Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - pmkamal

Pages: [1] 2
1

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে এমন আশঙ্কা হলে অনলাইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফ্লু কর্ণারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কিংবা ব্র্যাক  পরিচালিত কিয়স্কে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসতে পারেন।
এর বাইরে ব্যয়বহুল বেসরকারি ১৩ টি প্রতিষ্ঠানকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে সরকার। হাসপাতালে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করালে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও হাসপাতাল প্রতিনিধি বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ বেঁধে দিয়েছে সরকার। তবে, বেশিরভাগ হাসপাতালই নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি আদায় করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেছেন, ৪৯ টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধানত, বিএসএমএমইউ, ব্র্যাকের কিয়স্কগুলোতে গিয়ে নমুনা দিতে হবে। কিছু কিছু সরকারি হাসপাতালও নমুনা নিয়ে থাকে।
 
পাঠকদের জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নমুনা সংগ্রহের কেন্দ্রগুলোর নাম দেওয়া হলো:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নমুনা দিতে হলে আগে থেকেই অনলাইনে সাক্ষাৎকার ফরম পূরণ করতে হবে। বিএসএমএমইউএর ওয়েবসাইটের ডানদিকে ফিভার ক্লিনিকের অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য ক্লিক করুন লেখা বাটনে চাপলেই পাওয়া যাবে সাক্ষাৎকার ফরমটি। যাঁরা এই ফরম পূরণ করবেন তাঁদের মুঠোফোন নম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট নম্বর ০১৫৫২১৪৬২০২ থেকে খুদে বার্তা পাঠানো হবে। এই খুদে বার্তা দেখালে পরীক্ষা করা যাবে।
বিএসএমএমইউএর ফিভার ক্লিনিক সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে ফোন করা যাবে ০১৪০৬৪২৬৪৪৩ এই নম্বরে।
ব্র্যাকের কিয়স্ক:
ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক মোরশেদা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকার ৩৪ টি জায়গায় তাঁরা কিয়স্ক স্থাপন করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে তাঁরা সরকার নির্ধারিত গবেষণাগারে পৌঁছে দেন।
দৈনিক এক একটি বুথ থেকে তাঁরা ত্রিশটি নমুনা সংগ্রহ করে থাকেন। সক্ষমতা বেশি হলেও, গবেষণাগারের সক্ষমতার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আপাতত এই সীমা ঠিক করে দিয়েছে। তবে কিয়স্কের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
ব্র্যাকের কেন্দ্রগুলো রয়েছে
সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল - মিরপুর ১৩
৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার - মিপুর ১৩
আনোয়ারা মুসলিম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ - বাউনিয়া
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ - উত্তরা
উত্তরা হাই স্কুল (ডিএনসিসি) - সেক্টর-৬, উত্তরা
১০ নং কমিউনিটি সেন্টার (ডিএনসিসি) - সেক্টর ৬, উত্তরা
উত্তরখান জেনারেল হাসপাতাল - উত্তরখান, ওয়ার্ড ৪৫
নবজাগরণ ক্লাব, জামতলা - ইসমাঈলদেওয়ান মহল্লা, আজিমপুর, দক্ষিণখান
পল্টন কমিউনটি সেন্টার - নয়াপল্টন, পল্টন থানার উল্টোদিকে
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল - ১ ও ২ (শুধুমাত্র পুলিশ সদস্যদেও জন্য)
প্রেস ক্লাব - (তোপখানা)
৫০ নম্বর ওয়ার্ড যাত্রাবাড়ি কমিউনিটি সেন্টার - শহীদ ফারুক সড়ক, জলাপাড়া, যাত্রাবাড়ি
সুইপার কলোনী, দয়াগঞ্জ বস্তি - যাত্রাবাড়ি
হাজী জুম্মন কমিউনিটি সেন্টার - নয়াবাজার মোড়, হাজী রশিদ লেন
বাসাবো কমিউনিটি সেন্টার - বাসাবো
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি - সেগুনবাগিচা
আমলিগোলা পার্ক ও কমিউনিটি সেন্টার - ধানমন্ডি
সূচনা কমিউনিটি সেন্টার - মোহাম্মদপুর
আসাদুজ্জামান খান কামাল কমিউনিটি সেন্টার (ডিএনসিসি) - মধুবাগ, মগবাজার
মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম চৌধুরী কমিউনিটি সেন্টার – কামরাঙ্গীরচর
শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল - টঙ্গি
উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স - সাভার

পল্লীবন্ধু এরশাদ বিদ্যালয় - করাইল, বনানী
রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল (শুধুমাত্র পুলিশ সদস্যদের জন্য)
সবুজবাগ সরকারি মহাবিদ্যালয়, বাসাবো , খিলগাঁও
খিলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ , খিলগাঁও
তিতুমীর কলেজ
নারায়ণগঞ্জ
১. নারায়ণগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ
২. এম ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয় , সিদ্ধিরগঞ্জ
মিটফোর্ড হাসপাতালে নমুনা দেওয়া যায়, বাকিগুলোয় সীমিত পরিসরে:
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ফ্লু কর্নার থেকে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। হাসপাতালের পরিচালক রাশিদুন নবী প্রথম আলোকে বলেন, গড়ে ১৪০ টি নমুনা তাঁরা পরীক্ষা করছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে বা উপসর্গ নিয়ে যারা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি আছেন কিংবা অন্যকোনো রোগে ভর্তি রোগীরা পরীক্ষা করাতে পারবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এ তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিরউদ্দীন। এর আগে বহির্বিভাগে আসা রোগীরা নমুনা দিয়ে যেতে পারতেন। এখন রোগীর চাপ বাড়ায় এ প্রক্রিয়া থেকে হাসপাতালকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
ও চাইল্ড হেলথ কেয়ার রিসার্চ ফউন্ডেশন ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকার যেখানে নমুনা পরীক্ষা করা যাবে:
এভারকেয়ার হসপিটাল, ঢাকা
স্কয়ার হসপিটাল, ঢাকা
প্রাভা হেলথ বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, ঢাকা
আনওয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হসপিটার, ঢাকা
এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকা
ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেড, ঢাকা
বায়োমেড ডায়াগনস্টিক, ঢাকা
ডিএমএফআর মলিকিউলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, ঢাকা
ল্যাব এইড হসপিটাল, ঢাকা
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস জেনারেল হসপিটাল, ঢাকা
কেয়ার মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
ঢাকার বাইরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা যাবে:
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড রাফাতউল্লাহ কমিউনিটি হসপিটাল, বগুড়া
শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি (প্রাইভেট) লিমিটেড, চট্টগ্রাম
ঢাকার বাইরে যেসব জায়গায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, এখন সব হাসপাতালে ফ্লু কর্ণার করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর উপসর্গ আছে এমন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিগুলোতে পাঠানো যাবে।
অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী পরীক্ষা হচ্ছে:
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ
আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ , নোয়াখালি
নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুর
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ
রংপুর মেডিকেল কলেজ
এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
খুলনা মেডিকেল কলেজ
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল
*এসব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগী বা বহির্বিভাগে আসা রোগীর নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর বাইরে, নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করা হচ্ছে কয়েকটি গবেষণাগারে। যেমন:
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
গাজী কাভিড-১৯ পিসিআর ল্যাব, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
গবেষণাগারগুলো যেখানে:
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোর ল্যাবে পরীক্ষা হতে পারে। এর বাইরেও
নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে নিচের গবেষণাগারগুলোয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার
আইইডিসিআর
জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান
আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়
চাইল্ড হেলথ কেয়ার রিসার্চ ফউন্ডেশন ও ঢাকা শিশু হাসপাতাল
আর্মর্ড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি ও সিএমএইচ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
আইদেশি (বেসরকারি)
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান
মুগদা মেডিকেল কলেজ
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

(Collected - Daily Prothom Alo)

2

করোনা প্রতিরোধে অ‌্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স। ছবি: রয়টার্সকরোনা প্রতিরোধে অ‌্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স। ছবি: রয়টার্সযুক্তরাষ্ট্রের সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স এমন একটি করোনাভাইরাস অ্যান্টিবডির সন্ধান পেয়েছে, যা সংক্রমণ শতভাগ ঠেকাতে সক্ষম বলে পরীক্ষাগারে প্রমাণ হয়েছে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ল্যাবের ওই পরীক্ষার ফলাফল এখন মানুষকে আশাবাদী করে তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ছোট আকারের একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স ইনকরপোরেশন মূলত ক্যানসার, প্রদাহ, পরিপাক এবং সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য মানব চিকিৎসায় অ্যান্টিবডি গবেষণা করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার কোভিড-১৯ অ‌্যান্টিবডির খোঁজ পাওয়ার দাবি করার পরপরই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারমূল‌্য ২৪৪ শতাংশ বেড়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকেরা দাবি করেন, তাঁদের খোঁজ পাওয়া অ্যান্টিবডিটি প্রাক-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় গবেষণাগারে ভাইরাসের বিরুদ্ধে শতভাগ বাধা দিতে পেরেছিল বলে দেখা গেছে।

সংস্থাটি বলেছে, তারা একটি অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি করবে, যা করোনাভাইরাসটির বিরুদ্ধে ‘প্রতিরক্ষামূলক ঢাল’ (প্রটেকটিভ শিল্ড) হিসেবে কাজ করবে। তাদের পরীক্ষার ফল শিগগিরই একটি পিয়ার রিভিউ জার্নালে জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রকদের অ‌্যান্টিবডি প্রার্থীর অগ্রাধিকার মূল্যায়ন এবং ত্বরান্বিত পর্যালোচনা করার জন্য বলবে। ক্লিনিক্যাল গবেষণা সফল বলে মনে হলে তারা উত্পাদন বাড়ানোর জন্য ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা, সরকার ও সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার সরেন্টোর বাজারমূল্য যেখানে ছিল ৫৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার, সেখানে শুক্রবার তাদের মূল‌্যমান দাঁড়ায় ১৯০ কোটি ডলারে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটা ছিল ইন ভিট্রো ল‌্যাব পরীক্ষা, যাতে কোনো প্রকৃত মানব শরীরে অ‌্যান্টিবডির প্রয়োগ করা হয়নি। তারপরও এটি সম্ভাবনাময় উদ্ভাবন। কারণ, সংস্থাটি একটি অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা ভাইরাস রূপান্তরিত (মিউটেশন) হওয়ার পরও এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারবে।

সোরেন্টো বলেছে, এসটিআই-১৪৯৯ নামের এ অ‌্যান্টিবডি তাদের পরীক্ষা থেকে বের হয়ে এসেছে, যা সার্স-কোভ -২ এর স্পাইক প্রোটিনকে মানুষের কোষের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে আটকে দেয়। এর অর্থ, এটি হোস্টের স্বাস্থ্যকর কোষে সংক্রমিত হওয়া থেকে ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে।

সোরেন্টোর কোভিড-শিল্ড বলতে বিভিন্ন অ্যান্টিবডির একটি শক্তিশালী মিশ্রণের মাধ্যমে এটিকে মোকাবিলা করা বোঝানো হয়েছে, যা ভাইরাসের বিভিন্ন আক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে সংস্থাটি বলেছে, তারা এসটিআই-১৪৯৯ অ্যান্টিবডিকে একক থেরাপি হিসেবেও তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ‌্যান্ড ড্রাগ অ‌্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন চাইবে।

টেকক্রাঞ্চ বলেছে, সাবধান থাকতে হবে যে সার্স-কোভ -২ বা কোভিড -১৯-এর চিকিত্সা করার ক্ষেত্রে কোনো চিকিত্সা বা ভ্যাকসিন ম্যাজিক বুলেট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এটি এখন পর্যন্ত একটি আশাব্যঞ্জক আবিষ্কার, যার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার ওপর চোখ রাখতে হবে।

(Collected)

3


সিআর৩০২২ নামের অ্যান্টিবডি যা সার্সের বিরুদ্ধে লড়তে পারে এবং নতুন করোনাভাইরাসকেও আটকাতে পারে। গবেষকেরা কোভিড-১৯ এর নির্দিষ্ট অঞ্চলের দুর্বলতা থাকার কথা বলছেন। রয়টার্স প্রতীকী ছবিসিআর৩০২২ নামের অ্যান্টিবডি যা সার্সের বিরুদ্ধে লড়তে পারে এবং নতুন করোনাভাইরাসকেও আটকাতে পারে। গবেষকেরা কোভিড-১৯ এর নির্দিষ্ট অঞ্চলের দুর্বলতা থাকার কথা বলছেন। রয়টার্স প্রতীকী ছবিকরোনাভাইরাসের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন মার্কিন গবেষকেরা। সেটি হলো করোনাভাইরাসের বিশেষ একটি অংশ লক্ষ্য করে কোনো ওষুধ বা অন্য থেরাপি দিয়ে আক্রমণ করা। ওই দুর্বল অংশটিকে তাঁরা বলছেন ‘অ্যাকিলিস হিল’। গ্রিক পুরাণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর অ্যাকিলিসের গোড়ালিতে বিশেষ দুর্বলতা ছিল। ট্রয়ের যুদ্ধে গোড়ালিতে তিরের আঘাতে মারা যান তিনি। অলাভজনক আমেরিকান চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের করোনাভাইরাস–বিষয়ক গবেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ওই অ্যাকিলিস হিল খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিকিৎসাক্ষেত্রে খুব ভালো খবর হয়ে আসতে পারে। এ থেকে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যাকসিন তৈরির পথ খুলে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগো ট্রিবিউন তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক দলের নেতৃত্ব দেওয়া জীববিজ্ঞানী ইয়ান উইলসনের মতে, করোনাভাইরাসের মতো অতি সংক্রামক ভাইরাসের ওপর আক্রমণ করার জন্য নির্দিষ্ট দুর্বল অঞ্চল খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা–সংক্রান্ত নিবন্ধ। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির জন্য বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের সময়েই এ তথ্য সামনে এল। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির আজ রোববার সকাল পর্যন্ত দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৭৫৩–তে।

গবেষকেরা বলেন, তাঁদের আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কাজ করেছে এক বছর আগে সার্স সংক্রমণের শিকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি ভাইরাসটির একটি নির্দিষ্ট অংশের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছে এবং তা কোভিড-১৯–এর ক্ষেত্রেও পুনরাবৃত্তি করতে সক্ষম। এ বিষয়টির খোঁজ করতে গিয়ে তারা করোনাভাইরাসের দুর্বল জায়গাটি পেয়ে গেছেন।

শুক্রবার স্ক্রিপস রিসার্চের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার বিশেষ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনের সঙ্গে তারা মিল খুঁজে পান, যা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করা গেলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তবে, দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ওই দুর্বল জায়গাটি সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি সাধারণত ভাইরাসের ভেতরে লুকিয়ে থাকে এবং ভাইরাসের সেই অংশটি তার গঠন পরিবর্তন করার সময়েই কেবল সামনে আসে।

নিউইয়র্ক পোস্ট–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের দুর্বল জায়গা নিয়ে আরও গবেষণা চালানোর কথা বলেছেন গবেষকেরা। তাঁরা বিষয়টিকে আরও জানার জন্য অ্যান্টিবডি খোঁজ শুরু করেছেন। এ জন্য কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রক্তের খোঁজ করছেন তাঁরা। এ রক্ত থেকে সম্ভাব্য কার্যকর অ্যান্টিবডি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সব মানুষের পাঁচ ধরনের অ্যান্টিবডি রয়েছে। তবে এসব গ্রুপের মধ্যে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এমন একটির সন্ধান করছেন, যা ভাইরাস শনাক্তকরণ এবং তাকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে।

অনলাইন ডেস্ক
০৫ এপ্রিল ২০২০, ১০:২০
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০, ১১:০০

4
প্রতীকী ছবি রয়টার্সকরোনাভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে অনেক স্কুল এখন বন্ধ। বাচ্চারা এখন কী করবে আর কী করবে না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা-বাবা। সন্তানকে বাইরে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পাঠাবেন কি না, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা মানে কি তাদের খেলার সময় শেষ করে দেওয়া? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে ইতালির ক্যাথরিন উইলসনের কথা শুনুন।
ক্যাথরিন উইলসন বলছেন, তাঁর হাতে সময় বদলে দেওয়ার সুযোগ থাকলে তিনি কয়েক দিন আগে ফিরে যেতেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতিবেশীর বাড়িতে রাতের খাবার খেতে পাঠাতেন না।
দুই সপ্তাহ আগে যখন ইতালিজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছিল, তখন পর্যন্ত মানুষকে বাড়িতে থাকতে হবে কি না, তার কোনো নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। তখন রোমে বসবাসকারী দুই সন্তানের মা ক্যাথরিনও করোনাভাইরাসকে ততটা গুরুত্ব দেননি। অন্য দুই পরিবারের সঙ্গে রাতে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে খাবারে নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। ক্যাথরিন তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘আমি আর আমার স্বামী ভেবেছিলাম, আমরা তো কারও অ্যাপার্টমেন্টেই যাচ্ছি। এখানে তো আর বড় কোনো জমায়েত হচ্ছে না।’

ক্যাথরিন বিবিসিকে বলেন, অনেক স্কুলশিক্ষার্থীর মা-বাবার মতোই তিনি মনে করেছিলেন, স্কুল ছুটি মানেই তো সন্তানের জন্য ছুটির সময়। অনেক মা একই রকম আচরণ করেন। তাঁরা মনে করেন, দারুণ একটা ছুটির সময় পাওয়া গেল। যেসব পার্ক বা যেখানে কখনো যাওয়া হয়নি, সেখানে সন্তানকে নিয়ে যান।
ওই সামান্য ভুলের মাশুল দিচ্ছেন এখন তিনি। দেশে যেভাবে করোনাভাইরাস মহামারি রূপ নিয়েছে, তা দেখে আফসোস করে ক্যাথরিন বলেন, ‘তখন যদি আরেকটু সতর্ক হতাম। পরিবারের সদস্যদের চলাফেরায় যদি আরেকটু সীমারেখা টেনে দিতাম, তবে এমন দিন দেখতে হতো না। এটা না করা বোকামি ছিল। তবে ওই সময় “না” বলাটাও কঠিন হতো।’
কয়েক দিন পরেই ইতালির সরকার পুরোপুরি অচলাবস্থা জারি করে। এর অর্থ দাঁড়ায় কোনো পার্কে যাওয়া যাবে না। খেলার কোনো জায়গা নেই। সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনিশ্চয়তার চেয়ে একরকম লকডাউন সহজ করে দেয় সবকিছু। যাঁরা সন্তাকে বাইরে যেতে না দেওয়াকে কঠিন ভাবছিলেন এবং যাঁরা একে হালকাভাবে নিচ্ছিলেন, তাঁদের জন্য এটা ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।
বিশ্বজুড়ে ক্যাথরিন উইলসনের মতো অনেক মা-বাবা আছেন, যাঁরা সন্তানকে বাইরে যেতে দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। সন্তানের জন্য খেলার সময় বা সামাজিকতার নিয়ম কী হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ সবার মধ্যেই। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকেও মানুষের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা সবখানে লকডাউন করা হয়নি। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিকভাবে দূরত্ব রাখা জরুরি।
ম্যারিল্যান্ডের জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক কেরি অ্যালথপ বলেছেন, প্রত্যেকের সামাজিক দূরত্ব রাখা প্রয়োজন। বয়স্ক ও শিশুর প্রত্যেকের দুই মিটার (ছয় ফুট) দূরত্ব রাখতে হবে। এর অর্থ বাস্কেটবল বা ফুটবলের মতো খেলাও এখন নিরাপদ নয়।
কম সংস্পর্শে আসা লাগে—এমন খেলা যেমন টেনিস বা লুকোচুরি খেলা শিশুরা খেলতে পারে। তবে বড়দের খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশুরা পরস্পরের খুব কাছে না আসে।
অধ্যাপক অ্যালথপ বলেন, খেলার মাঠে কেউ দূরে থাকে না। তাই খেলার মাঠ যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কোনো মাঠের পৃষ্ঠে করোনাভাইরাস দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে যেসব জায়গায় বেশি স্পর্শ লাগে, সেখানে না যাওয়াই ভালো।
অ্যালথপ বলেন, শিশুদের করোনাভাইরাসের উপসর্গ বোঝা যায় না বা খুব কম উপসর্গ লক্ষ করা যায়। এর অর্থ, শিশুকে সুস্থ দেখালেও করোনাভাইরাসের বাহক হিসেবে কমিউনিটিতে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। এখন থেকে তাই মা-বাবাকেও নিজেদের জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
যদি ইতালির মতো কমিউনিটি লকডাউন করা না হয়, তবে জনগণের নিজ দায়িত্বে জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলা উচিত। যতটা সম্ভব লোকজনের কাছ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। বেশি করে মা-বাবাকে নিয়মকানুন মানানোর দিকে জোর দিতে হবে। শিশুদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার বিষয়টি পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।
মনে রাখতে হবে, সামাজিক দূরত্ব তৈরি করা মানে এখন সমাজবিরোধী কিছু নয়। বাইরে গিয়ে মেলামেশার চেয়ে অনলাইনে বন্ধু ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাই এখন নিরাপদ।

(Collected)

5

শুধু গণপরিবহনে চলাচলের সময় তাইওয়ানের মানুষ মাস্ক পরছে। ছবি: রয়টার্সকরোনাভাইরাস মহামারিতে পুরো বিশ্ব যখন লড়াই করছে, তখন এর বিরুদ্ধে সফল হওয়ার দৃষ্টান্ত দেখাল তাইওয়ান। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের খুব কাছাকাছি তাইওয়ানের অবস্থান হলেও এখন পর্যন্ত সেখানে মাত্র ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন মাত্র একজন।
সেখানে জীবনযাত্রা একেবারেই স্বাভাবিক। শুধু গণপরিবহনে চলাচলের সময় লোকজনকে মাস্ক পরতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে এই কৌতুহল এখন সর্বত্র যে যেখানে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে কী জাদুবলে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলল তাইওয়ান?
এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে—অতীত থেকে তাইওয়ানের নেওয়া শিক্ষা। ২০০৩ সালে তাইওয়ানের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিচালক সু ইহ-জেনকে সার্সের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল। ওই সময় দেশটিতে সার্স ভাইরাস মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে যে ভয় ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, তার ছিটেফোঁটাও তাইওয়ানে নেই। চীনের খুব কাছে থাকায় ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশ তাইওয়ানকে ‘দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ অঞ্চল হিসেবে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এখানকার সাড়ে আট লাখ মানুষ চীনের মূল ভূখণ্ডে কাজ করেন। একেবারে চীনা নববর্ষের সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা তাইওয়ান বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
অধ্যাপক সু বলেন, ‘২০০৩ সালের শুরুতে তাইওয়ানে কয়েক সপ্তাহে সার্স যেভাবে ছড়িয়েছিল, তার মতোই পরিস্থিতই এখন অনেক দেশে। তারা প্রস্তুত নয়, তাদের অভিজ্ঞতাও নেই।’
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালের ওই সার্স মহামারির পর অধ্যাপক সু তাইওয়ানের পুরো পাবলিক হেলথ সিস্টেম পরিবর্তন করে ফেলেন।করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের খুব কাছাকাছি তাইওয়ানের অবস্থান হলেও এখন পর্যন্ত সেখানে মাত্র ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন মাত্র একজন। ছবি: রয়টার্স
বাকি বিশ্বের জন্য ভালো খবর হচ্ছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে সাড়া দেওয়ার জন্য তাইওয়ান গত তিন মাসে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা অনুসরণ করা। তাইওয়ান রোগের বিস্তারের গতি ও এর প্রভাব কমাতে সক্ষম হয়েছে।
যেভাবে তাইওয়ান সফল হলো
প্রাথমিক স্তরের ভ্রমণের বিধিনিষেধ, আগ্রাসী পরীক্ষা, করোনাভাইরাস রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং কঠোর কোয়ারেন্টিন বা পৃথক্করণ বিধিমালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, জনস্বাস্থ্যের প্রতিক্রিয়ার জন্য পরিষ্কার ব্যবস্থাপনার কাঠামো এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করতে সক্রিয় যোগাযোগও সাহায্য করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে যদিও চীন থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তবু স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাইওয়ান মহামারি মোকাবিলায় পশ্চিমাসহ সব আক্রান্ত দেশের জন্য আরও ভালো মডেল হতে পারে।
সংক্রামক রোগের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ এবং সেন্ট্রাল এপিডেমিক কমান্ড সেন্টারে বিশেষজ্ঞের পরামর্শদাতা প্যানেলের আহ্বায়ক চ্যাং শান-চয়েন বলেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া সাফল্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ স্বচ্ছতা। চীনের মতো স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় প্রতি নাগরিককে বাড়িতে থাকতে বললে তারা তা পালন করবে। কিন্তু মুক্ত ও গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় তা সহজে অর্জন করা যায় না।’
সুনির্দিষ্ট কৌশল
স্ট্যানফোর্ড হেলথ পলিসির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সার্স ভাইরাসের সময় গৃহীত সুনির্দিষ্ট কৌশল ও পরিকল্পনামাফিক শুরুতেই গৃহীত ব্যবস্থাকেই তাইওয়ানের সফলতার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া যায়। সার্স আক্রমণের পর তাইওয়ানের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল হেলথ কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়। এর একটি বিশেষ শাখাকে বড় ধরনের মহামারির সময় কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে তার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটি সরাসরি, স্বচ্ছ যোগাযোগের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড পোস্ট হিসেবে কাজ করে। এটি করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা ও কোয়ারেন্টিনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। তাইওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সেন্টার এপিডেমিক কমান্ড সেন্টার (সিইসিসি) সক্রিয় করে গত ২০ জানুয়ারিতে। এতে ইতিমধ্যে বিদ্যমান নীতি ও কৌশল কার্যকর করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে। গত দুই মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নেতৃত্বে দ্রুততার সঙ্গে সিইসিসি ১২৪টি কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এ কার্যক্রমগুলোর মধ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম একাধিক সংস্থার সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে ছিল আকাশপথ ও সমুদ্রপথে সীমানা নিয়ন্ত্রণ, করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণ, সন্দেহভাজন রোগীকে কোয়ারেন্টিন করা, বরাদ্দ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, দৈনিক সংবাদ ব্রিফিং, ভুয়া তথ্য শনাক্তকরণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা ও পরিবারের জন্য অর্থনীতি নীতিমালা ঠিক করা।অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে শুরুতেই যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তাইওয়ানে সংক্রমণের হার কম। ছবি: রয়টার্স
বিগ ডেটা ও প্রযুক্তি
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বিগ ডেটা এবং প্রযুক্তি সংযুক্ত করে তাইওয়ান সরকারের পক্ষে প্রচুর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এক দিনেই তাইওয়ান সরকার ন্যাশনাল হেলথ ইনস্যুরেন্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইমিগ্রেশন এজেন্সির কাছ থেকে যাত্রীদের ১৪ দিনের ভ্রমণের তথ্য বের করে। এখান থেকে রোগী শনাক্ত করার কাজ করে। এ ছাড়া নাগরিকদের বাড়ির নিবন্ধন পদ্ধতি ও বিদেশিদের আগমনসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে ঝুঁকিপূর্ণ রোগী শনাক্ত করে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের শনাক্তের পর কোয়ারেন্টিন ও তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থাও করে তাইওয়ান সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নির্ধারণ করা এবং বাজারে মাস্কের সরবরাহের বিষয়টিও লাইভ ম্যাপের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।
তথ্য দেওয়ায় স্বচ্ছতা
দৈনিক সংবাদ ব্রিফিং ছাড়াও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিয়মিত সম্ভাব্য সব অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে ভ্রমণ, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুপারিশসহ নানা ঝুঁকি সম্পর্কে জনগণের সামনে ঘোষণা নিয়ে হাজির হন। পাবলিক ও প্রাইভেট খাত থেকেও সরকারকে নানা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। কার্যত, প্রতিটি দোকান, রেস্তোরাঁ অফিস ভবনে ঢোকার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করা হয়। এর বাইরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সম্পদ বরাদ্দ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতেই সরকারের পক্ষ থেকে রপ্তানি বন্ধ করে উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়। তহবিল বরাদ্দের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের উৎপাদন কাজে জোর দিতে বলা হয়। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই তাইওয়ান ৪ কোটি ৪০ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৯ লাখ এন ৯৫ মাস্ক মজুত করে। এ ছাড়া আইসোলেশন রুমও ঠিক করে রাখা হয়।
শিক্ষা ও প্রস্তুতি
ইতালি, ইরান, ফ্রান্স, স্পেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী সরকারগুলো তাদের বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার জন্য সমালোচিত হচ্ছে। অনেক দেশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু তাইওয়ান সে ভুল করেনি। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে শুরুতেই যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তাইওয়ানে সংক্রমণের হার কম।


(Collected)

7
চাকরিজীবীদের একটি সাধারণ সমস্যা হলো কর্মক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত উন্নতির দেখা না পাওয়া। এটি হতে পারে কাঙ্ক্ষিত বেতন বৃদ্ধি না হওয়া, প্রমোশন না পাওয়া, গ্রেড বৃদ্ধি না হওয়া ইত্যাদি। চাকরিতে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই ভালো কাজ জানতে হবে। কাজের প্রতি আন্তরিকতা থাকতে হবে। আর আপনাকে অবশ্যই বিচক্ষণ হতে হবে।
ধরুন, আপনি চাকরি বদলের কথা ভাবছেন। শুধু বেতন বেশি হলেই যে অন্য চাকরিটি আপনার জন্য ভালো হবে, এমনটা নাও হতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে যদি আপনার জন্য ভালো চাকরির সুযোগ আসে, তাহলেই চাকরি পরিবর্তন করুন। আবার ঘন ঘন চাকরি বদলকেও নিয়োগকর্তারা ভালো চোখে দেখেন না। তাই আপনি কখন চাকরি পরিবর্তন করবেন, তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। চাকরিতে ভালো করতে হলে নিচের আটটি বিষয় মাথায় রাখুন

১. স্মার্ট কাজ করুন
কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, তবে তা স্মার্টভাবে। ধরুন, দেয়াল ধাক্কানো একটি কঠোর পরিশ্রমের কাজ। কিন্তু এই দেয়াল ধাক্কানোর কাজ করে কোনো ফল পাওয়া যায় না। একইভাবে আপনি হয়তো অফিসের পুরো সময়ে মনোযোগসহকারে অনেক কাজ করছেন, কিন্তু তা প্রতিষ্ঠানের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে না। ফলে কাজ করেও কর্মমূল্যায়নের সময় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না। তাই স্মার্টভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করুন। নির্দিষ্ট সময় পরপর সিনিয়রদের সঙ্গে আপনার কাজ নিয়ে কথা বলে তাঁদের চাহিদা বুঝুন এবং সে অনুযায়ী কাজ জমা দিন। এতে আপনার কাজ সম্পর্কে সিনিয়ররা আরও ভালোভাবে অবগত থাকবেন এবং আপনার কাজের সঠিক মূল্যায়ন করবেন।
২. পাঁচ বছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করুন
আগামী পাঁচ বছর পর নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান, তা নির্ধারণ করুন। এরপর এই পাঁচ বছর সময়কালকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করুন। ধরুন, প্রতিবছরের জন্য একেকটি ধাপ নির্ধারণ করে তা অর্জনের চেষ্টা করুন। নিজের সঙ্গে নিজের ভালো বোঝাপড়া তৈরি করুন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ধাপ অতিক্রম করতে না পারলে কৌশল পরিবর্তন করুন। প্রয়োজনে ভালো সুযোগ দেখে চাকরি বদল করুন।

৩. প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখুন, প্রয়োজনে কোর্স করুন
আপনি যদি ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখতে হবে। সব সময় আপডেটেড থাকতে হবে। নতুন জিনিস শেখার ক্ষেত্রে কোনো ট্রেনিং সেশনে অংশগ্রহণ করা যায় অথবা অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ ও ইউটিউব থেকে শেখা যায়। তা ছাড়া বিভিন্ন অনলাইন কোর্সও করা যায়। আবার ধরুন, আপনার এমবিএ করা নেই। কিন্তু আপনি মনে করছেন এমবিএ করা থাকলে আপনার ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে সুবিধা হবে। সে ক্ষেত্রে সন্ধাকালীন এমবিএ করে নিন। প্রয়োজনমতো অন্যান্য কোর্সও করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, আপনি যদি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে না পারেন, তাহলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন।
৪. পরিচিত লোকের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করুন
আপনার ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করুন। আপনার আগ্রহ ও কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন সম্মেলনে বা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনেকের সঙ্গে পরিচিত হওয়া ও ভাবের আদান-প্রদানের সুযোগ নিন। তা ছাড়া আপনার ইন্ডাস্ট্রির কোনো অ্যাসোসিয়েশন থাকলে সেখানে যুক্ত হতে পারেন। বিভিন্ন মহলের মানুষদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।

৫. আস্থা অর্জন করুন ও কাজের দায়িত্ব নিন
সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করে আপনাকে সবার আস্থাভাজন হতে হবে। আপনার ওপর আস্থা রাখা না গেলে আপনি বড় কাজের দায়িত্ব পাবেন না। আর বড় কাজের দায়িত্ব না পেলে বড় পদ বা বেশি বেতন কোনোটাই পাবেন না। তাই সততার সঙ্গে কাজের দায়িত্ব নিন। নির্ভুলভাবে কাজ করার চেষ্টা করুন। ভুল হলে তা স্বীকার করুন।

৬. পরামর্শদাতা নির্বাচন করুন
কাজ করতে গিয়ে অনেকেই অনেক সময় দিশেহারা হয়ে পড়েন। আবার অনেকের কাছ থেকে অনেক রকম পরামর্শ শুনে হতে হয় বিভ্রান্ত। তাই নিজের পরামর্শদাতা নিজেই নির্বাচন করুন। এমন পরামর্শদাতা নির্বাচন করুন যাঁর অভিজ্ঞতা আছে, আপনাকে শেখানো মনোভাব আছে এবং আপনি যে ক্ষেত্রে সফল হতে চান, তিনি ইতিমধ্যে সে ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। যদি আপনার বিভাগের বস আপনার মেন্টর বা সেই কাঙ্ক্ষিত পরামর্শদাতা হন, তাহলে আপনি ভাগ্যবান। আর যদি তেমনটি না হয়, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের ভেতরের বা বাইরের অন্য কেউও হতে পারেন আপনার পরামর্শদাতা।
৭. সফট স্কিল ও হস্তান্তরযোগ্য স্কিলের চর্চা
আপনি হয়তো সারা জীবন একই প্রতিষ্ঠানে বা একই রকম মানুষের সঙ্গে কাজ করবেন না। নিজেকে এমনভাবে তৈরি করুন, যেন যেকোনো পরিবেশে এবং যেকোনো মানুষের সঙ্গে আপনি ভালোভাবে কাজ করতে পারেন। নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সফট স্কিল ও হস্তান্তরযোগ্য স্কিলের চর্চা করুন।
সফট স্কিল ও হস্তান্তরযোগ্য স্কিলের উদাহরণ হলো যোগাযোগ দক্ষতা, দলগত কাজের দক্ষতা, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, সৃজনশীলতা, চাপের মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা, সময় ব্যবস্থাপনা, নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা, কাজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব ইত্যাদি। আর চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় নিজেকে তৈরি রাখুন।
৮. কাজকে ভালোবাসুন
কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। আপনার নিজের প্রতিষ্ঠান হলে যেমন প্রচেষ্টা ও উদ্যম নিয়ে কাজ করে তা সফল করতে চাইতেন, ঠিক তেমনি আপনার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য একইভাবে প্রচেষ্টা ও উদ্যম নিয়ে কাজ করুন। সময়ের কাজ সময়ে করার মানসিকতা তৈরি করুন। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা করুন।

(Collected)

8
 
 সফট স্কিল মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে আস্থা বাড়াতে এবং দলগতভাবে কাজ করতে দারুণভাবে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীতসফট স্কিল মানুষের এমন কিছু চারিত্রিক ও ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য, যা অন্যের সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করতে বা মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষকে কাজ করতে শেখায়। এই দক্ষতাগুলো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে, আস্থা বাড়াতে এবং দলগতভাবে কাজ করতে দারুণভাবে সাহায্য করে।

পাঠ্যবই পড়ে অনেক সফট স্কিলই তৈরি করা সম্ভব নয়। সফট স্কিল বৃদ্ধি করতে চাইলে আগে জানতে হবে সফট স্কিল কী। তারপর সচেতনভাবে চর্চা করতে থাকলে সহজাতভাবেই নিজের সফট স্কিলগুলো বৃদ্ধি পাবে। ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে চাইলে বেশ কিছু সফট স্কিল অবশ্যই থাকতে হয়। নিয়োগকারীরা কর্মী নিয়োগের সময় একজন চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে আশা করেন—এমন ৬টি প্রধান সফট স্কিল নিচে উপস্থাপন করা হলো:
১. যোগাযোগ
যোগাযোগ দক্ষতা প্রতিটি কাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাকরিই করেন বা উদ্যোক্তাই হোন, আপনাকে গ্রাহক, ক্রেতা, বিক্রেতা, অন্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন, সহকর্মী, নিয়োগকর্তাসহ আরও অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগের প্রয়োজন হয়। মৌখিক ও লিখিত—দুই ধরনের যোগাযোগেই ভালো হতে হবে। এখন ই–মেইল ও এসএমএসের মাধ্যমেও অনেক লিখিত যোগাযোগ করতে হয়।
মনে রাখতে হবে ভালো যোগাযোগ রক্ষার্থে আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো শ্রোতাও হতে হবে। গ্রাহকসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তা বিশেষভাবে কাজে লাগে। প্রত্যেক নিয়োগকারীই চান তাঁর প্রতিষ্ঠানে এমন কর্মী নিয়োগ দিতে, যাঁরা সবার সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন। আপনি যে উদেশ্যে যোগাযোগ করছেন, তা পূরণ হলেই বলা যাবে আপনার যোগাযোগ ক্ষমতা ভালো।
২. দলগত কাজ
দলগত কাজের মাধ্যমে একটি দলের প্রত্যেক সদস্যের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিশ্চিত করে সম্মিলিতভাবে ভালো ফল নিশ্চিত করা সম্ভব। দলে কোনো দুর্বল সদস্য থাকলেও দলগতভাবে কাজ করে তাঁদের কাজ শিখিয়ে নেওয়া যায় এবং তাঁদের সেরা কাজটি বের করে নেওয়া যায়। কাজের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করতে পারলে দলের সবাই উৎসাহ নিয়ে কাজ করেন। তাই প্রতিষ্ঠানের উন্নতির লক্ষ্যে দলগতভাবে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
৩. নেতৃত্বদানের ক্ষমতা
কর্মজীবনের প্রথম দিন থেকেই আপনি পুরো দলের বা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন, তা আশা না করা হলেও নিয়োগকারীরা অবশ্যই যাচাই করতে চান যে আপনি ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দান করতে পারবেন কি না। যদি আপনি নেতৃত্বদানের ক্ষমতা তৈরি করতে না পারেন, তাহলে আপনি কোনো দল চালাতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিষ্ঠানের উঁচু পদে বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে রাখা হবে না। তাই কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে চাইলে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা তৈরি করুন।
৪. সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা
আপনার প্রতিষ্ঠানে কোনো সমস্যা বা সংকট তৈরি হলে শুধু সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সঙ্গে সম্ভাব্য কিছু সমাধানের কথাও জানান। এতে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বহুগুণ। তাই নিজের জ্ঞান বাড়াতে হবে, ভাবতে হবে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে হবে ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর আপনার কাজের মধ্যে সৃজনশীলতা না থাকলে শুধু গতানুগতিক কাজের মাধ্যমে আপনি অন্য সবার থেকে নিজেকে শ্রেষ্ঠভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন না।
৫. চাপের মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা ও সময় ব্যবস্থাপনা
আপনি যে প্রতিষ্ঠানেই কাজ করুন না কেন, আপনার কাজের চাপ থাকবেই। এটাই বাস্তবতা। আর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও এই দক্ষতাগুলো চাওয়া হয়। আপনাকে একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে হবে এবং প্রতিটি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। যদি আপনি সব কাজ সামাল দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিতে না পারেন, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে ক্ষেত্রে উন্নতি তো দূরের কথা, চাকরিতে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ভাবতে হবে, আপনি এখন যে কাজটি যত সময় নিয়ে করছেন, তা আরও কম সময়ে দক্ষতার সঙ্গে কীভাবে করা যায়। প্রয়োজনে অন্যের পরামর্শ নিন। একসঙ্গে একাধিক কাজ আসলে কোনো কাজটি আগে করবেন, তা ঊর্ধ্বতনের কাছে জেনে নিন। কাজের অগ্রাধিকার বুঝতে শিখুন।
৬. খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা ও ইতিবাচক মনোভাব
ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে চাইলে আপনাকে যে ধরনের প্রতিষ্ঠানেই কাজ করতে দেওয়া হোক না কেন, যে কাজের দায়িত্বই দেওয়া হোক না কেন বা যে কর্মপরিবেশেই কাজ করতে দেওয়া হোক না কেন, তার সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। নতুনকে স্বাগত জানাতে হবে।
পৃথিবী দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই টিকে থাকতে হলে এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকেও পরিবর্তিত ও উন্নত করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। সবার সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
সততা ও নৈতিকতা বজায় না রাখলে আপনি কারও আস্থা অর্জন করতে পারবেন না। আর আস্থা অর্জন ছাড়া উন্নতি অসম্ভব।

(Collected)


9
Thanks

10
Store Management / Sample Tender Notice
« on: July 06, 2019, 04:52:02 PM »
November 01, 2017
Daffodil International University (DIU)
TENDER NOTICE

Purchase of Sub-Station for Electrical Works
Sealed tenders (in BDT) are invited on urgent basis from reputed and financially sound manufacturer/ authorized dealers having their own office for supply, Installation and commissioning of a brand new international standard Sub-Station for Electrical Works of 3150 KVA.
Description   Qty - 1.
Supply, Installation and commissioning of an international standard (Origin: Any country of Europe / Japan / USA) brand new 3150 KVA Sub-Station for Electrical Works (Complete Package) with earth work etc. Complete with 03 (Three) years comprehensive warranty.

01. Tender Schedule can be collected from office of the undersigned with a BOQ on or before November 09, 2017 which will fulfil the criteria of required BOQ details. The tender documents should contain detailed information, terms and conditions/specifications and evaluation criteria etc.
02. Bidding Procedure will be Single Stage-Two Envelope. The bid shall comprise of a single package containing two separate envelopes. Each envelope shall contain separately the financial proposal and technical proposal. Each envelope shall be marked as “Financial Proposal” and “Technical Proposal” in bold letters to avoid any confusion.
03. Sealed bids are required to be delivered to the officer of the undersigned on or before 04:00pm, November 15, 2017
04. The authority reserves the right to extend the opening date of the bids, cancel/reject any or all bids or proposal at any time prior to the acceptance of a bid or proposal.

Md. Mustafa Kamal
Deputy Director, Store Management
Daffodil International University (DIU)
4/2 Sobhanbag (DT-05), 
Mirpur Road, Dhanmondi, Dhaka -1207
Telephone: 9116774, 8130864, 81294177 (Ext. 358).

11
Store Management / Supply Chain Management (SCM)
« on: June 05, 2018, 03:25:52 PM »
What is Supply Chain Management (SCM)?

Supply chain management (SCM) is the active management of supply chain activities to maximize customer value and achieve a sustainable competitive advantage. It represents a conscious effort by the supply chain firms to develop and run supply chains in the most effective & efficient ways possible. Supply chain activities cover everything from product development, sourcing, production, and logistics, as well as the information systems needed to coordinate these activities.

The concept of Supply Chain Management (SCM) is based on two core ideas:

1.The first is that practically every product that reaches an end user represents the cumulative effort of multiple organizations. These organizations are referred to collectively as the supply chain.
2.The second idea is that while supply chains have existed for a long time, most organizations have only paid attention to what was happening within their “four walls.” Few businesses understood, much less managed, the entire chain of activities that ultimately delivered products to the final customer. The result was disjointed and often ineffective supply chains.

The organizations that make up the supply chain are “linked” together through physical flows and information flows.

Physical Flows

Physical flows involve the transformation, movement, and storage of goods and materials. They are the most visible piece of the supply chain. But just as important are information flows.
Information Flows

Information flows allow the various supply chain partners to coordinate their long-term plans, and to control the day-to-day flow of goods and materials up and down the supply chain.

Functions

Supply chain management is a cross-functional approach that includes managing the movement of raw materials into an organization, certain aspects of the internal processing of materials into finished goods, and the movement of finished goods out of the organization and toward the end consumer. As organizations strive to focus on core competencies and become more flexible, they reduce their ownership of raw materials sources and distribution channels. These functions are increasingly being outsourced to other firms that can perform the activities better or more cost effectively. The effect is to increase the number of organizations involved in satisfying customer demand, while reducing managerial control of daily logistics operations. Less control and more supply chain partners lead to the creation of the concept of supply chain management. The purpose of supply chain management is to improve trust and collaboration among supply chain partners thus improving inventory visibility and the velocity of inventory movement.

Benefits

•   It helps the organization to manage their supply chain process in a dynamic environment.
•   SCMS process helps suppliers, customers, and business partners connect with each other to manage supply chain process effectively and efficiently.
•   It helps organizations to accelerate and optimize end-to-end procure-to-pay process.
•   SCMS allows an organization to integrate their processes and enforce contract compliance for supply-side and supplier-side requirements throughout using supply chain processes in distributed environment.
•   It will cover the key processes- Supply Chain networking, supply chain planning and coordination, and supply chain execution.
•   Reduce accounts receivable collections with better visibility into the AR process, aging, and extension of credit and consequently, help to reduce the day’s sales outstanding.
•   Effectively use Net Fixed assets NFA like plants and equipment.
•   To meet customer demands, you can smartly plan and manage Supply Chain Management process in an organization.
•   Proper inventory optimization, order fulfillment, and shipping of the goods.
•   Distribution of the key information to all the stakeholders spread across the network.
•   Improve communication and collaboration between different business lines to manage demand and supply process in an organization.

(Collected)

12
Job Distribution List of Store Management Office Personnel


Md. Mustafa Kamal
Deputy Director
Store Management
pmkamal@daffodilversity.edu.bd
Cell: 01811458829, Ext- 358   
•   Co-Convener & Member Secretary of Procurement Committee
•   Member Secretary of Purchase Committee
•   Supervision of sub-ordinate officials activities
•   Supervision of Fixed Asset Management
•   Purchase & Procurement :
1) Overall supervision of regular& Special purchase activities
2)Purchase of Lab equipment & Furniture Items

Mostaq Ahmed
Senior Assistant Director
Store Management
mostaq@daffodilvarsity.edu.bd
Cell: 01713493073, Ext- 362   
•   Member of Scrap Selling Committee
•   Providing Convocation Gown Clearance
•   Purchase & Procurement :
1)   Purchase of General Inventory Items i.e. Stationary, Publications, Electrical, Sanitary & Gift items
•   Issue Online Requisition
•   Checking & Reporting on General Inventory Store Items

Mohammad Shahidur Rahman
Senior Officer
Store Management
shahidur@daffodilvarsity.edu.bd
Cell: 01847140166, Ext- 361   
•   Preparing Bills
•   Stock Entry
•   Entry Inventory items online
•   Issue online requisition in absence of Sr. AD, Store
•   Selecting Scrap goods
•   Selling Students ID Ribbon & Holder

Md. Monir Hossain Mozumder
Administrative Officer
Store Management
monir@daffodilvarsity.edu.bd
Cell: 01713493180, Ext- 361   
•   Execution of General Inventory item purchase
•   Receiving goods & checking quality & quantity
•   Receiving bill & challan from vendors
•   Maintain out going register
•   Quotation collection
•   Checking BIN Card entry

SyeedEmam Sharif
Assistant Administrative Officer
Store Management
syeed@daffodilvarsity.edu.bd
Cell: 01847140167, Ext- 361   
•   Fixed Asset Management
•   Monitoring Code Numbering on Fixed Assets
•   Ensuring Reuse of Old AC & Furniture
•   Monitoring Furniture & Fixture Repairing
•   Preparing Comparative Cost Statement


13
Store Management / Depreciating Fixed Assets
« on: May 09, 2016, 03:47:45 PM »

With the exception of Land and Rare Works, all Fixed Assets are depreciated using the straight-line method over the useful life of the appropriate asset class.

The following table summarizes the estimated useful lives for the DIU’s depreciable asset types:

Asset Type   Estimated Useful Life
Buildings   80 years
Improvements   Life of original asset (min 20 years)
Leasehold Improvements   Life of lease (max 15 years)
Furniture and Equipment   5-10 years
Vehicles   5-10 years
Computers   5 years
Library Books   10 years

These are general guidelines for asset classes and are considered by Financial Operations when assigning a useful life to a specific asset. Individual circumstances may warrant a deviation from the standard useful life of an asset.

Depreciation of Fixed Assets commences when the item is placed in service or is available for use.

Evaluation for Impairments

DIU management determines if there has been a triggering event that would cause impairment to any Fixed Assets under their supervision. The following are examples of events that may require an adjustment as an impairment or disposal of Fixed Assets:

•   A significant decrease in the market price of a long-lived asset

•   A significant adverse change in the extent or manner in which a long-lived asset is being used or in its physical condition

•   A significant adverse change in legal factors or in the business climate that could affect the value of a long-lived asset, including an adverse action or assessment by a regulator

•   An accumulation of costs significantly in excess of the amount originally expected for the acquisition or construction of a long-lived asset
•   A current-period operating or cash flow loss combined with a history of operating cash flow losses or a projection or forecast that demonstrates continuing losses associated with the use of a long-lived asset

•   A current expectation that, more likely than not, a long-lived asset will be sold or otherwise disposed of significantly before the end of its previously estimated useful life

If impairment is determined to exist, the Assistant Director/Deputy Director in Financial Operations should be contacted in order to reflect the impairment on the DIU’s books (in consultation with the Director, as necessary). Disposals should follow the disposal procedures noted below.

14
Store Management / Inventory Transaction Records
« on: May 02, 2016, 03:53:02 PM »

Inventory transaction records-Bin Cards Stores Records in the means by which the management can have a control over the stores department.
It is necessary to maintain the inventory transaction records so as to information which checking the physical quantities.
Four Well-known Stock records format are:
• Bin Cards
• Stores Ledger
• Kardex Cards
• Computer ledger
THE BIN CARD:
The bin card provides the current records of the receipts ,issues and the balance of materials in the simplest form. It gives very quick idea of the particular type of material binned in the card .
Bin card is either attached to every bin or kept in a folder at a convenient location. An entry is made at the time of each receipt and issue and a fresh stock balance is extracted.
Salient Features of Bin Cards:
* Maintained by stores keeper to record all the material received, issued and the balance material.
* Each and every transaction is individually posted.
* Posting of cards is carried out prior to occurrence of transaction.
* It is quantity record for reference.
However the bin cards don’t consider the value of materials.
And also these cards are susceptible to planned mischief, malpractices and thefts.
This is very simple to use and must be printed on a thick sheet of paper as this card is to be used again and again for recording the entries .This card is suitable where records in terms of quantity of received issued and balance is to be tracked.

15
Store Management / Fixed Assets Management
« on: April 21, 2016, 04:09:19 PM »
This policy applies to faculty and staff with responsibility for purchasing, maintaining or disposing of Fixed Assets, including Department Chairs, Department Heads, and Principal Investigators, as well as central administrative offices.

It is necessary for DIU to safeguard and maintain its Fixed Assets in order to receive the maximum benefit from those assets, to comply with DIU’s requirements regarding the use and disposition of Fixed Assets, and to properly account for its Fixed Assets for financial reporting purposes.

Acquiring and Financing Fixed Assets

The University capitalizes purchases of tangible personal property with a useful life greater than five years. Property not meeting these requirements will not be recorded in Banner as a Fixed Asset and will be expended in the current accounting period (with the exception of library books which are capitalized as a group each year). All capital equipment must be identified with a fixed asset tag, which is provided by Financial Operations upon completion of a Fixed Asset Inventory Sheet.

Major renovation projects are tracked in Banner by the use of a designated fund (for multi-year projects). All completed projects over Tk. 40,00,000/- will be capitalized as a project, as opposed to individual assets (equipment, furniture, etc.). Items purchased after the project has been capitalized are considered individually for capitalization. At year-end, any incomplete projects above the capitalization threshold (or expected to be above the threshold when completed) are added to the Construction in Progress Fixed Asset account. Projects not meeting this threshold will be expended.

The basis for accounting for property, plant and equipment is cost. All normal expenditures incurred in preparing an asset for its intended use are part of its cost. The following information provides examples of specific costs for individual categories of assets:

•   Tangible personal property – Tangible personal property includes furniture, equipment and vehicles, as well as computers, library books and the DIU’s rare works collection.


o Furniture and furnishings include such items as desks, workstations, cabinetry, safes, tables, showcases and other fixtures

o Equipment includes construction equipment and maintenance equipment such as lawnmowers, snow blowers, power tools, generators, machine shop equipment and custodial equipment in addition to items such as printers, copiers, video, audio, telephone, scientific, clinical and laboratory equipment

o Vehicles include cars, vans, trucks and any other maintenance vehicles on campus.

o   Computers include hardware, software, infrastructure and peripherals


o   Library includes books, periodicals, standing orders and journals. Library books and periodicals are capitalized as a group at their purchase price plus transportation and any incidental costs

o   Rare works include works of art, historical treasures and similar assets defined as “collections.” Rare works are carried at the fair value of the collection items at the date of the gift and are not depreciated. The University uses the proceeds from sales of collection items (if any) to acquire other collection items.

The cost of tangible personal property should include the following:
o   Invoice price
o   Transportation
o   Installation
o   In-transit insurance
o   Other costs associated with modifications, attachments, etc. to make property usable for its intended purpose

•   Land and land improvements – A purchase involving the acquisition of both land and buildings requires that the cost be allocated between the assets. Land improvements (including infrastructure) are physical changes to land that increase the utility of the land, including – landscaping, paving, roads, curbing, sidewalks, fences, retaining walls, drainage facilities, running tracks, basketball courts, artificial turf, parking lots, outdoor lighting and utility distribution systems.

The cost of land and land improvements should include the following:
o   Purchase price
o Appraisals

o Professional services
o Title insurance

o Title searches
o Broker’s fees
o Closing costs

o   Other costs to prepare land for its intended use (razing and removal and other improvements/landscaping if used as a building site)

•   Buildings and improvements – Buildings are structures erected to stand more or less permanently and are designed for human use and occupancy or as shelter for animals or goods. Each structure is comprised of components such as framing, interior finish, roof structure and cover, and building service systems (plumbing, sewerage, HVAC, lighting, power, elevators, fire protection, public address systems, emergency power systems, etc.) which are included in the asset cost.
Building improvements represent improvements or enhancements which extend the useful life of the building. This includes additions, roof replacement, installation of elevators, replacement of HVAC systems, installation of fire protection systems, replacement of plumbing and wiring, and other major renovations. Work to maintain
Buildings and building improvements in existing condition, such as painting or repairs, should be expended.
•   Leases and leasehold improvements – Each new lease is reviewed in accordance with Generally Accepted Accounting Principles to determine the proper classification as operating or capital. For capital leases, the amount capitalized represents the lesser of the present value of future minimum lease payments or the fair market value of the leased property.
•   The capitalized costs of leasehold improvements are all costs associated with structural alterations, renovation or improvements made by the lessee to leased real property. The elements of the cost of leasehold improvements should follow the methodology used for building improvements.

•   Donated assets – Donated property, plant or equipment that meet the requirements for acceptance and capitalization will be capitalized at the market or appraised value of the donation.
•   Costs that neither significantly add to the permanent value of a property nor prolong its intended useful life are expended. The following types of plant costs are typically expended:

•   Maintenance – costs associated with recurring work required to preserve or restore an asset for its intended use. Maintenance includes work done to prevent damage to a facility (e.g. custodial services, repainting a room, fixing a leaky faucet).

•   Costs below capitalization thresholds – Items below the capitalization thresholds noted above should be expended in the period incurred.

Pages: [1] 2