Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - MD. ABDUR ROUF

Pages: 1 [2] 3 4
16
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ: শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিন্ন নীতিমালা
০১/১০/২০১৮   কলাম   

ড. মোঃ সহিদুজ্জামান:
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা করার জন্য ইউজিসি তথা সরকার নড়ে চড়ে বসেছে। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। অভিন্ন নীতিমালাটির খসড়া পড়ে মনে হয়েছে নীতিমালার শিরোনামটি ”পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমুহের শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি/পদোন্নয়ন” এর সাথে ”সুযোগ-সুবিধাসমুহ” কথাগুলো সংযুক্ত করলে ভাল হত। বিষয়গুলো গ্রহনযোগ্য ও বাস্তবতার আলোকে বিশ্লেষণ করা সহজ হত শিক্ষকদের জন্য। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে নীতিমালাটি শিক্ষার মনোন্নয়নে নয়, খুব সূক্ষভাবে শিক্ষকদের অযাচিত নিয়ন্ত্রন ও সুবিধাবঞ্চিত করার একটি প্রয়াস মাত্র। যেমনটি করা হয়েছে সরকারী কলেজের (মেডিকেল কলেজ সহ) জন্য। এটি করায় কলেজের শিক্ষার মান কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে জানি না তবে শিক্ষকদের অযাচিত নিয়ন্ত্রন করা গেছে। উদ্দীপনা হারিয়ে শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং করানো, মেডিকেল কলেজের শিক্ষকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস সহ বিভিন্ন কর্মে লিপ্ত হয়েছেন। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তখন আমার বাবার সমবয়সী একজন একটি সরকারী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিষয়টি এমন হলে শিক্ষার মানোন্নায়ন আশা করা অবান্তর হবে বলে আমার বিশ্বাস।

অভিন্ন নীতিমালার খসড়াটির ভুমিকায় বলা হয়েছে, ”দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান সমান নয় এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুটেদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে একধরণের বৈষম্য বিরাজমান যা দুর করা দরকার”। দেশের শিক্ষার মান সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনই সমান হবে না, হলে রেংকিয়ের ব্যবস্থা থাকত না। বর্তমানে আমি আমেরিকার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি তা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর মান আমেরিকার অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাল। বিশ্বের কোথাও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা নেই, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব স্বকীয়তায় চলে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নূন্যতম মান বজায় রাখতে হলে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষক থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। তাই শিক্ষক নিয়োগে ইউজিসি বা সরকারের একটি নির্দেশনা থাকা উচিত। যেমন পিএইচডি ছাড়া বিশ্বের কোথাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া যায় না, আবার পিএইচডি ও মানসম্মত গবেষনা প্রকাশনা ছাড়া কেউ কখনও প্রফেসর হতে পারেনা। তবে শিক্ষা ছুটি ও আনুসাঙ্গিক বিষয়গুলো নির্ভর করে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন ও নিয়ম-নীতির উপর। অভিন্ন নীতিমালায় কিছু অসংগতি ও অযাচিত বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে।

এক. অভিন্ন নীতিমালায় প্রভাষক পদের জন্য এসএসসিতে ৫ ও এইচএসসিতে ৪.৫ সহ মোট জিপিএ ৯.৫ থাকার কথা বলা হয়েছে। দেখা যায়, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৮ চাওয়া হয়। যে শিক্ষার্থীটি জিপিএ ৮ বা ৯.৫ এর কম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হল তাকে শুরুতেই বলে দেয়া হল তুমি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নও।

দুই. অভিন্ন নীতিমালা অনুযায়ী স্নাতকোত্তর পাশ করে প্রভাষক পদে আবেদন করতে হবে। যেখানে স্নাতক পাশ করে বিসিএস দিয়ে ৯ম গ্রেডে (অস্টম জাতীয় স্কেল অনুযায়ী) যোগদান করা যায় সেখানে স্নাতকোত্তর পাশ করে একজন প্রভাষককে ৯ম গ্রেডে যোগদান করতে হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ পেশায় আসবে না। এছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক কোর্স (এমবিবিএস, ডিভিএম) ৪ বছরের অধিক হওয়ার অসংগতি দেখা দিয়েছে।

তিন. নীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষকের চাকুরী জীবনে সবোর্চ্চ দু’বার আপগ্রেডেশন করা যাবে। অর্থ্যাৎ একজন শিক্ষক প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক এবং সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক হতে যদি তিনি দু’বার আপগ্রেডেশন সুবিধা নেন পরবর্তীতে অধ্যাপকের পদ শূন্য না থাকলে তিনি সহযোগী অধ্যাপক (গ্রেড-৪) হিসেবেই অবসরে যাবেন। ভাগ্য ভাল হলে হয়তবা অবসরে যাওয়ার আগে গ্রেড-৩ অধ্যাপক হতে পারবেন, তবে গ্রেড-১ অধ্যাপকে যাওয়ার সুযোগ একেবারেই ক্ষীণ হবে। দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী হয়ে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি দেশের সর্বোচ্চ গ্রেডটিতে যাওয়ার সুযোগ না পান তাহলে কেন মেধাবীরা এ পেশায় আসবে? আবার শূন্য পদ থাকা অবস্থায় আপগ্রেডেশন করা না গেলে বৈষম্যের শিকার হতে হবে। উদাহারণ স্বরূপ, দুই বন্ধু একই সময়ে একই বিভাগে একই পদে যোগদান করল, আপগ্রেডেশনের সুবিধা না থাকায় এবং পরবর্তী পদের জন্য মাত্র একটি পদ শূন্য থাকায় দু’জনের একজন পদোন্নতি পাবে অন্যজন যোগ্যতা থাকা সত্যেও বঞ্চিত হবে।

চার. শিক্ষা ছুটির ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে ডিগ্রী অর্জনের লক্ষ্যে পূর্ণ বেতনে/স্ব-বেতনে একজন শিক্ষক মাষ্টার্স ও পিএইডি করার জন্য মোট পাঁচ বছর ছুটি পাবে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে গবেষণাসহ মাষ্টার্স করতে সাধারণত দেড় থেকে দু’বছর এবং পিএইচডি করতে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগে। মোট পাঁচ বছরের অতিরিক্ত শিক্ষাকাল সক্রিয় চাকুরীকাল হিসেবে গন্য না হলে উন্নত বিশ্বে মাষ্টার্স ও পিএইডডি করতে শিক্ষকরা অনুৎসাহিত হবেন যা শিক্ষক ও শিক্ষার মনোন্নয়নে নেতিবাচব প্রভাব ফেলবে।

পাঁচ. একজন শিক্ষক পোষ্টডক্টরাল ফেলোশিপের জন্য মাত্র ২ বছর সক্রিয় শিক্ষাকাল হিসেবে ছুটি পাবেন। মূলত পিএইচডি’র পর যে কোন গবেষণামূলক কাজের ছুটি পোষ্টডক্টরাল ছুটির মধ্যে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে একজন শিক্ষককে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের প্রয়োজন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ চেষ্টায় ও যোগ্যতায় কঠিন প্রতিযোগীতায় মাধ্যমে এসব ফেলোশিপ অর্জন করে জ্ঞান বিজ্ঞানে নিজেকে সমৃদ্ধ করছেন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। যেখানে চীন, ভারত, পাকিস্থানের মত দেশগুলো নিজ দেশের শিক্ষকদের প্রযুক্তি ও জ্ঞান আহরণে সরকারীভাবে বিদেশে পাঠাচ্ছে সেখানে আমাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চিন্তা করা হচ্ছে। একজন শিক্ষককে ছুটি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, সেটি দেশের ভিতরে হোক বা বাহিরে হোক। কিন্তু তা সক্রিয় শিক্ষাকাল হিসেবে কেন বিবেচনা করা হবে না তা আমার বোধগম্য নয়।

ছয়. তিন পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা, তারপর ডেমোস্ট্রেশন ক্লাস ও পরে মৌখিক পরীক্ষা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রকাশনা ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হয়। কারণ শিক্ষক নিয়োগ অন্যান্য নিয়োগের মত নয়। এখানে প্রার্থীর সংখ্যা সাধারণত কম থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে একটি পদের জন্য মাত্র চার-পাঁচজনকে আবেদন করতে দেখা যায়। অল্পসংখ্যক প্রার্থীর মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ প্রার্থী বাছাই কঠিন কিছু নয়। এজন্য লিখিত পরীক্ষার কোন প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নৈতিকতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

সাত. প্রমোশনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে মানসম্মত প্রকাশনা ও ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালের কথা বলা হয়েছে। এটি অবশ্যই প্রশংসনীয়, তবে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে প্রকাশনা করতে হলে মানসম্মত গবেষনাগার ও গবেষণা প্রয়োজন। আর মানসম্মত গবেষণার জন্য চাই পর্যাপ্ত গবেষণা অনুদান বা প্রকল্প। বর্তমান সরকার গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ালেও তা এখনও পর্যাপ্ত নয়। গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত ফান্ড নিশ্চিত করা না গেলে মানসম্মত প্রকাশনা সম্ভব হবে না।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের প্রমোশন দ্রুত হয়ে থাকে এটি সত্য তবে তা নতুন কোন পরিবর্তনে নয় বা যোগ্যতা শিথিল করে নয়। বিদ্যমান যোগ্যতায় প্রমোশন হয়ে থাকে অর্থ্যাৎ এইসব ক্যাইটেরিয়া নতুন কোন ক্যাইটেরিয়া নয় এগুলো আগে থেকেই বিদ্যমান। তবে আগের দিনগুলোতে প্রশাসনিক জঠিলতা ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান বা কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে প্রমোশনে বেশ সময় লেগে যেত। সময়ের আবর্তে এসব জঠিলতা নিরসন হওয়ায় বর্তমানে সঠিক সময়ে প্রমাশন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রমোশন দ্রূত হওয়ায় কিছু বাড়তি টাকার বেতন ছাড়া তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় না। একজন শিক্ষকের ১০-১২ বছরে অধ্যাপক হওয়াটা যেমন কাম্য নয় তেমনি প্রস্তাবিত নীতিমালায় ২২ থেকে ২৪ বছরে অধ্যাপক হতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয় যদি একজন অধ্যাপককে অধ্যাপকের মত মূল্যায়ন করা হয় এবং প্রাপ্ত গ্রেড অনুযায়ী সবোর্চ্চ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বাসে, অটোতে ঝুলে অফিসে আসবে, পেটে ক্ষুধা নিয়ে গবেষণা করবে তাতে ভাল কিছু আশা করা কতটুকু বাঞ্চনীয় তা আমাদের ভাবতে হবে।

গৃহ নির্মান ঋণ, বিনা সুদে গাড়ি ঋণ, মাসিক গাড়ি ভাতা, তিন-চার বছরে গ্রেড ৩ থেকে ১ প্রাপ্তি, মূল বেতনের ২৫% জিপিএফ তহবিল, মাসিক পাচক ভাতা, মাসিক দারোয়ান ভাতা, সুপারনিউমারারি নামের আপগ্রেডেশন সুবিধা, গ্রেড ৬ এ উঠতে শুধু একবার পদোন্নতির যোগ্যতা, সুপার গ্রেড ১ ও ২, গ্রেড ৫ থেকে ওয়ারেন্ট ও প্রেসিডেন্ট, অফিসিয়াল পাসপোর্ট, সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমন ও উচ্চশিক্ষা, এনরয়েড মোবাইল ও বিনা খরচে আনলিমিটেড ফোন ব্যবহার এগুলোর কোনটিও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা ভোগ করেন না। যেখানে বিদ্যমান গ্রেড অনুযায়ী শিক্ষকরা সরকারের এসব সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেখানে নতুন করে কঠোর নীতিমালা শিক্ষক ও শিক্ষাক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ক্লাসের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ছাত্র-ছাত্রীটি এখনও শিক্ষক হতে চায়। অনেকে দেশের বাহিরে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশে ফিরতে চায়। তাদের এ পেশায় রাখতে হবে, সুযোগ দিতে হবে তানা হলে শিক্ষার মনোন্নয়ন হবে না। শিক্ষকতা একটি সম্পূর্ণ আলাদা পেশা, এটিকে অন্য পেশার সাথে তুলনা করলে চলবে না। এখানে মেধাবীরদের কোন বিকল্প নেই।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করা। শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দিয়ে এখাতে বাজেট বৃদ্ধি করা। শিক্ষক ও গবেষকদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা একান্তই জরুরী হয়ে পড়েছে। এছাড়া সরকার দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিয়ে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজে লাগাতে পারে। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালগুলোতে বাজেট বরাদ্দ দিয়ে টার্গেট ঠিক করে দিতে হবে এবং সেভাবে তা অর্জন করাতে হবে।

প্রতিটি শিক্ষা বিভাগে অধ্যাপকের সংখ্যা কমাতে হবে। মানদন্ড ঠিক করে তিন ক্যাটাগরির অধ্যাপক (গ্রেড ৩ থেকে ১) রাখা যেতে পারে সেখানে বৈচিত্র্য থাকবে। প্রথম গ্রেডের অধ্যাপকের জন্য একজন ব্যাক্তিগত সেক্রেটারি, পরিবহন পুলের সার্বক্ষণিক গাড়ি সেই সাথে গ্রেড অনুযায়ী সরকারের অন্যান্য সুযোগসুবিধা দেওয়ার বিধান রাখতে হবে। সম্প্রসারণ কাজের জন্য প্রতিটি শিক্ষা বিভাগে একটি করে মাইক্রোবাস থাকা দরকার। গবেষণা কাজে শুধু মূল বেতনের সমপরিমান টাকা দিয়ে বা বিনা ইনসেনটিভে গবেষণা করালে হবে না, গবেষকদের জন্য সামজ্ঞস্যপূর্ণ বা আকর্ষণীয় ইনসেনটিভ থাকতে হবে। চীনে গবেষকরা গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে প্রদত্ত গ্র্রান্টের ৫০% পর্যন্ত ইনসেনটিভ পেয়ে থাকেন। পিএইচডি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ কোনভাবেই কাম্য নয়। এতে যেমন বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হবে তেমনি ছুটি উপভোগের বিষয়টিও কমে আসবে।

আমাদের অবশ্যই গুনগত মান, গ্রাজুটদের কর্মসংস্থান ও দেশের চাহিদা বিবেচনায় রেখে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ খুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকারের থিংক ট্যাংকের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ইউজিসিকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, সক্ষমতা অর্জন করতে হবে তাহলে হয়তবা বিশ্ববিদ্যায়গুলোর মানোন্নয়নে ফলপ্রসু নজরদারি ও কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে পারবে।

______________________________
লেখক:
ফুলব্রাইট ভিজিটিং ফেলো, টাফটস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা

অধ্যাপক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ- ২২০২।

17
স্ত্রীকে খুশি রাখতে কাজের ভুল ধরে শিশু গৃহকর্মী আল-আমিনকে উঁচু করে মাথায় তুলে আছাড় মারা হতো। অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত লাঠি দিয়ে পেটানো হতো। এরপর টয়লেটের ভিতর ফেলে দরজা বন্ধ করে রাখা হতো। জ্ঞান ফিরলে জুটত পচা খাবার। টানা ছয় মাস ধরে গৃহকর্মী আল আমিনের (১২) ওপর মধ্যযুগীয় এমন বর্বরতা চালিয়ে গৃহকর্ত্রী ও গৃহকর্তা পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। এ রকম নির্যাতন করেও সাধ মেটেনি তাদের। পরে ঘাড় মটকে আল-আমিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আদাবর থানায় গৃহকর্তা শেখ জোবায়ের আলম ও গৃহকর্ত্রী সাইয়েদা রহমান তমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও অভিযোগপত্রে উঠে আসে এসব তথ্য। গতকাল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারাগার থেকে আসামি আদালতে হাজির না করায় ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল আমিন বিপ্লব আগামী ২৪ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান মনি আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, স্ত্রীকে খুশি রাখতে গৃহকর্তা আসামি শেখ জোবায়ের আলমও ভিকটিম আল-আমিনকে মারধর করতেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন অনাহারে, অনিদ্রায়, অসুস্থ হয়ে ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় আসামিরা নির্মমভাবে মারধর করে আল-আমিনকে মেরে ফেলেন। বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি সাইয়েদা রহমান তমা বলেন, ‘ঘটনার পাঁচ মাস আগে রাজধানীর আদাবরের শেখের টেকের ৪ নম্বর রোড, ২৩/২৫ নম্বর বাসায় আমার স্বামী আল-আমিন নামের একটি ছেলেকে গৃহস্থালির কাজের জন্য নিয়ে আসে। আল-আমিন সঠিকভাবে কাজ না করায় তাকে আমি মাঝেমধ্যে স্টিলের স্কেল ও লাঠি দিয়ে মারধর করতাম। এ ছাড়া তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য রাতে বাথরুমে রেখে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে দিতাম। আমাদের ফ্ল্যাটে দুটো বাথরুমের একটিতে ওকে আটকে রাখতাম এবং অন্যটি আমরা সবাই ব্যবহার করতাম। ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আল-আমিনকে রান্নাঘরে কাজ করার নির্দেশ দিলে সে সঠিকভাবে কাজ না করায় আমি তাকে মারধর করি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে বাচ্চার ফিডার পরিষ্কার করতে গিয়ে ফেলে দেয়। তখন আমি আবারও তাকে মারধর করি। আমার স্বামী এগিয়ে এসে আল-আমিনকে উঁচুতে তুলে মেঝেতে আছাড় মারে। আল-আমিন গিয়ে ময়লার ঝুড়ির ওপর পড়ে। মারধরের ফলে আল-আমিনের আগের জখমে আঘাত লেগে রক্ত ঝরতে থাকে। তার শরীরের রক্ত ও ময়লা ধোয়ার জন্য আমার স্বামী তাকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে শাওয়ার ছেড়ে রক্ত ও ময়লা পরিষ্কার করে। পরে বাথরুমের সামনে ভাত দিয়ে আল-আমিনকে খেতে বলে। আল-আমিন ভেজা প্যান্ট পরা অবস্থায় বাথরুমের মেঝেতে শোয়া থেকে বারবার উঠে বসার চেষ্টা করলেও পড়ে যাচ্ছিল। রাত দেড়টার দিকে আমার ছোট ভাই আল-আমিনের বাথরুম থেকে শব্দ শুনতে পেয়ে আমাকে বলে। আমি তখন বাথরুমের সামনে যাই। গিয়ে দেখি আল-আমিন শুয়ে কাতরাচ্ছে। আমি মনে করি সে ইচ্ছা করে এমন অভিনয় করছে। এই ভেবে আমার রাগ উঠলে আমি তার ঘাড়ে লাথি মেরে বাথরুমের ভিতরে ঠেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিই। কিছুক্ষণ পরে আল-আমিনকে আমার স্বামী বাথরুম থেকে বের করতে চাইলে আমি তাকে রাগান্বিত হয়ে নিষেধ করি। এরপর আমি শুয়ে পড়ি। সকালে আমার স্বামী আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানায়, আল-আমিন অজ্ঞান অবস্থায় বাথরুমে পড়ে আছে। আমার স্বামী তখন আল-আমিনকে বাথরুম থেকে রান্নাঘরের সামনে নিয়ে এসে ভেজা কাপড় পরিবর্তন করে এবং হাত-পায়ে তেল মালিশ করে। পরে বাসার পাশের ফার্মেসি থেকে একজন লোক নিয়ে আসে। তিনি জানান, আল-আমিন মারা গেছে।’ সূত্রে জানা গেছে, আল-আমিন মারা যাওয়ার পর মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে আসামিরা জানান, আল আমিন গুরুতর অসুস্থ। পরে চাচা হারুন ও অন্য স্বজনরা এসে আল-আমিনের লাশ দেখতে পান। সে সময় গৃহকর্তা জোবায়ের আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে আদালতে দাখিল করা ছবিতে আল-আমিনের শরীরের সর্বত্র ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ছবি দেখে মনে হয়েছে, একটি কঙ্কালের ওপর চামড়া লাগিয়ে রাখা হয়েছে।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, এ মামলার বাদী নিহত আল-আমিনের চাচা হারুন-অর-রশীদ চলতি বছর ২৭ মে আদালতে হলফনামা দিয়ে বলেছেন, ‘আমার ভাতিজা আল-আমিন আসামিদের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার শ্বাসকষ্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা ছিল। পরে মারা যায় বলে আমি জানতে পারি। পরে স্থানীয় লোকজনের কথায় শেখ জোবায়ের আলম, সাইয়েদা রহমান তমা, আনজু আরা পারভীন ও শাকিল আহম্মেদের বিরুদ্ধে মামলা করি। তাদের আসামি করায় আমি খুবই মর্মাহত ও দুঃখিত হয়েছি। তাই এই আসামিরা অভিযোগের দায় হইতে অব্যাহতি ও জামিনে মুক্তি পাইলে আমার ওজর-আপত্তি নাই।’

রকাশ : মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, Bangdesh potidin.

18
MBA Discussion Forum / Variance Analysis
« on: September 25, 2018, 09:44:20 AM »
Variance Analysis
The deviation of the standard cost or profit or sales from the actual cost or profit or sales is called Variance. Variances may be favorable and Unfavorable depending on whether the actual cost is less or more than the standard cost.
Favorable Variance:
When the actual cost is less than the standard cost or Actual profit / Sales is more than the standard profit / Sales is called Favorable Variance.


Unfavorable Variance:
When the actual cost is more than the standard cost or Actual profit / Sales is less than the standard profit / Sales is called Unfavorable Variance.
   According to Accounting Language, unfavorable or Adverse variance means debit variance and favorable or positive Variance means credit Variance.
Controllable Variance
A Variance is said to be controllable if it can be identified as the primary responsibility of a specific person or department. For example-excess sage of materials, excess time taken by a worker.
Uncontrollable Variance
A Variance is said to be uncontrollable if the factors beyond the control of concern person or department. For example- wage rate increased on account of strike, Government restrictions.

19
Financial Accounting / Investing Activities of Cash Flow Statement
« on: September 17, 2018, 03:21:00 PM »
Investing Activities:
   Investing activities generally include those transactions and events that affect long-term assets, namely, purchase and sale of both fixed assets and business interests. Clearly, sales transactions would generate cash inflows and purchase transactions would generate cash outflows. Generally speaking, transactions that involve acquiring or disposing of non-current assets are classified as investing activities. These transactions include acquiring or selling property, plant and equipment; acquiring or selling securities held for long-term investment, such as bond and stocks of other companies and lending money to another entity and the subsequent collection of the loan.
   Changes in non-current assets those are not included in net income.
Cash inflows:
   From collecting principal on loans
   From selling long-term productive assets
   From selling available for sale securities
   From selling (discounting) of notes
   From selling held to maturity securities
Cash Outflows:
   To purchase long term productive assets
   To purchase available for sale securities
   To make loans to others
   To purchase held to maturity securities

20
Financial Accounting / Financing Activities of Cash Flow Statement
« on: September 17, 2018, 03:18:34 PM »
Financing Activities:
   Financing activities include those transactions and events that affect long-term liabilities and equity. Examples are (i) obtaining cash from issuing debt and repaying the amounts borrowed and (ii) receiving cash from or distributing cash to owners. Incurring or repaying either short-term or long-term debt would result in a corresponding cash inflow or outflow. As a general rule, borrowing from creditors or repaying creditors as well as transactions with the company’s owners are classified as financing activities. For example- when a company borrows money by issuing a bond, the transaction is classified as financing activities.
   Changes in the current liabilities that are debts to lenders rather than obligations to suppliers, employees, or the government.
   Changes in non-current liabilities those are not included in net income.
   Changes in capital stock accounts
   Dividends.
Cash Inflows:
   From contributions by owners
   From issuing bonds and notes
   From issuing short and long-term debt
   From issuing its own equity stock
Cash Outflows:
   To pay cash dividends to shareholders
   To purchase treasury stock
   To repay cash loans
   To pay withdrawals by owners

21
Managerial Accounting / Canteen Costing
« on: September 17, 2018, 03:09:11 PM »
There are many undertakings which provide facilities of cheap canteen to their workers. The expenditures incurred for servicing meals of different varieties may be grouped under various heads like provisions, labor, services, consumable stores and miscellaneous items. A cost statement may also provide information about the subsidy received, if any from any agency and the revenue from sales etc. so as to show the net operating profit or loss.

22
Managerial Accounting / Hospital Costing
« on: September 17, 2018, 03:08:33 PM »
The main purpose of hospital costing is to ascertain the cost of providing medical services. A hospital is usually divided into a number of departments on the basis of functions performed. However, the main function of hospitals is to render medical services. Each department has a separate cost unit. The miscellaneous service departments such as, transport, dispensary, cleaning, administrations etc. are to be apportioned to the other departments on equitable basis.

23
Financial Accounting / Corporate governance
« on: September 09, 2018, 01:24:02 PM »
Corporate governance is the system of rules, practices and processes by which a company is directed and controlled. Corporate governance essentially involves balancing the interests of a company's many stakeholders, such as shareholders, management, customers, suppliers, financiers, government and the community.

24
Elements of a product costs / Manufacturing costs:   
The cost elements of a product are direct materials, direct labor and factory overhead.
(a) Materials
Materials are the principal substances used in production that are transformed into finished goods by the addition of direct labor and factory overhead. Material costs may be divided into direct and indirect materials as follows:
(i) Direct materials
Direct materials are those materials, which can be identified with the production of a finished product, which can be easily traced to the product. For example-cloth in dress making, bricks in building a house.
 (ii) Indirect materials
Indirect materials are those, which are not directly related to the production or manufacture.

(b)Labor
Labor is the physical or mental effort expended in the production of a product.
(i)Direct labor
Direct labors are reserved for those labor costs that can be physically and conveniently traced to individual units of product. For example-cost of machine operators
(ii)Indirect labor
Indirect labors are those labor costs that can not be physically and conveniently traced to individual units of product. For example-night security guards

(c)Factory Overhead
Factory overhead includes all costs of manufacturing except direct materials and direct labors. Such as indirect material, indirect labor, heat & light, property tax, depreciation.

25
Managerial Accounting / Cost and expense
« on: July 14, 2018, 06:11:15 PM »
 
Cost: Cost is the total value of the sacrifice mode to acquire goods or services.
Expense: Expense is the value of the sacrifice mode for usesing goods or services, measured in monetary units by the reduction of asset.
Example- purchases a furniture Tk.20,000 for 10 years. Here, cost is Tk.20,000 total value of furniture and per year depreciation is expense Tk.2000.   

26
Financial Accounting / Accounting as a language of Business
« on: July 14, 2018, 06:08:27 PM »
Language is a media of communication process of transmitting information from one person to another person, one person to another business, one business to another person that may take several different forms-Oral, written or nonverbal.
   Accounting is an information system of identifying, recording and communicating the economic events of a business organization to interested users.
   So easily we can say that accounting as a language of Business.

27
Business Administration / Stakeholder theory
« on: April 22, 2018, 09:40:54 AM »
Stakeholder theory is that an organization can enhance the interest of its stockholders without damaging the interests of its wider stakeholders. Two types of stakeholders (a) internal Stakeholders: such as owners, manager employees, customers and (b)external Stakeholders such as supplies, customers, shareholders, creditors, government, society.

28
Business Administration / The legitimacy theory
« on: April 22, 2018, 09:40:21 AM »
The legitimacy theory is based on the notion of a social contract that exists between the organization and society. Companies operate under the rules and limits of the societies in which they operate. Thus, the companies will have to be sure that its activities are in agreement, or are perceived as being in agreement, with the norms and values of the society, to prevent the disruption of the contract.

29
Business Administration / Signaling theory
« on: April 22, 2018, 09:39:19 AM »
Signaling theory transmits signals to the market about the performance of company. If the good performance of the company, Signaling theory provides good signal to the market. On the other hand, if the bad performance of the company, Signaling theory provides bad signal to the market.

30
Business Administration / An agency theory
« on: April 22, 2018, 09:35:15 AM »
An agency theory is relationship as “a contract under which one or more persons (the principals) engage another person (the agent) to perform some service on their behalf which involves delegating some decision making authority to the agent”.

Pages: 1 [2] 3 4