Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Namaj/Salat => Topic started by: Mrs.Anjuara Khanom on November 07, 2020, 12:48:53 PM

Title: কাজা নামাজ আদায়ে করণীয়
Post by: Mrs.Anjuara Khanom on November 07, 2020, 12:48:53 PM
যে কোনো জরুরি কারণে সময়মত নামাজ পড়তে না পারলে ঐ নামাজ অন্য নামাজের পূর্বে আদায় করাকে কাজা নামাজ বলে। কাজা নামাজ কম-বেশি হলে; সে ক্ষেত্রে আদায়ের সুবিধার্থে এ নামাজকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যা তুলে ধরা হলো-

১. ফাওয়ায়েতে কালিল
কাজা নামাজ পাঁচ ওয়াক্তের কম হলে তাকে ফাওয়ায়েতে কালিল বা অল্প কাজা বলে।

২. ফাওয়ায়েতে কাছির
বেশি কাজা। পাঁচ ওয়াক্তের অধিক নামাজ কাজা হলে; তা যত দিনের নামাজই হোক না কেন তাকে ফাওয়ায়েতে কাছির’ বা অধিক কাজা বলা হয়।

উভয় কাজা আদায়ের নিয়ম
ফাওয়ায়েতে কাজা বা অল্প কাজা নামাজ ওয়াক্তিয়া নামাজের ধারাবাহিকতায় এক সঙ্গে আদায় করা। আর ফাওয়ায়েতে কাছির বা বেশি কাজা নামাজ সকল ওয়াক্তিয়া নামাজের পূর্বে পড়া।

তবে লক্ষ্য রাখতে হবে...
ক. কাজা নামাজের র কথা ভুলে গেলে অথবা
খ. নির্ধারিত ওয়াক্তের নামাজের সময় সংকীর্ণ হলে অথবা
গ. কাজা পাঁচ ওয়াক্তের বেশি হলে কাজা নামাজ পরেও পড়া যাবে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা তার কম নামাজ না পড়ে থাকলে তা ধারাবাহিকতার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। আগের নামাজ আগে, পরের নামাজ পরে পড়তে হবে।
যেমন- কোনো ব্যক্তির ফজর এবং জোহরের নামাজ তরক হলে, আছরের নামাজ আদায়ের পূর্বে প্রথম ফজরের নামাজ কাজা আদায় করবে; অতপর জোহরের নামাজ কাজা আদায় করবে। তারপর আছরের ওয়াক্তিযা নামাজ আদায় করিবে।

মনের রাখতে হবে-
>> ফরজ নামাজের কাজা আদায় ফরজ;
>> ওয়াজিব নামাজের কাজা আদায় করা ওয়াজিব;
>> আর সুন্নাত নামাজের কাজা পড়তে হয় না। কিন্তু ফজরের সুন্নাত নামাজের কাজা আদায়
করতে হবে; সময় হলো জোহরের পূর্ব পর্যন্ত। যদি জোহরের ওয়াক্ত হয়ে যায় তবে তা আর পড়তে হবে না।

>> কাজা নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করলে ইমাম ক্বিরাআত জোরে পড়বে। তবে জোহর এবং আছরের ক্বিরাআত চুপে চুপে পড়বে।
>> এক মাস বা তার চেয়েও বেশি দিনের নামাজ কাজা হয়ে থাকলে এ নামাজের কাজা নির্ধারিত পরিমাণ সময়ে প্রতি ওয়াক্তে ধারাবাহিকতার সঙ্গে আদায় করতে হবে।
>> জীবনে যে নামাজ পড়ে নাই বা কত ওয়াক্ত নামাজ তরক হয়েছে তাহার হিসাবও নাই। সে ব্যক্তি যদি এখন সব নামাজের কাজা আদায় করতে চায়; তবে সে ব্যক্তি প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের সঙ্গে সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের কাজা আদায় করতে থাকবে। এভাবে নামাজ আদায়কে ‘ওমরি কাজা’ বলে। এ নামাজ আদায়ে অনেক সাওয়াব রয়েছে।’

যাদের নামাজ তরক হয়েছে। তাদের জন্য কাজা আদায় করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়মে কাজা নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।