Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Pain => Topic started by: taslima on March 27, 2017, 10:42:49 AM

Title: সাইনোসাইটিস
Post by: taslima on March 27, 2017, 10:42:49 AM
সাইনুসাইটিস অতি পরিচিত একটা সমস্যা। মুখমণ্ডল তথা মাথার খুলির চারিদিকে চার জোড়া বায়ুভর্তি কুঠুরি থাকে। এসব কুঠুরিগুলোকেই বলা হয় সাইনাস। এগুলোতে প্রদাহ হলে তখন তাকে বলা হয় সাইনুসাইটিস।

সাইনুসাইটিস ২ ধরনের হয়ে থাকে –
১. একিউট বা তীব্র
২. ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি
সাধারণত ঠাণ্ডা ও ভেজা পরিবেশ, ধোঁয়া, ধূলোবালি ইত্যাদি পরিবেশ সাইনুসাইটিস হওয়ার জন্যে উপযুক্ত পরিবেশ বলে বিবেচিত।

কারণ কী?
১. নাকের ইনফেকশন।
২. সাঁতার : দূষিত পানি কিংবা উচ্চমাত্রার ক্লোরিনযুক্ত পানিতে গোসল করলে সাইনুসাইটিস হবার সম্ভাবনা থাকে।
৩. আঘাত : যেকোনো আঘাতের কারণে সাইনাস ছিদ্র হয়ে উন্মুক্ত হলে ইনফেকশন হতে পারে।
৪. দাঁতের ইনফেকশন।
৫. নাকের প্যাক।
৬. নাকের বাঁকা হাড়।
৭. নাকের মাংস ফুলে বড় হয়ে যাওয়া (হাইপারট্রফিড ইনফেরিয়র টার্বিনেট)।
৮. নাকের পলিপ।
৯. সিস্টিক ফাইব্রোসিস।
১০. বড় এডিনয়েড।
১১. জন্মগতভাবে নাকের পেছনের ছিদ্রটি বন্ধ থাকা ইত্যাদি।

কী কী উপসর্গ নিয়ে আসেন রোগীরা?
১. মাথাব্যথা : সাধারণত মাথাব্যথা হচ্ছে এই রোগের উপসর্গ। এ ব্যথা চোখের নিচে এবং কপালে থাকে। এছাড়া মুখমণ্ডল ও মাথার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যথা হতে পারে। কোন সাইনাসে ইনফেকশন হয়েছে সে অনুযায়ী এই ব্যথার অঞ্চল পরিবর্তিত হয়। এ ব্যথা নাকের গোড়ায়, উপরের চোয়ালের ওপরে, চোখের নিচে, কপালে ও মাথার নিচে যেকোনো স্থানে হতে পারে।
২. ফুলে যেতে পারে চোখের নিচের কিংবা উপরের অংশের পাতা।
৩. চিবুক কিছুটা লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে।
৪. নাকের ভেতরের পুঁজ একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যাবে। নাকের ভেতরের মাংসগুলো ফোলা থাকতে পারে। নাকের হাড় বাঁকা থাকতে পারে। নাকের পেছনে নাসাগলবিল অঞ্চলে অর্থাৎ আলজিভের পেছন থেকে আঠালো ঘন পুঁজ বেয়ে নেমে যাচ্ছে–এমনটি দেখা যায়।
৫. শারীরিক উপসর্গের মধ্যে আছে
– গা ম্যাজম্যাজেভাব
– জ্বর
– শরীর ব্যথা ইত্যাদি।

রোগ নির্ণয় করা হয় কীভাবে?
মাথার সাধারণ একটি এক্সরে করেই এ রোগ নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসা কী?
– যথাযথ এন্টিবায়োটিক।
– নাকে বিশেষ ধরনের ড্রপ।
– এন্টিহিস্টামিন।
– ব্যথানাশক ওষুধ

হঠাৎ তীব্র কিংবা ক্রনিক বা বারবার হওয়া সাইনুসাইটিস যেটাই হোক না কেন প্রথমে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। ওষুধে না সারলে অপারেশন করতে হয়।  সবদিক বিবেচনায় কার্যকর ও রোগীর কম ভোগান্তির জন্যে ফাংশনাল এণ্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের জটিলতা।

ডক্টরোলা ব্লাড ডোনার ডাটাবেজ রেজিস্ট্রেশন লিঙ্কঃ https://goo.gl/qe9pSi

ডক্টোরোলা ডট কম (www.doctorola.com) প্রচারিত সকল তথ্য সমসাময়িক বিজ্ঞানসম্মত উৎস থেকে সংগৃহিত এবং এসকল তথ্য কোন অবস্থাতেই সরাসরি রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রকাশিত নয়। জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি ডক্টোরোলা ডট কমের (www.doctorola.com) লক্ষ্য।

দেশজুড়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের খোঁজ পেতে ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে ভিজিট করুন www.doctorola.com অথবা কল করুন 16484 নম্বরে।

- See more at: http://blog.doctorola.com/archives/3909#sthash.uOMXtjH7.dpuf