Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Morsalin.a

Pages: [1]
1
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এয়ার রোভার স্কাউট গ্রুপের কেওক্রাডং জয় ……!!!
[/size][/size][/b]

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এয়ার রোভার স্কাউট গ্রুপের তিনজন সদস্য স্কাউটার ফারহানা রহমান (পি আর এস), রোভার এস, এম, সালাহউদ্দিন মোরসালিন এবং রোভার ফারহান কেওক্রাডং জয় করেছে । বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের আয়জনে চট্টগ্রাম জেলা রোভারের সহ যোগিতায় ১৭ তম এডভেঞ্চার ক্যাম্পে অংশ গ্রহন করে ।

এডভেঞ্চার ক্যাম্প শুরু হয় ২৭ মার্চ ২০১৭ মেধাস মুনি আশ্রম, চট্টগ্রাম থেকে এরপর ভয় রকক্লাইমবিং, অসাধারন অবস্টাকল, মাজার জিয়ারত, রোমাঞ্চকর নাইট হাইকিং এর মাধমে প্রথম দিনের কাজ সমাপ্তি ঘটে । ২৮ মার্চ সকাল ৫ টায় বিপি পিটির মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয় । ৬:৩০ মিনিতে শুরু হয় পাহাড় ট্রাকিং, নদী,নালা,বন জঙ্গল আকা বাকা পাহাড়ি পথ পারি দিয়ে কর্নফুলি নদীর তীরে নাজির চর, চট্টগ্রাম পৌছায় । বিকালে শুরু হয় ওয়াটার একটিভিটিস, সন্ধ্যায় ব্যাক উডস ম্যান কুকিং, স্কাউট ওন এর আয়জন করা হয়, নাজিরার চরে কর্নফুলি নদীর তীরে ।

ওয়াটার একটিভিটিসে অংশ গ্রহন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এয়ার রোভার স্কাউট গ্রুপের রোভার এস, এম, সালাহউদ্দিন মোরসালিন টিউব সাতারে কর্নফুলি নদী পাড়ি দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে ।

২৯ মার্চ সকাল ৫:৩০ মিনিটে তৃতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয় বান্দরবন এর উদ্দেশ্যে রওনা, রুমা বাজারে মধ্য বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয় পায়ে হেটে ট্রাকিং রাত ১০ টায় বগালেক গিয়ে পৌছায় এবং প্রাকৃতিক সুন্দরযের লীলাভূমি বগালেকের পারে তাবু টানিয়ে নৈসর্গিক সুন্দরযের মাঝে রাত্রি জাপন করে । দৃঢ় বিশ্বাস, কঠোরতম পরিশ্রম আর পর্বত জয়ের তীব্র আকাঙ্খা আমাকে পৌঁছে দিয়েছে কেওক্রাডং এর চূড়ায় ধুলোবালি, তৃষ্ণা, কঠিনতম, দূর্গম ও বন্ধুর গিরিপথ, পাহাড়ি ঝর্ণা, পানি, খাদ, সাপ, হাতি, বনজ নানা প্রাণীর ভয় সব কিছুকে উপেক্ষা করে স্বপ্নের স্বর্ণ শিখরে, সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয়- এটা যে কতটা আনন্দের ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়...!!

এতটা পথ পাড়ি দেয়া কতটা কষ্টসাধ্য, কতটা বেদনার তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়-কিন্তু পর্বত জয়ের যে আনন্দ তার কাছে এ অবিবরণীয় কষ্ট কিছুইনা এতটা কাছ থেকে প্রকৃতির নৈসর্গিকতা ভরা এ দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে এটা বলতে পারি যে কোন মানুষের পক্ষে আল্লাহর সৃষ্টির একটিও কেউ বর্ণনা করার ক্ষমতা রাখেননা । কখনো ভাবতেও পারিনি এতদূর যাব-সফলতার এ বেলায় আমি খুবই আনন্দিত।

৩০ মার্চ সকাল ৫ টায় চতুর্থ দিনের কার্যক্রম শুরু হয় বগালেক থেকে কেওক্রাডং বিজয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় । সারে চার ঘণ্টা দুর্গম পাহাড়ি ঢালু পথ হাটার পরে আসে সেই মহেন্দ্র ক্ষণ বাংলাদেশের ২য় সর্বচ্চ পাহাড় কেওক্রাডং জয় ।


এস, এম, সালাহউদ্দিন মোরসালিন, (সাবেক সিনিয়র রোভার মেট ও ক্রু কাউঞ্চিল সভাপতি)
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এয়ার রোভার স্কাউট গ্রুপে

2
Body Fitness / অফিসে ঘাড়ের ব্যায়াম
« on: October 19, 2016, 03:48:36 PM »
অফিসে ঘাড়ের ব্যায়াম
[/size]
যাঁদের দীর্ঘ সময় ডেস্কে বসে বা কম্পিউটারে কাজ করতে হয়, বিশেষ করে ঘাড় নিচু করে টাইপ করে যেতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা, তাঁদের ঘাড়ের মাংসপেশির ওপর টান পড়ে। এ ছাড়া সারাক্ষণ সামনে ঝুঁকে কাজ করার জন্য ঘাড়ের মেরুদণ্ডের হাড়েও সমস্যা হয়। এমনকি বাড়িতে বসে সামনে ঝুঁকে দীর্ঘ সময় কাটাকুটি করা বা লেখাপড়া করলেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া অনেকে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে বা বসে বারবার ঘাড় কোনো এক দিকে বাঁকিয়ে কথা বলেন বা তাকান—তাঁদেরও ঘাড়ে ব্যথা সাধারণ সমস্যা। অফিসে বসে এ ধরনের কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে খুব সহজ কিছু ব্যায়াম এই ঘাড়ব্যথা থেকে রক্ষা করবে।

    কাজের ফাঁকে সময় পেলে চেয়ারে প্রথমে পিঠ সোজা করে বসুন, চেয়ারের সামনের দিকে একটু এগিয়ে বসুন। এবার হাত দুটি পেছনে নিয়ে দুই হাতের তেলো এক করার চেষ্টা করুন।
   এ কাজ করতে গিয়ে আপনার কাঁধ ও দেহের মাঝের অংশ (বুকসহ) একটু সামনে এগিয়ে যাবে।
   হাত দুটি এক করতে কষ্ট হলে অন্তত যতটা সম্ভব কাছে নিয়ে আঙুলগুলো ধরার চেষ্টা করবেন।
   এবার বড় করে শ্বাস নিন। তারপর মাথাটা ঘাড়ের ওপর পেছনে পিঠের ওপর ফেলে দিন। এতে কাঁধ ও বুকের পেশি আরও টানটান হয়ে উঠবে।
   কয়েক সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে থেকে জোরে জোরে শ্বাস নিন। তারপর ধীরে ধীরে প্রথমে ঘাড় ওপরে তুলুন। তারপর হাত ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে বসুন।
প্রতিদিন অফিসে বসে নির্দিষ্ট বিরতিতে তিন থেকে পাঁচবার এই ব্যায়ামটি করলে ঘাড়ব্যথা ও ঘাড়ের পেশির টান কমবে।

Reference:
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

3
ঘুমের বারোটা বাজাচ্ছে মোবাইল
[/size]
অধিকাংশ মানুষ এখন মাঝরাতে বার্তা পাঠাচ্ছেন, উত্তর দিচ্ছেন, সামাজিক যোগাযোগের সাইটের নোটিফিকেশন দেখছেন। এতে তাঁদের ঘুমের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে।
বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিলোইটি ‘গ্লোবাল মোবাইল কনজুমার সার্ভে ২০১৬’ শীর্ষক গবেষণাটি করেছে। এতে দেখা গেছে, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের প্রায় অর্ধেকই মাঝরাতে ফোন ব্যবহার করেন।
যুক্তরাজ্যের প্রায় চার হাজার ব্যক্তিকে নিয়ে এ সমীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, মাঝরাতে বার্তা পাঠানেরা পাশাপাশি ঘুমানোর আগেও অনেকেই নোটিফিকেশন দেখে তারপর ঘুমাতে যান।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১০ শতাংশ ব্যবহারকারী সকালের প্রথম কাজ হিসেবে স্মার্টফোন দেখেন।

ফরচুন সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রায় এক ঘণ্টা মোবাইল ব্যবহার করেন।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ২০ বা তা চেয়ে কম অ্যাপ ডাউনলোডর কথা জানিয়েছেন। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের হিসাব অনুযায়ী দুই তৃতীয়াংশ যুক্তরাজ্যের নাগরিক ট্যাবলেট কম্পিউটার চালিয়েছেন। তবে ট্যাবলেট ব্যবহারের হার কমছে।

তথ্যসূত্র: আইএএনএস।

4
দেখার চেয়ে খবর পড়ায় বেশি আগ্রহী তরুণেরা
[/size]

তথ্যপ্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, সংবাদপত্রশিল্প যেন ততই শঙ্কার মধ্যে পড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবে অনেকে বলছেন, ভিডিওতেই ভবিষ্যৎ। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। টিভিতে দেখার চেয়ে সংবাদ পড়তেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তরুণেরা। তবে সেটা অনলাইনে। অপেক্ষাকৃত বয়স্ক প্রজন্ম পড়ার চেয়ে খবর দেখায় বেশি আগ্রহী। চলতি সপ্তাহে মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত গবেষণার প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হলো ঠিক এমন এক সময়, যখন তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করতে খবরের ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া শুরু করেছে শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

বিভিন্ন বয়সের মার্কিনিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কীভাবে তাঁরা সংবাদ পেতে পছন্দ করেন। এতে দেখা যায়, ১৮-২৯ বছরের তরুণদের ৪২ শতাংশ খবর পড়তে পছন্দ করেন, ৩৮ শতাংশের আগ্রহ সংবাদ দেখায়। তবে ১৯ শতাংশ বলছেন, তাঁরা সংবাদ শুনতে বেশি পছন্দ করেন। তরুণ প্রজন্মের ৮১ শতাংশ বলেছে তাঁরা সংবাদের মাধ্যম হিসেবে অনলাইন বেশি পছন্দ করেন। মাত্র ১০ শতাংশ বলেছেন যে তাঁরা ছাপা কাগজে সংবাদ পড়েন।

৩০-৪৯ বছর বয়সীদের ৪০ শতাংশ এবং ৫০-৬৪ বছর বয়সীদের ২৯ শতাংশ বলেছেন তাঁরা সংবাদ পড়তে পছন্দ করেন। ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ২৭ শতাংশ।
এদিকে ৫০-৬৪ বছর বয়সীদের ৫২ শতাংশ এবং ৬৫ বছর বয়সীদের ৫৮ শতাংশ খবর দেখত পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের ৪১ শতাংশ জানিয়েছেন তাঁরা অনলাইনে সংবাদ পড়েন, ৪০ শতাংশের পছন্দ ছাপা কাগজে খবর পড়াতে।
এই গবেষণার প্রতিবেদন থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার। নতুন প্রজন্ম দ্রুত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুঁকছে, তবে দেখার চেয়ে এখনো খবর পড়তেই তাঁরা বেশি পছন্দ করছেন।


Reference: www.prothom-alo.com/technology/article/997053/দেখার-চেয়ে-খবর-পড়ায়-বেশি-আগ্রহী-তরুণেরা

5
হৃদরোগ : সচেতন হোন ত্রিশেই

ইদানীং অপেক্ষাকৃত কম বয়স্ক ব্যক্তিদেরও হৃদরোগ হচ্ছে। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশের ২০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হৃদরোগে ভুগছেন। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পরিবারে অকালে প্রিয়জন হারানোর কারণ এই হৃদরোগ। তাই হৃদরোগ ঠেকাতে চাই সুস্থ জীবনাচরণ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। আর তা শুরু করতে দেরি করলে চলবে না। বয়স ৩০ হলেই এ বিষয়ে সচেতন হোন।

সম্পৃক্ত চর্বি খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দিন। সম্পৃক্ত চর্বি হচ্ছে ঘি, মাখন, ক্রিমযুক্ত খাবার, খাসি ও গরুর মাংসের চর্বি, নারকেল তেল বা পাম তেলে রান্না করা খাবার। ফাস্টফুড ও বেকারির খাবারও বর্জন করুন। অতিরিক্ত চিনি ও শর্করা দেহে চর্বি হিসেবেই জমা হয়। তাই মিষ্টি দ্রব্য বেশি না খাওয়াই ভালো। কার্বোনেটেড পানীয়, কৃত্রিম জুস, এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি চলবে না। রান্নায় দৈনিক পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ নয়। আলাদা বা পাতে লবণ নিষেধ। মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন না খাওয়াই ভালো। এটি হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া চিরদিনের জন্য ত্যাগ করুন ধূমপান ও মদ্যপান।
আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খান। যেমন তাজা ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্যের তৈরি খাবার। মাছ খাবেন আমিষের উৎস হিসেবে। ননিহীন দুধ খাওয়া ভালো। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল বেশি করে তালিকায় রাখুন। যেমন পেয়ারা, আমড়া, জাম্বুরা, আমলকী, লেবু, জলপাই, পাকা পেঁপে ইত্যাদি। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ রকমের ফলমূল, শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

Reference:
 ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায়
মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ[/size]

6
ডি–বটের সঙ্গে কিছুক্ষণ
[/size][/b]
‘হ্যান্ডশেক’! শব্দটি হাফিজুল ইমরানের কণ্ঠে উচ্চারিত হতে যতক্ষণ। শব্দ শুনে নড়েচড়ে উঠতে যন্ত্রটি সময় নিল তার চেয়েও কম। এরপর করমর্দনের জন্য আয়েশি ভঙ্গিতে হাত বাড়াল। শুধুই করমর্দন করলে কেমন হয়! রোবটিক সুরে নিজের পরিচয়টাও দিতে থাকল, ‘আই অ্যাম ডি-বট। নাইস টু মিট ইউ!’

হাফিজুল ইমরানের বানানো ‘ডি-বট’ আরও অনেক কাজই করতে পারে। ২ অক্টোবর ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের গবেষণাগারে বসে সেসবই দেখছিলাম আমরা। রোবটের নাম ডি-বট কেন? হাফিজুল বলেন, ‘ডি’ ও ‘বোট’ শব্দ দুটো আসলে ড্যাফোডিল ও রোবটের সংক্ষিপ্ত রূপ।

এই তরুণ গবেষক মানবাকৃতির রোবটটি বানিয়েছেন ডিআইইউয়ের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে। শুরুটা কীভাবে? হাফিজুল ইমরান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরই রোবটিকস ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তখন থেকেই মানুষকে সাহায্য করতে পারে, এমন একটি রোবট বানানোর চিন্তা।’

২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে মানবাকৃতির রোবটের কাজ শুরু করেন হাফিজুল ইমরান। এরপর রোবট বানানোর কাজটি এগিয়ে নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে। রোবট তৈরির এই প্রকল্পে তত্তাবধায়ক হিসেবে ছিলেন ওই বিভাগেরই প্রধান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া। রোবটটি তৈরির উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম তাঁর কাছে, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের রোবট নিয়ে কাজ করতে এবং উচ্চতর গবেষণায় অনুপ্রেরণা দিতেই রোবট বানানো।’

এক বছর ধরে বানানো ডি-বটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর। তবে বছরজুড়েই নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে হাফিজুল ইমরানকে। তারই একটি অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন তিনি। রোবটের কাজ তখন প্রায় শেষ। গবেষণাগারে চালু করার পর হাফিজুল ইমরান বুঝতে পারেন পুরো রোবট বিকল হয়ে গেছে। রোবটের কোনো অঙ্গই নির্দেশনা মেনে কাজ করে না। বেশ ঘাবড়ে গেলেন তিনি। তারপর? ইমরান বলেন, ‘পুরো বডি খুলতে হলো। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেলাম, শুধু হাতের একটি মোটর অকেজো হয়ে গেছে বলেই এই দশা।’ আবার লেগে পড়েন মেরামতের কাজে। এ রকম এক একটি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই রোবট বানানোর পর শেষ হাসিটি হাসেন হাফিজুল ইমরান।

রোবটের কাঠামো

ডি-বটের মূল কাঠামো তৈরি করা হয়েছে অ্যালুমিনিয়ামের পাত ব্যবহার করে। ১৩৪ সেন্টিমিটার উচ্চতার রোবটটির দুটি অংশ। কোমর থেকে পা পর্যন্ত অংশটুকু বাদে ওপরের অংশটুকু মূল কাজে ব্যবহার করা হয়। ১৫ কেজি ওজনের রোবটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩২ বিটের এআরএম প্রসেসর। মানুষের দেহের মতো আচরণ করতে রোবটটির অঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ৩১টি ছোট আকৃতির মোটর। হাফিজুল ইমরান বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে নাড়াচাড়া করার সুবিধার জন্যই এত বেশি মোটর ব্যবহার করা হয়েছে।’

কী কাজ করবে ডি-বট

বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় নির্দেশনা মেনে কাজ করে এই রোবট। হাফিজুল জানান, রোবটটি শিশুদের গণনা, বর্ণমালা শেখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তা ছাড়া ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। মানুষকে বিনোদন দিতে গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারবে। শপিং সেন্টার কিংবা রেস্তোরাঁয় পণ্যের পরিচিতি তুলে ধরার কাজেও একে ব্যবহার করা যাবে।[/size]

www.prothom-alo.com/technology/article/992875/ডি–বটের-সঙ্গে-কিছুক্ষণopen_in_new

Source? Reff:

Pages: [1]