Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Munni

Pages: [1] 2 3 ... 9
1
হাঁসের মাংস বা চিংড়ি মাছ রান্নায় স্বাদ বাড়াতে আমরা মাঝে মাঝে নারকেলের দুধ দেই।  তবে এই নারকেলের দুধও গরুর দুধের মতো উপকারি আমাদের জন্য।
তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন ডায়েট চার্টে যোগ করতে পারেন নারকেলের দুধ। কারণ অন্যান্য দুধের মত এই দুধেও আছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন।


তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে নারকেলের দুধে:

•    নারকেলের দুধে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, আর ভিটামিন। ভিটামিন-সি, ই, বি-১, বি-৩, বি-৫ এছাড়াও আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামসহ আরও অনেক পুষ্টিগুণ।

•    এক কাপ নারকেলের দুধে থাকে ৩৮ গ্রাম ক্যালসিয়াম। এছাড়াও আছে ফসফরাস। যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।


•    নারকেলের দুধে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায় ও খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।

•    নিয়মিত নারকেল দুধ পান করলে হার্ট ভালো থাকে


•    এক কাপ দুধে ৮৯ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এটি শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এবং শরীরকে ভেতর থেকে সতেজ রাখে।

•    নারকেলের দুধ পান করলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে


•    শরীরকে বাইরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করে। নারকেলের দুধে থাকা বিভিন্ন রকম ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার হাত থেকে বাঁচায়।

যেভাবে ঘরেই নারকেল দুধ তৈরি করবেন

প্রথমে নারকেল কুরিয়ে নিন। এরপর এই কোরানো নারকেল ও সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

এরপর নারকেল একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে রেখে ভালো করে চিপে নারকেলের দুধ বের করে নিন।

Source: https://www.banglanews24.com/

2
ছোটদেরও নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

বিশ্বের সব মানুষকে আতঙ্কিত করে রেখেছে করোনা ভাইরাস। আমাদের দেশও ঝুঁকিমুক্ত নয়। এরই মধ্যে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে সনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তবে এই করোনা থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সচেতনতা। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা ঠেকাতে প্রথমত হাত পরিষ্কার রাখার কথা বলেছে।   

জেনে নিন সঠিকভাবে হাত ধোয়ার কৌশল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: 

•    হাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে পর্যাপ্ত সাবান নিন
 
•    ডান হাতটি বাম হাতের ওপরে ঘষুন এবং আপনার আঙুলের মধ্যে পরিষ্কার করুন

•    হাতের তালুতে তালু রাখুন। দুই হাতের তালু একসঙ্গে কয়েকবার ঘষুন

•    হাতের আঙুল ও নখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন

•    এবার আপনার এক হাতের আঙুলগুলোমুষ্টিবদ্ধ করুন এবং অপর হাত দিয়ে ঘষুন


•    সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাতটা ঘষে ভালো করে ধুয়ে মুছে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন

•    বাইরে থাকলে সব সময় পানি দিয়ে হাত ধোয়া সম্ভব হয় না। এজন্য সঙ্গে একটি ছোট স্যানিটাইজ়ার রাখুন। প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করুন

•    বাড়ির ছোটদেরও নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

•    নাক, চোখ ও মুখে হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।

3
 ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ্বর। অন্য সব জ্বর, যেমন টাইফয়েড, সাধারণ জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরের মূল পার্থক্য হলো প্রথম দিন থেকেই জ্বর অনেক বেশি থাকে(১০২-১০৩ ডিগ্রি)। সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখের পেছনেসহ দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়া বমি হওয়া, খেতে না পারা এমনকি ক্লান্তি ভাবও হতে পারে।

ডেঙ্গু হলে স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে পানি, খাওয়ার স্যালাইন, স্যুপ, দুধ, তাজা ফলের রস বেশি বেশি পান করতে দিন। ডেঙ্গু সারাতে প্রাথমিকভাবে পান করুন পেঁপের পাতার রস। পেঁপে পাতার রসে কাইমোপ্যাপিন ও প্যাপাইন রয়েছে৷ যা রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে  সাহায্য করে। ফলে, ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।

পেঁপের পাতার রস করতে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, পরিষ্কার পাটা বা হাম্বলদিস্তায় থেঁতো করে নিন। এবার রস ছেকে নিয়ে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেলো পেঁপে পাতার জুস, ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন তিন বেলা তিন কাপ পরিমাণ পান করতে দিন।

ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন ও বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন। পরীক্ষার করার ডেঙ্গু ধরা পড়লে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

4
প্রতিদিন ১০০ কিসমিস

শুধুমাত্র মিষ্টি খাবারেই কিশমিশের ব্যবহার রয়েছে। তবে মিষ্টি স্বাদের ছোট এই ফলটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এর রয়েছে অনেকগুলো পুষ্টিগুণ।

জানেন কি?

•    চোখের জন্য আদর্শ খাবার। কিশমিশ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। কিশমিশে রয়েছে ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন।

•    ফ্যাটবিহীন ফাইবার সমৃদ্ধ কিসমসি হজমশক্তি বাড়িয়ে কোষ্ঠাকাঠিন্য দূর করে। আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।

•    কিশমিশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। এগুলো অ্যাসিডিটি কমায়, কিডনির পাথর করে ও হৃদরোগর ঝুকিঁ কমায়।

•    জ্বর, ঠাণ্ডা ও অন্য সংক্রামক রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।

•    ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা কিসমিস খাওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।

প্রতিদিন ১০০টি পর্যন্ত কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ১০০ কিসমিস থেকে আমরা ১২৯ ক্যালরি ও ১.৩ গ্রাম প্রোটিন পেতে পারি। 

Source:banglanews24.com

5
বিশ্বের অন্যতম সর্ববৃহৎ পুষ্টি পণ্য সরবরাহকারী নিউট্রিসেন্টারের প্রধান পুষ্টিবিদ সোনা উইলকিনসন বার বার ক্ষুধা লাগার পাঁচটি কারণ জানিয়েছেন-

প্রেগন্যান্সি - প্রেগন্যান্সির সময় ক্ষুধা বাড়ে, সঙ্গে বাড়ে ক্যালরির চাহিদাও। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এসময় স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে নজর রাখতে হবে। রিফাইন্ড ও চিনি সমৃদ্ধ খাবার ত্যাগ করুন।

রাতে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খেলে - রাতে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ভারী খাবার খেলে কিছুক্ষণ পর আবার ক্ষুধা লাগতে পারে। যখন আমরা একসঙ্গে অনেক বেশি কার্বোহাইড্রেট খাই, তখন চিনির মতোই তা খুব দ্রুত শরীর শুষে নেয়। রিফাইন্ড (পরিশোধিত) কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে পরিমিত আনরিফাইন্ড (অপরিশোধিত) কার্বোহাইড্রেট যেমন - মিষ্টি আলু, বাদামি চাল, মাছ বা মুরগী, ব্রোকোলি বা অন্যান্য সবজি খান।

ঘুম কম হলে - ক্ষুধা ও আমরা কতটা খাই তার ওপর অনেকটা প্রভাব ফেলে আমাদের ঘুম। ঘুম কম হলে লেপটিন নামক হরমোন হ্রাস পায়। এ হরমোন ক্ষুধা দমন করে। অন্যদিকে কম ঘুম গ্রেলিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা ক্ষুধার উদ্দীপক। যার ফলে কম ঘুম ওজন বাড়িয়েও দিতে পারে। ভালো ঘুমের জন্য ম্যাগনেসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি পেশি রিল্যাক্স করে।

ক্ষুধা নয় তৃষ্ণা – অনেক সময় তৃষ্ণাকে আমরা ক্ষুধার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলি। মাঝে মাঝে আমরা ক্ষুধার্ত বোধ করি, কিন্তু ওই সময়ে শরীরে হয়তো প্রয়োজন এক থেকে দুই গ্লাস পানি।

মিনস্ট্রুয়াল সাইকেল - মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা গেছে, নারীদের ক্ষুধা ও খাবার গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যায় তাদের মাসিক চক্রের দ্বিতীয়ার্ধে। ব্লাড-সুগার লেভেল ঠিক ও ক্ষুধা নিবারণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাছ, ডিম, ডাল, বাদাম ও বিভিন্ন  প্রকার বীজ খান।

Source:http://www.banglanews24.com

6
Health Tips / পায়ে যখন টান লাগে
« on: June 19, 2017, 03:40:07 PM »
রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ল। অমনি কঁকিয়ে উঠলেন। পা না সোজা করতে পারছেন, না বাঁকা। আবার অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকার পর বা ভাঁজ করা পা সোজা করতে গেলে মাংসপেশিতে টান লাগে বা ব্যথা অনুভব করছেন।

এমন সমস্যার কারণ সুনির্দিষ্ট নয়। তবে পানিশূন্যতা, রক্তে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি, মাংসপেশি বা স্নায়ুর সমস্যা, ভিটামিন বি-এর ঘাটতি, থাইরয়েডের সমস্যা, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, গর্ভাবস্থা, কিডনি অকার্যকারিতা ইত্যাদি নানা কারণে এমন হতে পারে। ধূমপান, ডায়াবেটিস ও রক্তে বাড়তি চর্বির উপস্থিতি পায়ে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় বলে একটু হাঁটাহাঁটিতেই পায়ে টান লাগে বা ব্যথা করে।

আচমকা এমন পরিস্থিতির শিকার হলে তাৎক্ষণিক কী করতে হবে, জেনে নিন।

মাংসপেশির শিথিলায়ন করতে পারলেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। এ জন্য হাঁটুর নিচে পায়ের পেছন দিকের মাংসপেশিতে টান লাগলে পা সোজা করে হাত দিয়ে পায়ের আঙুলগুলো নিজের দিকে টানুন। আর যদি সামনের দিকের মাংসপেশিতে টান লাগে, পা ভাঁজ করে হাত দিয়ে আঙুলগুলোকে পেছন দিকে টানুন। ঊরুর পেশিতে টান লাগলে চিত হয়ে যতটা সম্ভব হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছে নিয়ে আসতে চেষ্টা করুন। আলতো করে ঊরুর পেছনের মাংসপেশিতে মালিশ করুন।

এ ছাড়া ব্যথা স্থায়ী হলে হট ব্যাগের সাহায্যে গরম সেঁক দিন। ব্যথানাশক মলম দিয়ে আলতো মালিশ করতে পারেন। গরমের দিনে বেশি ঘাম হলে প্রচুর পানি, ডাবের পানি, খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণ করবেন। ধূমপান পরিহার করুন। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার যেমন, শাকসবজি, ফলমূল ও দুধ খাবেন। রক্তে শর্করা ও চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

Source: prothom-alo.com

8
প্রচণ্ড গরম। বাইরে বেশ রোদ। এমন আবহাওয়ায় দিনভর বারবার এমন খাবার বেছে নিন যাতে জলীয় অংশ বেশি। এ ধরনের খাবার আপনার পিপাসা মেটাবে, মেটাবে পানির চাহিদা। সুস্থ থাকতেও সাহায্য করবে। আসুন, জেনে নিই এ রকম কিছু খাবারের কথা:

তরমুজ: তরমুজের প্রায় ৯০ শতাংশ পানি। এ ছাড়া তরমুজে সহজ শর্করা বা গ্লুকোজও আছে। তাই এই ফল সরাসরি শক্তি জোগায়।

দই-চিড়া: গরমে নাশতা হিসেবে ঠান্ডা টক দই ও ভেজানো চিড়া খেয়ে স্বস্তি পাবেন। এতে আপনি শর্করা ও প্রোটিন—দুটোই পেয়ে যাবেন। দই-চিড়ার সঙ্গে মেশাতে পারেন কলা বা অন্যান্য ফলও। তাহলে পরিপূর্ণ একটি খাবার হবে। এটি সহজে হজম হয় এবং শরীর ঠান্ডা রাখে।

সালাদ: দুপুরে বা বিকেলে শসা, টমেটো, ক্যাপসিকামসহ বেশ খানিকটা সালাদ খেয়ে নিন। ক্যাপসিকামের ৯২ শতাংশই পানি। তা ছাড়া এতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ আছে। শসায় পানির পরিমাণ অনেক। টমেটোতে পানি ছাড়াও ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাবেন, যা আপনার ক্লান্তি দূর করবে। লেটুস পাতা যোগ করলে আরও ভালো। লেটুসে ৯৬ শতাংশ পানি থাকে।

ফলের রস: দাবদাহের সময় প্রচুর পানি পান করেও যেন পিপাসা মিটতে চায় না। তাই এ সময় বাইরে থেকে ঘরে ফিরে লেবু মেশানো পানি, পুদিনা পাতা দিয়ে লেবুর শরবত, মাল্টার রস বা কমলার রস বা ডাবের পানি এনে দেবে শীতলতা ও আরাম। চা-কফি একটু কমই খান এ সময়। ঘেমে-নেয়ে শরীর পানির পাশাপাশি লবণও হারায়। তাই লেবু-পানিতে একটুখানি লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন।

Source:prothom-alo.com

9
গরমে দেহ ঠান্ডা রাখতে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় ঘামের সৃষ্টি হয়। তবে এ কারণে শরীরে পানিশূন্যতাও দেখা দেয়। পানিশূন্যতা দূর করতে বেশি বেশি পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই। তবে কেবল পানি পান করেই গরমের দিনে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন প্রচুর পানি আছে এবং সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া।

কী খাবেন এই গরমে

১. বিশুদ্ধ পানি: প্রচলিত আছে দৈনিক আট গ্লাস পানি পান করলে শরীর সুস্থ থাকে। তবে নিয়ম করে অনেকের পক্ষে আট গ্লাস পানি পান করা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে তৃষ্ণা মেটাতে যতটা পারেন পানি পান করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন বিশুদ্ধ, জীবাণুমুক্ত ও পানযোগ্য হয়।

২. শসা বা ক্ষীরা: শসায় রয়েছে ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ পানি। এই গরমে শসার সালাদ রাখুন প্রতিবেলায়। শসার সঙ্গে ধনেপাতা মেশালে স্বাদ বাড়বে। পাশাপাশি ননিবিহীন দুধের তৈরি দই, পুদিনাপাতা আর বরফ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করতে পারেন। এই জুস আপনার শরীর সতেজ রাখবে ও তৃষ্ণাও মেটাবে।

৩. লেটুস: লেটুসে আছে ৯৫ দশমিক ৬ ভাগ পানি। যেকোনো একবেলার খাবারে লেটুস রাখার চেষ্টা করুন। লেটুস দিয়ে চমৎকার চিকেন সালাদ তৈরি করা যায়। বাচ্চাদের টিফিনেও স্যান্ডউইচের সঙ্গে লেটুস দিতে পারেন।

৪. মুলা: মুলায় রয়েছে ৯৫ দশমিক ৩ ভাগ পানি। সালাদের স্বাদ বাড়াতে কচি লাল মুলার তুলনা নেই। পানির পাশাপাশি এতে ক্যাটেচিন উপাদান রয়েছে, যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ধনেপাতা, বাঁধাকপি, সেদ্ধ ছোলা দিয়ে মুলার সালাদ করুন। লেবু চিপে তাতে খানিকটা অলিভ অয়েল দিন। এই সালাদ আপনার ভালো লাগবেই।

৫. টমেটো: টমেটোতে রয়েছ ৯৪ দশমিক ৫ ভাগ পানি। এ ছাড়া এতে প্রচুর ভিটামিন-সি, লাইকোপেন, ক্যারোটিন, রিবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম ও লোহা থাকে। টমেটোর জুস কিংবা সালাদ দুই সুস্বাদু। এ ছাড়া রান্নার পরও টমেটোর পুষ্টিগুণ কমে না। তাই গরমের সময় টমেটোর স্যুপ কিংবা ঝোল খেতে পারেন।

৬. তরমুজ: তরমুজে রয়েছ ৯১ দশমিক ৫ ভাগ পানি। এতে রয়েছে ক্যানসার–প্রতিরোধী উপাদান লাইকোপেন। প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণে সমৃদ্ধ এই ফল গরমে স্বস্তি দেয়।

Source:prothom-alo.com

11
খাবারের সঙ্গে বাদাম যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। বাদাম হচ্ছে শক্তি, প্রোটিন ও ভালো চর্বির উৎস। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত বাদাম রাখা দরকার। অনেক ধরনের বাদাম পাওয়া যায়। এর মধ্যে চিনাবাদাম, আখরোট, কাজু ও পেস্তাবাদাম খেতে পারেন। সুস্থ থাকতে খাবারের সঙ্গে নানাভাবে বাদাম যুক্ত করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বাদাম নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন। তাঁরা বলছেন, খাবারের সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক থেকে দূরে থাকা যায়। খাবারের পরপর রক্তে লিপিড ও ট্রাইগ্লিসারাইডসের মতো একধরনের চর্বি রক্তে বেড়ে যায়, যা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও যদি তিন আউন্স পরিমাণ বাদাম খাওয়া যায় রক্তে লিপিড বাড়ার হার কমে। খাবারের সঙ্গে চিনাবাদাম খেলে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত ট্রাইগ্লিসারাইডস স্তর কমতে দেখা যায়।
‘নিউট্রিশন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত নিবন্ধ।


গবেষক পেনি-ক্রিস এথারটন বলেন, খাবারের পর ধমনি কিছুটা দৃঢ় হয়ে যায়। কিন্তু খাবারের সঙ্গে বাদাম যুক্ত করলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

বাদামের যত গুণ
কাঠবাদামে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় শরীরের হাড়গুলোকে শক্ত ও মজবুত করে। শরীরের কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে কাঠবাদাম। এতে চর্বির পরিমাণ কম। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন আছে। হৃদ্‌রোগ যাঁদের আছে, তাঁরা এ থেকে উপকার পাবেন।

কাজুবাদামে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক আছে। কাজুবাদাম শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

পেস্তাবাদামে প্রচুর পরিমাণে চর্বি আছে, এটি শক্তি জোগায়। এতে পটাশিয়াম, আয়রন, কপার, জিংক ইত্যাদি আছে। এ ছাড়া বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।

চিনাবাদামে প্রোটিন বেশি থাকায় এটি হৃদ্‌রোগীদের জন্য উপকারী। শরীরে রক্ত চলাচল সাহায্য করে।

আখরোটে ওমেগা-৩ ও ৬ বিদ্যমান আছে। কিন্তু কোলেস্টেরল নেই।

Source:www.prothom-alo.com

12
স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার কেবল শরীর সুস্থ রাখার জন্য দরকার, তা কিন্তু নয়। খাবারের মধ্যে মজবুত ও আকর্ষণীয় চুলের রহস্য লুকিয়ে। কেবল শ্যাম্পু-সাবানে চুল ঠিক থাকে, এ ধারণা ঠিক নয়। চুলের সঠিক যত্নে চাই পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার। পাঁচ ধরনের খাবার চুল মজবুত করে। একই সঙ্গে এগুলো নানা রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করে।

গাঢ় সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাকসবজি, বিশেষ করে পালং, বাঁধাকপিতে আছে প্রচুর লৌহ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ ও সির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি, যা শরীর ভালো রাখে। পালংয়ে আছে সেবাম নামের এক উপাদান, চুলের জন্য যা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার বলে মনে করা হয়।

বাদাম
বাদামের মধ্যে কাজুবাদাম, পিক্যান এবং আখরোটে এমন কিছু উপাদান আছে, যা চুলের জন্য দারুণ কার্যকর। উদ্ভিদের প্রোটিন, বায়োটিন, খনিজ ও ভিটামিন ই থাকায় চুলের জন্য বাদাম খেতে পারেন।

মাছ
স্যামন ও সার্ডিনের মতো মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এতে প্রদাহনাশক উপাদানও আছে।

দই
প্রোটিন, ভিটামিন বি ও ডি-সমৃদ্ধ দই চুলের ফলিকল উন্নত করে চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এটি চুল পড়া বন্ধে সহায়ক। এটি কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

ডিম
বায়োটিন নামের বিশেষ উপাদানের কারণে চুলের জন্য উৎকৃষ্ট খাবার ডিম। চুলের বৃদ্ধির জন্য ডিম কার্যকর। এতে ভিটামিন এ, ই, লৌহ ও ক্যালসিয়াম আছে। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

13
জেনে নিন স্ট্রবেরির গুণাগুণ:

১. স্ট্রবেরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ম্যাংগানিজ ও পটাশিয়াম। আটটি স্ট্রবেরিতে একটি কমলার সমান ভিটামিন সি পাওয়া যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এ ফল।

২. সোডিয়াম প্রায় নেই বলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগীদের জন্য এটি ভালো। রক্তচাপ রোধে সহায়তা করে এই ফল।

৩. স্ট্রবেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক, বিশেষ করে পলিফেনলজাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

৪. স্ট্রবেরি মানুষের শরীরের ক্ষতিকর চর্বি এলডিএল কমায়।

৫. বিভিন্ন রকম সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

৬. স্ট্রবেরিতে আছে প্রচুর ফাইবার, যা ডায়াবেটিস ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

৭. ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৮. চুল পড়া রোধ করে।

৯. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

১০. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।


তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

14
আমরা সবাই সালাদ খাওয়ার কথা বলি। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারি না, আসলে সহজে কি করে সালাদ তৈরি করা যায়, যা হবে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। আসুন জেনে নেই মজার কিছু সালাদের চটজলদি রেসিপি:

পাস্তা সালাদ

উপকরণ: পাস্তা দেড় কাপ, মুরগির বুকের মাংস টুকরো করে কাটা ১ কাপ, পেঁয়াজপাতা আধা কাপ, বিন স্প্রাউট আধা কাপ, পুদিনাপাতার কুঁচি- ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ১ চা-চামচ, মেয়োনেজ আধা কাপ, টমেটো সস ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজের কুঁচি আধা কাপ, তেল ৩ টেবিল-চামচ, সয়া সস ১ টেবিল-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, টমেটো কিউব আধা কাপ ও গাজর কুঁচি ১ কাপ।

প্রণালী: পাস্তা লবণ পানিতে সেদ্ধ করে পানি ঝড়িয়ে নিন।

মুরগির মাংস, আদা বাটা ও সয়া সস দিয়ে মেখে ১৫ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।

তেল গরম করে মাখানো মাংস দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। মাংসের রং সাদা হয়ে এলে পেঁয়াজ কুঁচি, বিন স্প্রাউট, লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নামিয়ে নিন।

এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।


চিকেন ভেজিটেবল সালাদ

উপকরণ:

পাকা পেঁপে ১/৪ কাপ, সবুজ ক্যাপসিকাম ১/২ কাপ, টমেটো ১/২ কাপ, মুরগীর কিমা ১/২ কাপ, গোল মরিচের গুঁড়া পরিমাণ মত, লেবুর রস ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণ মত অলিভ অয়েল সামান্য।

প্রস্তুত প্রণালী:

প্রথমে মুরগীর কিমা লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে রাখুন।
এরপর একে একে পাকা পেঁপে, সবুজ ক্যাপসিকাম, টমেটো ধুয়ে কিউব করে কেটে নিন।
এরপর এর সঙ্গে মুরগীর সেদ্ধ কিমা, গোল মরিচের গুঁড়া, লেবুর রস, লবণ ও অলিভ ওয়েল মিশিয়ে দিন।
পরিবেশন করুন মজাদার সালাদ।

চিকেন কেশুনাট সালাদ

কেশুনাট-২৫০ গ্রাম, শশা ২টি, টমেটো-২টি, ক্যাপসিকাম-২টি, পেয়াজ- ২টি কুঁচি করে কাঁটা, কাঁচা মরিচ ধনেপাতা কুঁচি করে কাঁটা- পছন্দ মতো, চিকেন -২ কাপ, রসুন কুঁচি –আধা কাপ, টমেটো সস-২ কাপ, সয়াসস- আধা কাপ, চিনি ও লবণ - পছন্দ মতো।

প্রণালী:
চিকেন ও সবজি জুলিয়ান কাট করে কাটুন। চিকেনগুলো ময়দা ও ডিম মেখে মুচমুচে করে ভেজে তুলে নিন।

এবার ফ্রাইপ্যানে রসুন কুঁচি লাল করে ভেজে তাতে টমেটো সস, সয়াসস আর চিনি দিয়ে জাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। সসটা হয়ে এলে তাতে কেশুনাট, চিকেন আর শশা, টমেটো, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ মরিচ ধনেপাতা সব একসাথে মিলিয়ে সালাদ তৈরি করুন।


Source:www.banglanews24.com

Pages: [1] 2 3 ... 9