Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Lazminur Alam

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 18
31
o গণতন্ত্র শব্দটির উত্পত্তি গ্রিসে, যার অর্থ জনগণের শক্তি

o গণতন্ত্র পদ্ধতির প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া যায় এথেন্সে

o ভোট প্রদান ও নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম উপাদান

o আধুনিক পৃথিবীর অধিকাংশ সরকারই পরিচালিত হয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে

 

32
Articles and Write up / Think Positive
« on: January 18, 2017, 03:38:47 PM »
আলো ঝলমলে সুখের দিনে মনের কোণে জমে থাকা মেঘলা আকাশ ছায়া ফেলতে পারে চলার পথে। জীবনের এই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলতে প্রয়োজন পজিটিভ বা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। -

অফিসে ঠিক ১০টায় জরুরি মিটিং। সকালে উঠে এক মিনিটও ফুরসত নেই কাশফার। কিন্তু দেখা গেল কাজের বুয়া আজকের দিনটাই বেছে নিয়েছে না আসার জন্য। স্বামী সাইদও বাড়ি নেই। সে থাকলে অন্তত কিছু সাহায্য করতে পারত। কিন্তু অফিস ট্যুরে সেও এক সপ্তাহ হলো বাইরে। না, সর্বনাশের এখানেই শেষ নয়। ৫ বছরের মেয়ে ফাইজার কাল রাত থেকেই জ্বর। শেষ পর্যন্ত গৃহস্থালি কাজ, রান্না-বান্না এবং অসুস্থ মেয়ের দেখাশোনা করে কাশফা যখন বাড়ির বাইরে পা রাখল তখন ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ৯টা পেরিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে। অতএব ছুট, ছুট, ছুট। পরিস্থিতিটা কি খানিকটা চেনা চেনা লাগছে? এক এক সময় সবারই মনে হয়, বোধ হয় ডেডলাইন মেনটেইন করাই আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। আর এই ইঁদুর দৌড়ে পিছিয়ে পড়লেই আঁকড়ে ধরে ডিপ্রিশন আর হেরে যাওয়ার যন্ত্রণা। তাহলে কি এই স্ট্রেস থেকে নিস্তার পাওয়ার কোনো রাস্তা নেই? অবশ্যই আছে। স্ট্রেস, টেনশন, অ্যাংজাইটি মোকাবিলা করার একটাই অস্ত্র হলো পজিটিভ আউটলুক বা জীবনের প্রতি একটা পূর্ণাঙ্গ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।

পজিটিভ বা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি

আমরা মনে যা ভাবছি তার ওপর নির্ভর করে আমাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ এমন কি বিভিন্ন বিষয়ে নেওয়া বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও। ধরা যাক কারও ব্যবহারে আপনি খুব অপমানিতবোধ করেছেন। সারা দিন সেই অপমানবোধটাই আপনার মধ্যে জাগিয়ে তুলছে রাগ, বিদ্বেষ, সন্দেহের মতো নানা খারাপ অনুভূতি। দিনের শেষে হয়তো দেখা গেল অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এবং নিজেকে আরও সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। ঠিক এ সময়ই কাজ দেবে পজিটিভ থিঙ্কিং। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ, প্রতিকূলতার মধ্যে এই পজিটিভ আউটলুকই ফিরিয়ে আনতে পারে আশা, আনন্দ এবং স্বস্তি। এতেই পেতে পারেন সফলতার চাবিকাঠি।

কি করে হবেন পজিটিভ থিঙ্কার—

নিজের চিন্তাভাবনার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনুন। কোনো মন্তব্য বা ঘটনা আপনার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার আগেই সেটা মনে মনে একবার কাটাছেঁড়া করে নিন। ঠিক যে কথা বা ঘটনা আপনার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে সেটাকে যুক্তি দিয়ে সাজিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আপনার কোনো দোষ থেকে থাকে তাহলে সেটাকে একটা লার্নিং হিসেবে নিন যাতে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। যদি আপনার আদৌ কোনো ভুল না হয়ে থাকে, তাহলে অন্তত নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার আছেন জেনে নিশ্চিন্তে থাকুন। অপরের ভুলের জন্য নিজের মনকে কলুষিত করা কোনো কাজের কথা নয়।    বন্ধু বা কলিগদের মধ্যে যারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত, তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের থেকে পরামর্শ চান। এরা আপনার কর্মক্ষমতা বাড়াবে, সাহস দেবে এবং জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। যারা নেগেটিভ টেম্পারমেন্টের মানুষ অর্থাত্ সব কিছু অহেতুক সমালোচনা করেন, অন্যের সাফল্য সন্দেহের চোখে দেখেন তাদের এড়িয়ে চলুন।

প্রতিদিন সকালে উঠে নিজেকে নিজে বলুন, ‘আমি ভালো আছি। আমি ভালো থাকব’। দৃঢ় বিশ্বাস এবং ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে বলা এই কথাগুলো আপনাকে নতুন সাহস জোগাতে সাহায্য করবে। এছাড়া ‘আমার কপালটাই খারাপ’ বা ‘আমার দ্বারা কিছু হবে না’ এ জাতীয় মন্তব্য করা বন্ধ করে দিন। বরং ‘এ কাজটা শক্ত কিন্তু আমি পারব’ এ চিন্তাটাই মনে গেঁথে নিন।   বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সেল্ফ ইমপ্রুভমেন্ট বা পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্টের বইও দৈনন্দিন জীবনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।   নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন। সাংসারিক কাজকর্মই হোক বা ক্যারিয়ার— সব ব্যাপারেই একটা খসড়া পরিকল্পনা থাকা খুবই জরুরি। প্রতিদিন না হোক সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির কাজ আর অফিসের কাজের দুটি আলাদা আলাদা চেকলিস্ট বানিয়ে নিন। এক একটা কাজ শেষ হলেই লাল পেনসিল দিয়ে কেটে দিন। সব কাজ ঠিকমতো শেষ হলে নিজেকেই ছোট্ট একটা প্রাইজ দিন। ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে। আর আত্মবিশ্বাস থেকেই পজিটিভ থিঙ্কিংয়ের জন্ম।   সারা দিনে যা করেছেন তা দিনের শেষে মনে করুন। কোন কাজটি পারেননি, সেটা নিয়ে চিন্তা না করে যেখানে সাফল্য পেয়েছেন সেটা নিয়ে ভাবুন। যে কারণে সফল হয়েছেন সেটা অন্যান্য কাজে প্রয়োগ করুন। দেখবেন নতুন কাজের উৎসাহ বাড়বে।

33
Hypertension / মাথা ঘোরে বনবন
« on: December 26, 2016, 10:55:49 AM »
মাথা ঘোরার অনুভূতি হলে কারও মনে হয়, তিনি নিজেই ঘুরছেন। আবার কারও মনে হয়, চারপাশের সবকিছু বনবন করে ঘুরছে। আমাদের অন্তঃকর্ণের ভেস্টিবুলার অংশ শরীরের সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। এই কাজের যাবতীয় তথ্য স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়। প্রতি মুহূর্তে প্রতি ভঙ্গিমায় শরীর এই ভারসাম্য রক্ষা করে চলে। এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় সামান্য গোলমালেই ভারসাম্য নষ্ট হয়। তখনই মাথা ঘোরে। এ সমস্যার সাধারণ কারণগুলো হলো:

১. উচ্চ রক্তচাপ

২. কানের সমস্যা, যেমন: বিনাইন পজিশনাল ভার্টিগো—এতে অন্তঃকর্ণের ভেতর ক্যালসিয়াম জমে; মিনিয়ার্স রোগ—অন্তঃকর্ণের অভ্যন্তরীণ তরলের চাপ পরিবর্তন হয়; প্রদাহ, যেমন: ভাইরাস সংক্রমণ, ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস ইত্যাদি।

৩. মস্তিষ্কের সমস্যা, যেমন: মাথায় আঘাত বা পেট্রাস হাড়ের ক্ষতি, জোরে ঝাঁকুনি, স্ট্রোক, টিউমার, মাইগ্রেন ইত্যাদি।

৪. ঘাড়ের সমস্যা, ঘাড়ে আঘাত, স্পনডাইলাইটিস, রক্ত চলাচলে বাধা ইত্যাদি।

৫. রক্তে লবণের তারতম্য, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

মাথা ঘুরলে কান, চোখ ও ঘাড় পরীক্ষা করতে হবে। মিনিয়ার্স রোগে কানের ভেতর শোঁ শোঁ বা দপ দপ শব্দ হয়। বিনাইন পজিশনাল ভার্টিগো হলে মাথা বা ঘাড়ের অবস্থান পাল্টালে বা কাত বদল করলে মাথা ঘোরে। রক্তচাপের পরিবর্তনের জন্য বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরতে পারে।

কী করবেন?

* রক্তচাপ মাপুন ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন

* দাঁড়ানোর সময় ধীরে ধীরে অবস্থান বদলাবেন

* হাঁটার সময় মাথা ঘুরে উঠলে বসে বিশ্রাম নিন

* ঘাড়ের রক্তনালিতে চর্বি জমে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, তাই তেল-চর্বি কম খান

* ইপলে মেনুভার নামের ব্যায়াম বেশ কার্যকর

34
Mind Power / সুখের জন্য কী লাগে?
« on: December 13, 2016, 10:00:29 AM »
আয় দ্বিগুণ হলে একজন মানুষ যতটা সুখী হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি সুখী সুন্দর মানসিক স্বাস্থ্য এবং একজন ভালো জীবনসঙ্গী থাকলে। যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের একদল গবেষক এ তথ্য দিয়েছেন।
ওই গবেষকেরা দুই লাখ মানুষের ভালো থাকার নেপথ্য কারণ জানতে চেষ্টা করে দেখতে পান, বিষণ্নতা বা উদ্বেগের মতো সমস্যাগুলো ব্যক্তিপর্যায়ে সবচেয়ে বেশি অশান্তি তৈরি করে। আর বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মাধ্যমেই সুখের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
গবেষণাটি মূলত বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক জরিপের তথ্য সংকলন। এতে দেখা যায়, প্রতি ১০ জনের ১ জনের উপার্জন দ্বিগুণ হলে তাঁদের সুখ শূন্য দশমিক ২ মাত্রারও কম বৃদ্ধি পায়। তবে একজন জীবনসঙ্গী থাকলে তাঁদের সুখ শূন্য দশমিক ৬ মাত্রায় বাড়ে। আর সঙ্গীর মৃত্যু বা বিচ্ছেদে একই মাত্রায় সুখ কমে যায়। আবার বিষণ্নতা ও দুশ্চিন্তাই মানুষের সুখের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। বেকারত্বও মানুষের অশান্তির মাত্রা প্রায় একইভাবে বাড়িয়ে দেয়। গবেষণা প্রতিবেদনটির সহ-লেখক অধ্যাপক রিচার্ড লেয়ার্ড বলেন, রাষ্ট্রকে তার নাগরিকদের সুখের জন্য নতুন ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিবর্তে ভালো থাকার সুযোগ সৃষ্টির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। তথ্যপ্রমাণ বলছে, মানুষের সুখ-দুঃখের নেপথ্যে সামাজিক সম্পর্ক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।
অধ্যাপক লেয়ার্ড আরও বলেন, অতীতে রাষ্ট্র যথাক্রমে দারিদ্র্য, বেকারত্ব, শিক্ষা ও শারীরিক স্বাস্থ্য দেখভালের বিষয়ে বেশি নজর দিত। কিন্তু এখন পারিবারিক নির্যাতন বা সহিংসতা, মাদকাসক্তি, বিষণ্নতা ও দুশ্চিন্তার মতো বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ, এগুলো তরুণসমাজকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।


35
দৈনন্দিন জীবনে শুধু সাতটি সহজ বিষয় রপ্ত করতে পারলেই ২০২০ সাল নাগাদ হৃদ্‌রোগজনিত মৃত্যু ২০ শতাংশ কমে যাবে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এ কথা বলেছে। এই লক্ষ্যে সংগঠনটি ‘সিম্পল সেভেন’ নামের প্রচার কার্যক্রমও শুরু করেছে। চলুন জেনে নিই অভ্যাসগুলো কী কী:
১. শরীরের বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলুন। উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজনের মাপকে বলা হয় বিএমআই। বিএমআই হওয়া চাই আদর্শ। স্থূলতা থেকে সাবধান।
২. ধূমপানকে না বলুন। নিকোটিন ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ রক্তনালিতে ব্যাপক ক্ষতি ঘটায়, তার পরিণাম হৃদ্ ‌রোগ।
৩. সুস্থতার জন্য আপনাকে সচল বা সক্রিয় থাকতে হবে। দৈনন্দিন কাজকর্মের বাইরে প্রতিদিন অন্তত ২২ মিনিট হাঁটুন, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট।
৪. দিনে কমপক্ষে পাঁচ রকমের তাজা ফল ও শাকসবজি খেতে হবে, পাঁচবার।
৫. রক্তে ক্ষতিকর চর্বির মাত্রা কমাতে হবে। সে জন্য লাল মাংস, ভাজা -পোড়া খাবার, ঘি -মাখন, ফাস্ট ফুড ও বেশি চর্বিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আর তার জন্য লবণ খাওয়া কমানোটা খুবই জরুরি।
৭. রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করুন। চিনি, মিষ্টি, সহজ শর্করা কমিয়ে প্রোটিন ও সবজি খান বেশি করে।

36
Law of Bangladesh / দান কী আর উইল কী?
« on: December 07, 2016, 01:37:08 PM »
মা-বাবা জীবদ্দশায় নিজেদের নামে থাকা জমিজমা ভবিষ্যতে সন্তানেরা যেন পায়, তা নিশ্চিত করে যেতে চান। এ নিয়ে উদ্বিগ্নও থাকতে দেখা যায় অনেককে। বিশেষ করে যাঁদের শুধু কন্যা সন্তান আছে, তাঁদের দুশ্চিন্তাই যেন বেশি। অনেক মা-বাবা বলেই বসেন, ছেলেমেয়ের নামে সম্পত্তি লিখে দিয়ে যাবেন। যেন তাদের মৃত্যুর পর পুরো সম্পত্তি সন্তানেরা নিশ্চিন্তভাবে ভোগ করতে পারে। এ নিয়ে কেউ কেউ বিভ্রান্তও হন। রীতিমতো স্ট্যাম্পে ঘোষণা দিয়ে নোটারি করিয়ে রাখেন কেউ কেউ। কিন্তু ছেলেমেয়েদের সম্পত্তির নিশ্চয়তা করতে গিয়ে আইন সঠিকভাবে না জানার কারণে ভবিষ্যৎ আরও জটিল করে তোলা হয়। সম্পত্তি যদি নিশ্চিত করে দিতে হয়, তাহলে আইনের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এগুলো জানতে হবে এবং মানতে হবে।
আইন কী বলে?
কেউ যদি তাঁর সন্তানদের সম্পত্তি নিশ্চিত করতে চান, তাহলে সাবালক সন্তানদের কাছে প্রথমেই বিক্রয় করে হেবা দলিল সম্পন্ন করে নিতে পারেন। মুসলমানদের ক্ষেত্রে বিক্রয় বাদে আরও দুটি পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। একটি হলো হেবা বা দান এবং অন্যটি হচ্ছে উইল। তবে অনেকেই এ দুটির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না।

দান বা হেবা করতে হয় নিঃশর্তভাবে। হেবা করার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, হেবাকারীকে হেবার ঘোষণা দিতে হবে অথবা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা করেও ঘোষণা দিতে পারেন। দ্বিতীয়ত, যাকে হেবা বা দান করা হচ্ছে, তার দ্বারা গ্রহণ। আর তৃতীয়ত, হেবা করা সম্পত্তির দখল গ্রহণ। হেবা কিংবা দান করা সম্পত্তির দখল হস্তান্তর করা বাধ্যতামূলক এবং অবশ্যই রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে।

আর উইল হচ্ছে নিজের অবর্তমানে কাউকে সম্পত্তি দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা। তবে কোনো মুসলমান তাঁর দাফন-কাফনের ব্যয় ও দেনা পরিশোধের পর সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের বেশি উইল করতে পারবে না। অর্থাৎ উইলের ক্ষেত্রে পুরো সম্পত্তি দিয়ে যেতে পারবেন না। যদি এক-তৃতীয়াংশের বেশি উইল করা হয়, তাহলে সে উইল কার্যকর করা যাবে না। তবে সম্পত্তির উইলের ক্ষেত্রে অন্য ওয়ারিশদের অনুমতি নিয়ে এর বেশিও উইল করা যাবে। দান সঙ্গে সঙ্গে হস্তান্তর করতে হয়। উইল কার্যকর হয় মৃত্যুর পর। তবে নাবালক সন্তান থাকলে দানের ক্ষেত্রে সন্তান সাবালক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হস্তান্তর করতে হবে।

একজন হিন্দু ব্যক্তিও তাঁর সম্পত্তি উইল করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই। একজন হিন্দু ব্যক্তি তাঁর সমুদয় সম্পত্তি উইল করতে পারেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে জেলা জজ আদালত থেকে উইলকারীর মৃত্যুর পর উইল প্রবেট করতে হয়। প্রবেট হচ্ছে আদালতের মাধ্যমে উইলের প্রমাণ। যেকোনো হেবা বা দান লিখিত আকারে হতে হবে তা রেজিস্ট্রি করে নিতে হবে।


37
Events of DIU / Invitation to join and promise to Change Together!!!
« on: December 07, 2016, 12:50:37 PM »
Respected All:
 
With the spontaneous participation from mass number of our Faculty members and Officials, the inaugural phase of the ‘Change Together’ program ended successfully. In continuation to that regular event, you will be glad to know that the next phase of the program is going to be hosted at PC on 13th December 2016 with a hope that a greater number of participants will be participating their.
With a view to encouraging physical exercise, parade and sports spirit in our corporate culture and changing mentality, we cordially invite you to join the event as per following schedule:
 
Date: 13 December 2016
Day: Tuesday
Event: Journey to Permanent campus by DIU transport and have some parade/PT/ exercise followed by light breakfast. After that, coming back and start day to day office/ academic activities
Departure Time: 7 morning
Departure From: Opposite to DT5
Reporting: 6:45 morning at Departure point
 
You are encouraged to do your registration and join the program.
 
Note:
Pre-registration is a must for every participant.
Registration open from tomorrow (7th December) morning
Who have already received a DIU tracksuit will be able to do a free registration and will be able to join the event
Who have not received a DIU tracksuit will have to do a registration with BDT 500/=
With this Five hundred taka fees every participant will get:
* DIU branded Exclusive Tracksuit at 70%+ discounted price (Regular Price: 1,700 BDT)
* Breakfast coupon of Tk. 20
* Transport
* Band show & Fun
* Life time membership of "Change Together" movement
Seats are limited upon first come first serve
Registration Booths:
City Campuses, DSA Office, DT-5 (Mr. Kawsar, kawsar802@diu.edu.bd; 01991195523);
Permanent Campus (Mr. Feroz Pasha, feroz@daffodilvarsity.edu.bd; 01847140125)
Uttara Campus (Mr. Khairul Sagir, sagir.uttara@daffodilvarsity.edu.bd; 01847140053)
Tracksuit to be collected from the point of registration on 12th noon, during 12:00-6:00 pm

38
History / How does it come first ?
« on: November 12, 2016, 02:11:19 PM »
We may post here, how does any thing or object comes first around the world.

39
Heritage/Culture / Archaeological Architecture of Bangladesh
« on: September 29, 2016, 04:31:14 PM »
We will post here all archaeological architectures of Bangladesh.

40
এখন এমন একটা আবহাওয়া, কখনও বৃষ্টি কখনও গরম। এই সময়টা গরমের প্রভাব অতিরিক্ত হয়ে থাকে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি বিরক্তিকর উপদ্রব বাড়তে থাকে। এই বিরক্তিকর উপদ্রব হচ্ছে মশা। অতিরিক্ত গরম আর মশার যন্ত্রণার কারণে মশারির ভেতরে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
মশার স্প্রে, মশার কয়েল কোন কিছুতেই যেন কাজ হয় না। যদি এই দুটার একটাও শেষ হয়ে যায় তাহলে তোহ রক্ষা নাই। আপনার রাতের ঘুম হারাম। কিন্তু আপনি কি জানেন খুব সহজে এই মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আগেকার যুগে মশার কয়েল, স্প্রে তো কিছুই ছিল না। তখনকার মানুষ কিভাবে মশার হাত থেকে রক্ষা পেত? অবাক হলেও এটা সত্যি যে তারা প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়াত। ভাবচ্ছেন কিভাবে সম্ভব? তাহলে আজ জানাবো আপনাদের প্রাকৃতিক উপায়ে মশার হাত থেকে মুক্তি পাবার উপায়।
লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহারঃ
একটি গোটা লেবু খণ্ড করে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেক গুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরা গুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতে বেশ কয়েকদিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না।
mosha3কর্পূরের ব্যবহারঃ
মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যে কোন ফার্মেসিতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন।
এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। তাৎক্ষণিকভাবেই মশা গায়েব হয়ে যাবে। দুই দিন পর পানি পরিবর্তন করে নিন।
আগের পানিটুকু ফেলে দিবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।
রসুনের স্প্রেঃ
রসুনের স্প্রে মশা তাড়াতে খুবই কার্যকারী প্রাকৃতিক উপায়। ৫ ভাগ পানিতে ১ ভাগ রসুনের রস মেশান। মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে শরীরের যেসব স্থানে মশারা কামড়াতে পারে সেসব স্থানে স্প্রে করুন। এতে করে যে কোন ধরণের রক্ত চোষারা আপনার ধারে কাছেও আসবেনা।
নিমের তেলের ব্যবহারঃ
নিমের মশা তাড়ানোর বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। নিমের তেল ত্বকের জন্যও বেশ ভালো। তাই একসাথে দুটি উপকার পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। দেখবেন মশা আপনার ধারে কাছে ভিড়বে না এবং সেই সাথে ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশন জনিত নানা সমস্যাও দূর হবে।
পুদিনার ব্যবহারঃ
জার্নাল অফ বায়োরিসোর্স টেকনোলোজির গবেষণা মতে তুলসির মতো পুদিনা পাতারও রয়েছে মশা দূরে রাখার ক্ষমতা। শুধু মশাই নয় পুদিনার গন্ধ অনেক ধরণের পোকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ঘরের সব মশা পালিয়েছে। চাইলে পুদিনার তেলও গায়ে মাখতে পারেন।

41
গুগল ম্যাপস শুধুই মানচিত্র দেখায় না, কীভাবে কোথায় যেতে হবে সে নির্দেশনাও দেয়। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলে গুগল ম্যাপস থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

গুগল ম্যাপে আপনার বাসস্থান এবং কাজের অবস্থান উল্লেখ করে দিন। এতে আপনার কার্যক্ষেত্রে যাওয়া এবং কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় গুগল সহজে পথ চিনিয়ে দেবে।

গুগল ম্যাপে আপনার পছন্দের জায়গা সংরক্ষণ (সেভ) করে রাখুন। এতে দ্রুত সেসব জায়গায় যাওয়ার রাস্তা দেখাবে।

ম্যাপসের সার্চ বার থেকেই বন্ধুদের অবস্থান খুঁজে নেওয়া যায়। এ জন্য অবশ্য ফোন নম্বর তালিকার নম্বরগুলো যোগ করতে হবে। সে বন্ধুর ঠিকানা যদি গুগল ম্যাপসে সংরক্ষণ করা থাকে এবং আপনার তা দেখার অনুমতি থাকে তবে ম্যাপস আপনাকে তা দেখিয়ে দেবে।

মধ্যাহ্নভোজে কী খাবেন তা যদি নিশ্চিত না হন তবে সার্চে ক্লিক করে Explore Nearby নির্বাচন করুন। আপনার আশপাশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং সেগুলোর পর্যালোচনাসহ দেখাবে।

ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধা না থাকলেও অচেনা শহরে বিপদ থেকে রক্ষা করবে গুগল ম্যাপস। সহজেই কাছের বাসস্ট্যান্ড এবং রাস্তা দেখিয়ে দেবে।

সবচেয়ে বড় কথা, আপনি হয়তো এমন কোথাও যাচ্ছেন যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। সেখানে যাওয়ার আগে অফলাইন ম্যাপ নামিয়ে নিন। এরপর সে এলাকায় সহজেই প্রয়োজন অনুযায়ী রাস্তা দেখাবে, ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে না।

42
কোন ব্যবসায়ে বা শিল্পে ভাগ্য গড়া সহজ এবং খুব দ্রুত কোনো দেশ বা অঞ্চলের সেরা ধনী হয়ে ওঠা যায়? এমন প্রশ্ন শুনে আপনার মনে সম্ভবত আজকালকার দিনের প্রবল সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি ও তেলের ব্যবসার কথাই ভেসে উঠবে।
আর কেউ যদি তুলনামূলক সস্তায় বাজারে ফাস্ট ফ্যাশন বা দ্রুত নিত্যনতুন নকশার পোশাকের ব্যবসার কথা বলেন, তাহলে হয়তো অনেকের মতো আপনার মনেও খটকা লেগে যেতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, পোশাকের ব্যবসা করে কিছু ব্যক্তি ও পরিবার শুধু নিজ দেশ বা অঞ্চলই নয়, বরং গোটা পৃথিবীরও সেরা ধনীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
যেহেতু সব সময়ই মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ প্রয়োজন হয়, সেহেতু পণ্যটি বিক্রি হবে, এটি একটি সাধারণ যুক্তি। দাম মোটামুটি কম করে ধরলে যে বিক্রি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়, সেটিও জানা কথা। কিন্তু কম দামে নিত্যনতুন বা হালফ্যাশনের পোশাক বিক্রি করেও যে বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় নাম ওঠানো যায়, সেটি প্রমাণ করেছেন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। কোয়ার্টজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি এ রকম একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
এই তালিকায় নাম আসা স্পেনের আন্তর্জাতিক ফাস্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ড জারার মূল কোম্পানি ইনডিটেক্সের প্রতিষ্ঠাতা অ্যামানসিও ওর্তেগা এখন শুধু নিজ দেশেই নন, বরং ইউরোপের এক নম্বর ও বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী। ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে এই পোশাক ব্যবসায়ীর মোট সম্পদের মূল্য ৭ হাজার ৫৩০ কোটি মার্কিন ডলার। এমনকি গত বছর অল্প সময়ের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিল গেটসকে টপকে শীর্ষ ধনী হন।
বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী সুইডেনের এইচঅ্যান্ডএমের মালিক স্টেফানের মোট সম্পদের মূল্য এখন ২ হাজার ২০ কোটি ডলার। বদৌলতে তিনি এখন সারা বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় ৩২তম। স্টেফান পারসনের পিতা ১৯৪৭ সালে এইচঅ্যান্ডএম নামের পারিবারিক ব্যবসাটি শুরু করেন।
জাপানে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিল্পবাণিজ্য বলতে প্রথমেই তো উঠে আসে গাড়ি ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের নাম। কারণ, যুগ যুগ ধরে জাপানি গাড়ি ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের বিশ্বজোড়া খ্যাতি ও বাজার রয়েছে। অথচ এই দেশের শীর্ষ ধনী পোশাক ব্র্যান্ড ইউনিক্লোর মূল প্রতিষ্ঠান ফাস্ট রিটেইলিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তাদাশি ইয়ানাই ও তাঁর পরিবার। গত বছর তাঁর সম্পদের মূল্য ৪৮০ কোটি ডলার কমার পরও ১ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার নিয়ে তিনি এখন সেই দেশের সেরা ধনী। অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান জে ব্র্যান্ড ও থিওরি অ্যান্ড জিইউও তাঁর ধনাঢ্য ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠার পেছনে বেশ কাজ করেছে।

নেদারল্যান্ডসের ফাস্ট ফ্যাশন বা পোশাক ব্র্যান্ড সিঅ্যান্ডএ ভাগ্য বদলে দিয়েছে সেই দেশের ব্রেনিনকমেইজার পরিবারের। এই ডাচ পরিবার অতীতে কখনোই তাদের আর্থিক তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে ২০১২ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন পরিবারটির ধনসম্পদের একটি প্রাক্কলিত মূল্য প্রকাশ করে। সে অনুযায়ী ব্রেনিনকমেইজার পরিবারের সম্পদমূল্য ৩ হাজার ৩৯৪ কোটি ডলার। এই তথ্য
অবশ্য কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়নি। ১৭৫ বছর আগে ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি সিঅ্যান্ডএর মালিক পরিবারটি এখন সেই দেশের সবচেয়ে ধনী।

আট বছর ধরে আয়ারল্যান্ডের শীর্ষ ধনী হয়েছেন হিলারি ওয়েস্টন ও তাঁর পরিবার। পরিবারটি বিখ্যাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর সেলফ্রিজেস ও থমাস লাক্সারির মালিক। তবে তাদের আয়ের বড় অংশই আসে রিটেইল পোশাক ব্র্যান্ড প্রাইমার্ক থেকে, যেটি ওই পরিবারকে সেই দেশের সবচেয়ে ধনীর আসনে বসিয়েছে। সানডে টাইমস-এর তথ্যমতে, হিলারি ওয়েস্টনের বর্তমান সম্পদের মূল্য ১ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার, যা তাঁর ঠিক পেছনেই থাকা, অর্থাৎ আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা ধনী ব্যক্তির তুলনায় তিন গুণ বেশি।

এসব ব্র্যান্ডের সফলতার একটি দিক হলো তারা খুব কম সময়ের মধ্যেই নিত্যনতুন নকশার পোশাক নিয়ে আসে এবং বিক্রিও করে থাকে তুলনামূলক কম দামে। ফলে বাজারের প্রতিযোগিতায় তারা অনায়াসেই এগিয়ে যায়। এ ছাড়া তারা পোশাক আমদানি করে সেই সব দেশ থেকে, যেখানে শ্রমিকের মজুরি খুবই নগণ্য। স্বভাবতই এ ধরনের দেশের পোশাকের দামও হয় অনেক কম। পোশাকশ্রমিকদের কম মজুরি দেওয়ার জন্য অবশ্য রপ্তানিকারক দেশের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এসব আমদানিকারক ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

কম দামে পোশাক বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো তারা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুবিধা নেওয়ার প্রতি বেশ মনোযোগী থাকে। যেমন  ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খুব দ্রুতই হালফ্যাশনের পোশাক ও এ-সংক্রান্ত তথ্য দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। এটি ভোক্তাদের মনেও দোলা দিয়ে যায়। অর্থাৎ নতুনত্বের আবাহনে ভোক্তারা দ্রুত সাড়া দেন। এর মানে বাজারে নিত্যনতুন পণ্য তথা পোশাক এলে তাঁরা সেটি লুফে নেন। কারণ, তাঁদের ধারণা, এসব ব্র্যান্ড সব সময়ই নতুন পোশাক নিয়ে আসে।

43
গ্রিনল্যান্ডের হাঙর (গ্রিনল্যান্ড শার্ক) পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী মেরুদণ্ডী প্রাণী। এদের আয়ু ৪০০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। একদল আন্তর্জাতিক গবেষক গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।

এসব হাঙরের বৃদ্ধি খুব ধীর গতির। এরা বছরে বাড়ে প্রায় এক সেন্টিমিটার করে, যা এদের অত্যন্ত দীর্ঘ জীবনকাল অর্জনের একটা কারণ। প্রাণিজগতের অন্যান্য দীর্ঘজীবীর মধ্যে এক প্রজাতির তিমি এবং গ্যালাপাগোস কচ্ছপও রয়েছে। তবে এদের ছাপিয়ে গেছে গ্রিনল্যান্ডের হাঙর। সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, যৌন পরিপক্বতা পেতেই গ্রিনল্যান্ড শার্কের প্রায় ১৫০ বছর লেগে যায়। এই প্রাণীর চেয়ে দীর্ঘায়ু পায় এক ধরনের বড় ঝিনুক (৫০৭ বছর)।

গবেষকেরা বলেন, দীর্ঘজীবী প্রাণীগুলোর বয়স নির্ণয়ের জন্য তাঁরা রেডিও কার্বন পরীক্ষার সাহায্য নিয়েছেন। জেলেদের জালে ২৮টি স্ত্রী হাঙর ধরা পড়েছিল। সেগুলোর চোখের লেন্স পরীক্ষা করে বয়স জানতে পেরেছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী, ১৬ ফুট ও সাড়ে ১৬ ফুট লম্বা বড় দুটি হাঙরের বয়স যথাক্রমে ৩৩৫ ও ৩৯২ বছর।

44
History / মুর্শিদকুলী খাঁর মসজিদ
« on: August 12, 2016, 11:55:28 AM »
চারপাশে সবুজ গাছগাছালিঘেরা পুরোনো স্থাপত্যশিল্পের একটি মসজিদ। পাশাপাশি একই রকমের পাঁচটি আকর্ষণীয় গম্বুজ। ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইটসহ ঢাকার পুরোনো ছবি আছে এমন অনেক সাইট ও প্রকাশনীতে করতলব খান মসজিদের এই ছবিটি পাওয়া যায়। প্রায় সাড়ে তিন শ বছরের পুরোনো এই মসজিদ পুরান ঢাকার বেগমবাজারে অবস্থিত। এলাকাবাসীর কাছে এটি শাহি মসজিদ নামেও পরিচিত। জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলা পিডিয়ায় বলা হয়েছে, সম্রাট আওরঙ্গজেব তরুণ মুর্শিদকুলী খাঁকে ১৭০০ সালে সম্মানসূচক করতলব খাঁ উপাধি দিয়ে দেওয়ান হিসেবে বাংলায় পাঠান। তিনিই বাংলায় নবাবি শাসনের প্রতিষ্ঠাতা। ব্যক্তিজীবনে তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। ১৭০১ থেকে ১৭০৪ সালের মধ্যে তিনি এই মসজিদ নির্মাণ করেন। সংযোজিত দোচালা অংশসহ এই মসজিদ একটি উঁচু ভিটে বা প্ল্যাটফর্মের ওপর অবস্থিত। প্ল্যাটফর্মটির নিচে সারিবদ্ধভাবে একাধিক বর্গাকার ও আয়তাকার কক্ষ বিদ্যমান। এগুলো অবশ্য এখন দোকানঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই মসজিদের গম্বুজগুলো পদ্ম ও কলসচূড়ায় শোভিত। গম্বুজের ভার বহনে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে তা ঢাকার লালবাগ দুর্গ মসজিদ ও সাতগম্বুজ মসজিদে ব্যবহৃত কৌশলের অনুরূপ। মসজিদের উত্তর পাশের আয়তাকার সম্প্রসারিত অংশটি বাঙালি দোচালা কুঁড়েঘরের মতো ছাদ দিয়ে আচ্ছাদিত। মসজিদ ভবনটির অলংকরণে স্থাপত্যিক বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যের একটি জ্বলন্ত নিদর্শন এই শাহি মসজিদ। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড ধরে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে দিয়ে বেগমবাজারের দিকে গেলেই মসজিদটি দেখতে পাবেন। তবে আগের সেই গাছপালা নেই। চারপাশে উঠে গেছে অনেক ভবন। তবু টিকে আছে মুর্শিদকুলী খাঁর মসজিদটি।

45
Heritage/Culture / Flowers of Bangladesh
« on: August 03, 2016, 10:35:58 AM »
We will post here all flowers of Bangladesh.

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 18