Daffodil International University

Educational => You need to know => Topic started by: Md. Abul Bashar on April 08, 2021, 01:06:47 PM

Title: ঘরে গাছ রাখলে কি বেশি অক্সিজেন পাওয়া যায়?
Post by: Md. Abul Bashar on April 08, 2021, 01:06:47 PM
ঘরে গাছ রাখলে কি বেশি অক্সিজেন পাওয়া যায়?

সবুজ গাছের একটা গুণ হলো, বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড নিয়ে পানি ও সূর্যের আলোর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে তার নিজের খাদ্য ও অক্সিজেন তৈরি করে। একে বলা হয় সালোক সংশ্লেষণ। এ জন্যই রোগীদের ঘরে ফুলগাছ ও নানা রকম পাতাবাহার গাছের টব রাখার চল হয়। আশা করা হয় যে গাছের অক্সিজেন বাতাস পরিশুদ্ধ করবে। কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে যে শুধু সবুজ গাছই অক্সিজেন তৈরি করে এবং এ জন্য তীব্র আলো দরকার। তাই রাতে গাছ কোনো অক্সিজেন তৈরি করতে পারে না।

রঙিন ফুল অক্সিজেন তৈরি করে না
রঙিন ফুল অক্সিজেন তৈরি করে নাপেক্সেলস
রঙিন ফুলও অক্সিজেন তৈরি করে না। সুতরাং রাতে ঘরের ফুলগাছ বাড়তি কোনো সুবিধা দেয় না। অন্যদিকে গাছ কিন্তু সব সময় শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইডও ফিরিয়ে দিচ্ছে। এর পরিমাণ খুবই কম, তাই এতে খুব একটা বিপদের ভয় নেই। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে ডাচ জীববিজ্ঞানী ইয়ান ইনঙ্গেনহৌজ সবুজ গাছ ও বাতাসের মধ্যে এই দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারটি আবিষ্কার করেন। ঘরে গাছ রাখলে কোনো উপকার পাওয়া যাবে কি না সে ব্যাপারে তিনি সন্দিহান ছিলেন। আসল ব্যাপার হলো, ফুলগাছের টবে ঘরের বাতাস খুব একটা পরিশুদ্ধ হয় না। তবে ক্ষতিও নেই।

অক্সিজেন তৈরির জন্য গাছের প্রয়োজন তীব্র আলো
অক্সিজেন তৈরির জন্য গাছের প্রয়োজন তীব্র আলোপেক্সেলস
অবশ্য কোনো ছোট ঘরে যদি অনেক গাছের টব রাখা হয় তাহলে হয়তো অক্সিজেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাঠের বড় বড় বটগাছ দিনে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বাতাসে প্রচুর অক্সিজেন দেয়। সে তুলনায় গাছের শ্বাস-প্রশ্বাসে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ অনেক কম। কিন্তু রাতে শুধু এই ক্ষতিকর গ্যাসটিই অল্প অল্প করে বাতাসে মেশে এবং এটা তুলনামূলক ভারী বলে নিচে জমা হতে থাকে। গাছ যদি খুব বড় হয় তাহলে হয়তো ভোরের দিকে সঞ্চিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কিছুটা বেশিই হয়ে যায়। এ জন্যই বড় গাছের নিচে রাতে ঘুমানো উচিত নয়। এতে শেষ রাতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এ ঘটনা থেকেই গ্রামের অনেকে বলেন, বড় বটগাছে ভূত থাকে, ওরা গলা চেপে ধরে। আসলে সেটা ওই অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইডের ব্যাপার।




Source: Prothom Alo