Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Ishtiaque Ahmad

Pages: 1 [2] 3 4 ... 10
16
ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘বিটকয়েন’ (bitcoin) এর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে বিটকয়েন ফাউন্ডেশনের সদস্যপদ পেয়েছে। কিন্তু বিটকয়েন কি, কিসের জন্য? কি কাজে প্রয়োজন? এরকম নানাবিধ প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে বাংলানিউজ তার পাঠকদের জন্য  নিয়ে এসেছে বিটকয়েন-এর উপর ধারাবাহিক প্রতিবেদন। প্রথম পর্বে থাকছে  ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘বিটকয়েন’ পরিচিতি।

সাধারণত কাগজের তৈরি প্রচলিত মুদ্রা বা এ সংশ্লিষ্ট কোন ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্বলিত বস্তু ব্যবহার করে বাস্তব জীবনে এবং অনলাইনে লেনদেন সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো আপাতঃ দৃষ্টিতে কোন প্রকারের সমস্যা ছাড়াই মিটিয়ে ফেলা যায়। তবে বর্তমানে ব্যবহৃত এটিএম কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড অথবা অন্য ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্বলিত বস্তুগুলো ব্যবহারে দুটি বড় সমস্যা রয়েছে।

এসবে লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহক ও গ্রহিতা উভয়কে তৃতীয় কোন পক্ষের উপর ‘ট্রাস্ট’ বা আস্থা রাখতে হয়, উদাহরণস্বরূপ ব্যাংক। তৃতীয় পক্ষ এই ব্যাংকে উভয় পক্ষ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের মুদ্রা পরিশোধ করে, যেটিকে ইংরেজীতে বলে ‘ডাবল স্পেন্ডিং’।

বিটকয়েনের উৎপত্তি
উপরোক্ত সমস্যার সমাধানে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে একব্যক্তি ২০০৮ সালের অক্টোবার মাসে ৯ পৃষ্ঠার “Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System” নামক এক গবেষণা প্রস্তাবনা অনলাইনে প্রকাশ করে। যেখানে প্রথম বিটকয়েন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপে বলা হয়, একটি পিয়ার-টু-পিয়ার (peer-to-peer) ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা পরিশোধের ব্যবস্থা প্রয়োজন, যেটির মাধ্যমে একজন অন্যজনকে কোন তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কাছে না গিয়েই লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে। একই সঙ্গে ‘ডাবল স্পেন্ডিং’ থেকে বিরত থাকতে পারবে। এই ব্যবস্থায় সব ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হবে আস্থার পরিবর্তে ‘কাজের (লেনদেন) প্রমাণের’ ভিত্তিতে এবং সব ধরনের লেনদেন একটি নিদিষ্ট নেটওয়ার্কে লিপিবদ্ধ হবে।

প্রস্তাবনা প্রকাশের পর থেকে সাতোশি বিটকয়েন ‘মাইনিং’ এর জন্য প্রথম সফটওয়্যার তৈরি করে। ‘মাইনিং’ হচ্ছে যে পদ্ধতিতে বিটকয়েন তৈরি করা হয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সাতোশি প্রথম বিটকয়েন মুদ্রা রিলিজ করে।

এই সাতোশি নাকামোতোর আসল পরিচয় আজও অজানা।

বিটকয়েন কি?
সুতরাং ‘Bitcoin’ – ইংরেজীতে B, ক্যাপিটাল লেটারে– হচ্ছে একটি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক যেখানে আস্থাভাজন তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই মুদ্রার মালিকানা পরিবর্তন সম্ভব, আর এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত একক হচ্ছে ‘bitcoin’- ইংরেজীতে b, স্মল লেটারে – যেটি সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল উপায়ে ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে কম্পিটার কোডিং ব্যবহার করে তৈরি হয়।

বিটকয়েনের বৈশিষ্ট্য
সম্পূর্ণ ডিজিটাল উপায়ে তৈরি, বাস্তবে এটির কোন ফিজিক্যাল (physical) অস্তিত্ব নেই। কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি নিয়ন্ত্রণ করেনা। ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী এটি ব্যবহারের ফলে এর মুদ্রা ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। পিয়ার-টু-পিয়ার ব্যবস্থার কারণে কোন প্রতিষ্ঠান বা মিডলম্যান ছাড়াই সরাসরি লেনদেন সম্পন্ন হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহৃত হওয়ার কারণে উপযুক্ত অনুমতি ছাড়া বিটকয়েনের অ্যাকসেস নেওয়া  অসম্ভব।  সর্বোপরি, বিটকয়েনে  সম্পূর্ণরূপে ছদ্দনামে লেনদেন সম্ভব।

প্রচলিত মুদ্রা এবং বিটকয়েনের মধ্যে পার্থক্য
পৃথিবীব্যাপী ব্যবহৃত প্রচলিত মুদ্রাগুলো মূলত কাগজের তৈরি। যেকোন প্রকারের সেবা আদান-প্রদানের হিসাব নিকাশের মূলে থাকে কাগজের তৈরি মুদ্রা। যে উপায়েই সেবা আদান-প্রদানের করা হোকনা কেন, মুখোমুখি সেবা দেওয়া-নেওয়া, অনলাইনে সেবা দেওয়া-নেওয়া, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা আদান-প্রদান ইত্যাদি।

ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে তৈরি করা বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। প্রচলিত মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যকার প্রধান পার্থক্য হলো- ফিজিক্যাল অস্তিত্বের কারণে প্রচলিত মুদ্রা হাতে হাতে ব্যবহার করা যায়, হাতে নেওয়া যায়। অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি শুধু ব্যবহার করা যায়। ভার্চুয়াল অথবা ডিজিটাল হওয়ার কারণে এটি শুধু ব্যবহার করা যায়,কখনো হাতে নেওয়া সম্ভব নয়।

বিটকয়েন যেভাবে কাজ করে
পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক হওয়ার কারণে বিটকয়েনের ট্রানজিকশন বা লেনদেন সেবা দাতা ও গ্রহিতার ‘ওয়ালেট’ থেকে ‘ওয়ালেটে’ সম্পন্ন হয়। ‘ওয়ালেটে’ বিটকয়েন সঞ্চিত রাখা থাকে। এটি অনলাইন বা অফলাইন দু’রকমেই হতে পারে। একজন বিটকয়েন ব্যবহারকারীকে দুটি ‘কি’ (Keys) ব্যবহার করতে হয়। একটি ‘পাবলিক কি’ (Public Key), এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অন্যটি ‘প্রাইভেট কি’ (Private key), এটি সর্বদা গোপন থাকে এবং লেনদেনের নিশ্চয়তার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ট্রানজিকশনের ইতিবৃত্ত একটি উম্মুক্ত খতিয়ানে (পাবলিক লেজার) রেকর্ড করা থাকে, যাকে ‘ব্লক চেইন’ (Block chain) বলে। এক্ষেত্রে ‘পাবলিক কি’ ব্যবহার করা হয় এবং একই লেনদেন একই ব্যবহারকারীর মাধ্যমে পুনরাবৃত্তি করা যায়না। ব্লকচেইনে সর্বপ্রথম ট্রানজিকশনের হিসাব থেকে আজ পর্যন্ত সব হিসাব সংরক্ষিত আছে এবং নিয়মিতভাবে আপডেট হচ্ছে।

বিটকয়েনের অপকারিতা
তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ লেখক কেন হাসের মতে, বিটকয়েনের কয়েকটি অপকারিতা রয়েছে। প্রথমতঃ লেনদেন পুনরাবৃত্তি না করতে পারার কারণে, সেবা গ্রহিতা সংশ্লিষ্ট সেবা না পেলে, মুদ্রা ফেরত পাওয়ার কোন উপায় নেই। দ্বিতীয়তঃ বিটকয়েন ‘ওয়ালেট’ হারিয়ে বা নষ্ট (ড্যামেজ) হয়ে গেলে এটি আর ফিরে পাওয়া যায়না। যেটি আমাদের ব্যবহৃত মানিব্যাগ বা মুদ্রার ক্ষেত্রে প্রজোয্য নয়।

তৃতীয়তঃ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন খুব বেশি অস্থিতিশীল।

চতুর্থতঃ যদিও বিটকয়েনর ব্যবহার ক্রমান্নয়ে বাড়ছে, কিন্ত সেটি প্রচলিত মুদ্রার তুলনায় খুবিই সীমিত পরিসরে। সুতরাং এটিকে প্রচলিত মুদ্রায় পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে হয়। সর্বোপরি, বিটকয়েনে কোন ক্রেডিট ব্যবস্থা নেই। যদিও এটি একটি ভাল দিক, কিন্ত বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতি চলছে ক্রেডিট নির্ভর। ক্রেডিটের উপর ভিত্তি করে আমরা অগ্রীম সেবা নিয়ে থাকি।

বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী
বর্তমানে ৪৫৪ রকমের ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বব্যাপী কমবেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এর মধ্যে Litecoin এবং  Ripple অন্যতম। অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো বিটকয়েনের মত এতটা ব্যবহৃত হয়না। আপাতদৃষ্টিতে Litecoin-কে বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হলেও, এটির সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।
 
বিশ্বখ্যাত ব্রান্ড/কোম্পানি যারা বিটকয়েন  নেন
বাস্তব জগতে বিটকয়েন এর বিনিময়ে প্রথম কোন পণ্য কেনা হয় ২০১০ সালের ২১ মে, যখন বিটকয়েন ব্যবহারকারী লাসজলো (Laszlo) ১০ হাজার বিটকয়েন মুদ্রার বিনিময়ে ২৫ ডলার মুল্যের একটি পিৎ’জা কেনেন।

বিশ্বব্যাপী ৩০ হাজার এর বেশি ব্যবসায়ী এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিটকয়েন নেন। মার্কিন শেয়ারবাজার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাসদাকের তথ্যমতে, ইউএস ভিত্তিক অনলাইন খুচরা বিক্রেতা  Overstock.com, ইউকে ভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্রায়ানসন পরিচালিত বিমান সেবা প্রতিষ্ঠান Virgin Galactic, জনপ্রিয় বিনামূল্যে ব্লগিং প্লাটফরম Wordpress,  জনপ্রিয় মোবাইল গেইমিং কোম্পানি Zynga, আন্তর্জাতিক ই-কমারস পেমেন্টস ওয়েবসাইট PayPal, অ্যামেরিকান গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান Tesla Motors, অনলাইন ডেটিং ওয়েবসাইট OkCupid, এবং জনপ্রিয় টরেন্ট সাইট The Pirate Bay বিটকয়েনের মাধ্যমের তাদের সেবা আদান-প্রদান করে থাকে।

17
পৃথিবী থেকে বহু কোটি বছর আছে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণি ডাইনোসর যে কতো রকম আকার ও প্রকারের ছিল তার লেখাজোখা নেই। কোনো কোনোটা যেমন ছিল প্রকাণ্ড আয়তনের, তেম্নি আবার কোনো কোনোটা ছিল অতিশয় ক্ষুদ্রাকৃতির। আকারের দিক থেকে যেমন, তেমনি নানা প্রজাতির ও প্রকারের ছিল এরা। কোনো কোনোটা ছিল যেমন মাংসাশী, তেম্নি কোনো কোনোটা ছিল তৃণ ও উদ্ভিদভোজী।

এবার উত্তর আমেরিকা অঞ্চলে এক ধরনের তৃণভোজী ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া গেছে। এই ডাইনোসর আকারে এবং দেহ-কাঠামোর দিক থেকে দেখতে ছিল অবিকল কুকুরের মতো। এরা আকারে ল্যাব্রাডর কুকুরের সমান বড় হতো। পুরো দেহটা কুকুরের মতো হলেও অমিলটা ছিল মুখের আকৃতিতে। এদের মুখের সামনে ছিল বিরাট বাঁকানো ঠোঁট। তৃণভোজী এই ডাইনোসরের বৈজ্ঞানিক নাম লেপতোসেরাপতোপদিস। এরা আজ থেকে প্রায় ১০ কোটি বছর আগে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের পূর্বাংশে বিচরণ করতো।

 লেপতোসেরাপতোপদিসরা ছিল ত্রাইসেরাতোপস নামের অতিকায় উদ্ভিদভোজী ডাইনোসরদের গোত্রের। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এই কুকুর-আকৃতির ডাইনোসরের ফসিল খুঁজে পেয়ে এদের নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। এই ডাইনোসরদের দাঁত ছিল নিচের দিকে বাঁকানো এবং বাইরের দিকে বের করা। তবে এদের সামনের দিকে বাঁকানো চোয়াল সরু হতে হতে আগার দিকে ছিল পাখির ঠোটেঁর আকৃতির।

কুকুরের মতো দেখতে ছিল বলে সংবাদমাধ্যমের খবরের শিরোনামটাও করা হয়েছে কিছুটা কৌতুকের মিশেল দিয়ে: ‘Dinosaur the size of a DOG discovered - but would you keep it as a pet?’

যেখানটায় এই কুকুর আকৃতির ডাইনোসরের ফসিলটা  পাওয়া গেছে সেখানে আরো অনেক প্রজাতির ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

18

কোকোবীজ ও গ্রিন টি’তে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো ডায়াবেটিস ও মূত্রাশয়ের বিভিন্ন জটিলতা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ব্রাজিলের নতুন এক গবেষণায় একথা বলা হয়েছে।

এনডিটিভি জানায়, গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোকোবীজ ও গ্রিন টি পডসাইটস সেলের মৃত্যুহার হ্রাস করে। পডসাইটস সেলটি মূত্রে প্রোটিন নির্গমন আটকাতে সাহায্য করে।

আর কোকোবীজ ও গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনল ও থিমব্রমাইন ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের ক্ষতি হওয়ার হার কমাতে সক্ষম।

বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে ইঁদুরের উপর এ সংক্রান্ত পরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছেন। তবে মানবদেহে এখনও এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়নি।

যদিও কোকোবীজ ও গ্রিন টি তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি উপদান থাকার বিষয়টি এখন পর্যন্ত প্রমাণিত।

19
উপ-মহাদেশে কার্ভিক্যাল ক্যানসারের মাত্রা কমে এলেও, স্থূলতা ও লাইফস্টাইলের ভিন্নতা কারণে ব্রেস্ট ক্যানসারের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের অ্যাসোসিয়েশন অব গাইনিকোলোজিক অনকোলজিস্টসের প্রেসিডেন্ট ডা. নিরজা ভাটিয়া।

নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যানসারের মধ্যে কার্ভিক্যাল ও ব্রেস্ট ক্যানসার বেশি দেখা যায়। কিন্তু এ দু’প্রকার ক্যানসারই নিরাময় করা সম্ভব। অ্যাসোসিয়েশনের ২৩তম বার্ষিক কনফারেন্সে তিনি একথা জানান।

অন্যদিকে, নিউইয়র্কভিত্তিক গাইনিকোলোজিক অনকোলজিস্ট ডা. শশীকান্ত লেলে জানান, ভারতে প্রতি বছর দেড় লাখ নারী বিভিন্ন ক্যানসারে ভোগেন।

অন্য এক বিশেষজ্ঞ ডা. রামা জোশি বলেন, ভাকসিন দিয়ে কার্ভিক্যাল ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু ব্রেস্ট ক্যানসারের ক্ষেত্রে ৩০ বছর বা এর বেশি বয়সী নারীদের ক্যানসারের পরীক্ষা করা উচিত।

বক্তব্যের মধ্যে ক্যানসার সংশ্লিষ্ট আরও তথ্য উঠে আসে। বাড়তি ওজন ব্রেস্ট ক্যানসারের হারকে বাড়িয়ে তোলে বলে উল্লেখ করেন ডা. জোশি।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, রাত জেগে কাজ করা ও সারাক্ষণ উজ্জ্বল আলোতে থাকার ফলেও ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে।

23
Thanks for sharing.. Very informative

25
Thanks for sharing.. Very informative post

29

বেশি মানসিক চাপের কারণে মানুষের, বিশেষ করে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। চামড়ায় দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ।

নতুন এক গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একথা বলেছেন। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও ত্বকের বেশ কিছু সমস্যার প্রার্দুভাবের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তারা।

এজন্য দৈবচয়ণ পদ্ধতিতে ৪০০ জন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে বাছাই করেন গবেষকরা। কম চাপ, মাঝামাঝি চাপ ও মারাত্মক চাপ এই তিন ধরনের ভাগ করে তাদের ওপর গবেষণা চালানো হয়। এতেই বেশি মানসিক চাপের সঙ্গে নানা ধরনের ত্বক সমস্যার যোগ দেখা যায়।

গবেষকদের মতে, যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভোগে তাদের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই অন্যদের তুলনায় খসখসে ত্বক, চুল পড়া, তৈলাক্ত ত্বক, খুশকি, দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম, ফাটা ত্বক, ভঙ্গুর নখ, হাতের ত্বকে ফুসকুড়ি এবং টাক সমস্যা দেখা দেয়।

ত্বক-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং গবেষক গিল  ইয়োসোপোভিচ বলেন, "আগের গবেষণাগুলাতে চাপ এবং ত্বকের সমস্যার যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে। যদিও ওই গবেষণাগুলো ছোট পরিসরে করা হয়েছে, মানসম্মত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়নি, অনেকটা ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে করা হয়েছে এবং ত্বকের একটি মাত্র সমস্যাকে সামনে রেখে পরীক্ষা করা হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমাদের গবেষণা মানসিক চাপের সঙ্গে ত্বকের সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেছে এবং চিকিৎসকদের এসব সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের মানসিক চাপ কমানোর পরামর্শ দেয়ার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেছে।"

30
Cold / Flu / ম্যালেরিয়া ঠেকাবে মশা!
« on: November 29, 2015, 12:38:11 PM »

ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী যে মশা, এবার সেই পতঙ্গটিকে এই রোগ ঠেকানোর কাজে লাগাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এক ধরনের জেনেটিক্যালি মডিফাইড (জিএম) মশা উদ্ভাবন করেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে, যা ম্যালেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

বিজ্ঞানীরা  বলছেন, গবেষণাগারে যে কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে কাজে আসলে মশার কামড়ে মানবদেহে ম্যালেরিয়ার পরজীবী ছড়িয়ে পড়া বন্ধে এটি হবে এক নতুন উপায়।

জিন এডিটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা মশার ডিএনএ তে একটি নতুন ধরনের জিনের প্রবেশ ঘটিয়েছেন।

এই নতুন জিএম মশা অন্য মশার মিশে বংশবিস্তার করলে তখন ওই মশাগুলোও একই ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে জন্মাবে। ফলে এসব মশা মানুষকে কামড়ালেও ম্যালেরিয়ার পরজীবী মানবদেহে ছড়াবে না।

সারা বিশ্বে প্রায় তিনশ’ কোটি ২০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের দাবি, জেনেটিক্যালি মডিফাইড মশারা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

এই মশাদের পরবর্তী তিন প্রজন্মের মধ্যে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা বিরাজ করবে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা। মশার অন্যান্য প্রজাতির ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি কাজ করবে বলে আশা করছেন তারা।

বিজ্ঞানীরা একে ম্যালেরিয়া পরজীবীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র  মনে করলেও চূড়ান্ত অস্ত্র বলে মনে করছেন না।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 10