Daffodil International University

Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: fatemayeasmin on March 11, 2019, 12:37:02 PM

Title: বসকে সামলাবেন যেভাবে..
Post by: fatemayeasmin on March 11, 2019, 12:37:02 PM
(https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/640x360x1/uploads/media/2019/03/08/608ab30354d38bf7d7d53beaadf29095-5c823b916840b.jpg?jadewits_media_id=1422163)

শিরোনামে যে প্রশ্নটি করা হয়েছে, সেটি অনেকের কাছেই কাঙ্ক্ষিত। প্রশ্নটি করলেই হয়তো উগরে দেবেন মনের যত ব্যথা বেদনা। ক্যারিয়ারে সব সময়ই সোনার টুকরা ‘বস’ পেয়েছেন, এমন চাকুরে খুঁজে পাওয়া বেশ দুর্লভ। তেমন রাজকপাল সবার হয় না। কারও কারও হয়তো বসের কথায় কষ্ট পেয়েই কাটে দিন! তো সেই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত? চাকরি ছেড়ে দেওয়া তো আর সব সময় সম্ভব নয়।

কর্মস্থলে খারাপ বা বাজে বস সংখ্যায় কি বেশি? আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব বলছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সংখ্যাটি আকারের দিক থেকে বিশাল! ৭৫ শতাংশ মার্কিন বলেছেন, তাঁদের কর্মজীবনে সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে থাকেন বস বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। করপোরেট সংস্কৃতির পেশাদারির দিক বিবেচনায় নিলে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থান তালিকার বেশ ওপরের দিকেই থাকবে। তা সেখানেই যদি অধস্তন কর্মীদের এই হাল হয়, তবে এ দেশে কেমন, একবার ভেবে দেখুন তো!

গ্যালাপের করা এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি দুই চাকুরের একজন ক্যারিয়ার-জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা বসের কাছ থেকে মুক্তি পেতে চাকরিই ছেড়ে দিয়েছেন। তবে বসের ‘অত্যাচার’ সহ্য করে চাকরি চালিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এর পেছনে নানা কারণ থাকে। চাকরি মানেই আর্থিক নিরাপত্তা। সেই নিশ্চয়তা থেকে অনিশ্চয়তার পথে পা বাড়ানোর সাহস দেখানো চাট্টিখানি কথা নয়। কেউ আবার তুলনামূলক ভালো সুযোগের অভাবে থেকে যান খারাপ বসের অধীনেই।

অবশ্য ভালো সুযোগ তৈরি করাও সহজ নয়। তার জন্য নিজের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে। আবার খারাপ বসের অধীনে থেকে অনেক সময় নতুন সুযোগ তৈরির জন্য পরিশ্রম করারও ইচ্ছে জাগে না। কারণ, মনে শান্তি না থাকলে কাজে কি আর মন বসে? মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে তাঁর পরিশ্রমলব্ধ বেতন, জ্যেষ্ঠতা, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি বিসর্জন দিতে চান না। বছরের পর বছর ধরে ধীরে ধীরে একজন ব্যক্তি এসব অর্জন করেন। বসের খারাপ ব্যবহারের কারণে সেগুলো পুরোপুরি ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া একটু কঠিন। আবার যখন কোনো ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে আবেগের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, তখন তার পক্ষে নতুন ধরনের চাকরি খোঁজা কঠিন হয়ে পড়ে। দেখা যায়, আবেগাপ্লুত হয়েই খারাপ বসের দুর্ব্যবহার সহ্য করছেন কেউ কেউ।

খিটখিটে ও কর্মীকে দৌড়ের ওপর রাখা বসেরা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর বটে। সুইডেনের ৩ হাজার ১২২ জন পুরুষ কর্মীর ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা খারাপ বসের অধীনে কাজ করেন, অন্যদের তুলনায় তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। অন্যদিকে, বিভিন্ন মার্কিন গবেষণা বলছে, অসংবেদনশীল বসের চাপে থাকা কর্মীরা মানসিক চাপ, বিষণ্নতা ও উদ্বেগে ভুগে থাকেন। আবার তিতিবিরক্ত হয়ে চাকরি ছেড়ে দিলেও রক্ষে নেই। গবেষকেরা বলছেন, আগের মানসিক চাপ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে নাকি ২২ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে!

এবার আসা যাক বসকে সামলানোর উপায়ে। গত্যন্তর না থাকলে তো বদমেজাজি ও ‘নির্দয়’ বসকে সহ্য করে যেতেই হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। এতে হয়তো ক্ষতের জ্বালা কিছুটা কম হতে পারে। এগুলো হলো:

১. আপনার বস আসলেই খারাপ কি না, সেটি আগে খতিয়ে দেখুন। তাঁর বাজে আচরণের কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন। আপনার কি কোনো দোষ আছে? বসের যে ব্যবহারটি আপনার ভালো লাগছে না, সেটি করার পেছনে বসের উদ্দেশ্য কী? হতে পারে, আপনার কোনো কাজ হয়তো প্রতিষ্ঠানের জন্য অপকারী। তাই ঝিকে মেরে বউকে শেখানো হচ্ছে। তেমন হলে, আগে নিজেকে শোধরান।

২. বসের আচরণ যত খারাপই হোক না কেন, নিজের কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেবেন না। মনে রাখবেন, তাতে আপনার বিরুদ্ধে আরও একটি অস্ত্র বসের হাতে চলে যাচ্ছে। তাই কাজের গতি ও মান ঠিক রেখে প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের কাছে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যান। কিছু ক্ষেত্রে বসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকুন। দেখবেন, বস কিছু বলার সুযোগই পাচ্ছেন না!

৩. কখনো কখনো বস বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্মীদের ওপর কাজের বোঝা চাপাতেই থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই অসীম লক্ষ্যের পেছনে ছুটে চলা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে নিজেই কাজের সীমারেখা টেনে দিন।

৪. বদমেজাজি বসের ক্ষেত্রে কিসে তিনি রেগে যাচ্ছেন, তা চিহ্নিত করুন। হয়তো কাজের একটি নির্দিষ্ট ধরনের ভুল বস সহ্যই করতে পারছেন না। সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। যেমন: অফিসে দেরি করে ঢুকলে যদি বকা শুনতে হয়, তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অফিসে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করুন। তাহলে আর বসের ‘রাগ’ সহ্য করতে হবে না।

৫. বস অযোগ্য হলে, তাঁর বাজে ব্যবহার সহ্য করা আরও কঠিন। তখন নিজেকে নেতা হিসেবে তৈরি করার প্রচেষ্টা চালান। তবে তাই বলে বসের অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা করতে যাবেন না। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

আরেকটি কথা মনে রাখবেন, খারাপ সময়ে সবারই উপযুক্ত সমর্থন প্রয়োজন হয়। তাই বাজে বসের কারণে চাপে থাকলে, মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান। বসের খারাপ ব্যবহার আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কিন্তু নিজের ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই।

তথ্যসূত্র: হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ, দ্য মুজে ও ফোর্বস
Title: Re: বসকে সামলাবেন যেভাবে..
Post by: Dewan Mamun Raza on March 12, 2019, 06:17:00 PM
Informative..
Title: Re: বসকে সামলাবেন যেভাবে..
Post by: tokiyeasir on March 14, 2019, 01:44:51 PM
Positive.....
Title: Re: বসকে সামলাবেন যেভাবে..
Post by: azizur on March 16, 2019, 02:37:04 PM
Such a nice post.. I will try :) :)