Daffodil International University
DIU Activities => Permanent Campus of DIU => Topic started by: Reza. on March 10, 2018, 11:01:02 PM
-
মনে আছে আগে আমার একটি ইয়াশিকা ক্যামেরা ছিল। তাতে ফিল্ম ভরতে হত আর সেটা পুরাই ম্যানুয়াল ছিল। সেটা পুরাপুরি লেটেস্ট না হলেও কাজ চলত। কোন দিক দিয়ে দিন গেল বুঝতে পারি নাই।
এক অনুষ্ঠানে আমার এক বন্ধুকে আমার ইয়াশিকা ক্যামেরা দিয়ে আমার একটি ছবি উঠাতে বলেছিলাম। সবার হাতে হাতে তখন ডিজিটাল ক্যামেরা। সে আমাকে আশ্চর্য করে আমার ম্যানুয়াল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে দিতে অস্বীকার করে। এর কয়েক মাস পর আমি ডিজিটাল ক্যামেরা কিনি। আবারো কোন দিক দিয়ে সময় চলে গেল। এখন সবার হাতের মোবাইলেই ক্যামেরা থাকে।
ভেবে দেখলাম সব জিনিসের দাম বা মুল্য বাড়লেও - কমেছে ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসের দাম। আগে শুধু নাম করা দোকানে এইসব জিনিশ পাওয়া যেত। এখন অনেক কিছুই দেখি ভ্যান গাড়ি এমনকি ফুটপাথেও পাওয়া যায়।
ভাবতেছিলাম মোবাইলে এখন কোন জিনিসটা নাই? অনেক ভেবেও শুধু মনে হচ্ছে যে কেবল মাত্র এতে আমাদের খাদ্য উপকরণ আমরা পাই না। এছাড়া একটি মোবাইল নিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দেয়া যায়।
আমাদের টেকনোলজি অনেক দ্রুত উন্নতি লাভ করতেছে। একটি বইয়ে পড়েছিলাম যে এমন একটি সময় আসবে যে টেকনোলজী আপগ্রেডের ফলস্বরূপ একজন মানুষের তার লাইফ টাইমে দুই তিন বার পেশা পরিবর্তন করতে হবে।
আমাদের চোখের সামনেই এর উদাহরণ আছে। আগে পেপারে কর্মখালীর বিজ্ঞাপনে টাইপিস্ট চাওয়া হত। যাদের কাজ ছিল টাইপ রাইটারে টাইপ করা। এখন এই টাইপিং কম্পিউটারে করা হয়। তাই গতানুগতিক টাইপিস্ট পদটি এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। টাইপিস্টরা এখন অন্য কোন পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। এই প্রসঙ্গে শর্ট হান্ডের কথাও চলে আসে। আগে অফিস সহকারীর টাইপিং ও শর্ট হ্যান্ড জানা অত্যাবশ্যকীয় ছিল। এখন শর্ট হ্যান্ডের আর কোন প্রয়োজন নাই।
-
টাইপিস্টদের তখন সাধু ভাষায় বলা হত সাটলিপিকার। তাদের নিয়োগের সময় পরীক্ষা করে দেখা হত বাংলা ও ইংরেজীতে তারা কত দ্রুত টাইপ করতে পারে। প্রতি মিনিটে কয়টি শব্দ টাইপ করতে পারতে হবে তাও উল্লেখ করা থাকতো চাকুরীর বিজ্ঞাপনে। বাংলা ও ইংরেজীতে আলাদা আলাদা ভাবে কয়টি শব্দ টাইপ করতে হবে তার স্ট্যান্ডার্ড ছিল।