসেব করুন। এবং তত আউন্স পানি পান করুন প্রতিদিন।

লৌহজাতীয় খাবার গ্রহণ না করা

দেহে লৌহের স্বল্পতা আপনাকে করে তুলতে পারে অলস, খিটখিটে, দুর্বল আর অন্যমনষ্ক।

গুডসন বলেন, “এর ফলে আপনি দুর্বল হয়ে যেতে পারেন কারণ, পেশি আর কোষে কোষে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়।”

রক্তশূন্যতার ঝুঁকি রোধে খাদ্যতালিকায় লৌহের পরিমাণ বাড়িয়ে নিন। চর্বিহীন মাংস, বৃক্ক, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, পিনাট বাটার পাশাপাশি উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন গুডসন।

উল্লেখ্য, ভিটামিন সি শরীরে লৌহ শোষণ করতে সাহায্য করে।

অল্পতেই দুশ্চিন্তায় অস্থির হওয়া

অফিসে একটি অপ্রত্যাশিত মিটিংয়ে ডাক পড়লে কি আপনি চাকরি হারানোর চিন্তায় অস্থির হয়ে যান? অথবা মোটরবাইকে চড়েন না, দুর্ঘটনা ঘটবে এই ভয়ে? আপনি আশংকায় থাকেন সবচেয়ে খারাপ পরিণতিটি আপনার সঙ্গেই ঘটবে?

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের মনোরোগবিদ্যার অধ্যাপক আইরিন এস. লিভাইন (পিএইচডি) বলেন, “এরকম অহেতুক দুশ্চিন্তা কর্মশক্তি লোপ করে।”

তিনি পরামর্শ দেন, অপ্রয়োজনীয় নেতিবাচক চিন্তা মনে ভিড় করলে একবার বুক ভরে গভীর শ্বাস নিন, নিজেকেই প্রশ্ন করুন- এসব কিছু আদৌ কি ঘটবে? নাকি সবই মনের অহেতুক ভয়?

বাইরে ঘুরতে যাওয়া, নিয়মিত ধ্যান ও শরীরচর্চা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা- ইত্যাদি অভ্যাস আপনাকে রাখবে সদাপ্রফুল্ল আর করে তুলবে আরও বাস্তববাদী।

সকালের নাস্তা না খাওয়া

শরীরের জ্বালানি হচ্ছে খাবার। এমন কি ঘুমানোর সময়ও শরীর সে জ্বালানি কাজে লাগিয়ে রাতভর রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন করে। তাই ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা খাওয়া জরুরি।

গুডসন বলেন, “সকালের নাস্তা বিপাক প্রক্রিয়াকে নতুনভাবে চালু করে।”

সকালের নাস্তায় তিনি শস্যজাত খাবার, চর্বিবিহীন আমিষ আর স্নেহসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।

অতিরিক্ত ‘জাঙ্কফুড’ খাওয়া

জাঙ্কফুড বলতে আমরা বুঝি, বার্গার, হটডগ ইত্যাদি। এসব উচ্চমাত্রার চিনি ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে উঁচু মাত্রা প্রদর্শন করে।

উল্লেখ্য, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার রক্তের শর্করায় কতটুকু প্রভাব ফেলে, তার মাত্রা নির্দেশক।

রক্তে শর্করার ওঠানামা সারাদিনের ক্লান্তির কারণ হতে পারে। গুডসন রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখার পরামর্শ দেন। তার মতে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় মুরগির মাংস, বাদামি চাল, মিষ্টি আলু, সালাদ ও ফলমূল থাকা উচিত।

অত্যধিক কাজের চাপকে ‘না’ বলতে না পারা

বেগার খাটতে গিয়ে নিজের শক্তি ও প্রশান্তি নষ্ট করবেন না। তাই ‘না’ বলতে শিখুন।

অগোছালো কর্মক্ষেত্র

প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রের অগোছালো অবস্থা মনঃসংযোগ এবং মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কাজের সময় থেকে ব্যক্তিগত সময়কে আলাদা রাখুন। অফিসের ডেস্কে বড় রকমের গোছগাছ করতে হলে একেবারেই পুরোটা করে ফেলতে যাবেন না। চোখের সামনে যা কিছু পড়ে সেটাই গুছিয়ে ফেলুন। তারপর ডেস্ক আর কেবিনেটের একটি একটি ড্রয়ার ধরে গোছাতে শুরু করুন।

বিশ্রামের সময়েও কাজ

অবকাশযাপনের সময়ে অফিসের কাজকর্ম করা চরম অবসাদের কারণ হতে পারে। মাঝে মাঝে সমস্ত ব্যস্ততা থেকে অবসর নিন, নতুন উদ্যোমে কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসতে পারবেন।

শোবার আগে মেইল চেক করা

ট্যাব, স্মার্টফোন বা পিসি’র পর্দা থেকে বিচ্ছুরিত আলো মেলাটোনিন নামক হরমোনের নিঃসরণকে কমিয়ে স্বাভাবিক দেহঘড়িকে ব্যাহত করে।

নিউইয়র্ক নিউরোলজি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিনের মেডিকল ডিরেক্টর ড. অ্যালেন টৌফিঘ বলেন, “মেলাটোনিন হরমোন আমাদের ঘুমানো ও জেগে ওঠা নিয়ন্ত্রণ করে।”

তার মতে, ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগ থেকে সব ধরণের প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ রাখা উচিত।

তিনি পরামর্শ দেন, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে না চাইলে শোবার সময় আপনার ‘ডিভাইস’টি মাথা থেকে অন্তত ১৪ ইঞ্চি দূরে সরিয়ে রাখুন।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 10