Daffodil International University
Faculties and Departments => Finance – Fund Management => Business Administration => Business & Entrepreneurship => Investment and Portfolio Management => Topic started by: Md. Alamgir Hossan on February 17, 2020, 10:44:55 AM
-
করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিপর্যস্ত বিশ্বের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিও। মূলত বিলাসবহুল পণ্য বাজার ক্ষতির মুখে পড়েছে। চীনা গ্রাহক কমে যাওয়ায় অন্তত চার মাস এই শিল্পের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি অনলাইন।
বিশ্বের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির আকার ২ ট্রিলিয়ন ডলারের। এই শিল্প থেকে প্রতি বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় করে যুক্তরাজ্য।
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক জেফেরিসের তথ্যমতে, চীনা গ্রাহকের ওপর এই শিল্পের ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্ভর করে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফ্লাভিও সেরেডা বলেন, একটা দুঃস্বপ্নের মতো পরিস্থিতি। গত এক দশকে চীনা ভোক্তারা এই শিল্পে তাদের প্রভাব তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন শিল্পের ৩৮ ভাগ অংশ এখন চীনের। ২০০৩ সালে সার্সের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই অবদান ছিল মাত্র ৮ শতাংশ।
আসলে গত ২৩ জানুয়ারির আগ পর্যন্ত সবকিছু চমৎকার চলছিল। এরপর থেকে পাল্টে যেতে থাকে পরিস্থিতি। সবকিছুই যেন করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে গেছে। চীনের অনেক শহরে এখন প্রবেশ বন্ধ, কোনো কোনোটি আংশিক বন্ধ। বর্তমানে দেশটির প্রায় ৬৪ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে দেড় হাজার। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় মানুষজনের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বিপণি বিতান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যে সব বিপণি বিতান খোলা রয়েছে, সেগুলোও খাঁ খাঁ করছে।
বড় বড় ফ্যাশন হাউসগুলো মুনাফা কমার আশঙ্কা করছে। এগুলোর মধ্যে আছে, বারবেরি, রালফ লরেন, কোচ অ্যান্ড কেট স্পেড, মনক্লেয়ারের মতো ফ্যাশন হাউস। ফ্লাভিও সেরেডা, ‘আমরা এর আগে এমন পরিস্থিতি আর দেখিনি। বিক্রি একদম শূন্য। এটা সবার ওপর প্রভাব ফেলছে। সেটা ছোট বা বড় ব্র্যান্ডই হোক।’ ধারণা করা হচ্ছে আগামী চার মাস আমাদের খুবই অল্প বাণিজ্য হবে। তবে অবশ্যই এই বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। আস্থা ফিরে আসতে আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত সময় লেগে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মারিয়া মারলন বলেন, ‘চীনা গ্রাহকেরা অনেক খরচ করেন। যখনই তারা যুক্তরাজ্য আসেন বিপুল পরিমাণ কেনাকাটা করেন। এমনকি চীনে বসেও যুক্তরাজ্যের ব্র্যান্ডের প্রতি আগ্রহ তাদের। এখন এসবের কিছুই হচ্ছে না। কারণ সেখানে কোনো পণ্য নেই। এমনকি পণ্য সরবরাহ করার মতোও কেউ নেই।’
ইতিমধ্যে লন্ডন ফ্যাশন উইকেও করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় এই বিলাসবহুল ফ্যাশন আসর। সেখানে চীনা ক্রেতা ও মিডিয়ার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ফলে এক-তৃতীয়াংশ বিক্রি কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন আয়োজকেরা।
এমনকি ১৮ ফেব্রুয়ারি ইতালিতে শুরু হতে যাওয়া মিলান ফ্যাশন উইকেও চীনা নাগরিকদের উপস্থিতি কম থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।