Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - myforum2015

Pages: 1 2 3 [4]
46
মিষ্টি বেশি খেলে ডায়াবেটিস হয়?
সরাসরি মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিস হওয়ার কোনো যোগসূত্র নেই। মিষ্টি বেশি না খেলেও ডায়াবেটিস হতে পারে। আসলে পারিবারিক ইতিহাস, ওজন বৃদ্ধি, অস্বাস্থ্যকর খাবার, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ইত্যাদি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। মিষ্টি বেশি খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে (কেননা মিষ্টি দ্রব্যে ক্যালরি বেশি) আর এ কারণে পরোক্ষভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কিছুটা বাড়ে বৈকি।
ডায়াবেটিসে ইনসুলিন সর্বশেষ চিকিৎসা
ইনসুলিন একজন ডায়াবেটিস রোগীর জীবনে যেকোনো সময়ই লাগতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়, যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের আগে-পরে, কোনো গুরুতর রোগে হাসপাতালে থাকাকালীন যেমন: হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা মারাত্মক কোনো সংক্রমণের সময়, কিডনি বা যকৃতের জটিলতায় ইনসুলিনই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ চিকিৎসা। এ ছাড়া কোনো কারণে রক্তে শর্করা অনেক বেড়ে গেলেও ইনসুলিন দরকার হবে। ব্যাপারটা এমন নয় যে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে মানে আপনার অবস্থা খুব জটিল বা আপনি মরণাপন্ন।
একবার ইনসুলিন ব্যবহার করলে সারা জীবনই তা দিতে হবে
বিষয়টা আসলে তা নয়। নানা কারণে ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। আবার পরে তা পরিবর্তন করে ওষুধ খাওয়াও যেতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থা কেটে যাওয়ার পর বা অস্ত্রোপচারের ঘা শুকিয়ে যাওয়ার পর একসময় ইনসুলিন বন্ধ করে আবার ওষুধ খাওয়া যায়। তবে টাইপ ১ ডায়াবেটিস, কিডনি ও যকৃতের গুরুতর সমস্যা এবং সর্বোচ্চ মাত্রায় ওষুধ ব্যবহার করেও যদি শর্করা নিয়ন্ত্রিত না হয়, এসব ক্ষেত্রে সব সময়ের জন্য ইনসুলিন ব্যবহার করতে হবে।

ডায়াবেটিস হলে কোন ফলমূল খাওয়া যাবে না
ডায়াবেটিস হলে কী খাওয়া যাবে বা যাবে না, তা নির্ভর করে ওই খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের ওপর। কোনো একটি খাবার রক্তে কত দ্রুত শর্করা বাড়িয়ে দিতে পারে। তার পরিমাপই হলো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। বেশির ভাগ ফলমূলে প্রচুর আঁশ থাকায় রক্তে ধীরে ধীরে শোষিত হয় এবং এদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অত বেশি নয়। কোনো কোনো ফলে শর্করার মাত্রা একটু বেশি, সেগুলোও নির্দিষ্ট মাত্রায় খাওয়া যাবে।

গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশুরও ডায়াবেটিস হয়
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে সেই মায়ের অনাগত শিশু নানা রকম ঝুঁকিতে ভোগে। যেমন: গর্ভপাত, সময়ের আগে জন্ম নেওয়া, গর্ভে হঠাৎ মৃত্যু, অতিরিক্ত ওজন নিয়ে জন্ম হওয়া, জন্মগত নানা জটিলতা ইত্যাদি। জন্মের পরপর হঠাৎ শিশুর রক্তে শর্করা কমে যেতে পারে, খিঁচুনি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে সেই শিশু ডায়াবেটিস নিয়ে জন্ম নেবে, তা ঠিক নয়। তবে পরবর্তী সময়ে বড় হওয়ার পর অন্যদের তুলনায় তার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি একটু বেশি।

ডায়াবেটিস হলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব নয়
শর্করা সুনিয়ন্ত্রিত থাকলে এবং সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করলে একজন ডায়াবেটিস রোগী আর দশজনের মতোই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন। টম হ্যাংকস, হ্যালি বেরি, ল্যারি কিং বা ওয়াসিম আকরামের মতো বিশ্বের অনেক তারকা ব্যক্তিত্ব ডায়াবেটিস নিয়ে চমৎকার জীবন যাপন করছেন। ডায়াবেটিস একটুও ম্লান করতে পারেনি মিস আমেরিকা নিকোল জনসন বা বিশ্বখ্যাত সুন্দরী সালমা হায়েকের সৌন্দর্যকে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম—এই তিন হচ্ছে ডায়াবেটিস নিয়ে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র। [সংগৃহীত]

47
মানবদেহের ৭৫ শতাংশই পানি। পরিপাক, সংবহন, পুষ্টিকণা পরিবহন, খাদ্য শোষণ ও বিপাক, তাপমাত্রা ও ভারসাম্য রক্ষাসহ শরীরের প্রতিটি কাজে পানির প্রয়োজন হয়। অথচ এই পানিই কখনো কখনো নানা রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিস, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ আসলে পানিবাহিত।
জাতিসংঘের ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি নয়জনের একজন বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার পানির আওতায় নেই। প্রতি তিনজনে একজন সঠিক পয়োনিষ্কাশনের আওতার বাইরে। ফলে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। কেবল বিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহারের মাধ্যমে দুনিয়াজুড়ে পানিবাহিত রোগ এবং এ কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমানো যেতে পারে।
পানি বিশুদ্ধ করার সঠিক পদ্ধতি কোনটি, এ নিয়ে অনেকেরই আছে বিভ্রান্তি। পানি ফুটিয়ে পান করা ভালো, নাকি ফিল্টার করে, নাকি দুটোই?
* পানি ফুটিয়ে নেওয়া সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি। এতে জীবাণু, পরজীবী এমনকি তার ডিম ও লার্ভাসহ সবই ধ্বংস হয়। পানি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কমপক্ষে ১০ মিনিট ধরে ফোটাতে হবে। তারপর তা ঠান্ডা করে কলসি, কাচের জগ বা পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। রেখে দেওয়া ফোটানো পানিতে আবার জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে—বিশেষ করে, যদি তা বেশি দিন রেখে দেওয়া হয়। তাই রোজকার পানি রোজই ফুটিয়ে নেওয়া ভালো।
* পানি ফোটালে জীবাণু ও পরজীবী ধ্বংস হয় বটে, তবে সব রাসায়নিক উপাদান নষ্ট হয় না। ফোটানো পানিতে কখনো কখনো ক্যালসিয়াম কার্বনেট জাতীয় তলানি পড়ে। এর সবগুলো যে খারাপ, তা নয়। তবে খনিজ উপাদানের কারণে পানি ঘোলাটে বা অপরিচ্ছন্ন দেখালে ছেঁকে নেওয়া যেতে পারে।
* ফোটানো পানি আবার ফিল্টার করা প্রয়োজন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আসে। পানি ফোটানোর মাধ্যমেই ক্ষতিকর জীবাণু দূর করা সম্ভব, তবে সন্দেহ হলে ফিল্টার করা যায়। বেশির ভাগ ফিল্টার আসলে পানির স্বাদ ও গন্ধকেই উন্নত করে।
* ভ্রমণে, বনজঙ্গলে, ক্যাম্পে বা দুর্গত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করা হয়। এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, তবে জরুরি পরিস্থিতিতে কাজ চালানো যেতে পারে।
* বাইরে বা ভ্রমণের সময় কেনা পানির চেয়ে বাড়ি থেকে বোতলে পানি নেওয়ার চেষ্টা করুন। কাচ ও স্টিলের পাত্রে পানি সংরক্ষণ করাই সবচেয়ে ভালো।

অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিস, বারডেম হাসপাতাল [সংগৃহীত]

48
অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো পেট ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণ পেট ব্যথার তুলনায় বেশ আলাদা। এটা শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় শল্যচিকিৎসা নিতে হয়। অনেক সময় এ ব্যথাকে আমল না দিয়ে নানা রকম ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। এতে পরবর্তী সময়ে রোগীর শরীরে মারাত্মক জটিলতা তৈরি হয়।
মানুষের বৃহদন্ত্রের সঙ্গে লাগানো কনিষ্ঠ আঙুলের মতো একটি সরু থলের নাম অ্যাপেন্ডিক্স। লম্বায় এটি ২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। থাকে তলপেটের ডান দিকে। এর সঠিক কাজ যে কী, তা এখনো অস্পষ্ট। কিন্তু এই ছোট্ট থলেতে আকস্মিক প্রদাহ হলে দেখা দেয় অসহনীয় ব্যথা। এর নাম অ্যাপেন্ডিসাইটিস।
কেমন এই ব্যথা
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা সাধারণত নাভির চারপাশে বা নাভির একটু ওপর থেকে শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তলপেটের ডান দিকের অংশে ব্যথাটা স্থায়ী হয়। থেমে থেমে ব্যথা ওঠে সেটা তীব্র ও হালকা—দুই রকমেরই হতে পারে। এ ছাড়া বমি বমি ভাব বা দু-একবার বমি হতে পারে। সঙ্গে হালকা জ্বরও থাকতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। ব্যথা তীব্র হলে রোগী হাসপাতালে আসতে বাধ্য হয়। তবে হালকা ব্যথা হলেও সতর্ক হতে হবে। কেননা, পরবর্তী সময়ে রোগীর অ্যাপেন্ডিক্সের চারদিকে বিভিন্ন উপাদান জমা হয়ে পেটে একটি চাকা বা ফোঁড়া তৈরি হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে অ্যাপেন্ডিক্স ছিদ্র হয়ে খাদ্যনালির ভেতরের বিভিন্ন উপাদান, পরিপাক হয়ে যাওয়া খাবারের অংশ ও মল বেরিয়ে পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পেটের ভেতরে, এমনকি রক্তেও ছড়িয়ে পড়তে পারে গুরুতর সংক্রমণ। এ ধরনের ঘটনায় রোগীর জীবনের আশঙ্কাও দেখা দেয়।
চিকিৎসা কী
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা হলো আক্রান্ত অংশ বা অ্যাপেন্ডিক্স যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলে দেওয়া। অস্ত্রোপচারের ভয়ে অনেকে হাসপাতালে যেতে চান না। অনেক সময় শিশু বা বেশি বয়স্করা ব্যথার সঠিক বর্ণনাও দিতে পারে না। কিন্তু জটিলতা এড়াতে পেটে ব্যথা তীব্র ও স্থায়ী অথবা থেকে থেকে হলে রোগীকে শক্ত খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন বা মুখে খাবার দেওয়া বন্ধ রাখুন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
অধ্যাপক এম এ হাসেম ভূঁঞা, সার্জারি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল । [সংগৃহীত]

49
মোবাইল ফোন সংযোগ নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিম নিবন্ধন কার্যক্রম নামেই এটি পরিচিত। ‘অবৈধ ও অনিবন্ধিত সিম দেশ ও জাতির জন্য বিপজ্জনক’ স্লোগান নিয়ে মোবাইল ফোন সংযোগদাতারা সিম নিবন্ধনের জন্য প্রচারণা শুরু করেছে।
সিম নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কমবেশি সবার মধ্যেই কৌতূহল ও কিছু প্রশ্ন রয়েছে। নতুন যাঁরা সংযোগ নেবেন, তাঁদের তো নিবন্ধন করতেই হবে। কিন্তু এখন যাঁরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন তাঁদের প্রত্যেককেই কি সিম নিবন্ধন করতে হবে? কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে, শেষ সময়সীমাই বা কবে? কোথায় এই নিবন্ধনের কাজ হবে?
এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের কাছ থেকে। তিনি প্রথম আলোকে জানান, সিম নিবন্ধন কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। দুই মাস ধরে সব মোবাইল সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেইসে পাঠাচ্ছে। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে তথ্য ঠিক আছে কি–না।
তারানা হালিম বলেছেন, মোবাইল ফোন সংযোগের ক্ষেত্রে যাঁদের নিবন্ধন ঠিক আছে, তাঁদের নতুন করে কিছুই করতে হবে না। যাঁদের নিবন্ধন ঠিক নেই তাঁদের কাছে এসএমএস যাচ্ছে মোবাইল ফোন সংযোগদাতার কাছ থেকে। তাঁদের নতুন করে সিম নিবন্ধন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ শনাক্তকারী পদ্ধতি) প্রযুক্তিতে নিবন্ধন শুরু হবে। যাঁদের নিবন্ধনে সমস্যা আছে তাঁরা বায়োমেট্রিকে অগ্রাধিকার পাবেন। মার্চ মাস পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলবে। তিনি বলেন, সবারই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে রাখা ভালো। কারণ, এটি অন্য ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে। তবে না করলেও সমস্যা নেই।

যেভাবে নিবন্ধন করবেন
ঘরে বসে সিম নিবন্ধন বা পুনর্নিবন্ধনের জন্য এসএমএস পদ্ধতি চালু করেছে দেশের সব কটি মোবাইল ফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান। বিনা মূল্যে নির্দিষ্ট নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে কাজটি করা যাবে।
সব সংযোগদাতার গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সিম নিবন্ধনের নিয়ম প্রায় একই রকম। বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল এবং টেলিটকের গ্রাহকেরা প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লিখবেন। এরপর পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ এবং পূর্ণ নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে। শেষে তা পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬০০ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। ভুল হলে সেটিও জানা যাবে।
সিটিসেলের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের আগে U লিখতে হবে। এরপর বাকি নিয়ম একই। অর্থাৎ জন্মতারিখ ও পূর্ণ নাম লিখে ১৬০০ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
প্রতিটি সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বা কল সেন্টার থেকেও সহায়তা নিতে পারেন।
সিম নিবন্ধন নিয়ে গ্রামীণফোনে চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের অবিলম্বে ১৬০০ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে তাঁদের তথ্য হালনাগাদ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই তথ্য পরবর্তী সময়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করার সময় কাজে লাগবে। আমরা এখন ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’

সিম নিবন্ধনের অ্যাপ
চাইলে সিম নিবন্ধনের কাজটি স্মার্টফোনের একটি অ্যাপ দিয়েও সেরে ফেলতে পারেন। অ্যাপ দিয়ে সিম নিবন্ধনের জন্য প্রথমেই গুগল প্লে স্টোর থেকে সিম রেজিস্ট্রেশন বাংলাদেশ অ্যাপটি (https://goo.gl/JybLrI) নামিয়ে নিতে হবে। অ্যাপটি চালু করে সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ ও পুরো নাম লিখে send বাটনে চাপ দিলেই আপনার তথ্য এসএমএস আকারে চলে যাবে ১৬০০ নম্বরে।
১৫:২৯, নভেম্বর ০২, ২০১৫; দৈনিক প্রথম আলো

50
আমাদের পৃথিবীতে আছে প্রায় ১৯৫ টি দেশ। যাদের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চল। আর যে অঞ্চলগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে অসংখ্য গ্রাম। কিন্তু এত-শত গ্রামের ভিড়েও কিছু গ্রাম আছে যেগুলো নিজেদের নিজস্বতা দিয়ে এগিয়ে রয়েছে সবার চাইতে। হয়ে রয়েছে অনন্য। নাম লিখিয়েছে অন্যরকম আর আলাদা হিসেবে। তবে তাদের বেশিরভাগই এ ব্যাপারে সাহায্য পেয়েছে প্রকৃতির কাছে।
কোনো কোনো গ্রাম আবার পুরোটাই মানুষের সৃষ্টি আর কল্পনায় হয়ে গিয়েছে অসাধারণ আর অন্যরকম গ্রামের তালিকাভুক্ত। আর এদের বাইরে আর একরকমের গ্রাম রয়েছে যার নিজস্বতা সৃষ্টিতে যতটা না সাহায্য করেছে প্রকৃতি, ততটাই মানুষ। মোটকথা মানুষ আর প্রকৃতির একেবারে অবিচ্ছেদ্য মিশেলে তৈরি হয়েছে এরা। নাম লিখিয়েছে অদ্ভূত আর আর দশটি গ্রামের চাইতে আলাদা গ্রামের তালিকায়। আসুন আজ জেনে নিই এমনই এক গ্রামের কথা।
জমজদের গ্রামের নাম শুনেছেন কখনো? এমন গ্রামের কথা জানতে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে রয়েছেন এমনি এক গ্রাম। ভারতের মালাপুরাম জেলার কেরালা রাজ্যের কোদিনহি গ্রামেরই আরেক নাম হচ্ছে জমজদের গ্রাম বা ‘টুইন টাউন’। শুনতে একটু অবাক করা লাগলেও সত্যি যে এ গ্রামটি আরো দশটা গ্রামের চাইতে আলাদা এর সৌন্দর্যের কারণে নয়, নয় এর কোনো নিজস্ব সংস্কৃতির কারণেও। বিশ্বের বুকে কোদিনহি গ্রামটি যদি আর কোনো কারণে পরিচিত হয়ে থাকে সেটি হচ্ছে এখানকার অধিবাসীদের জন্যে। এখানকার মানুষের জন্যে। ভাবছেন কি করেছে এখানকার মানুষ? না, কোনরকম চমকদার কাজ নয়, নয় কোন সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডও। নাম দেখেই নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন। এখানকার মানুষের একটিই নিজস্বতা আর অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে ঘন ঘন জমজ বাচ্চা জন্ম দেওয়ার প্রবণতা। আর জমজ না হলেও দেখতে হুবহু একই রকম চেহারা খুঁজে পাওয়া যায় এদের ভেতরে। বুড়ো থেকে শিশু- যেমনটা চাইবেন সেই বয়সের মানুষই পাবেন আপনি এখানে দুজন করে।
মুসলমান অধ্যুষিত এই গ্রামের অধিবাসীরা না চলাফেরা, না খাওয়া-দাওয়া বা সংস্কৃতি- কোনটাতেই খুব একটা আলাদা নয় ভারতের অন্যকোন স্থানের চাইতে। বিশেষ করে আশপাশের কেরালা রাজ্যের ভেতরে থাকা গ্রামগুলোর চাইতে তো নয়ই। কিন্তু তারপরেও একটি জায়গায় এসে আর সবার চাইতে প্রচন্ড রকম আলাদা হয়ে যায় এরা আর সবার চাইতে। আর সেটি হচ্ছে এখানকার জমজ শিশুর জন্মহার।
বিশ্বের অন্য যে কোন স্থানের চাইতে এই গ্রামে ছয় শতাংশ বেশি জমজ বাচ্চা জন্ম নেয়। ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ ১৫ টি জমজ বাচ্চা জন্ম নেয় এ গ্রামে। যেটা কিনা ছাড়িয়ে যায় বিশ্বরেকর্ড! গত ৫ বছরে এ সংখ্যা গিয়ে দাড়িয়েছে ৬০ টি জমজ শিশুতে। গত কয়েকবছর ধরে স্থানীয় চিকিৎসক ও জমজ শিশু নিয়ে উৎসাহী কৃষ্ণান শ্রীবিজু জানান যদিও বর্তমানে ২৫০ টি জমজের কথা এ গ্রাম থেকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, আসল সংখ্যাটি আরো বেশি।
‘আমার মতে বর্তমানে কোদিনহি গ্রামের সীমানার ভেতরে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টির মতন জমজ আছেন।’ বলেন তিনি। ‘সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে প্রতি বছর এদের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া। এটা এতটাই যে গত দশ বছরে কোদিনহির জমজদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে।’ গ্রামবাসীদের দেওয়া তথ্যানুসারে, এই জমজদের জন্ম প্রথম শুরু হয়েছিল তিন প্রজন্ম আগে। চিকিৎসকের মতে সেটা ছিল ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে। যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কিছু বলা সম্ভব নয় জানালেও শ্রীবিজুর ধারনা এখানকার এমন জমজ শিশুর অস্বাভাবিক জন্মহার এর অধিআসীদের খাবার আর পানীয়র সঙ্গে জড়িত। আর সেটাই যদি আসল কারণ হয়ে থাকে তাহলে এই পদ্ধতিতে নিঃসন্তান দম্পতিদের কিছুটা হলেও সাহায্য করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
অনেকের ধারনা গ্রামটির এমন অতিরিক্ত জমজ শিশু জন্ম নেওয়ার কারণ আর কিছু নয়, এর কোন এক ধরনের রাসায়নিক তেজষ্ক্রিয়তার প্রভাব। তবে সে ধারনাটিকে পুরোপুরি বাতিল করে দেন শ্রীবিজু। কারণ সেটাই যদি হত তাহলে এত সুস্থ আর সবল শিশু জন্ম নিত না।
বর্তমানে কোদিনহি গ্রামের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২,০০০ জন। আর এক পরিসংখ্যান অনুসারে, গ্রামের প্রতি হাজারজন শিশু প্রতি ৪৫ জন জমজ জন্ম নেয় এখানে। বর্তমানে এখানকার এই জমজ সন্তান জন্ম নেওয়ার খবর ছড়িয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। দ্য টুইনস অ্যান্ড কিনস অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি সংগঠনও প্রথমবারের মতন তৈরি হয়েছে এখানে। যদিও এখন অব্দি অনেকেই কেবল ধারনা দিয়ে গিয়েছেন কেবল এই গ্রামের এই বিশেষত্বের কারণ নিয়ে, আজ অব্দি কোনো সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু কোদিনহি গ্রামটিতেই নয়, এর মেয়েদের অন্য কোন স্থানে বিয়ে হলে সেখানেও জমজ বাচ্চা জন্ম দেওয়ার খবর শোনা যায়। সুতরাং ডাক্তার শ্রীবিজুর সঙ্গে পুরোপুরি একমত হওয়া যায় না যে এখানকার পানি কিংবা খাদ্যদ্রব্যেই কোন সমস্যা রয়েছে। অনেকের মতে এটা জিনগত ব্যাপার-স্যাপার থেকেই ঘটে চলেছে।
জমজদের গ্রাম হিসেবে কোদিনহিকে সবাই অনেক বেশি আলোচনায় নিয়ে আসলেও বাস্তবে কোদিনহি একা নয়, এর সাথে রয়েছে পৃথিবীর আরো দু-একটি গ্রাম। যেখানটায় জমজদের সংখ্যা ঠিক এই কোদিনহি গ্রামটির মতনই অস্বাভাবিক। এই যেমন- নাইজেরিয়ার ইগবো ওরা। ইগবো ওরার নারী-পুরুষদেরকে নিয়ে একটি গবেষনা চালায় ইউনিভার্সিটি অব লাগোস। আর সেখানেই তারা ধারনা করে খাবার আর পানীয়ের সঙ্গে হয়তো কোন সম্পর্ক রয়েছে এই জমজ সন্তানের। এ ব্যাপারে পুরোপুরি শ্রীবিজুর সঙ্গে একমত হয় তারা। তবে এক্ষেত্রে আরেকটি কথা উঠে আসে সামনে। আর সেটি হল ইগবো ওরার অধিবাসীদের খাদ্যাভ্যাস আর কোদিনহির অধিবাসীদের খাদ্যাভ্যাসের ভেতরে রয়েছে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তবে?
জমজদের গ্রামের তালিকায় ইগবো ওরা আর কোদিনহিকে সঙ্গ দিতে পাশে এসে দাড়িয়েছে ব্রাজিলের কানডিডো গডইও। অনেকে মনে করেন নাজি গবেষকদের কোনরকম গবেষনার ফল এটা। তবে সেটা ব্রাজিলের ক্ষেত্রে সত্যি হলেও ভারত কিংবা নাইজেরিয়ার জন্যে নয়। সত্যি বলতে গেলে, জমজ শিশু কেন এত অস্বাভাবিক পরিমাণে জন্ম নিচ্ছে এটা জানার জন্যে এই তিনটি স্থানেই নিজ নিজভাবে কাজ করা হলেও এখনো অব্দি কোন একটি সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। জানা যায়নি সত্যিকারের কারণ। রহস্য থেকে গিয়েছে আজ অব্দি রহস্যই! [সংগৃহীত]

51
Bangladesh Civil Service-BCS / বিসিএস চিরকুট
« on: October 30, 2015, 12:04:23 PM »
----------------------------
ভারত -পাকিস্তান মধ্যে যুদ্ধ হয় ৪বার
--------------------------------
১। ১৯৪৭-১৯৪৮
২। ১৯৬৫
৩।১৯৭১(৩-৬ ডি: )
৪।১৯৯৯ (কারগিল যুদ্ধ)

আরব-ইসরাইল যুদ্ধ হয় ৪বার
----------------------------------
১। ১৯৪৯সালে । ইসরাইল জয়ী। ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম।

২।১৯৫৬। মিশর সুয়েজখাল দখল করে।

৩।১৯৬৭। ৬দিনের যুদ্ধ। ইসরাইল জয়ী । ইসরাইল মিশরের গাজা, সিনাই উপদ্বীপ , সিরিয়ার গোলান মালভুমি ও জর্ডানের পশ্চিম তীর দখল করে নেয়।

৪। ১৯৭৩।যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরাইলের সহযোগী দেশেতেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলে তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরাইল সিনাই উপত্যকা ও গোলান মালভূমি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের অঙ্গীকার করলে ওপেক ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে তেল নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়।

52
সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়লেও বেসরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ছে না। অথচ দেশের চাকুরেদের বেশীরভাগ বেসরকারি খাতে কাজ করেন। ফলে বেসরকারি চাকুরেদের বেতন না বাড়ায় বিপদে নানামুখী বিপাকে পড়েছেন তারা। ইতোমধ্যে বেসরকারি চাকুরেদের দু-একটি সংগঠন বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে।

বেসরকারি চাকুরেদের ৪১টি খাতের নিন্মতম বেতন নির্ধারণ করে দেয় সরকারের গঠিত ‘নিম্নতম মজুরি বোর্ড’। বোর্ড নিজে থেকে বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে পারে না। তাই সরকারি নির্দেশনা না পেলে বেসরকারি চাকুরেদের বিষয়ে তাদের (বোর্ডের) কিছুই করার থাকে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব মিতসু শাওলিন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘যদি কোনো খাতের সংগঠন তাদের বেতন বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানায় তবেই মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে নতুন করে বেতন পর্যালোচনার সুযোগ হয়। আমরা উদ্যোগী হয়ে কিছু করতে পারি না।’

অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার মধ্য দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের। বিচার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা আসার কথা রয়েছে কয়েক দিনের মধ্যে।

কিন্তু, বেসরকারি চাকুরেদের বেতন বৃদ্ধি না পাওয়ায় তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেনন্টেটিভ এ্যাসোসিয়েশন(ফারিয়া), ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

আবার কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে দাবি জানাচ্ছে। গত ২৪ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে ওষুধ কোম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেজেনন্টেটিভদের (এমআর) সংগঠন ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ এ্যাসোসিয়েশন(ফারিয়া)-এর ঢাকা মহানগর শাখা।

বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিতে দেশব্যাপী প্রায় আড়াই লাখ এমআর কাজ করে। তাদের আলাদা কোনো বেতন কাঠামো নেই। নিজেদের নতুন বেতন কাঠামো গঠন ও বাজারমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সম্মানজনক বেতন নির্ধারণে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবি না মানলে আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে সংগঠনটি।

সংসার চালাতে হিমসিম

‘ইনফোসিস’ নামের বেসরকারি আইটি ফার্মে চাকরি করেন শফিক আহমেদ। থাকতেন আজিমপুর কবরস্থানের পাশের একটি এপার্টমেন্টে, ভাড়া ১৮ হাজার টাকা। সংসারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই বাসা ছেড়ে উঠেছেন কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি বাসায়, ভাড়া ১৫ হাজার টাকা।

শফিক আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বাজার খরচই অনেক বেড়ে গেছে। আসছে জানুয়ারিতে বাসাভাড়া বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিল মালিক। কিন্তু আমার বেতন বাড়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। তাই আগেই কম ভাড়ার বাসায় উঠলাম। কষ্ট করে ওলি-গলি দিয়ে যাতায়াত করতে হবে আর কী!’

আন্দোলনে বেসরকারি সংগঠন

শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। সংগঠনের নেতারা অবিলম্বে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। বেতন বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে শ্রমিক স্বার্থ নিয়ে কাজ করা এই সংগঠটির নেতা ওয়াজেদুল ইসলামসহ অনেকে বলছেন, ‘একই বাজারে সবাই যায়, পণ্যের দামও সমান। তাই সরকারি-বেসরকারি চাকুরেদের বেতনের সামঞ্জস্য আনা দরকার।’

সরকারি বেতন-ভাতার অংশ (এমপিও-মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) পাওয়ার দাবি জানিয়ে কয়েকদিন যাবত শহীদ মিনার এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এই আন্দোলন এখনো চলছে।

এমপিও’র বাইরে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মো. এশারত আলী বলেন, ‘বেতন বৃদ্ধির কথা কার কাছে বলব? ঠিকমতো বেতনই তো পাই না। সরকার এমপিওভুক্তির মাধ্যমে আমাদের স্বীকৃতি দিক। এটাই আমাদের চাওয়া। শিক্ষকদের অভুক্ত রেখে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না।’

বেতন বাড়ানোর দাবি সবার

সাংবাদিকরা সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের দাবি মিডিয়ায় তুলে ধরেন। বেসরকারি খাতের কাজ করাদের মধ্যে তারাও রয়েছেন। এই খাতে সরকার ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করলেও প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো তা পালন করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

তাই চলমান অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন ও নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণার দাবি ইতোমধ্যে তুলেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘সংবাদপত্রে অষ্টম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা হয়েছে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর কয়েকদফা বাজারের পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আরেক দফা পণ্যমূল্য বেড়েছে। তাই সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বেতন বৈষম্য কমানোর জন্য নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণার দাবি জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি দল আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই সরকারি কর্মচারীদের বেতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো উচিত।’

বেতন না বাড়লেও পণ্যমূ্ল্য বেড়েছে

অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর পণ্যমূল্য আগের থেকে বেড়েছে। কিন্তু বেসরকারি চাকুরেদের বেতন বৃদ্ধি না পেলেও বাড়তি দামে বাজার করতে হচ্ছে। এটা বৈষম্যমূলক বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে বেতনে মূল অংশের (বেসিক) বাড়তিটুকু পাবে। ভাতা বাড়বে ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে।

এই পদ্ধতিটি নিত্য-পণ্যের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বেসরকারি চাকরিজীবীরা।

একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন শফিকুল ইসলাম। তার মতে, ‘এইবার বেতন বাড়ার উপলক্ষে একবার বাজারে নিত্য-পণ্যের দাম বেড়েছে। আগামীবার ভাতা বাড়ার সময়েও পণ্যের দাম বাড়াবে ব্যবসায়ীরা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মূলত বেসরকারি খাতের মানুষ।’

বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের সভাপতি হানিফ উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে দ্য রিপোর্টকে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি পেশাজীবীদের অবশ্যই বেতন-ভাতা বাড়ানো দরকার। এদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণীর খেটে খাওয়া মানুষের মজুরিও নির্ধারণ হওয়া উচিত বলে মনে করি।’

(দ্য রিপোর্ট/বিকে/আইজেকে/এনআই/অক্টোবর ২৯, ২০১৫)

53
Islam / ইসলাম ও হিজরী সন
« on: October 16, 2015, 10:23:57 AM »
ইসলাম ধর্মে হিজরী সনের গুরুত্ব নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে একটি সম্পাদকীয় (১৬.১০.২০১৫).

54
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়ে একটি বাস্তবধর্মী রিপোর্ট। দৈনিক যুগান্তর, ১৪,১০,২০১৫.

55
1.Fazail e Amaal is collection of Nine books in two volume on virtues/Fazail of different acts like Salat, Quran, Rememberance of Allah, Dawah o Tabligh, Fasting and Ramzan, Haj and Umrah, Charity and Huququl Ibad (Personal Social relation and Obligations).Two other books are Stories of Sahaba and Present Degeneration of Muslims and its Remeady.

2.The purpose of Fazail e Amaal to encourage muslim to be connected with Quranic Life.Fazail/virtues of acts/worship strengthen belief on the Rewards of Allah e.g. If I pray Salat with Jamaat/congregation Allah will give reward 27 times more, strong belief on the promises of Allah is the key for moving towards Quranic commands and Islamic way of life.

3.In Fazail e Amaal On each Topic Quranic Ayats Ahadith has been put together with great efforts by Sheikhul Hadith(Person who teaches Bukhari Shareef) Maulana Muhammad Zakariyya (Rah), one of the most distinguished scholar of Islamic World of Last century.

4.In covering different topics Hadhrat sheikh has mentioned Hadith touching the collateral topics also. For example if Hadith is about Salat in which some mention about Child Family Tarbiat (Care) has been done. Then sheikh in commentary will give the related Ahadith about Family Care also. This has made the book very useful and effective for encouraging towards Quranic Life.The millions of people benefiting from, is a reflection of Allah acceptance for the book and writer.


5.Without any doubt Fazail e Amaal has benefited hundreds of millions all over the world not only giving Ilm but connecting them with Quranic Life. Islam is a way of Life and not a philosophy and Practical Islamic life is very important for spreading Islam.

6.Although Sheikhul hadith Maulana Zakaria has written Fazail e Amaal in accordance with the principles laid down by Great Imams/Scholars on issues like use of weak Ahadith for encouragement, etc.........Even Imam Bukhari R.A.has used weak Ahadith in his book Al Adabul mufrad as it was a book of Fazail, Same case with Ibne Taimmiya R.A. also..................
Sheikh Zakaria himself was an scholar of Bukhari, taught Bukhari Shareef for nearly 20 years in India and Madeena, he even has done scholary work on it ..........................................some muslim groups has some reservation on certain aspect like weak Ahadith etc. These issues are broad in ummat and not only related with book Fazail e Amaal and almost all Muhaddith/Imam among Salafus Salehin has agreed that weak Ahadith are permissible in Virtues/targeeb/Encouragement. Still...........if someone is not Comfortable with Fazail e Amaal.He may go in Jamaat/take part in the Dawah effort of Tablighi Jamaat without using Fazaile Amaal.They may use other books as below mentioned...........
................


@ Some Groups/Brothers make a Propaganda and claim that Fazail E Amaal is only book read in Tablighi Jamaat and Ijtema.

1.First of all in Weekly Ijtema Fazail e Amaal is not read at all. In weekly Ijtema Ahadith and life of prophet and Sahaba (collected in book Hayatus Sahaba) is Read Only.

2.For Individual Taleem You can chose Tafseer/Hadith/any Islamic Book of Your choice.

3.When you are in Jamaat in collective Taleem Tableeghi Jamaat Uses these Four Books.1.Muntakahab Ahadith 2.Fazail e Amaal 3. Hayatus Sahaba 4. Riyadhus Salehin.

4.Out of this Muntakhab Ahadith (Collection of Quranic Ayats and Authentic Ahadith and no Commentry/Stories) is very Popular.So they may use Muntakhab Ahadith.


1.It is a total misconception/allegation that Fazail-e-A’mal is the guide book of Tableegh Jama’at.
2.The concept of Tableegh Jama’at was not derived from this book, nor is the jama’at dependant on this book to do the work of tableegh.

3.They thought it necessary to stipulate such a book that would encourage people towards good deeds/Virtues of Emaan and Amaal e Saliha,thats why Fazail e Amaal book.

4However, it is not compulsory upon each an every person who joins this effort to read Fazail e Amaal.

5.Many Places in India and allover the world are using Muntakhib Ahadith(collection of Quranic Ayah and Ahadith on Iman, Salat, Ilm O Zikr, Ikram E Muslim, Ikhlas E niyah,Dawat E Ilallah,and Tark e Layani. ) and Hayatus Sahaba.

6.Many of the Arabs who are doing this effort chose to read Riyadu-s-Saliheen instead, and they are carrying on with the work of Dawat-o-Tabligh.

7. Therefore, it is totally incorrect to regard this book as the guide book of Tableegh Jama’at.


Tabligh door is open 24X7.
Come and understand it before making Allegation and confusing Muslims.

The guide book for all Muslims are only Quran and Ahadith.

May Allah save all muslims to be on truth and to prepare for Akhirah.

56
হজ্বের ফরয তিনটি:
১. ইহরাম বাঁধাপর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও আরাফায় অবস্থান করা
২. উকূফে আরাফা অর্থাৎ ৯ই যিলহজ্ব জোহরের পর থেকে ১০ই যিলহজ্বের সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও আরাফায় অবস্থান করা
৩. তাওয়াফে যিয়ারাত করা অর্থাৎ ১০ই যিলহজ্ব থেকে ১২ই যিলহজ্ব সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হজ্বের তাওয়াফ করা।

হজ্বের ওয়াজিবসমূহ:
১. ৯ই যিলহজ্ব রাতের শেষে অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত উকূফে মুযদালিফার সময়। ( উক্ত সময়ের মধ্যে একমিনিটের জন্যও যদি কেউ মুযদালিফার সীমানায় আসে তাহলে উকূফে মুযদালিফার ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।)
২. সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করা
৩. নির্দিষ্ট দিনগুলোতে জামারাতে কংকর মারা
৪. কিরান বা তামাত্তু হজ্বকারীর জন্য কুরবানী করা
৫. হালাল হওয়ার জন্য মাথার চুল মুন্ডানো বা ছাঁটা
৬. মীকাতের বাইর থেকে আগমনকারীদের জন্য বিদায়ী তাওয়াফ করা। (বাংলাদেশী হাজ্বীদের জন্যও এই তাওয়াফ ওয়াজিব।)

Pages: 1 2 3 [4]