Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Saqueeb

Pages: 1 [2] 3 4 ... 36
16
স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির আধিক্য বা হৃদ্রোগ ইত্যাদি সমস্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই বাড়তি ওজন। এটি আরও নানা রোগব্যাধির জন্য দায়ী।

শরীরের ওজন যদি উচ্চতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখন মানুষের সুস্থতা বা সৌন্দর্য বলতে কিছুই থাকে না। মানসিক ও শারীরিকসহ নানা রোগে দৈনন্দিন কাজেও তখন নানা রকমের ব্যাঘাত ঘটে। অল্প পরিশ্রমে ক্লান্তি আসে, সক্ষমতাও যায় কমে। কোনো কাজ সহজভাবে করা কঠিন হয়ে পড়ে। আর তখন দেখা দিতে পারে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা। এ রকম কয়েকটি উদাহরণ:

অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত: অস্থিসন্ধি আমাদের শরীরের ওজন বহন করে। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত ওজন বহন করার জন্য অস্থিসন্ধিতে পরিবর্তন দেখা দেয়। ফলে নানা রকমের বাত ব্যথা হয়। মেরুদণ্ড, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা বা প্রদাহ হতে পারে। গেঁটে বাতের ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ব্যাপারটিও স্থূলতার সঙ্গে জড়িত।

যকৃতের অকার্যকারিতা:
যকৃতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো ফ্যাটি লিভার বা যকৃতে চর্বি জমে যাওয়া। এ থেকে যকৃতের নানা সমস্যা, এমনকি লিভার সিরোসিস পর্যন্ত হতে পারে।
পিত্তথলির সমস্যা: স্থূলকায় মানুষের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সাধারণ দেহের লোকজনের তুলনায় তাদের, বিশেষ করে যদি ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারী হন, পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ক্যানসার: স্থূলতার সঙ্গে ইদানীং নানা ধরনের ক্যানসারের সম্পৃক্ততাও মিলেছে। খাদ্যনালি, অন্ত্র, যকৃৎ ও স্তন ক্যানসার এবং লসিকা গ্রন্থির ক্যানসারের সঙ্গেও স্থূলতার সম্পর্ক আছে।
পায়ের শিরায় সমস্যা: স্থূলকায় মানুষের পায়ের শিরা অনেক সময় ফুলে ওঠে। একে বলে ভ্যারিকোস ভেইন। জটিলতা বেড়ে গেলে এ থেকে পরিত্রাণের জন্য অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হয়।
শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা: নাক ডাকা ও ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার (স্লিপ এপনিয়ার) বড় কারণ—স্থূলতা। স্লিপ এপনিয়ায় রোগীর হৃদ্রোগ, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বন্ধ্যাত্ব: স্থূলতার কারণে অনেক সময় সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। স্থূল কিশোরী ও তরুণীদের ডিম্বাশয়ে সিস্ট ও অনিয়মিত মাসিক থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্ব ও শরীরে অবাঞ্ছিত লোম ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
তাই শুধু হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপই নয়, বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলে আপনি নানাবিধ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বিএসএসএমইউ

17

উপকরণ

হাঁস ১টি, মেথি আধা চা-চামচ, কাসুরি মেথি ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ মোটা কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, তেজপাতা ২টি, গরম মসলা ৫-৬টি, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, পেস্তাবাদাম বাটা ১ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ভেজে গুঁড়া করা ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো

প্রণালি


হাঁসটি পছন্দমতো টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে মেথি, তেজপাতা ও গরমমসলার ফোড়ন দিয়ে হাঁসের টুকরা দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। কাটা পেঁয়াজ ও কাসুরি মেথি বাদে বাকি সব উপকরণ একে একে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। পানি শুকিয়ে হাঁস সেদ্ধ হয়ে এলে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে আরও ১ কাপ পানি দিতে হবে। সঙ্গে ভাজা মরিচগুঁড়াও দিতে হবে। ঝোল মাখা মাখা হলে কাসুরি মেথি ছড়িয়ে দিয়ে মৃদু আঁচে ২/৩ মিনিট রেখে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। পাঁচ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

18

সবজিজাতীয় খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনিও ফিট থাকবেন। ছবি: অধুনাওজন কমাতে আধপেটা খেয়ে থাকেন অনেকেই। আবার একদম না খেয়েই কেউ কাজে-কর্মে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ সময় না খাওয়ায় মেজাজটাও খিটখিটে হয়ে যায়। কাজে-কর্মেও গতি কমে আসে। সত্যি বলতে কী, পেট ভরে খেয়েও কিন্তু ওজন কমানো যায়। তবে খাবারটা খেতে হবে হিসাব করে, ক্যালরি মেপে। আর যদি লোভে পড়ে খানিকটা মসলাদার খাবার পেটে চালানই হয়ে যায়, তারও বন্দোবস্ত আছে।

ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের কাছ থেকেই তথ্যটা যাচাই করে নেওয়া যাক। তিনি বলেন, ‘১০০ ক্যালরি শক্তির জন্য নিদেনপক্ষে ২০ মিনিট দ্রুত (ঘাম ঝরিয়ে) হাঁটতে হবে। এভাবেই অতিরিক্ত খাবারের ক্যালরি পরিশ্রম করে পুড়িয়ে ফেলতে হয়।’ তিনি জানালেন, যেসব খাবারে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে সেসবের কথা।
সকালে খিচুড়ি, ভাত, লুচি, পরোটা, পনির, রুটিসহ তেল-মসলার খাবার খেলে ওজন বাড়বে। অন্যদিকে হাতে তৈরি রুটি, পাউরুটি, কম তেলের সবজি—এগুলো ওজন বাড়াবে না। ডিম খেতে চাইলে সেদ্ধ খান। ভাজি, অমলেট কিংবা পোচ করে নয়।

দুপুরের খাবারে পরিমাণমতো ভাত, রুটি, অল্প তেলে রান্না নুডলস খেলে ওজন বাড়বে না। অন্যদিকে পোলাও, তেহারি, বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইসে ওজন বাড়াবে। দুপুরে খেতে পারেন রান্না করা সবজি কিংবা ভর্তা। অন্যদিকে ভাজা সবজি ওজন বাড়িয়ে দেবে। ফ্রায়েড চিকেন কিংবা রোস্টে ওজন বাড়াবে—তবে কম তেল-মসলায় রান্না করা মাংস খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
ভুনা ও চর্বিযুক্ত মাংসও ওজন বাড়ানোর হারকে ত্বরান্বিত করে। বিকেলের নাশতায় খেতে পারেন ক্লিয়ার স্যুপ। থাই স্যুপ বা ক্রিম স্যুপে ওজন বাড়ে দ্রুত। খেতে পারেন তন্দুরি বা গ্রিলড খাবার—এসবে ওজন বাড়ে না। অন্যদিকে পিৎজা, কাবাব, চিকেন ফ্রাই, স্যান্ডইউচ, বার্গার, কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়।
রাতের খাবারে সবজির পাশাপাশি মাছের ঝোল খেতে পারেন, তবে মাছ ভাজা নয়। তেলে ভাজা মাছ ওজন বাড়িয়ে দেবে। শামছুন্নাহার নাহিদ বারবারই একটি কথার প্রতি জোর দিলেন, ‘একবারে বেশি খেয়ে ফেলা নয়, অল্প করে বেশিবার খান, ওজন শরীরের বশে থাকবে।’ যোগ করলেন, ‘প্রতি বেলা খাবার শেষে খানিকটা টকদই খেতে পারেন, এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।’
সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা কিংবা রাতের খাবারের বাইরে চাইলে খেতে পারেন মুড়ি, চিড়া, সেদ্ধ ছোলা কিংবা শুধু সালাদ। খাওয়া শেষে যাদের কোমলপানীয় পানের অভ্যাস, এই বেলা তাঁরা ডায়েট পানীয়তে অভ্যস্ত হোন। সবচেয়ে ভালো হয় ফলের রসে তৃষ্ণা মেটাতে পারলে, তবে ফল টক হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ মিষ্টি ফলও ওজন বাড়ায়।

19
Pharmacy / আদার যত গুণ
« on: January 26, 2015, 01:53:31 PM »
আদার রয়েছে নানারকম গুণাগুণ। প্রায় সকলের রান্নাঘরে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে আদা থাকবেই। যদি জানা থাকে আদার উপকারিতা আর ব্যবহারের নিয়ম তাহলে ঘরে বসেই নিজের এবং পরিবারের অন্যদের বিভিন্ন অসুখ সারিয়ে নিতে পারেন।
 


আদার গুণাগুণ:

- জ্বর হলে কিংবা ঠাণ্ডা লাগলে আদা খেতে পারেন। কারণ আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে ঠাণ্ডার মধ্যে আদা চা বেশ আরামদায়ক।

- ঋতু পরিবর্তনের সময় কারো কারো মাইগ্রেন পেইন, অ্যাজমার সমস্যা দেখা যায়। এই সময়কার খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন। সর্দি-কাশির প্রকোপের সময় মুখে আদা রাখলে আরাম পাওয়া যায়।

- গা গোলানো ও বমিভাব থেকে রেহাই পেতে খানিকটা আদা কুচি চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। সমস্যা অনেকটা কমবে।

- আর্টারি ওয়ালে ব্যাড কোলস্টেরল ও ফ্যাটি অ্যাসিড জমে করোনারি হার্ট ডিজিজের সমস্যা দেখা যায়। ফলে রক্ত চলাচলে অসুবিধা দেখা যায়। আদা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। লিভার ও ব্লাডে কোলেস্টেরল অ্যাবজ়র্বশন কম রাখতে আদা সাহায্য করে।

- গবেষণায় জানা গিয়েছে যে অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা সাহায্য করে। টিস্যু বেশি এনার্জি ব্যবহার করায়, বেশি ক্যালরি বার্ন হয়।

- আদায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে। ক্যানসার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধে আদা উপকারী।

- আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগলে সারা দিনের খাবারে অল্প পরিমাণে আদা রাখার চেষ্টা করুন। আদা দিয়ে চা খেতে পারেন, সালাদে আদার সরু, লম্বা কুচি মেশাতে পারেন। ব্যথার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ঘন ঘন পেইনকিলার খাওয়ার অভ্যেস কমিয়ে হার্বাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে আদা খেয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে জিঞ্জার অয়েল উপকারী।

- মেয়েদের পিরিয়ডের সময় পেটে ক্র্যাম্পের সমস্যায় প্রায় নাজেহাল হতে হয়। সে ক্ষেত্রে আদা থেঁতো করে, সামান্য নুন দিয়ে খেতে পারেন।

- প্রেগনেন্ট নারীদের মর্নিং সিকনেসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে আদা।

- আদা হজমে সাহায্য করে।

 
যা মনে রাখতে হবে:

গলস্টোনের সমস্যা থাকলে কত পরিমাণ আদা খাবেন তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। কারণ আদা বাইল ফ্লো বাড়াতে সাহায্য করে। আর প্রেগনেন্সির সময় সারাদিনে ২৫০ গ্রামের বেশি আদা খাওয়া যাবে না। এবিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

 

20


রাতের পালায় কাজ করার ফলে ঘুমের অনিয়ম হয়। এতে স্বভাবতই মানুষের শরীরের ক্ষতি হয়। তা ছাড়া এভাবে রাত জাগার কারণে ফুসফুসের ক্যানসার ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। মৃত্যুহার বেশি হওয়ার একটি কারণও এটি। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।গবেষণায় দেখা যায়, যেসব নারী পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে রাতের পালায় কাজ করেন, তাঁদের হৃদ্রোগসহ নানা কারণে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। আর যাঁরা ১৫ বছর বা ততোধিক বছর কাজ করেন, তাঁদের ফুসফুসের ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।প্রতিমাসে একজন ব্যক্তি দিনের কোনো সময় বা সন্ধ্যায় যে কাজ করেন, তার অতিরিক্ত অন্তত তিন রাত কাজ করাকে ‘রাতের পালার কাজ’ হিসেবে ধরা হয়েছে ওই গবেষণায়। এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন আমেরিকান জার্নাল অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ইভা শার্নহ্যামার বলেন, মানুষের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ুর ওপর রাতের পালায় কাজ করার সম্ভাব্য ক্ষতিকর সম্পর্ক নিয়ে আগেও তথ্যপ্রমাণ মিলেছিল। নতুন গবেষণাটি এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।শরীরের অভ্যন্তরীণ জৈব রাসায়নিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া ঠিকমতো সম্পন্ন করতে নিয়মিত ঘুমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আর হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতা ও ক্যানসার বা টিউমাররোধী কার্যকলাপের জন্যও ঘুম জরুরি। শার্নহ্যামার বলেন, বিশ্বজুড়ে রাতের পালায় কাজ করেন—এমন কর্মীদের একটি বড় অংশের ওপর তাঁরা গবেষণা চালিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ৭৫ হাজার নার্সের প্রায় সবাইকে এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৬ থেকে ১৪ বা ১৫ বছর ধরে রাতের পালায় কাজ করে অভ্যস্ত নারীদের মৃত্যুর সব ধরনের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি। ১৫ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে রাতের পালায় কর্মরত মানুষের ফুসফুসের ক্যানসারে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৫ শতাংশ বেশি। আইএএনএস।

21
Pharmacy / ভুট্টাভোজ
« on: January 07, 2015, 12:47:09 PM »


রাস্তার মোড়ে ভুট্টার খই যেমন পাওয়া যায়, তেমনি পোড়ানো ভুট্টাও মেলে হরহামেশা। ইংরেজিতে পপকর্ন আর বাংলায় ভুট্টার খই এখন তো সিনেমা দেখার প্রধান অনুষঙ্গ। শখের বশে খাওয়া এই ভুট্টা শরীরের কী কাজে লাগে তা জানালেন, ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ। বললেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভুট্টা যেমন ভালো, তেমনি পুষ্টি পূরণেও এটি অনন্য। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভুট্টায় থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়ে। বিশেষ করে স্তন এবং যকৃৎ টিউমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে ভুট্টায়।’

হজমে সহায়ক: ভুট্টায় আছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ। এর দ্রবণীয় আঁশ শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বিরুদ্ধে লড়ে। অদ্রবণীয় আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

রক্তস্বল্পতা দূর: ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিডের স্বল্পতার কারণে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। ভুট্টা এই দুটি উপাদানের খুব ভালো উৎস। এতে আয়রনও আছে যথেষ্ট।

শক্তি তৈরিতে: ভুট্টায় থাকে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। এই শর্করা শরীরে শক্তি তৈরি করে। কাজে গতি এনে দেয়। মস্তিষ্ক ও নার্ভাস সিস্টেমের জন্য ভুট্টা খুব জরুরি।

ওজন বাড়াতে: যাদের ওজন কম এবং ওজন খানিকটা বাড়াতে চান, তাঁরা ভুট্টা খেতে পারেন। এতে প্রচুর ক্যালরি শরীরের মাংশপেশি বাড়াতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: নিয়মিত ভুট্টা খেলে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ে। এর ক্যারোটিনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন চোখের জন্য অত্যন্ত ভালো।

গর্ভবতী মায়ের জন্য:
ভুট্টায় থাকা ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব প্রয়োজন। ভুট্টা খেলে গর্ভের সন্তান অল্প ওজনে জন্ম নেওয়ার শঙ্কা কমে যায়।

22
শীতের এই সময়টাতে কমলা ছাড়া কি চলে? বাজারে দেশি-বিদেশি কমলার ছড়াছড়ি। কমলার ভালো দিক হলো, প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ থাকলেও এতে চিনি বা শর্করা কম। তাই ডায়াবেটিক বা স্থূল রোগীরাও খেতে পারবেন।

কমলায় খুব বেশি ক্যালরি নেই। একটা মাঝারি আকারের কমলায় প্রায় ৬২ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এ ছাড়া আছে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কমলায় পেকটিনের পরিমাণ বেশ ভালো। আর পেকটিন হলো আঁশ। এটি তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, পেট ভরায় ওজন না বাড়িয়ে। কমলার আঁশটুকু ভালো করে পেতে হলে কেবল রস না খেয়ে বরং এর কোষের ওপরকার আবরণ ও সুতার মতো জিনিসগুলোসহ খেতে হবে। একটা কমলার ৯০ শতাংশের বেশি হলো ভিটামিন সি, আঁশের পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ। আর সব টক ফলের মতো কমলায়ও ক্যানসার প্রতিরোধী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বিদ্যমান। এ ছাড়া এতে আছে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। পটশিয়াম থাকার কারণে কিডনি রোগীরা কয়টি কমলা এক দিনে খেতে পারবেন, তা চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করে নিন। নয়তো এই সময়ে তাজা কমলার স্বাদ পেতে প্রতিদিনই খেতে থাকুন এ মজাদার ফল। সূত্র: নিউট্রিশন ডটকম|

23
Pharmacy / কমলার খোসার উপকারিতা
« on: January 05, 2015, 12:27:54 PM »


কমলালেবু রসালো একটি ফল তা নিশ্চয় সবার জানা। আর ছোটোবড় সবাই ফলটি খেতে পছন্দ করেন। তবে প্রায় সবাই ফলটির রসালো কোষ খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেন। অনেকেই হয়তো জানেন না খোসার উপকারিতার কথা। এমনকি খোসাসুদ্ধ কমলা খাওয়াই নাকি বেশি পুষ্টিকর! আপেলের মতো কমলার খোসাও নানা দিক দিয়ে বেশ উপকারি।

কমলালেবুর খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যা বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা, কাশি বা অ্যাজমার সমস্যা ও লিভারসহ নানা সমস্যা থেকে মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। নিচে কমলার খোসার তেমনই কয়েকটি উপকারি ব্যবহারের কথা তুলে ধরা হলো :

কফ ও পিত্তের সমস্যায়: কমলার খোসার রসের অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হলো এটি কফের সমস্যা ও পিত্তের যে কোনো ধরনের সমস্যা দূর করে। এজন্য প্রথমে কমলার খোসা বেশ পাতলা করে ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর ভেজিটেবল পিলারের সাহায্যে কিংবা গ্রেটারে ঘষে নিন। পরে খোসার কুচিগুলো রঙ চা তৈরির সময়েই ঢেলে দিন। সাথে  অল্প পরিমাণে আদা দিলে আরও ভাল হয়। এবার পানি একটু ফুটিয়ে আদা ও কমলার গন্ধ ছড়ালেই চায়ের মতো পান করুন। সাথে দিতে পারেন মধুও। তাহলে কফ ও পিত্ত সমস্যার অবশ্যই সমাধান হবে।

পেটের সমস্যায় : কমলালেবুর খোসা পেটের সমস্যার সমাধান করে। এমনকি গ্যাস, অ্যাসিটিডি ও বমি বমি ভাব দূর করতেও কমলার খোসার জুড়ি নেই। প্রতিদিন সকালে খোসার মিহি কুচি এক চা চামচ পরিমাণ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এমনকি সকালের নাস্তায় সালাদের সঙ্গে এটি খেতে পারেন।

ওজন হ্রাসে : উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলের সমস্যা ও  ওজন কমানোর জন্য কমলার খোসা অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ এতে ট্রাইগ্লিসারাইড দ্রবীভূত থাকে যা সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে।

অনিদ্রায় : কমলার খোসা মিশ্রিত পানি গোসলের সময় ব্যবহার করলে এটি অনিদ্রা দূর করে। এমনকি কুসুম গরম পানিতে এর খোসা ফেলেও গোসল করা যায়। তবে চাইলে পানির সঙ্গে খোসার তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।ক্যান্সার ও হাড়ের রোগ প্রতিরোধে :  কমলার খোসায় ফ্লেভোনয়েড রয়েছে যা ‘হেস্পিরিডিন’ নামে পরিচিত। এটি কোলন ক্যান্সার এবং অস্টিওপরোসিস বিরুদ্ধে কাজ করে আমাদের রক্ষা করে।

অ্যাজমা ও কাশির সমস্যায় :  কমলার খোসার গুঁড়ো কাশির সমস্যা দূর করে। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও অ্যাজমা উপশমে এটি কাজে লাগে। এসব কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে কমলার খোসায় তৈরি চা  নিয়মিত পান করুন। আবার কমলার খোসা দিয়ে মোরব্বা বা টফিও তৈরি করে রাখা যায়। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এই টফি চা পানের সময় ভালো করে চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে রোগমুক্তি ঘটবে।

অ্যাসিডিটির সমস্যায় : কমলার খোসার তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রয়েছে যা পেটের অ্যাসিডিটি দূরীকরণে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে ডি-লিমোনেন নামের একটি উপাদান আছে যা অন্ত্র ও লিভার ফাংশনকে স্বাভাবিক রাখে। আর এর তেল পানিতে দু’ফোঁটা মিশিয়ে পান করলে অ্যাসিডির সমস্যা একেবারেই চলে যাবে।

তাই কমলার খোসা ফেলে না দিয়ে তা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করুন। পরবর্তীতে যথাযথভাবে এগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তির পাওয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

24
Pharmacy / Re: Spinach- A vegetables with many benefits
« on: January 01, 2015, 04:22:03 PM »
Very informative post. Thanks for sharing

25

বর্তমানে অবশ্য ফার্মের মুরগীর সুবাদে প্রতিদিনই বাজারে চলে আসছে হাজার হাজার নতুন ডিম। তারপরও পুরনো ডিম যে একেবারে থাকছে না তা কিন্তু নয়। তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু যখন ডিমটি বেশি পুরনো হয়ে যায় তখন তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবার ভয় তো রয়েছেই। কিন্তু ধুয়ে মুছে রাখা ডালিভর্তি ডিম দেখে সাধারণত বোঝার উপায় থাকে না কোনটা কতদিনের পুরনো। অনেক সময় টাকা দিয়ে কিনে এনে শেষে ফেলে দিতে হয়। কখনো আবার অনেকদিন আগে কিনে রাখা ডিমটি খাওয়ার উপযুক্ত আছে কিনা সেটাও জানার দরকার হয়। কিন্তু উপায় কি? জেনে নিন সহজ উপায়:

১. প্রথমে একটি পানিপূর্ণ পাত্রে একটি ডিম দিন।

২. ডিমটি যদি সম্পুর্ণ ডুবে গিয়ে পাত্রের তলায় পড়ে থাকে, তবে বুঝতে হবে ডিমটি একদমই টাটকা।

৩. ডিমের মোটা অংশ যদি উপর দিকে উঠে আস্তে আস্তে সোজা হতে থাকে, তবে ডিমটি এক সপ্তাহ আগের।

৪. ডিমের চিকন অংশ উপরের দিকে উঠে ডিমটি একদম সোজা হয়ে যায়, তবে বুঝে নেবেন ডিমটি ২ থেকে ৩ সপ্তাহ আগের।

৫. ডিমটি যদি নষ্ট বা খুব বেশি পুরাতন হয় তবে পানিতে ভেসে উঠবে। তখন নিশ্চিত থাকবেন ডিমটি আর খাওয়ার উপযুক্ত নেই। ফেলে দিন দ্রুত।

26

চা খাওয়ার পর ব্যবহৃত টি ব্যাগটি আমরা সাধারণত ফেলেই দিই। কিন্তু এই ফেলনা টি ব্যাগগুলো যে কত গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগতে পারে তা শুনলে অনেকে অবাকই হবেন। চলুন জেনে নিই ব্যবহৃত টি ব্যাগের কিছু ব্যবহার।

পোকা-মাকড়ের কামড় সারিয়ে তোলে:


চায়ের এন্টি-ইনফ্লেমাটরি ও এন্টি-এলিয়াসিং উপাদান পোকা-মাকড়ের কামড়ের জ্বালা-পোড়া কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি চুলকানি, লালভাবও কমিয়ে দেয়। যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে ১০ মিনিট একটি ব্যবহার করা টি ব্যাগ রেখে দিন, উপকারিতা পাবেন।

মাড়ির রক্তপাত ও ব্যথা কমায়:

অনেকেরই দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত হয় ও সাথে থাকে খুব ব্যথা। এই রক্তপাত ও ব্যথা কমাতে মাড়ির আক্রান্ত জায়গায় ব্যবহার করা টি ব্যাগ দিয়ে চেপে রাখুন। চায়ের প্রাকৃতিক উপাদান মাড়ির রক্তপাত ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

পুড়ে যাওয়া স্থানের ব্যথা কমায়:

দেহের কোন অংশ পুড়ে গেলে সেখানে ব্যবহৃত টি ব্যাগ রেখে দিন ২০ মিনিট। তবে টি ব্যাগটি অবশ্যই ঠাণ্ডা হতে হবে। টি ব্যাগের শীতলতা পোড়া স্থানের ব্যথাই কমিয়ে দিবে না, ক্ষত সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করবে।

চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে:

নিস্তেজ ও প্রাণহীন চুলের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করা কয়েকটি টি ব্যাগ আবার পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই পানি ঠাণ্ডা করে আপনার চুলের গোঁড়া থাকে চুলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। তারপর কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

চোখের অঞ্জলি সমস্যা দূর করে:


অনেকের চোখেই অঞ্জলি হয়ে থাকে। যা হলে চোখ অনেক ফুলে থাকে, ব্যথাও থাকে। এই সমস্যার সমাধানে আক্রান্ত জায়গায় একটি হালকা গরম টি ব্যাগ দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট প্রতিদিন ৩ বেলা। চায়ের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চোখের এই সমস্যা সারাতে সাহায্য করে।

সাদা কাপড়ে দিতে পারেন অ্যান্টিক লুক:

আপনার সাদা জামাটিতে চাইলেই একটু অন্যরকম ডিজাইন করতে পারেন টি ব্যাগ দিয়ে? একটি পাত্রে গরম পানি ফুটিয়ে তার মধ্যে কয়েকটি টি ব্যাগ ছেড়ে দিন। তারপর সাদা কাপড়টি ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রাখুন।

কালার করা চুলের চাকচিক্য বাড়ায়:

কালার করা চুলের উজ্জলতা দ্বিগুণ বাড়াতে ব্যবহার করা টি ব্যাগ দারুন কার্যকর। ব্যবহার করা টি ব্যাগ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ঠাণ্ডা করে চুলে লাগিয়ে নিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন পর পর এই পদ্ধতিটি কাজে লাগাতে পারেন।

পায়ের গন্ধ দূর করে:


অনেকের পায়েই গন্ধ হয়ে থাকে যা খুব অস্বস্তিকর। শীতকালে এ সমস্যাটা বেড়ে যায়। এ থেকে পরিত্রান পেতে ব্যবহার করা টি ব্যাগ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি কিছুটা ঠাণ্ডা করে তাতে পা ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। দেখবেন পায়ের বাজে গন্ধ গায়েব হয়ে যাবে এবং ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হবে।

ত্বকের টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়:


টি ব্যাগ আপনি ব্যবহার করতে পারেন রূপচর্চায়ও। ত্বককে টোনিং করতে টি ব্যাগ খুব ভাল। একটি ব্যবহার করা টি ব্যাগ নিয়ে আপনার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। তারপর ত্বক শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

গাছের সার হিসেবেও টি ব্যাগ:

গাছের সার হিসেবে টি ব্যাগ খুবই ভাল। এজন্য ব্যবহৃত টি ব্যাগ থেকে চা পাতা বের করে নিন। কিছুদিন রোদে শুকিয়ে তারপর গাছের গোড়ায় দিন।

27
মুটিয়ে যাওয়া বিশেষ করে পেটের স্থূলতা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগের মধ্যে আছেন। পেটের মেদ কিভাবে কমাবেন এ ভাবনায় অনেকের ঘুম হারাম হওয়ার উপায়। তবে বিশেষ কিছু খাদ্য গ্রহণ করেই সহজে মেদ অনেকটা কমিয়ে ফেলা যায়। আজ তেমনই কয়েকটি খাদ্য উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হলো :

লেবুর জুস  : পেটের মেদ কমাতে লেবুর জুস খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস নিয়ে তাতে একটু লবণ যোগ করুন। প্রতিদিন সকালে এই জুস খেলে হজম শক্তি বাড়ার পাশাপাশি পেটের মেদ কমবে। রুটি :  মেদ কমাতে ভাত নয়, গমের তৈরি বিভিন্ন খাবার খান। এছাড়া খাবারের তালিকায় বাদামী চাল, বাদামী রুটি ও বিভিন্ন খাদ্যশস্য রাখতে পারেন।

চিনিযুক্ত খাবারকে না বলুন :
মিষ্টি, মিষ্টিজাতীয় পাণীয় এবং তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।এসব খাবার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মেদ বাড়াতে সাহায্য করে।

পানি : মেদ কমাতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পান করার বিকল্প নেই। পানি পান শুধু হজম শক্তিই বাড়াবে না, মেদ কমাতেও কাজ করবে।

কাঁচা রসুন : প্রতিদিন সকালে রসুনের ২-৩ কোয়া চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। এরপর এক গ্লাস লেবুর পানি পান করুন। এ কাজটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি শরীরের রক্ত চলাচলকেও স্বাভাবিক রাখবে।

ফাস্টফুডকে না বলুন :  পেটের মেদ কমানোর পূর্বশর্তই হলো ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা। কাজেই মেদ কমাতে আজ থেকেই এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।

ফল: প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক বাটি ফল খান। কারণ এগুলো আপনার শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ ও ভিটামিনের অভাব পূরণ করবে; যার ফলে সহজেই মেদ কমবে।

মসলাপাতি : রান্নায় দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচের মতো মসলা ব্যবহার করুন। এগুলো স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। একইসাথে এগুলো রক্তে চিনির পরিমাণও কমিয়ে দিবে।

28
Pharmacy / পেঁয়াজও খাই পাতাও চাই
« on: December 24, 2014, 12:32:52 PM »

পেঁয়াজ হয় মাটির তলায়। তবে পেঁয়াজের সবুজ পাতা মাটি ভেদ করে ওপরে উঠে আসে। তরকারিতে পেঁয়াজের পাতা মিশিয়ে দিলে স্বাদ বেড়ে যায় অনেকটা। সবজি হিসেবে এর কদরও আছে। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার নাহার আলো জানালেন, যাঁদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, তাঁরা ছাড়া বাকি সবার জন্য এটি সবজিটি উপকারী। এবার পেঁয়াজের পাতার গুণকীর্তন শুনে নেওয়া যাক।

সংক্রমণ রোধ: পেঁয়াজ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি একই সঙ্গে অ্যান্টি-হিস্টামিন গুণসমৃদ্ধ। নিয়মিত খেলে অনেক রোগ সহজেই এড়ানো যায়।

গলাব্যথায়: শীতে গলাব্যথার প্রকোপ বাড়ে। গলাব্যথা দূর করতে এবং সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে নিয়মিত পেঁয়াজ পাতা খেতে পারেন।

পা ফুলে যাওয়া: বেশি হাঁটা কিংবা পরিশ্রমে পা ফুলে যায় কখনো কখনো। পা ফোলার জন্য অনেকই ওষুধ খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তখন পেঁয়াজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে পায়ে মাখলে উপকার পাবেন।

হাড়ের ব্যথায়: যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন। বিশেষ করে অস্টিও আর্থ্রাইটিস রোগীর জন্য উপকারী এই সবজি। হাড়ের ব্যথা দূরের সঙ্গে সঙ্গে ফোলা কমাতেও সক্ষম।

চোখ ভালো রাখতে: পেঁয়াজের কলিতে থাকে লুটেইন, বিটা ক্যারোটিনের মতো প্রয়োজনীয় সব উপাদান। উপাদানগুলো চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সেই সঙ্গে চোখে ছানি পড়া রোধ করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা দূর করে।

ক্যানসার প্রতিরোধ: এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ক্যানসার প্রিভেনশনে বলা হয়েছে, যাঁরা নিয়মিত পেঁয়াজের পাতা খান, তাঁদের ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য: সাধারণ ভাইরাস দ্বারা যে রোগগুলো সচরাচর হয়ে থাকে, সেসব রোগের বিরুদ্ধে লড়ার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে সবজিটির।

রক্তের চিনি কমায়: রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য খুব উপকারী।

29
Pharmacy / Re: Popular Flavors of Teas
« on: December 22, 2014, 03:56:58 PM »
There is a spelling mistake in your topic.

30
Nutrition and Food Engineering / Re: Our bodies information
« on: December 21, 2014, 09:43:51 AM »
nice and informative post.

Pages: 1 [2] 3 4 ... 36