Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Life Style => Topic started by: afrin.ns on February 16, 2018, 12:37:08 PM

Title: একটি সিগারেটও শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে
Post by: afrin.ns on February 16, 2018, 12:37:08 PM
কেউ অজুহাত দেন, দিনে চারটি খেলে ক্ষতি হয় না। কেউ বলেন, সকালে আর রাতে ২টা মাস্ট। ওটা না হলে চলবে না। কারও দিনে হিসেব পর্যন্ত থাকে না। যদিও সিগারেটের প্যাকেটে বড় বড় হরফে লেখা এবং ছবি দেওয়া থাকে, ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’। অজুহাত যাই হোক, মাত্র একটা সিগারেটও আপনার যে অপূরণীয় ক্ষতি করছে তা জানলে আপনি না হোন, আপনার প্রিয় জনেরা অবিলম্বে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শই দেবেন।

হাঁপানি: প্রথম টান থেকে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ফুসফুসের। যারা বংশানুক্রমিকভাবে হাঁপানির সমস্যা নেই, তাদের মধ্যে এই সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুন। ফুসফুসের মধ্যে থাকা মিউকাস দ্রুত ধোঁয়া এবং তার সঙ্গে মারাত্মক টক্সিনকে ফুসফুসে আটকে রাখতে সাহায্য করে। ফলে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। ফুসফুসে উপস্থিত সিলিয়া এই মিউকাস সরিয়ে দেয়, কিন্তু ধোঁয়া সিলিয়াকে পঙ্গু করে রাখে সারা দিনের জন্য।

হার্টের সমস্যা: প্রথম সুখটান নেওয়ার পর থেকে হার্ট তার স্বাভাবিক কাজ করতে বাধা পায়। স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত হারে বিট করতে থাকে। তার সঙ্গে নিকোটিন শরীরের লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা যাকে আমরা খারাপ ফ্যাট হিসাবে চিনি, তা ভাঙার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে এই বাজে ফ্যাট রক্তের সঙ্গে শিরা-উপশিরায় ঘুরে বেড়ায় বিনা বাধায়। এরাই পরবর্তী কালে রক্ত চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি করে।

অ্যাসিডিটির সমস্যা: সমান্যতম নিকোটিনও ভায়নক মাত্রায় অ্যাসিডিটি তৈরি করে শরীরে। নিকোটিন পাকস্থলির সুরক্ষার পরত কমিয়ে দেয়। তার সঙ্গে ধোঁয়া বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে অ্যাসিড তৈরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বাড়তি অ্যাসিড পাকস্থলির মধ্যে গিয়ে পাকস্থলির মারাত্মক ক্ষতি করে। পাকস্থলি যখন এই অতিরিক্ত অ্যাসিড বার করতে সচেষ্ট থাকে তখন ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফোলিক অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি শোষণ করতে পারে না। এটা আপনাকে দ্রুত দুর্বল করতে যথেষ্ট থাকে।

নাক বন্ধ করে, কানে চাপ তৈরি করে: সাইনাসের আশপাশে সুরক্ষাকবচ হিসাবে খুব সুক্ষ রোম থাকে। যাতে ধুলোবালি সহজে প্রবেশ না করতে পারে। ধোঁয়া তাৎক্ষণিক সেই রোমগুলিকে পঙ্গু করে দেয়। এটাই মিউকাস তৈরি করতে সাহায্য করে, যা সাইনাসে জমা হয়ে যন্ত্রাণা শুরু হয়। এতে ইনফেকশনের সম্ভাবনাও অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। এর সঙ্গে ঘ্রাণশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার সঙ্গে কানেও চাপ তৈরি করে।

মস্তিষ্কের ক্ষতি: বেশিরভাগ ধূমপায়ী একটা কথা বলে থাকেন, ধূমপানের পর তারা খানিকটা চিন্তামুক্ত হন, বা খানিকটা রিল্যাক্সড হন। কিন্তু গবেষণা বলছে, হয় ঠিক এর উল্টোটা। নিকোটিন মস্কিষ্কে খুব দ্রুত আঘাত করে এবং সেই অংশকে প্রভাবিত করে যা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সাহায্য করে এবং পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে। আপনি বুঝতেও পারেন না, কয়েক সেকেন্ডের জন্য আপনার মস্তিষ্ক কাজই করে না।