Daffodil International University

Health Tips => Food => Topic started by: Md. Zakaria Khan on February 15, 2018, 03:04:10 PM

Title: লাল শাকের যত পুষ্টিগুন ও উপকারিতা
Post by: Md. Zakaria Khan on February 15, 2018, 03:04:10 PM
লাল শাকের যত পুষ্টিগুন ও উপকারিতা

গবেষণায় দেখা গেছে লাল শাকের শরীরে এমন কিছু উপকারি উপদান রয়েছে, যা ৩০ বছর বয়স এর পর থেকে শরীরের ভাঙন আটকানোর পাশাপাশি একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এমনকি সাপের বিষের তেজও কমায় এই শাক! তাই তো প্রতিদিন যদি এই শাকটি খাওয়া যায়, তাহলে আয়ু তো বাড়েই, সেই সঙ্গে সুস্থ জীবনের পথ অনেকাংশেই প্রশস্ত হয়। লাল শাক খেলে সাধারণত যে উপকারগুলো পাওয়া যায় তা দেখে নিন এক নজরে...

১. হজম শক্তি বাড়ে
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্ট যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজমের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও হ্রাস পায়।

২. কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটে
একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত লাল শাক খেলে একদিকে যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে, তেমনি অন্যদিকে রক্তে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে।

৩. অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় কাজে লাগে
“লাল শাক খেলে রক্ত বাড়ে শরীরে”- এই কথাটা নিশ্চয় আপনিও ছোট বেলায় শুনেছেন? হ্যাঁ শুনেছি তো! কিন্তু পাতা থেকে কীভাবে রক্ত তৈরি হয়, তা যদিও আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি! আসলে পাতা থেকে রক্ত তৈরি হয় না।

বরং লাল শাকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো অ্যানিমিয়া রোগীদের এই শাকটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, ২ আঁটি লাল শাককে পিষে রস সংগ্রহ করে তার সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে শরীরে কখনও রক্তের অভাব হবে না।

৪. দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
লাল শাকের মূল দিয়ে দাঁত মাজার পর লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের হলুদ ভাব কেটে যায়। সেই সঙ্গে পোকা লাগা সহ মাড়ি এবং দাঁত সম্পর্কিত নানাধিক রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

৫. চুল পড়া কমে
এক আঁটি লাল শাক ভাল করে বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর তাতে ১ চামচ লবণ মিশিয়ে ভাল করে নাড়ান। যখন দেখবেন দুটি উপাদান ঠিক মতো মিশে গেছে, তখন মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এমনটা প্রতিদিন করলে চুল পড়ার হার অনেক কমবে।

৬. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
লাল শাকে উপস্থিত ভিটামিন সি রেটিনার ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা চোখে কম দেখেন বা পরিবারে গ্লুকোমার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই লাল শাক খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই উপকার পাবেন।

৭. সাপের বিষের তেজ কমায়
এই বিষয়টি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে ঠিকই, তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর দেখা গেছে সাপ বা কোনও সরিসৃপ কামড়ানোর পর যদি ক্ষতস্থানে লাল শাক বেঁটে লাগানো যায়, তাহলে বিষের প্রভাব অনেকটাই কমে। সেই সঙ্গে একাধিক অঙ্গের উপর বিষের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৮. ক্যান্সারকে দূরে রাখে
লাল শাকে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি শরীরে উপস্থিত একাধিক টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যান্সার কোষ যাতে জন্ম নিতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগ পায় না।

৯. জ্বরের প্রকোপ কমায়
ওয়েদার চেঞ্জের কারণে যারা জ্বরে ভুগছেন, তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একটা পাত্রে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তাতে এক মুঠো লাল শাক ফেলে দিন। তারপর পানিটা ফোটাতে শুরু করুন। যখন দেখবেন ফুটতে ফুটতে পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে দিন। এরপর পানিটা ঠাণ্ডা করে সেটা পান করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন জ্বর দে ছুট লাগিয়েছে।

(সংগৃহিত)