Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - azad.ns

Pages: 1 [2] 3
16

ব্রেইন সিগনালে চলবে গাড়ি!
 
মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন গাড়ির প্রোটোটাইপ নির্মাণ করছেন চীনের তিয়ানজিয়ানের একদল গবেষক। মস্তিষ্কের শক্তি কাজে লাগিয়ে গাড়িটি চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
 
চীনের নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ গবেষকরা তাদের চিন্তাকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য দুই বছর ধরে কাজ করেছেন। ব্রেইনের সিগনাল পড়তে পারে এমন একটি যন্ত্র মাথায় পড়ে তরঙ্গের মাধ্যমে গাড়িটি থামানো, সামনে আগানো, পেছনে যাওয়ার মতো কমান্ড দেয়া যাবে।
 
নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ঝ্যাং ঝাও জানিয়েছেন, ১৬টি ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাম (ইইজি) সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে গাড়িটির চালকের হেডসেটে। গাড়িটির কম্পিউটার ইইজি সেন্সরের মাধ্যমে পাওয়া ব্রেইন সিগনাল বিশ্লেষণ করে তা অটোমোটিভ কমান্ডে অনুবাদ করে।
 
পঙ্গুত্বের শিকার ব্যক্তিদের গাড়ি চালানোর সুযোগ করে দেয়ার চিন্তা থেকেই এই ‘ব্রেইন পাওয়ার্ড কার’ প্রকল্পের শুরু বলে জানিয়েছেন নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডুয়ান ফেং।
 
এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে চীনের বিজ্ঞানীদের এই অভিনব প্রযুক্তি। ব্রেইন সিগনাল দিয়ে গাড়ি সোজা লাইনে চালাতে সফলতার কথা জানিয়েছেন তারা।
 
তবে এখনই এই প্রযুক্তি নির্ভর গাড়ির বাণিজ্যিক উত্পাদনের কোনো পরিকল্পনা করছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। খবর: রয়টার্স।

17



ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম। মানুষের জন্মলগ্ন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তের দিকনির্দেশনা এতে আছে। প্রতিটি কাজেরই রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু আদব ও সুন্নাত। একটু খেয়াল করলে আমাদের দৈনন্দিন করা ছোট ছোট কাজ নেক আমলে পরিণত হতে পারে। সন্তান ভূমিষ্ঠের সময়ও কিছু নির্দিষ্ট সুন্নাত ও আদব রয়েছে, নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—

♦   ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্রই প্রথমে নবজাতককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ডান কানে আজান ও বাঁ কানে ইকামত দেওয়া। রাসুল (সা.) হজরত হাসান (রা.)-এর কানে আজান দিয়েছিলেন। (তিরমিজি ১/২৭৮) রাসুল (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির পর নিজের আকিকা আদায় করেছেন।

♦   আজান শেষ হলেই নবজাতককে কোলে তুলে নেওয়া। (সহিহ বুখারি, ২/৮২২)

♦   তাহনিক করানো, অর্থাৎ নবজাতকের মুখে খেজুর চিবিয়ে নরম করে দেওয়া। খেজুর না থাকলে মিষ্টি দ্রব্যের মধ্যে মধু দেওয়া উত্তম। (সহিহ বুখারি, ২/৮২১)

♦   নবজাতকের জন্য দোয়া করা এবং বরকত কামনা করা। (সহিহ বুখারি, হা. ২৮২১)

♦   জন্মের সপ্তম দিন নবজাতকের উত্তম ও সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখা। (তিরমিজি ২/১১০)

♦   জন্মের সপ্তম দিনে মাথার চুল, হাত-পায়ের নখ ইত্যাদি পরিষ্কার করা। (তিরমিজি)

♦   মাথা মুণ্ডানোর পর জাফরান দিয়ে তার মাথা ধৌত করা। (আবু দাউদ, ২/৩৯৩)

♦   সন্তানের পুরো মাথার চুলের সমপরিমাণ ওজনের রৌপ্য সদকা করা। (জাদুল মাআদ, ২/৪)

♦   জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা। (তিরমিজি, ২/৩৯২)

♦   সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে অথবা একুশতম দিনে আকিকা করা। (বাজলুল মাজহুদ, ৪/৮৬)

♦   ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল আকিকা করা উত্তম। (আবু দাউদ, ২/৩৯২)

আকিকার প্রয়োজনীয়তা : হজরত সালমান জব্বি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সন্তানের জন্মলগ্নে আকিকা করা সুন্নাত। তাদের পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করা, অর্থাৎ জন্তু জবাই করা এবং তাদের থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করা, অর্থাৎ মাথার চুল কামানো সুন্নাত।’ (বুখারি, ২/৮২২)

হজরত সামুরা বিন জুন্দুর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক সন্তান রাহানস্বরূপ (বন্ধক) ওই আকিকার পরিবর্তে, যে আকিকা ওই ছেলের পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে জবাই করা হয় এবং তার নাম রাখা হয়, তার মাথা মুণ্ডন করা হয়।’ (আবু দাউদ : ২/৩৯২) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম আহমদ (রহ.) বলেন, ‘যে পর্যন্ত ভূমিষ্ঠ ছেলের আকিকা করা না হবে কিয়ামতের দিবসে সে তার মাতাপিতার জন্য সুপারিশ করবে না।’

উল্লিখিত হাদিসগুলো থেকে প্রতীয়মান হয়, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শুকরিয়াস্বরূপ এবং বালা-মুসিবত ও বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে হিফাজতের লক্ষ্যে জন্মের সপ্তম দিনে ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দিয়ে আকিকা করা, নবজাতকের মাথার চুল মুণ্ডানো, মুণ্ডানো চুলের সমপরিমাণ রুপা সদকা করা ও তার মাথায় জাফরান দেওয়া এবং ভালো একটি নাম রাখা মুস্তাহাব। সবচেয়ে উত্তম নাম হলো, যে নাম আল্লাহর দাসত্বের অর্থ বহন করে, যেমন : আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান ইত্যাদি অথবা যে নামে আল্লাহর প্রশংসার অর্থে আসে। যেমন : হামেদ, মাহমুদ, আহমদ ইত্যাদি নাম রাখা।

ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ি ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর মতে আকিকা করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। ইমাম আহমদ (রহ.)-এর অন্য এক বর্ণনা মতে এটি ওয়াজিব; কিন্তু ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে আকিকা করা মুস্তাহাব।

18


এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ভুল মিটিংয়ের কারণে আমেরিকায় প্রতিবছর ৩৭ বিলিয়ন ডলার জলে যায়। কাজেই অফিসের মিটিং কার্যকর ও যুক্তিপূর্ণ হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। এদের মধ্যে অ্যাপল তেমন প্রতিষ্ঠান নয়। এ ক্ষেত্রে গোটা কৃতিত্ব দেওয়া যায় স্টিভ জবসকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৩টি উয়ায়ে প্রতিটা মিটিংকে অর্থপূর্ণ করে তুলতেন স্টিভ। বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তার সেই তিন পদ্ধতির কথা।

১. যতটা ছোট আকারের করা যায় : 'ইনসেনলি সিম্পল' বইয়ে জবসের বহু দিনের সঙ্গী কেন সিগাল লিখেছেন এ কথা। স্টিভ মিটিংকে যতটা সম্ভব ছোট পরিসরে করার চেষ্টা চালাতেন। এমনকি এ বিষয়ে বেশ নিষ্ঠুর ছিলেন তিনি। একবার অ্যাপলের বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করে এমন একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিটিংয়ে বসলেন স্টিভ। সেখান লরি নামের অপরিচিত এক নারী আসলেন। জবস সরু চোখে তার দিকে তাকিয়ে পরিচয় জানতেই চাইলেন। লরি বললেন, আমাকে এখানে আমার প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো হয়েছে। তারা মনে করছে, সংশ্লিষ্ট কাজে আমাকে প্রয়োজন হবে। কিন্তু জবস তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্পষ্ট জানালেন, আগে যেহেতু প্রয়োজন হয়নি, এখনো হবে না।

২. উপস্থিতদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব থাকতে হবে : যে বিষয়ে মিটিং হবে এবং সেখানে যারা উপস্থিত হবেন, ওই বিষয়ের সঙ্গে প্রত্যেকেরই সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে। নয়তো ওই মিটিংয়ে তিনি প্রয়োজনীয়। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে নীতিমালা গ্রহণ করেন জবস। তার নাম দেন ডিআরআই যার অর্থ ডিরেক্টলি রেসপন্সেবল ইনডিভিজ্যুয়াল। মিটিংয়ের এজেন্ডার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এমন মানুষরাই সভায় আসতে পারেন। অন্য কেউ নয়। অ্যাপলে যেকোনো মিটিংয়ে 'ডিআরআই' একটা প্রচলিত শব্দ হয়ে দাঁড়ায়। স্টিভ জিজ্ঞাসা করতেন, এ মিটিংয়ে ডিআরআই কে কে? এ পদ্ধতিতেই আইপড টিম থেকে গ্লোরিয়া লিনকে ফ্লিপবোর্ডে নেওয়া হয়। কারণ তিনি ফ্লিপবোর্ডের ডিআরআই। বড় মাপের প্রতিষ্ঠানের হাজারো কাজকে সুষ্ঠুভাবে ভাগ করে দিতে এটি জবসের এক অনন্য পদ্ধতি।

৩. প্রেজেন্টেশন নিয়ে ব্যস্ততা থাকবে না : 'স্টিভ জবস' বায়োগ্রাফিতে ওয়াল্টার আইজ্যাকসন লিখেছেন, অফিসিয়াল প্রেজেন্টেশনকে রীতিমতো ঘৃণা করতেন জবস। প্রতি বুধবার দুপুরে মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন বিভাগের সঙ্গে এজেন্ডা বিহীন মিটিং করতেন জবস। সেখানে স্লাইড শো নিষিদ্ধ ছিল। সেখানে কেউ প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতেন না। সবাই যার যার কল্পনাপ্রসূত পরিকল্পনার কথা আবেগের সঙ্গে তুলে ধরতেন। জবস একবার আইজ্যাককে বলেছিলেন, চিন্তার বদলে স্লাইডের মাধ্যমে মানুষ যেভাবে প্রেজেন্টেশন করেন তা ঘৃণা করি আমি। এর মাধ্যমে মানুষ তার কাজ ও চিন্তার সঙ্গে একাত্মতা আনতে পারে না। তাই চিন্তা এবং তা প্রকাশের মাধ্যমেই সর্বোৎকৃষ্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি করা যায়। 

 

19


বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের খাবারে অ্যালার্জি থাকে। তবে এসব খাবারের মাঝে কিছু আছে সাধারণ, যা বহু মানুষেরই অ্যালার্জির উদ্রেক করে। এসব খাবার খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা উচিত। যদি দেখা যায় এগুলো আপনার অ্যালার্জি বাড়াচ্ছে তাহলে তা খাওয়ায় সংযত হতে হবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে চুলকানি ও র‌্যাশ, ফোলা ঠোঁট, স্পর্শে সংবেদনশীলতা ও শ্বাসতন্ত্রের নানা সমস্যা। অনেক খাবারই আমাদের পরিচিত, যেগুলোতে অ্যালার্জি হতে পারে। এ লেখায় রয়েছে বেশ কিছু খাবারের তথ্য, যেগুলো অ্যালার্জির জন্য সাধারণত পরিচিত নয়। অপরিচিত যে খাবারগুলো অ্যালার্জি উদ্রেক করতে পারে সেগুলো হলো :
১. গরুর দুধ
২. ডিম
৩. চিনা বাদাম
৪. গাছ বাদাম
৫. খোলাসহ প্রাণী
৬. সয়া
৭. গম
৮. রেড ওয়াইন
৯. লেবুজাতীয় ফল
১০. টমেটো
১১. মরিচ ও ঝাল মসলা

20
সে কোটি কোটি বছর আগের কথা। মঙ্গলগ্রহ ছিল আর্দ্র আর উষ্ণ একটি গ্রহ। ঘন বায়ুমণ্ডল এটাকে রক্ষা করত। দীর্ঘ নদী বয়ে যেত কুলু কুলু। জলে ভরা লেক আর সাগর ছিল। বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণায় জানতে পেরেছেন এসব তথ্য। কিন্তু এই সম্পদ হারাল কোথায়?
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের ঠিক কী হয়েছিল, তা এখন জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা। ম্যাভেন নামের একটি মহাকাশযানের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে গতকাল বৃহস্পতিবার মঙ্গলগ্রহ সংক্রান্ত বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের কী হয়েছিল, সে তথ্যও রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাঁরা এখন জানেন যে এখনকার মঙ্গলগ্রহ আর সেই মঙ্গলগ্রহ এক নয়। এখন শুষ্ক আর শীতল এক গ্রহ এটি। যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানীদের কাছে মঙ্গলগ্রহের এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার রহস্য ঘিরে ছিল।
এ রহস্যের সমাধান প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে নাসার প্রধান কার্যালয়ে এক ঘোষণায় মার্স এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের প্রধান বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়ার শিল্পী বব ডিলানকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বন্ধুরা, এর উত্তর হচ্ছে, ঝড়ো হাওয়ায় সব উড়ে গেছে।’
নাসার গবেষকেরা বলেন, মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডল ও উদ্বায়ী বিবর্তন সাক্ষ্য দেয় সৌরঝড়ে কবলে পড়েছিল মঙ্গলগ্রহ। মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলের সূর্য থেকে সৌরঝড়ে ধেয়ে আসা চার্জযুক্ত কণা মঙ্গলের অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইডের মতো গ্যাস শুষে নিয়ে গেছে। মঙ্গলের সম্ভাব্য জীবনধারণের উপযোগী উপাদানগুলোও সৌরঝড়ে মিলিয়ে গেছে।
এর অর্থ, আদি পর্যায়ে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল।
তাত্ত্বিক দিক হিসেবে ধরলে মঙ্গলের মতো পৃথিবীকেও একই অবস্থা বরণ করতে হতে পারে। কারণ পৃথিবী থেকেও আয়ন হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নাসার গবেষকেরা সম্মেলনে বলেছেন, আমাদের অত দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমাদের গ্রহ এখন ঠিক আছে কারণ, পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র বা ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে।

ম্যাভেন নভোযানের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মঙ্গলগ্রহের মেরুপ্রভা আর পৃথিবীর সুমেরু প্রভা প্রায় একই রকম। যখন সৌরঝড় থেকে আসা চার্জিত কণা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে প্রবেশ করে এবং মেরুর দিকে পরিভ্রমণ করে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় কণার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তখন মেরুপ্রভা তৈরি হয়। কিন্তু মঙ্গলগ্রহে যেটুকু চৌম্বকক্ষেত্র অবশিষ্ট আছে সেখান থেকেই এর মেরুপ্রভার উৎপত্তি হয়। অর্থাৎ, মঙ্গলের মেরুপ্রভা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া মঙ্গলগ্রহের আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে এর ধুলা। এর উৎপত্তি হচ্ছে অন্য কোথাও, অন্য কোনো গ্রহে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে যে ধরনের ধূলিকণা বা বালি দেখা যায়, তা মঙ্গলের চাঁদ ফোবোস বা ডেমোস থেকে আসতে পারে।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায় ম্যাভেন। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষণার জন্য এই নভোযানটি সেখানে পাঠানো হয়ছে। এ গবেষণার ফলে মঙ্গলগ্রহ আমাদের বাসযোগ্য হবে কি না, তা বোঝার দারপ্রান্তে চলে এসেছি আমরা। তথ্যসূত্র: সিএনএন।

21

            কিছু হারিয়ে গেছে বা কোথাও কিছু পড়ে আছে, যেখানে মানুষের পক্ষে যাওয়া সম্ভব না, সেই জিনিস খুঁজে বের করতে বা সেখানে যেতে পাঠানো হবে ‘স্পাই রোবট’। একে স্মার্টফোন দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পাশে থাকা মনিটরে দেখা যাবে এর গতিবিধি। এই রোবট তৈরি করেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এ এস এম শামীম হাসান। শামীম রোবটির নাম দিয়েছেন স্মার্টফোন-নিয়ন্ত্রিত রোবট।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের আবদুল গণির ছেলে শামীম। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র। পরিত্যক্ত কলম, প্লাস্টিক বোর্ড, বলপয়েন্ট পেনের রিফিল, ক্লিপ, ছোট ব্যাটারি, তার আর কিছু ছোটখাটো যন্ত্র নিয়ে স্মার্টফোন-নিয়ন্ত্রিত রোবটটি বানিয়েছেন শামীম।
শামীমের রোবট মূলত উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা যায়। মানুষ যেখানে যেতে পারে না, সেখানে রোবটটি অনায়াসে যেতে পারে। সেই জায়গার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে পারবে রোবটটি। রোবটের চারপাশে কোনো বস্তুর অবস্থান জানার জন্য এর ক্যামেরাটি ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে পারবে এবং তা সরাসরি মনিটরে দেখাবে। তবে আরেকটি স্মার্টফোন ব্যবহার করা হলে টিভি মনিটরের প্রয়োজন নেই।
শামীম বলেন, ‘পরিত্যক্ত কলম দিয়ে রোবটের একটি হাত বানানো হয়েছে। সঙ্গে লাগানো আছে ক্লিপ। এটি দিয়ে কোনো নমুনা বস্তু তুলে নিয়ে আসতে পারবে রোবটটি। এই রোবটে তারহীন ব্লুটুথ আছে। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে একে আরও বেশি দূরত্ব থেকে নিয়ন্ত্রণ করার যাবে। এটি ৫০ গ্রাম ওজনের বস্তু তুলে আনতে পারে।’
শামীম ২০০৭ সালে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে এইচএসসি পাস করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। শামীম হোসেন জানান, তিনি এরই মধ্যে ওয়াটার লেভেল কন্ট্রোলার, জেনারেটরের ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, স্মার্টফোন কন্ট্রোলড হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও সিকিউরিটি লক, স্বয়ংক্রিয় ফ্যান রেগুলেটর, সোলার ট্যাকার তৈরি করেছেন।
শামীমের রোবট সম্পর্কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মমতাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সময়ে রোবট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হচ্ছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। শামীম আইডিয়া পেলে ছোট এই রোবট থেকে হয়তো একদিন বড় কিছু তৈরি করছে পারবে।’

22

            বৈজ্ঞানিক কোনো কল্পকাহিনি নয়, বাস্তবেই তা সম্ভব। আর তা হচ্ছে, মঙ্গলগ্রহের লাল মাটিতে শাকসবজির চাষ। মঙ্গলে চাষাবাদ করতে কী লাগবে? সম্প্রতি ‘দ্য মার্সিয়ান’ নামের এক চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে তা। গবেষকেরা বলছেন, যা-ই লাগুক না কেন, তাঁদের কাছে সে ধরনের প্রযুক্তি এখন রয়েছে। মঙ্গলবাসীরা মঙ্গলে শাকসবজি চাষের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছেন।
২০৩০ সাল নাগাদ মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা। তবে এর আগে অনেক প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যাপক কাজ করতে হবে তাদের। এর মধ্যে রয়েছে মঙ্গলে যাতায়াতে রকেট তৈরি ও পরীক্ষা করা। দীর্ঘদিন মঙ্গলে অবস্থান করলে মানব শরীরের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কি না, সেটাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
মঙ্গলে যাওয়ার রাস্তাটিও অবশ্য কম দূরত্বের নয়। মঙ্গলে বর্তমানে যে কিউরিওসিটি নামের রোবটযান রয়েছে, সেটি পৌঁছাতে আট মাস সময় লেগেছে। বর্তমানে নাসার গবেষকেরা এই সময় কমিয়ে ছয় মাসে আনতে কাজ করছেন।
অবশ্য মঙ্গলযাত্রীর এক বছরের এই আসা-যাওয়ার পথে সতেজ কোনো খাবার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। অবশ্য নাসা যদি মঙ্গলগ্রহে বাগান করে ফেলতে পারে, তবে তা মঙ্গলযাত্রীর জন্য যথেষ্ট সুবিধাজনক হবে। এ লক্ষ্য নিয়েই কাজে নেমে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ স্টেট ইউনিভার্সিটির প্ল্যান্টস, সয়েলস অ্যান্ড ক্লাইমেট বিভাগের গবেষক ব্রুস বাগবি।
বাগবি বলেন, নাসার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মহাকাশে জৈবিক জীবন ধারণের উপযোগী সিস্টেম গড়ে তুলতে নাসাকে সাহায্য করছি। এর মধ্যে মহাকাশ স্টেশনে বসবাসের পাশাপাশি, চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহের প্রকল্পও রয়েছে। পৃথিবী থেকে স্বতন্ত্র একটি ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলার লক্ষ্যে কাজ করছি।’
প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে পৃথিবীর বাইরে কোনো গ্রহে চাষাবাদ করার পদ্ধতি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। নাসার সঙ্গে এ ধরনের একটি পদ্ধতি তৈরিতে কাজ করছি। এ ধারণা থেকেই ‘দ্য মার্সিয়ান’ ছবিতে দেখানো বিষয়টি উঠে এসেছে। মঙ্গলগ্রহে আলু চাষের যে দৃশ্যটি মার্ক হুইটনি তাঁর ছবিতে দেখিয়েছেন, তা বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে।
যাঁরা এর আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে লেটুস পাতা জন্মানোর খবর পড়েছেন, তাঁরা হয়তো জানেন যে এর পেছনেও বাগবি ও তাঁর গবেষক দলের হাত রয়েছে। মূলত তাঁরাই বিশেষ চেম্বারে উদ্ভিদ জন্মানোর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের দাবি, মহাকাশে বা মঙ্গলগ্রহের মতো ভিন্ন কোনো গ্রহে তাঁদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতেই উদ্ভিদ জন্মানো যাবে।
গবেষক বাগবি পৃথিবীতে উদ্ভিদের যে গ্রোথ চেম্বার নিয়ে কাজ করছেন তা মূলত বদ্ধ একটি প্রক্রিয়া। বিশালাকার রেফ্রিজারেটরের মতো একটি পদ্ধতিতে হাইড্রোপনিক্যালি প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ বেড়ে ওঠে। এখানে প্রাকৃতিক কোনো আলোর দরকার হয় না। আর্দ্রতা, তাপমাত্রা ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে উদ্ভিদকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা মহাকাশে পরিবেশকে উদ্দীপনার মাধ্যমে উদ্ভিদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা হয়।
গবেষক বাগবি বলেন, এ ক্ষেত্রে মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা মাধ্যাকর্ষণ খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। অনেকে মনে করেন, মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় কী না-কী ঘটতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, মাধ্যাকর্ষণ না থাকলেও উদ্ভিদের কোনো ক্ষতি হয় না। আমাদের মনে হয়, মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় উদ্ভিদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত হয়। তার বেড়ে ওঠার জন্য মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে লড়তে হয় না, বাতাস না থাকায় অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হয় না। ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তা থাকে না, তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে মঙ্গলগ্রহের অভিযাত্রার ক্ষেত্রে নতুন জটিলতার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। মঙ্গলগ্রহের অভিযাত্রীকে কমপক্ষে কয়েক মাস সেখানে থাকতে হবে। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, বৃক্ষরোপণ ও বাগান করার মতো কাজগুলো করতে হবে। যদিও মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে চাষাবাদ আর মঙ্গলের মাটিতে চাষাবাদ সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ‘দ্য মার্সিয়ান’ ছবিতে যা দেখানো হয়েছে, সে ধারণার কম-বেশি হবে। কোনটি ঠিক আর কোনটি সঠিক নয়, তা ঠিক করে বলা যায় না।

23
তাপমাত্রা বাড়লে অক্সিজেনের অভাবে মরবে মানুষ
           মহাসাগরের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বাড়লে বিশ্বে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। এতে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী ব্যাপকভাবে মারা যাবে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে এমনটা দাবি করেছেন। এই গবেষণা-বিষয়ক নিবন্ধ বুলেটিন অব ম্যাথমেটিকস বায়োলজি নামের সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
ওই গবেষকদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার ফলে বন্যার চেয়ে অক্সিজেনের স্বল্পতা মানুষের বেঁচে থাকার বেলায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে মহাসাগরগুলোর পানির তাপমাত্রা প্রায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। কোনো কোনো বিজ্ঞানী মনে করেন, ২১০০ সাল নাগাদ এ অবস্থা হতে পারে। এমন পরিস্থিতি হলে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। ক্ষুদ্র উদ্ভিদ থেকে অক্সিজেন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক সারগেই পেত্রোভস্কি বলেন, দুই দশক ধরে বৈজ্ঞানিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অনেকে এর ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে বলছেন, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে বিশ্বের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে যাবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, এটি মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ নয়।
বিশ্বে বায়ুমণ্ডলে যে অক্সিজেন তার দুই-তৃতীয়াংশই আসে সামুদ্রিক অণুজীব উদ্ভিদ থেকে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্বে অক্সিজেনের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যাবে। এতে মারা পড়বে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী।

24
 সুস্থ থাকতে সর্ষের তেলে রান্না খান, জেনে নিন সর্ষের তেলের গুণ
      আগে বাঙালির হেঁশেল মানেই সর্ষের তেলের ঝাঁঝ, স্নানের আগে সর্ষের তেল মেখে ব্যায়াম, আর নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুম। তবে ওজন কমাতে সবাই এখন ঝুঁকছেন অলিভ অয়েলের দিকে। মালিশ করছেন অ্যারোমেটিক অয়েল। অথচ সর্ষের তেল স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। জেনে নিন সর্ষের তেলের গুণ।

১। হার্ট- সর্ষের তেলে রান্না খাবার খেলে কার্ডিও ভাসকুলার সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭০ শতাংশ কমে যায় বলে জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা।

২। হজম- সর্ষের তেল উত্‌সেচকের ক্ষরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে।

৩। ক্যানসার- সর্ষের তেলে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ক্যানসার রুখতে সাহায্য করে।

৪। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল- সর্ষের তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল গুণ ত্বকের ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৫। সর্দি কাশি- সর্ষের তেল ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। বন্ধ নাকে সর্ষের তেল দিলে আরাম পাওয়া যায়। ঘুম ভাল হয়।

৬। গাঁটে ব্যথা- বাতের ব্যথা, যন্ত্রণা উপশমেও ভাল কাজ করে সর্ষের তেল।

৭। মালিশ- সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে সর্ষের তেল। শিশুদের সর্ষের তেল মালিশ করলে বৃদ্ধি ভাল হয়। বড়দের ক্ষেত্রেও মালিশ রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।

৮। ত্বক ও চুল- সর্ষের তেলের ভিটামিন ই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে, বলিরেখা রুখতে সাহায্য করে। স্ক্যাল্পে সর্ষের তেল মালিশ করে চুল পাকার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।




25
 প্রথম পাতাকলকাতারাজ্যদেশবিদেশখেলাবিনোদনব্যবসাসম্পাদকীয়ভিডিওআনন্দ plusরাশিফলফোটো গ্যালারিস্বাস্থ্যমানবীলাইফস্টাইলজেলাউত্তরবঙ্গহাওড়া ও হুগলিউত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনানদিয়া-মুর্শিদাবাদপুরুলিয়া-বীরভূম-বাঁকুড়াবর্ধমানপূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরঅন্যান্য বিভাগশব্দছকবিজ্ঞানভ্রমণকমিকসকোথায় কী
 
  শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিতেও মাছের রাজা, জেনে নিন ইলিশের ১০ গুণ
    ইলিশ মাছের নাম শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি আছেন কি? সর্ষে ইলিশ, ভাপা, ইলিশ পাতুরি, দই ইলিশ, ইলিশের টক, ভাজা, ইলিশের ডিম আর কত কী যে বাঙালি ইলিশ দিয়ে রাঁধতে পারে তার তালিকা শেষ হবে না। তবে বাঙালির ইলিশ প্রেম যতটা খাঁটি, ইলিশের বাঙালি প্রেমও কিন্তু ঠিক ততটাই। আমরা ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছি ইলিশকে। আর ইলিশও নিজের পুষ্টিগুণে রক্ষা করছে আমাদের। জেনে নিন ইলিশের গুণ।

১। হার্ট- ইলিশ মাছে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। অন্য দিকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ।

২। রক্ত সঞ্চালন- সামুদ্রিক মাছে থাকা ইপিএ ও ডিএইচএ ওমেগা-থ্রি-অয়েল শরীরে ইকসিনয়েড হরমোন তৈরি রুখতে পারে। এই হরমোনের প্রভাবে রক্ত জমাট বেঁধে শিরা ফুলে যায়। ইলিশ মাছ খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।

৩। বাত- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে অস্টিওআর্থারাইটিসের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। প্রতি দিনের ডায়েটে সামুদ্রিক মাছ থাকলে বাতের ব্যথা, গাঁট ফুলে গিয়ে যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৪। চোখ- তেলযুক্ত মাছ খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, চোখ উজ্জ্বল হয়। বয়সকালে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসার মোকাবিলা করতে পারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। ইলিশ মাছের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ রাতকানার মোকাবিলা করতেও সাহায্য করে।

৫। প্রয়োজনীয় খনিজ- ইলিশ মাছে রয়েছে আয়ডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম। থায়রয়েড গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখে আয়ডিন, সেলেনিয়াম উত্‌সেচক ক্ষরণে সাহায্য করে যা ক্যানসারের মোকাবিলা করতে পারে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ ও ডি-র উত্কৃষ্ট উত্স ইলিশ মাছ।

৬। ফুসফুস- বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কার্যকরী। শিশুদের ক্ষেত্রে হাঁপানি রোধ করতে পারে ইলিশ মাছ। যাঁরা নিয়মিত মাছ খান তাঁদের ফুসফুস অনেক বেশি শক্তিশালী হয়।

৭। অবসাদ- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড অবসাদের মোকাবিলা করতে পারে। সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিজঅর্ডার (SAD), পোস্ট ন্যাটাল ডিপ্রেশন কাটাতে পারে ইলিশ মাছ।

৮। ত্বকের যত্নে- সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে ওমেগা ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত মাছ খেলে একজিমা, সোরেসিসের হাত থেকে রক্ষা পায় ত্বক। ইলিশ মাছে থাকা প্রোটিন কোলাজেনের অন্যতম উপাদান। এই কোলাজেন ত্বক টাইট ও নমনীয় রাকতে সাহায্য করে।

৯। পেটের যত্নে- ডায়েটে তেলযুক্ত মাছ থাকলে পেটের সমস্যা অনেক কম হয়। আলসার, কোলাইটিসের হাত থেকে রক্ষা করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যসিড।

১০। ব্রেন- মস্তিষ্কের ৬০ শতাংশই তৈরি ফ্যাট দিয়ে। যার অধিকাংশই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যাঁরা নিয়মিত মাছ খান তাঁদের মধ্যে বয়স কালে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক কম দেখা যায়। শিশুদের মস্তিষ্কের গঠনেও সাহায্য করে ডিএইচএ। অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার(ADHD) রোধ করতে পারে ইলিশ মাছ।

26
• আনন্দবাজার•>অন্যান্য•>বিজ্ঞান   
Englishবাংলা  সবচেয়ে বড় জলের ট্যাঙ্ক মহাকাশে!
সুজয় চক্রবর্তী
 ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:০৯:৫২        হদিশ মিলল এই ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বড় জলের ট্যাঙ্কের!

যেখান থেকে জল নিয়ে আসতে পারা গেলে আর কোনও দিনই জলকষ্টে ভুগতে হবে না মানবসভ্যতাকে। এই বাসযোগ্য গ্রহে জলাভাব হবে না কোনও দিন।

সেই জলের ট্যাঙ্কে কতটা জল রয়েছে, জানেন?

আটলান্টিক আর প্রশান্ত মহাসাগর-সহ এই পৃথিবীতে যত নদী, সমুদ্র আর মহাসাগর রয়েছে, সেই সবকটিকেই অন্তত এক লক্ষ ৪০ হাজার বার পুরোপুরি ভরে ফেলতে পারা যাবে ব্রহ্মাণ্ডের ওই সবচেয়ে বড় ট্যাঙ্কের জলে।

আর এটাই ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে পুরনো জলের ট্যাঙ্ক। যার বয়স ১৩০০ কোটি বছর। এর মানে, ‘বিগ ব্যাং’ বা মহা-বিস্ফোরণের পর একশো কোটি বছরের মধ্যেই গড়ে উঠেছিল ওই জলের ট্যাঙ্ক। যা বয়সে পৃথিবীর চেয়ে ছয় বা সাড়ে ছয় গুণ বুড়ো! কিন্তু বুড়ো হাড়েই সে ভেল্কি দেখাতে পারে। এই ব্রহ্মাণ্ডকে জলে ভাসিয়ে দিতে পারে ওই ‘বুড়ো’ই! যাকে নাসা বলছে, ‘Largest and the oldest water-reservoir in the Universe’।

সবচেয়ে বড় এই প্রাচীনতম জলের ট্যাঙ্কের হদিশ মেলার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-অ্যাস্ট্রোনমি’র সাম্প্রতিক সংখ্যায়। চার বছর আগে প্রথম এই বিশালতম ও প্রাচীনতম জলের ট্যাঙ্কটি নজরে পড়েছিল মহাকাশে হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপ ও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ৩৭০ কিলোমিটার ওপরে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের। তথ্যাদি বিশ্লেষণের পর নাসার ‘সার্টিফিকেট’ মিলেছে হালে। এ বছরের মাঝামাঝি।

পাসাডেনায় নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির তরফে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিল্লোল গুপ্ত জানাচ্ছেন, ‘‘ছবি ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি খতিয়ে দেখে আমরা এক রকম নিশ্চিত হয়েছি, পৃথিবী থেকে ১২০০ কোটি আলোক-বর্ষ দূরে (এক আলোক-বর্ষ বলতে বোঝায়, সেকেন্ডে এক লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল গতিবেগে ছুটলে এক পার্থিব বছরে আলো যতটা দূরে যাবে, ততটা দূরত্ব) থাকা এই জলের ট্যাঙ্কই ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে প্রাচীন জলের সঞ্চয়। যা জলে ভরা জলীয় বাস্পের মেঘ হয়ে জমাট বেঁধে রয়েছে।’’

সেই জলে ভরা মেঘ মহাকাশে উড়ে বা ভেসে যাচ্ছে না কেন?

হিল্লোলবাবু জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের থেকে ১২০০ কোটি আলোক-বর্ষ দূরে ওই জলে ভরা ভারী ও বিশাল মেঘটি মহাকাশে কার্যত একই জায়গায় যেন দাঁড়িয়ে রয়েছে-‘APM(08279+5255)’ নামে একটি ‘কোয়াসার’-এর চার পাশে। ‘কোয়াসার’ আদতে একটি ব্ল্যাক হোলই। তার অত্যন্ত জোরালো অভিকর্য বলই জলীয় বাষ্প ভরা অত্যন্ত ঘন, ভারী ওই মেঘকে মহাকাশে উড়ে যেতে দেয় না। ১৩০০ কোটি বছর ধরে ভারী ওই মেঘকে ‘কোয়াসার’ তার চার পাশে ঠায় দাঁড় করিয়ে রেখেছে।’’

কতটা ভারী সেই মেঘ?

দু’টি হিসেব দিলে তা বুঝতে সুবিধা হবে। এক, এই সৌরমণ্ডলে সূর্যের যা ভর, তার চেয়ে দু’হাজার কোটি গুণ ভারী ওই জল-ভরা মেঘ। আর দুই, আমাদের গ্রহের চেয়ে ভারী প্রায় ১৫ হাজার কোটি গুণ।

জলের তো কোনও অভাব নেই আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে। তা হলে আমাদের গ্যালাক্সির জলের সঙ্গে সদ্য আবিস্কৃত জলের ট্যাঙ্কের ফারাকটা কোথায়?

হিল্লোলবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘আমাদের গ্যালাক্সিতে যে পরিমাণ জল রয়েছে, তার বেশির ভাগটাই রয়েছে জমাট বাঁধা বরফের অবস্থায়। আর আদতে ব্ল্যাক হোল ‘কোয়াসার’ APM-এর চার পাশে যে জলের ট্যাঙ্কের হদিশ মিলেছে হালে, তাতে আমাদের গ্যালাক্সির চেয়ে চার হাজার গুণ বেশি জলীয় বাষ্প রয়েছে। শুধু তাই নয়, মিল্কি ওয়েতে থাকা জলীয় বাষ্প যতটা গরম, তার চেয়ে অন্তত দশ গুণ বেশি তেতে রয়েছে ‘কোয়াসার’ APM-এর চার পাশে থাকা জলীয় বাষ্প ভরা ঘন মেঘ। যে মেঘের ঘনত্বও মিল্কি ওয়ের চেয়ে অন্তত একশো গুণ বেশি। আরও একটি অভিনবত্ব রয়েছে ব্রহ্মাণ্ডের এই প্রাচীনতম জলের ট্যাঙ্কের। আশপাশের তাপমাত্রা কম হলে জলীয় বাষ্প-কণার গায়ে সাধারণত জড়িয়ে লেপ্টে থাকে মহাজাগতিক ধূলি-কণা (কসমিক ডাস্ট)। মহাকাশের হিম শীতল ঠাণ্ডায় ওই মহাজাগতিক ধূলি-কণার ওপর জলীয় বাষ্প একটি বরফের চাদর বিছিয়ে দেয়। সেই বরফের চাদর অবধারিত ভাবেই, জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে দেয়। যেমনটা হয়েছে আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে। কিন্তু ‘কোয়াসার’ APM-এর চার পাশে জমাট বাঁধা জলীয় বাষ্প ভরা ঘন মেঘ অনেক অনেক বেশি গরম। তা প্রচণ্ড তেতে রয়েছে বলে তার গায়ে লেপ্টে থাকা মহাজাগতিক ধূলি-কণায় বরফ জমতে দেয় না। সামান্য বরফ জমলেই তা তেতে থাকা জলীয় বাষ্পের তাপে ফের বাষ্পীভূত হয়ে ফের জলীয় বাষ্প হয়ে যায়। তাই ওই জলের ট্যাঙ্কে জলের প্রাচুর্য সংশয়াতীত।’’

পাসাডেনায় নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির মিডিয়া সেলের মুখপাত্র মিশেল হুইট্‌নি ই মেলে পাঠানো প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, ‘‘ওই ‘কোয়াসার’টি ১৯৯৮ সালে আবিষ্কৃত হলেও খুব সম্প্রতি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ক্যালটেক অবজারভেটরি ওই ‘কোয়াসার’ থেকে আসা বিকিরণের বর্ণালী বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এই বৃহত্তম ও প্রাচীনতম জলের ট্যাঙ্কটির হাল-হদিশ জানতে পেরে

27
  আলু ভাল না মন্দ? আলু খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ বিরল। এ দিকে আবার আলু খেলে মোটা হয়, ডায়াবেটিসে আলু খাওয়া মানা এমন হাজারো বায়নাক্কার চোটে আলু প্রায় ভিলেন। তবে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার আলু। জেনে নিন আলুর খাদ্যগুণ।

১। দাঁত ও হাড়ের যত্নে- আলুর মধ্যে থাকা আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক দাঁত ও হাড় ভাল রাখতে সাহায্য করে।

২। রক্ত চাপ- সোডিয়াম খাওয়া কমালে যেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তেমনই প্রতি দিনের ডায়েটে পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়ালে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। আলুর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম, সঙ্গে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৩। সুস্থ হার্ট- আলুর ফাইবার ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-৬ থাকার কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।

৪। যন্ত্রণা উপশমে- আলুর পুষ্টিগুণে পেশি সচল থাকে, ঘুম ভাল হয়, মস্তিষ্কও সচল থাকে। আলুর মধ্যে থাকা কোলিন কোষের গঠন ঠিকঠাক রেখে নার্ভের সমস্যা দূর করে। ফলে যন্ত্রণার উপশম হয়।

৫। ক্যানসার- আলুর মধ্যে থাকা ফলেট ডিএনএ সিন্থেসিস ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে। ফলে ক্যানসার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আলু। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোলেরেক্টাল ক্যানসার রোধে কার্যকরী।

৬। হজম ক্ষমতা- আলুর মধ্যে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়ায়। কন্সটিপেশন রোধে সাহায্য করে।

৭। ওজন- আলুর ডায়েটারি ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৮। মেটাবলিজম- আলুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-৬ থাকায় এনার্জি মেটাবলিজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় আলু। কার্বহাইড্রেট ও প্রোটিন গ্লুকোজ ও অ্যামাইনো অ্যাসিডে ভেঙে গিয়ে মেটাবলিজম রেট বাড়ায়।

৯। ত্বক- আলুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও কোলাজেন দূষণ, সূর্যরশ্মি, ধোঁয়া ও ধুলো থেকে ত্বককে রক্ষা করে। শরীরে কোলাজেন তৈরি করে ত্বকের বলিরেখা দূর করে

28


ইত্তেফাক রিপোর্ট০৯ আগষ্ট, ২০১৫ ইং ১০:২৯ মিঃ
এইচএসসিতে পাশ ৬৯.৬০ শতাংশ
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এই বছর ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ৯০ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে পাশের হার ৮৫ দশমিক ৬৮।
 
রবিবার সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে একটি ট্যাবের মাধ্যমে ফলাফলের ডিজিটাল অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
 
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দুপুর ২টায় ফল জানতে পারবে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএসেও ফল জানা যাবে।
 
এ বছর মেধা ভিত্তিতে সেরা কলেজের তালিকা আর থাকছে না। সেরা কলেজের তালিকায় থাকার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনৈতিক পন্থা বেছে নেয়– এমন অভিযোগ তুলে এ তালিকা না তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থী ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১ এপ্রিল। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা ১১ জুন শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ জুন শুরু হয়ে শেষ হয় ২২ জুন। তবে ঢাকার দুই ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের (২৮ এপ্রিল) কারণে ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে ২, ৪ ও ১৬ মে তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
 
ফল জানা যাবে ইন্টারনেট, মোবাইলে পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডসমূহের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। আটটি সাধারণ বোর্ডের ক্ষেত্রে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। আলিমের ক্ষেত্রে ফল জানতে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad (বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর) স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। তিন ক্ষেত্রেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।

29


    হোম
   
   
এইচএসসিতে পাশ ৬৯.৬০ শতাংশ
ইত্তেফাক রিপোর্ট০৯ আগষ্ট, ২০১৫ ইং ১০:২৯ মিঃ
এইচএসসিতে পাশ ৬৯.৬০ শতাংশ
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এই বছর ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ৯০ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে পাশের হার ৮৫ দশমিক ৬৮।
 
রবিবার সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে একটি ট্যাবের মাধ্যমে ফলাফলের ডিজিটাল অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
 
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দুপুর ২টায় ফল জানতে পারবে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএসেও ফল জানা যাবে।
 
এ বছর মেধা ভিত্তিতে সেরা কলেজের তালিকা আর থাকছে না। সেরা কলেজের তালিকায় থাকার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনৈতিক পন্থা বেছে নেয়– এমন অভিযোগ তুলে এ তালিকা না তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থী ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১ এপ্রিল। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা ১১ জুন শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ জুন শুরু হয়ে শেষ হয় ২২ জুন। তবে ঢাকার দুই ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের (২৮ এপ্রিল) কারণে ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে ২, ৪ ও ১৬ মে তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
 
ফল জানা যাবে ইন্টারনেট, মোবাইলে পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডসমূহের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। আটটি সাধারণ বোর্ডের ক্ষেত্রে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। আলিমের ক্ষেত্রে ফল জানতে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad (বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর) স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। তিন ক্ষেত্রেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।
 

30
বিডিলাইভ ডেস্ক: এবার বিশ্ববাসীকে আরো একটি চমক উপহার দিতে চলেছেন অসাধারণ প্রতিভাধর এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানী। বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরাও যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে পিছিয়ে নেই তা এই জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ আবিষ্কারের মাধ্যমে আবারও প্রমাণীত হল।
 
প্রফেসর ড. আহমেদ ফারজান কামাল বিদ্যুৎ উৎপাদনে উদ্ভাবন করেছেন এক অভিনব প্রযুক্তি যাতে প্রয়োজন হয় না তেল, গ্যাস অথবা কয়লার মতো কোন জ্বালানি শক্তির। এমনকি প্রয়োজন নেই পানি, বাতাস কিংবা সৌরশক্তির মতো প্রাকৃতিক শক্তিরও।

চৌম্বক ক্ষেত্রে সর্বব্যাপ্ত মহাজাগতিক তরঙ্গের পর্যায়ক্রমিক বিবর্তনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চমকপ্রদ এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন তরুণ বিজ্ঞানী ড. আহমেদ কামাল। তার উদ্ভাবিত প্রকল্পটি সীমিত ব্যয়ে অতি অল্প জায়গায় স্থাপন করা সম্ভব। ক্ষতিকারক ধোঁয়া, শব্দ, বর্জ্য বা তেজষ্ক্রিয়তা নির্গমন করে না বলে প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব।

নিয়মিত জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ তৈরি করে বলে এই প্রযুক্তির একটি হাজার মেগাওয়াট প্রকল্প থেকে প্রতি বছর সর্বোচ্চ দুই হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা করা সম্ভব। এছাড়া সার্বিক উৎপাদন ক্ষমতা অন্য যেকোনো প্রচলিত প্রযুক্তির চেয়ে অনেক বেশি বলে সারা বছর ধরেই নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর এই অভিনব আবিষ্কার দেশে অসহনীয় বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি বিদ্যুতের বহুমুখী ব্যবহারও নিশ্চিত করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের অর্থায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার চট্টগ্রামে নিজের বাসায় নিভৃতচারী এই বিজ্ঞানী জানান, বর্তমানে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক সাময়িকী ‘নেচার’-এর জন্য তার আবিষ্কৃত তড়িৎ-চৌম্বক তরঙ্গ প্রবাহের তত্ত্বের ওপর একটি নিবন্ধ লিখছেন। আহমেদ কামালের গর্বিত মা রিজিয়া কামাল বলেন, ছোট বেলা থেকেই আহমেদ কামালের নেশা ছিল আবিষ্কারের দিকে। নানা রকমের বড় বড় আবিষ্কার ছাড়াও মাত্র দুইদিন আগে মশা মারার এক যন্ত্রও আবিষ্কার করেছে তার ছেলে। প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা লেখাপড়া ও গবেষণা নিয়ে আহমেদ কামাল ব্যস্ত থাকেন বলে জানান তিনি।

মানব কল্যাণে এতসব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সত্ত্বেও ড. কামাল বরাবরই পর্দার অন্তরালে থাকতেই ভালোবাসেন। তার আবিষ্কারের বিবরণ ইন্টারনেটে নাসা, বেল ল্যাবরেটরি এবং আমেরিকার অন্যান্য বিশ্বনন্দিত গবেষণাগারের সাথে সংশ্লিষ্ট হাজারো সাইটে পাওয়া যায়।

পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা, গণিত, সফটওয়্যার এবং প্রকৌশলবিদ্যার বহু শাখায় মৌলিক গবেষণা থাকা সত্ত্বেও আহমেদ কামালের পরিচিতির গণ্ডি খুবই সীমাবদ্ধ।

ড. আহমেদ কামাল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফেনীর গভর্নর মরহুম খাজা আহমেদের নাতি এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক নাসিমুল কামাল ও বেগম রিজিয়া কামালের পুত্র। তিনি আমেরিকার পারডু ইউনিভার্সিটি থেকে সবচেয়ে কম সময়ে ব্যাচেলরস, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে দ্বিতীয় মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার, ফলিত গণিত এবং আইসিটিতে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান লাভ করেন। অল্প বয়সেই তিনি আমেরিকা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক, অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান পদে কর্মরত ছিলেন। তার রচিত কয়েকটি ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রন্থ ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ সুধীমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, চিকিৎসা জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়নকারী থ্রিডি ইমেজ প্রসেসিং এবং অত্যাধুনিক টেলিকমিউনিকেশন্স ও ইন্টারনেটের থ্রিজি, ফোরজি সংস্করণের আবিষ্কারক যে একজন বাংলাদেশি তা অনেকেরই অজানা। মাত্র ৩৫ বছর বয়সী এ বিজ্ঞানীর নাম প্রফেসর ড. আহমেদ ফারজান কামাল।

তার উদ্ভাবিত থ্রিডি ইমেজ প্রসেসিং চিকিৎসা বিজ্ঞানে জীবনরক্ষাকারী এমআরআই, সিটিস্ক্যান এবং ত্রিমাত্রিক সার্জারি জাতীয় প্রযুক্তি এবং থ্রিডি টেলিভিশনের সূচনা করেছিল। এছাড়া তিনি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের সর্বশেষ থ্রিজি, ফোরজি সংস্করণ উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেলিকমিউনিকেশন্সের ক্ষেত্রেও যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।


 

   

Pages: 1 [2] 3