Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mrs.Anjuara Khanom

Pages: 1 ... 20 21 [22] 23 24 ... 33
316
অনেকেরই নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, যা হঠাৎ করেই মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। শীতের সময় সমস্যাটি আরও বেড়ে যায়। তবে ভয়ের কিছু নেই। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। তার আগে এই সমস্যাটি কেন হয়, তা জেনে নিন।

অতিরিক্ত ঠাণ্ডা
অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় নাকে সর্দি জমে। এটা সরাতে একটু অসতর্ক হলেই নাকের রক্তনালীকে ঘিরে রাখা ঝিল্লি ফেটে যেতে পারে। আর সেখান থেকেই শুরু হতে পারে রক্তপাত। এজন্য ঠাণ্ডা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। আর ঠাণ্ডা লেগে গেলে সতর্কতার সাথে সর্দি পরিষ্কার করুন।

এলার্জি
এলার্জি সমস্যা থেকেও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। এজন্য এলার্জি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। যে অভ্যাসগুলো আপনার এলার্জি বাড়িয়ে দেয় সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

আঘাত
নাকে জোরালো আঘাত পেলে ভেতরের ঝিল্লি ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে পারে। বিশেষ করে ফুটবল, ক্রিকেট বল বা অন্য যেকোনও কিছু তীব্র গতিতে নাকে এসে পড়লে রক্তপাত শুরু হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

অস্বাভাবিক বৃদ্ধি
নাকে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বিশেষ করে টিউমার জাতীয় কিছু হলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অবশ্য নাকে টিউমার হওয়ার ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। তাই এমন কিছু হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট



317
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারজনতি কারণে নারী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ‘স্তন ক্যান্সার’ এবং দুঃখজনক হলেও সত্যি এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বলা হয়ে থাকে ‘প্রতি ৯ জনের মধ্যে ১ জন’ নারী তার জীবদ্দশায় এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। বিপজ্জনক হলেও সত্যি যে, ‘স্তন বা Breast ক্যান্সার’ প্রাথমিক পর্যায়ে  শনাক্ত করা সম্ভব হলে তা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে প্রায় সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।

দ্রুত / পূর্ব শনাক্তকরণ জীবন বাঁচায় : দ্রুততম সময়ে ও সঠিকভাবে ‘স্তন ক্যান্সার’ শনাক্তকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা যত প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার নির্ণয় করা যাবে এবং যত দ্রুত রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যাবে, ততই রোগীর রোগমুক্ত ও সুদীর্ঘ জীবনের সম্ভাবনা বাড়বে। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন সচেতন হওয়া ও স্তন ক্যান্সার এর উপসর্গ ও চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সঠিক ধারণা থাকা।

করণীয় কি : নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা (Self Breast Examination) ঃ ২০ বছর বয়সের পর থেকে প্রত্যেক নারীর উচিত নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা। যাদের নিয়মিত মাসিক হয় তারা প্রতি মাসে মাসিক শেষে এবং যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় বা যারা ঋতুজরা (Post menopausal) তারা প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট তারিখে পরীক্ষা করবেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাত দুটো প্রথমে দুই পাশে এবং কোমরে রেখে ও পরে মাথায় উপর উঠিয়ে স্তনে কোনো পরিবর্তন আছে কিনা (যেমন- আকার পরিবর্তন, চামড়ায় টোল, নিপল ভিতরে ঢুকে যাওয়া, বগলে চাকা ইত্যাদি) দেখতে হবে।

পরে শোয়া অবস্থায় ডান হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে বাম স্তন ও বাম হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে ডান স্তনে কোন চাকা আছে কিনা তা দেখতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি একজন ব্রেস্ট সার্জন বা চিকিৎসক বা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে শিখে নিন।

চিকিৎসক দ্বারা স্তন পরীক্ষা (Clinical Breast Examination) : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা স্তন পরীক্ষা করান। ২০-৪০ বছর পর্যন্ত তিন বছরে অন্তত একবার। ৪০ ঊর্ধ্ব মহিলাদের জন্য বছরে অন্তত একবার।

ইমেজিং মেমোগ্রাফি : ৪০ বছর বয়সের পর বছরে অন্তত একবার (বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত ঝুঁকিতে আছেন, যেমন স্তন বা Ovary ক্যান্সার পারিবারিক ইতিহাস আছে এমন)। ৬০ ঊর্ধ্ব বয়সের জন্য তিন বছর অন্তর একবার। আল্ট্রাসনোগ্রাফি (Ultrasonography) সারধণত ৩৫ বছরের কম বয়স্ক নারীদের করা হয়। এমআরআই (MRI) : অল্প বয়সী রোগীর পাবািরিক ইতিহাস থাকলে। ইমপ্ল্যান্ট থাকলে। নির্দিষ্ট প্রকার (Lobular Carcinoma) স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে।

বায়োপসি (Biopsy) বা এফএনএসি (FNAC)

1. Biopsy : চামড়ায় ছোট করে কেটে যন্ত্রের মাধ্যমে কয়েকটি মাংসের টুকরা নিয়ে পরীক্ষা করে ক্যান্সার রোগ নিশ্চিতভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। এই পদ্ধতি এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

2. FNAC : সুঁইয়ের মাধ্যমে রস নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে রোগ নির্ণয় সম্ভব হয় না। স্তনে চাকা হওয়া মানেই তা ক্যান্সার এমন নয়। তবে স্তনে চাকা বা পিণ্ড অনুভূত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে যারা স্তন ক্যান্সারের বেশি ঝুঁকিতে আছেন। তাই এসব বিষয় নিয়ে অবহেলা না করে আমাদের যথেষ্ঠ সচেতন হতে হবে।


ডা. আফরিন সুলতানা, সার্জারি বিশেষজ্ঞ, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।


 

318
Skin / ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ
« on: November 07, 2018, 11:03:50 AM »
ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের কারণে যে গোল গোল ছোপ পড়ে ও চুলকায়, তাকে সাধারণত দাদ বলা হয়। আমাদের সমাজে এটি খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। যেকোনো বয়সের যেকোনো মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা, আর্দ্র স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। এটি খুবই ছোঁয়াচে। মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পিঠ, হাত, পা, কুঁচকি, বগল ও শরীরের নানা ভাঁজে প্রথমে লালচে গোল গোল বা ডিম্বাকৃতির ছোপ দেখা দেয়। এর ওপর লাল আবরণ থাকে ও ভীষণ চুলকায়। এত বেশি চুলকায় যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে পারে।

টিনিয়া ইনফেকশন বা দাদ মূলত ছত্রাক সংক্রমণের কারণেই হয়ে থাকে। এটি প্রতিরোধের জন্য কিছু বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

■ পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে জামাকাপড় পাল্টে ফেলুন ও পুরোনো জামা না ধুয়ে আর পরবেন না।

■ শরীর ও বিভিন্ন ভাঁজ শুষ্ক রাখার চেষ্টা করুন। অনেকের বগল, কুঁচকি ও ভাঁজগুলো বেশি ঘেমে সব সময় ভিজে থাকে। তারা ডিওডরেন্ট, ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

■ পরিবারে কারও হলে তাকে একটু আলাদা রেখে, বিশেষ করে শিশুদের থেকে আলাদা রেখে চিকিৎসা দিন।

■ গরম, বর্ষা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় প্রতিদিন গোসল করুন। পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকুন।

দাদ হলে নানা ধরনের ছত্রাকবিরোধী মলম ও ওষুধ ব্যবহার করা যায়। তবে অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করতে হবে। কেননা দোকান থেকে অনেকেই স্টেরয়েডমিশ্রিত মলম কিনে লাগান। এতে ছত্রাক সংক্রমণ কেবল বেড়েই যায় তা নয়, সেই ছত্রাক ওষুধ প্রতিরোধীও হয়ে ওঠে। দোকান থেকে না বুঝে যে কোনো অ্যান্টি–ফাংগাল মলম বা ওষুধ খাবার প্রবণতা, ওষুধ সঠিক মাত্রায় সঠিক মেয়াদে ব্যবহার না করা এর প্রধান কারণ। ওষুধ প্রতিরোধী সংক্রমণ হলে বিভিন্ন আধুনিক চিকিৎসা নিতে হয় যা ব্যয়সাপেক্ষ। তাই দাদ বা ছত্রাক সংক্রমণকে অবহেলা করবেন না, পরিবারে কারও দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

ডা. মো. আসিফুজ্জামান, চর্ম বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ

 

319
Life Style / ভিটামিন ডি-এর উপকারিতা
« on: November 01, 2018, 12:08:20 PM »
আমাদের শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদানের মধ্যে একটি হলো ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস (হাড় বাঁকা), অস্টিও মেলাশিয়া, বয়স্কদের হাড় ক্ষয় ইত্যাদি হয়ে থাকে। ভিটামিন ডি সূর্যের আলোক রশ্মির উপস্থিতিতে মানবদেহের চর্মে উৎপন্ন হয়। এছাড়া ভোজ্য তেল, দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, বিভিন্ন মাছের তেল, ডিমের কুসুম, মাখন, ঘি, চর্বি ও মাংসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি অস্থি ও দাঁতের কাঠামো গঠন করে।
 
অন্ত্রে ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায়, রক্ত প্রবাহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন ডি আগামী প্রজন্মের (শিশুদের) ভ্রূণ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অভাবে শিশুদের হাড় নরম হয়ে যায় ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
 
পায়ের হাড় ধনুকের মত বেঁকে যায়, হাত ও পায়ে অস্থিসন্ধি বা গিট ফুলে যায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ বিঘ্ন ঘটে, থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের পরিবর্তন ঘটে, অস্থি দুর্বল ও কাঠিন্য কমে যায়। ফলে হালকা আঘাতে অস্থি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
 
ভিটামিন ডি-এর অভাব প্রতিরোধ করতে শিশুকে প্রতিদিন ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। পাশাপাশি শিশুকে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের নরম আলোয় বিশেষ করে সকাল ও বিকাল বেলা খেলাধুলা করতে দিতে হবে। এছাড়া শিশুদের পাশাপাশি বড়দের সূর্যের আলোয় প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট থাকতে হবে ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। উপরোক্ত কোন লক্ষণ দেখা গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
 
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ
 








320
স্বাভাবিক চোখ, ছানি পড়া চোখস্বাভাবিক চোখ, ছানি পড়া চোখ* ছানি দেখা দিলে কখন অস্ত্রোপচার করতে হবে তা নির্ভর করে রোগীর পেশাগত প্রয়োজনের ওপর
* অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়াতে অস্ত্রোপচারে অবহেলা করা যাবে না

চোখের লেন্স ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার নাম হলো ছানি পড়া। ইংরেজিতে একে ক্যাটারেক্ট বলা হয়। এই ছানি সম্পর্কে আমাদের কমবেশি ভুল ধারণা আছে।

বুড়ো হলেই না চোখে ছানি পড়ার কথা—এমন ধারণা অনেকেরই আছে। আসলে তা ঠিক নয়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অপেক্ষাকৃত কম বয়সে ছানি হতে দেখা যায়। এমনকি ছানি হতে পারে ছোটদেরও। গর্ভবতী মায়ের কিছু জীবাণু সংক্রমণ হলে সন্তানের চোখে ছানি থাকতে পারে জন্ম থেকেই। গর্ভবতী মায়ের গর্ভধারণের তিন মাসের মধ্যে এক্স-রের মতো কোনো বিকিরণ রশ্মির সংস্পর্শে এলেও গর্ভের সন্তানের জন্মগত ছানির ঝুঁকি থাকে। ছোটদের বা বড়দের চোখে মারাত্মক আঘাত থেকে ছানি হতে পারে। ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করেন কিংবা বিকিরণ এলাকায় কাজ করেন, এমন ব্যক্তির ছানি হওয়ার ঝুঁকি যেকোনো বয়সে।

ছানি পাকলে তবেই না অস্ত্রোপচার

ছানি দেখা দিলে কখন অস্ত্রোপচার করতে হবে সেটি নির্ভর করে রোগীর পেশাগত প্রয়োজনের ওপর। অনেকে মনে করেন, নির্দিষ্ট সময় না পেরোলে বা ভালো করে ছানি না পাকলে অস্ত্রোপচার করানো যাবে না। এমন ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। প্রয়োজনে যেকোনো সময় ছানির অস্ত্রোপচার করানো যেতে পারে। যেমন, শিক্ষক বা নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহারকারী ব্যক্তির দ্রুত অস্ত্রোপচার করানোটা পেশাগত প্রয়োজন। অন্যান্য পেশাজীবী, যাঁদের প্রতিনিয়ত খাতা-কলম, কম্পিউটার বা সুই-সুতা ব্যবহার অথবা অন্য কোনো সূক্ষ্ম কাজ করতে হয় না, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় অপেক্ষা করা যেতে পারে। তবে কখন অস্ত্রোপচার করা নিরাপদ, সেটি চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছানির অবস্থা দেখে বলে দেবেন। অতিরিক্ত দেরি হয়ে গেলে ছানিজনিত জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন: গ্লুকোমা ও লেন্স ডিজলোকেশন বা চোখের লেন্স নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরে যাওয়া, দৃষ্টি হারানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

ছানি কাটলে আর চশমা লাগার কথা নয়

সঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার করানো সত্ত্বেও অবশ্য শুধু কাছের জিনিস দেখার জন্য চশমা ব্যবহার করতে হতে পারে। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়াতে অস্ত্রোপচারে অবহেলা করা যাবে না কোনোভাবেই। অবশ্য আজকাল অস্ত্রোপচারে উন্নতমানের লেন্স ব্যবহার সাপেক্ষে অস্ত্রোপচার–পরবর্তী সময়ে চশমার আর প্রয়োজন পড়ে না। তবে সেটি বেশ খরচসাপেক্ষ।

সাবেক বিভাগীয় প্রধান, চক্ষু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

321
ফ্যাটি লিভার ডিজিস একটি জটিল রোগ। বর্তমানে ফ্যাটি লিভার অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করছে। লিভার ৫ শতাংশ পর্যন্ত চর্বি দাহ্য করতে পারে। তবে লিভারে যদি ৫ শতাংশের বেশি চর্বি জমে থাকে, এটা ধীরে ধীরে ফ্যাটি লিভারে রূপান্তর হয়। এই লিভারে চর্বি জমে যখন লিভারের কার্যক্ষমতা কিছুটা নষ্ট করে দেয়, তখন লিভার এনজাইমগুলো বেশি হয়ে যায়।

তবে ওষুধ না খেয়েও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন এর ঘরোয়া চিকিৎসা।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার : এটি চর্বি কমিয়ে যকৃতের ওজন কমানোর মাধ্যমে আপনার লিভারকে সুস্থ রাখে। হালকা গরম জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার যোগ করে খাবার আগে দু বার খান। 

গ্রিন টি :  গ্রিন টি-তে থাকে কেটেচিনস যা লিভারের উন্নতিতে সহায়ক। নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করে এই গ্রিন টি। নিয়মিতভাবে ৩ থেকে ৪ কাপ গ্রিন টি খান।

পাতিলেবু : পাতিলেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা লিভারের বিষক্রিয়াকে দুর করে। রোজ এক গ্লাস পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে টানা কয়েক সপ্তাহ খেয়ে দেখুন লিভারের ফ্যাট কমতে বাধ্য। 

হলুদ :  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তো রয়েছেই। সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের জন্যও খুব ভাল। এক গ্লাস পানিতে হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত দু-বার খান। সপ্তাহ দুয়েক পরই হাতেনাতে ফল পাবেন।

আদা : অতিরিক্ত ফ্যাট থেকে লিভারকে বাঁচাতে আদা খুবই কার্যকরী। এক চামচ আদা বাটা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। সপ্তাহ দু'য়েক খেলেই বুঝতে পারবেন।

বিডি-প্রতিদিন/

322
ধু-ধু রোদে পুড়ছে বালি। সূর্য হুল ফোটাচ্ছে যেন। ছেলেরা ছোটাছুটি খেলছে। হঠাৎ থেমে গেল সবাই। গায়ে ইয়া বড় জুব্বা। ঢাউস পাগড়ি মাথায়।

এ পথেই আসছেন তিনি। চল পালাই। সুদখোর আসছে। ওকে দেখলে অমঙ্গল হবে। বলেই দৌড়াল।

সুদখোরের নিন্দা শুনে ব্যথা পেল হাবিব। ফেটে যেতে চাইল হৃদয়। ভারি মন খারাপ হল তার। চিন্তিত মনে এক পাওনাদারের বাড়ি গেলেন। আজ কিস্তি পরিশোধের তারিখ। বাড়িওয়ালা কাজে গেছেন।

বউ ঘর থেকে বললেন, সুদ দেয়ার মতো কিছু নেই। আছে একটা ছাগলের মাথা। চাইলে তাই সুদের বদলে দিতে পারি। মহাজন চান সময়মতো কিস্তি। খুশি মনে তিনি ছাগলমুণ্ড হাতেই ঘরে এলেন। বেশ মজা করে খাওয়া যাবে। বউকে রাঁধতে বলে গোসলে গেলেন। সেদিন মসলাপাতিও কিনেছিলেন কিস্তির সুদের টাকায়।

মৌ মৌ খুশবু ছড়িয়ে রান্না হচ্ছে ছাগলমুণ্ড। তর সইছে না আর। দস্তরখানা পেতে অপেক্ষা করছে খাওয়ার। এক ভিখারি এলো হঠাৎ। খিদে পেয়েছে, কিছু খাবার দেবেন। আবদার এলো বাইরে থেকে।

খিদে পেয়ে চো চো করছিল হাবিবের পেট। ভিখারিকে ধমকালেন। এখানে কিছু মিলবে না। চলে যাও বলছি। যে খাবার আছে, তোমাকে দিলে আমরা নিন্দিত হব। খিদে পেটে বিদায় নিল ভিখারি।

এ সময় রান্নাঘর থেকে হন্তদন্ত ছুটে এলো বউ। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, ওগো দেখে যাও। মাংসের হাঁড়ি রক্তে ভরে গেছে। হায়! কী দুর্ভাগ্য আমাদের। হাঁড়িভর্তি ফুটন্ত রক্ত দেখে ভেঙে পড়লেন হাবিব। সুদের কারবারেই এমন হয়েছে ভাবলেন।

আজ থেকে আর ঋণ দিয়ে সুদ নেবেন না। ছুটে গেলেন হোসাইন দরবেশের খানকায়। তার উপদেশে মন প্রশান্ত হল। পরিবর্তন এলো জীবনে। অনুতপ্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে লাগলেন। এক দেনাদার তাকে দেখে অন্যপথ খুঁজল ভয়ে।

ও ভাই, পালিও না তুমি। হাবিব এগোল তার দিকে। আজ তোমার পালানোর প্রয়োজন দেখছি না। বরং আজ আমারই পালান উচিত। বলেই তিনি ঘুর পথে বাড়ি যেতে লাগলেন। ছোটাছুটি খেলার সেই ছেলেরা বলল, পবিত্র আত্মার হাবিব আসছেন।

আমাদের পাপ শরীর যেন তাকে কলুষিত না করে। চলো দূরে সরে যাই। মাবুদের কাছে আমরা দোষী হব তার সঙ্গে বেয়াদবি হলে। বিস্ময়ে সিজদায় লুটিয়ে পড়ল হাবিব। হে আমার মাবুদ তোমার সঙ্গে ভাব হয়েছে মাত্র একদিন। এতেই তোমার ফেরেশতাদের মনে প্রভাব ঢেলে দিয়েছ? এরপর হাবিব ঋণে বন্ধকী সব কিছু মালিকদের বুজিয়ে দিয়ে মুক্ত হলেন।

আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে কিছু দিন। এক ভিখারি এলো। হাবিব গায়ের জামা দিলেন ভিখারিকে। অন্য এক ভিখারি এসে আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু চাইল। তাকে দিলেন বউয়ের পরনের কাপড়।

ঘরের সব বিলিয়ে সুখী হলেন হাবিব। ফোরাতের নির্জন তীরে গড়লেন এক সাধনার ঘর। দিবস কাটান হোসাইন বসরির কাছে তালিম নিয়ে। রাত যাপন করেন একান্তে সিজদায়। বেশ কদিন খিদে সইলেন ঘরের বউ। একদিন বললেন, কিছু আনো রান্না করব। কাজ করতে যাচ্ছি।

কিছু হলেই পাঠিয়ে দেব। বলেই হাবিব দ্রুত পায়ে বেরিয়ে পড়েন। দিন শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যা নামে। হাবিব ঘরে ফেরেন। বউ খাবারের কথা বলে। উত্তরে হাবিব বলে যার কাজ করি উদার খুব তিনি।

তার কাছে কিছু চাইতে বড় লজ্জা করে আমার। যথাসময় সব বুঝিয়ে দেবেন তিনি। প্রতি ১০ দিনে পারিশ্রমিক দান করেন। এসব বলে ভোরের আলোয় ফোরাতের সাধনা ঘরে চলে যান।

দিনভর ইবাদত-বন্দেগি করে ঘরে ফেরেন সূর্যি ডুবলে। ৯ দিন পার হল এভাবে। ১০ম দিনও কাটল। আজ কী নিয়ে ঘরে ফিরব? এ চিন্তায়। সন্ধ্যায় অনেক সংকোচে ঘরে ফিরতে লাগলেন হাবিব। ভাবলেন সন্ধ্যার আঁধার আমাকে ঢেকে দিলে কত না ভালো হতো। ঘরের কাছে এসে থমকে দাঁড়ালেন। বাহারি খাবারের সুবাস আসছে তারই ঘর থেকে। ধীর পায়ে এগোলেন ঘরের দিকে।

হাবিবকে দেখেই ছুটে এলেন বউ। খুশি ছড়িয়ে বললেন, তুমি যার কাজ করছ বড় ভালো খুবই দয়াবান লোক তিনি। এক ভার মধু, ভারভর্তি ঘি, এক ভার ফলমূল ও অন্যান্য খাদ্য দিয়ে এক যুবককে পাঠিয়েছেন তিনি।

সঙ্গে দিয়েছেন এক থলি তামার মুদ্রা। ওই যুবকটিকে তোমার মনিব বলতে বলেছেন, যত বেশি মনিবের সেবা করবে তত বেশি পারিশ্রমিক পাবে হাবিব। সব শুনে হাবিব বললেন মনে মনে, হে আমার মাবুদ! ১০ দিন মাত্র তোমাকে ডাকলাম, এতেই তুমি এত দিলে।

হায়! জীবন ভর যদি বন্দেগি করতাম তাহলে তুমি কী জানি দিতে! বউকে ধরে শুকরিয়ার কান্না কাঁদলেন। তারপর সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন। এভাবেই মাবুদের সঙ্গে ভাব হল হাবিবের।

একদিন হল কী। মাগরিব ওয়াক্তে হোসাইন বসরি এলেন। হাবিব আজমি নামাজে ছিলেন। তিনিও তার পেছনে দাঁড়িয়ে গেলেন। ইমামের কেরাতে উচ্চারণ শুদ্ধ হচ্ছে না ভেবে তিনি একাকী নামাজ আদায় করলেন।

সে রাতে স্বপ্নে তিনি মাবুদকে দেখলেন। জিজ্ঞেস করলেন, হে মাবুদ তুমি কিসে খুশি? মাবুদ বললেন, আমি তোমার প্রতি খুশি ছিলাম। সে খুশি ধরে রাখতে পারনি তুমি। হোসাইন বসরি কান্না কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, মাবুদ গো কী অপরাধ আমি করেছি।

মাবুদ বললেন, তুমি হাবিব আজমির ইমামতি মেনে নাওনি। তুমি তার উচ্চারণে শুদ্ধতা খুঁজেছ। তার বিশুদ্ধ হৃদয়ের সহি নিয়ত দেখতে পাওনি। শুদ্ধ তেলাওয়াতের চেয়ে পরিশুদ্ধ হৃদয় আমি পছন্দ করি।

প্রেমভাবে মাঝে মাঝেই কাঁদতেন হাবিব আজমি। কেঁদে কেঁদে দেওয়ানা হয়ে বলতেন। হে মাবুদ, যে হৃদয়ে তোমার প্রেম নেই, সে হৃদয় প্রেমশূন্য করে দাও। কোরআন পাঠ হলে হাবিব কেঁদে কেঁদে বেহুশ হয়ে যেতেন।

তার কান্না দেখে মানুষ বলত, ভিন্নভাষী তুমি। কোরআন তো বোঝ না। এত কান্না তোমার কীভাবে আসে। কেঁদে কেঁদেই হাবিব উত্তর দেন। জিহ্বা আমার ভিন্নভাষী। হৃদয় যে আমার আরবি। জগতের সৃষ্টা মাবুদ।

তিনি মানবের শরীর দেখেন না। দেখেন হৃদয়। তিনি বলেছেন, আমি মুমিন বান্দার হৃদয়ে বসত করি। আমরা যদি ছেলেবেলা থেকেই হৃদয়কে পবিত্র রাখি। তবেই দুই জীবনে মাবুদের বন্ধুত্ব পাব।

পৃথিবীখ্যাত সুফি গ্রন্থ তাজকিরাতুল আউয়ালিয়ার ভাব নিয়ে

লেখক : সাংবাদিক, শিশু সাহিত্যিক

323
Fashion / মেদ ঝরাবে আদা ও লেবু
« on: September 25, 2018, 12:06:54 PM »
ওজন কমানোর মিশনে বরাবরই বিভিন্ন মানুষের বিশাল তালিকা দেখা যায়। ওজন কমানো যেন নয়, ছোটখাটো এক যুদ্ধ। বেশিরভাগ মানুষের কাছেই শোনা যায়, অনেক কম খেয়েও তাদের ওজন বৃদ্ধি পায়। অনেকে দিনের পর দিন না খেয়ে থাকে তারপরও কোন পার্থক্য দেখা যায় না।

তবে এবার পার্থক্য আপনি নিজে নিজে বুঝতে পারবেন। মাত্র এক কাপ পানি প্রতিদিন পান করার ফলে আপনার পেট এক ইঞ্চি করে কমে যাবে। এই যাদুকরী পানীয় তৈরি করতে মাত্র দুইটি উপকরণের প্রয়োজন হবে।

আদা ও লেবুর মিশ্রণ আপনার ওজন কমিয়ে আনবে যাদুকরী উপায়ে। প্রথমে আদার ছোট ছোট টুকরা করে আধা ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানির সঙ্গে আরও পানি মিশিয়ে একটি সম্পূর্ণ লেবু কয়েক টুকরো করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর সারাদিন এই পানি প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় পান করুন। এতে আপনার ওজন কমার পাশাপাশি শরীরও ডিটক্স থাকবে। ঝর ঝর করে ঝরতে থাকবে মেদ!


বিডি প্রতিদিন/২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

324
Life Style / কিডনি ভালো রাখতে করণীয়
« on: September 23, 2018, 02:27:26 PM »
কিডনি শরীরের অন্যতম একটি অঙ্গ। কিডনি শরীরে অনেক কাজ করে। তবে মূল যে কাজগুলো করে তা হলো গোটা শরীরের পিএইচ। অর্থাৎ অম্ল ও ক্ষারের মাত্রার একটা ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য বের করে দেয়।

প্রতিদিনের বেশকিছু সাধারণ ভুলে এই অঙ্গের ক্ষতি হয় নানাভাবে। অনেক সময়ই আমরা যেসব ভুল করি, তা পরবর্তীকালে কঠিন রোগের আকার নেয়। ফলে প্রথম থেকেই নিয়ম মেনে চলা খুব দরকার।

মদ্যপান লিভারের ক্ষতি করে— এ কথা আমরা সবাই জানি। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলা আবশ্যিক। কিন্তু তার বাইরেও আমাদের বেশকিছু অভ্যাস লিভারকে অসুস্থ করে তোলে।

আসুন জেনে নেই কিডনি ভালো রাখতে করণীয়।

পানি

কিডনিকে ভালো রাখতে খুব প্রয়োজন পানির। শরীর অনুযায়ী পানি কতটা প্রয়োজন, তার পরামর্শ নিন চিকিৎসকের কাছে। সেই অনুযায়ী পানি খান প্রতিদিন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি না খেলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে এবং কিডনি তার সাধারণ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এছাড়া শীতকালেও পানি খাওয়ার পরিমাণ কমাবেন না। তৃষ্ণা না পেলেও সময় ধরে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

পেইন কিলার

সামান্য ব্যথা হলেই পেইন কিলার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা ত্যাগ করুন। কিডনির কোষের অতিরিক্ত ক্ষতি করে পেইন কিলার। ব্যথা একান্ত অসহ্য হলে তবেই তা খান।

লবণ

খাওয়ার পাতে লবণ খান খুব? এ অভ্যাসে রাশ টানুন আজই। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীর থেকে বের করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবণের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি।

প্রস্রাব আটকে রাখা

সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করতে চান না, তাই বাইরে বেরোলে আটকে রাখেন প্রস্রাব? এমন অভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। অনেকক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে তা কিডনিতে চাপ তো ফেলেই, এমনকি, চিকিৎসকদের মতে, এমন অভ্যাস দীর্ঘদিন ধরে বজায় রাখলে অচিরেই নষ্ট হতে পারে কিডনি।

মাংস না খেয়ে মাছ-শাকসব্জির খান। চর্বি কিডনির জন্য খুব ক্ষতিকারক। মাংসের ফাইবারও পরিমাণে বেশি হলে তা কিডনির ওপর চাপ ফেলে। তাই ঘন ঘন মাংস খাওয়ার প্রবণতা থাকলে তা কমান, খেলেও খুব পরিমাণ মেপে খান।

Source:https://www.jugantor.com/lifestyle/93078

325
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল বয়সের মানুষের এক বড় সমস্যা পেটের মেদ। অফিসে কাজের জন্য হোক কিংবা সন্তান জন্মদান-যেকোনো কারণেই হতে পারে এই মেদের সমস্যা। শত চেষ্টা করে, ডায়েট প্ল্যান করে কিংবা ব্যায়াম করেও যেন কমানো যায় না এই পেটের মেদ। তাই রোজকার রুটিনে কিছু কাজ বা অভ্যাস যোগ করলে সহজেই দূরে থাকতে পারেন এই সমস্যা থেকে।
 
সকালের নাস্তায় আটার রুটির পরিবর্তে ওটমিল খাওয়া শুরু করুন। সাথে কোন ফল রাখুন প্রতিদিন। ওটমিলে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার যা পেটের মেদ ঝরাতে অতি কার্যকর। তাই রোজ নাস্তার টেবিলে ওটমিল খেতে পারেন কোন সবজি অথবা ফলের সাথে।
 
প্রতিদিন অন্তত দুই কাপ গ্রিন টি পান করুন। গ্রিন টিতে আছে চর্বি পোড়ানোর উপাদান যা অতিরিক্ত চর্বি অ্যাবসোরব হতে দেয় না। তাই চর্বি জমে মেদ হওয়ার সুযোগ থাকে না।
 
খাদ্য তালিকায় কর্বোহাইড্রেট কিংবা চিনি জাতীয় খাবারগুলো অর্ধেক পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। প্রোটিন এবং ফাইবার সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করুন। কার্বোহাইড্রেট এর মধ্যে লাল চাল কিংবা লাল আটা গ্রহণ করতে পারেন।
 
দিনের যেকোনো সময় অল্প ক্ষুধা মেটাতে টকদই খেতে পারেন। টকদই ফলের সাথে আপনার ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং ভোরে উঠুন। যাদের রাত জাগার অভ্যাস আছে তাদের পেটে মেদ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সেই সাথে স্ট্রেস ফ্রি জীবন যাপনের চেষ্টা করুন।
 
ইত্তেফাক/

326
পিসিকে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে মুক্ত রাখার চ্যালেঞ্জের সাথে আধুনিক সময়ের নতুন চ্যালেঞ্জ স্মার্টফোনকে ম্যালওয়্যার থেকে মুক্ত রাখা। বিশেষ করে পিসির পাশাপাশি এখন সাইবার অপরাধীদের দৃষ্টি স্মার্টফোনের দিকে একটু বেশিই—এমনটিই বলছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। তাই স্মার্টফোনকে ম্যালওয়্যার থেকে মুক্ত রাখতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন সকলেই। সহজ তিনটি অভ্যাস এক্ষেত্রে আপনার সহায়ক হতে পারে। লিখেছেন উম্মে হাবিবা
 
স্মার্টফোনের ব্যবহার যে হারে দিন দিন বাড়ছে, সেই হারে বাড়ছে স্মার্টফোনের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ম্যালওয়্যারের পরিমাণ। স্মার্টফোনগুলোর বিভিন্ন অ্যাপসের ছদ্মবেশেই মূলত এসব ম্যালওয়্যার হাজির হয়ে থাকে। বর্তমানে ৫০ লাখেরও বেশি এমন ম্যালওয়্যার অ্যাপস রয়েছে বলে জানাচ্ছে প্রযুক্তি নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকআফি। আরেক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিম্যানটেক জানাচ্ছে, মোবাইল অ্যাপসের ছয় ভাগের এক ভাগই ম্যালওয়্যার। এমন পরিস্থিতিতে যে কেউই চমকপ্রদ কোনো অ্যাপস নিজের মোবাইলে ইন্সটল করে নিলে সেটি যে ম্যালওয়্যার নয়, তার নিশ্চয়তা দেওয়া মুশকিল। বিশেষ করে ম্যালওয়্যারগুলো আবার একটু বেশি চমকপ্রদ অ্যাপসের ছদ্মবেশ ধরতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
 
সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের আতংকিত করার মতো এই চিত্রের বিপরীতে ম্যালওয়্যার থেকে স্মার্টফোনকে নিরাপদে রাখার প্রচেষ্টাও আশাবাদী হওয়ার মতোই। স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতা শীর্ষ দুই কোম্পানি অ্যাপল (আইওএস) এবং গুগল (অ্যান্ড্রয়েড) বলছে, তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে স্ক্যান করা অ্যাপসগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং তাদের স্ক্যান করা অ্যাপসগুলো নির্ভরতার সাথেই ইনস্টল করে নিতে পারেন ব্যবহারকারীরা। প্রযুক্তি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই কথাই বলছেন। থার্ড-পার্টি অ্যাপস ব্যবহারে বাড়তি সতর্কতা এক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে অনেকটাই সহায়তা করবে বলে মন্তব্য তাদের। তাদের মন্তব্য, পরামর্শের ভিত্তিতেই ম্যালওয়্যার থেকে স্মার্টফোনকে মুক্ত রাখার জন্য সহজ তিনটি উপায় পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো এই লেখার মাধ্যমে।
 
অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করুন
 
অ্যাপস ডাউনলোড করতে গিয়ে যাতে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করে না বসেন, তা নিশ্চিত করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করা। গুগলের গুগল প্লেস্টোর কিংবা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরই এক্ষেত্রে হতে পারে সহায়। এই দুই অ্যাপ স্টোরে থাকা অ্যাপসগুলোকে নিয়মিত বিরতিতে স্ক্যান করে থাকে অ্যাপল এবং গুগল। যেকোনো সময় কোনো অ্যাপে সন্দেহজনক গতিবিধি দেখা গেলে সেটিকে সরিয়েও ফেলা হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে। এসব অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোরের বদলে অন্য কোনো অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপস ইনস্টল করতে গেলে তা পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করবে না। অনেক অ্যাপ স্টোরেই গুগল প্লেস্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের মতো শক্তিশালী স্ক্যানিং ব্যবস্থাই নেই। সাইবার অপরাধীরা থার্ড-পার্টি অ্যাপ স্টোরের এসব দুর্বলতা কাজে লাগিয়েই অ্যাপসের মধ্যে ম্যালওয়্যার উপাদানগুলো প্রবেশ করিয়ে থাকে। কাজেই অ্যাপস ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলে তা ম্যালওয়্যার থেকে স্মার্টফোনকে মুক্ত রাখতে যথেষ্টই সহায়তা করবে।
 
জেলব্রেক করবেন না
 
প্রতিটি স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্মাতাদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের ফিচার বিল্ট-ইন হিসেবে দেওয়া থাকে। এই নিরাপত্তা বলয়ের কারণে অবিশ্বস্ত বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত অ্যাপস ইনস্টল কিংবা নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক কাজই করা সম্ভব হয় না। ফলে অনেকেই স্মার্টফোনের এই বিল্ট-ইন নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ফোনকে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করে থাকেন। এই প্রক্রিয়াটি জেলব্রেকিং নামে পরিচিত। কোনো ফোনকে জেলব্রেক করা হলেও ওই ফোনের ডাটা বা অন্য বিষয়গুলোর নিরাপত্তার জন্য ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণরূপে নিজের ওপর নির্ভর করতে হয়। সেক্ষেত্রে এই বিষয়ক কারিগরি জ্ঞানে সমৃদ্ধ না হলেও নিরাপত্তা নিয়ে শংকা থেকেই যাবে। এই সুযোগে অনেক ম্যালওয়্যার আপনার অগোচরেই প্রবেশ করতে পারে স্মার্টফোনে। তাই জেলব্রেক করার আগে আরেকবার ভেবে নিন—নিরাপত্তার সাথে আপোষ করতে রাজি রয়েছেন কি-না। নিরাপত্তাকেই যদি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে চান, সেক্ষেত্রে জেলব্রেক না করাটাই সমীচীন হবে।
 
আপডেট থাকুন
 
স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে ইনস্টল করা অ্যাপস—সবকিছুকেই নিয়মিত আপডেট রাখার চেষ্টা করুন। ম্যালওয়্যার নিয়ে যারা কাজ করে থাকে, তারা সবসময়ই চেষ্টা করে অপারেটিং সিস্টেম বা বিদ্যমান কোনো অ্যাপসের মধ্যে ফাঁক-ফোকড় বের করার। আর সেটা করতে পারলেই ম্যালওয়্যারকে ছড়িয়ে দেওয়া তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। সেটা তারা নিয়মিতই করে থাকে। সাইবার অপরাধীদের এই প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে অবশ্য বসে থাকে না অপারেটিং সিস্টেম বা অ্যাপ নির্মাতারা। তারাও যেকোনো সময় অপারেটিং সিস্টেম বা অ্যাপে কোনো ধরনের দুর্বলতা বা ত্রুটি দেখলে সাথে সাথে সেটার সমাধান বের করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে। নতুন নতুন আপডেট বা প্যাচের মাধ্যমে হাজির হয় যেকোনো ত্রুটির সমাধান। আবার হ্যাকারদের আক্রমণে কোনো অ্যাপ বা অপারেটিং সিস্টেমে ঝুঁকি তৈরি হলে তারও সমাধান নিয়ে হাজির হয় আপডেট। এগুলো তাই নিয়মিত ইনস্টল করে নিতে হবে। অপারেটিং সিস্টেম বা অ্যাপকে আপডেট রাখতে পারলে তাই আপনার স্মার্টফোনকে ম্যালওয়্যার থেকে মুক্ত রাখার পথে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবেন। এছাড়াও নতুন আপডেট থেকে উপভোগ করতে পারবেন নতুন নতন ফিচার ও ব্যবহার সুবিধা।
 
 
ইত্তেফাক/ইউবি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং

 

327
বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়। কোথাও তীব্রতা বেশি, কোথাও কম। তবে যেমনই হোক, ভূমিকম্প হলো মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা। যেন মানুষ তাওবা করে মহান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে। নিজেদের আচার-আচরণ শুধরে নেয়। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দোয়া করে। আল্লাহকে অনেক বেশি স্মরণ করে এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রিখটার স্কেল অনুযায়ী ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হওয়া এই ভূমিকম্পে রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও পঞ্চগড়ে কম্পন হয়।
বুয়েটের গবেষকদের প্রস্তুতকৃত ভূকম্পন-এলাকাভিত্তিক মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩% এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১% এলাকা মধ্যম (জোন-২) এবং ১৬% এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে। অথচ ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ভূকম্পন মানচিত্রে ২৬% উচ্চ, ৩৮% মধ্যম এবং ৩৬% নিম্ন ঝুঁকিতে ছিল।

মানচিত্র অনুযায়ী মাত্রাভেদে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অবস্থান নিম্নরূপ
জোন-১ : পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পূর্ণ অংশ, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের অংশবিশেষ।
জোন-২ : রাজশাহী, নাটোর, মাগুরা, মেহেরপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও ঢাকা।
জোন-৩ : বরিশাল, পটুয়াখালী, এবং সব দ্বীপ ও চর।
তবে দেখা যাচ্ছে, ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভূমিকম্পের হার বেড়ে গেছে। ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। কেবল তাই নয়, গবেষকরা জানিয়েছেন, যেকোনো সময় বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে বলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ভূমিকম্প হওয়ার কারণ
প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ মানুষের অপকর্ম। এগুলোর পথ ধরেই মানুষ কিয়ামতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সতর্ক করে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে। কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে, কিন্তু তা আত্মসাত করা হবে (অর্থাৎ যার সম্পদ সে আর ফেরত পাবে না)। জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে। ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা হবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রীর বাধ্যগত হয়ে মায়ের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবে। বন্ধুকে কাছে টেনে নেবে আর পিতাকে দূরে সরিয়ে দেবে। মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল (কথাবার্ত) হবে। যখন সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসক রূপে আবির্ভূত হবে। সে সময় তোমরা অপেক্ষা করো— রক্তিম বর্ণের ঝড়ের (এসিড বৃষ্টি), ভূকম্পনের, ভূমিধসের, রূপ বিকৃতির (লিঙ্গ পরিবর্তন), পাথর বৃষ্টির এবং সুতো ছেঁড়া (তাসবিহ) দানার ন্যায় একটির পর একটি নিদর্শনগুলোর জন্য।’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১৪৪৭)

আল্লামা ইবনু কাইয়িম (রহ.) বলেন, মহান আল্লাহ মাঝে মাঝে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে ওঠার অনুমতি দেন। ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তখন এই ভূমিকম্প মানুষকে ভীত করে। তারা মহান আল্লাহর নিকট তাওবা করে, পাপ কর্ম ছেড়ে দেয়, আল্লাহর প্রতি ধাবিত হয় এবং তাদের কৃত পাপ কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মোনাজাত করে। আগেকার যুগে যখন ভূমিকম্প হতো, তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকেরা বলতো, ‘মহান আল্লাহ আমাদেরকে সতর্ক করেছেন।’

ভূমিকম্প বিষয়ে পবিত্র কোরআনের ‘যিলযাল’ নামে স্বতন্ত্র একটি সুরা নাযিল করা হয়েছে। মানুষ শুধু কোনো ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয় এবং ভূতত্ত্ববিজ্ঞানও এই কার্যকারণ সম্পর্কেই আলোচনা করে থাকে।

ভূতত্ত্ববিজ্ঞান বলে, ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূপৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এমন আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প (Earthquake) বলে। সাধারণত তিনটি কারণে ভূমিকম্পের উত্পত্তি হয়ে থাকে—ভূপৃষ্ঠজনিত, আগ্নেয়গিরিজনিত ও শিলাচ্যুতিজনিত কারণে ভূমিকম্প হয়।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি ভয় দেখানোর জন্যই (তাদের কাছে আজাবের) নিদর্শনগুলো পাঠাই।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত নং : ৫৯)। আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, “বলে দাও, ‘আল্লাহ তোমাদের ওপর থেকে অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম।’ (সুরা আনআম, আয়াত নং : ৬৫)

বুখারি শরিফে আছে, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম’ আয়াতটি নাজিল হলো, তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ ”(বুখারি)
শায়খ ইস্পাহানি (রহ.) এই আয়াতের তাফসির করে বলেন, ‘এর ব্যাখ্যা হলো, ভূমিকম্প ও ভূমিধসের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া (পৃথিবীতে ভূমিকম্প হওয়া)।’

ভূমিকম্প কেয়ামতের একটি আলামত
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং খুনখারাবি বাড়বে, তোমাদের সম্পদ এতো বাড়বে যে, উপচে পড়বে। (বোখারি, হাদিস নং : ৯৭৯)

বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প ঘটছে, তা মহান আল্লাহর প্রেরিত সতর্ককারী নিদর্শনগুলোর একটি। এগুলো দিয়ে তিনি তার বান্দাদের সাবধান করে থাকেন। কার্যত এগুলো মানুষের পাপ ও অপরাধের ফল। আল্লাহ বলেন, ‘যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই। আর আল্লাহ তোমাদের অনেক (অপরাধ) ক্ষমা করে দেন।’ (সুরা শুরা : ৩০)
কয়েক বছর আগে নেপালে ভূমিকম্প হলে সেখানকার হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবন্দ বলেছিলেন, বহু পূর্বেই আমরা অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার আধিক্য দেখে সবাইকে সাবধান করেছিলাম। অন্যায় ও পাপাচার বৃদ্ধি পাওয়ায় ভগবান ক্ষুব্ধ হয়ে ভূমিকম্পরূপে শাস্তি পাঠিয়েছেন। ভারতের মন্দিরে আতশবাজি বিস্ফোরণে শতাধিক ভক্ত নিহত ও প্রায় তিনশ’ গুরুতর আহত হওয়ার পেছনেও পাপাচারে মানুষের সীমালঙ্ঘনকে দায়ী করেছেন ধর্মীয় নেতারা। বছর কয়েক আগে কেদারনাথে প্রবল বন্যায় বহু হতাহতের জন্যে মানুষের পাপ ও সীমালঙ্ঘনকেই দায়ী করা হয়। ইহুদি ও খ্রিষ্ট ধর্মেও এমন ধারণা প্রতিষ্ঠিত।

ভূমিকম্প হলে কী করণীয়?
প্রত্যেক মুসলমানের খুবই আন্তরিকভাবে মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করা উচিত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি জনপদের মানুষগুলো ঈমান আনতো এবং (আল্লাহকে) ভয় করতো, তাহলে আমি তাদের ওপর আসমান-জমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম, কিন্তু তারা (আমার নবীকেই) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং তাদের কৃতকর্মের জন্য আমি তাদের পাকড়াও করলাম।’ (সুরা আরাফ : ৯৬)

তাই যখন কোথাও ভূমিকম্প হয় অথবা সূর্যগ্রহণ কিংবা ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন সবার উচিত মহান আল্লাহর কাছে অতি দ্রুত তাওবা করা। তার কাছে নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা। মহান আল্লাহকে বেশি পরিমাণে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে মুক্তির জন্য দরিদ্র ও মিসকিনদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা এবং তাদের দান করাও উচিত। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দয়া প্রদর্শন করো, তোমার প্রতি দয়া প্রদর্শন করা হবে।’ (মুসনাদে আহমদ)

ইতিহাসে আছে, ভূমিকম্প হলে উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) তার গভর্নরদের দান-সদকা করার প্রতি জোর দিয়ে চিঠি লিখতেন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, যা মানুষকে বিপর্যয় (আজাব) থেকে নিরাপদ রাখে। আর তা হলো, যথাসাধ্য সমাজে প্রচলিত জিনা-ব্যভিচার, অন্যায়-অবিচার রোধ করা। হাদিস শরিফে এসেছে, সমাজে ব্যভিচার বেড়ে গেলে ভূমিকম্প হয়।

বলা যায়, ধেয়ে আসছে আরও ভয়াবহ ভূমিকম্প। তাই কালক্ষেপন না করে নিজেদের শুধরে নেওয়া উচিত। আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের রক্ষা করুন এবং নিরাপদ রাখুন।


 বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

328
Islam / আল্লাহর প্রিয় দুটি বাক্য
« on: September 19, 2018, 02:11:09 PM »
ছোট ছোট আমলও কেয়ামতের দিন অনেক মূল্যবান হয়ে যাবে। তাই ছোট কোনো নেক কাজকে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ ইখলাসের সঙ্গে ছোট ছোট কাজই আমাদের এনে দিতে পারে বড় প্রাপ্তি।

কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। কারণ, সেদিন তাদের নিজ নিজ কৃতকর্ম দেখানো হবে। সুতরাং কেউ অণুপরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে, সে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণুপরিমাণ অসৎকর্ম করে থাকলে, তাও দেখতে পাবে।’ (সুরা জিলজাল, আয়াত : ৬-৮)

হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, “হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,  রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ (বুখারি : ৬৪০৬)

(সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি) অর্থাৎ মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। (সুবহানাল্লাহিল আজিম) অর্থাৎ মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।

হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।” (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৬৪)

বর্তমানে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত নফল ইবাদত করা অনেকের সম্ভব হয় না। কিন্তু যেকোন জায়গায়, যেকোন মুহূর্তে আল্লাহর প্রশংসায় তার জিকির করা অনেক সহজ। কোনো সময়ক্ষেপণ হয় না, কাজে ব্যাঘাতও সৃষ্টি করে না। এ ক্ষেত্রে উপরোক্ত বাক্য দুটি অন্তত নিয়মিত পড়তে পারি। এতে আমাদের অজ্ঞাতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেবেন।

 বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮

329
অনেকের ধারণা চর্মরোগ মানেই এলার্জি। অথচ হাজারো চর্মরোগের মধ্যে এলার্জি হচ্ছে শুধু এক ধরনের রোগ। এলার্জি শব্দটি সকলের কাছে অতি পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও এ নিয়ে ভুল ধারণার শেষ নেই।
 
কখনো কখনো আমাদের শরীরে সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করি। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের এ অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে এলার্জি বলা হয়। এলার্জি হলে হঠাৎ শরীরে বিভিন্ন ধরনের দানা উঠা শুরু হয় বা ত্বক লাল চাকা চাকা হয়ে ফুলে যায় এবং সেই সাথে প্রচণ্ড চুলকানি থাকতে পারে। অনেক সময় সারা শরীরও ফুলে যায় এবং শ্বাসকষ্ট, বমি, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, অস্থিসন্ধি ব্যথা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হয়। এমনকি হঠাৎ কোন তীব্র এলার্জিক রিয়েকশনে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
 
এলার্জির কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই। পৃথিবীর সব জিনিসই এলার্জির কারণ হতে পারে। একেকজনের দেহ ও ত্বক একেক ধরনের জিনিসের প্রতি এলার্জিক হয়ে থাকে। যে কোনো খাদ্য দ্রব্য, পরিধেয় ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র, প্রসাধনী সামগ্রী, মশা-মাছি ও পোকা-মাকড়ের কামড়, পারিপার্শ্বিক ধুলা-বালি, আবহাওয়া, সূর্যালোক, কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ, কৃমি, আঘাত, এমনকি দুশ্চিন্তাতেও এলার্জি হতে পারে। যাদের বংশে হাঁপানি, একজিমা বা এলার্জির সমস্যা আছে তাদের এলার্জির প্রবণতা তুলনামূলক অন্যদের তুলনায় বেশি।
 
এলার্জির প্রাথমিক ও তাত্ক্ষণিক চিকিত্সা হিসেবে ওরাল, টপিকাল অথবা ইনজেক্টেবল এন্টিহিসটামিন বা অনেক সময় স্টেরয়েড দেয়া হয়। তবে সঠিক ও উপযুক্ত চিকিত্সার পূর্বশর্ত এলার্জি সৃষ্টিকারী কারণটি খুঁজে বের করতে হবে এবং যথা সম্ভব তা এড়িয়ে চলতে হবে।
 
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ  ডা. সঞ্চিতা বর্মন১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং

330
Eyes / চোখের ছানি পড়া রোধে
« on: September 15, 2018, 01:14:58 PM »
আমাদের জন্য চোখের গুরুত্ব আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। এই চোখের আলো নিয়ে যারা পৃথিবীর রূপ দেখছি, তারা অনুভব করতে পারি না, দৃষ্টিহীন মানুষের কষ্ট।

চোখের নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে ছানি পড়া একটি। জানেন কি, অনিয়মতান্ত্রিক জীবনধারার জন্যই মূলত চোখে চানি দেখা যায়। আর ৪০ বছরের পর চোখের যত্নে অবশ্যই খেয়াল দিতে হবে। না হলে দেখা দিতে পারে অন্ধত্বের লক্ষণ চোখের ছানি।

ছানি পড়ার লক্ষণ
চোখে একদিনেই ছানি পড়ে না। একটু লক্ষ্য করলে ছানি পড়ার লক্ষণগুলো বোঝা যাবে। যেমন পলকে ফেলার সময় মনে হতে পারে কোনো কিছুতে বাধছে, চোখের পাওয়ার ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হচ্ছে বা দেখতে সমস্যা হচ্ছে। 


যেভাবে ছানি পড়া রোধ করতে পারি:

খাবার
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ ফল ও সবজি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। খাদ্য ভিটামিন এ, সি সমৃদ্ধ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।

সবুজ শাকসবজি, লাল ও হলুদ ফলে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে৷ এছাড়াও গরুর কলিজা, মুরগির কলিজা, মাছ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, দই, ডিম, বড় বড় মাছের তেল, ছোট মাছ, গাজর, পাকা আম, পাকা বেল, পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, কমলা, পাকা টমেটো, কলা, জাম, মিষ্টিকুমড়া, পালংশাক, লালশাক, লাউ, বাঁধাকপি এবং গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে৷

কমলা, লেবু, পে‍য়ারা ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’।
এছাড়া কাঁচা মরিচে রয়েছে ভিটামিন সি এবং বেটা-ক্যারোটিন যা চোখ ভালো রাখে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় এমন খাবারের মধ্যে আছে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, হ্যালিবাট, টুনা, সারডিন্যাস, ম্যাকেরেল, হেরিং)। ডিম ও বিভিন্ন প্রকার শাক সবজিও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ।


সূর্য থেকে সুরক্ষা

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের জন্য ক্ষতিকর। এতে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। রোদে বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার রাখুন। 

জীবন-যাপন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস ছানি পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়।  অ্যালকোহল, ধূমপানসহ সব ধরনের মাদক দ্রব্য থেকে বাড়ে ছানি পড়ার ঝুঁকি।   

পর্যাপ্ত ঘুম, পানি পান এবং বিরতি দিয়ে কম্পিউটারে কাজ করা। সঙ্গে চোখে পরিষ্কার রাখা মাঝে মাঝে চোখে পানির ঝাপটা দেওয়া, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চোখের ছানি পড়া রোধ করা সম্ভব।

 বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Pages: 1 ... 20 21 [22] 23 24 ... 33