Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - yousuf miah

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 12
76
আরমান চাকরিতে ঢুকেছেন মাত্র ৯ মাস। সর্বসাকল্যে বেতন পাচ্ছেন ১৪ হাজার ৪শ' টাকা। অভিভাবকদের ইচ্ছায় এরই মধ্যে আবার বিয়েও করেছেন। নতুন সংসার পেতেছেন ভাড়া বাসায়। কত কিছু কেনাকাটা করতে হচ্ছে। হিমশিম অবস্থা। অফিসের কাজের চাপে আর ট্রাফিক জ্যামের সময় গ্রাসে ছুটির দিন ছাড়া পুরো সপ্তাহে বাজার করার আর কোনো ফুরসতই মেলে না।

তাই সাধ্য না থাকলেও দরকার একটি রেফ্রিজারেটর। কী করবেন ভেবে পান না। প্রতিবেশী ভাবি পরামর্শ দিল, শোরুম থেকে ছয় মাসের কিস্তিতে ফ্রিজ কেনেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, তিন মাসের কিস্তিতে কিনলে নগদ মূল্যের ওপর শতকরা পনের টাকা আর ছয় মাসের কিস্তিতে কিনলে শতকরা ২৫ টাকা বেশি দিতে হবে। তিনি হতাশ হলেন। রেফ্রিজারেটর কেনা তার জন্য সম্ভব নয়। যতই কষ্ট হোক সুদের কারবারে নিজেকে জড়িত করে আল্লাহর অবাধ্য হতে পারবেন না।

সানজিদা সেলাই কাজ শিখেছে। উদ্দেশ্য ছিল লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়িতে বসেই কিছু টাকা উপার্জন করবে। বাবার বোঝা কিছুটা লাঘব করবে; কিন্তু পল্লী বাজারের ছোট একটি দোকানদার আরিফ সাহেব। তার পক্ষে সম্ভব নয় মেয়েকে নগদ টাকা দিয়ে সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া। তিনি খোঁজ পেলেন নগদ মূল্যের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে সহজ কিস্তিতে সেলাই মেশিন কেনা যায়। তিনি ভয় পেলেন, আমি মুসলমান। সুদে জড়িত হবো!

আমাদের সমাজে এ রকম আরমান, আরিফ অনেক আছেন। তারা এ ভুল করে থাকেন। নগদ মূল্য থেকে কিস্তি মূল্যের অতিরিক্ত অংশকে সুদ হিসেবে গণ্য করেন। আবার অনেকে কিস্তিকে সুদের সমার্থক ভাবেন। সুদ ও অতিরিক্ত অংশকে এক ভাবেন। অথচ এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে।

সব অতিরিক্ত অংশ সুদ নয়। কিস্তিতে টাকায় আদায় করা হলেই তা সুদ নয়- বিজ্ঞ ইসলামি চিন্তাবিদদের সুচিন্তিত মতানুসারে। কোনো লেনদেনে এক পক্ষের দেয় অতিরিক্ত অংশ সুদ হবে যদি উভয়পক্ষের আদান-প্রদানকৃত বস্তুদ্বয় সমজাতের হয়। আর যদি বস্তুদ্বয় সমজাতের না হয় তাহলে অতিরিক্ত অংশ সুদ হবে না।

যেমন- যায়েদ ২০ কেজি গমের বিনিময়ে উমরকে বাইশ কেজি গম দিল। এখানে যেহেতু উভয় পক্ষের বস্তু এক জাতের সেহেতু যায়েদের দেওয়া অতিরিক্ত দুই কেজি গম ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ। আবার যায়েদ ২০ কেজি ধানের বিনিময়ে উমরকে বাইশ কেজি গম দিল। এখানে যেহেতু উভয় পক্ষের বস্তু এক জাতের নয়, সেহেতু যায়েদের দেওয়া অতিরিক্ত দুই কেজি গম ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ নয়।

অনুরূপভাবে বেচাকেনায় যদি এক পক্ষ পণ্য দেয়, তা যে কোনো আইটেমের হোক। অপর পক্ষ মুদ্রা দেয়, তাহলে যে কোনো এক পক্ষের দেয় বস্তুটির পরিমাণ যত বেশিই হোক না কেন, আর এর পশ্চাৎ কারণ যা-ই থাকুক না কেন সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অংশকে সুদ গণ্য করা হয় না। কেননা, মুদ্রা ও পণ্য এক জাত নয়।

উপরোক্ত আলোচনা ও উদাহরণ দ্বারা স্পষ্ট যে, বর্তমানে বিভিন্ন উৎপাদক, পরিবেশক ও বিক্রেতা ক্রেতাদের কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের সুযোগ দিয়ে নিজেদের পণ্য বেশি টাকায় বিক্রির অফার দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ওইসব পণ্য যেমন- রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, সেলাই মেশিন ইত্যাদি নগদ মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে কিস্তিতে কেনাকে সুদের কারবার বলা যাবে না এবং দামের ওই অতিরিক্ত অংশকে সুদ বলা যাবে না।

তবে কিস্তিতে বেচাকেনার যে পদ্ধতি আমাদের বাজারে প্রচলিত, তাতে একটি বিষয় অবশ্যই সংশোধনযোগ্য। সাধারণত বিক্রেতা পক্ষ কিস্তির সংখ্যাভেদে কয়েক ধরনের দাম প্রস্তাব করে। যেমন- মূল্য নগদ দিলে ১০ হাজার টাকা, তিন মাসে শোধ করলে ১২ হাজার টাকা, ছয় মাসে শোধ করলে ১৫ হাজার টাকা, ১২ মাসে শোধ করলে ১৮ হাজার টাকা।

ক্রেতা কিস্তির কথা বলে পণ্য নিয়ে যান। মূল্য ও কিস্তির ধরন নির্দিষ্ট করেন না। পরে নিজের রুচি ও সুবিধামতো প্রস্তাবের যে কোনো একটি মূল্য পরিশোধ করেন। মূল্য সুনির্দিষ্ট না করে বিভিন্ন মেয়াদভিত্তিক বিভক্ত রেখেই বেচাকেনার চুক্তি সম্পাদন করা ইসলামে নিষিদ্ধ।

বেচাকেনা শুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যক হলো- বিভিন্ন মেয়াদভিত্তিক বিভক্ত মূল্যগুলো থেকে যে কোনো একটি মূল্য ও মেয়াদ সুনির্দিষ্ট করে চুক্তি সম্পাদন করা।


 মুফতি মাহফূযুল হক
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

77
Useful Videos on Islamic Topics / Good luck to everyone's religion
« on: March 14, 2016, 10:01:13 AM »

মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সমাজের প্রতি তার কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। নিজের অর্থ-সম্পদ সমাজের মানুষের জন্য অকাতরে খরচ করেন এমন সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, দানশীল ব্যক্তির সংখ্যা কিন্তু কম নয়। অর্থ-সামর্থ্য না থাকলেও মানুষকে উপদেশ বিলিয়ে থাকেন এমন মহৎ ব্যক্তিও আমাদের সমাজে আছেন। নিজের যোগ্যতা, অর্থ-সামর্থ্য ও বিচার-বুদ্ধি দিয়ে আমাদের যেমনি অন্যের উপকারে এগিয়ে আসতে হবে, তেমনি ধর্মীয় ব্যাপারেও নিজেরসহ অন্যের হিত কামনায় কাজ করতে হবে।

আমরা যারা বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করছি এবং এ ক্ষেত্রে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিচ্ছি, তাদের এর সঙ্গে আরও একটি মহৎ ও স্থায়ী কাজকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। কী সেই মহৎ ও স্থায়ী কাজ? আল্লাহ ও আখিরাত বিশ্বাসীদের জন্য সে কাজটি হচ্ছে ধর্মীয় কাজ। অর্থাৎ আগের সব সেবা ঠিকই থাকবে, শুধু এর সঙ্গে যোগ হবে ধর্মীয় কিছু সেবা।

একজন নিঃস্ব-নিরীহ লোককে ক্ষুধা-তৃষ্ণার যন্ত্রণা আর রোদ-বৃষ্টি ও শীতের কষ্ট থেকে এতে যেমনি বাঁচানো যাবে, তেমনি তাকে রক্ষা করা যাবে চিরস্থায়ী জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে। অন্যভাবে বলা যায়, অসহায় মানুষটির সাময়িক-অস্থায়ী উপকারের পাশাপাশি স্থায়ী উপকারের ব্যাপারেও আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে, তাকে ধর্ম পালনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং বোঝাতে হবে।

এ কাজদ্বয় আমাদের ওপর আরোপিত দায়িত্বও বটে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, 'তোমরা ভালো ও খোদাভীতিমূলক কাজে, খোদাভীতির পথে একে অপরকে সহযোগিতা করো।’ -সূরা মায়িদা : ২

ধর্ম আর ধর্মীয় সেবা কী? হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'ধর্ম হচ্ছে শুভ কামনা/উপদেশ/পরামর্শ (তিনবার তিনি কথাটি বলেছেন)।' আমরা (সাহাবারা রা.) বললাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য, তার কিতাবের জন্য, তার রাসূলের জন্য, মুসলমান নেতৃবৃন্দের জন্য এবং সব মুসলমানের জন্য। -সহিহ মুসলিম

সমাজসেবার পাশাপাশি ধর্মীয় সেবায় আমাদের প্রতি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সুস্পষ্ট নির্দেশ হচ্ছে- 'আমার পক্ষ হতে একটি বাক্য হলেও পৌঁছে দাও।'

জাগতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের পাশাপাশি সময়-সুযোগ করে আমাদের ধর্মীয় পড়া পড়তে হবে, জানতে হবে, বলতে হবে, জানাতে হবে, লিখতে হবে এবং প্রচার করতে হবে। তা না হলে বিবেকের কাঠগড়ায় যেমনি আসামি হতে হবে, একইভাবে আসামি হতে হবে ধর্মের কাঠগড়ায়ও। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলছেন, 'যেসব লোক এমন কোনো বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য ওঠে আসে যেখানে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয় না (ধর্মের কথা মোটেই বলা হয় না), তারা যেন মৃত গাধার লাশের স্তূপ থেকে ওঠে আসে। এ ধরনের মজলিশ তাদের জন্য আফসোসের কারণ। -সহিহ মুসলিম

যদি কোনো দল কোনো বৈঠকে বসে আল্লাহর জিকির না করে এবং তাদের নবীর ওপর দরুদও পাঠ না করে (কোরআন ও হাদিসের কথা না বলে, ধর্মের কথা স্মরণ না রাখে), তাহলে তাদের সে বৈঠক তাদের পক্ষে হতাশার কারণ হবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের শাস্তি দেবেন অথবা তাদের ক্ষমা করবেন। -আবু দাউদ ও আহমদ



বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম





78
Namaj/Salat / Its 10 words about prayer
« on: March 13, 2016, 11:24:46 AM »
 নামাজ বেহেশতের চাবি। প্রতিটি মুসলিমের উচিত ৫ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। নামাজ কায়েম সম্পর্কে আমাদের পবিত্র কুরআনে অনেক বাণী এসেছে। এখানে সালাত সম্পর্কে কুরআনের কয়েকটি বাণী উল্লেখ করা হলো...

১. আর সালাত কায়েম করো আমাকে স্মরণ করার জন্য। ’ (সূরা ২০ তোয়াহা : আয়াত -১৪)

২. সালাত কায়েম করো এবং যাকাত দিয়ে দাও। আর যারা রুকু করে তাদের সাথে রুকু করো (অর্থাৎ জামাতে সালাত আদায় করো)।’ (সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত - ৪৩)

৩. যে কিতাব তোমার প্রতি অহী করা হয়েছে , তা থেকে তিলাওয়াত করো এবং সালাত কায়েম করো। ’ ( সূরা ২৯ আনকাবূত : আয়াত - ৪৫)
৪. অবশ্যি সালাত বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে । ’ ( সূরা ২৯ আনকাবূত : আয়াত - ৪৫)

৫. তোমার পরিবার পরিজনকে সালাতের আদেশ করো। এবং এর উপর অটল থাকো। ’ ( সূরা ২০তোয়াহা : ১৩২ )

পিএনএস ডেস্কঃ

৬. (লোকমান তার ছেলেকে এই বলে উপদেশ দিয়েছিল) হে আমার পুত্র ! সালাত কায়েম করবে , ভালো কাজের নির্দেশ দেবে , অসৎ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে , আর ( এতে বিপদ আপদ আসলে ) ধৈর্য ধরবে। ’ ( সূরা ৩১ লোকমান : আয়াত - ১৭)

৭. অর্থ : তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো সবর ( ধৈর্য ) ও সালাতের মাধ্যমে। ’ ( সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত - ৪৫)

৮. একদল লোক আছে , তাদেরকে ব্যস্ততা এবং ব্যবসা - বানিজ্য আল্লাহর স্মরণ এবং সালাত কায়েম করা থেকে বিরত রাখেনা। ’ (সূরা ২৪ নূর : আয়াত - ২৭)

৯. ( একদল লোক আছে ) তাদেরকে যদি আমি দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করি , তবে তারা সালাত কায়েম করবে .....................।’ (সূরা ২২ আল হজ্জ : আয়াত ৪১ )

১০. ( ইবরাহিম দোয়া করেছিল : ) হে আমার প্রভু ! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানাও আর আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও । ( সূরা ১৪ ইবরাহিম : আয়াত - ৪০ )

79
(প্রিয়.কম)-  ‘ধূমপান বিষপান’- এই কথাটি জানা সত্ত্বেও অনেকে ধূমপান করে থাকেন। আপনি চেইন স্মোকার হন বা টিন স্মোকার, হুট করে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাটা আপনার জন্য কষ্টসাধ্য। আর ধূমপান যদি একবার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়, তবে তো কোন কথাই নেই! তবে হ্যাঁ ইচ্ছাশক্তি এবং আন্তরিকতা দিয়ে এই অভ্যাস ত্যাগ করা সম্ভব। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার সময়টি একজন ধূমপায়ীদের জন্য বেশ কষ্টকর। কিছু খাবার আছে যা শরীরে টক্সিন দূর করে ধূমপানের অভ্যাস দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার পর এই খাবারগুলো প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় রাখুন।

১। পানি

ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার পর পানি পানের পরিমাণটি বাড়িয়ে দিন। দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করুন। এটি আপনার শরীর থেকে নিকোটিন বের করে কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

২। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ খাবার

যে সকল খাবারে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাটাসিন, কোয়ারটিন, ক্যাম্পফিরো অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান আছে যা ফুসফুস সুরক্ষা করে থাকে। ফ্ল্যাভোনয়েড ফুসফুসে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি করতে বাধা দেয়। স্ট্রবেরি, সবুজ চা, কালো চা, আপেল, বিনস এবং পেঁয়াজ ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন।

৩। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন সি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ যেমন নিকোটিন দ্রুত বের করে দেয়। কমলা, আমলকী, লেবু, পেঁপে,টমেটো ইত্যাদি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার প্রতিদিন খেতে পারেন। একজন ধূমপায়ীর প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার ভিটামিন সি খাওয়া উচিত শরীর সুস্থ রাখার জন্য। 

৪। গাজরের রস

এটি আপনার শরীর ডিটক্স করে রক্ত থেকে দূষিত পর্দাথ বের করে দেয়। এই একটি রসে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি রয়েছে যা শরীরে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।

৫। পালং শাক

পালং শাক শুধু ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করে না, এটি কিডনির পাথর দূর করতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড যা আপনাকে ধূমপান করার আগ্রহ কমিয়ে দেয়।

৬। ব্রকলি

আপনি যদি ধূমপানের অভ্যাস দূর করতে চান, এই সবজিটি আপনাকে সাহায্য করবে। এটি ফুসফুস পরিষ্কার করে নিকোটিন দূর করে দিবে। এতে সালপোফেইন নামক উপাদান আছে যা ফুসফুস সুস্থ রাখতে পারবে।

এই খাবারগুলোর সাথে লেবু, শসা, বেগুন, কিউই, বিনস, স্ট্রবেরি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন। এই খাবারগুলো আপনার ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে তার সাথে ধূমপান পরবর্তী সময়ে ফুসফুস সুস্থ রাখবে।

80
(প্রিয়.কম)- নানা রকম মজাদার সবজিগুলোর মধ্যে ঢেঁড়স অন্যতম। এর পিচ্ছিল ভাবের জন্য অনেকেই এটি পছন্দ করেন না। ঢেঁড়স দেখতে অনেকটা নারীর আঙুলের মত দেখতে হওয়ায় একে লেডিস ফিঙ্গার বলা হয়ে থাকে। এই পিচ্ছিল সবজিটির রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই সবজিটি কিডনি, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা এবং কোলেস্টেরল প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।

এক কাপ ঢেঁড়সে ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ৬০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ২৯৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৩ গ্রাম ফাইবার, ৩৩ ক্যালরি, ৭.৬ গ্রাম কার্বো হাইড্রেট, ৮০ মিলিগ্রাম ফলিক অ্যাসিড এবং .২ গ্রাম ফ্যাট আছে। লো ক্যালরি হওয়ায় এটি কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে ওজন হ্রাস করে থাকে। এই ঢেঁড়স ভিজানো পানি প্রতিরোধ করে অনেকগুলো রোগ।

উপকরণ:

    ২টি ফ্রেশ ঢেঁড়স
    ১ গ্লাস পানি

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। প্রথমে ঢেঁড়সগুলোর মুখ এবং লেজের অংশ কেটে নিন।

২। এবার এক গ্লাস পানির মধ্যে কাটা ঢেঁড়স দিয়ে দিন।

৩। এভাবে সারা রাত রাখুন।

৪। সকালে খালি পেটে এটি পান করুন।

স্বাস্থ্য উপকারিতা:

১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

২। ব্লাড সুগার কমিয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।

৩। কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে।

৪। কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে।

৫। অ্যাজমা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ভাল ফল পেতে প্রতিদিন নাস্তার আগে খালি পেটে এটি পান করুন। এটি ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কিডনি সুস্থ রাখে।

81
Food Habit / For additional anger in your diet 4
« on: March 13, 2016, 09:59:19 AM »


(প্রিয়.কম)- প্রচলিত আছে “ রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন”। কিন্তু সবসময় কি রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়? যায় না। আবার অনেকে আছেন যারা হুট করে রেগে যান। রাগ বিষয়টিকে আমরা আবেগ বলে মনে করে থাকলেও কখনও কখনও আমাদের খাবার এবং হজমের সাথে এটি জড়িত থাকে। কিছু কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খেলে শরীরের রাগের হরমোন নিঃসরণ করে আপনাকে রাগিয়ে দিয়ে থাকে। এমন কিছু খাবারের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক।

১। কফি

কফির উপাদান আপনাকে খামখেয়ালি করে তোলে। অতিকরিক্ত কফি পান আপনাকে হুট করে রাগিয়ে তুলতে পারে। এমনকি কফি আমাদের অনেক বেশি এ্যানার্জি দিয়ে থাকে যা অনেক সময় রাগের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে থাকে। তাই দিনে ২-৩ কাপের বেশি কফি পান করা উচিত নয়।

২।  ট্র্যান্স ফ্যাট

University of California এক গবেষণায় দেখছে যে, যারা বেশি পরিমাণে ট্র্যান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন, তারা দ্রুত রেগে যান। কারণ এটি দেহে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড নষ্ট  করে দেয়। ওমেগা থ্রি অভাব শুধু হতাশা তৈরি করে না, এর সাথে নানা অ্যান্টি সোশ্যাল কার্যকলাপে জড়িয়ে থাকে। আমরা অনেক সময় নিজেদের অজান্তেই ট্যান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি, যেমন আলুর চিপস, ফ্রোজেন ফুডস, ভাজা কুকিস ইত্যাদি, যাতে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যান্স ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।  আমেরিকান জনপ্রিয় খাবার ডোনাটেসে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যান্স ফ্যাট রয়েছে। 

৩। প্রসোসেড কার্বোহাইড্রেড এবং চিনির বিকল্প খাবার

প্রসোসেড ফুড আরেকটি অন্যতম খাবার যা আপনাকে রাগিয়ে দিতে পারে। পুষ্টিবিদ নাটালি ডুহামেল এর মতে প্রসোসেড কার্বোহাইড্রেড ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদপিণ্ডের সমস্যা ছাড়াও বিষণ্ণতা, হতাশা তৈরি করে থাকে। যা থেকে রাগের সৃষ্টি হয়। Dr. Alex Richardson of Oxford University মনে করেন “যখন দেহের রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায় তখন তা আমাদের আবেগের ওপর প্রভাব বিস্তার করে এবং এই কারণে অনেকে বিষণ্ণ, রাগী, হয়ে যান যা অন্যের উপর খাটাতেই মানুষ পছন্দ করে থাকেন’।

৪। ঝাল জাতীয় খাবার

ঝাল জাতীয় খাবার আপনাকে রাগিয়ে দিয়ে থাকে। আপনি যদি রেগে থাকেন, তবে ঝাল জাতীয় খাবার আপনাকে আরও বেশি রাগিয়ে দিবে। রাগান্বিত অবস্থায় ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

শুধু খাবার নয়, অনেক সময় না খেয়ে থাকার কারণেও রেগে যেতে পারেন যখন তখন। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে  শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি আরও অনেক পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়ে থাকে। যার কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, এবং আপনি রেগে উঠেন।

82
Useful Videos on Islamic Topics / Ideal mothers easily go to heaven
« on: March 10, 2016, 10:07:18 AM »
পৃথিবীর সব সন্তানের কাছে ‘মা’ শব্দটি যেমন সবচেয়ে দৃঢ় সম্পর্কের নাম, তেমনি সবচেয়ে পবিত্র ও মধুরতম শব্দের নাম। সন্তানের জীবনের চরম সংকটকালে পরম সান্ত্বনা ও ভরসার স্থল হিসেবে যার কথা প্রথম মনে পড়ে তিনি মমতাময়ী মা।

একজন আদর্শ মায়ের অভাবে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতি বিপন্ন হতে বাধ্য। সুতরাং মা হিসেবে ইসলামে একজন নারীর অবস্থান বা মর্যাদা অকল্পনীয়। মা সম্পর্কে পবিত্র হাদিসে বলা হয়েছে, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ কম শব্দের এ হাদিসে অত্যন্ত ব্যাপকভাবে বলে দেওয়া হয়েছে মা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। সুতরাং মায়ের সন্তুষ্টি অর্জন একজন সন্তানের অপরিহার্য দায়িত্ব।

শান্তির ও মানবতার ধর্ম ইসলাম মা’কে দিয়েছে বর্ণনাতীত মর্যাদা ও সম্মান। ইসলামের দৃষ্টিতে বাবার চেয়ে মায়ের মর্যাদা তিন গুণ বেশি। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! মানুষের মাঝে আমার নিকট থেকে সর্বোত্তম সেবা লাভের অধিকার কার? নবী (সা.) বলেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তার পর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি আবারও জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার পিতার। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

মায়েরা সাধারণত আদর্শ হন। ইসলাম আদর্শ মা হওয়ার জন্য খুব বেশি কঠিন কোনো শর্ত দেয়নি। বিষয়টি খুব কঠিনও নয়। মায়েরা অনেক কাজই অতিরিক্ত করেন, যা তাদের ইসলাম বাধ্য করেনি। যেমন ধরুন, সন্তানের লালন-পালনের বিষয়টি। আমাদের দেশে মা-ই সন্তানকে দেখভাল করেন বললে ভুল হবে না। ফজরের আগে থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত মা তার সন্তানের জন্য সদা নিয়োজিত। কত কষ্টই না তারা করেন! আর বাবা থাকেন সারা দিন তার দুনিয়ার ব্যস্ততা নিয়ে।

এখন মা যদি চান তার সন্তানকে তার স্বামীর চেয়ে বেশি আদরযত্ন করবেন না; স্বামী যতটুকু সময় দেবেন, তিনিও ততটুকু সময় দেবেন; স্বামী যতটুকু দেখভাল করবেন, তিনিও ততটুকু দেখভাল করবেন। তাহলে তিনি তা করতে পারেন। হক আদায় না করার গুনাহ হবে না। তবে অবশ্যই তাকে সন্তানের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসা কম করার জন্য জবাব দিতে হবে। কিন্তু মায়েরা তার ওপর যেটা হক বা আবশ্যক নয়, তা-ও সন্তানের জন্য করেন।

যদি প্রশ্ন করা হয়, অলি-আউলিয়া ও বুজুর্গরা সহজে জান্নাতে যাবেন, নাকি একজন আদর্শ মা সহজে যাবেন- এর উত্তর কী হবে?

একজন বড় আলেমের কথা ধরুন, ইন্তেকালের পর অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। তাকে প্রশ্ন করা হবে নানা প্রসঙ্গে।

কিন্তু একজন মায়ের কথা বলুন- যদি তিনি কেবল আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.)-এর ওপর বিশ্বাস রাখেন আর ঠিকমতো কোনো রকম ফরজ নামাজটুকু আদায় করে যেতে পারেন তাহলেই তাদের পরকাল সফল বলা যায়। সামান্য কয়েকটা প্রশ্ন থাকবে তাদের জন্য। সহজেই উতরে যেতে পারবেন ওসব।

সহজে জান্নাতে যাওয়ার জন্য, মাকে তার সফল জীবনের জন্য কিছুটা সতর্ক থাকতে হয়। পরনিন্দা-গিবত-কুৎসা রটনা থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। কিন্তু কিছু অবুঝ নারীর জন্য অনেক ভালো মায়েরাও ভুল করে বসেন। এ সময়ে তো পাপাচারের জন্য ঘরের বাইরেও যেতে হয় না। হাতের কাছেই শয়তান যথেষ্ট উপকরণ রেখে দিয়েছে। সেই শয়তানের ধোঁকায় না পড়ার জন্য আদর্শ জান্নাতি মায়েদের আরো বেশি সতর্ক হতে হবে।

83

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অনেকেই সামান্য টাকা কম থাকায় ওমরাহ হজ পালন করতে পারেন না। এছাড়া সঠিক মাধ্যমের অভাবেও বেশ সমস্যায় পড়তে হয় ওমরাহ হজ পালনকারীদের।

দু:শ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন, এ ধরনের সব সমস্যার সমাধান দিচ্ছে বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্সি জাস্ট হলিডেজ লিমিটেড। মাত্র ৬৫ হাজার টাকায় ওমরাহ হজ পালন করার অফার নিয়ে হাজির হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ওমরাহ হজ পালনকারীদের জন্য  এতো অল্প টাকায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এ অফার দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

এ অফারের অধীনে ওমরাহ হজ পালনকারীরা তিন তারকা হোটেলে থাকার পাশাপাশি মাজার জিয়ারত, এসি যানবাহন, সৌদি মোবাইল সিমকার্ড, সঠিক পথ প্রদর্শক, ওমরাহ ভিসা ফি (মোফা), সুশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ মোয়াল্লেমসহ নানা সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্যাকেজের আওতায় ওমরাহ হজ পালনকারীরা মাত্র ৬৫ হাজার টাকায় ১০ রাত পবিত্র মক্কা ও মদিনায় তিন তারকা হোটেলে থাকতে পারবেন। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে টিকিটের ব্যবস্থাও করে দেবে জাস্ট হলিডেজ। জেদ্দা এবং মদিনায় বিমানবন্দরে অর্ভ্যথনার সু-ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।

অফারের এ প্যাকেজটি আগামী পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে গ্রহণ করা যাবে।

এছাড়াও ১৪ রাত, ২১ রাতের ওমরা হজ পালনের তিন ও পাঁচ তারকা হোটেলে থাকাসহ স্বল্পমূল্যের প্যাকেজ রয়েছে জাস্ট হলিডেজ লিমিটেডের।

জাস্ট হলিডেজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ সুমন বাংলানিউজকে বলেন, জাস্ট হলিডেজ শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই নয়। এ প্রতিষ্ঠান সেবামূলক কাজেও অংশগ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ওমরাহ হজ পালন করতে ইচ্ছুকদের জন্য এ প্যাকেজটি দেওয়া হয়েছে।

মোশারফ সুমন বলেন, একেবারেই অল্প খরচে এ প্যাকেজটি ছাড়া হয়েছে। ফলে সব শ্রেণির মানুষ ওমরাহ হজ পালন করতে পারবেন। আমরা চাই, তারা যেন নিরাপদে ওমরাহ হজ পালন করে দেশে ফিরতে পারেন। এ লক্ষ্যে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তিনি জানান, অনেক সময়ে ওমরাহ হজ পালনকারীদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এসব বিবেচনায় এনে অফারটি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ট্রাভেল এজেন্সির কাজ করায় জাস্ট হলিডেজের ওপর আস্থাও রয়েছে।

সৌদি দূতাবাসের ওমরাহ পালনের পুরো নিয়ম মেনে শর্তসাপেক্ষে এ অফারটি পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান মোশারফ সুমন।

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও বৃহৎ ট্রাভেল এজেন্সি জাস্ট হলিডেজ লিমিটেড এর ওমরাহ হজের প্যাকেজটি গ্রহণ করতে চাইলে মোবাইলে যোগাযোগ করে বুকিং দেওয়া যাবে। পাশাপাশি সরাসরি অফিসেও এসে বুকিং দেওয়া যাবে। এছাড়া যাবতীয় পরামর্শও পাওয়া যাবে মোবাইল নম্বরগুলোতে।

মোবাইল নম্বরগুলো হচ্ছে: 01614466600, 01614466601, 01614466611, 01614466615
অফিস: হাউস নম্বর: 11, ব্লক ডি, রোড নম্বর 17, ফ্ল্যাট বি-1, বনানী ঢাকা। ফেসবুক: https://www.facebook.com/Just-Holidays-Ltd-1543973742480970/

84
Quran / The names of the prophets mentioned in the Quran karime
« on: March 05, 2016, 09:25:17 AM »
[
পবিত্র কোরআনে কারিমে বর্ণিত নবীদের নাম
মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম


হজরত আবু জর গিফারি রাযিয়াল্লাহু আনহু প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নবীদের সংখ্যা কত? তিনি জবাব দিলেন, ১ লাখ ২৪ হাজার। তাদের মধ্যে ৩১৫ জন হচ্ছেন রাসূল।

তবে কোরআনে কারিমে মাত্র ২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের কারও কারও আলোচনা বিভিন্ন সূরায় একাধিক জায়গায় স্থান পেয়েছে। আবার কারও কারও নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এর সংখ্যা মাত্র ৫টি।

কোরআনে কারিম যেহেতু হেদায়েতের বাণী ও উপদেশগ্রন্থ, তাই অতীতকালের জাতি ও সম্প্রদায়ের ঘটনাবলি, তাদের ভালো-মন্দ আমল ও তার পরিণতি বর্ণনার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ধারা বর্ণনাপদ্ধতি অবলম্বন করা হয়নি। বরং সত্য প্রচারের লক্ষ্যে দাওয়াত প্রদানের মুখ্যতম পন্থাই গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে প্রাচীনকালের সম্প্রদায় ও তাদের প্রতি প্রেরিত পয়গম্বরদের আলোচনা বারবার শ্রবণ করার ফলে শ্রোতাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে গেঁথে যেতে পারে এবং তা শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বেশ উপযোগীও বটে। কোরআনে কারিমে বর্ণিত ২৫ জন নবীর নাম হলো-

১. হজরত আদম আলাইহিস সালাম। মোট ৯টি সূরার ২৫ জায়গায় তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি সর্বপ্রথম মানুষ ও নবী ছিলেন।

২. হজরত ইদরিস আলাইহিস সালাম। কোরআনের দু’টি সূরায় দু’বার উল্লেখ হয়েছে তার নাম। তিনি সর্বপ্রথম কলম দ্বারা লিখেছেন। আল্লাহতায়ালা তাকে সিদ্দিক হিসেবে কোরআনে আখ্যা দিয়েছেন এবং তিনি সর্বপ্রথম কাপড় সেলাই করে পরিধান করা শুরু করেন।

৩. হজরত নুহ আলাইহিস সালাম। ২৮টি সূরায় ৪৩ বার উল্লেখ করা হয়েছে এই নবীর নাম। তিনি নিজ জাতিকে সাড়ে ৯শ’ বছর দাওয়াত দিয়েছেন। তার ছেলে কেনানকে কুফরির কারণে আল্লাহতায়ালা মহাপ্লাবনে ডুবিয়ে মেরেছিলেন।

৪. হজরত হুদ আলাইহিস সালামের নাম তিনটি সূরায় সাতবার উল্লেখিত হয়েছে। তাকে আদ জাতির নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল। নূহ (আ.)-এর সম্প্রদায়কে প্লাবন দ্বারা ধ্বংস করার পর সর্বপ্রথম তার সম্প্রদায়ের লোকেরা মূর্তিপূজায় লিপ্ত হয় এবং আল্লাহ তাদেরকে প্রচন্ড ঝড় দ্বারা ধ্বংস করে দেন।

৫. হজরত সালেহ আলাইহিস সালামের নাম চারটি সূরায় ৯ স্থানে উল্লেখ আছে। তাকে ছামূদ জাতির নিকট প্রেরণ করা হয়। সালেহ (আ.)-এর মুজেযা ছিল উটনি।
 
৬. হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নাম ২৫ সূরায় ৬৯ বার উল্লেখ হয়েছে। তিনি ইরাকে জন্মগ্রহণ করেন ও ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপন করেন। পরে আল্লাহতায়ালার হুকুমে স্ত্রী ও শিশু সন্তান ইসমাঈলকে জনমানবহীন মক্কায় রেখে আসেন।

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে আবুল আম্বিয়া বা নবীদের পিতা বলা হয়। তিনি ছেলে ইসমাঈলকে সঙ্গে নিয়ে কাবা ঘর নির্মাণ করেন ও সর্বপ্রথম মানুষকে বায়তুল্লাহর হজ করার জন্য আহবান করেন।

৭. হজরত লুত আলাইহিস সালাম। চৌদ্দটি সূরায় ২৭ বার উল্লেখ করা হয়েছে তার নাম। তার স্ত্রী কাফের ছিল। তার সম্প্রদায়ের লোকেরা সমকামিতার মতো পাপে লিপ্ত ছিলো। ফলে আল্লাহতায়ালা তাদের কঠোর শাস্তি প্রদান করেন।

৮. হজরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম। আট সূরায় ১২ জায়গায় উল্লেখ হয়েছে এই নবীর নাম। জন্মের পূর্বেই তাকে বিজ্ঞ বলে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল।

৯. হজরত ইসহাক আলাইহিস সালাম। কোরআনের ১২টি সূরায় মোট ১৭ বার আলোচিত হয়েছে তার নাম। তিনি ও ইসমাঈল (আ.) সম্পর্কে ভাই ছিলেন।

১০. হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম। ১০টি সূরায় ১৬ বার আলোচিত হয়েছে তার নাম। তার আরেক নাম হলো- ইসরাইল। তার নামানুসারে বনী ইসরাঈল সম্প্রদায়ের নামকরণ করা হয়েছে।

১১. হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম। তিনটি সূরায় ২৭ বার উল্লেখ হয়েছে তার নাম। এ ছাড়া সূরা ইউসুফ নামে হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ঘটনা সম্বলিত একটি স্বতন্ত্র সূরা রয়েছে কোরআনে। তিনি নিজে নবী ছিলেন এবং তার পিতা ইয়াকুব (আ.), তার দাদা ইসহাক (আ.)  ও পরদাদা ইবরাহীম (আ) নবী ছিলেন।

১২. হজরত শোয়াইব আলাইহিস সালাম। চার সূরায় ১১ বার উল্লেখ করা হয়েছে তার নাম। তার সম্প্রদায়ের লোকেরা মাপে বা ওজনে কম দেওয়ার প্রেক্ষিতে আজাবপ্রাপ্ত হয়েছিল।

১৩. হজরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম। চারটি সূরার চার জায়গায় আলোচিত হয়েছে তার নাম। আল্লাহতায়ালা তাকে দীর্ঘকাল কঠিন অসুখ দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন। কিন্তু তিনি ধৈর্যধারণ করে ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

১৪. হজরত যুলকিফল আলাইহিস সালাম। দু‍’টি সূরায় দু’বার আলোচিত হয়েছে তার নাম।

১৫. হজরত মুসা আলাইহিস সালাম। পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বেশি বার তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ৩৪টি সূরায় ১৩৭ বার আলোচিত হয়েছেন তিনি। বনী ইসরাঈলের প্রথম নবী ছিলেন তিনি। জন্মের পর মুসা আলাইহিস সালামকে তার মা বাক্সে ভরে নীল নদে ভাসিয়ে দেন। আল্লাহর কুদরত হিসেবে পরে তিনি জালেম বাদশা ফেরাউনের বাড়ীতে লালিত-পালিত হন। নবী মূসাকে আল্লাহতায়ালা অনেকগুলো মুজেযা দিয়েছিলেন। তন্মধ্যে একটি হলো- মূসা (আ.) তার হাতের লাঠি মাটিতে রেখে দিলে তা বিশাল বড় সাপে পরিণত হতো। পরে তিনি সেটা হাতে নিলে আবার লাঠি হয়ে যেত।

১৬. হজরত হারুন আলাইহিস সালাম। ১৩টি সূরায় ২০ বার আলোচিত হয়েছেন তিনি। তিনি নবী মূসা (আ.)-এর ভাই ছিলেন। বাগ্মীতার পারদর্শী ছিলেন তিনি।

১৭. হজরত দাউদ আলাইহিস সালাম। ৯টি সূরায় ১৬ বার উল্লেখ হয়েছে তার নাম। তিনি নিজে রোজগার করে সংসার চালাতেন। তাকে যাবুর কিতাব প্রদান করা হয়েছিল। তিনি একদিন রোজা রাখতেন, আরেকদিন রাখতেন না।

১৮. হজরত সোলায়মান আলাইহিস সালাম। সাতটি সূরায় ১৭ বার উল্লেখ হয়েছে তার নাম। তিনি সারা পৃথিবীর বাদশাহ ছিলেন। পশু-পাখীদের ভাষা বুঝাসহ মুজেযাস্বরূপ বাতাস নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা পেয়েছিলেন তিনি।

১৯. হজরত ইলিয়াস আলাইহিস সালাম। দু’টি সূরায় তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে তার নাম।

২০. হজরত ইয়াসা আলাইহিস সালাম। কোরআনে কারিমের দু’টি সূরায় দু’বার অালোচনা করা হয়েছে তার প্রসঙ্গ।

২১. হজরত ইউনুস আলাইহিস সালাম। দু’টি সূরায় দু’বার উল্লেখ হয়েছে তার নাম। তাকে মাছে গিলে ফেলেছিল। পরে তিনি দোয়া করার পর আল্লাহতায়ালা তাকে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি নিনুওয়া এলাকার লোকদের নিকট প্রেরিত হয়েছিলেন। পূর্ববর্তী সমস্ত নবীর অধিকাংশ উম্মত তাদের সঙ্গে কুফরি করলেও ইউনুস (আ.)-এর সম্প্রদায়ের সবাই তার প্রতি ঈমান এনেছিলেন।

২২. হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম। চারটি সূরায় সাতবার উল্লেখ হয়েছে পেশায় কাঠুরে এই নবীর নাম।

২৩. হজরত ইয়াইয়া আলাইহিম সালাম। চারটি সূরায় পাঁচবার উল্লেখ হয়েছে তার প্রসঙ্গ। তাকে কিশোর অবস্থাতেই আল্লাহ জ্ঞানী করেছিলেন এবং তাকে তাওরাতের শিক্ষা দিয়েছিলেন।

২৪. হজরত ঈসা আলাইহি সালাম। ১১টি সূরায় ২৫ বার উল্লেখ হয়েছে তার প্রসঙ্গে। তিনি বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ের সর্বশেষ নবী। তার আরেক নাম মাসিহ।

২৫. হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। চারটি সূরায় মাত্র চার জায়গায় তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যান্য স্থানে তার গুণবাচক নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অথবা আইয়ুহান নবী কিংবা আইয়ুহার রাসূল বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এটা বিশ্বনবীর সম্মান ও মর্যাদার পরিচয় বহন করে।[/font][/size]
banglanews24.com

85
প্রিয়নবী হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোন কাজ কখন কীভাবে করতে হবে তা তিনি হাতে-কলমে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কাজ যেভাবে করেছেন এবং আমাদের করার আদেশ দিয়েছেন তাকেই শরিয়তের ভাষায় সুন্নত বলা হয়।

দৈনন্দিন প্রতিটি কাজ সুন্নত অনুযায়ী করার মধ্যেই রয়েছে আমাদের সফলতা। কিছু জরুরি সুন্নত আছে, যা আমরা ইচ্ছে করলেই শতভাগ আদায় করতে পারি। কিন্তু এ সুন্নত পালনে অবহেলা আমাদের দিন দিন এ থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।

মিসওয়াক করা
অজুর সময় মিসওয়াক করা অনেক ফজিলতপূর্ণ সুন্নত। পকেটে সবসময় মিসওয়াক রাখা কোনো কঠিন কাজ নয়। অথচ অজু করার সময় আমরা মিসওয়াক ব্যবহার করার সুন্নতটি ছেড়ে দিই। অজু ছাড়াও মিসওয়াক ব্যবহার করার অনেক ফজিলত রয়েছে। আমরা ইচ্ছে করলেই এ ফজিলত সহজে লাভ করতে পারি।

নামাজের সময় মাথায় টুপি ব্যবহার করা
টুপি ছাড়া নামাজ আদায় করলে তা আদায় হবে; কিন্তু তা সুন্নতের খেলাফ। নামাজের সময় টুপি ব্যবহার করা আমাদের জন্য মোটেই কঠিন কাজ নয়। প্রায় সব মসজিদেই নামাজে ব্যবহার করার জন্য টুপির ব্যবস্থা করা থাকে।

মাটিতে বসে খাওয়া
টেবিলে খাবার খাওয়া আজকাল আমাদের ফ্যাশন হয়ে গেছে। অথচ মাটিতে বসে খাবার খাওয়া সুন্নত। প্রয়োজনে চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করা যেতে পারে, অন্যথায় নয়।

খাওয়া এবং পান করার সময় ডান হাত ব্যবহার করা
পানাহারের সময় ডান হাত ব্যবহার করা অতি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। আমরা অবহেলায় এ সুন্নতকে ছেড়ে দিই।

চলাচলের সময় রাস্তার ডানদিক ব্যবহার করা
চলাচলের সময় রাস্তার ডানদিক ব্যবহার করা একটি সুন্নত আমল। আমাদের দেশে রাস্তার বাঁদিক দিয়ে চলাচলের নিয়ম থাকলেও যখন হেঁটে চলাচল করতে হয়, তখন অনায়াসেই ডানদিক দিয়ে চলাচল করা সম্ভব।

সালামের আদান-প্রদান
সালাম দেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতময় সুন্নত। এর উপকারও অনেক। সালামের প্রচার-প্রসারের ব্যাপারে হাদিসেও তাগিদ এসেছে। আমরা ইচ্ছে করলেই এর ব্যাপক প্রচলন করতে পারি। অথচ নিতান্তই অবহেলায় সালামের মতো গুরুত্বপূর্ণ এ সুন্নতকে আমরা ছেড়ে দিই।

আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক মুসলমানকে সুন্নত মতে জীবন পরিচালনার তওফিক দান করুন। আমিন।

86
Body Fitness / Know the right time to drink water
« on: February 08, 2016, 04:22:30 PM »
সুস্থ থাকতে কে না চায়? সুস্থ আর সুন্দর একটা জীবনের আশায় রোজ যোগব্যয়াম, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চাসহ আরো কত কসরত্ করি আমরা। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার এই এত শত চেষ্টার কোনটাই কাজে আসবে না যদি না কেবল ঠিক সময়ে পানি পান করেন আপনি। ভাবছেন পানি পানের আবার সঠিক সময়! কিন্তু হ্যাঁ! সত্যিই পানি পান করার জন্যেও রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট সময় যে সময়গুলোতে পানি পান করলে এর উপকারিতা পুরোটুকু পাই আমরা। অন্যথায় অনেক সময় তৈরি হয় শরীরে নানারকম ঝামেলা। চলুন দেখে আসি পানি পানের সেই সঠিক সময়গুলোকে।
১. দাঁত ব্রাশ করার আগে

পানি পানের জন্যে অনেকেই দাঁত মাজার পরের সময়টা বেছে নেন। বিশেষ করে সকালবেলা দাঁতটা মেজে বা রাতের খাবার খেয়ে দাঁত ব্রাশ করেই একটু পানি পান করেন অনেকেই। তবে শুনতে একটু অন্যরকম লাগলেও সত্যি যে, দাঁত মাজার পরপরই পানি পান না করাটাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কারণ এসময় পানি পান করলে তাতে ফ্লুরাইডের মাত্রা বেশি থাকে। আর এই ফ্লুরাইড আসে টুথপেস্টের অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্লুরাইড থেকে। তাই পানি পান করতে চাইলে দাঁত ব্রাশ করার আগেই অনেকটা পান করে নিন। আর চেষ্টা করুন ব্রাশ করার ৪০-৪৫ মিনিটের ভেতরে কিছু না পান করার।
২. খাবারের আগে

বর্তমানে স্বাস্থ্য নিয়ে কে সচেতন নন? আর তাই স্বাস্থ্যকে সুন্দর করে তৈরি করতে এই একটি পদ্ধতিকে অনুসরণ করুন এবং পান প্রচন্ড ভালো ফলাফল। এটা কেবল আমাদের কথাই নয়, চিকিত্সকেরাও খাবারের ৩০ মিনিট আগে পানি পান করাকে উত্সাহ দিয়ে থাকেন ( বিজনেস ইনসাইডার )। বিশেষ করে আপনি যদি হন বেশ স্থুল। সেক্ষেত্রে খাবারের আগে পান করা পানিটুকু আপনার পেটের খালি স্থানটিকে কমাতে সাহায্য করবে।
৩. ঘুম থেকে ওঠার পর

ঘুমের ভেতরে মানুষের শরীরের প্রায় সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই বিশ্রামে চলে যায়। আর তাই টানা খানিকটা সময় ঘুমোবার পর শরীর অকেজো হয়ে পড়ে অনেকখানি। জড়তা এসে ভর করে পুরো দেহে। আর তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করুন। এটি আপনাকে কেবল ঘুমঘুম ভাব থেকেই জাগিয়ে তুলবে না, বরং সচল করে তুলবে আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকেও।
৪. ঘুমোতে যাওয়ার আগে

চিকিত্সকদের মতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পান করা এক গ্লাস পানি একজন মানুষের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতন ঝুঁকিগুলোকে প্রতিরোধ করে। করে তোলে অনেক বেশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকেও মানুষকে দুরে রাখে ঘুমের আগে পান করা এক গ্লাস পানি।
৫. অসুস্থতার সময়

মানুষের শরীরে নানারকম অসুখ সবসময়ই বাসা বেঁধে থাকে। আর কিছু না হলেও একটু মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা বা মাংসপেশীর জড়তা- এমনটা ছোটখাটো বিষয় নিত্যদিনই লেগে থাকে। আর এই ছোট অথচ বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপারগুলোর হাত থেকে মুক্তি পেতেই দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করবার চেষ্টা করুন ( লাইফহ্যাক )। এতে করে শরীর ঘামবে, খাবার হজম হবে এবং শরীরের সমস্ত রোগ-জীবাণু বাইরে বেরিয়ে যাবে। আর সময়টা যদি হয় অসুস্থতার তবে তো কোন কথাই নেই। একটু বেশি করে পানি পান করুন অসুস্থ হয়ে গেলে।

 


ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ

প্রিয়.কম
- See more at: http://www.priyo.com/2016/Feb/07/195625-

87
Children / How to keep children free from poisoning
« on: February 08, 2016, 03:57:01 PM »
শিশুরা কৌতূহল প্রিয় এবং সব কিছুই তাদের মুখের মধ্যে পুরে ফেলতে পছন্দ করে। তারা যেকোন জিনিস খেতে বা পান করতে চেষ্টা করে। শিশুরা আকর্ষণীয় প্যাকেট, উজ্জ্বল রঙ, সুঘ্রাণ পছন্দ করে এবং ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন পণ্য টেনে আনতে পছন্দ করে। আসলে শতকরা ৯০ ভাগ বিষক্রিয়া সংগঠিত হয় ঘরে। ছোট শিশুর কৌতূহল তাকে বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে ফেলে। অন্য যেকোন বয়সের শিশুদের চেয়ে পাঁচ বছর বয়সের শিশুরা এবং তার নীচের বয়সের শিশুরাই ঘটনাক্রমে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশি। বিষক্রিয়ার প্রভাবে বড়দের চেয়ে শিশুরা বেশি ভোগে কারণ তারা ছোট, ওদের বিপাক খুব দ্রুত হয় এবং ওদের শরীর বিষাক্ত রাসায়নিক মোকাবিলা করতে সক্ষম না। আপনার গৃহের বিষক্রিয়া প্রতিরোধ করতে এবং শিশুর সুরক্ষার জন্য কিছু পরিবর্তন করতে পারেন :

বিপদজনক গৃহস্থলী দ্রব্য শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন, যেমন-

    ·         যে কোন ধরণের ঔষধ (বিশেষ করে আয়রন জাতীয় ঔষধ)
    ·         পরিষ্কারক দ্রব্য যেমন- ডিশ ওয়াশার, লন্ড্রি ডিটারজেন্ট, ব্লিচ, অ্যামোনিয়া এবং আসবাবপত্র পলিশ করার দ্রব্য
    ·         জমাট বিরোধী পদার্থ, পেইন্ট থিনার, উইন্ডশিল্ড পরিস্কারক
    ·         গ্যাসোলিন বা পেট্রল, কেরোসিন ও বাতি জ্বালানোর তেল
    ·         কীটনাশক
    ·         অ্যালকোহল

ঔষধ এবং অন্যান্য দ্রব্য তাদের নির্দিষ্ট পাত্রেই রাখুন। এই পাত্রে যদি আপনি পূর্বে খাদ্য রেখে থাকেন তাহলে শিশু দ্বিধান্বিত হতে পারে। এছাড়াও কিছু বিপদজনক জিনিস আছে যা খাবার বা পানীয়ের মতোই দেখতে যেমন- শিশুরা গুঁড়া সাবানকে চিনি মনে করে ভুল করতে পারে, লেবুর সুগন্ধযুক্ত তরল পরিষ্কারককে লেবুর শরবত বলে ভুল করতে পারে।                                                                                                                                                                                                                                                                                         

গৃহের বিপদজনক বিষাক্ত পদার্থ গুলো যেভাবে রাখবেন :

১। রান্নাঘরে

·         ডিশ ওয়াশার, লন্ড্রি ডিটারজেন্ট, পরিষ্কারক দ্রব্য ও অন্যান্য বিষাক্ত দ্রব্য ক্যাবিনেটের মধ্যে তালা লাগিয়ে রাখুন। শিশু যেন এগুলো ধরতে না পারে এমন জায়গায় রাখুন।

·         যদি সিঙ্কের নীচে রাখেন তাহলে অবশ্যই এগুলোর মুখ ভালো করে আটকাবেন এবং ক্যাবিনেটে রেখে তালা মেরে রাখুন।

২। বাথরুমে

·         সাবান, শ্যাম্পু ও টুথপেস্ট, বিপদজনক দ্রব্য থেকে আলাদা ক্যাবিনেটে রাখুন।

৩। গ্যারেজ ও বেসমেন্টে

·         রঙ, রঙ পাতলা করার দ্রব্য, বার্নিশ ও কীটনাশক নির্দিষ্ট জায়গায় না ক্যাবিনেটে তালা দিয়ে রাখুন।

·         এগুলো কেনার সময় লেবেল দেখে কম বিষাক্ত ও নিরাপদ দ্রব্য কিনুন।

·         কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য গাড়ি স্টার্ট করার পূর্বেই গ্যারেজের দরজা খুলে নিন।

৪। ঘরে

·         মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও না খাওয়া ঔষধ জমিয়ে না রেখে ফেলে দিন।

·         শিশুদের নাগালের বাইরে যেভাবে ঔষধ রাখতে হয় তেমনি ওদের সামনে ঔষধ না খাওয়াও ভালো কারণ শিশুরা অনুকরণ প্রিয়।

·         ঔষধকে চকলেট বা ক্যান্ডি না বলে এর সঠিক নাম বলুন যাতে শিশু বিভ্রান্ত না হয়।

·         শিশুকে ঔষধ খাওয়ানোর পূর্বে প্রেসক্রিপশন ভালোভাবে দেখে কোন ঔষধের কতটুকূ পরিমাণ খাওয়াতে হবে তা নিশ্চিত হয়ে খাওয়ানো শুরু করুন। বেশি সতর্কতার জন্য প্রথম প্রথম প্রতিবারই নির্দেশিকা দেখে নিন। মধ্যরাতে ঔষধ খাওয়ানোর প্রয়োজন হলে অবশ্যই আলো জ্বালিয়ে নিন।

·         শিশুর সামনে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।

·         কীটনাশক দ্রব্য ও সার শিশু যাতে ধরতে না পারে এমন জায়গায় রাখুন।

·         আপনার ঘরে বা বারান্দায় বা বাগানে বিষাক্ত উদ্ভিদ আছে কিনা চিহ্নিত করে সরিয়ে ফেলুন বা শিশু যাতে ধরতে না পারে এমন জায়গায় রাখুন।

·         সামান্য পরিমাণ অ্যালকোহলও শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তাই শিশুর নাগালের বাইরে সিগারেট ও অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য রাখুন। 

কোন কারণে শিশুর বিষক্রিয়া হলে যা করবেন :

·         যদি বুঝতে পারেন যে, শিশু বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেলেছে তাহলে আপনার শিশুকে কিছু পান করতে দিবেন না।

·         আপনার শিশুটি কোন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ সেবন করেছে সেটা বুঝতে পারলে সেটার বাকী অংশটুকু ডাক্তারকে দেখানোর জন্য নিয়ে যান।

·         দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। কতক্ষণ পূর্বে এবং কোথায় বিষক্রিয়া হয়েছে তা ডাক্তারকে বলুন।
- See more at: http://www.priyo.com/2016/Feb/07/195658-

88
very informative post...........

89
Namaj/Salat / Time travel, prayers and other provisions
« on: February 07, 2016, 10:33:25 AM »
ইসলামের বিধিবিধান ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনের প্রয়োজনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করেছেন মহান আল্লাহতায়ালা। এ কারণেই ভ্রমণকালে মানুষের পরিশ্রম ও কষ্টের কথা বিবেচনা করে নামাজ কসর (সংক্ষিপ্ত) ও রোজা ভাঙার (পরে আদায় করার শর্তে) সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

আসলে ভ্রমণের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বিঘ্ন ঘটে এবং এ বিপত্তির বিষয়টি মানুষ মেনেও নিয়েছে। অর্থাৎ মানুষ জানে, সফরে গেলে তার প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম ইত্যাদির রুটিনে বিঘ্ন ঘটবে। অবশ্য এখন সফরের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। তারপরও ঘরের পরিবেশ আর সফরের পরিবেশ এক হয় না।

নিজের দেশে নিজের ঘর কখনও অন্য দেশ বা অন্যের ঘরের সমান হয় না। নিজের বাসস্থানে মানুষ যে আরাম-আয়েশে থাকে সফরে গেলে তা আর থাকে না এবং মানুষ এক ধরণের অস্থিরতার মধ্যে থাকে। কাজেই দেখা যাচ্ছে, এই আধুনিক যুগেও সফরের সমস্যাবলী আগের মতোই বিদ্যমান।
 
এ ছাড়া, এখনও বহু শহর ও গ্রাম আছে- যেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা খুবই কম এবং সেখানে সফরে গেলে মানুষকে অনেক কষ্টে সময় কাটাতে হয়। তাই কসরের নামাজ এখনও অনেকের জন্য বড় ধরণের ছাড় বলেই গণ্য হয়। কাজেই কসরের নামাজ ও রোজা ভাঙার মতো ইসলামের নির্দেশাবলী সার্বিকভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।
 
কোনো সফরে যদি কোনো রকম কষ্ট নাও হয়- তাহলেও এ সার্বিক নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বে সফরে গেলে কসরের নামাজ পড়তেই হবে এবং রোজা রাখা যাবে না।

অবশ্য নামাজ-রোজা সম্পর্কে আল্লাহর এ নির্দেশের পেছনে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে, যার সঙ্গে হয়ত সফরের কষ্টের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা সে কারণ জানি না বলে আল্লাহর নির্দেশে পরিবর্তন আনার অধিকার আমাদের নেই।

ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে তার এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়।

ভ্রমাণ বা সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ এলাকা পেরুলে সফরের বিধান শুরু হয়। শহরের ক্ষেত্রে ওই শহরের করপোরেশনের নির্ধারিত সীমানা থেকে সফরের সীমা নির্ধারিত হবে। অনুরূপ সফর থেকে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও নিজ এলাকার সীমানায় প্রবেশের সঙ্গেই তার সফরের বিধান শেষ হয়ে যাবে।

আকাশ পথে সফরের ক্ষেত্রেও দূরত্বের হিসাব স্থলভাগে সফরের দূরত্বের পরিমাপে হবে, অর্থাৎ স্থলভাগের ৭৮ কিলোমিটার পরিমাণ দূরত্বের সফর হলে আকাশপথে মুসাফির হবে।

অনুরূপ পার্বত্য এলাকায় সফরের ক্ষেত্রেও সমতলে চলার হিসেবেই হবে, অর্থাৎ পাহাড়ের উঁচু-নীচু ঢালুসহ দূরত্বের হিসাব হবে।

ভ্রমাণকারীর জন্য শরিয়তের বিধি-বিধানে কিছু শিথিলতা রয়েছে, যথা চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো দুই রাকাত আদায় করবে, সফরে রোজা না রেখে পরবর্তী সময়ে কাজা করলেও চলবে। এছাড়া আরও কিছু বিধানে পরিবর্তন রয়েছে।

মুসাফির ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত সফর অবস্থায় চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে। এ ক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় পড়া ওয়াজিব। আর যদি ভুলক্রমে চার রাকাত পূর্ণ করে নেয়, তাহলে যদি সে প্রথম বৈঠক করে থাকে, তাহলে সেজদা সাহু করে নিলে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে, আর যদি প্রথম বৈঠক না করে থাকে তাহলে ফরজ আদায় হবে না, আবারও পড়তে হবে।

মুসাফির ব্যক্তি মুকিম (স্থানীয়) ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে।

মুকিম ব্যক্তি মুসাফির ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজগুলোতে মুসাফির ইমাম সাহেব দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরানোর পর মুকিম মুক্তাদি দাঁড়িয়ে সুরা পড়া ছাড়া বাকি দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিবে।

সফর অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামাজ মুকিম অবস্থায় কাজা করলে ‘কসর’ই (দুই রাকাত) আদায় করবে, আর মুকিম অবস্থার ছুটে যাওয়া নামাজ সফরে কাজা করলে তা পূর্ণ আদায় করবে।

স্থায়ী আবাসস্থল পরিবর্তন করে অন্যস্থানে মূল আবাস গড়লে স্থায়ী বসবাসের জন্য সেখানে না যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আগের অবস্থানস্থল মৌলিক আবাসন হিসেবে গণ্য হবে না, এমনকি সেখানে তার মালিকানা জায়গা-জমিন থাকলেও নয়, বরং সেখানেও সফরের সীমানা অতিক্রম করে গেলে মুসাফিরই থাকবে।

কোনো জায়গায় ১৫ দিন বা ততধিক অবস্থানের নিয়ত করলে সে সেখানে মুকিম হয়ে যাবে। সেখান থেকে সামানা-পত্রসহ প্রস্থানের আগ পর্যন্ত সেখানে পূর্ণ নামাজ পড়বে এবং মুকিমের বিধান জারি থাকবে।

মহিলারা বিয়ের আগ পর্যন্ত তার বাবার বাড়িতে স্থায়ী আবাস হিসেবে মুকিম থাকবে।

তবে বিয়ের পর যদি স্বামীর বাড়িতে মৌলিকভাবে থাকে এবং বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে, তাহলে স্বামীর বাড়ি তার মৌলিক আবাসন হিসেবে ধর্তব্য হবে এবং বাবার বাড়িতে মুসাফির থাকবে, আর যদি বাবার বাড়িতে মৌলিকভাবে থাকে, তাহলে তা তার মূল অবস্থানস্থল হিসেবেই বাকি থাকবে।

পুরুষগণ তার শ্বশুরবাড়িতে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে মুসাফিরই থাকবে। হ্যাঁ, কেউ যদি সেখানে স্থায়ী আবাস করে নেয়, তাহলে তা ভিন্ন কথা।

মুসাফির ব্যক্তির জন্য তার চলন্ত অবস্থায় বা তাড়াহুড়া থাকলে ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্যান্য সুন্নতে মোয়াক্কাদা না পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক ও স্থির অবস্থায় সুন্নতে মোয়াক্কাদা পড়তে হবে। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও সুন্নত পড়েছেন, আবার কখনও ছেড়ে দিয়েছেন। অার হানাফি ফকিহরা বলেন, সফরে বিরতিকালে সুন্নত পড়বে আর চলতি অবস্থায় পড়বে না।

90
Namaj/Salat / In the light of the scientific benefits of prayer
« on: November 19, 2015, 09:42:21 AM »
আমাদের পবিএ কুরআন শরীফে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার ব্যাপারে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।আমরা অনেকেই ভাবি নামাজের উপকারিতা বলতে পরকালের শান্তির কথা।আসলে শুধু তাই নয় নামাযে রয়েছে বিশাল উপকার আর এই বিজ্ঞান সম্মত এই উপকারের কথা বলা হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে।ইসলামই একমাএ ধর্ম যার সাথে বিজ্ঞানের মিল রয়েছে।

পবিএ কুরআন শরীফের কথা ১০০% এর মধ্যে কেবল মাএ ৮০% বিজ্ঞান প্রমান করতে পেরেছে।আর বাকি ২০% বিজ্ঞান বের করতে পারেনি কারন সেটি প্রমান করার মত প্রযুক্তি এখনো পৃথিবীতে  আসেনি।নামাজের মধ্যে যে কি পরিমান বিজ্ঞান লুকায়িত আছে তা আজও আমরা অনেকে জানি না। আসুন জেনে নেই বিজ্ঞান মতে নামাজের উপকারিতা।

১। নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়।ফলে আমাদের সৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।

২। নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায়নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে  থাকে ফলে আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

৩। নামাজের মাধ্যমে আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়।এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।

৪। নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে।

৫। নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে।ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।

৬। নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।

৭। নামাজের ওজুর সময় মুখমন্ডল ৫বার ধৌত করার ফলে আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।

৮। ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয় ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে য়ায।

৯। কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিএ থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকে।

১০। কেবল মাএ নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয় ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায় কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।

প্রতিক্ষন/এডি/এএস

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 12