Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: nmoon on April 26, 2015, 04:13:02 PM

Title: গরমে শিশুদের সুস্থ রাখার ৭টি টিপস
Post by: nmoon on April 26, 2015, 04:13:02 PM
গরমে অস্থির সবাই হয়। কিন্তু বড়রা নিজেদের কে সামলে নিতে সক্ষম। সবচে বেশি দুর্বল হয়ে যায় শিশুরা, তাই তাদের দিকে একটু যত্নবান হতে হবে। সুতরাং তাদের দিকে খেয়াল একটু বেশিই রাখতে হয়। বেশির ভাগ স্কুলেই এই সময় পরীক্ষা চলে। ফলে পড়াশোনার চাপ, স্কুল, খেলাধুলো সবকিছু বজায় রাখতে শিশুরা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়ে।
তাই গরমে শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু টিপস-
শিশুকে সবসময় সঙ্গে পানির বোতল দিন-গরমে সকলেরই সারাদিন প্রচুর পানি খাওয়া উচিত্‍। বাচ্চারা খেলাধুলো করার কারণে ঘাম বেশি হয় ফলে ওদের পানির প্রয়োজনও হয় বেশি। পানি বেশি খেলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা কমে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকে। আবার পরিশোধিত পানি না খেলে এই জল থেকেই রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি। তাই বাচ্চাদের যখনই বাড়ির বাইরে পাঠাবেন সবসময় সঙ্গে পানির বোতল দিন।
টাটকা ফল ও লেবুর রস-বাচ্চাদের টাটকা ফলের রস, ডাবের পানি, বাটারমিল্ক বা লেবুর রস রিফ্রেশমেন্ট হিসেবে খেতে দিন। এতে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থেকে শিশুদের ক্লান্তি দূর হবে।
হালকা রঙের জামাকাপড় পরান-গরমে বাচ্চাকে সবসময় হালকা রঙের জামাকাপড় পরানোর চেষ্টা করুন। হালকা রঙ গরম তাড়াতাড়ি শুষে নিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
সানস্ক্রিন-বাচ্চাদের ত্বক নরম ও সংবেদনশীল হওয়ায় গরম কালে র‌্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাইরে খেলতে পাঠানোর সময় চেষ্টা করুন ভাল সানস্ক্রিন লাগিয়ে রোদে পাঠাতে। ভাল এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন শিশুদের ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির থেকে রক্ষা করবে।
ফাস্ট ফুড থেকে দূরে রাখুন-পিজা, পাস্তা, বার্গার থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। তার বদলে তরমুজ, শশা জাতীয় ফল, বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খেতে দিন শিশুকে।
ইনসেক্ট রিপেল্যান্ট -গরম কালে পোকামাকড়ের কামড়, লালা থেকে অনেক সময় ইনফেকশন হয়। ঘামে বাড়তে পারে সেই ইনফেকশন। তাই বাচ্চাকে বাইরে পাঠানোর সময়, বিশেষ করে সন্ধেবেলা ইনসেক্ট রিপেল্যান্ট লাগিয়ে পাঠান।
রাতে সবসময় মশারি টাঙিয়ে শোওয়ান। গরমে মশারি টাঙাতে না ইচ্ছা না করলে অবশ্যই মসকিটো রিপেল্যান্ট লাগিয়ে দিন বাচ্চাকে।
দুপুরে বাচ্চাকে বাড়ির বাইরে বের করবেন না-দুপুর বেলা, মূলত ১২-৪টের মধ্যে শিশুকে বাড়িতে রাখার চেষ্টা করুন। বিকেল বেলা খেলতে পার্কে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু দুপুরের রোদে বাচ্চাকে বাইরে না বের করাই ভাল।