Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - tahmina

Pages: 1 2 [3] 4 5
31
শিশুর পেটে গ্যাস হলে মা-বাবা চিন্তায় পড়ে যান কী করলে ভালো লাগবে, কান্নাকাটি একটু থামবে কিংবা কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন ইত্যাদি। কেউ কেউ বলেন, বাচ্চার পেটে বাতাস লেগেছে, দুধে বাতাস লেগেছে, যার কারণে বমি করে দিচ্ছে।আসল কথা হলো, পেটে গ্যাস বাচ্চাদেরও হয় আবার বড়দেরও হয়। বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের কেমন লাগছে আর তাই আমরা বুঝতেও পারি না।

শিশুর পেটে গ্যাস কেন হয়?

বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। জন্মের তিন মাস পর্যন্ত নবজাতকের গ্যাসের সমস্যা খুবই স্বাভাবিক কারণ এ সময় বাচ্চার পরিপাক্তন্ত্র ধীরে ধীরে সুগঠিত হয়। ৬-১২ মাস পর্যন্তও এটা স্বাভাবিক কারণ এ সময় বাচ্চা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রথম বারের মত খাওয়া শুরু করে।

বাচ্চার পেটে যখন গ্যাস হয় তখন তার পাকস্থলী বাতাসের কারণে ফুলে যায় যা বাচ্চার হজমের প্রক্রিয়ার কারণে হতে পারে বা খাওয়ার সময় বাচ্চার পেটে বাতাস ঢুকে যাওয়ার কারনেও হতে পারে। শিশুর পেটে গ্যাস হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হলো-

খুব দ্রুত খাওয়াঃ

যদি বাচ্চার মায়ের বুকের দুধ বেশী থাকে বা বোতলে খাওয়ানো বাচ্চার বোতলের নিপলের ছিদ্র যদি বড় থাকে তবে বাচ্চা খুব দ্রুত দুধ গিলতে থাকে এবন সেই সাথে বাতাসও বাচ্চার পেটে চলে যায়, যার কারণে গ্যাস হতে পারে।

খুব আস্তে খাওয়াঃ

একইভাবে মায়ের বুকে দুধ কম আসলে বা বোতলের ছিদ্র বেশী ছোট হলে বাচ্চার দুধ খাওয়ার সময় অতিরিক্ত বাতাস বাচ্চার পেটে চলে যায় এবং গ্যাস তৈরি করে।

বোতলের দুধে ফেনা থাকলেঃ

বাচ্চাকে ফর্মুলা খাওয়ানো হলে ফর্মুলা তৈরি করার সময় বোতল যত বেশী ঝাঁকানো হয় তত বেশী তাতে ফেনা হয়। এতে বাচ্চার পেটে গ্যাস হতে পারে। তাই দুধ তৈরি করার পর কিছুক্ষণ রেখে দিন যাতে ফেনা কমে যায়। এরপর বাচ্চাকে খেতে দিন।

দুধের কোন নির্দিষ্ট প্রোটিন এর কারণেঃ

 বাচ্চার যদি বুকের দুধ খায় তবে মায়ের ডায়েটের কোন প্রোটিনের কারণে বাচ্চার পেটে গ্যাস হতে পারে। মা ডেইরি প্রোডাক্ট খেলে এ সমস্যা বেশী দেখা যায়। কিসের কারণে হচ্ছে তা নিশ্চিত করা গেলে তা মায়ের ডায়েট থেকে বাদ দিন। যদি বাচ্চা ফর্মুলা খায় তবে ফরমুলার কোন প্রোটিন হয়ত বাচ্চার সহ্য হচ্ছেনা তাই গ্যাস হচ্ছে। এমন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফর্মুলা পরিবর্তন করে দেখতে পারেন। মায়ের ডায়েটের কারণে হচ্ছে মনে হলে মায়ের ডায়েট থেকে একবারে একধরনের খাবার বাদ দিয়ে দেখুন বাচ্চার সমস্যা কম হচ্ছে কিনা।

কিছু কিছু খাবারের কারণেঃ

বড়দের মত বাচ্চাদের কিছু কিছু সবজিতে পেটে গ্যাস হতে পারে। যেমন- ব্রকলি এবং বাঁধাকপি। এগুলো যদি খুবই স্বাস্থ্যকর এবং খাওয়া উচিত তারপরও চেষ্টা করুন যাতে খুব বেশী পরিমাণে খাওয়ানো না হয়। ছয় মাস বয়সের পর বুকের দুধের পাশাপাশি একটু বাড়তি খাবার দেওয়া হয়। এতেও অনেক সময় পেটে গ্যাস হতে পারে। এসব শিশুর বাড়তি খাবারে বিভিন্ন প্রকার ফল বা শাকসবজি দিয়ে খিচুড়ি এবং মাছ-মাংস ও ডিম থাকে।

অনেক সময় খিচুড়িতে শাকের পরিমাণ বেশি হলে গ্যাস হওয়ার ঝুঁকি থাকে আবার ডালেও গ্যাস হতে পারে, এমনকি সিদ্ধ ডিমেও গ্যাস হতে পারে। তাই উচিত বাড়তি খাবার দেওয়ার সময় খাবারের দিকে নজর রাখা। যেমন- খিচুড়িতে শাক ও ডালের পরিমাণ কম দিয়ে কাঁচা কলা বা কাঁচা পেঁপের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।

জুস খাওয়ার কারণেঃ

 বাচ্চাদের মায়ের দুধ এবং ফর্মুলা ছাড়া অন্য কোন পানীয় খাওয়া উচিত নয়। যদি ৬ মাস হয় তবে পানি খেতে পারে। জুসে যে ফ্রুক্টোস ও সুক্রোস থাকে তা বাচ্চা ঠিকমত হজম করতে পারেনা। এর ফলে বাচ্চার পেটে গ্যাস এমনকি ডায়রিয়াও হতে পারে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়াঃ

বাচ্চা ৬ মাস হওয়ার পর পর্যাপ্ত পানি খেলে তার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে অনেক সময় পেটে গ্যাস ও ব্যাথা হয়। ৬ মাস বয়সী বাচ্চাকে দৈনিক বুকের দুধ বা ফর্মুলার পাশাপাশি ২-৪ আউন্স পানি খাওয়াতে হবে। বাচ্চার বয়স ১২ মাস হলে তা বাড়িয়ে ৪-৬ আউন্স করুন।

বাচ্চার অতিরিক্ত কান্নার কারণেঃ  বাচ্চা অনেক্ষন ধরে কান্না করতে থাকলে তার পেটে বাতাস ঢুকে যেতে পারে। তাই বাচ্চার কান্না যত দ্রুত সম্ভব থামানো উচিত।

কিভাবে বুঝবেন বাচ্চার পেটে গ্যাস হয়েছে?

বাচ্চার পেটে গ্যাস হচ্ছে কিনা সেটা বোঝাটা কষ্টকর কারণ বাচ্চা নিজ থেকে তার অসুবিধাগুলো বলতে পারেনা। তবে কিছু কিছু লক্ষন তার মধ্যে দেখা যেতে পারে-

চেহারা লাল হয়ে যাওয়া
কান্নাকাটি করা
খাওয়ার পর মোচড়ানো
হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাখা
পা ভাজ করে পেটের কাছে নিয়ে আসা ইত্যাদি।
তাছারা বাচ্চা যদি ঢেঁকুর তুলে বা বায়ু ত্যাগ করে তাহলে নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারবেন যে তার গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে।

তবে মাঝে মাঝে গ্যাসের সমস্যার এ লক্ষনগুলো অন্য কোন সমস্যারও ইঙ্গিত করতে পারে। বাচ্চা যদি ঢেঁকুর তোলার পর বা বায়ু ত্যাগ করার পরও কান্নাকাটি করতে থাকে তবে ধরে নিতে পারেন তার অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যেমন- রিফ্লাক্স, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কলিক।

32
বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতে চেষ্টা করে। দেহের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ত্বকের শিরাগুলো প্রসারিত হয়ে অতিরিক্ত তাপ বাইরের পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া ঘামের মাধ্যমেও শরীর শীতল হয়। প্রচণ্ড গরমে অতিরিক্ত ঘামার কারণে শরীর পানি ও লবণ হারায়। ফলে শারীরিক দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা ঝিমঝিম করা, মাংসপেশিতে ব্যথা, প্রচণ্ড পিপাসা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। এ অবস্থার নাম ‘হিট ক্র্যাম্প’ বা ‘হিট এক্সোশন’। প্রচণ্ড গরমে ও আর্দ্র পরিবেশে বেশি সময় অবস্থান করলে বা বেশি পরিশ্রম করলে অনেক সময় শরীরের পক্ষে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা আর সম্ভব হয় না। ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে উঠে যায়। একে বলে ‘হিট স্ট্রোক’।

হিট স্ট্রোকে ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যায়, শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায়। নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হয়। রক্তচাপ ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। খিঁচুনি হতে পারে। রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। হিট স্ট্রোকের কারণে জীবনসংশয়ও হতে পারে।


কাদের ঝুঁকি বেশি
প্রচণ্ড গরমে ও আর্দ্র পরিবেশে যেকোনো ব্যক্তিরই হিট স্ট্রোক হতে পারে। তবে প্রখর রোদে খোলা মাঠে যাঁরা কায়িক পরিশ্রম করেন, যেমন কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, তাঁদের হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেশি। প্রখর রোদে পথচারী দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটি করলে বা স্কুলের ছেলেমেয়েরা রোদে স্কুলের মাঠে খেলাধুলা করলেও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে। কারখানা বা ঘরের ভেতর যাঁরা গরম ও আর্দ্র পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন (যেমন পোশাককর্মী) তাঁদেরও হিট স্ট্রোক হতে পারে। শিশু ও বৃদ্ধদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা এমনিতেই কম, তাই তাঁরা বেশি ঝুঁকিতে আছেন। স্থূলতা, কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, মানসিক রোগের ওষুধ ঝুঁকি বাড়ায়।

করণীয়
হিট স্ট্রোক হলে রোগীকে দ্রুত যথাসম্ভব ঠান্ডা পরিবেশে নিয়ে যান। পরনের কাপড় খুলে পানি দিয়ে শরীর ভিজিয়ে ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিন। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ ভেজা কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখুন। বগলে ও কুঁচকিতে বরফ দিন। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাঁকে পানি ও খাওয়ার স্যালাইন খেতে দিন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে। গরমে যথাসম্ভব ঘরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। বাইরে যেতে হলে পাতলা ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরুন এবং ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন। প্রচুর পানি পান করুন। বেশি ঘামলে খাওয়ার স্যালাইনও পান করতে পারেন। রোদে কাজ করতে হলে মাঝেমধ্যে বিশ্রাম নিন এবং পানি, ফলের রস ও স্যালাইন পান করুন। চা বা কফি কম খাবেন, এগুলো শরীরের তাপ বাড়ায়। এই প্রচণ্ড গরমে যাঁরা দীর্ঘ যাত্রা করে ঈদে বাড়ি যাবেন, তাঁরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ: বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ

34
পবিত্র রমজানে মুসলমানমাত্রই রোজা রাখতে চান। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন, রোজা রাখতে পারবেন কি না বা বিশেষ কোনো সতর্কতা আছে কি না। কারণ, তাঁদের খাবারদাবার সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল হওয়া চাই।

কিছু বিশেষ সতর্কতা, নিয়ম আর শৃঙ্খলা মেনে চললে বেশির ভাগ ডায়াবেটিসের রোগীই নিশ্চিন্তে রোজা রাখতে পারেন। ডায়াবেটিসের রোগীদের ঝুঁকির মাত্রার ওপর ভিত্তি করে তাঁদের চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। লো রিস্ক, মডারেট রিস্ক, হাই রিস্ক এবং ভেরি হাই রিস্ক গ্রুপ।


খাদ্য ব্যবস্থাপনা, ওষুধ সেবন বা ইনসুলিন গ্রহণের মাধ্যমে যাঁদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে, তাঁরা লো রিস্ক এবং মডারেট রিস্ক গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। অতি বয়স্ক, কিডনির জটিলতায়, স্বল্পমেয়াদি অন্য অসুস্থতায় আক্রান্ত, বারবার রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ার প্রবণতা, হার্ট অ্যাটাক ও মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণের (স্ট্রোক) শিকার ডায়াবেটিসের রোগীদের হাই ও ভেরি হাই রিস্ক গ্রুপে ফেলা হয়েছে। লো রিস্ক ও মডারেট রিস্ক গ্রুপের ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজার শুরুতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোনো প্রকার জটিলতা ছাড়াই রোজা রাখতে পারেন। অন্যদিকে হাই ও ভেরি হাই রিস্ক গ্রুপের লোকদের রোজা রাখতে হলে চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থেকেই রাখতে হবে।

রোজা পালনে ঝুঁকিপূর্ণ কারা

* অতি বৃদ্ধ বা ভগ্ন স্বাস্থ্যের রোগী।

* গত তিন মাসের মধ্যে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) বা অধিক বেড়ে গিয়ে কিটো অ্যাসিডোসিস বা হাইপার অসমোলার স্টেট হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।

* ঘন ঘন রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা।

* হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলেও টের পান না যাঁরা।

* অনিয়ন্ত্রিত টাইপ ১ ডায়াবেটিস বা দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত টাইপ ২ ডায়াবেটিস।

* গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।

* দীর্ঘমেয়াদি কিডনি জটিলতা (স্টেজ ৪ ও ৫) বা ডায়ালাইসিসের রোগী।

* হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের রোগী।

* দিনে একাধিকবার ইনসুলিন গ্রহণ করেন যাঁরা।

* মারাত্মক সংক্রমণ, যক্ষ্মা, ক্যানসার ইত্যাদি থাকলে

তা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কিডনি জটিলতা (স্টেজ-৩), স্থিতিশীল হৃদ্‌রোগ বা স্ট্রোক, স্তন্যদাত্রী মা, অধিক কায়িক পরিশ্রমকারী ডায়াবেটিসের রোগীদের রোজা রাখার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সচেতন না থাকলে রোজার সময় ডায়াবেটিস রোগীর কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন রক্তে চিনির স্বল্পতা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া, রক্তে চিনির আধিক্য বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া, ডায়াবেটিস কিটো অ্যাসিডোসিস এবং পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন।

খাবার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা

পবিত্র রমজানে খাবার খাওয়ার সময়সূচি পরিবর্তিত হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তিত হবে ওষুধ বা ইনসুলিনের সময়সূচি ও মাত্রা। এর মধ্যে কোনো অসামঞ্জস্য হলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে বা বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য ডায়াবেটিসের রোগীদের দরকার প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ।

ওষুধ ও ইনসুলিন

* রমজান শুরুর আগেই ওষুধের মাত্রা (ডোজ) ও সময়সূচি সমন্বয় করে নিন।

* চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনবারের ওষুধ এক বা দুইবারে পরিবর্তন করে আনুন।

* যাঁরা বড়ি খান, তাঁরা সকালের ডোজটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের ডোজটি অর্ধেক পরিমাণে সাহ্‌রির আধা ঘণ্টা আগে খাবেন।

* সকালের ইনসুলিন ডোজটি ইফতারের আগে, রাতের ডোজটি কিছুটা কমিয়ে সাহ্‌রির আধা ঘণ্টা আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নেবেন।

হাঁটা ও ব্যায়াম

রোজা রেখে দিনের বেলায় অধিক হাঁটা বা কায়িক পরিশ্রম না করাই ভালো। ইফতারের ১ ঘণ্টা পর বা তারাবিহর পর নির্ধারিত হাঁটা বা ব্যায়াম করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় নিয়ে তারাবিহ আদায় ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

ডায়াবেটিস পরীক্ষা

রোজা রাখা অবস্থায় যেহেতু রক্ত পরীক্ষায় কোনো বাধা নেই, তাই সাহ্‌রির বা ইফতারের ২ ঘণ্টা পর ও বিকেলে অথবা খারাপ লাগলে দিনের যেকোনো সময় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করবেন।

দিনের যেকোনো সময় রক্তের গ্লুকোজ ৪ মিলি মোল/লিটার বা তার কম অথবা ১৬.৭ মিলি মোল/লিটার বা তার বেশি হলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

মনে রাখবেন

* রোজা রেখে কখনই আগের মাত্রার ওষুধ বা ইনসুলিন নেবেন না। নিজে নিজে ডায়াবেটিসের ওষুধ সমন্বয় করবেন না, এতে জটিল পরিণতি হতে পারে।

* সাহ্‌রির নির্ধারিত সময়ের শেষভাগে ও মাগরিবের আজান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার গ্রহণ করুন।

* রমজান মাসে দৈনিক ক্যালরির মাত্রা ঠিক রেখে শুধু খাদ্য উপাদান ও সময় পরিবর্তিত হবে।

* ইফতারে অতিভোজন বা সাহ্‌রিতে স্বল্পভোজন থেকে বিরত থাকুন।

* রোজা রাখা অবস্থায় ইনসুলিন নেওয়া যায়। তাই ইফতারের নির্ধারিত সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে ইনসুলিন গ্রহণ করুন।

* সাহ্‌রিতে কোনো অবস্থাতেই না খেয়ে বা সামান্য কিছু খেয়ে রোজা রাখবেন না।

লেখক: পরামর্শক, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিভাগ, ইমপালস হাসপাতাল, তেজগাঁও, ঢাকা।

https://www.prothomalo.com/life-style/article

35
কানের ভেতরে পানি আটকে থাকার অস্বস্তিকর অনুভূতির সঙ্গে আপনার পরিচয় আছে? অসাবধানতায় নানা মুহূর্তে আমাদের কানে পানি ঢোকে। তখন মনে হয়, কানের মধ্যে পানির বন্যা বইছে। শ্রবণক্ষমতা ব্যাহত হয়। অস্পষ্ট শোনায় চারপাশের শব্দ। এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার কিছু পদ্ধতি বলেছেন জাতীয় নাক, কান, গলা ইনস্টিটউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হাসান।

মাথা ঝাঁকিয়ে পানি বের করুন
যে কানে পানি গেছে, সেই পাশে আপনার মাথা ঝুঁকিয়ে রাখুন। এবার আস্তে আস্তে কান ধরে ঝাঁকি দিতে থাকুন। এই পদ্ধতি কানের ভেতরের অংশে গতিশীলতা তৈরি করে। ফলে পানি নিজে থেকেই বেরিয়ে আসবে।

কাপিং পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে আপনার হাত মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। যে কানে পানি ঢুকেছে, সে পাশে মাথা কাত করুন। হাতের তালু কাপের মতো করে ধরুন। সেই হাত কানের ওপর রেখে একটু চাপ দিয়ে তালু সমতল করে ফেলুন। আবার তালু কাপের মতো করে নিন। এটি আপনার কানের ওপর একটি ফাঁপা জায়গা বা ভ্যাকুয়াম কাপ তৈরি করবে। বাতাসের চাপে ভেতরের পানি বেরিয়ে আসবে।

ব্লো ড্রায়ারের সাহায্য নিন
এই পদ্ধতিতে আপনাকে একটি ব্লো ড্রায়ারের সাহায্য নিতে হবে। ড্রায়ারটিকে প্রথমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় সেট করুন। যে কানে পানি ঢুকেছে, সেই কান বরাবর এক হাত পরিমাণ দূরত্বে রেখে ড্রায়ারটিকে চালু করুন। আপনার মাথা ওপর-নিচে নাড়াতে থাকুন। কিছুক্ষণ করার পরই পানি বেরিয়ে যাওয়ার কথা। তবে এখানে ব্লো ড্রায়ার ব্যবহারের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
সাধারণত কানের আটকে পড়া পানি অল্প সময়ের মধ্যেই বেরিয়ে আসে। কোনো জটিলতায় ২৪ ঘণ্টার বেশি পানি আটকে থাকলে অতিদ্রুত কোনো ইএনটি স্পেশালিস্ট অর্থাৎ নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তুলা, পিন, কটনবাড, আঙুলসহ অস্বাস্থ্যকর কোনো বস্তু ব্যবহার করে কানের জমাট পানি বের করার চেষ্টা করবেন না। কানের ভেতরের অংশগুলো যথেষ্ট স্পর্শকাতর হয়।



36
Pharmacy / What is the importance of Shab-E-Barat?
« on: April 16, 2019, 01:24:54 PM »
Shab e Barat (Laila-tul-Bara’at) or also known as the Mid-Sha’ban is the night between the 14th and the 15th of Sha’ban.

Shab e Barat is the night when the fortunes for the upcoming year of men/women are decided and finalized by Allah. It is also noted that Allah forgives the sins of many people.

It also happens in some regions that prayers are arranged on this night for one’s deceased family members to ask for the forgiveness of Allah for them.

The reason behind the title of this night as the Laila-tul-Bara’at is that, this night is to seek forgiveness and mercy from the Almighty Allah. The meaning of Laila-tul-Bara’at is the Night of Salvation.

This night is to seek freedom from any type of calamity or Azaab. Allah accepts the repentance of the people who ask for it and one can collect maximum blessings from Allah.

37
Pharmacy / বৈশাখের খাবারদাবার
« on: April 16, 2019, 01:13:10 PM »
এসে গেল বৈশাখ। বৈশাখ মানেই গ্রীষ্মের শুরু। আর নববর্ষ মানে ভোর থেকে ঘোরাফেরা, সাজগোজ, আনন্দ। কিন্তু এই গরমে খাবারদাবারের বেলায় একটু সতর্কতা তো লাগবেই। নয়তো অসুস্থ বোধ করতে পারেন।

গরমে বাইরে রোদে ঘোরাঘুরি করলে দ্রুত শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। সে জন্য সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি রাখুন। বাড়িতে এদিন কেউ বেড়াতে এলে আপ্যায়ন করুন তাজা ফলের রস, ডাবের পানি বা বাড়িতে তৈরি লেবুর শরবত দিয়ে। রাস্তায় বিক্রি হওয়া লেবুর শরবত বা আখের রস মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খুব বেশি ঘেমে গেলে বা মাথা ঝিমঝিম করলে ওরস্যালাইনও খেতে পারেন।


শিশুদের নিয়ে ঘুরতে বের হলে বাইরের পান্তা, ইলিশ, চটপটি, ফুচকা, আচার, শরবত ইত্যাদি দেবেন না। এগুলো অনিরাপদ। শিশুদের যেন পানিশূন্যতা বা হিট স্ট্রোক না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন। ছোট শিশুকে নিয়ে সারা দিনের জন্য বের হলে সঙ্গে টিফিন বাটিতে নুডলস, খিচুড়ি, পায়েস-জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। সঙ্গে অবশ্যই ফ্ল্যাস্কে পানি বা ফলের রস নিন।

গরমে চা, কফি বেশি খেলে গরম বেশি লাগে, ঘামও হয়। ক্যাফেইন আরও পানিশূন্য করে দিতে পারে। এবার জেনে নিন বৈশাখের ঘোরাঘুরিতে কী ভালো।

■ ডাবের পানি: ডাবের পানি প্রাকৃতিক স্যালাইন, কেননা এতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম, সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে। এ ছাড়া এতে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আছে।

■ লেবুপানি: লেবুর পানি গরমে দ্রুত স্বস্তি এনে দেয়। ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম আছে এতে।

■ কাঁচা আমের শরবত: কাঁচা আমে প্রচুর ভিটামিন সি আছে, যা গরমে আরাম দেয়। সামান্য জিরার গুঁড়া লবণ মিশিয়ে খেলে প্রশা‌ন্তি পাবেন।

■ তরমুজের রস: তরমুজের প্রায় ৯০ শতাংশ জলীয় অংশ। এটি পানিশূন্যতা দ্রুত রোধ করে। হজমেও সাহায্য করে।

■ দই বা দইয়ের শরবত: গরমকালে দই খুব উপকারী। দইয়ের মধ্যে জিরা, আদা, পুদিনাপাতা ও পছন্দমতো চিনি দিয়ে ফেটিয়ে খেলে আরাম পাবেন।

■ বেলের শরবত: গরমে পেট ঠান্ডা রাখে বেলের শরবত। পেট পরিষ্কার ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

■ আখের রস: বাড়িতে তৈরি আখের রসে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, গ্লুকোজ ও ম্যাগনেশিয়াম পাবেন। আখের রস হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।

এ ছাড়া এই বৈশাখে অতিথি আপ্যায়নে বা বাড়িতে রাখুন ফলের সমাহার। শসা, টমেটো, কাঁচা সালাদ, ক্যাপসিকাম ইত্যাদিতে জলীয় অংশ অনেক বেশি তাই এই গরমে এগুলো খাওয়া ভালো।

https://www.prothomalo.com/life-style/article/1588592

38
Pharmacy / কাশি কমাতে ব্যায়াম
« on: April 16, 2019, 01:09:06 PM »
ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস হলো শ্বাসনালির মিউকাস আবরণীর প্রদাহজনিত রোগ। পুরুষদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি। দীর্ঘদিনের ধূমপায়ীরা বেশি আক্রান্ত হন। এ ছাড়া বায়ুদূষণ, ধুলাবালি ও পরিবেশজনিত সমস্যা থাকতে পারে এর পেছনে। কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে শোঁ শোঁ শব্দ, বছরে কয়েকবার সংক্রমণ হওয়া এই রোগের অন্যতম উপসর্গ।

ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস কখনো ভালো হয়ে যায় না। কেবল নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও উপসর্গগুলোকে কমানো যায়। ওষুধ ও ইনহেলারের পাশাপাশি এই রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যায়ামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। একজন রেসপিরেটরি থেরাপিস্ট রোগীর জটিলতা ও রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ব্যায়ামের পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে পিই স্কেল ব্যবহৃত হয়। এই স্কেলে রোগীর এক্সকারশন বা শ্রমের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। যদি এক্সকারশন মাত্রা ২০–এর ওপর থাকে, তবে সর্বোচ্চ মাত্রার ব্যায়াম করানো যায়। আবার মাত্রা ৬ হলে হালকা বা মৃদু ব্যায়াম।

চেস্ট ফিজিওথেরাপির সময় প্রথমে ওয়ার্ম আপ ও পরে কুল ডাউন করা জরুরি। নিজের মাত্রা বুঝতে হবে, মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম বা কাজ করা বিপজ্জনক। আরামদায়ক পরিবেশ ও উপযুক্ত পোশাকে ব্যায়াম করতে হবে। খারাপ লাগলেই ব্যায়াম বন্ধ করতে হবে।

বাড়িতে নিজে করার উপযোগী একটি ব্যায়ামের উদাহরণ দেওয়া হলো। এই ব্যায়ামের নাম হলো পারসড লিপ ব্রেদিং এক্সারসাইজ। এটি ব্রঙ্কাইটিসের রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমে একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন।


ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন, কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। প্রথম দিকে তিন সেকেন্ড দিয়ে শুরু করুন, পরে সময় বাড়াবেন।

এবার মুখটাকে গোল করে ফুঁ দেওয়ার মতো করে শ্বাস ছাড়তে থাকুন।

এই ব্যায়ামে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ও অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ে। যখনই শ্বাসকষ্ট বাড়ে, এটি করতে পারেন।

39
সরিষার তেল আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গেই যেন মিশে আছে। একসময় গ্রামবাংলার একমাত্র ভোজ্যতেল ছিল সরিষার তেল। এর ওষুধি গুণাগুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই তেল। সরিষার তেল যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারীও। ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে সরিষার ব্যবহার হয়ে আসছে। সরিষার তেল উদ্দীপক হিসেবে পরিচিত। অন্ত্রে পাচকরস উৎপাদনে সাহায্য করায় হজমপ্রক্রিয়া দ্রুত হয়। এ ছাড়া একই প্রক্রিয়ায় ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সর্বজনীনভাবে সরিষার তেলের ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে এই তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে যাঁরা অবগত আছেন, তাঁরা নিয়মিতই ব্যবহার করে চলেছেন সরিষার তেল।

সরিষাবীজ থেকে তৈরি হয় সরিষার তেল। এটি গাঢ় হলুদ বর্ণের এবং বাদামের মতো সামান্য কটু স্বাদ ও শক্তিশালী সুবাসযুক্ত তেল। ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়। বিভিন্ন ভোজ্য তেলের ওপর করা একটি তুলনামূলক সমীক্ষায় দেখা যায়, সরিষার তেল ৭০ শতাংশ হৃৎপিণ্ড–সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়, যা হৃদ্​রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।

এ ছাড়া সরিষা তেল ঠান্ডা ও কাশি উপশমে সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে। যখন বুকে প্রয়োগ বা তার দৃঢ় সুবাস নিশ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া হয়, এটা শ্বাসযন্ত্রের নালির থেকে কফ অপসারণেও সাহায্য করে। শুধু খাওয়ার জন্যই নয়, সরিষার তেল চুল ও ত্বকের যত্নেও কাজে লাগে।

সরিষার তেলের উপকারিতা
ত্বকের তামাটে ভাব দূর করে

সরিষার তেল ত্বকের তামাটে ভাব ও দাগ দূর করে এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে পারে। এ জন্য বেসন, দই, সরিষার তেল ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।

প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন

সরিষার তেল খুব ঘন হয় এবং এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই থাকে। এই তেল ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। তাই এটি ত্বকের ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে। ভিটামিন ই বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতেও সাহায্য করে। তাই সানস্ক্রিন লোশনের মতোই ব্যবহার করতে পারেন এই সরিষার তেল। তবে এই তেল যেহেতু ঘন, তাই ত্বকে লাগানোর পর ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে, যেন অতিরিক্ত তেল লেগে না থাকে। অন্যথায় অতিরিক্ত ধুলাবালু জমা হয়ে ত্বকের ভালোর চেয়ে খারাপই হতে পারে বেশি।



সরিষার তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অকালে চুল সাদা হওয়া রোধ করে ও চুল পড়া কমায়। সরিষার তেলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে এতে। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন-এতে রূপান্তরিত হয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রতি রাতে চুলে সরিষার তেল মালিশ করে লাগালে চুল কালো হয়।

উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে

সরিষার তেল পরিপাক, রক্ত সংবহন ও রেচনতন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া খাওয়ার পাশাপাশি বাহ্যিকভাবে শরীরে মালিশ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন এবং ঘর্মগ্রন্থি উদ্দীপিত হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা কমে।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

সরিষার তেলে গ্লুকোসিনোলেট নামক উপাদান থাকে, যা অ্যান্টিকারসিনোজেনিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। তাই এটি ক্যানসারজনিত টিউমারের গঠন প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যানসার থেকে সুরক্ষাও প্রদান করে।

চুল পাকা রোধ করতে

সরিষা তেলের পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, মিনারেল চুলের অকালপক্বতা রোধ করে থাকে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই তেল মালিশ করুন চুল এবং মাথার তালুতে যা আপনার চুল পাকা রোধ করবে।

ঠোঁটফাটা রোধ করে

ঠোঁট ফাটা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকের এই সমস্যা এত বেশি হয়ে থাকে যে লিপবাম কাজ করে না। অল্প একটু সরিষার তেল নিয়ে ঠোঁটে লাগান। এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ঠোঁটফাটা রোধ করে ঠোঁট নরম কোমল করে তোলে। শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে সরিষার তেল ভালো কাজ করে। লিপবাম বা চ্যাপস্টিক—এগুলোর পরিবর্তে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

কার্ডিওভাসকুলার উপকারিতা

সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ বলে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে।

সতর্কতা

সরিষা তেল ব্যবহারের আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে জেনে নিতে হবে যে আপনার সরিষার তেল খাঁটি কি না? নকল বা ভেজাল সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় সরিষার তেল কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু যেকোনো সরিষার তেল কি আমাদের জন্য উপকার বয়ে আনবে? মোটেও তা নয়। দোকানের খোলা সরিষার তেলে ভেজাল মিশ্রিত থাকে, যা ব্যবহার করলে নানা রকম অসুখ–বিসুখ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই খাঁটি সরিষার কেনার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।

লেখক: প্রধান পুষ্টিবিদ, বিআরবি হাসপাতাল, ঢাকা

https://www.prothomalo.com/life-style/article

40
কেউ যদি দাবি করেন যে স্বাদ ও মান অক্ষুণ্ন রেখে অল্প ক্যাফেইনের বা একেবারেই ক্যাফেইন নেই—এমন চা–পাতা দিতে পারবেন আপনাকে, কেমন লাগবে আপনার? চায়নিজ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সের চা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের লিয়াং চেন ও জিং-কিয়াং জিন তেমন দাবিই করেছেন। তাঁরা বলছেন, দক্ষিণ চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে দুর্গম এলাকায় বুনো এই চাগাছ রয়েছে। জার্নাল অব অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি সাময়িকীতে তাঁরা লিখেছেন, ওই চাগাছ শুধু প্রাকৃতিকভাবেই ক্যাফেইনমুক্ত নয়, এতে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিছু ঔষধি উপাদানও রয়েছে।

ক্যাফেইনমুক্ত চা এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে, তবে সে ক্ষেত্রেও বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। চা–পাতাকে ক্যাফেইনমুক্ত করতে হলে হয় অতি উচ্চ তাপমাত্রায় কার্বন ডাই–অক্সাইডের মধ্যে পাতাগুলোকে নিমজ্জিত করতে হয় অথবা গরম জলে চা–পাতা থেকে নির্যাস বের করে নিতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় বেশির ভাগ ক্যাফেইনমুক্ত করা গেলেও এর ফলে চায়ের উপকারী উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্যাফেইনমুক্ত কফির ব্যাপারে অনেকের মত হচ্ছে, এতে কফির দারুণ গন্ধটি মাটি হয়ে যায়!

ইকোনমিস্ট সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে এই চা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এমন আবিষ্কার এটাই প্রথম নয়; এর আগে ২০১১ সালে পাশের গুয়াংদং প্রদেশে এমন একটি চাগাছের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল, যার মধ্যে স্বল্প মাত্রার ক্যাফেইন রয়েছে বা একেবারেই নেই। গাছটি ‘ক্যামেলিয়া টিলোফেলা’ নামে পরিচিত, এতে এমন ধরনের যৌগিক উপাদান রয়েছে, যা অতিরিক্ত মেদ কমানোর চিকিৎসায় কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনো এ বিষয়ে গবেষণা চলছে। এই চাগাছ চীনের উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের বিশাল দেশটির দুর্গম এলাকার আনাচকানাচ খুঁজতে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। সবশেষ চাগাছটি সেই খোঁজাখুঁজির ফল।

নতুন আবিষ্কৃত এই চাগাছকে স্থানীয়ভাবে বলা হচ্ছে হোংইয়াচা। এটা শুধু সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৭০০-১০০০ মিটার উচ্চতার পাহাড়ি গ্রামগুলোর অল্প কিছু জায়গায় জন্ম নেয়। হোংইয়াচাকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গবেষণাগারে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়নি। ওই অঞ্চলের মানুষ যুগ যুগ ধরে এই চা ব্যবহার করে আসছে। তাদের দাবি, এটা ঠান্ডা, জ্বর ও পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

ড. চেন ও তাঁর সহকর্মীরা নিশ্চিত যে হোংইয়াচায় কম পরিমাণের ক্যাফেইন রয়েছে। তরল পদার্থকে ক্রোমাটোগ্রাফি ও স্পেকট্রোমেট্রি করাসহ নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা দেখতে পেয়েছেন, ওই চাগাছের পাতা ও কুঁড়িতে অন্যান্য যৌগিক পদার্থেরও বিন্যাস রয়েছে। এর মধ্যে এমন উপাদান আছে, যা টিউমার বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তরল পদার্থ থেকে এর যৌগিক বা মিশ্র পদার্থের উপাদানকে পৃথক করাকে ক্রোমাটোগ্রাফি এবং পদার্থ ও তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণের মধ্যে ক্রিয়া ঘটানোবিষয়ক গবেষণাকে স্পেকট্রোমেট্রি বলা হয়।

হোংইয়াচার জিন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা আবিষ্কার করেছেন, জিনের রূপান্তরের ফলে ক্যাফেইন অনুপস্থিত থাকে। বিস্ময়করভাবে ক্যামেলিয়া টিলোফেলার মধ্যে এই জিন রূপান্তরকে ভিন্নভাবে পাওয়া গেছে।

ক্যামেলিয়া টিলোফেলা ও হোংইয়াচা—এই দুই ধরনের গাছ ক্যাফেইনমুক্ত হওয়ার জন্য তাদের পৃথক যাত্রা শুরু করেছে।


আরও গবেষণা না হওয়া পর্যন্ত গবেষকেরা এখন হোংইয়াচাকে প্রাকৃতিকভাবে রক্ষার উপায় বের করার করার চেষ্টা করছেন। এতে সময় লাগতে পারে। বিষয়টি বিফলেও যেতে পারে। নতুন কিছু পাতা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য যত্ন নেওয়া হচ্ছে।

প্রাকৃতিকভাবে ক্যাফেইনমুক্ত কফিগাছটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০০৩ সালে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ কাজে খুব কমই অগ্রগতি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী আসে, তা জানার জন্য চা-কফি পিপাসুরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকুন।

https://www.prothomalo.com/life-style/article

41
রোজ তিনটা করে খেজুর খান। চালিয়ে যান এক সপ্তাহ। তারপর আরও কয়েকটা দিন। অভ্যাস হয়ে গেল তো? এটা আর ছাড়বেন না। ফলটা কী?

আপনি যদি দিনে তিনটা করে খেজুর এক সপ্তাহ খান, তাহলে সাত দিনে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হারিয়ে যাবে। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। খাবারের রুচি বাড়বে। আর বাড়াবে আপনার হজমক্ষমতাও। শরীর অবশকারী যেকোনো ধরনের রোগে খেজুর হলো মোক্ষম দাওয়াই।

এ ছাড়া অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিশ্বস্ত ও সেরা সৈনিকের নাম খেজুর। খেজুর কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের এক গবেষণায় জানা যায়, নিয়মিত খেজুর খেলে কোলন স্বাস্থ্য ভালো থাকে। খেজুর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো কোলন ক্যানসারের জন্য দায়ী কোষগুলোকে মেরে ফেলে।

সূত্র: এনডিটিভি অবলম্বনে https://www.prothomalo.com/life-style/article/1585561

42
শাক, ডাল কিংবা উপাদেয় ঝোল দিয়ে গরম ভাত খাচ্ছেন, একটুখানি লেবুর রস দিন, স্বাদটা বহু গুণ বেড়ে যাবে। শরীর চাঙা করতে লেবুর শরবতের জুড়ি নেই। লেবুর রসের নানা গুণ। এর মধ্যে আছে জীবাণু ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম আছে। লেবুর রস শুধু রসনা মেটাতেই কাজ দেয় না; দৈনন্দিন জীবনে লেবুর রস লাগে নানা কাজে:

থালাবাসন পরিষ্কারে
তেলচিটচিটে বাসনপত্র পরিষ্কারে যাঁরা গলদঘর্ম হন, লেবুর রস তাঁদের জন্য বেশ উপকারী। বাসন চকচকে রাখতে পারে লেবু। তামার বাসন চকচকে করতে লেবু দারুণ কার্যকর। বাসনে রাতে লেবুর রস মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেললেই বাসনপত্র চকচক করবে।

চপিং বোর্ড পরিষ্কারে
শাকসবজি কাটার পর কাটার বোর্ড বা চপিং বোর্ড সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। বোর্ডের ওপরে লেবুর রস ছড়িয়ে একটা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষে বোর্ডে লেগে থাকা দাগ যতটা সম্ভব তুলে ফেলুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে চপিং বোর্ড থাকবে জীবাণুমুক্ত।

ভাত ঝরঝরে করতে
চাল সেদ্ধ হওয়ার আগে ফুটন্ত জলে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিলে ভাত হবে ঝরঝরে।

Rupchada Super Chefফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে
ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে কয়েক টুকরো লেবু ফ্রিজের ভেতরে রেখে দিন। এতে ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর হবে।

হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে
পেঁয়াজ, রসুন কিংবা মাছ কাটার পর হাতে দুর্গন্ধ হয়। এই গন্ধ সহজে যেতে চায় না। এই দুর্গন্ধ সহজেই কাটাতে পারে লেবু। পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললে দুর্গন্ধ থাকবে না।

মাইক্রোওয়েভ ওভেন পরিষ্কারে
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরের চটচটে ভাব কাটাতে ব্যবহার করা যায় লেবু। দুই কাপ পানিতে দুই থেকে তিন চামচ লেবুর রস মেশিয়ে একটি পাত্রে করে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরে রেখে তা কিছুক্ষণ চালাতে পারেন। পরে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরের দেয়াল একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

পোশাকের দাগ দূর করতে
পোশাকে কখনো জটিল কোনো দাগ পড়লে লেবুর রস তা মুছে ফেলতে কাজ দেয়।


https://www.prothomalo.com/life-style/article/

43
Life Science / Green tea
« on: March 20, 2019, 01:27:41 PM »
চা একটি জনপ্রিয় পানীয়। হোক সেটা বন্ধুমহলে বা ঘরোয়া আড্ডায়। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে দিতে চায়ের জুড়ি নেই। চা যদি পানই করতে হয়, তবে গ্রিন টি কেন নয়?
গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা সব দিক থেকে শরীর চাঙা রাখে। এটি রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসার প্রতিরোধ করে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলে প্রচলিত। এ ছাড়া ক্যাটেচিন নামের একটি উপাদান থাকে এই চায়ে, যা ভিটামিন ই এবং সির থেকেও বেশি শক্তিশালী, যা শরীরে একাধিক উপকার করে।
এর মধ্যে গ্রিন টি ওজন কমায়। গ্রিন টি হজমপ্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ক্যাটেচিন পেটের মেদ ঝরাতে জোরালো ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই অতিরিক্ত ওজন কমাতে নিয়মিত এই চা পান করতে পারেন। ইদানীং ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেকেই গ্রিন টিকে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পছন্দ করেন।
তবে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের ওজন বাড়ে প্রধানত প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেশি খাবার গ্রহণ ও পরিশ্রমহীন জীবন যাপন করার জন্য। আর ওজন নিয়ন্ত্রণ বা কমে প্রয়োজনীয় বা তার কম ক্যালরি গ্রহণ অথবা ব্যায়াম করলে।
যাহোক, গ্রিন টি সব সময় ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে এক দিনে ২-৩ কাপের বেশি পান করা এবং এর সঙ্গে গুঁড়া দুধ কিংবা চিনি মেশানো উচিত নয়।

গ্রিন টি
আসলেই কি গ্রিন টি দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকর?
এক কাপ কফির থেকে এক কাপ গ্রিন টি পান করা বেশি স্বাস্থ্যকর। কফির তুলনায় গ্রিন টিতে ক্যাফেইন কম থাকে, তবু তা শরীরের সতেজতায় যথেষ্ট। আবার বেশি ক্যাফেইন অনেক সময় পানিশূন্য করে ফেলতে পারে। অন্যদিকে, গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ও সামান্য ক্যাফেইন।
শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তাপ উৎপন্ন হয়, যা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখে। আর এই চা পান করলে শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে থাকে। তাপ বাড়াতে হলে শরীর থেকে ক্যালরি খরচ করতে হয়। আর ক্যালরি পোড়া মানেই তো ওজন কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান এই কাজে মুখ্য ভূমিকা রাখে। গ্রিন টি একধরনের হরমোনের পরিমাণ শরীরে বাড়িয়ে তোলে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
যাঁরা গ্রিন টি পান করেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের দ্রুত চর্বি ঝরে। আর যাঁরা ব্যায়াম করেন, কিন্তু গ্রিন টি পান করেন না, তাঁরা এই উপকার থেকে বঞ্চিত হন। আর যাঁরা গ্রিন টি পান করেন, তবে ব্যায়াম করেন না, তাদেরও চর্বি পোড়ে কিন্তু তা কম।
গ্রিন টি পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে পান করলেও সপ্তাহ বা মাস শেষে তা বড় পরিমাণই হয়। তবে যদি ব্যায়াম না করে গ্রিন টি পান করা হয়, এটি তেমন ভালো কাজে দেয় না। ব্যায়াম এবং গ্রিন টি পান একসঙ্গে চালিয়ে গেলে ওজন কমবে দ্রুত হারে।

গ্রিন টি
গ্রিন টি
কখন পান করবেন গ্রিন টি?
সকালের নাশতার পর
সকালের নাশতায় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যেন সারা দিন শরীর অনেক ভালো। খালি পেটে গ্রিন টি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। সুতরাং সকালের নাশতায় স্বাস্থ্যকর কোনো খাবার খেতে হবে এবং এরপর গ্রিন টি পান করবেন।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে
রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তবে অনেক সময় তা ঘুম নষ্ট করতে পারে, এ জন্য ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগেই চা পান করতে হবে। এরপরও যদি ঘুমের সমস্যা হয়, তবে তা বাদ দিতে হবে এবং দিনের অন্য সময় তা পান করতে হবে।
ব্যায়াম করার আগে
|ব্যায়াম করার আধা ঘণ্টা আগে গ্রিন টি পান করলে যেমন শরীরের মেটাবলিজম বাড়বে, তেমনি কর্মদক্ষতা বাড়বে। ফলে ওজন এবং মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
খাবার খাওয়ার পরে বা আগে কখন
অনেকেই খাবার খাওয়ার পরপরই চা পান করেন। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রিন টি পান করা উচিত নয়। খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পরে অথবা আগে গ্রিন টি পান করুন।
কখন গ্রিন টি পান করবেন না
* সকালে খালি পেটে গ্রিন টি পান করবেন না।
* খাওয়ার পরপরই গ্রিন টি পান করবেন না।
* ঘুমের সমস্যা এড়িয়ে যেতে গভীর রাতে গ্রিন টি পান করবেন না।

https://www.prothomalo.com/life-style/article

44
Pharmacy / Health Benefits and Medicinal Uses of Eating Guava
« on: June 30, 2018, 02:57:18 PM »
Guava is termed as superfruits because of the presence of multiple health benefits nutrients-vitamin A, vitamin C, folic acid, potassium, copper, manganese, fibre, flavanoids, and other phytochemicals.  It is surprising to know that guavas are having more vitamin C than oranges and more potassium than  bananas.

One guava contains 169 mg of vitamin C while an orange has only 69 mg. Guava is also  used as guava jams and jellies.  To know in details about the Top 15 Health and Medicinal Benefits of Guavas, go through the article.
Guava for cancer treatment

Guava is one of the important fruits which are abundant with cancer fighting antioxidants-Lycopene.  The phytochemical-lycopene is good for treatment and combating of cancers such as prostate and breast cancer. The higher concentration of Lycopene fights with free radicals and prevents the risk of cancer and heart diseases. For cancer diseases, one should prefer to red fleshed guava over other varieties of guavas. The antioxidants also prevent the formation of cancerous tumours.  The other nutrients such as vitamin A, vitamin C, fiber, flavonoids, beta-carotene, lutein and cryptoxanthin along with antioxidants also help to fight free radical cells which credit to cause cancer.
[smartads]
Guava is plentiful of dietary fibre that aids in protecting of colon mucous which prevents toxins and cancer causing cells.  Fruits rich in carotene such as guava are known to fight off lung and oral cancers too.
Guava treats hypertension

Guava is highly useful for the treatment of blood pressure, hypertension and heart disease. Guava contains adequate fiber and also hypoglycemic in nature which helps to control cholesterol levels and blood pressure. Guava improves heart health, prevents stroke by controlling high blood pressure and lowering cholesterol which is credited to the presence of moderate quantity of potassium.

Guava for skin care and beauty

Are you facing the problems of skin loosening, regular eating of guava works significantly in improving the texture and health of the skin? Guava enhances skin texture, tightening the loosening skin,  and far better  options than the nourishing lotions available in the market. The higher concentration of minerals and nutrients presence in guava makes the skin toned, fresh and wrinkle free. Guavas also help to revive the lost elasticity of the skin. The astringents present in guavas keep the skin away from blemishes, acne, wrinkles and pimples. Guava, being anti blemishes in nature, also known for anti aging properties. For skin beauty, you may also wash your face with the decoction of immature guava fruits and its leaves.

Constipation home remedy through Guava

Guava contains sufficient quantity of dietary fibre and roughage that are extremely beneficial for constipation  piles and haemorrhoids.  A 100 gram of guava contains about 36% of recommended daily intake of fiber. Guava seeds are powerful laxatives, help in chronic constipation and cleansing the digestive system. Dietary fibre helps in digestion and absorption of nutrients from food substances. Guavas contain higher amount of insoluble fibre that facilitate the movement of wastes from colon; clean the intestines and excretory system and help in treatment of constipation. Since guavas cleanse the intestine, so it is also an effective remedy for intestinal laziness.

Weight Loss through guava

Many of us don’t know how to lose weight naturally and effectively through diets and foods. Guavas are the important weight loss foods. Guavas are rich in dietary fiber, minerals and vitamins with no cholesterol and low carbohydrate; give you the satisfaction of fullness. If you want to lose your weight naturally, eat one or two guava at lunch time. It is sufficient to give you energy till the evening. Guava leaves are also considered as weight loss diet. The adequate roughage keeps your stomach full, reduces the desire of more eating thereby helps to lose weight from tummy and other regions.

Diabetes treatment and guava

A study was conducted by Medicinal Research Laboratory, Allahabad University on mice showed that guava fruits and leaves have the power to lower blood sugar levels. It showed positive results when the fruit was taken without skin. In Japan, guava leaf  tea is taken to promote health and prevents diabetes as this helps to absorb maltose and sucrose thereby control blood sugar levels. In China, peeled guavas are also taken to treat diabetes since the ancient times.
Guava for toothache

Guava contains greater percentage of vitamin C than oranges, about four times than oranges. Having a higher concentration of vitamin C, it is useful in the treatment of bleeding and swollen gums. The astringents contents of guava leave juice are a useful remedy for toothache pain, swollen gums and ulcers.  The gargling of guava leaves is an important toothache remedy. The properly masticated guava stopped the blood leakage from gums. Guava juice is one of the important home remedies to treat gums problems.  Guava is rich in folate that prevents bad breath which is responsible for gum disease gingivitis.

Guava for cough and cold

Guava leaves juices are beneficial in curing and treating cough and cold. Guava juice reduces lungs congestion & mucous formation, and makes the respiratory tract infection free because of its rich source of Vitamin C and iron. These nutrients are also helpful to inhibit influenza virus infection.  Guavas juices also helpful to fight dengue fever.

Guava for diarrhea and dysentery

Guava is beneficial in the treatment of diarrhoea as the fruit inhibits microbial growth, releases excessive mucous from the intestine thereby helps to bind loose stools. The fruits are alkaline in nature that prevent the growth of bacteria, and having disinfectant properties. The phytochemical such as carotenoids, vitamin C and potassium acts like as disinfectants. Chewing guava leaves remove extra mucus from the intestine. Drinking guava leaf tea results in fewer stools. Guava barks are also used as astringents to treat diarrhoea among children.  Guava leaf extract is useful in curing of gastrointestinal disorders because of containing quercetin and flavonoids.

Guava for heart disease treatment

The extract of guava is considered as proper functioning of heart and heart beat. Guava combats free radicals produced after metabolism and helps to check age related diseases such as Alzheimers, cataracts, heart disease and rheumatoid arthritis.  The dietary fiber of guavas is helpful in lowering of cholesterol.

Guava leaf health benefits

Tender guava leaves are used as medicine since long times. These young leaves are abundant with many beneficial bio-chemicals such as quercetins and vitamin C including many antioxidants. Tender guava leaf tea is useful in curing of diabetes, diarrhoea and reduces cholesterol.  Guavas folate helps in the metabolism of protein and carbohydrate for fuel.

Medicinal benefits of guavas

The different components of guavas such as fruits, barks, leaves are beneficial against of bacteria such as Micrococcus pyogenes and Escherichia coli.  Fruits extract of guavas are useful against Salmonella. The fruits of guavas are also used as laxative. The vitamin C contents develop immune system which prevents fungal, bacterial and viral infections.  The folate of guavas is good for pregnant women as it prevents defects in new born baby.

Nutrition facts guava

Guavas are rich in many vitamins, minerals and nutrients.  Guava contains an antioxidant-vitamin E which helps preventing tissue damage from free radicals, and protects your body by releasing toxins. It is packed with nutrients such as calcium, potassium, vitamins C, A and  B, folic acid, fiber, beta carotene, lycopene, phosphorous, iron, folate, flavonoids, isoflavonoids,  polyphenols, etc.  A test has confirmed that guava has the highest concentration of antioxidants than apples, pomegranates, Indian plums, mangoes, custard apples, bananas and grapes

Guavas juice health benefits

Guavas juices are prepared of young leaves and guavas. Guavas juices have many health and medicinal benefits. Guavas juices are refreshing in nature.  Guavas juices are rich in fiber which is beneficial for proper functioning of digestive system. It helps to cleanse the body. Also useful for obese as well as diabetic patients.
Guava for acidity treatment

Guavas act like as alkanity inside the body.  The basicity properties of guavas are used in the treatment of acidity and hyperacidity. Guavas juices are helpful in releasing of toxins from the body, especially from the stomach.

45
Pharmacy / Amazing Benefits Of Cucumber Water
« on: June 27, 2018, 11:26:44 AM »


Do you have a crazy busy schedule but still want to take care of yourself?  The good news is that, even on hectic days, there are some quick and simple ways to stay healthy.  One of them is drinking cucumber water — read on to find out about all the things this amazing drink can do for your body.

1. Cucumber Water Lowers Risk of Heart Disease

Cardiac disease is the number one killer in America, according to the American Heart Association. However, the good news is that you can reduce your chances of developing this disease through good lifestyle choices such as a healthy diet, regular exercise and including cucumber water in your diet. It has been shown to help reduce high blood pressure — a major risk factor for heart disease — by helping the kidneys to get rid of extra sodium in the body.

2. Cucumber Water Prevents Weak Bones

Osteoporosis is a serious, chronic condition which puts you at a much higher risk for broken bones — and which is particularly a problem for women once they hit menopause. When most people think about bone health, calcium, vitamin D and magnesium come to mind — but vitamin K is incredibly important, too. And luckily, cucumbers are incredibly rich in vitamin K, which helps to form the bones matrix and keeps the bone dense and strong.

3. Cucumber Water Prevents Dehydration

Dehydration can happen for a variety of reasons — a warm day, a strenuous work-out, or just not taking the time to drink enough water. Dehydration can cause digestive problems, make circulation more sluggish and even promote weight gain, since many people eat when they actually are thirsty. The National Institute of Health, however, recommends between 6 and 8 glasses a day for best health: cucumber water, being delicious, makes getting enough water in your system a lot easier to do.

4. Cucumber Water May Reduce Cancer Risk

While cucumber water alone cannot lower your cancer risk, it can be used as a part of an overall healthy lifestyle and can provide your body with the vitamins, mineral and fiber it needs to stay healthy. However, this beverage is rich in antioxidants and compounds such as cucurbitacins and lignans which have been shown in clinical studies to help the body fend off cancer development. This is another great reason to indulge in cucumber water.

5. Cucumber Water Lowers Chances of Chronic Diseases

Cancer and osteoporosis are not the only chronic diseases you have to worry about as you get older — diseases of the eyes, diabetes and Alzheimer’s disease (which causes progressive memory loss) are difficult  and common conditions, too. However, the rich array of antioxidants in cucumbers can help reduce stress on the cells, slow the aging process, and prevent many of these age-related conditions.

6. Cucumber Water Helps Avoid Vitamin and Mineral Deficiencies

Let’s face it: most of us still get too much processed food in our diets — and processed food is just not a good source of the vitamins and minerals we need to stay healthy. So mineral and vitamin deficiencies are more common than many people realize and can lead to problems like fatigue, muscle or bone weakness or a depressed immune system, just to name a few. Cucumbers, however, are a rich source nutrients like vitamins A and C and manganese to make up for deficiencies in our diet.

7. Cucumber Water Removes Toxic Build-Up

Between the chemicals in food and drinking water, air pollution and even household chemicals and cleaners, our bodies are exposed to a lot of toxins on a daily basis. These toxins can build up in the system and cause fatigue and other problems. Cucumber water, however, can help detoxify our bodies due to its high water and high fiber content, which make it easier for the body to eliminate harmful chemicals every time we go to the bathroom.

8. Cucumber Water Helps You Shed Extra Weight

According to the Center for Disease Control, two-thirds of Americans are considered to be overweight or obese — and anyone who has been on a diet knows just how hard it is to shed those excess pounds. Cucumber water can help: drinking it can help to curb your appetite and make it easier to cut down on calories without suffering from hunger pains. It also helps you to reduce overall calories if you use it as a replacement for sodas, juice or other sugary drinks.

9. Cucumber Water Prevents Dry Skin

Sun exposure, cold or hot weather and air pollution can all take its toll on your skin, leaving it dry, red and itchy. However, cucumber water can help. When you drink it, you help to not only hydrate your skin from within, you also provide silicon and vitamin B-5, two nutrients your skin needs to stay healthy. When you use it as a toner, you can help reduce inflammation and irritation and keep your skin smooth and clear.

10. Cucumber Water Prevents Muscle Weakness

Lack of exercise and of certain nutrients in the diet makes it easy for muscles to get flabby and weak — and this can make it harder to lose weight, exercise regularly and get into shape. Cucumber water, however, can nourish the muscles with important nutrients like silicon. If you are on a program to help build up your muscles through weight-lifting or weight-bearing exercises, cucumber water is a great way to make that program more effective.


https://www.lifehack.org/367366/amazing-benefits-of-cucumber-water

Pages: 1 2 [3] 4 5