Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mahade

Pages: [1]
1
ডিমের বাজার এখন বেশ চড়া। অনেক পরিবারেই রোজ তাই সবার খাওয়ার জন্য ডিমের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ডিমের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই আমিষ। শরীরের গঠন আর রোজকার ক্ষয়পূরণের জন্য এই আমিষ খুব জরুরি। ডিমে আরও থাকে কোলিন, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও ভীষণ দরকার। শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানও ডিম থেকে পাওয়া যায়। ডিমের বাজারদর যখন সাধ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তখন অনেক পরিবারেই হয়তো ডিমের পুষ্টির ঘাটতি হচ্ছে। তাই দামের কারণে ডিম খাওয়া যাঁদের সম্ভব হচ্ছে না, তাঁরা এখন কিছু বিকল্প খাবার খেতে পারেন। ডিমের দাম না কমা পর্যন্ত যা আপনার পরিবারের সদস্যদের পুষ্টির জোগান দেবে।

ঢাকার গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেহানা বেগম বলছিলেন, এই সময় নানা রকম ডাল ও বীজ প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখুন। এগুলো আমিষের ভালো উৎস। বিশেষত মসুর ডাল। এটি থেকে আমিষ পাবেন অনেক। কাঁঠালের বীজ, শিমের বীজ কিংবা ঘন ডাল খেতে পারেন। ব্রকলি, মটরশুঁটি ও মিষ্টিকুমড়াতেও আমিষ পাবেন। ডাবলি ও ছোলায়ও বেশ কিছুটা আমিষ আছে, যদিও এগুলোতে শর্করার পরিমাণই বেশি। অঙ্কুরিত ছোলাতে ভিটামিন মিলবে। মাছের মধ্যে যেগুলোর দাম কম, সেগুলোতেও কিন্তু আমিষ রয়েছে পর্যাপ্ত (যেমন তেলাপিয়া, পাঙাশ প্রভৃতি)। মনে রাখবেন, উদ্ভিজ্জ উৎসের চেয়ে প্রাণিজ উৎস (যেমন দুধ, ডিম, মাছ, মাংস) থেকে পাওয়া আমিষ গুণগত মানে অনেক এগিয়ে। মাশরুমও কিন্তু আমিষের দারুণ উৎস। খাবারে মাশরুম যোগ করুন। স্বাদেও ভিন্নতা আসবে।

উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যে সয়াবিনে ভালো আমিষ থাকে। সয়া বড়ি, সয়া দুধ, সয়া বিস্কুট—নানা কিছুই খেতে পারেন। টফুও সয়াবিন থেকেই তৈরি হয়, যা বেশ সুস্বাদু। টফু সবজির সঙ্গে খেতে পারেন, শিশুদের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো করে ভেজেও দিতে পারেন। তবে অতিমাত্রায় সয়াপণ্য না খাওয়াই ভালো। সারা দিনে বড়রা সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম ও শিশুরা সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম সয়াপণ্য খেতে পারবে।

উদ্ভিজ্জ উৎসের যেকোনো একটি উপকরণের আমিষে মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে না। তাই প্রতিদিন কয়েক রকম উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আমিষ গ্রহণ করলে অনেক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডই পেয়ে যাবেন। যেমন খিচুড়ি বা হালিমের মতো খাবার এই সময়ে খেতে পারেন। কেবল চাল আর ডালের কিংবা কেবল নানা রকম ডালের মিশেলেও পাবেন নানা রকম অ্যামিনো অ্যাসিড। মিশ্র বাদাম খাওয়াও ভালো। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চীনাবাদাম যোগ করতে পারেন।

তবে একটা বিষয় বিবেচনায় রাখবেন, তা হলো অন্য উপাদানগুলো বিকল্প উৎস থেকে পেলেও উৎকৃষ্ট আমিষ আর কোলিনের জন্য ডিমের বিকল্প পাওয়া একটু মুশকিল। তাই পরিবারে যদি শিশু, গর্ভবতী নারী ও স্তন্যদায়ী মা থাকেন, তাঁদের জন্য অন্তত ডিমের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজনে পরিবারের অন্যান্য খরচ কিছুটা কমিয়ে হলেও এই মানুষগুলোর জন্য রোজ ডিমের জোগান দিতে চেষ্টা করুন।

2
করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা
করোনাভাইরাসের নানা ধরন রয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস তেমনই একটি ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণের বা কোভিড-১৯ রোগের কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর লক্ষণ প্রকাশে সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কোভিড-১৯-এর লক্ষণগুলো হলো:
■ শুকনো কাশির সঙ্গে জ্বর
■ শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা।
■ মাংসপেশিতে ব্যথা থাকতে পারে
এ ক্ষেত্রে সংক্রমণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে। এরপর শুকনো কাশি হতে পারে, যার এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঝুঁকিতে যারা:
যেকোনো ফ্লু–জাতীয় রোগে আনুষঙ্গিক রোগ যেমন কিডনি, হার্ট বা লিভার ফেইলিউর, আগে থেকেই অসুস্থ বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে এবং গর্ভবতী নারীরা ঝুঁকিতে থাকেন বেশি। নতুন করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। এ ক্ষেত্রে প্রবীণদের মৃত্যুর হার বেশি। শিশুদেরও ঝুঁকি কম নয়।
সংক্রমণ ঠেকানোর উপায়
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই:
■ ড্রপলেট ইনফেকশন অর্থাৎ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়। আক্রান্ত, সন্দেহজনক আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো প্রতিরোধ। নিজেকে নিরাপদ রাখতে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত যেকোনো ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন।
■ আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিচর্যাকারীর মুখে বিশেষ মাস্ক পরতে হবে। কখনোই নাক-মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি দেবেন না। ব্যবহৃত টিস্যু বা রুমাল যথাযথ জায়গায় ফেলতে হবে।
■ বারবার সাবান-পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। যেসব বস্তুতে অনেক মানুষের স্পর্শ লাগে, যেমন সিঁড়ির রেলিং, দরজার নব, পানির কল, কম্পিউটারের মাউস বা ফোন, গাড়ির বা রিকশার হাতল ইত্যাদি ধরলে সঙ্গে সঙ্গে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
■ মাছ-মাংস ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
লেখক অধ্যাপক খাজা নাজিমুদ্দিন: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ


3


কলা শুধু যে ‍পুষ্টিকর ফল হিসেবে পরিচিত তা নয়, রোগ নিরাময়েও রয়েছে এর বহুবিধ ব্যবহার। কলা আমাদের সকলের কাছে পছন্দের একটি ফল। সাথে সাথে এটির দাম কম হওয়ায় সকলে কিনে খেতে পারে। আর এই সহজলভ্য কলাটির রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণে ভরপুর। কলা খেয়ে কলার খোসা কি কেউ যত্ন করে রেখে দেয়? দেয় না, বরং আবর্জনা মনে করে ফেলে দেয়। অথচ এই কলার খোসারও রয়েছে নানা রকম উপকারিতা। কলার মোচা, কলা গাছের পাতা এবং শেকড় কোন কিছুই ফেলার নয়। সবই ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায়।

আমরা প্রায় সবাই জানি কলা খাওয়া আমাদের স্বাস্থের জন্য ভালো। কিন্তু কেন ভালো বা এটি কত ভাবে আমাদের উপকার করে থাকে তা না জানার কারনে অনেকেই কলা খাওয়াটাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেই না। কলার উপকারীতাগুলোর মধ্যে বহুল প্রচলিত হলো এটি রক্তচাপ কমায় এবং শক্তিক্ষয় রোধ করে। এই দুটি উপকারীতা ছাড়াও কলার আরও অনেক উপকারীতা রয়েছে। তেমনই কিছু উপকারীতা এখানে তুলে ধরা হলো।

১। চুলকে আরও আকর্ষনীয় করতে
চুল পরিচর্যায় কসমেটিকস এর পরিবর্তে কলা অন্যতম বিকল্প হতে পারে। হেয়ার মাস্ক হিসেবে কলা চুলে ব্যাবহার করতে পারেন। কলায় রয়েছে ভিটামিন বি ও ফলিক অ্যাসিড সহ আরও অনেক পুষ্টিগুন তাই এটি চুলে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। কলার সাথে চুলের সৌন্দর্যবর্ধক অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান যুক্ত করে আপনি আরও ভালো ফলাফল পেতে পারেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন কলা, দুধ এবং মধু। উপাদানগুলো একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর তা চুলে দিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর তা ধুয়ে ফেলুন।

২। দেহে প্রোবায়টিক এর যোগান দিতে 
আমাদের দেহের অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রোবায়টিক গ্রহন করা প্রয়োজন। আর অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধি হওয়া মানেই পুরো দেহেই এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়া। প্রোবায়টিক এর একটি অন্যতম প্রাকিৃতিক উৎস হলো কলা কেননা কলাতে রয়েছে ফ্রুক্টোওলিগোস্যাকারাইড (FOS) যা দেহে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৩। ওজন কমাতে সাহায্য করতে
অধিক ক্যাররির খাবারের বিকল্প হিসেবে কলা খাওয়া হলে তা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া কলা মিষ্টি জাতীয় খাবার হওয়ায় চিনির আকাঙ্খা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে। মাঝারি আকৃতির একটি কলায় মাত্র ১০৫ ক্যালরি থাকে। এছাড়াও কলাতে রয়েছে ক্রোমিয়াম নামক খনিজ পদার্থ, যা বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে।

৪। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
কলা ব্যাবহার করে খুব সহজেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। কলার খোসা ব্যবহার করে সহজেই মুখের দাগ দূর করা যায়। মধুর সঙ্গে কলার খোসা মিশিয়ে মুখে ভালো করে ঘষলে এই দাগ দূর হয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। বিশেষ কোনো উপলক্ষ্যে বা অনুষ্ঠানের আগের রাতে মুখের দাগ দুর করতে চাইলে পুরো মুখে কলা ব্যাবহার করুন এতে ভালো ফলাফল পাবেন। রাতে মুখে দিয়ে এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কলায় রয়েছে ভিটামিন-এ যা মুখের দাগ দুর করে এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন-ই যা ত্বকে আনে তারুন্যের ঝলক।

৫। মাংসের তরকারী আরও‍ সুস্বাদু করতে
কোনো কোনো এলাকায় মাংসকে নরম ও সুস্বাদু করতে রান্নার সময় কলাপাতা দিয়ে পেঁচিয়ে রান্না করা হয়। এই একই ফলাফল আপনি তরকারীতে কলা ব্যাবহার করেও পেতে পারেন। বাজার থেকে কলা কিনে এনেছেন কিন্তু এখনও তা কাঁচাই আছে? চিন্তা কি? মাংসের তরকারিতে কলা দিয়ে রেধে ফেলুন। এতে করে বাড়িতে পড়ে থাকা কাঁচা কলাগুলো যেমন কাজে লাগছে তেমনি তরকারিতে ভিটামিন ও ফাইবার এর পরিমানও অনেক বেড়ে যাবে।

 ৬। দুশ্চিন্তা  দূর করতে
কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও এটি মানসিক চাপ কমায় এবং একই সাথে মানসিক কর্মদক্ষতাও বৃদ্ধি করে। এর কারন হলো এটি কর্টিজল নামক স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রন করে। তাই যেকোনো গুরুত্বপুর্ন বা স্ট্রেসফুল কাজ শুরু করার পুর্বে একটি কলা খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৭। দাঁত সাদা করতে
মিনারেলে ভরপুর কলার খোসা দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করে তুলতে পারে। অনেকেই দাঁত থেকে হলদে ভাবটা কিছুতেই ওঠাতে পারেন না। পাকা কলার খোসার ভেতরের দিকটা দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁত মাজুন। এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। দাঁতের ব্যথা কমাতেও কলার খোসা ভালো কাজ করে।

৮। শারিরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামে শক্তি যোগায়
বড় ধরনের শারিরিক পরিশ্রম এর জন্য প্রয়োজন ভিটামিন-সি। কেননা এটি শরীরের পেশি, লিগামেন্ট ও রগ শক্তিশালী করে তোলে। কলায় প্রচুর পিরমানে ভিটামিন সি রয়েছে। যেহেতু এটি শারিরিক পরিশ্রমে প্রচুর সহায়তা করে, তাই ব্যায়াম করার পূর্বে কলা খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত উপকারী।

৯। পায়ের গোড়ালি পরিচর্যায় সহায়তা করে
পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে এক্ষেত্রে কলা অনেক উপকার করে। শুধু কলা থেঁতলে নিয়ে আপনার পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন। এরপর কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন, যেন তা ধীরে ধীরে চামরার ভেতর প্রবেশ করতে পারে। এখন থেকে আপনাকে আর ফাঁটা গোড়ালী নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

১০। ঘুমের জন্য সহায়ক
রাতে বিছানায় এপাশ ওপাশ করেন কিন্তু ঘুম আসে না? কলা হলো এই সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান। কলা ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড এর খুবই ভালো উৎস। এই ট্রিপটোফেন সেরোটিন নামক হরমোন তৈরিতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে। এই হরমোন মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে, এমনকি মেজাজ খারাপ থাকলে তা-ও ভালো করে দিতে পারে। ঘুমানোর প্রায় এক ঘন্টা আগে একটি কলা খেয়ে নিন যাতে আপনার শরীর তা হজম করে ট্রিপটোফেন তৈরি করতে পারে আর আপনাকে উপহার দিতে পারে আকটি শান্তিময় ঘুম।

১১। চোখের ছানি পড়ার থেকে রক্ষার্থে
চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে কলার খোসা। চুলকানি ও চোখের অবসাদ দূর করতে চোখের ওপর কলার খোসা মেখে নিতে পারেন। কলার খোসায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লুটিন থাকে৷ অতিবেগুনি রশ্মির ছোবল থেকে চোখকে বাঁচায় এই লুটিন৷

১২। মাইগ্রেন দূর করতে
মাথাব্যাথা ও মাইগ্রেন এর ভয়ানক ব্যাথা আপনার সারাটা দিন মাটি করে দিতে পারে। কিন্তু কলা-ই পারে এই অবস্থা প্রতিরোধ করতে। কলায় প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি মাথাব্যাথার প্রকৃতিক নিরাময় হিসেবে কাজ করে। তাই এখন থেকে যে কোনো সময় আপনার মাথা ব্যাথা শুরু হতেচাইলেইচটকরেএকটিকলাখেয়েফেলুন।
এরপর থেকে বাজারে গেলে বা দোকান থেকে কোনো কিছু কিনতে গেলে সাথে কলা কিনতে কখনো ভুলে যাবে না যেন! নিয়মিত কলা খান আর সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।

 

রোগ নিরাময়ে কলার ব্যবহার
কলায় আছে প্রচুর আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই রক্ত শূন্যতার জন্য কলা খুবই উপকারী।
প্রায়ই যাদের মাথা ব্যাথা করে তারা বেশি করে কলা খান। কলা মাথা ব্যাথার তাৎক্ষণিক উপসম করে কিছুটা হলেও। এছাড়াও মানসিক চাপ অনুভূত হলে কলা খেলে মানসিক চাপ কিছুটা কমে।
কলা অ্যান্টাসিডের মত কাজ করে। অর্থাৎ কলা হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা সমস্যা সমাধান করে। এছাড়াও কলা পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে।
একটি পাকা কলা চটকে অল্প পানিতে মিশিয়ে হালকা গরম করে সেটাকে ছেঁকে নিয়ে সেই পানিটা সকাল ও বিকালে কয়েক দিন খেলে শুষ্ক কাশি উপশম হবে। তবে প্রতিদিন নতুন করে তৈরী করতে হবে।
কাঁচাকলা দু-তিনটা খোসাসহ দুই টুকরো করে কেটে অল্প পানিকে সিদ্ধ করে কলার ভর্তা ৪/৫ বার খেলে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইনও খাওয়া যাবে।
প্রসূতির কাঁচা নাড়ী শুকাতে, প্রসবের পর শরীরকে ঝরঝরে করার জন্য কাঁচা কলা পুড়ে ভর্তা করে ভাতের সাথে খেতে হবে।
১টা কাঁচাকলা চাকা চাকা করে কেটে রাত্রে ১ গ্রাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালিপেটে সেই পানি খেলে মাসখানিকের মধ্যে প্রদর রোগ সেরে যাবে।
ধূমপান ছাড়ার জন্য নিয়মিত কলা খান। কলায় থাকা ভিটামিন বি৬, বি১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম শরীর থেকে নিকোটিনের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে
কৃমির জন্য ১ চা-চামচ কলাগাছের শেকড়ের রস সকালে খালি পেটে ১ সপ্তাহ খেতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক ৩-৪ চা-চামচ, কিশোর বয়স্কদের ২ চা-চামচ আর শিশুদের ১ চা-চামচ খাওয়াতে হবে।
 

গলায় ব্যথা, লাল দেখায়, কর্ণমূল পর্যন্ত ব্যাথা, মনে হয় যেন গলায় ঘা হয়েছে, গলার স্বর ভাঙ্গা ভাঙ্গা: এ      ক্ষেত্রে ১টা পাকা কলা ১ কাপ পানি দিয়ে চটকে গরম করে ছেঁকে নিয়ে সকালে এবং নতুন করে তৈরী করে বিকালে খেতে হবে। মাসখানিক খেলেই উপশম হবে।

 

কলাপাতায় রোগ নিরাময়
কানের ব্যাথায়: কলাগাছের মাঝের গোল অর্থাৎ খুলে যায়নি, সেই পাতাকে থেঁতো করতে হবে। রস নিংড়ে নিয়ে একটু গরম করতে হবে। ঐ রস ২ ফোঁটা একবার কানে দিলেই বেদনা কমে যাবে। প্রয়োজনে আবার দিতে হবে।
না-কচি, না-শক্ত বিবর্ণ পাতা অর্থাৎ সবুজ পাতা বেটে বা থেঁথলে ছেঁকে সকালের দিকে আধা কাপ খেতে হবে। নুন, চিনি ইত্যাদি মিশিয়ে খাওয়া চলবে না। কলাপাতায় থাকা ক্লোরোফিল পেটে গেলে অন্ত্রের ঘা, লিউকোমিয়া, চর্মরোগ হয় না। কলাপাতার সবুজ রস রক্ত পরিস্কার করে।
ব্রঙ্কাটিস, নেফাইটিস, রক্তক্ষরণ, জমা সর্দিতে কলাপাতার রস খুবই কার্যকরী। প্লুরিশি, কাশি, ক্ষয়রোগ ও থুথুর সঙ্গে রক্ত পড়লে সবুজ কলাপাতার রস প্রতিদিন ভোরে আধাকাপ পরিমাণ খেলে ভীষণ উপকার হবে।
কচি কলাপাতা বেটে প্রলেপ দিলে কীট দংশন, হুল ফোটা, কাটায় উপকার হবে।
সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, আমাশয়, অম্লগ্যাস, উচ্চ রক্তচাপ, লিভারের দোষ হলে কলাপাতার রস উপকারী।
শরীরের কোথাও ক্ষত, চর্মরোগ হলে কলাপাতার রস ঘষে লাগালে উপকার হয়।

4
 কিউই ফল নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত ফল হলেও ইটালি এবং ফ্রান্সে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়। চীনে এটি জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত।

সালাদে কিউই ফল অধিক ব্যবহার করা হয়। স্বাদে মিষ্টি, রসাল ফলটি ‘পুষ্টির কারখানা’ হিসেবে বিবেচিত। এতে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে।

কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, কিউই ফলে কমলার চেয়ে দ্বিগুণ ভিটামিন রয়েছে। একজন মানুষের দৈনিক যে পরিমাণ ভিটামিন-সি দরকার, তা একটি কিউই ফল খেলেই পূরণ হয়।

যে কয়টি ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে, তার মধ্যে কিউই ফল অন্যতম। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং সম্পৃক্ত চর্বি; যা মানবদেহের জন্য উপকারী।

সাধারণত সর্দি-কাশির মতো রোগ নিরাময় ছাড়াও কিউই ফল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কারণ এতে যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, তা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিউই ফলে যে ক্ষুদ্র পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তা মানবদেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে।

কিউই ফলে প্রচুর আঁশ রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগ রোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

কিউই ফলে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে। ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে, লৌহ রক্তস্বল্পতা রোধ করে এবং মানবদেহের যথাযথ অক্সিজেন প্রবাহে সাহায্য করে, ম্যাগনেসিয়াম দেহে শক্তি প্রদান করে, জিঙ্ক চুল, ত্বক এবং নখ সুস্থ রাখে এবং পটাশিয়াম হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ রোধ করে।    (Collected)

Pages: [1]