Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mrs.Anjuara Khanom

Pages: 1 ... 21 22 [23] 24 25 ... 33
331
Life Style / ওজন কমানোর ডায়েট
« on: September 15, 2018, 01:04:31 PM »
প্রতিটি ঈদের পরই রিচফুড খেয়ে আমাদের ওজন কয়েক কেজি বেড়ে যায়। আর যখন লক্ষ্য করি ওজন এতো বেড়ে গেছে, এটা কমানো হয়ে যায় বেশ কষ্টকর। বিশেষ করে যারা সারাদিন বাইরে ব্যস্ত থাকি।

নিয়ম করে খাওয়া বা ব্যায়াম দুটোই সমানভাবে চালিয়ে নেওয়া সত্যি কঠিন। আর দ্রুত ওজন কমাতে হবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে, ‍অনেকেই খাওয়া খুব কমিয়ে দেন। যা সুস্থতার জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে শরীর দূর্বল হয়ে যায়।


আবার ওজন বেড়ে গেলে অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় বাড়তি ওজন অনেককেই মানসিকভাবেও অস্বস্তিতে রাখে।

অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা ওজন কম রাখাকে একটি ফ্যাশন হিসেবে মনে করে থাকে। অথচ এর মূল উদ্দেশ্য হলো সুস্থ-সজীব, কর্মক্ষম থাকা এবং রোগের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা।
 
অল্প খাবার বারে বারে খাওয়া, কিছু ক্যালরিবহুল খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে দেওয়া, নিয়মিত হাঁটা, সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ, ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং চিন্তামুক্ত থাকার মাধ্যমে অনায়াসে ওজন কমানো সম্ভব।

জেনে রাখুন, একটি মাত্র ডায়েট কখনও আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে না। এক্ষেত্রে নিয়মিত ফলোআপ  অনেক জরুরি। সাধারণত প্রতি ২১ দিন থেকে ১ মাস অন্তর অন্তর করে প্রয়োজনীয় ক্যালরি চাট করে ডায়েট মেনে চলতে হয়। এতে আপনার শারীরিক ক্ষতি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা থাকবে না। যেমন চুল পড়া, ত্বক ঝুলে যাওয়া, দূর্বল লাগা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি। তাই ওজন কমানোর জন্য কখনই নিজে নিজের খাবার কমানো বা কোনো ওষুধ খাওয়া  ঠিক না।

  আরও যা মানতে হবে-
-    ওজন কমাতে ভালো মতো সকালের নাস্তা খাওয়া খুবই জরুরি।
-    খালিপেটে কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিলিয়ে পান করতে পারেন
-    ১০.৩০ থেকে ১১টা অর্থাৎ মধ্য সকালে হালকা কোনো খাবার গ্রহণ করুন যেমন ফল/ লেবু দিয়ে রঙ চা/ ডাবের পানি/ শশা/ গ্রিন টি ইত্যাদি।

•    দুপুরে ১-১.৩০টার মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষ করুন, মেন্যুতে রাখুন অল্প ভাত বা রুটি/ সালাদ/ শাক/ সবজি/ মাছ

•    বিকালে ৪-৫টার মধ্যে আরেকটি খাবার খাবেন, যা খুবই হালকা হবে, যেমন- বাদাম/ গ্রিন টি/ সুগার ছাড়া বিস্কুট/ ফল/ মাঠা

•    রাতের খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন ৮-৮.৩০টার মধ্যে। রুটি/ সবজি/ মুরগি বা মাছ খেতে পারেন।

•    শোবার আগে টকদই বা ফ্যাট ফ্রি দুধ পান করুন। 

এই খাবারগুলোর পরিমাণ নির্ভর করবে আমাদের ক্যালরি চাহিদার ওপর। সাধারণত ওজন কমাতে ক্যালরি চাহিদা বয়স, ওজন, পরিশ্রম, রোগের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।

তাই ওজন কমাতে অবশ্যই খাওয়া কমানোর আগে জেনে নেয়া ভালো কি কারণে ওজন বেড়েছে। কেননা কারণ জানতে পারলে আমরা খুব সহজে ওজন কমাতে পারব এবং তা দীর্ঘস্থায়ীও হবে।


তামান্না চৌধুরী, পুষ্টিবিদ, এ্যাপোলো হসপিটাল



332
হৃৎপিণ্ড বা হার্টের রক্তনালিতে চর্বি জাতীয় পদার্থ জমে ব্লকের সৃষ্টি করে। সাধারণভাবে এটাকেই হার্ট ব্লক বলা হয়। হার্টের রক্তনালিতে ব্লক থাকার ফলে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এ অবস্থায় হৃৎপিণ্ড তার চাহিদামতো রক্ত সরবরাহ না পাওয়ায় হার্টের কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হতে থাকে। হার্ট ব্লকের প্রাথমিক অবস্থায় ব্লক থাকা সত্ত্বেও  বিশ্রামকালীন রক্ত সরবরাহ চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় রোগী বিশ্রামকালীন কোনোরূপ অসুবিধায় পতিত হয় না। যেসব ব্যক্তি সব সময় গাড়িতে চলাফেরা করেন, লিফটে উপরে উঠেন, তারা এ পর্যায়ে একদম স্বাভাবিক থাকে মানে তাদের শরীরে হার্ট ব্লকের কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না। তবে যেসব ব্যক্তি কিছুটা কায়িকশ্রম সম্পাদন করে থাকেন তারা পরিশ্রমকালীন বুকব্যথা, বুকে চাপ অনুভব, বুক ধড়ফড় ও অত্যধিক পেরেশান হয়ে পড়েন। এসব উপসর্গকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এনজিনা বলা হয়। পরিশ্রম মানে হাঁটা, সিঁড়িতে উপরে ওঠা, তাড়াহুড়া করে কাজ করা, বৈরী আবহাওয়ায় কাজ করা ইত্যাদি বোঝানো হয়। অনেকে বলে থাকেন একই ধরনের পরিশ্রম কখনো এনজিনায় আক্রান্ত হয়, আবার কখনো তা হয় না। এর কারণ হিসেবে বেশ কিছু অবস্থাকে দায়ী করা হয়। ব্যক্তি যদি টেনশনে থাকেন, পেট ভরে খাওয়ার পর পরিশ্রম করতে যান বা বৈরী আবহাওয়ায় কাজ করতে যান, তবে খুব তাড়াতাড়ি এনজিনা আক্রান্ত হবেন এটাই স্বাভাবিক। খালি পেটে, ফুরফুরে মেজাজে, অনুকূলে আবহাওয়ায় কাজ করার সময় বেশ দেরিতে এনজিনায় আক্রান্ত হবেন—এটাও স্বাভাবিক। এনজিনার ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় হওয়ার ফলে অনেকে এটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চান না। তবে মনে রাখা উচিত, এনজিনার ব্যথা হওয়ার প্রধান এবং একমাত্র কারণ কিন্তু হার্ট ব্লক। যা একটি মারাত্মক হৃদরোগ এবং কারও এনজিনা হতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। কারণ হার্ট ব্লক থেকে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। যার ফলে মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। অনেকে এনজিনার ব্যথাকে গ্যাসের ব্যথা ভেবে গ্যাসের ওষুধ গ্রহণ করে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করে এবং তা থেকে পরিত্রাণও পেয়ে থাকেন। আগেই আলোচনা করেছি, এনজিনার ব্যথায় বিশ্রাম গ্রহণ খুব তাড়াতাড়ি প্রশমন হয়ে যায় এবং তারা এ সময় গ্যাসের ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন বলে এটাকে গ্যাসের সমস্যা ভাবার যথেষ্ট যুক্তি আছে। উক্ত আলোচনা থেকে এটা বোঝা যায়, যদি কেউ এনজিনায় আক্রান্ত হতে থাকে তবে বুঝতে হবে, তার হার্টের রক্তনালিতে ব্লক দেখা দিয়েছে এটা নিশ্চিত। এছাড়া কয়টা ব্লক আছে, ব্লকগুলো কোথায় অবস্থিত এবং এর কোনটা কত পার্সেন্ট ব্লক তা বোঝার জন্য এনজিওগ্রাম টেস্ট অবশ্যই করতে হবে। তবে বর্তমান সময়ে সিটি এনজিওগ্রামের মাধ্যমেও ব্লক নির্ণয় করা যায়। কেউ এনজিনায় আক্রান্ত হলে তার হার্টে ব্লক আছে এটা নিশ্চিত। তাই এ অবস্থায় একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বা কার্ডিওলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও জটিলতর হতে পারে। তাই এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।

ডা. এম শমশের আলী (কার্ডিওলজিস্ট)

সিনিয়র কনসালটেন্ট (প্রা.), ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

333
বর্তমানে দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটির তেমন একটা অবকাশ নেই। তাই অনেকেই শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেই বা একটু জ্বর জ্বর ভাব দেখলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। কারণ জ্বর গায়ে বাড়িতে শুয়ে থাকলে যে চলবে না।

চিকিৎসকদের মতে, শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট না ছাড়ালে জ্বরের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। সাধারণ ভাইরাল ফিভার নিজে থেকেই সেরে যাওয়ার কথা। প্রয়োজন কেবল বিশ্রাম আর পর্যাপ্ত খাবার।

চিকিৎসকরা জানান, জ্বর আসলে নিজে কোনও অসুখ নয়, অসুখের উপসর্গ মাত্র। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এখনকার আবহাওয়ার কারণে জ্বরের প্রবণতা বাড়ে। আর শিশু বা বয়স্কদের মধ্যেই জ্বরের ঝুঁকি বেশি।

এ কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি যে, ডায়রিয়া হলে ওআরএস (ORS) দিতে হয় ডিহাইড্রেশনের জন্যে। কিন্তু এ কথা অনেকেই জানেন না যে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেও শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। তাই জ্বর হলে লিকুইড ডায়েটের উপর জোর দিতে হবে। যেমন, গরম দুধ, ফলের রস, সরবত ইত্যাদি।

দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটির অভাবে অনেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে স্কুলে, কলেজে বা অফিসে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু এই অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। সাধারণ জ্বর হলে গা হাত পা ব্যথা কমাতে অনেকেই অ্যাসপিরিন বা এই জাতীয় ব্যথার ওষুধ (পেইনকিলার) খান। আর না জেনে বুঝে ওষুধ খেলেই বিপদ।

কারণ ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক (হেমারেজিক ফিভার) প্রাণঘাতি জ্বরে ব্যথার ওষুধ খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক ক্ষতিকর। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই সব ওষুধ খেলে নাক-মুখ দিয়ে বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

তিন দিন হয়ে গেলেও যদি জ্বর না কমে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন। কারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর (ভাইরাল ফিভার) হলে দু’-তিন দিনের মধ্যেই তা সেরে যায়।

 

বিডি প্রতিদিন/

334
Health Tips / পাইলস এবং ‘লংগো’
« on: September 13, 2018, 11:51:31 AM »
পাইলসের চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তির শেষ নেই। এছাড়া অনেক রোগীই এ রোগকে অবহেলা করেন। অথচ প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে পাইলসের বিভিন্ন জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাইলস চিকিৎসার আধুনিক অপারেশনসূমহকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সাধারণত অ্যাডভান্সড স্টেজ অর্থাৎ থার্ড ডিগ্রি ও ফোর্থ ডিগ্রি পাইলসে অপারেশন প্রয়োজন হয়।

পাইলসে জটিলতা দেখা দিলে ও অন্যান্য রোগ যেমন এনাল ফিসারের সঙ্গে পাইলস থাকলেও অপারেশনের প্রয়োজন হয়। এসব পাইলসের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বর্তমানে এর আধুনিক যে অপারেশন, অর্থাৎ ‘লংগো অপারেশন’ তা করা সম্ভব। এ অপারেশনে বাইরে কাটা-ছেঁড়া না থাকায় অপারেশন পরবর্তী ব্যথা একেবারে হয় না বললেই চলে। অপারেশনের সময় রক্তপাত হয় না।

পাইলস রোগীদের অপারেশনের ক্ষেত্রে আরও একটি ভয় হচ্ছে টয়লেট নিয়ে। পায়ুপথে অপারেশন হয়েছে, টয়লেট কীভাবে হবে এ ভয়ে অনেকে অস্থির থাকেন। লংগো অপারেশনের পরপরই রোগী স্বাভাবিকভাবে টয়লেট করতে পারেন। বরং অনেক বড় পাইলস হয়ে গেলে কিংবা পাইলসের সঙ্গে এনাল ফিসার থাকলে এ রোগীদের টয়লেট করতে খুব কষ্ট হয়।

অপারেশনের মাধ্যমে এসব সমস্যা দূর হওয়ায় রোগী অপারেশনের পরই আরামে টয়লেট করতে পারেন। এ অপারেশনে বাইরে কাটা-ছেঁড়া না থাকায় দীর্ঘদিন বেদনাদায়ক ড্রেসিং করতে হয় না। ফলে রোগী যন্ত্রণাদায়ক ড্রেসিং থেকে মুক্ত থাকেন। একটি প্রশ্ন থাকে- অপারেশনের পর এ রোগ আবার দেখা দেবে কিনা?

এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে ছোট একটি শব্দ ‘না’। সঠিক নিয়মে অপারেশন এবং অপারেশন পরবর্তী নিয়ম-কানুন  মানলে এ রোগ আর আসবে না। স্বাভাবিকভাবে  মল ত্যাগ করা যায়।

অধ্যাপক ডা. এস এম এ এরফান

জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।

335
আমাদের চারপাশেই রয়েছে এমন অনেক কিছু, যার নিত্য ব্যবহারের ফলে নানাবিধ রোগ থাকবে দূরে। আর এর মধ্যে নিমপাতার প্রচুর উপকার রয়েছে। মাত্র কয়েকটা নিমপাতা নিয়মিক খেলে বিভিন্ন রোগের থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব।

নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। চামড়ার ইনফেকশন রোধে এছাড়া ব্রণ, চুলকানি ও অ্যালার্জি রোধে নিমপাতা অনেক উপকারি। এছাড়া শরীরের ব্যথা, কেটে গেলে, পুড়ে গেলে, কানব্যথা, মচকানো, মাথাব্যথা, জ্বর কমাতে নিমপাতা ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই, নিম পাতা আর যেসব অসুখে কাজে লাগে-

১। শরীরের ব্যথা, কেটে গেলে, পুড়ে গেলে, কানব্যথা, মচকানো, মাথাব্যথা, জ্বর কমাতে নিমপাতা ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

২। শিশুদের পেটে কৃমি নির্মূল করতে নিমের জুড়ি নেই। শিশুরাই বেশি কৃমির শিকার হয়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুড়ো দিন ৩ বার সামান্য গরম পানিসহ খেতে হবে।

৩। অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতীদের জন্য ঔষধটি নিষেধ।

৪। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

৫। নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়।

৬। পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।

৭। নিমের পাতা ও ছালের গুড়ো কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দাঁতের রোগ থেকেও।

 

বিডি-প্রতিদিন/

336
বাজারের সবজিতে অনেক সময় বিভিন্ন রাসায়নিক এবং কীটনাশক থাকে যা আমাদের জন্য খুব ক্ষতিকর। বিশেষ করে যেসব ফল বা সবজি খোসাসহ খাওয়া হয়, সেগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার।

অন্যদিকে, খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া হয় যেসব ফল (যেমন আম) এগুলোকেও ভালোভাবে ধোয়া জরুরী কারণ কাটার সময়ে ভেতরে ময়লা চলে যেতে পারে।

তবে একেবারে ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করে ফল বা সবজি থেকে আপনি ময়লার পাশাপাশি কীটনাশকও দূর করতে পারেন। জেনে নিন এমন কিছু প্রণালী।

১. বেরি ওয়াশ
 
যা যা লাগবে
- ৪ কাপ পানি
- ১/২ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার

এই দুইটি উপকরণ একটি বাটিতে মিশিয়ে নিন। এতে স্ট্রবেরি, আঙ্গুর, জাম এ জাতীয় ফল ভিজিয়ে রাখুন। কিন্তু ৫ মিনিটের বেশি সময় ভিজিয়ে রাখবেন না। উঠিয়ে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ফ্রিজে রাখার আগে শুকিয়ে নিন।

২. সল্ট ওয়াশ

যা যা লাগবে
- বড় এক বাটি পানি
- ৪ টেবিল চামচ লবণ
- অর্ধেকটা লেবুর রস

সব উপকরণ বাটিতে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে সবজি ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। এরপর উঠিয়ে ধুয়ে নিন।

৩. ভিনেগার ওয়াশ
 
যা যা লাগবে
- ৩ কাপ পানি
- ১ কাপ ভিনেগার
- ১ টেবিল চামচ লবণ

একটি বড় বাটিতে সব উপকরণ মিশিয়ে কয়েক মিনিট ভিজিয়ে রাখুন সবজি। এরপর ধুয়ে নিন।

অনেক সময়ে শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ধনেপাতায় পোকা থাকে। ভিনেগার এসব পোকা দূর করে। আর আমাশার ব্যাকটেরিয়ার মত ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংসে কাজ করে লবণ। এই দুইটি পদ্ধতি এক্ষেত্রে উপকারি। ধুয়ে নিয়ে এরপর ভালো করে শুকিয়ে ফ্রিজে রাখুন।

৪. ফল ও সবজি পরিষ্কারের স্প্রে

যা যা লাগবে
- দেড় থেকে দুই কাপ পানি
- ২ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার
- ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
- ১০ ফোঁটা গ্রেপফ্রুট এক্সট্রাক্ট ( এটা ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)

সব উপকরণ মিশিয়ে স্প্রে বোতলে নিয়ে রাখুন। মাশরুম ছাড়া অন্যান্য সবজি ও ফলে স্প্রে করুন, কয়েক মিনিট রেখে ভালো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র: হ্যালো গ্লো

337
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। পাশাপাশি হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে কিছু খাবার।

১. কমলার জুস
টকমিষ্টি স্বাদের কমলার রস কোলেস্টেরল কমানোর অত্যন্ত উপকারী। গবেষকেরা জানিয়েছেন, কমলার রস হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া রক্তের লিপিড প্রোফাইলের উন্নতি ঘটায়। এর কারণ হচ্ছে কমলার রসে ভিটামিন সি, ফোলেট এবং হেসপিরিডিন এর মত ফ্লেভনয়েড থাকে।

২. গ্রিনটি
প্রতিদিন কয়েক কাপ গ্রিনটি পান করা সার্বিক কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর একটি সহজ উপায়। গ্রিনটি এর বিভিন্ন উপাদান পরিপাক নালীতে কোলেস্টেরলের শোষণ প্রতিহত করে এবং রেচনে সাহায্য করে। এছাড়াও গ্রিনটি ধমনীতে প্লাক জমা প্রতিহত করে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

৩. ওটমিল
সকালের নাস্তায় ওটমিল খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ওটমিলের দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তস্রোতে কোলেস্টেরলের শোষণ কমায়। এছাড়াও নিয়মিত ওটমিল খেলে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। 

৪. কাঠবাদাম
হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবার থাকে কাঠবাদামে, যা ভালো কোলেস্টেরল এইচ ডি এল এর মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

২০১১ সালে নিউট্রিশন রিভিউতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা  হয় যে, কাঠবাদামের মত গাছের বাদাম খাওয়া এল ডি এল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে। এর ফলে করোনারী ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি ৩ থেকে ৯ শতাংশ কমে।

সূত্র: টপ টেন হোম রেমেডিস



338
Fever / ডেঙ্গু জ্বর কী ও করণীয়
« on: September 09, 2018, 09:39:38 AM »
ডেঙ্গু জ্বর যা ব্রেকবোন ফিভার নামেও পরিচিত, একটি সংক্রামক ট্রপিক্যাল ডিজিজ; যা ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে হয়। ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা কামড়ানোর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে সাধারণত রোগের উপসর্গ দেখা যায়। কিছু কিছু ডেঙ্গু রোগী কোনো উপসর্গ ছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।
 
ডেঙ্গু জ্বরে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় তার মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ও গিটে ব্যথা এবং ত্বকে র‌্যাশ যা হামজ্বরের সমতুল্য। স্বল্পক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে পরিণত হয়, যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অণুচক্রিকার কম মাত্রা এবং পরবর্তীতে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে পরিণত হয়।
 
বেশিরভাগ ডেঙ্গু জ্বরই সাত দিনের মধ্যে সেরে যায় এবং অধিকাংশই ভয়াবহ নয়। প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান, বিশ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার গ্রহণ করা। সঙ্গে জ্বর কমানোর জন্য এসিটামিনোফেন (প্যারাসিটামল) গ্রুপের ওষুধ সেবন করতে হবে। তবে ব্যথানাশক ওষুধ হিসাবে অ্যাসপিরিন বা ক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে রক্ত ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে।
 
জ্বর কমানোর জন্য বার বার শরীর মোছাতে হবে। রোগীকে সব সময় মশারির ভিতর রাখতে হবে। জ্বরের সঙ্গে রক্তক্ষরণ হলে বিশেষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
 
লেখক:ডা. সঞ্চিতা বর্মন০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

339
Hadith / ঋণমুক্ত হওয়ার দোয়া
« on: September 06, 2018, 02:37:25 PM »
অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পড়লে কিংবা গুরুতর প্রয়োজনে মানুষ ঋণ নেয়। তবে ঋণ কারো কারো জীবনে কখনো কখনো অভিশাপ বয়ে আনে। ঋণদাতাকে যেমন ঋণ আদায় করতে না পারার হাতাশায় ভুগতে হয় তেমনি ঋণগ্রহীতাকেও ঋণদাতার বাক্যবাণে নাজেহাল হতে হয়।

কখনো কখনো ঋণগ্রহীতাকে অসম্মানজনক আচরণের শিকার হতে হয়। তাই ঋণগ্রহীতা সবসময় চান দ্রুত ঋণ পরিশোধ করে অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে।

দ্রুত ঋণ আদায় করতে বা ঋণমুক্ত হতে সক্ষম হওয়ার জন্য রাসুল (সা.) কিছু আমল ও দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি ঋণ হতে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে অত্যধিক আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।

একবার ঋণ থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনারত অবস্থায় এক ব্যক্তি তাকে দেখে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি ঋণ থেকে খুব বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকেন!’ নবি (সা.) বলেন- ‘মানুষ ঋণী হলে, কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করলে, রক্ষা করে না।’ (বোখারি, হাদিস নং : ২৩৯৭)

রাসুল (সা.) বলতেন- ‘আল্লাহুম্মা! ইন্নি আউযুবিকা মিনাল কাসালি, ওয়াল হারামি, ওয়াল মা’ছামি, ওয়াল মাদরামি।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অলসতা, অধিক বার্ধক্য, গুনাহ এবং ঋণ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (বোখারি, হাদিস নং ৬০০৭)

রাসুল (সা.) আরো বলতেন- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসলি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া গালাবাতিদ দাইনি, ওয়া কাহরির রিজাল।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুশ্চিন্তা, অপারগতা-অলসতা, কৃপণতা এবং কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অধিক ঋণ থেকে ও খারাপ লোকের জবরদস্তি থেকেও আশ্রয় চাচ্ছি।’ (নাসাঈ, হাদিস নং : ৫৪৭৮)

এ দোয়াগুলো নিয়মিত করলে আল্লাহ তাআলা শিগগির ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। আর্থিকভাবে সচ্ছলতা  ও স্বাচ্ছন্দ্য দান করবেন।

 বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

340
মহান আল্লাহ তায়ালা তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন মানুষকে। প্রত্যেক মানুষ যে ইবাদত-বন্দেগি করে, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিখে রাখা হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট ফেরেশতা নিযুক্ত রয়েছেন। কেয়ামতের দিন বান্দাকে সেগুলো দেখানো হবে এবং তার বিচার করা হবে। কিন্তু তারপরও বান্দার আমলগুলো দৈনিক, সাপ্তাহিক, বার্ষিক ভিত্তিতে আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয়। বলতে গেলে, মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবপত্রের নিয়মমাফিক উপস্থাপন করা হয়।

দৈনন্দিন আমল আল্লাহর কাছে উপস্থাপনের ব্যাপারে হাদিসে বলা হয়েছে, দৈনন্দিন আমলের হিসাব দুই ভাগে পেশ করা হয়। দিনের আমল রাতের শুরুতে এবং রাতের আমল দিনের শুরুতে।’ (ফয়জুল কাদির, ইমাম মুনাভি, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ২৭৬)

সাপ্তাহিক আমল পেশ করা হয় সোমবার ও বৃহস্পতিবারে। হাদিসে এসেছে, এই দুই দিন রাসুল (সা.) রোজা রাখতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা মতে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহ তায়ালার কাছে) আমল পেশ করা হয়। তখন আল্লাহ তায়ালা তার মুমিন বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। কিন্তু যে দুই ব্যক্তির পারস্পরিক হিংসা-দ্বেষ আছে, তাদের ক্ষমা করা হয় না।’ (মুসলিম, হাদিস নং : ২৫৬৫, তিরমিজি, হাদিস নং : ৭৪৭)

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোজার প্রতি অধিক যত্নশীল ছিলেন। (তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

অন্য হাদিসের বর্ণনা মতে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা সোমবার ও বৃহস্পতিবার প্রত্যেক মুসলমানের গোনাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারীর ব্যাপারে (আল্লাহ বলেন) নিজেদের মধ্যে সমঝোতার আগ পর্যন্ত এদের বাদ দাও।’ (ইবনে মাজাহ, তারগিব)

বান্দার আমল বার্ষিক ভিত্তিতে আল্লাহর কাছে পেশ করার ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘পৃথিবী তার পালনকর্তার আলোয় উদ্ভাসিত হবে, আমলনামা স্থাপন করা হবে, নবীগণ ও সাক্ষীদের আনা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে-তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।’ (সুরা যুমার, আয়াত নং : ৬৯)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার গ্রীবালগ্ন করে রেখেছি। কেয়ামতের দিন একটি কিতাব বের করে তাকে দেখাবো, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট।’ (সুরা বনি ইসলাইল, আয়াত নং : ১৩-১৪)

উসামা ইবনে যায়দ (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, ‘রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী মাস । কিন্তু মানুষ এ মাসের ব্যাপারে উদাসীন থাকে। এ মাসে আল্লাহর কাছে বান্দার আমল পেশ করা হয়। অতএব আমি চাই, আমার রোজাবস্থায় আল্লাহর কাছে আমার আমল পেশ করা হোক। (নাসাঈ)

রোজা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। তাই ফরজ রোজা ছাড়াও নফল রোজা রাখা উত্তম। এতে বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সম্পর্ক গভীর হয়।

বৃহস্পতি ও সোমবার যেহেতু বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পৌছানো হয়; তাই সম্ভব হলে এই দুই দিন রোজা রাখায় সচেতন হওয়া উচিত।


সুত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

341

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চাকরির সন্ধানদাতা ওয়েবসাইট, অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন ফিচার নিয়ে এলো সার্চ জায়ান্ট গুগল।

বিভিন্ন ওয়েবে তালিকাবদ্ধ চাকরির তথ্যগুলো সমন্বিতভাবে সরাসরি পাওয়া যাবে গুগল সার্চ অপশনে। উন্মোচনের শুরুতেই বিক্রয় ডট কম, মুস্তাকবিল ডট কম এবং এক্সপ্রেসজবস ডট আইকেসহ হাজারো সাইটের চাকরির তথ্য সুশৃংখলভাবে প্রদর্শন করবে গুগল।

‘পার্টটাইম জব’, ‘সফটওয়্যার ডেভেলপার জব’, ‘কনস্ট্রাকশন জবস’ কিংবা এধরনের যেকোনো ক্যাটাগরির চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে অভিনব এক অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। তালিকাবদ্ধ যেকোনো একটি চাকরির উপর ক্লিক করলেই সংক্ষিপ্ত আকারে বিভিন্ন তথ্য যেমন- জব টাইটেল, লোকেশন, ফুলটাইম/পার্টটাইম ও অন্যান্য আরো তথ্য দেখার পাশাপাশি উক্ত জব সম্পর্কিত জরুরি ওয়েবলিংক, মতামত, রেটিং, চাকরির প্রকৃত উৎস এমনকি চাকরিপ্রার্থীর বাসা থেকে কর্মস্থলের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদর্শন করবে গুগল। অতঃপর সেখান থেকে চাকরিপ্রার্থীকে নিয়ে যাবে চাকরিটির প্রকৃত ওয়েবলিংকে যেখানে বিস্তারিতভাবে উক্ত চাকরির তথ্য দেয়া আছে এবং যেখান থেকে চাকরিটির জন্য আবেদন করা যাবে।

একেকজনের একক চাহিদা অনুযায়ী অসংখ্য টুল ব্যবহার করেছে গুগল যেনো মোবাইল এবং ডেস্কটপ থেকে উপযুক্ত সহজেই চাকরি খোঁজার কাজটি সম্পন্ন করা যায়। স্মার্ট ফিল্টারে চাকরির ধরন, লোকেশন, নিয়োগের তারিখ, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের ধরন উল্লেখ করে নিজের মতো করে সার্চ ফিচারটি সেট করা যাবে। সার্চের ফলাফল থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনলাইনে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আদান-প্রদানের সুযোগও রাখা হয়েছে। এছাড়া সেট করা সার্চ ফিচার ব্যবহারকারীকে তার উপযুক্ত চাকরির
নোটিফিকেশন অ্যালার্টের মাধ্যমে প্রদান করতে সক্ষম।

চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি টেকসই ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে ‘ওপেন ডকুমেন্টেশন’ উন্মুক্ত করা হয়েছে, যা ছোটবড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নতুন চাকরির তথ্য প্রদর্শনযোগ্য হতে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত স্ট্রাকচার স্কিমা ডট ওআরজি ওয়েব মার্কআপ স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করা হয়েছে যা গুগল সমর্থন করে। চাকরির তথ্য তালিকাভুক্ত করার মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো গুগলে নিজেদের আরো মেলে ধরতে পারার সুযোগ পাবে, ফলে চাকরিদাতা এবং চাকরিপ্রার্থী উভয়পক্ষ লাভবান
হবে।

নতুন সার্চ ফিচারটি ইংরেজি ভাষায় অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে গুগল অ্যাপসহ ডেস্কটপ ও মোবাইলের গুগল সার্চ অপশনে ব্যবহার করা যাবে।

বিশ্বের যাবতীয় তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত এবং ব্যবহারযোগ্য করাই গুগলের লক্ষ। সার্চ, ম্যাপস, জিমেইল, অ্যান্ড্রয়েড, গুগল প্লে, ক্রোম ও ইউটিউবের মতো পণ্য ও প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বের কোটি মানুষের জীবনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে যা গুগলকে বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেশনের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে গুগল।

বিডি প্রতিদিন/

342
Cancer / কোলন পলিপের নানা জটিলতা
« on: September 06, 2018, 01:02:16 PM »
কোলন বা বৃহদন্ত্র যা  পরিপাকতন্ত্রের শেষের অংশ, সেখানে নানারকম রোগ হতে পারে যেমন— ডিসেন্ট্রি, আলসারেটিভ, কোলাইটিস, ক্রনস ডিজিজ, টিবি, কোলন পলিপ, ক্যান্সার ইত্যাদি। এর মধ্যে সাধারণ একটি হচ্ছে কোলন পলিপ। পলিপ কী? পলিপ হচ্ছে- আঙ্গুলের মাথার মতো একটি অস্বাভাবিক অংশ যা কোলনের দেয়াল থেকে বেরিয়ে আসে। সাধারণত ৩০ বছরের পর বৃহদন্ত্রে এ পলিপ দেখা দেয়, অবশ্য ছোটবেলায়ও কিছু কিছু পলিপ দেখা দিতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে এ পলিপ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? কোলন পলিপ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান থেকেই ক্যান্সারের সূত্রপাত।

লক্ষণ : সাধারণত এ রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, চুপচাপ শরীরে বেড়ে ওঠে, আর যখন লক্ষণ দেখা দেয় তখন দেখা যায় মলের সঙ্গে রক্ত, কালো কালো মল হওয়া, রক্তশূন্যতা হওয়া, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ হওয়া এবং কোষ্ঠ পরিষ্কার না হওয়া।

নির্ণয় : পাইলস ও পায়ুপথের অন্যান্য রোগের মতো কোলন পলিপেও রক্ত যায়, রোগীরা পাইলস বলে ভুল করেন। কোলন পলিপ নির্ণয়ের আধুনিক পরীক্ষা হচ্ছে কোলনোস্কোপি, বস্তুত একমাত্র এ পরীক্ষার মাধ্যমেই কোলন পলিপ নির্ণয় করা যায়। কোলনের কোনো স্থানে পলিপ দেখা দিলে পুরো কোলন কোলনোস্কোপির মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে, দেখতে হবে আর কোনো পলিপ আছে কিনা। কোলনোস্কোপির মাধ্যমে এ পলিপ সরাসরি দেখা যায়, এর ছবি তোলা যায়, ভিডিও-ও করা যায়। ফলে রোগী সেটি দেখতে পারেন।

চিকিৎসা : কোলন পলিপ সম্পর্কে প্রধান সুখবর হচ্ছে, পলিপ এ কোলনোস্কোপির মাধ্যমেই অপসারণ করা যায়, অর্থাৎ এর জন্য বড় কোনো অপারেশনের প্রয়োজন নেই। এর জন্য রোগীকে অজ্ঞান করারও কোনো প্রয়োজন নেই। কয়েক ঘণ্টা পরেই পলিপ অপারেশনের রোগী বাসায় ফিরে যেতে পারেন। পলিপ অপারেশনের পরপরই রোগী স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন। কোলন পলিপ অপসারণের পর সেটি পরীক্ষা করে দেখতে হয় কী ধরনের পলিপ বা তাতে ক্যান্সার হয়েছে কিনা।

পরবর্তী চিকিৎসা : কোলন পলিপ অপারেশনের পর চিকিৎসক প্রায়ই কয়েক বছর পর পর কোলনোস্কোপির উপদেশ দেন। কারণ কিছু কিছু পলিপ কোলনের অন্যান্য স্থানে আবার হয়। আবার বিশেষ ধরনের পলিপ অপারেশনের পরও সেখানে ভবিষ্যতে ক্যান্সার হতে পারে, তাই এসব ক্ষেত্রে বারবার কোলনোস্কোপি করা জরুরি। তাই মলে রক্ত গেলে পলিপ আছে কিনা তা প্রাথমিক অবস্থাতেই নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সুতরাং এসব বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

লেখক : কোলোরেক্টাল সার্জন, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।

343
খাবারে স্বাদ আনতে লবণের বিকল্প নেই। পরিমিত লবণ গ্রহণে খাবারের স্বাদ অক্ষুণ্ণ থাকে এবং শরীরের কোনো ক্ষতি হওয়ার সুযোগ থাকে না। মাত্রাতিরিক্ত লবণের উপস্থিতি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ আমাদের শরীরে সোডিয়াম ক্লোরাইড খুব কম পরিমাণে দরকার। তাই পুষ্টিবিদরা মনে করেন যত কম পরিমাণে লবণ গ্রহণ করা যায়, ততই শরীরের জন্য ভালো।
 
আমাদের দেশের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের কাঁচা লবণ কম খেতে উপদেশ দেয়া হয়। কিন্তু অনেকেই ভুল ভেবে রান্নায় লবণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন কিংবা লবণ ভেজে তারপর খান। কিন্তু লবণ ভাজলে পানি শুকিয়ে গেলেও এর সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিমাণ ঠিকই থাকে। তাই যতটা সম্ভব রান্নায় কম লবণ ব্যবহার করাই অধিকতর উত্তম।
 
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের স্বল্প মেয়াদি এবং দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব ফেলে। যেমন-
 
১. উচ্চ রক্তচাপ: লবণের অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড শরীরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এই উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট ফেইলিউর, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিনডি ফেইলিউরের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে অতিরিক্ত লবণ খেতে নিষেধ করা হয়।
 
২. পিপাসা বেড়ে যাওয়া: বেশি লবণ খেলে পিপাসা বেড়ে যায়। কারণ এটি দেহের কোষে পানির ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধা হয়। শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে যা কিডনির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
 
৩. পা ফোলাভাব: চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কখনো কখনো হাত ও পায়ে পানি জমায়। এতে হাত ও পা ফোলাভাব হয়। এটি কিডনি রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খুব ঝুঁকির কারণ।
 
৪. অস্টিওপোরোসিস: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে শরীরের পানির পিপাসা তৈরি হয়। এতে অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করতে হয় এবং প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায়। এতে হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়।
 
৫. কিডনিতে পাথর হওয়া: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করে। তাই পরিমিত পরিমাণ লবণ গ্রহণ সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
 
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

344
স্যালাদ আমরা সকলেই কম বেশি খেয়ে থাকি। আর স্যালাদকে মুখোরোচক করতে অনেকসময় আমরা ব্যবহার করি লবণ,লেবু বা গোলমরিচ। তবে এতদিন আমারা অজান্তেই নিজেদের ভালো করে গেছি। স্বাদ পেতে এগুলোর মিশ্রনে আমরা যখন স্যলাদ খেয়ে থাকি তখন নানা ভাবে আমাদের শরীরের উপকারই হয়েছে।

আপনি কী জানেন এই তিনটির মিশ্রণ সারা বিশ্বে অনেকগুলো রোগের প্রতিষোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়? শুধুমাত্র এই তিনটি উপাদান কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া সারিয়ে তুলতে পারে নানা অসুখ। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে সাহায্য করে এই উপাদান গুলো-

১। অনেকসময় ঠাণ্ডা লাগলে আমাদের অনেকেরই নাক বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ইনহেলার ব্যবহার না করে ঘরোয়া এই টোটকা গুলি ব্যবহার করুন। গোল মরিচ গুঁরা, দারুচিনি, এলাচ এবং জিরা গুঁরা এক সাথে গুঁরা করে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি ঘ্রানের সঙ্গে নিন। তারপর দেখুন কত সহজেই আপনার বন্ধ নাক পরিষ্কার হয়ে গেছে।

২। ঠাণ্ডার কারনে নাক বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি আমাদের গলাও ব্যথা হয়। ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়া এবং ১ চা চামচ লবণ এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে গারগেল করুন। দিনে দুইবার এটি করলেই তৎক্ষণাৎ ফল পাবেন।

৩। অনেক সময় শারীরিক বিভিন্ন কারনে মুখে ঘা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই। এক টেবিল চামচ বিট লবণ এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে খাবার খাওয়ার পর এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এতে মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়া মরে যায় এবং সহজেই মুখের ঘা দূর করে।

৪। বেশি খাওয়া হয়ে গেলে বা নানা কারনে অনেক সময় শরীর অস্থির করে। বমি বমি ভাব আসে। এক্ষেত্রে গোল মরিচ বেশ কার্যকর। এছাড়া লেবুর গন্ধ বমি বমি ভাব দূর করতে সক্ষম। এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়া এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি ধীরে ধীরে পান করুন। এটি বমি বমি ভাব দূর করে দেবে।

৫। খাবার খাওয়ার ফলে অনেকসময় দাঁতে খাবার আটকে ব্যথা হয়ে থাকে। তবে দাঁতে ব্যথা খুবই মারাত্মক। যার হয় একমাত্র সেই জানে। এই দাঁতের ব্যথা দূর করতে ১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়া এবং ১/২ চা চামচ লবঙ্গের তেল মিশিয়ে ব্যথা দাঁতে কিছুটা সময় রেখে দিন। এতে দ্রুত দাঁতের ব্যথা কমে আসবে।

 

বিডি-প্রতিদিন/

345
প্রস্রাবে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন একটি প্রচলিত সমস্যা। সাধারণত ইউরেটার, মূত্রথলি, মূত্রনালি এসব অংশের ভেতর জীবাণু কোনোভাবে ঢুকে যে প্রদাহ সৃষ্টি করে তাকেই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই বলে। নারী পুরুষসহ শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে নারীরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ নারীদের মূত্রনালি জন্মগতভাবে পুরুষের চেয়ে ছোট এবং সেটি পায়ুপথের খুব কাছাকাছি থাকে। তাই পায়ুপথের জীবাণুগুলো খুব সহজেই মূত্রনালিতে চলে আসে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে গিয়ে মূত্রথলি এবং কিডনিতেও সংক্রমণ করতে পারে।
 
এছাড়া প্রস্রাব কিডনি থেকে আসার পথে যদি কোনো বাধার সৃষ্টি হয় যেমন: পাথর, টিউমার ইত্যাদি কারণেও ইউটিআই হতে পারে। এছাড়া পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে প্রস্রাব প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে ইউটিআই হতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন, কম পানি পান করা, প্রস্রাব আটকে রাখা ইত্যাদি কারণেও ইউটিআই হতে পারে।
 
ইউটিআই এর লক্ষণগুলো হলো: প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা, তলপেটে ব্যথা, জ্বর, খাবারে অরুচি ইত্যাদি। এছাড়া অনেক সময় কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা সমস্যাগুলো বোঝাতে পারেন না। তাই তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। একবার ইনফেকশন হলে তা বারবার হওয়ার প্রবণতা থাকে। যথাযথ চিকিৎসা না করলে স্থায়ীভাবে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রস্রাবে ইনফেকশনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
 
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ
 

Pages: 1 ... 21 22 [23] 24 25 ... 33