Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Story, Article & Poetry => Topic started by: akazad600 on May 21, 2017, 11:33:09 AM

Title: স্বাচ্ছন্দ্য, নিরাপত্তাবোধের পলিমাটি
Post by: akazad600 on May 21, 2017, 11:33:09 AM
আপনি তাহলে লেখেন?’ ভদ্রলোক পুরু চশমা চোখে দিতে দিতে আমাকে জিজ্ঞেস করেন।

—জি লিখি...সফটওয়্যার। আমি ছোট করে উত্তর দিই।
—আপনার বন্ধু যে বলে গেল আপনি চমৎকার লেখেন? আরে ভাই লুকান কেন? ধর্মবিরোধী ব্লগ লেখেন নাকি?’
মনটাই খারাপ হয়ে গেল। থাকি অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে। এবার সিডনি বেড়াতে এসে পরিচিত তেমন কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করিনি ইচ্ছা করে। পরিকল্পনা ছিল ‘কোথাও যাওয়ার নেই কিচ্ছু করার নেই জাতীয় একটা ছুটি কাটাব’। প্রথম দুই দিন সেভাবে কাটালামও। কিন্তু তৃতীয় দিন এসে মনে হলো দুই-চার জন খুব কাছের মানুষকে না জানালে খুব অন্যায় হয়ে যাবে। সেই হিসেবেই এক ছোট ভাইকে ফোন করলাম।
—বস আপনি সিডনিতে। কিছুই জানি না। কই আছেন? কবে আসবেন দেখা করতে? উচ্ছ্বসিত হয়ে ছোট ভাই এক নাগাড়ে বলে যায়।
—এইতো আসলাম। এইবার কোথাও যাব না, কিচ্ছু করব না। তাই কাউকে জানাইনি। তবে তোমার সঙ্গে একদিন আড্ডা দিতে যাব। কোনদিন ফ্রি আছ? আমি জিজ্ঞেস করি।
—বস পরশুদিন শনিবার আমার ছেলের জন্মদিন। গত তিন বছর করতে পারি নাই। এইবার একটু বড় করেই করছি। আপনাকে আসতেই হবে।
—এইবার মাফ করো ভাই। তোমার সঙ্গে অন্য আর একদিন দেখা করব তাহলে।
—নাহ আপনাকে আসতেই হবে। কথা দিলাম অনুষ্ঠানের পরে আপনার সঙ্গে ঠিকই আড্ডা দেব। ভাবি বাচ্চাদেরও নিয়ে আসবেন।
তাকে আরও কিছুক্ষণ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে হার মানলাম।
অতপর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে আসেনি। কারণ আমার না হয় দু-একজন পরিচিত থাকবে...থাকবে ফেলে আসা দিনের স্মৃতিময় আড্ডা...কিন্তু তারা এখানে একেবারেই আগন্তুক। তাই...।
আমরা প্রথম প্রজন্ম প্রবাসী বাংলাদেশি দেশ থেকে আসার সময় পাসপোর্ট ভিসার সঙ্গে নিজের অজান্তেই নিজস্ব একটা বাংলাদেশ নিয়ে আসি। একজনের বাংলাদেশ হয়তো অন্যজনের বাংলাদেশের সঙ্গে মেলে না...কেমন যেন মিলতে চায় না। তারপরও সেটা বাংলাদেশই। এ রকম আড্ডা-দাওয়াতেই তার পরিচয় পাওয়া যায়। আমার বেশ ভালো লাগে। ছোট ভাই একসময় ফেসবুকে নিয়মিত আমার লেখা পড়ত। ‘ফেসবুক একটা চূড়ান্ত ফাতরামির জায়গা’ ঘোষণা দিয়ে মাস তিনেক আগে সে তার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করেছে। অথচ এই ভরা মজলিশে আমার অন্য পরিচয় বাদ দিয়ে লেখার কথাটাই আগে বলল। বিরক্ত লাগলেও প্রকাশ করার আগেই সে অন্যত্র ব্যস্ত হয়ে যায়। আর আমি তখন সাত-আট জোড়া কৌতূহলী চোখের সামনে...।
—ভাই যার কথা বললেন তার সঙ্গে আমার ছোট ভাই, বড় ভাই সম্পর্ক। জানেনইতো এই সব সম্পর্কে একটু বাড়াবাড়ি থাকে। ও একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করছে। আসলে তেমন কিছু না। বিরক্তি চেপে কোনোমতে ম্যানেজ করার চেষ্টা করি।
বয়স্ক ভদ্রলোক একটু চুপ থেকে আবার বলা শুরু করেন।
—আজকাল দেখি সবাই লেখক, সবাই কবি। আরে লিখতে হলেতো জানতে হবে, পড়তে হবে। এই যে আজকাল এত লেখক, তাদের কয়জন রবীন্দ্রনাথের চরিত্রহীন পড়েছে...।
এভাবেই খুব গম্ভীর স্বরে তিনি শরৎ চন্দ্রকে রবীন্দ্রনাথ, বিমল মিত্রকে বিমল কর বলে আলাপ শুরু করলেন। লেখকের নামের ভুল হতেই পারে কিন্তু আরও একটু আলাপ করাতেই বুঝলাম তিনি কয়েকটা বইয়ের নামই শুধু জানেন। আশপাশের বেশ কয়েকজন ভদ্রলোকের পাণ্ডিত্যে বেশ মুগ্ধ। হঠাৎ আমার পুরোনো এক ওস্তাদের কথা মনে হয়...।
ব্রুস লির ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’ মধুমিতা সিনেমা হলে চলার পড়ে ঢাকার পাড়ায় পাড়ায় মার্শাল আর্টের প্র্যাকটিস শুরু হয়ে যায়। আমাদের পাড়াও বাদ যায় না। মুসা ভাই ছিলেন আমাদের ওস্তাদ। ‘উচ-আচ’ প্র্যাকটিসের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝে তিনি ‘জীবনটা হলো জ্বলন্ত সিগারেটের মতো’ টাইপের দার্শনিক কথাবার্তা বলতে পছন্দ করতেন। একদিন প্র্যাকটিসে হঠাৎ হারু আর জলিলের মাঝে মারামারি শুরু হয়ে গেল।
‘মারামারি করতাছস ক্যান?’ দুজনকে আলাদা করতে করতে ওস্তাদ জিজ্ঞেস করেন।
‘ও আমারে শুয়োর বলছে।’ হারু উত্তর দেয়।
‘আমাকে ও কুত্তা বলছে। জলিলও বলে।’
‘এই সব গালাগালি দিতাছোস কেন?’ ওস্তাদ আবার জিজ্ঞেস করেন।
‘ওকে আমার শুয়োর বইলাই মনে হয়।’ নির্বিকারভাবে বলে হারু।
জলিলও সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা উত্তর দেয়।
‘চুপ কর। বলত মানব সভ্যতার ভিত্তি বা পিলার কি?’ ওস্তাদ জিজ্ঞেস করেন।
আমরা কেউ কোনো উত্তর দিই না। জানি ওস্তাদ এখন কোনো দার্শনিক টাইপ কথা বলবেন।
প্রকৃতি। শিল্পী মাসুদা আহমেদপ্রকৃতি। শিল্পী মাসুদা আহমেদ
‘মানব সভ্যতার ভিত্তি হলো মনের ভাব ঢেকে রাখা। মানুষ লজ্জাস্থান ঢাকার অনেক আগেই মনের ভাব ঢেকে রাখতে শিখে গেছে। মনে কর এক রাজা আর এক রাজাকে কি মনে করে সেইটা যদি বলে ফেলত। তারপর ধর ছাত্র শিক্ষককে কি মনে করে, অফিসে কর্মচারী বসকে কি মনে করে কিংবা বিয়ের পরে আরেক নারীকে...থাক ওটা তোদের বুইঝা কাজ নাই। মনের ভাব ঢেকে না রাখলে কবে মারামারি কাটাকাটি কইরাই মানুষ শেষ হইয়া যাইত। বুঝছস...।’
—কি বলেন ভাই ঠিক বলছি না?
হঠাৎ ভদ্রলোক আমাকে জিজ্ঞেস করায় আমার চিন্তাজাল ছিন্ন হয়। ওস্তাদের কথা ভুলে বাস্তবে ফিরে আসি।
—একদম ঠিক বলেছেন।
কিন্তু কয়জন এসব বোঝে। মানব সভ্যতায় ক্ষুদ্র অবদান রাখার জন্য মনের ভাব গোপন রেখে হাসিমুখে উত্তর দিই। কিন্তু খাবার নিয়ে ওই টেবিলে আর ফিরি না...ফিরতে ইচ্ছা হয় না। ফাঁকা দেখে আর একটা টেবিলে বসি। একটু পরেই দুই ভদ্রলোক স্ত্রীসহ ফাঁকা জায়গা পূর্ণ করেন।
—ভাই আপনাকেতো চিনলাম না।
এক ভদ্রলোক আমাকে জিজ্ঞেস করেন। আমি সংক্ষেপে নিজের পরিচয় দিই।
—ভাবি ব্যাগটাতো খুব সুন্দর।
—হ্যাঁ। মায়ার থেকে কিনছি। গুচি ব্রান্ড। সেলে না কিন্তু। তুমিতো জানোই আমি সেল থেকে কিছু কিনি না। সব পুরোনো রদ্দি মাল সেলে দেয়। আমি কিনি না।
দুই মহিলার আলাপ শুরু হয়। এই দীর্ঘ প্রবাস জীবনে এসব এখন দারুণভাবে সয়ে গেছে। তাই চুপচাপ খেতে থাকি।
—পাবলিক স্কুলে কোনো পড়াশোনা হয় নাকি? আমার দুইটা ছেলেমেয়েই প্রাইভেট স্কুলে পড়ে। বছরে ৩০ হাজার ডলার খরচ। কিন্তু কি করব। ছেলেমেয়ের জন্যইতো বিদেশ থাকা।
এক ভদ্রলোক আলাপ শুরু করেন। পরবর্তী দশ মিনিট ওনারা দুজন মিলে পাবলিক স্কুল যে কত খারাপ আর প্রাইভেট স্কুল যে কত ভালো তার বর্ণনা দিয়ে গেলেন।
—ভাই আপনার ছেলেমেয়ে কোথায় পড়ে?
হঠাৎ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করেন।
—ভাই আমার ছেলে মেয়ে পাবলিক স্কুলে পড়ে। তবে আপনারা যা বলেছেন তা মনে হয় ঠিক। হাসিমুখে বলি। এভাবেই মানব সভ্যতার পিলার গড়তে গড়তে ক্লান্ত হয়ে যাই। ভাবি আজ অনেক হয়েছে। এক দঙ্গল মানুষের ভিড়ে ছোট ভাইকে খুঁজতে থাকি...বিদায় নেওয়ার জন্য। খুঁজতে খুঁজতেই এক সময় কিচেনের কাছে আসি। তিন-চারজন তরুণ ছেলে কাজ করছে।
—ছয় মাস হইয়া গেল এখনো তুই খালি যাই যাই করস। দেশে কি এমন মধু আছে। আরে এই সব কষ্টের কাম কি সারা জীবন করবি নাকি?
এক তরুণ আরেক তরুণকে বোঝাবার চেষ্টা করছে। যাকে বোঝানো হচ্ছে সে কোনো কথা বলছে না...চোখ তুলে তাকাচ্ছেও না। আমার কৌতূহল হয়। কোক নেওয়ার ছলে দাঁড়িয়ে থাকি।
—দেশের যা অবস্থা যাইয়া কি করবি? আর দুই-তিন বছর পরেই পিআর (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি) পাবি। তখন? ওই তুহিন ওরে একটু বোঝা না।
—ওই যে আদিল ভাইরে দেখ।
তুহিনের কথা শুনতে পাই।
—আদিল ভাইয়ের এখন চারটা বাড়ি। নতুন বিএমডব্লিউ গাড়ি। তারে যাইয়া জিগা সে প্রথম জীবনে কি করছে। টয়লেট পরিষ্কার করার কাজ করছে। ধুর তুই আবার কানতাছোস। যা তরে কাম করতে হইব না। তুই বাইরে যা আমরা দেখতাছি।
তরুণ ধীর পায়ে বাইরে যায়। গ্লাস ভর্তি কোক নিয়ে আমি পেছনে যাই।
—কি বিশ্রী আবহাওয়া। এই দেশে কেমনে যে পইড়া আছি। আমি আলাপ শুরু করার চেষ্টা করি।
তরুণ চোখ তুলে তাকায়। তরুণের চোখে সত্যিই সদ্য মোছা জলের দাগ। কেমন মায়া হয়।
—কি নাম তোমার ছোট ভাই। আমি জিজ্ঞেস করি।
—রায়হান।
—কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়?
—সি কিউ। ভাই আমি খেয়াল করছি আপনি আমাদের কথা শুনেছেন।
—হ্যাঁ শুনেছি।
—বিশ্বাস করেন ভাই এই সব কাজের জন্য আমার মন খারাপ না। কাজতো কাজই। ছাত্র অবস্থায় সবাই এমন করে।
—দেশ থেকে আসলে প্রথমে সবার একটু মন খারাপ থাকে।
আমি বোঝাবার চেষ্টা করি।
—আসলে তাও না ভাই। কাউরেই আসলে ঠিক বোঝাইতে পারি না।
—বল না। দেখি বুঝতে পারি কিনা।
—ধরেন প্রতিদিন ঠিক সাতটার বাস ধরি। ঠিক সময়ে বাস আসে। সিটগুলা এত আরামের আমার বাসার সোফাও এত আরামের না। ক্লাসরুম কি ঝকঝকে পরিষ্কার। বন্ধুরা প্রায়ই ঘুরতে এখানে সেখানে নিয়ে যায়। কীযে সুন্দর সব জায়গা।
—তাহলে সমস্যা কোথায়।
—কেমনে বোঝাই। সুন্দর বিশাল সুপার মার্কেটে ঢুকলেই আমাদের বাসার সামনে ফরিদের ছোট্ট অগোছালো দোকানের কথা মনে হয়। হাইওয়েতে উঠলে বাসার সামনের গলির কথা মনে হয়। এই এত সুন্দর জায়গা, সবকিছু এত ভালো কিন্তু কিছুই যে আমার মনে হয় না। আর এ রকম বাঙালি পরিবেশে আসলে মা-বাবা-ভাইবোনের কথা এত মনে হয়। চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না...কাউকে ঠিকভাবে বোঝাতেও পারি না।
রায়হানের কথাগুলো শুনতে শুনতে কোথায় আমার কি যেন নড়ে গেল। পরবর্তী কিছুক্ষণ একনাগাড়ে অকপটে নিজের কথা বলে গেলাম।
—ভাইরে এই শূন্যতা...হাহাকার মনে হয় সব প্রবাসীরই আছে। কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্য, অভ্যস্ততা, নিরাপত্তাবোধের পলি পড়ে পড়ে হয়তো শূন্যতা ঢেকে যায়...অন্তত চাপা পড়ে যায়। ধৈর্য ধর তোমারও যাবে। জানো মাঝে মাঝে মনে হয় এই সব স্বাচ্ছন্দ্য, অভ্যস্ততা আসলে একটা অসুখই। যে অসুখ অন্য সব কিছুকে ঢেকে দেয়।
উদাসভাবে মনের সত্যি কথাগুলোই বলি। রায়হানও মনোযোগ দিয়ে শোনে আমার কথা।
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীতপ্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
এই কাহিনি এখানেই শেষ হওয়ার কথা। পিআর, সিটিজেনশিপ, চাকরি, গাড়ি, বাড়ি, মর্টগেজ এসবের মাঝেই রায়হানের জীবন চলার কথা...সবার যেমন চলে...আমার যেমন চলছে। কিন্তু প্রায় দুই বছর পরে রায়হানের সঙ্গে আবার আমার দেখা হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারির রুটিন সফরে বাংলাদেশ গেছি। বসুন্ধরায় কিছু কেনাকাটা করে সিএনজি খুঁজছি বাসায় ফেরার জন্য। কোনো সিএনজি ওয়ালাই যেতে রাজি হচ্ছে না। বিরক্ত মনে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ একটা সিএনজি সামনে এসে থামল। লোহার শিকে ঘেরা পেছনের খুদে জেলখানা থেকে এক ঝকঝকে তরুণ নেমে এল।
—ভাই আমাকে চিনতে পারছেন।
—না মানে ঠিক। আমি ইতস্তত করতে থাকি।
—আমার নাম রায়হান। আপনার সঙ্গে একবার সিডনিতে দেখা হয়েছিল।
সঙ্গে সঙ্গে চিনতে পারি।
—কেমন আছ? নিশ্চয়ই ছুটিতে এসেছ। ফিরবে কবে?
আমি উচ্ছ্বসিতভাবে জিজ্ঞেস করি।
—ভাই কোথায় যাবেন?
আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই রায়হান পাল্টা প্রশ্ন করে। আমি উত্তর দিই।
—ভাই সিএনজিতে মা বসে আছে। ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি। উল্টোদিকে। না হলে আপনাকে পৌঁছে দিতাম। আপনাকে ছাইড়া দিতেও মন চাচ্ছে না। জানেন না আপনি আমার কি উপকার করেছেন।
-মানে?
-ওই যে বলেছিলেন স্বাচ্ছন্দ্য, নিরাপত্তাবোধ এই সব আসলে একটা অসুখ। আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার এক বছর পরে পড়াশোনা শেষ হয়। দেখলাম আপনার কথাই ঠিক। ওই সব অসুখ সবে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তারপর হঠাৎ এক সপ্তাহের সিদ্ধান্তে দেশে ফিরলাম। আর যাই নাই। ব্যাংকে মোটামুটি ভালো চাকরি করি। কিছুদিন আগে বিয়ে করেছি। বউ আমাকে বোকা বলে।
সলজ্জভাবে শেষ কথাটা বলে রায়হান।
মামা আর দেরি কইরেন না। একটু পর অনেক জ্যাম হইয়া যাবে। সিএনজিওয়ালা রায়হানকে তাড়া দেয়।
-যাও রায়হান। তোমাকে দেখে বেশ ভালো লাগল। আরও ভালো লাগল তোমাকে সুখী দেখে।
-সুখী কিনা জানি না ভাই। বউয়ের কথামতো আমি হয়তো একটু বোকাই। তবে ভালো আছি। বেশ ভালো আছি। মন হু হু করে না। আর স্বাচ্ছন্দ্য, নিরাপত্তাবোধ নিয়ে ভাবি না। ওইগুলিতো এক ধরনের আলগা পলিমাটি। আপনিই বলেছিলেন। দোয়া করবেন ভাই।
বলে সিএনজিতে উঠে বসে রায়হান।
Title: Re: স্বাচ্ছন্দ্য, নিরাপত্তাবোধের পলিমাটি
Post by: Shakil Ahmad on July 09, 2017, 05:46:18 PM
Informative