Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Jasia.bba

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 12
61
কোনও ব্যাংককে দেউলিয়া ঘোষণা করা হলে কপাল পোড়ে আমানতকারীদের। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর কোনও কোনও আমানতকারী কিছু টাকা ফেরত পেলেও বেশিরভাগ গ্রাহককেই খালি হাতেই ফিরতে হতে পারে। এ জন্য ব্যাংকে আমানত রাখার বিষয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। টাকা রাখার আগেই ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে ব্যাংক বাছাই করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।  তবে ব্যাংক যদি পরে দেউলিয়া হয়েই যায় তারপরও বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে কিছু টাকা ফেরত পেতে পারেন আমানতকারীরা।

জানা গেছে, ভারত বিভক্তির পর দেউলিয়া হওয়া পাইওনিয়ার ব্যাংক এবং ক্যালকাটা মর্ডান ব্যাংকের লিকুইডেশনের সমস্যা এখনও সমাধান হয়নি। তবে সর্বশেষ ২০০৬ সালে দেউলিয়া হয় ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। মালিকপক্ষের লুটপাটের কারণে অতিরুগ্ন হয়ে পড়লে ওই বছরের ১৯ জুন ব্যাংকটির দায়িত্ব নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে মালিকপক্ষের ৮৬ শতাংশ শেয়ারের বড় অংশ কিনে নেয় আইসিবি গ্রুপ। তারপর ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে করা হয় আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। কিন্তু গ্রাহকরা এখনও টাকা ফেরত পাননি। ১৯৯২ সালে ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনাল (বিসিসিআই) বিলুপ্ত হয়ে ইস্টার্ন ব্যাংক গড়ে উঠেছিল। যদিও বিসিসিআই’র বিভিন্ন দেশের গ্রাহকরা এখনও টাকা ফেরত পাননি।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যখন কোনও ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায়, তখন লিক্যুইডেটর নিয়োগ দিতে হয়। লিক্যুইডেটরের কাজ ব্যাংকের সম্পদ কেমন আছে তার খোঁজ নিয়ে আমানতকারীদের পাওনার একটি তালিকা করা। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রথমে ছোট আমানতকারী ও পরে বড় আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। কে কোন মাসে কী পরিমাণ আমানত পাবেন সেটাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।’

এদিকে দেউলিয়া ঘোষণা না হলেও নতুন ব্যাংকগুলোর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক এবং এনআরবিসি ব্যাংক কঠিন সমস্যায় পড়েছে। এ দুটির ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং এমডিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য আর্থিক সংকটের কারণে বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংকের আমানতকারীরা গত কয়েক মাস ধরে তাদের টাকা তুলতে পারছেন না। এমন অবস্থায় শেয়ার ছেড়ে ব্যাংকটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।

এ প্রসঙ্গে ফারমার্স ব্যাংকের উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার দত্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে অচিরেই এক হাজার একশ কোটি টাকার ফান্ড পাওয়া যাবে এবং পাঁচশ কোটি টাকার বন্ড ছাড়া হচ্ছে। ফলে এক হাজার পাঁচশ কোটি টাকা আসলে কিছু গ্রাহকের চাহিদা মেটানো যাবে।’

যদিও দেউলিয়া বিষয়ে কোনও পৃথক আইন নেই। তবে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৭৪ ধারায় বলা আছে, আদালত কোনও ব্যাংকের অবসায়নের আদেশ দিলে তিন মাসের মধ্যে সরকারি অবসায়ক আমানতকারী ও আমানতের তালিকা বীমা ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে দাখিল করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ব্যাংক আমানত বীমা নামে একটি তহবিল আছে। কোনও ব্যাংক দেউলিয়া হলে আমানতকারীদের ওই তহবিল থেকে কিছু টাকা দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে দেউলিয়া ঘোষিত ব্যাংকে প্রশাসক বা অবসায়ক নিয়োগ পাওয়ার পরও বড় গ্রাহকদের আমানত ফেরত পেতে অপেক্ষা করতে হয় ব্যাংকের সম্পদের ওপর ভিত্তি করে। এ জন্য এখন সময় এসেছে ব্যাংক আমানত বীমা তহবিল সংস্কার করার। এই তহবিলও বাড়ানো দরকার। কারণ এখন অনেকগুলো ব্যাংক দেউলিয়া পর্যায়ে রয়েছে।’

মাসের পর মাস গ্রাহক তার আমানত ফেরত না পেলেও বাংলাদেশে কোনও ব্যাংককে দেউলিয়া ঘোষণা করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক যত খারাপই হোক না কেন দেউলিয়া ঘোষণা করলে ব্যাংকের মালিকরা সব ধরণের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। সমাজেও তাদেরকে খারাপ বলা হবে। আবার কোনও ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষণা হলে এর প্রভাব অন্য ব্যাংকেও পড়বে। কারণ গ্রাহক অন্য ব্যাংক থেকেও টাকা উঠানো শুরু করে দেবে।’

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেকোনও ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষণা হলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বে ওই ব্যাংকের আমানতকারীরা। কারণ, তাদের টাকা আটকে যাবে। এ জন্য ভিত্তি দুর্বল বা দেউলিয়া পর্যায়ের কোনও ব্যাংকে আমানত না রেখে সর্তক হয়ে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ভালো ব্যাংকে আমানত রাখা উচিত। কোনও ব্যাংকই ঘোষণা দিয়ে দেউলিয়া হয় না। যখন আমানতকারীরা টাকা ফেরত পায় না, তখনই বুঝে নিতে হয় ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে। ব্যাংকটি আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। এই আমানত ফেরত পেতে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে। শুধু ফারমার্স ব্যাংকই নয়, আরও কয়েকটি ব্যাংক ইতোমধ্যে দেউলিয়া পর্যায়ে চলে গেছে। এ জন্য মূলত সুশাসন না থাকা এবং সরকারের অবহেলা দায়ী। কারণ ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সর্তক থাকার দরকার ছিল।’

আমানতকারীদের টাকা ফেরতের বিষয়ে হাসান মনসুর বলেন, ‘কোনও ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষণা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেবে। যিনি আমানতকারীদের তালিকা করে ধীরে ধীরে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এক্ষেত্রে বড় আমানতকারীদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা লাগতে পারে।’

জানা গেছে, বর্তমানে ব্যাংক আমানত বীমা তহবিলে র্ব্তমানে পাঁচ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা জমা আছে। প্রতি ছয় মাস পর ব্যাংকগুলোকে মোট আমানতের ওপর নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম জমা দিতে হয়। কোনও ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে প্রিমিয়াম পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে তার রক্ষিত হিসাব থেকে প্রিমিয়ামের সমপরিমাণ অর্থ কেটে নেয়। ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো হলে কম প্রিমিয়াম এবং খারাপ হলে বেশি হারে প্রিমিয়াম দিতে হয়।  স্বাভাবিক ব্যাংকগুলোকে প্রতি ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে ৮ পয়সা হারে প্রিমিয়াম জমা দিতে হচ্ছে। এছাড়া সতর্কতামূলক অবস্থায় (আরলি ওয়ার্নিংয়ে) থাকা ব্যাংকের ক্ষেত্রে ৯ পয়সা হারে এবং সমস্যাগ্রস্ত (প্রবলেম) ব্যাংক ১০ পয়সা হারে প্রিমিয়াম জমার বিধান করা হয়েছে। এর আগে প্রতি ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে ৭ পয়সা হারে প্রিমিয়াম জমা দিতে হতো।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোনও ব্যাংকের অবসায়ন ঘটলে ব্যাংকের গ্রাহকদের এই বীমার আওতায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। সংশোধীত ব্যাংক কোম্পানি আইন কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত অবসায়িত ব্যাংকে আমানতকারীর সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হতো। কোনও আমানতকারীর এক লাখ টাকা জমা থাকলে তিনি পুরো অর্থই ফেরত পেতেন। তবে বেশি থাকলেও সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা দেওয়া হতো।’

62
জাপানের বৃহত্তম এবং বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সিগারেট নির্মাতা জাপান টোব্যাকো ঘোষণা করেছে ১৫০ কোটি ডলার (১২,৪০০ কোটি টাকা) দিয়ে তারা বাংলাদেশের আকিজ গ্রুপের সিগারেট তৈরির সব ব্যবসা কিনে নিচ্ছে।

এ বিষয়ে ৭ আগস্ট, সোমবার ঢাকায় দুই কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তিও সই হয়ে গেছে।

জাপানি এই সিগারেট কোম্পানির এই বিনিয়োগ হবে এ যাবৎকালের মধ্যে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে একক বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, জাপানের টোব্যাকো জায়ান্ট কেন এত টাকা বাংলাদেশের বাজারে ঢালছে?

ঢাকার গবেষণা সংস্থা হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এইচ ডিআরসি) অর্থনীতিবিদ আসমার ওসমান বলেন, ‘বাংলাদেশে ধূমপায়ীর যে সংখ্যা, সিগারেটের যে বিশাল বাজার এবং ধূমপান নিরুৎসাহে সরকারের যে অনীহা, তাতে এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগের আগ্রহে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

সিগারেটের কত বড় বাজার বাংলাদেশ

এইচডিআরসি ২০১৫ সালে বাংলাদেশের ‘তামাক শিল্প এবং কর’ নিয়ে একটি গবেষণা করার সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে একটি সমীক্ষা করেছিল।

সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ২৮ শতাংশেরও বেশি সিগারেট খায় এবং কমপক্ষে ২১ শতাংশ পুরুষ বিড়ি খায়। পাশাপাশি ২০০৭ সালের এক পরিসংখ্যান বলছে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী কিশোরদের কমপক্ষে দুই শতাংশ ধূমপান করে।

আসমার ওসমান বলেন, ‘আপনি বলতে পারেন- দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমবেশি এক কোটি ৮০ লাখ, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ৪২ শতাংশই ধূমপায়ী। সেই হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশে সিগারেটের বাজার কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং তা ক্রমাগত বাড়ছে।

বাড়ার অন্যতম একটি কারণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর নিম্ন আয়ের মানুষ বিড়ি ছেড়ে সিগারেট ধরছে।’

জাপান টোব্যাকো নিজেরাই এক বিবৃতিতে বলছে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম সিগারেটের বাজার এবং এই বাজার প্রতি বছর দুই শতাংশ করে বাড়ছে।

‘সুতরাং সিগারেট খাতে মুনাফার এমন সুযোগ এবং সম্ভাবনা পৃথিবীর খুব কম দেশেই রয়েছে’, যোগ করেন অর্থনীতিবিদ আসমান ওসমান।

বাংলাদেশে কমার বদলে কেন বাড়ছে ধূমপায়ী

বিশ্বের বহু দেশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে যখন স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমাগত কমছে, সেখানে বাংলাদেশে তা বাড়ছে কেন?

এ বিষয়ে ওসমানের ভাষ্য, ধূমপান নিরুৎসাহিত করার ব্যাপারে সরকারগুলোর নিরুৎসাহ প্রধান কারণ। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি এমনকি ভিয়েতনাম বা ফিলিপাইনের মতো দেশের সাথেও তুলনা করেন, তাহলেও বাংলাদেশে সিগারেটেরে দাম অনেক কম। রাজস্ব আয় কমার আশঙ্কায় সিগারেট খাতে কর-কাঠামোতে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে সরকার একেবারেই আগ্রহী নয়।’

সিগারেট থেকে বাংলাদেশে সরকারের রাজস্ব আয় কমবেশি ১৫ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের একক বৃহত্তম খাত এটি।

ওসমান বলেন, ‘দামি ব্র্যান্ডের সিগারেটে করের হার বাড়লেও অল্প দামের সিগারেটের ওপর কর তেমন বাড়ানো হয় না। আর সে কারণে সিগারেট এমনকি কম আয়ের লোকজনেরও ক্রয়ক্ষমতার ভেতরেই রয়ে গেছে।

এ ছাড়া পুরো প্যাকেটের বদলে একটি-দুটি করে খুচরা সিগারেট কেনার সুযোগ বাংলাদেশে রয়েছে, যেটি চাহিদা বাড়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ। পৃথিবীর খুব কম দেশে প্যাকেট ভেঙে সিগারেট বিক্রির এই সুবিধা রয়েছে।’

ধূমপানবিরোধী আন্দোলনকারীরা প্যাকেট ভেঙে খুচরা সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করার দাবি করে আসছে, কিন্তু সরকার এতে কান দিচ্ছে না। সুতরাং এসব কারণেই যে বাংলাদেশের সিগারেটের বাজারে আকৃষ্ট হয়েছে জাপান টোব্যাকো, সেটা সহজেই বোধগম্য।

জাপান টোব্যাকোর লক্ষ্য কী

আকিজ গ্রুপের সঙ্গে চুক্তির পর জাপান টোব্যাকো এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশে বছরে ৮ হাজার ৬০০ কোটি সিগারেট শলাকা বিক্রি হয় এবং আকিজের সিগারেট ব্যবসা কেনার ফলে সেই বাজারের ২০ শতাংশ তাদের দখলে চলে যাবে।

বাংলাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে আকিজ গ্রুপের নেভি এবং শেখ ব্র্যান্ডের সিগারেটের চাহিদা অনেক। দেশের ৯০ শতাংশ এলাকাতেই এই দুই ব্র্যান্ডের সিগারেটের সরবরাহ রয়েছে।

ধূমপান নিয়ে ক্রমবর্ধমান কড়াকড়ি এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে পশ্চিমা বিশ্বে সিগারেটের ব্যবসা পড়তির দিকে। সে কারণে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এখন টার্গেট করছে এশিয়া বা আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে জাপান টোব্যাকো রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে স্থানীয় কয়েকটি সিগারেট কোম্পানি কিনে নিয়েছে।

এবার তারা কিনছে, আকিজ গ্রুপের ইউনাইটেড টোব্যাকো কোম্পানি, যেটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিগারেট প্রস্ততকারক।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

63
গত কয়েক বছর ধরে বড় ঋণের দিকে ব্যাংকগুলো বেশি ঝুঁকছে।  সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের প্রায় সাড়ে ৫৭ শতাংশই বড় ঋণ।

মঙ্গলবার (০৮ মে) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ৪০ শতাংশ, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৬৫ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংকের ৪৭ শতাংশ এবং বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৭৩ শতাংশ বড় ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ৫৮ শতাংশ ছিল বড় ঋণ। যা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী কার্যালয়ে ‘ক্রেডিট অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্বে) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

স্বাগত বক্তব্যে আয়োজনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে ঢাকার বিআইবিএমে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন মহাপরিচালক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

বিআইবিএম-এর কর্মশালায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী কার্যালেয়ের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী কার্যালয়ের দুই মহাব্যবস্থাপক নুরুন নাহার এবং এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম-এর মুজাফফর আহমেদ চেয়ার প্রফেসর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএম-এর সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী এবং এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহমুদ হোসেন।

কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম-এরঅধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল। গবেষণা দলে ছিলেন বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা, সহযোগী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র পন্ডিত, সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা রহমান, প্রভাষক সাদমিনা আমির এবং জনতা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন।

65
Thanks foe sharing this kind of useful tips.

66
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল আপনার বন্ধু তালিকার বাইরের কেউ নিয়মিত দেখে কী না আপনি জানেন না। এমনকি আপনার বন্ধু তালিকায় থাকা কোনও বন্ধুও আপনার সর্বশেষ ছবি কিংবা স্ট্যাটাস দেখেছে কী না আপনি হয়তো জানেন না। আপনার পক্ষে এটা তখনই জানা সম্ভব হয় যখন সেই বন্ধুরা আপনার ফেসবুক কার্যক্রমে লাইক বা কমেন্ট করে।
তবে এখন লাইক বা কমেন্টের দরকার নেই। এমনকি বন্ধু তালিকায় থাকারও প্রয়োজন নেই। এখন আপনি খুব সহজেই বের করতে পারবেন কারা আপনার ফেসবুক প্রোফাইল নিয়মিত দেখে।
যদিও বেশ কিছু অ্যাপের সাহায্যে এই কাজটি করা যায়। সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই ফলাফল ঠিক আসে না। আছে নিরাপত্তার হুমকি। অর্থাৎ এসব অ্যাপ ব্যবহার করে এই ফলাফল বের করে আনতে গেলে আইডি হ্যাকের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এসব অ্যাপের সাহায্য বাদ দিয়ে চলুন দেখে নেই নিরাপদিএকটি পদ্ধতি-
১. প্রথমে যথারীতি ফেসবুকে লগ-ইন করুন।
২. এরপর আপনার টাইমলাইনে ‘অ্যাক্টিভিটি লগ’ অপশনের পাশের অপশনে (যেখানে তিনটি বিন্দু রয়েছে) রাইট বাটন ক্লিক করুন। সেখান থেকে ‘ভিউ পেজ সোর্স’ সিলেক্ট করুন।

৩. এ পর্যায়ে কোডভর্তি পুরো একটি পেজ পাবেন যার কিছুই আপনি বুঝবেন না। তবে ভয়ের কিছু নেই। এই পেজটিতে অবস্থান করার সময় ‘কন্ট্রোল+এফ’ (F) বাটন চাপুন। দেখবেন, ওপরে ডান কোণায় একটি সার্চবক্স এসেছে। এই সার্চবক্সে ‘InitialChatFriendsList’ লিখুন।

৪. এরপর ‘InitialChatFriendsList’ এর পাশে কতগুলো নম্বরের তালিকা পাবেন। মূলত এই নম্বরগুলোই আপনার টাইমলাইনে যারা এসেছে তাদের ফেসবুক আইডি নম্বর।

৫. এখন এই নম্বরগুলো দিয়ে আইডি বের করার জন্য ‘facebook.com’ (ফেসবুক ডটকম) সাইটে যেতে হবে। তারপর ফেসবুক ডটকমের পাশে স্ল্যাশ (/) চিহ্ন দিয়ে যেকোনও একটি নম্বর পোস্ট দিন। যেমন- facebook.com/ 100008223225037। দেখবেন, একটি আইডি চলে এসেছে। অর্থাৎ এই আইডিই আপনার প্রোফাইল দেখে থাকে।

৬. এক্ষেত্রে, যে নম্বরটি (আইডি) একেবারে প্রথমেই থাকে সেই আইডিটি আপনার প্রোফাইলে নিয়মিত আসে। এরকম করে পর্যায়ক্রমে সব শেষের আইডিটি হলো যে আপনার প্রোফাইলে সবচেয়ে কম এসেছে।


সূত্র: জি নিউজ

67
Food / রেসিপি: কাঁচা আমের সস
« on: May 14, 2018, 04:57:15 PM »
উপকরণ
কাঁচা আম- ১ কেজি
সাদা ভিনেগার- আধা কাপ
লবণ- স্বাদ মতো
শুকনা মরিচ- কয়েকটি
রসুন- ৪ কোয়া
চিনি- স্বাদ মতো
সবুজ ফুড কালার- সামান্য (ঐচ্ছিক)

প্রস্তুত প্রণালি
কাঁচা আমাদের খোসা ছাড়িয়ে আঁটি ফেলে দিন। ছোট টুকরা করে কাটুন। আড়াই কাপ পানি ও ভিনেগার দিন। লবণ, রসুন ও শুকনা মরিচ দিয়ে নেড়ে একটি হাঁড়িতে নিয়ে নিন উপকরণগুলো। মিডিয়াম লো আঁচে সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত চুলায় রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ঢাকনা তুলে দেখুন সেদ্ধ হয়েছে কিনা। একদম নরম হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ব্লেন্ড করে নিন। মিহি পেস্ট তৈরি হলে প্যানে নিয়ে চুলায় দিন। স্বাদ মতো চিনি দিয়ে দিন। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে সামান্য ফুড কালার দিন। নামিয়ে ঠাণ্ডা করে সসের বোতলে সংরক্ষণ করুন মজাদার কাঁচা আমের সস।

রেসিপি: ফারজানা হক 

70
thanks for sharing.................

72
Food / হরেক গুণের তেজপাতা
« on: May 14, 2018, 04:31:45 PM »
তেজপাতা খুবই সহজলভ্য একটি মশলা। রান্নায় নিত্যদিনের ব্যবহার্য এ মশলা সবার রান্নাঘরের কোথাও না কোথাও পাওয়া যাবে। অথচ সৌন্দর্যচর্চায়ও তেজপাতার গুণ রয়েছে, জানেন না অনেকেই। এ ছাড়া ত্বক, চুল ও দাঁতের সৌন্দর্য রক্ষায় কাজে আসে তেজপাতা। পাশাপাশি এর স্বাস্থ্যগুণও অসাধারণ!

তেজপাতার দারুণ সব উপকারিতা-

চুলের যত্নে: চুলে শ্যাম্পু করার পর তেজপাতার পানি ব্যবহার করুন। কয়েকটি তেজপাতা দিয়ে পানি চুলায় গরম করতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুলের খুশকি দূর হয়। একইসঙ্গে চুল পড়াও ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

উকুননাশক হিসেবে: ৫০ গ্রাম তেজপাতা এবং ৪০০ মি.লি. পানি একসাথে করে চুলায় গরম করতে হবে, যতক্ষণ না কমে ১০০ মি.লি. পানি হয়। তারপর ঠান্ডা করে মাথার তালুতে লাগাতে হবে। ৩-৪ ঘণ্টা রাখার পরে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতায়: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও  বলিরেখা দূর করতে তেজপাতার জল খুব উপকারী। ৫টি তেজপাতার সাথে ২ গ্লাস পানি গরম করে নিতে হবে। তারপর পানিটা একটি বড় পাত্রে নিয়ে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ভাপটা নিতে হবে। এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়।

ডায়াবেটিস: তেজপাতার জল শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে; যা আমাদের শরীরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে। ভালো ফলাফলের জন্যে একটানা ৩০ দিন তেজপাতার পানি খেতে হবে। এর জন্য ১৫টি তেজপাতার সাথে ৩ গ্লাস পানি গরম করে ১ গ্লাস করতে হবে। তারপর ঠান্ডা করে খাবার গ্রহণের পূর্বে পান করতে হবে দিনে ২ বার করে।

ব্যাথানাশক: তেজপাতার তেল ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। শরীরের গিঁটে গিঁটে ব্যথা হলে তেজপাতার তেল দিয়ে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং ব্যথার উপশম হয়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ: ক্যাফেয়িক এসিড, কুয়েরসেটিন, ইউগানল, ক্যাটেচিন রয়েছে তেজপাতায়। যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

কাশি দূর করতে: ২-৩টি তেজপাতা দিয়ে পানি গরম করে ১০ মিনিটের জন্যে রেখে ঠান্ডা করতে হবে। সেই পানিতে কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় বুকের উপর রেখে ভাপ দিলে তা জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি দূর করতে সাহায্য করে।

হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে: নিয়মিত তেজপাতা খাওয়া বা তেজপাতার পানি পান হার্টকে সুস্থ রাখে। এতে রয়েছে রুটিন, স্যালিসাইলেটস, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস; যা হার্টকে সবল রাখে। ৩ গ্রাম তেজপাতা, ৩-৪ মি.লি. গোলাপজল ও ৩০০ মি.লি. পানি গরম করে ৭৫ মি.লি. করতে হবে। এই মিশ্রণ পান করতে হবে নিয়মিত।

অনিয়মিত পিরিয়ড: নিয়মিত তেজপাতা চিবিয়ে খেলে তা পিরিয়ডকে নিয়মিত ও স্বাভাবিক রাখে।

দাঁতের যত্নে: দাঁতকে সাদা ও সুস্থ রাখতে তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার। কফি, চা, তামাক, অ্যালকোহল- এসবের কারণে যদি দাঁত হলুদ হয়ে যায়, তাহলে শুকনো তেজপাতা ও শুকনো কমলার খোসা গুঁড়ো করে অল্প পানির সাথে মিশিয়ে টুথপেস্ট হিসেবে ব্যবহার করবেন। এতে দাঁত সাদা ও ঝকঝকে হয়।

কিডনি: কিডনিতে ইনফেকশন বা পাথর হলেও তেজপাতা তা দূর করতে সাহায্য করে। ৫ গ্রাম তেজপাতা ও ২০০ মি.লি. পানি একসাথে গরম করে ৫০ মি.লি. হলে ঠান্ডা করে পান করুন।

পোকামাকড় দমনে: পোকামাকড় দূর করতে তেজপাতার গুঁড়ো ব্যবহার করা যায়।

হজম: নিয়মিত তেজপাতা সেবন হজমে সাহায্য করে। তেজপাতা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে সাহায্য করে। তেজপাতার গুঁড়ো গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ওজন কমাতে: ৫ গ্রাম তেজপাতা, এক টুকরো আদা, ২০০ মি.লি. পানি ফুটিয়ে ১/৪ ভাগ করে এর সাথে মধু মিশিয়ে পান করতে হবে দিনে দুইবার।

ডায়েরিয়া: ১৫টি তেজপাতার সাথে ২ গ্লাস পানি গরম করতে হবে। তারপর এক চিমটি লবন যোগ করে ঠান্ডা করতে দিতে হবে। তারপর একবারে পান করতে হবে। এভাবে যতদিন না ডায়েরিয়া শেষ হয়, এই মিশ্রণ পান করতে হবে।

ভিটামিনের উৎস: তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ।

প্রিয় লাইফ/শান্ত 

73
Food / When Chocolate is actually good for you!
« on: May 14, 2018, 04:28:37 PM »
A prime example of the negative relation between chocolate and stress is that, most people like to indulge themselves in a chocolate or two or maybe five whenever they feel pressured or stressed. Research conducted on 30 adults who had high levels of stress at the very beginning, showed a significant drop in their stress level after having chocolate every day for a month. So, a chocolate bar a day can really keep the anxiety away. To be more specific, dark chocolate works much better than milk chocolate.

One very big reason for signs of aging on the face is exposure to ultra violet radiation. Cocoa beans have a much higher level of antioxidants than many other types of food, and this high level of antioxidant can help reduce inflammations caused by the UV ray of the sun. Not only that, eating chocolate can help moisturise the skin, which can, in turn, help by reducing the appearance of wrinkles on the skin. However, it is very important to keep in mind that only dark chocolate has a high level of antioxidants and when the cocoa is used to make normal milk chocolate, a lot of the skin treating benefits are filtered away.

Chocolate containing 50 to 70 percent cocoa bean can also help regulate blood pressure. Many types of research have been conducted to study the relation between people with high blood pressure and eating chocolate. Almost all of the participants saw that their blood pressure went down to normal after having chocolate for 2 weeks. Not just that, cocoa also seems to have other heart related properties. Upon research, it was found that along with a reduction in blood pressure, there was a slight decline in bad cholesterol and a significant rise in good cholesterol. It might end up being the heart's favorite treat.

On top of all these, experts are out to find if chocolate can actually help fight cancer. As it contains an antioxidant called flavanol, it may be useful in treating cancer. However, the jury is still out on that one.

Throughout most of life, many people have only heard how bad chocolate can be for health, but thanks to new research, it seems chocolates may have another different story to tell us after all.


74
Food / Chocolate – a gift from above
« on: May 14, 2018, 04:27:08 PM »
Oh the sweet love that is chocolate. How much we love this heavenly concoction. Ever wonder where it all began though? The best way to go about that is to start by who had that first taste of it, and that honour goes to the first European explorer Hernán Cortés, who was given a cup of 'xocoatl' by Montezuma, the Aztec emperor. The Aztecs considered the drink so glorious that it was served in golden goblets to only members of the imperial family. However, it was a far cry from the comforting frothy drink we now know, because back then, it was bitter, and served cold.

However, the cacao beans used to make the drink were also used as money by the Aztecs. Impressed by this, Cortés took some of the beans back to his own king, Charles V of Spain in 1528. The king described chocolate as 'the divine drink that builds up resistance and fights fatigue.'

The Spanish explorers had also come across sugar in the New World and this was added to the chocolate, along with water and the drink was heated. Spices, such as vanilla and cinnamon, newly arrived from the West Indies, were also included in some recipes, and the drink became popular with the Spanish court.


They kept the recipe a closely guarded secret for nearly a hundred years, but gradually, the reputation of the sweet delicious drink spread to other European courts, and it became the drink that one must serve a royal guest.

It was finally made available for all when an enterprising Frenchman opened the first shop in London selling solid chocolate for making the drink. Chocolate houses serving hot chocolate were opened in London and other European capitals, and these became the fashionable places to be seen in! Around the 1700's, the English began to add milk to the drink, and the vanilla and cinnamon were left out, and with it, Quakers was born. In 1875, the Swiss introduced milk chocolate for eating. By this time, the high tax on imported cacao beans had been lifted and chocolate became a treat that was made affordable for the masses to enjoy.

In 1720, the cacao bean tree was given its scientific name 'Theobroma cacao', a Greek word meaning 'food of the gods'. Throughout its long history, chocolate has been considered special, not only for its taste, but for its ability to provide a quick burst of energy – due to its high carbohydrate level and trace amounts of caffeine it contains. Blocks of chocolate are standard rations for hungry children and tired grownups, as well as astronauts and climbers of Everest.


PRODUCING CHOCOLATE

Cacao beans grow only in tropical countries, so Africa's west coast and Brazil are the main producers. The pods are like small melons, which contain the beans, which are harvested twice a year. They are split open, and the beans are left to ferment in the blistering tropical sun for several days. During this time, the white beans turn dark brown and begin to obtain their chocolaty flavour. They are then dried and shipped in bags to the USA and Europe, and later distributed around the war. It takes one tree's yearly yield to make 450g (1 lb) of cocoa.

At the chocolate factory, the cacao beans are cleaned, roasted, and shelled. The roasting fills the air with the mouth-watering aroma of chocolate. The beans are broken into large pieces called nibs and these are grounded, producing a rich brown liquid or paste called 'chocolate liquor' (although it has no alcoholic content). This liquor is the main ingredient for all chocolate products. Some of the liquor is hardened into moulds to form baking (bitter) chocolate, but most is pressed to extract the cocoa butter. The resulting block is called 'press cake'. This is dried and sifted to make cocoa powder. Chocolate liquor, cocoa powder and cocoa butter are combined to make all the different kinds of chocolate you will see everywhere.

To make milk chocolate, the chocolate liquor is added to liquid or powdered milk and sugar. Interesting fact: the white chocolate we know and love is made when just cocoa butter and sugar is used without adding chocolate liquor. Cocoa butter, plus chocolate liquor, and sugar makes the familiar sweet (eating) chocolate. If vegetable fat is substituted for cocoa butter, the result is baker's or compound chocolate, found in most countries.

Once all the mixtures are blended, whatever spices and flavourings are added, the chocolate undergoes a long stirring or 'conching' period to make it smooth and creamy. After this, it is moulded into blocks and bars, wrapped and shipped to bakeries where it is used as an ingredient in cakes and biscuits, or sent straight to confectioneries.

 

By Elora Hossain

75
BBA Discussion Forum / DSE enters hi-tech era
« on: May 14, 2018, 03:56:25 PM »
The Dhaka Stock Exchange can brace itself for some radical technological upgrades in the near future that would take it to global standards after Shenzhen Stock Exchange (SZSE) and Shanghai Stock Exchange (SSE) became its strategic partner.

The Chinese consortium, which will ink the deal to purchase 25 percent stake in the DSE today, has offered to share an array of technical products and services covering all aspects of the stock exchange business.

“With the product and services, DSE can become a leading stock exchange in the region,” said the proposal from the consortium.

The consortium has offered to assist in mapping the information disclosure process for issuers at the DSE and share its expertise in designing an electronic information disclosure system.

The platform would provide corporate information of the issuing companies, simple analytical tools, interactive question and answer facility and online complaint portal with a view to enhancing transparency and corporate governance.

“It will allow investors to make more informed investment decisions as they may ask any question and get answer from the issuing company,” said KAM Majedur Rahman, managing director of DSE.

The Chinese consortium would also help the DSE to upgrade its trading and surveillance systems.

Over the years, SZSE has developed leading edge expertise in research and development and operation and maintenance of the market surveillance system.

“Through this partnership, SZSE can assist in developing a fully functional, responsive, efficient and practical market surveillance system for the DSE, which is adapted to meet local market regulatory requirements,” said the proposal.

The consortium will also help the DSE to design one-stop business solutions to create a unified, secure and efficient IT platform architecture to achieve comprehensive electronic business process services.

It has also offered to develop the bond market. In particular, SZSE has offered its bond auction tender system which is useful in managing auction of bond products with fairness and transparency.


The Chinese consortium also proposed financial data exchange platform, which is a stable and low-cost capital market communication infrastructure to connect the DSE, the Bangladesh Securities and Exchange Commission, the Central Depository of Bangladesh Ltd and other core market institutions.

The technological offers are worth $37.11 million, which the consortium would bear.

Rahman said the consortium will not only upgrade technology but will also try to bring in foreign investors to the DSE by drawing into China's pool of 11,000 qualified institutional investors.

“These investors are seeking well-performing companies. They would not put their money in overvalued shares or badly performing companies,” said the DSE MD.

At present, the DSE has only 25-30 companies that are attractive to foreign investors, said Abu Ahmed, former chairman of the Dhaka University's economics department and a stockmarket expert.

“The BSEC and the DSE will have to work hard to get solid companies to the market.”

The Chinese consortium has also offered to assist the DSE in developing index-based products, bonds and asset-backed securities to diversify products in the DSE.

It has also offered to assist in designing, promoting and showcasing Bangladeshi indices in China as well as developing the DSE's derivatives market.

“Confidence among foreign investors will soar when the strategic partner will start to work in the DSE,” said Mostaque Ahmed Sadeque, president of the DSE Brokers Association.

Source- The Daily Star

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 12