Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - akhishipu

Pages: [1] 2 3
1
বিকেলের নাস্তায় চটপটে ঝাল ঝাল কিছু খাওয়া যায় নাকি? সকলেই একবাক্যে বলবেন অবশ্যই। কিন্তু প্রতিদিনের এই বিকেলের নাস্তার চাহিদা পূরণ গৃহিণীদের জন্য বেশ যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব সহজেই কিন্তু সুস্বাদু নাস্তা বানিয়ে নেয়া সম্ভব। আজকে এমনই একটি রেসিপি জেনে নিন। জেনে নিন ‘ব্রেড পটেটো রোল’ তৈরির খুব সহজ রেসিপিটি’।

উপকরণঃ

– ৪ পিস পাউরুটি
– ২ টি মাঝারি আকারের আলু সেদ্ধ করে পিষে নেয়া
– ১/৪ কাপ হার ছাড়া মুরগির মাংস সেদ্ধ করে ছাড়িয়ে নেয়া
– ১ চা চামচ তেল
– ১ টি পেঁয়াজ কুচি
– ১/৪ চা চামচ জিরা
– ১/৪ চা চামচ আদা কুচি/বাটা
– লবন স্বাদমতো
– ১/৮ চা চামচ মরিচগুড়ো
– ১ টি কাঁচা মরিচ কুচি
– তেল ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ

– প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে জিরা গুড়ো দিয়ে দিন এবং ফুটে উঠলে আদাবাটা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে নরম করে নিন। এরপর মুরগির মাংস সেদ্ধ দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এরপর একে একে সব মসলা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে আলু দিয়ে ভালো করে নেড়ে ভাজা ভাজা করে পুর তৈরি করে নিন।
– পাউরুটির টুকরোগুলোর চারপাশের শক্ত অংশ কেটে আলাদা করে রাখুন। এবার একটি ছড়ানো প্লেটে পানি নিয়ে পাউরুটির টুকরো একটু চুবিয়ে সাথে সাথে তুলে ফেলুন এবং হাতের তালুতে রেখে চ্যাপ্টা করে পানি বের করে নিন।
– এবার ঠিক মাঝে পুর দিয়ে পাউরুটির বাকি অংশ দিয়ে ঢেকে দিন এবং আলাদা করে রাখুন।
– প্যানে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে নিন। এবার একটি করে রোল তুলে ফেটানো ডিমের মধ্যে চুবিয়ে তুলে তেলে দিয়ে লালচে করে ভেজে তুলুন।
– ব্যস, এবার সস ও মেয়োনেজের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

2
¤¤¤ মাত্র ১০ মিনিটে সুস্বাদু বিকেলের নাস্তা ‘ডিমের পাকোড়া’ ¤¤¤

প্রতিটি দিনই গৃহিণীদের বিকেল বেলা
বেশ ঝামেলাই পোহাতে হয়। পরিবারের
সকলের সামনে নাস্তা হিসেবে কী দেয়া যায় তা নিয়েই অনেক চিন্তায় পড়ে যান সকলে। স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুইয়ের মিশ্রন খুঁজতে খুঁজতেই সময় পার হয়ে যায়। কিন্তু আপনার হাতের কাছেই রয়েছে
এই সমস্যার সমাধান। মাত্র ১০ মিনিটে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু বিকেলের নাস্তা খুব সহজেই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ‘ডিমের পাকোড়া’র খুব সহজ রেসিপিটি।

উপকরণঃ

- ৪/৫ টি ডিম
- আধা চা চামচ আদা বাটা
- ২ চা চামচ পেয়াজ বাটা
- ঝাল অনুযায়ী কাঁচামরিচ বাটা
- প্রয়োজন অনুযায়ী বেসন
- সামান্য চালের গুঁড়ো
- লবণ স্বাদমতো
- তেল পরিমাণ মতো

প্রণালীঃ

- প্রথমে একটি বড় বোলে ডিমগুলো ভেঙে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর সকল মসলা দিয়ে ভালো করে আরেকবার ফেটিয়ে নিন।

- এরপর এতে দিন অল্প অল্প করে বেসন। মাঝারি থেকে পাতলা ধরণের মিশ্রন তৈরি করুন। এরপর এতে দিন চালের গুঁড়ো। চালের গুঁড়ো দিয়ে ঘন থকথকে মিশ্রন তৈরি করে নিন। চালের গুঁড়োর
জন্য পাকোড়া মুচমুচে হয়।

- এরপর একটি প্যানে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল দিয়ে গরম করে নিন। এরপর চামচ বা হাত দিয়ে গোলার মতো করে
প্যানে দিয়ে পাকোড়া ভেজে নিন।

- ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে কিচেন টিস্যুতে রেখে বাড়তি তেল ঝড়িয়ে নিন।

ব্যস, এবার গরম গরম মজা নিন সস বা
মেয়োনেজের বা পছন্দমত যে কোন চাটনির সাথে।

3
ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার (ব্রাউজার) গুগল ক্রোমে দ্রুত কাজ করার জন্য আছে কিছু শর্টকাট এবং লুকানো সুবিধা। যেগুলো আপনার কাজগুলো অনেকটাই সহজ করে দেবে।
ওমনিবক্স
ব্রাউজারে ওয়েব ঠিকানা লেখার জায়গা অর্থাৎ অ্যাড্রেস বারকে গুগল ক্রোমে ওমনিবক্স বলা হয়। এখানে কিছু লিখে এন্টার করলে সেটি গুগল সার্চেও পাওয়া যায়। কাজ করতে গিয়ে হুট করে যোগ, ভাগ, গুণ করার দরকার হলে আর ক্যালকুলেটর সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে না। কাঙ্ক্ষিত সংখ্যা ও হিসাব লিখে দিলে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যাবে। যেমন সাধারণ যোগ করতে ১৫ + ৬ ওমনিবক্সে লিখে এন্টার করলে সেটির যোগফল দেখা যাবে। একই নিয়মে গুণ ও ভাগ করা যাবে ওমনিবক্সেই।
ভুলে ট্যাব বন্ধ হলে
কাজ করতে গিয়ে ভুল করে কোনো ট্যাব বন্ধ করেছেন কিন্তু সেই ট্যাবের কাজটা জরুরি ছিল! চিন্তা করবেন না, Ctrl+Shift+T চাপুন অথবা চালু থাকা অন্য ট্যাবের টাইটেল বারে মাউসের ডান বোতাম চেপে Reopen closed tab-এ ক্লিক করলে সেটি আবার খুলে যাবে।
টাস্ক ম্যানেজার
কম্পিউটারের টাস্ক ম্যানেজারের মতো গুগল ক্রোমেও টাস্ক ম্যানেজার আছে। একসঙ্গে একাধিক ট্যাব নিয়ে কাজ করতে অনেক সময় ব্রাউজার ধীর হতে পারে। তখন ক্রোমের টাস্ক ম্যানেজার চালু করে সিপিইউ এবং মেমোরির ব্যবহার দেখে নিতে পারেন। প্রয়োজনে যে ট্যাব বেশি মেমোরি বা সিপিইউ ব্যবহার করছে সেটি বন্ধ করতে পারবেন। এ জন্য টাইটেলবারের ফাঁকা জায়গায় ডান ক্লিক করে Task manager খোলা যাবে। আবার Shift+esc চাপলেও টাস্ক ম্যানেজার চালু হবে।

4
যদি সুস্থ থাকতে চান, আপনার খাদ্যাভ্যাস অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হতে হবে। আর সেজন্য খাবারের পুষ্টিমান নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা প্রায় সবাই জানি, তরতাজা শাকসবজি ও সালাদের মতো খাবার ভালো। কারণ এতে মিষ্টি বা অন্যান্য খাবার মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব কমে যায়। কিন্তু এখন আপনি যে খাদ্যাভ্যাস ধরে রেখেছেন, সেটা হঠাৎ করে পাল্টানোর উপায় কী?
সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনি নিয়মিত ব্যায়াম, বাছাই করা খাবারদাবার, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল জেনে নেওয়া অথবা বাজে অভ্যাসগুলো ছেড়ে দেওয়ার মতো নানা বিষয় রপ্ত করেছেন। অভ্যাস পাল্টানো সত্যিই কঠিন, কিন্তু অসম্ভব তো নিশ্চয়ই নয়।
খাবারে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বেশি বেশি শরীরচর্চা করুন, মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন, আরও পরিপূর্ণ জীবন যাপন করুন।

চর্বিযুক্ত দুধ বর্জন
এতে আপনার খাদ্যতালিকা থেকে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ কমবে এবং শরীর থেকে ক্যালরিও ঝরাতে পারবেন। ১ শতাংশ বা চর্বিমুক্ত দুধ পান করুন। অথবা দই খান।

লবণের ওপর নিয়ন্ত্রণ
লবণ যতটা সম্ভব কম খেতে হবে। একেবারে লবণ ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করে দেখুন, একেবারেই কি অসম্ভব? মনে হয় না। চেষ্টায় সবই হয়। প্রয়োজনে বাসার লবণদানি খালি করে ফেলুন।

বাদাম ও বীজ খান
কাজুবাদাম, চীনাবাদাম, কাঠবাদাম, শিমের বীজ ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন ই, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও আঁশ বা তন্তু রয়েছে। কয়েক রকমের বাদামে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলেও তা মূলত অসম্পৃক্ত। তাই বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর পছন্দ।

এক দিন দুপুরের ভারী খাবার বাদ
সপ্তাহে এক দিন দুপুরের নিয়মিত খাবারের বদলে অন্য কিছু খান এবং পরিমাণে কম খান। বাইরে কোথাও গেলে আপনি নিশ্চয়ই এমনটা করেন। এতে বৈচিত্র্য যেমন আসে, রুচিরও একটু বদল হয়।

দিনে অন্তত পাঁচ রকমের শাকসবজি ও ফলমূল
এতে আপনার খাবারে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ যেমন বাড়বে, ক্যালরির পরিমাণও কমবে। হিসাব করে দেখুন, সপ্তাহে আপনার কী কী শাকসবজি খাওয়া হয়। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজির পরিমাণ বাড়ান।

পছন্দনীয় ও স্বাস্থ্যকর পরিকল্পনা
ভালো খাবার আমাদের সব রকমের অনুভূতি ও চেতনাকে উদ্দীপিত করে। কারণ এ রকম খাবার দেখতে সুন্দর, সুবাস ছড়ায় এবং স্বাদেও অতুলনীয়। সব মিলিয়ে আমাদের পরিতৃপ্তি দিতে পারে। অনেক সময় ভালো খাবারের কথা ভাবলেই আনন্দময় অনুভূতি তৈরি হয়।

5
.অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত যত রোগ আছে, সেগুলোর মধ্যে হিমোফিলিয়া বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এটি জিনের মাধ্যমে বংশপরম্পরায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে লক্ষণীয় বিষয়, কেবল পুরুষেরাই এ রোগে আক্রান্ত হলে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় ভোগে। আর নারীরা রোগটির জিন বৈশিষ্ট্য ধারণ করলেও রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় ভোগে না।
আমাদের রক্ত জমাট বাঁধা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার জন্য রক্তে বেশ কিছু উপাদান বা ফ্যাক্টর কাজ করে। হিমোফিলিয়ায় জিনগত কারণেই এই উপাদানের অভাব থাকে। হিমোফিলিয়া দুই ধরনের। অষ্টম ফ্যাক্টরের অভাব ঘটলে হিমোফিলিয়া এ এবং নবম ফ্যাক্টরের অভাবে হিমোফিলিয়া বি রোগ হয়ে থাকে। বিশ্ব হিমোফিলিয়া ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি লাখে ২০ জন মানুষ হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত।
জিনগত রোগ হলেও জন্মের পরপরই সাধারণত এ রোগের তেমন কোনো উপসর্গ বোঝা যায় না। যখন শিশু হামাগুড়ি দিতে শুরু করে, তখন হাঁটুতে চাপ পড়ার কারণে রক্তক্ষরণ হয়ে হাঁটু ফুলে যেতে পারে। অনেক সময় প্রথম রোগটি ধরা পড়ে দাঁত পড়া বা খতনা করাতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সময়। সাধারণত হাঁটু, কনুই বা কোমরের সন্ধি বা মাংসপেশিতে রক্তক্ষরণ হয় বেশি। তবে ত্বকের নিচে, খাদ্যনালিতে এমনকি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও বিরল নয়। রক্তক্ষরণের মাত্রা নির্ভর করে আঘাতের পরিমাণ এবং রক্ত জমাট বাঁধার উপাদানের পরিমাণের ওপর। যদি এই উপাদানের পরিমাণ ১ শতাংশের কম হয়ে থাকে, তবে মারাত্মক ধরনের হিমোফিলিয়া হয়, যাতে খুব সামান্য আঘাত বা বিনা আঘাতেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর উপাদানের পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি থাকলে তাকে সাধারণ মাত্রার হিমোফিলিয়া বলা হয় এবং ১ থেকে ৫ শতাংশের মাঝামাঝি থাকলে মধ্যম মাত্রার হিমোফিলিয়া বলা হয়।
হিমোফিলিয়া রোগটি আপাতত নিরাময়যোগ্য নয়। রক্ত জমাট বাঁধার যে উপাদানের অভাব থাকে, সেটি ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করা ছাড়া আপাতত কোনো সমাধান নেই। নিয়মিত চিকিৎসা নিলে এবং সতর্কতার সঙ্গে জীবনযাপন করলে রোগী প্রায় স্বাভাবিক জীবন কাটাতে সক্ষম হয়, যদিও তাদের গড় আয়ু অন্যদের তুলনায় প্রায় ১০ বছর কম হয়ে থাকে। বর্তমানে এই রোগের আধুনিক চিকিৎসা ও ওষুধ বাংলাদেশেই পাওয়া যায়।

6
১. মিষ্টি ফলমূল
গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশে হরেক রকমের মিষ্টি ফল পাওয়া যায়। আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল ইত্যাদি ফল মানুষের দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগ (যেমন: হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসার) প্রতিরোধে সাহায্য করে। জার্নাল অব নিউট্রিশন সাময়িকীতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রীষ্মকালীন ফলমূল খেলে শরীরে জ্বালা-পোড়া ও অসহনীয় প্রদাহের মাত্রা অনেকটাই কমে যায়।
২. বীজশস্য
মসুর, ছোলা, অন্যান্য ডাল ও মটরশুঁটির মতো বীজশস্যগুলো প্রোটিন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন এক কাপ ডাল মানবদেহে প্রদাহের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমায় এবং ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার উন্নতি করে। এসব খাবারের আরেকটি সুবিধাজনক দিক হলো, এগুলো সহজলভ্য এবং দামও কম। স্যুপ তৈরিতেও বিভিন্ন বীজশস্য ব্যবহার করতে পারেন।
৩. আম
আমে পুষ্টিকর উপাদানের পাশাপাশি রং ও স্বাদেও রয়েছে বহুবিধ বৈচিত্র্য। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এই ফল মানবদেহে প্রদাহ মোকাবিলায় শক্তিশালী উপাদান হিসেবে কাজ করে। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় দেখা যায়, আমের পলিফেনল নামে একটি জৈব উপাদান রয়েছে, যা স্তনে ক্যানসারজনিত এবং ক্যানসার-বহির্ভূত প্রদাহ দমন করতে পারে। আমে রয়েছে অন্তত ২০ রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যেমন: ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-সিক্স, ফলিক অ্যাসিড ও পটাশিয়াম।
৪. আদা
বমি বমি ভাব এবং ব্যথা নিরাময়ে শত শত বছর ধরে আদা ব্যবহার করা হচ্ছে। আধুনিক গবেষণায় প্রদাহ দূর করতে এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। মার্কিন এক গবেষণায় দেখা যায়, অস্টিওআর্থ্রাইটিস রোগীর শরীরের সন্ধিস্থলে ব্যথা ও কঠিনতা কমাতে বিকল্প ওষুধের (প্ল্যাসেবো) তুলনায় আদা ৪০ শতাংশ বেশি কার্যকর। চলমান একাধিক গবেষণায় স্নায়বিক প্রদাহ এবং সংশ্লিষ্ট কারণে স্মৃতি ও বোধশক্তির হ্রাস নিয়ন্ত্রণে আদার ভূমিকা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
৫. হলুদ
সোনালি রঙের এই মসলা যুগ যুগ ধরে ভারতীয় উপমহাদেশ এলাকার রসনায় এক অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী চীনা এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতেও হাজার হাজার বছর ধরে হলুদের ব্যবহার রয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, হলুদে কারকিউমিন নামের একটি যৌগ রয়েছে, যা মানবদেহে বিভিন্ন প্রদাহ দমনে সহায়তা করে। চিকিৎসা গবেষকেরা গেঁটে বাত ও সোরিয়াসিস (ত্বকের রোগ) থেকে শুরু করে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে হলুদ ব্যবহার করছেন।
৬. সবুজ শাক
খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের জন্য সবুজ শাক অত্যন্ত কার্যকর। ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ এবং প্রদাহজনিত অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতেও সবুজ শাকসবজির জুড়ি নেই। পুষ্টিমানেও এসব খাবার অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সালাদের উপাদানে সবুজ শাকের পরিমাণ বেশি রাখুন।
খাদ্যাভ্যাসে ছোটখাটো এই পরিবর্তনগুলো আপনার সুস্থতা নিশ্চিত করার চেষ্টায় বড় সাফল্য এনে দিতে পারে। তাই দেরি না করে আজই শুরু করুন।

7
Faculty Sections / আউটসোর্সিং
« on: April 19, 2015, 02:32:03 PM »
বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আউটসোর্সিং বেশ আলোচিত। তবে চাইলেই এ কাজে সফল হওয়া যায় না। সফলতা কীভাবে আসবে, তা জানা জরুরি। এ ছাড়া কাজ জেনে কীভাবে করতে হবে, সেটিও জানা দরকার। আউটসোর্সিংয়ের এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আউটসোর্সিং ৩: সফল হবেন যেভাবে বইটি। লিখেছেন মো. আমিনুর রহমান।
২০টি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বইটিতে পূর্ণাঙ্গভাবে আউটসোর্সিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। রয়েছে প্রয়োজনীয় ছবি। বইটি থেকে জানা যাবে আউটসোর্সিংয়ে সফল হবেন কীভাবে, অনলাইন মার্কেটপ্লেস, কীভাবে একটি সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করবেন, কাজ খোঁজা শুরু করুন, উপযুক্ত কাভার লেটার লিখবেন কীভাবে, ইন্টারভিউ ফেস করা, জব করবেন কীভাবে, আউটসোর্সিং শুরু আগে, সহজে কাজ পাবেন যেভাবে, সমস্যার সমাধান পাবেন যেখানে, দুজন সফল উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকার ইত্যাদি পাবেন বইটিতে।এতে নিজেদের কাজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন ফ্রিল্যান্সাররা। এবারের বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হয়।

আউটসোর্সিং ৩: সফল হবেন যেভাবে।

লেখক: মো. আমিনুর রহমান।

দাম: ২৪০ টাকা।

পৃষ্ঠা: ১২৮। প্রকাশক: তাম্রলিপি, ঢাকা।

8
আপনি যদি গুগল ক্রোম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট দেখেন, তবে কিছু কৌশল প্রয়োগ করে আরও সহজে দ্রুত কাজ করতে পারবেন। গুগল ক্রোমের আছে কিছু শর্টকাট এবং লুকানো বৈশিষ্ট্য।
অটো প্লে বন্ধ: ইউটিউব, ভিমিও, পেন্ডোরার মতো ওয়েবসাইটের ভিডিও বা ফ্ল্যাশ ফাইল যদি আপনাআপনি চলতে থাকে, তবে সেটি বন্ধ করে নিন। এ জন্য ক্রোম চালু করে ব্রাউজারের অমনিবক্সে (অ্যাড্রেস বার) chrome://settings/content লিখে এন্টার চাপুন। Content Settings খুলে যাবে। এর নিচে এসে Plug-ins বিভাগের Click to play নির্বাচন করে দিন। তবে কোনো ভিডিও আর স্বয়ংক্রিয় চালু হবে না, ফলে ইন্টারনেটের মেগাবাইটও সাশ্রয় হবে।
ইনকগনিটো মোড: ইনকগনিটো মোড একটি ব্যক্তিগত ব্রাউজিং সুবিধা। আপনি যদি ইনকগনিটো মোডে ব্রাউজ করেন তবে হিস্ট্রি, কুকিজ, ডাউনলোডের কোনো তথ্য ব্রাউজারে থাকবে না। কাজ শেষে সব মুছে যাবে। ক্রোম ব্রাউজার চালু করে Ctrl + Shift + N চাপলে এটি খুলবে। আবার ক্রোমের Settings-এ গিয়ে New incognito Window-এ ক্লিক করলেই হবে। এ ছাড়া যেকোনো লিঙ্কের ওপর ডান ক্লিক করে open link in incognito window খুললে ওই সাইটের কোনো রেকর্ড ব্রাউজার জমা করবে না। একইভাবে এই সুবিধা ব্যবহার করে আপনি একই ব্রাউজারে দুটি আলাদা ই-মেইল বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবেন। আপনার যদি দুটি আলাদা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থাকে তবে ক্রোমে সেটি চালু থাকা অবস্থায় ইনকগনিটো মুডে আরেকটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
সহজ ব্রাউজিং: ওয়েব ব্রাউজারে কোনো তথ্য খুঁজতে গিয়ে নতুন কোনো বিষয় চোখে পড়ল এবং সেটি সম্পর্কেও জানতে চাইছেন। এমন হলে হয়তো সেই বিষয়টা আবার আরেকটা ট্যাবে লিখে সার্চ করতে চাচ্ছেন। থামুন ! আলাদা ট্যাব খুলে সার্চ না করে সেই বিষয়ের লেখাগুলো নির্বাচন করে ডান ক্লিক করে Search Google for-এ ক্লিক করলে আলাদাভাবে গুগল সাচের্র সুবিধা পেয়ে যাবেন।

9
মোবাইলে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ! দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ? ব্যাটারির চার্জ যদি শেষ না হতো! কল্পনা নয়, বাস্তবেই ঘটতে যাচ্ছে তা। গুগল এমন ব্যাটারি তৈরি করতে যাচ্ছে যার চার্জ থাকবে দীর্ঘ সময় ধরে।
গুগলের গোপন পরীক্ষাগার এক্স ল্যাবে তৈরি হচ্ছে সলিড-স্টেট ব্যাটারি যা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এমনকি ল্যাপটপেও ব্যবহার করা যাবে।
বাজার গবেষকেরা বলছেন, সার্চ ই​ঞ্জিন থেকে শুরু করে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের পর গুগল এখন গোপনে ব্যাটারির বাজারও দখল করতে চাইছে। বর্তমান সময়ের ব্যাটারিগুলোর তুলনায় আরও বেশিক্ষণ চার্জ ধরে রাখার সুবিধাসম্পন্ন সলিড-স্টেট ব্যাটারি তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট স্ল্যাশ গিয়ারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুগলের গবেষক ডক্টর রমেশ ভরদ্বাজ। হালের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির তুলনায় আরও উন্নত সলিড-স্টেট ব্যাটারি তৈরিতে কাজ করছে ভরদ্বাজের দল। এই ব্যাটারি তৈরি করা সম্ভব হলে প্রযুক্তি জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। সলিড-স্টেট ড্রাইভ (এসএসডি) যেমন হার্ড ড্রাইভের তুলনায় কম্পিউটারের গতি ও সক্ষমতা বাড়িয়েছে তেমনি ব্যাটারির ক্ষেত্রেও সলিড-স্টেট ব্যাটারি ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ও ট্যাবে দীর্ঘক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে পারবে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, গুগলের কমপক্ষে ২০টি প্রকল্প আছে যেখানে ব্যাটারি প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, ড্রোন, গুগল গ্লাস, চিকিৎসা কাজের উপযোগী যন্ত্রপাতি প্রভৃতিও আছে।

10
মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা স্ট্রোকের একটি চিকিৎসা হচ্ছে ‘থ্রম্বোলাইটিক থেরাপি’, যে চিকিৎ​সায় ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রুত মস্তিষ্কের জমাট বাঁধা রক্ত গলে যায় এবং রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক হয়। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে গেলে ভিন্ন বিষয়) উভয় ক্ষেত্রেই এই থেরাপি বা ওষুধের মাধ্যমে জমাট বাঁধা রক্ত গলিয়ে ফেলা হয়। স্ট্রোক হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই থেরাপি দেওয়া হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি কম হয় এবং প্যারালাইসিস বা দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতা তৈরির বিষয়গুলো কমে যায়। নিউরোলজিস্ট বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা স্ট্রোকের চিকিৎসার বিষয়টিকে বলেন, ‘টাইম ইজ ব্রেইন’।
স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে স্ট্রোকের রোগী এলে তিনি লক্ষণ দেখেই দ্রুত চিকিৎসা দেন এবং ওষুধ প্রয়োগ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা একটি ধাপ আগে সম্পন্ন করেন আর তা হচ্ছে কম্পিউটেড টমোগ্রাফি বা সিটি স্ক্যানারে রোগীর মস্তিষ্ক স্ক্যান করা। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে তাঁরা সিটি স্ক্যান করেন। যদি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে তবে থ্রম্বোলাইটিক ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগীর অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য সিটি স্ক্যানের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সিটি স্ক্যান করতে গেলে সময় লাগে। গত কয়েক দশকে অবশ্য সিটি স্ক্যান করার মতো বিষয়টিতে সময় বাঁচানোর বেশ কয়েকটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসকেরাও স্ট্রোকের রোগী চেনার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। সিটি স্ক্যানার মেশিনও জরুরি বিভাগে সহজলভ্য হয়েছে। এ ছাড়াও স্ক্যান করার আগে ইনজেকশনের মাধ্যমে সরাসরি ওষুধ প্রয়োগের বিষয়টিও এখন চিকিৎসকদের নখদর্পণেই থাকে।তবে, অনেক সময় চিকিৎসা পদ্ধতিতে সামান্য সময় বাঁচাতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহেলাও করে বসতে পারেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে মানবিক উপাদান বা মানসিক সাহায্য। ইসরায়েলের সরোকা ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের নিউরোলজিস্ট গাল ইফারজেন স্ট্রোকের রোগীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষক ইফারজেন খেয়াল করে দেখেন, চিকিৎসাকেন্দ্রের জরুরি বিভাগে যখন স্ট্রোকের রোগীকে আনা হয় তখন তাঁর সঙ্গে বন্ধু, স্বজন বা পরিবারের সদস্যদের থাকা জরুরি। যেসব স্ট্রোকের রোগীকে একা আসতে হয় তাদের তুলনায় স্বজনদের সঙ্গে এলে তাঁর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রোগীদের নিয়ে এই পর্যবেক্ষণ করেছেন এই গবেষক। তাঁর গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে ‘মেডিসিন’ সাময়িকীতে।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোকের রোগীর সঙ্গে দুজনের বেশি উপস্থিত থাকলে তাঁর চিকিৎসা সঠিকভাবে হয় এবং সিটি স্ক্যানও দ্রুত করা যায়। যে রোগীদের মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্ত গলানোর জন্য ওষুধ দেওয়া দরকার তাদের ক্ষেত্রেও জরুরি চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়। অবশ্য রোগীর পাশে স্বজনদের উপস্থিতির কারণে জরুরি চিকিৎসা মেলে কি না সে বিষয়টি নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন গবেষকেরা। গবেষণায় দেখা যায়, স্ট্রোকের রোগীর সঙ্গে যদি একজন থাকেন তবে সিটি স্ক্যান দ্রুত সম্পন্ন হয়। এতে রোগীর সঙ্গে কেউ না থাকার চেয়ে একজন সঙ্গী থাকলে ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময় বাঁচে। সঙ্গী দুজন হলে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় বাঁচানো যায়। তবে দুজনের বেশি হলে খুব বেশি ফায়দা হয় না।তড়িঘড়ি চিকিৎসার সময় যাতে চিকিৎসকদের কাজে ব্যাঘাত না ঘটে সে কারণে দর্শনার্থীদের একত্রে হাসপাতালে বা চিকিৎসাকেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেদের করা এক গবেষণায় দেখা যায়, স্ট্রোকের চিকিৎসার সময় মায়াকান্না করে এমন স্বজনদের উপস্থিতির কারণে চিকিৎসকদের পক্ষে সঠিক চিকিৎসা দিতে বিলম্ব হতে দেখা যায়। অবশ্য, অন্য কোনো গবেষণায় কার্ডিওপালমোনারি রিসাচসাইটেশন, পেডিয়াট্রিক ট্রমার মতো বিষয়গুলোতে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি চিকিৎসা মানে কোনো হেরফের ঘটিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।

11
স্মৃতিভ্রংশের একটি রোগ আলঝেইমার। আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সবকিছু ভুলে যায়, স্মৃতি মনে করতে পারেন না। রোগটিতে আক্রান্ত ব্যক্তি পরিচিত ব্যক্তি থেকে শুরু করে একটু আগে দেখা জিনিসের কথাও স্মরণ করতে পারেন না।
সম্প্রতি আলঝেইমার রোগের কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। এতে দেখা যায়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে আলঝেইমার রোগের যোগসূত্র রয়েছে। গবেষকদের এমন আবিষ্কার স্মৃতিভ্রমের মতো এ রোগটির চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থার এএফপির খবরে জানানো হয়, সম্প্রতি ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ওই গবেষণা ওপর জার্নাল অব নিউরো সায়েন্স সাময়িকীতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে দাবি করা হয়, গবেষকেরা আলঝেইমার রোগের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার এমন বিশেষ কিছু কোষ খুঁজে পেয়েছেন। এসব কোষ প্রধান পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ককে বাধা দেয়।
ওই গবেষকেরা ইঁদুরের মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনেরওষুধ ব্যবহার করেন। এতে প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওই কোষগুলো আর মস্তিষ্কের প্রধান উপাদান সংগ্রহের পথে বাধা দিতে পারে না। এতে ওই ইঁদুরগুলোর স্মৃতিভ্রংশ থেকে রক্ষা পায়।
ওই গবেষণায় প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ওই কোষগুলোর ভূমিকা সুস্পষ্ট বোঝা যায়নি। তবে এ গবেষণা আলঝেইমার হওয়ার সম্ভাব্য কারণ বের করেছে। যা নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিতে আলঝেইমার নিরময়ে নতুন দিগন্ত খুলেছে বলে আশা করা হচ্ছে।

12
উপকরণ–১: কাঁচা কাঁঠাল সেদ্ধ ২ কাপ, ছোলার ডাল সেদ্ধ আধা কাপ, পাউরুটি ৪ টুকরা, ডিম ২টি, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, চালের গঁড়ো ২ টেবিল চামচ, আদা পেস্ট ১ চা–চামচ, রসুন পেস্ট ১ চা–চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, জিরার গুঁড়া ২ চা–চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা–চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ পেস্ট ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, লেবুর খোসা গুঁড়া ২ চা–চামচ ও ধনেপাতা কুঁচি ২ টেবিল চামচ।
উপকরণ–২: ডিম ২টি, পাউরুটির গুঁড়া ১ কাপ, সেদ্ধ ডিম ৪িট ও তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি: প্রথমে কাঁঠাল সেদ্ধ ও ছোলা সেদ্ধ ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ডিম সেদ্ধ ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিতে হবে। সেদ্ধ ডিমের ওপর কাঁঠালের মিশ্রণের প্রলেপ দিয়ে ডিম ঢেকে দিতে হবে। এরপর ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে পাউরুটির গুঁড়া মাখিয়ে তেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

13
Faculty Sections / রাগ কমানোর সহজ উপায়
« on: April 12, 2015, 12:23:28 PM »
রাগ কমানোর কিছু উপায়-
১. রেগে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাগ প্রকাশ করবেন না। ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনুন। একটু সময় নিলেই রাগটা কমে যাবে। এরপর আপনি সমস্যাটির কথা তুলে ধরুন।

২. শারীরিক ব্যায়াম অনেক সময় আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কাজেই রাগ অনুভব করলেই হাঁটা শুরু করুন। মেজাজ শান্ত হয়ে যাবে।

৩. রেগে গেলে মাথায় যা আসে তাই বলে দিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পরে ভেবে খুব খারাপ লাগে। তাই পরে না ভেবে বলার আগেই একটু ভেবে বলুন।

৪. রেগে গিয়ে মাথা খারাপ করার চেয়ে সম্ভাব্য সমাধান খুঁজুন। যা ঘটার ঘটেই গেছে, এখন সমাধানের দিকে এগুতে থাকুন।

৫. আপনার সঙ্গে কেউ রাগ দেখালে আপনি অহেতুক রেগে যাবেন না। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।

৬. নিজেকে নিজের ভেতর গুটিয়ে রাখবেন না। বন্ধুর সংখ্যা বাড়ান, মনের কথা ভাগাভাগি করে নিন।

14
আইফোন-আইপ্যাডের নির্মাতা হিসেবেই অধিক পরিচিত অ্যাপল। কিন্তু ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অ্যাপলের একটি গোপন পরীক্ষাগারে নিজস্ব ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কাজ চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির গবেষকেরা।
অ্যাপলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অ্যাপলের গাড়ি তৈরির প্রকল্পে যে গাড়িটি তৈরি হচ্ছে, তা ছোট আকারের ভ্যানসদৃশ। গাড়িটি নিয়ে বেশ কয়েক বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাবে অ্যাপল। গাড়িটিতে থাকবে ইন্টারনেট-সুবিধা।
যোগাযোগ বা নেভিগেশনের পাশাপাশি এ গাড়িতে আরও উন্নত সফটওয়্যার ও সেবা যুক্ত থাকবে।
বাজার গবেষকেরা বলছেন, সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গাড়ি তৈরির আগ্রহ বাড়ছে। গুগল থেকে শুরু করে উবার এবং টেসলা মোটরসের মতো প্রতিষ্ঠানও বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির দিকে ঝুঁকছে। এবার এই তালিকায় অ্যাপলের নামও যুক্ত হলো।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষ তাদের নতুন প্রকল্প নিয়ে মুখ না খুললেও প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, মার্সিডিজ-বেঞ্জের সিলিকন ভ্যালির গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তা জোহান জাঙ্গওয়ার্থ অ্যাপলের গাড়ি নিয়ে কাজ করছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, সম্প্রতি অ্যাপল রোবটিকস ও অটোমোটিভে দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। গত বছর গোপনে একটি পরীক্ষাগার তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপলের এই গোপন প্রকল্পের নাম ‘টাইটান’। ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপলের প্রধান কার্যালয় কুপারটিনো থেকে কয়েক মাইল দূরে কয়েক শ কর্মী এই গোপন পরীক্ষাগারে কাজ করছেন।

15
স্মার্টফোনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত এবং শারীরিক সুস্থতা নির্ণায়ক (ফিটনেস ট্র্যাকার) প্রযুক্তির সাহায্যে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস মিলবে। যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী এ কথা জানিয়েছেন। তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদনটি সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাপা ভ্যালি এলাকায় গত বছর রিখটার স্কেলে ছয় মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এ সময় প্রযুক্তি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান জোবোনের তৈরি ফিটনেস ট্র্যাকারের সেন্সরগুলো (সংবেদী) বার্কলে, ওকল্যান্ড এবং সান হোসে এলাকার মানুষের শরীরে ভূকম্পনজনিত পরিবর্তনগুলো চিহ্নিত করতে সমর্থ হয়। এতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের আগ মুহূর্তে সেখানকার মানুষের ঘুমের ধরনে সকালের দিকে আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, স্মার্টফোন ও ফিটনেস ট্র্যাকারের সাহায্যে সংগৃহীত এসব তথ্য-উপাত্ত কি পূর্বাভাস দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ? মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) বিভাগের গবেষকেরা বলছেন, ‘হ্যাঁ’। স্মার্টফোনে জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমস) প্রযুক্তির সংবেদী বা সেন্সর থাকে। সেগুলো কোনো একটি দিকে আকস্মিক পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। যদি হাজার হাজার স্মার্টফোন একসঙ্গে একই পরিবর্তন শনাক্ত করে, তাহলে সেটাই হবে ভূমিকম্পের আগাম সংকেত।
ইউএসজিএসের বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ব্রুকস বলেন, কল্পনা করা যেতে পারে যে পোর্টল্যান্ড এলাকার একটি ক্যাফেতে কোনো এক রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে সবার স্মার্টফোন টেবিলের ওপরে রাখা। তখনই সেগুলো বড় ভূমিকম্পের সংকেত দিল। এতে সারা শহর দুলে ওঠার আগেই লোকজন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ পাবে।
বিজ্ঞানীরা একটি কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে পরীক্ষা করে দেখেছেন, ভূমিকম্পের সময় এবং আগে ও পরে স্মার্টফোনের তথ্য-উপাত্ত ঠিক কেমন হয়। ওই কম্পিউটার মডেলের সাহায্যে সান ফ্রান্সিসকোর হেওয়ার্ড ফল্ট জোনে সাত মাত্রার কল্পিত ভূমিকম্প ঘটানো এবং জাপানে ২০১১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রকৃত তথ্য-উপাত্তের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন। এতে দেখা যায়, অন্তত পাঁচ হাজার স্মার্টফোন ব্যবহারকারী প্রস্তুত থাকলে বড় কোনো ভূমিকম্প শুরু হওয়ার সময়টা আগে থেকে জানার সুযোগ রয়েছে। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোয় বিপর্যয় শুরু হওয়ার আগে পাঁচ সেকেন্ডের একটি সতর্কসংকেত দেওয়া যাবে। তবে পাঁচ সেকেন্ড সময় খুব সামান্য মনে হলেও গবেষকেরা বলেন, সংকেত বাজানো, গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং দমকল বাহিনীর গ্যারেজের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য পাঁচ সেকেন্ডই যথেষ্ট।
গবেষকেরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ওপর ক্রমশ বেশি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা যায়, কোনো ভূমিকম্পের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছানো, তথ্য সংগ্রহ এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার তথ্য বিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়ে পূর্বাভাসের ব্যাপারে নানা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আর সর্বশেষ গবেষণায় ওই কাজে স্মার্টফোনের উপযোগিতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্রুকস আরও বলেন, ভূমিকম্প আসন্ন—এমন পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতা এড়ানোর জন্য কয়েক সেকেন্ডের সতর্কসংকেতই খুব ফলপ্রসূ হতে পারে। অত্যাধুনিক ব্যবস্থায় ফায়ার স্টেশনগুলোর দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে, গ্যাস লাইনগুলো বিচ্ছিন্ন হবে এবং শহরের বাসিন্দারা আশপাশের কোনো ডেস্কের নিচে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারবেন। পরিস্থিতিটা এমন হবে যে কেউ পূর্বাভাস পাওয়ার পরপরই সেটা অন্যদের তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে।
গবেষকেরা আরও বলেন, ইন্টারনেট বর্তমানে অনেকটা সারা পৃথিবীতে স্নায়ুতন্ত্রের মতো। ভূমিকম্পের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ও জনসাধারণের কাছে দ্রুত তথ্য পৌঁছে দিতে চাইলে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হবে।

Pages: [1] 2 3