Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mohammad Salek Parvez

Pages: 1 ... 5 6 [7]
91
Teaching & Research Forum / Math : Easy or Difficult ? –– 2.
« on: January 26, 2014, 12:52:30 PM »
অঙ্ক নিয়ে মাথা ঘামায় এমন একটি প্রতিষ্ঠান আছে আমেরিকাতে । নাম  Clay Mathematics Institute . ২০০০ সালের গোঁড়ার দিকে কিছু expert mathematician এর সাহায্যে নিয়ে ওরা খুঁজে বের করল এমন কঠিন কিছু অঙ্ক যেগুলোকে বহু বৎসর ধরে চেষ্টা করেও সমাধান করা যাচ্ছে না। ব্যাস ! অতঃপর ঐ তালিকা থেকে  মাত্র ৭ টি অঙ্ক বেছে নিয়ে ঘোষণা দিল, যে কোন একটি অঙ্ক সমাধান করতে পারলে $ 10,00,000 পুরস্কার দেয়া হবে। শর্ত হল, সমাধান পেশ করার পর ২ বৎসর অপেক্ষা করতে হবে ; সমাধানটা পরীক্ষা করা হবে দুনিয়ার বাঘা বাঘা গণিতজ্ঞদের দিয়ে। সে পরীক্ষায় যদি সমাধানটি নির্ভুল প্রমাণিত হয়, তবে তাকে স্বীকৃতি এবং পুরস্কার দুটোই দেয়া হবে। ভবিষ্যতে যদি কেহ ঐ সমাধানকে ভুল প্রমাণিত করে, তবে স্বীকৃতি বাতিল হয়ে যাবে কিন্তু পুরস্কার ফেরত নেয়া হবে না । অঙ্কগুলো একত্র Millenium Problems নামে বিখ্যাত হয়ে গেল। এগুলো হচ্ছে : 
Navier–Stokes Equation
Poincaré Conjecture
Yang–Mills and Mass Gap
Riemann Hypothesis
P vs NP Problem
Hodge Conjecture
Birch and Swinnerton-Dyer Conjecture

(চলবে )


92
Humanities & Social Science / golpo
« on: January 22, 2014, 11:38:01 AM »
many of you know that I am fond of writing articles and stories.
the following is the link of the latest story ( এমন যদি হয় ; ৪ পর্বে লিখিত । অবশ্য সব মিলিয়েও ২০০০ শব্দের কম) of me.

link : http://breakingnews.com.bd/article/type/art 

I hope that it will give you little recess.
thanks
: SP :

93
Teaching & Research Forum / Math : Easy or Difficult ? –– 1.
« on: January 22, 2014, 11:24:49 AM »
অঙ্ক জিনিসটা কেমন ?                                                                                                                                           সোজা না কি জটিল ?                                                                                                                                          এ এক ভীষণ জটিল প্রশ্ন !                                                                                                                                                                                   আমি নিজে অঙ্কের ছাত্র (শিক্ষক বলার মত সাহস বা যোগ্যতা এখনও হয়  নি ।)  আমার নিজের কাছে অঙ্ক কেমন ? এই প্রশ্নের উত্তর পড়ে দেব । তার আগে একটু সার্বিক আলোচনা করা হোক  ।                                                                                                                                                            সেদিন ক্লাসে এক ছাত্র মন্তব্য করল, ‘ অঙ্কের মধ্যে কঠিন বলে কিছু নেই। ’ আমি ধন্য হলাম এমন দুঃসাহসী ছাত্রের সাক্ষাৎ পেয়ে।  কারণ আমি নিজে অঙ্ককে ভীষণ ভয় পাই। এবং আমার ধারণা ছিল যে, দুনিয়ার তাবৎ লোকই বুঝি অঙ্ক দেখলে ঘামতে শুরু করে। আমার ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়াতে আমি যার-পর নাই খুশী হলাম। আমি বুঝতে পারলাম যে, আমার এই ক্ষুদ্র ক্লাসে যখন  এমন একজন মিলেছে যে অঙ্ক দেখে ডরায় না, তখন এই বিশাল পৃথিবীতে এমন হিম্মৎ ওয়ালা লোক আরও অঙ্কে আছে। এদের জন্যই ঘোষণা করা আছে বিরাট অঙ্কের পুরষ্কার। আসলেই Fortune favours the brave .  তবে এখানে ছোট্ট একটি কিন্তু রয়েছে । সেই কিন্তুটি হল,  পুরস্কারটা ঝুলিতে পোরার আগে কম পক্ষে একটি অঙ্ক করতে হবে। হাঁ, মাত্র একটিই । তবে বেশী করলে ক্ষতি নেই । পুরস্কারের পরিমাণটা আনুপাতিক হারে  বেড়ে যাবে।                                                         (চলবে )

94
Faculty Forum / historical notes-1
« on: September 14, 2013, 01:48:33 PM »
the following article is taken from website of shobujbanglablog.net   
 মুসলিম বিজ্ঞানীদের নাম বিকৃতি যুগে যুগে……

 লিখেছেন: সুলতান,  বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১২ সময়: ১০:১৬ অপরাহ্ন

মুসলিমগণ বিশ্বের মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা। উনারাই  আলোকিত করেছেন আমাদের চিন্তাচেতনাকে, সভ্যতা-সংস্কৃতিকে, জীবন ও জগতকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, পাশ্চাত্যের অনেক গবেষক এ সব মুসলিম মনীষীর নামকে উপস্থাপন করেছেন বিকৃতভাবে। ফলে প্রাচ্যের লোকগুলো তাদের চিরচেনা এসব মনীষীকে পাশ্চাত্যের দেয়া নামে চিনতেও পারেন না। নিচের উনাদের কয়কজন কথা তুলে ধরা হলঃ
(১) প্রথমেই ধরা যাক আবু আব্দুল্লাহ্‌ মুহম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজ্‌মি র কথা। তিনি ছিলেন পার্সিয়ান (ইরানী) মুসলমান বিজ্ঞানীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম একজন। তিনি একাধারে ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ ও দার্শনিক ছিলেন। ইউরোপীয়রা বিশেষত ল্যাটিন লেখকরা তার নামকে বিকৃত করে লিখছে “গরিটাস” বা “আল গরিদম”।

(২) রসায়ন বিজ্ঞানী আবু মুসা জাবির ইবনে হাইয়ান আল-আযদীর কথা আমরা জানি। কেবল চিকিৎসা বিষয়েই জাবির প্রায় ৫০০ গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রসায়নবিদদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। রসায়ন বিজ্ঞানের জনক জাবির ইবন হাইয়ানের প্রনীত ‘কিতাবুস সুসুম’ (Book of Poison) আরব ঔষধবিজ্ঞানের অন্যতম উৎস। অথচ তাঁর নামটি বিকৃত করে পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা লিখেছে “জিবার”।

(৩) আবূ ইউসুফ ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল কিন্দি ছিলেন কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ফিক্বাহশাস্ত্র, ইতিহাস, দর্শন, ভাষাতত্ত্ব, রাজনীতি, গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা প্রভৃতি নানা বিষয়ে বিশারদ। তিনি ছিলেন গ্রিক, হিব্রু, ইরানি, সিরিয়াক এমনকি আরবি ভাষাতেও বুৎপত্তিসম্পন্ন। তিনি নানা বিষয়ে ২৬৫ খানা গ্রন্থ রচনা করেন। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তার নাম বিকৃত করে তাকে পরিচিত করেছে “আল কিন্ডাস” নামে।

(৪) তেমনি জাফর ইবনে মুহম্মদ আবু মাশার আল বলখী একজন বিখ্যাত পার্সিয়ান জ্যোতির্বিদ, দার্শনিক, গণিতবিদ ছিলেন। তিনি আল ফালাকী, আবুল মাসার, ইবনে বলখী নামেও পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তার নাম বিকৃত করে রাখা হয় “আল বুসার” এবং “আল বুক্সার”।

(৫) কাগজের অন্যতম আবিষ্কারক ইউসুফ ইবনে ওমরের নাম ইংরেজি স্টাইলে রাখা হয়েছে “উমট”।

(৬) আবু আব্দুল্লাহ্‌ মুহম্মদ ইবনে জাবির ইবনে সিনান আর্‌ রাকী আল হারানী আস্‌ সাবী আল-বাত্তানী ছিলেন একজন মশহুর জ্যোতির্বিদ এবং গণিতজ্ঞ। তিনি জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার জন্য নিজস্ব মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বহু বছর ধরে জ্যোতির্বিদ্যায় প্রচলিত ভুলগুলো সংশোধন করে এই শাখার অনেক সংস্কার ও উন্নতিসাধন করেন। অথচ পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তাকে উল্লেখ করেছে “আল বাতেজনিয়াজ”, “আল বাতেজনি”, “আল বাতেনিয়াজ” ইত্যাদি নামে।

(৭) আবু বকর মুহম্মদ ইবনে যাকারিয়া আল রাজীর নাম কে না জানে। তিনি একজন পার্সিয়ান পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, দার্শনিক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানী । তিনি প্রায় দুশ’র মতো গ্রন্থ রচনা করেন, যার শ’খানেক চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর। তবে তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে ‘আল জুদায়ী ওয়াল হাসবাহ’ নামক গ্রন্থটি। ইংরেজি ভাষাতেই ১৪৯৮ থেকে ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত এই গ্রন্থখানা মোট চল্লিশবার মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কিতাব আল মনসুরী নামে দশ খণ্ডে একটি বিরাট চিকিৎসা গ্রন্থও প্রণয়ন করেন। এই মহান চিকিৎসা বিজ্ঞানীর নাম ইউরোপীয়রা বিশেষত ল্যাটিন লেখকরা বিকৃত করে লিখছে “রাজেস” বা “রাজিজ”।

(৮) আরব জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ আবু ইস্‌হাক ইব্‌রাহিম ইবনে ইয়াহিয়া আল নাক্কাস আল-জারক্বালী। তাঁর জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ছকের (Astronomical Table) জন্য পাশ্চাত্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর Book of Tables ত্রয়োদশ শতকে রাজা আল্‌ফোন্সোর(King Alfonso X) নির্দেশে অনূদিত হয় এবং এর মাধ্যমে পাশ্চাত্যে গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যার পূনর্জন্ম হয়। তিনি অ্যাস্ট্রোল্যাব যন্ত্রের উন্নতিসাধন করেন এবং বুধগ্রহ সংক্রান্ত টলেমীর মতবাদে সংশোধনী আনেন। তাঁর নাম পাশ্চাত্য গ্রন্থসমূহে উল্লিখিত হয়েছে “মারজাকেল” নামে।

(৯) চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয় ইবনে সিনাকে। তার প্রকৃত নাম আবু আলী আল হুসাইন ইবনে আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে সিনা। তার উপাধি হচ্ছে আল শেখ আল রইস। তিনি একাধারে পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, ভূগোলবিদ, হাফিজ, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, কবি, ইসলামি চিন্তাবিদ, মনোবিজ্ঞানী ছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর রচিত ১৬টি মৌলিক গ্রন্থের ১৫টিতে তিনি বিভিন্ন রোগের কারণ ও চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু যে গ্রন্থটি তাঁকে অমর করেছে তার নাম “কানুন ফি-তিব্ব” যা ছিল ৫ খন্ডে এবং ৮০০ পরিচ্ছেদে ।এ গ্রন্থটি সমগ্র এশিয়া এবং ইউরোপে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত বিপুলভাবে সমাদৃত হলো। ইউরোপে এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের বাইবেল (Bible of Medicine) নামে সমাধিক পরিচিত। এজন্য তাঁকে অনেকে চিকিৎকদের চিকিৎসক (Doctor of doctors) বলে অভিহিত করেন।অথচ তার নামও বিকৃতির হাত থেকে রেহাই পায়নি। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তার নাম দিয়েছে “এভিসিনা”।

(১০) আবুল ওয়ালিদ মুহম্মদ ইবনে আহ্‌মদ ইবনে রুশদ। তিনি ইবনে রুশদ নামে বেশী পরিচিত। তিনি একজন আন্দালুসীয়ান (স্পানিস) মুসলিম বিজ্ঞানী। তিনি একাধারে ইসলামিক দার্শনিক, ইসলামিক ধর্মতত্ত্ববিদ, যুক্তিবিদ, ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ, পদার্থবিদ ছিলেন। তাঁর নাম পাশ্চাত্য গ্রন্থসমূহে উল্লিখিত হয়েছে “এভেরুন” নামে।

(১১) আবূ মারওয়ান আব্দুল মালিক ইবনে জুহুর। তিনি ইবনে জুহুর নামেও পরিচিত। তিনি একজন মুসলিম পদার্থবিদ, শল্যচিকিৎসক, ঔষধবিশেষজ্ঞ, ইসলামি পন্ডিত ছিলেন। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তাঁর নাম বিকৃত করে রেখেছে “এভেনযোর”।

(১২) প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, যুক্তিবিদ, মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিদ,মহাকাশবিদ আবূ নাছের মুহম্মদ আল ফারাবী। তারা তার নাম বিকৃত করে রেখেছে “আল ফারাবিয়াস”।

(১৩) প্রখ্যাত পদার্থবিদ,জ্যোতির্বিদ, প্রকৌশলী, গণিতবিদ, চিকিৎসাবিদ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, দার্শনিক, মনোবিজ্ঞানী, আবূ আলী আল হাছান ইবনে আল হাছান আল ইবনে হাইছাম। তিনি বসরায় জম্মগ্রহণ করায় আল বাসরী নামেও পরিচিত। আলোকবিজ্ঞানে অসামান্য সংযোজন “কিতাবুল মানাজির”-এর ১৫-১৬ অধ্যায়ে জ্যোতির্বিদ্যার আলোচনা রেখেছেন। এছাড়া, তাঁর “মিযান আল-হিক্‌মাহ্‌”(Balance of Wisdom) এবং “মাক্বাল ফি দ্য আল-ক্বামার” (On the Light of the Moon) গ্রন্থদ্বয়ে তিনি সর্বপ্রথম গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যার সমন্বয় সাধনের চেষ্টা চালান।তারা তার নাম বিকৃত করে রেখেছে “আল হ্যাজেন”।

(১৪) প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ, যুক্তিবিদ, দার্শনিক, পদার্থবিদ, মনোবিজ্ঞানী , কবি এবং বিজ্ঞানী আবূ বকর মুহম্মদ ইবনে ইয়াহিয়া ইবনে আল সাইগ। তবে তিনি ইবনে বাজ্জাহ্‌ নামে বেশী পরিচিত। পাশ্চাত্য ইতিহাসবিদরা তাঁর নাম বিকৃত করে রেখেছে “এভেমপেজ”।

(১৫) আবু বকর মুহম্মদ ইবনে আব্দুল মালিক ইবনে মুহম্মদ ইবনে তোফায়েল আল কুসী আল আন্দালুসী। তবে তিনি ইবনে তোফায়েল নামে পরিচিত। তিনি একজন মুসলিম লেখক, উপন্যাসিক, দার্শনিক, ইসলামিক ধর্মতত্ত্ববিদ ছিলেন। তারা তার নাম বিকৃতি করে রেখেছে “আবুবাসের”।

(১৬) নুর আদ-দীন ইবনে ইসহাক আল-বেত্‌রুগী। তিনি ইসলামি স্বর্ণযুগে মরক্কোতে জম্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তার নাম বিকৃত করে রেখেছে “আলপেটরাজিনাস”।

(১৭) আবূ হামিদ মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ আল গাজালী। তিনি একাধারে ধর্মতত্ত্ববিদ, দার্শনিক, মহাকাশবিদ, মনোবিজ্ঞানী ছিলেন। তাঁর নাম বিকৃতি করে রেখেছে “আল গ্যাজেল” ।

(১৮) আলী ইবনে আব্বাস আল মাজুসী। তিনি মাসউদী নামেও পরিচিত। তিনি একজন পার্সিয়ান পদার্থবিদ এবং মনোবিজ্ঞানী। তাঁর রচিত কিতাব আল মালিকি (Complete Book of the Medical Art)। তাঁর নাম বিকৃত করে রেখেছে “হ্যালী আব্বাস”।
: SP :

95
Common Forum/Request/Suggestions / an important address
« on: September 10, 2013, 10:24:12 AM »
I hope the following information will be useful to us.
               ইসলামিক বিষয়ে সরাসরি মাসায়েল জানতে কল করুন +৮৮০১৭২৩৭৮৫৯২৫

জরুরী জ্ঞাতব্য বিষয়
১- প্রশ্ন করার পূর্বেই প্রশ্নটি গুছিয়ে ঠিক করে রাখুন।
২- সংক্ষেপে মূল বক্তব্যটি উপস্থাপন করুন।
৩- অযথা ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করবেন না।
৪- প্রশ্ন করার পূর্বেই নিজের নাম ও ঠিকানা সংক্ষেপে বলে নিন।
৫- উত্তর পেতে তাড়াহুড়া করবেন না। প্রয়োজন হলে দ্বিতীয়বার কল করে উত্তর জেনে নিন।
৬- বাংলাদেশ সময় রাত ১টার পর থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত প্রশ্ন করতে কল করবেন না।
 

96
Departments / historical notes
« on: September 07, 2013, 02:42:59 PM »
William Ewart Gladstone (1809–1898) was Prime Minister of Great Britain four times: 1868–74, 1880–85, 1886 and 1892–94. He called the Qur’an an “accursed book” and once held it up during a session of Parliament, declaring: “So long as there is this book there will be no peace in the world.”
I think we should not forget it.
: SP:

97
Common Forum/Request/Suggestions / alertness
« on: September 02, 2013, 12:40:03 PM »
I think many of us know the following. so we should remember it & remind it to others :
it is taken from the website of shobujbanglablog.com
 লিখেছেন: Muhsin@kabir,  বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট, ২০১৩ সময়: ৩:২৬ পূর্বাহ্ন
37 বার পঠিত   |   বিভাগ: ইসলাম ও জীবন
________________________________________
পেপছি / কোকাকোলা নামের রহস্য!!!
হা ভাই আমরা কি মুসলমান ??
আজ কে কি হয়ে গেলে মুসলমানদের ???
পেপছি / কোকাকোলা নামের রহস্য!!!
পেপছি / কোকাকোলা কোম্পানি ইসরাইলের মালিকানাধীন এবং এ
কোম্পানি তার সব আয় ব্যয় করে মুসলিম নিধনের কাজে। কিন্তু
আমরা কি জানি, এ কোকাকোলা লেখার মাঝে কি লুকিয়ে আছে।
কোকাকোলা লগোটি আপনি যদি আয়নাতে ধরেন,
তাহলে আপনি দেখতে পাবেন আসলে ওটা কি লেখা।
আয়নাতে দেখা যাবে আরবিতে লেখা হইয়াছে ‘ লা মুহাম্মদ
লা মক্কা’ [ ﺔﻜﻣﻻﺪﻤﺤﻣﻻ] অর্থাৎ মুহাম্মদ এবং মক্কাকে না বলুন
বা বর্জন করুন!(নাউযুবিল্লাহ) ছবিতে বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে।
ছবিটা ভালভাবে দেখলে আপনিও বুঝতে পারবেন বিষয়টা।
লগোটি এমনভাবে প্যাচিয়ে গঠন করা হয়েছে, যারা আরবী বুঝেন
না তাদের বুঝতে কষ্ট হবে।
 

আসুন পেপছি / কোকাকোলা নামের কোম্পানিকে ধিক্কার জানাই !!

98
Story, Article & Poetry / want to be a writer ?
« on: September 02, 2013, 12:06:41 PM »
many of us r interesting in writing stories, poems . the following website will be helpful to them:

গল্প-কবিতা ডট কম - বাংলা সাহিত্য চর্চার আসর - Golpokobita - A ...
www.golpokobita.com/

you just need to make a registration thereat. they select a topic ( e.g. SHUNNTA  for september ) and ask you to write on it and submit before 25 .
best of luck.
: SP:

99
Common Forum/Request/Suggestions / tiredness
« on: August 24, 2013, 01:35:07 PM »
all of us r very much busy with regard to the term final exam. Conducting exam as well as scrutinizing scripts is a very boring job. The following short story may help reduce your tediousness to some extent :


http://www.golpokobita.com/golpokobita-special-issue/article/8974/160   
আগস্ট ২০১৩ বিশেষ সংখ্যাঃ ঈদ
 
: SP:

100
Self Improvement / what we should know and follow
« on: July 31, 2013, 11:37:59 AM »


মুসলমানদের ১৫ টি প্রশংসনীয় চারিত্রিক গুণাবলী

Posted: 29 Jul 2013 10:00 PM PDT
লেখক : আদেল বিন আলী আশ-শিদ্দী / আহমদ আল-মাযইয়াদ     

অনুবাদ : সাইফুল্লাহ আহমাদ  | ওয়েব সম্পাদনাঃ মোঃ মাহমুদ -ই- গাফফার

ইসলামী শরীয়ত হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবন পদ্ধতি যা সকল দিক থেকে সার্বিকভাবে মুসলমানের ব্যক্তিগত জীবনকে গঠন করার ব্যাপারে অ

ত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে এসব দিকের মধ্যে গুনাবলি শিষ্টাচার ও চরিত্রের দিকটি অন্যতম। ইসলাম এদিকে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে। তাইতো আকীদা ও আখলাকের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করে দিয়েছে, যেমন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

    “মুমিনদের মধ্যে পরিপূর্ণ ঈমানদার হচ্ছে সে ব্যক্তি, যে তাদের মধ্যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।” [আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযি ]

 সুতরাং উত্তম চরিত্র হচ্ছে ঈমানের প্রমাণবাহী ও প্রতিফলন। চরিত্র ব্যতীত ঈমান প্রতিফলিত হয় না বরং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, তাঁকে প্রেরণের অন্যতম মহান উদ্দেশ্য হচ্ছে চরিত্রের উত্তম দিকসমূহ পরিপূর্ণ করে দেয়া। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

     “আমি তো কেবল চরিত্রের উত্তম দিকসমূহ পরিপূর্ণ করে দিতে প্রেরিত হয়েছি।”  ইমাম আহমাদ ও ইমাম বুখারী আদাবুল মুফরাদে বর্ণনা করেছেন।

    এ কারণেই আল্লাহ তাআলা উত্তম ও সুন্দরতম চরিত্রের মাধ্যমে তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

     “নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।” [সূরা আল, কালাম : ৪]

 কোথায় এ চরিত্র বর্তমান বস্তুবাদী মতবাদ ও মানবতাবাদী মানুষের মনগড়া চিন্তা চেতনায় ?
যেখানে চরিত্রের দিককে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে, তা শুধু সুবিদাবাদী নীতিমালা ও বস্তুবাদী স্বার্থের উপর প্রতিষ্ঠিত। যদিও তা অন্যদের উপর জুলুম বা নির্যাতনের মাধ্যমে হয়। অন্য সব জাতির সম্পদ লুন্ঠন ও মানুষের সম্মান হানীর মাধ্যমে অর্জিত হয়।

 একজন মুসলমানের উপর তার আচার-আচরণে আল্লাহর সাথে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে, অন্য মানুষের সাথে, এমনকি নিজের সাথে কি ধরনের আচরণ করা উচিত ইসলাম তার এক অভিনব চকমপ্রদ চিত্র অংকন করে দিয়েছে। যখনই একজন মুসলমান বাস্তবে ও তার লেনদেনে ইসলামী চরিত্রের অনুসরণ করে তখনই সে অভিষ্ট পরিপূর্ণতার অতি নিকটে পৌঁছে যায়, যা তাকে আরো বেশি আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও উচ্চ মর্যাদার সোপানে উন্নীত হতে সহযোগিতা করে। পক্ষান্তরে, যখনই একজন মুসলমান ইসলামের চরিত্র ও শিষ্টাচার হতে দূরে সরে যায় সে বাস্তবে ইসলামের প্রকৃত প্রাণ চাঞ্চল্য, নিয়ম-নীতির ভিত্তি হতে দূরে সরে যায়। সে যান্ত্রিক মানুষের মত হয়ে যায়, যার কোন অনুভূতি এবং আত্মা নেই।

 ইসলামে ইবাদতসমূহ চরিত্রের সাথে কঠোরভাবে সংযুক্ত। যে কোন ইবাদত একটি উত্তম চরিত্রের প্রতিফলন ঘটায় না তার কোন মূল্য নেই। আল্লাহর সামনে নামায আদায়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় নামায একজন মানুষকে অশ্লীল অপছন্দ কাজসমূহ হতে রক্ষা করে, আত্মশুদ্ধি ও আত্মার উন্নতি সাধনে এর প্রভাব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

     “নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল, অপছন্দনীয় কাজ হতে নিষেধ করে।” [ সূরা আল-আনকাবুত :৪৫ ]
   
অনুরূপভাবে রোযা তাক্কওয়ার দিকে নিয়ে যায়। আর তাক্বওয়া হচ্ছে মহান চরিত্রের অন্যতম, যেমন- আল্লাহ তাআলা বলেন,

    “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমনি ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যাতে তোমরা তাক্বওয়া লাভ করতে পার।” [ সূরা আল বাকারা : ১৮৩ ]

 
    রোযাঃ  অনুরূপভাবে শিষ্টাচার, ধীরস্থিরতা, প্রশান্তি, ক্ষমা, মুর্খদের থেকে বিমুখতা ইত্যাদির প্রতিফলন ঘটায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, “তোমাদের কারো রোযার দিন যদি হয়, তাহলে সে যেন অশ্লীল কথাবার্তা না বলে, হৈ চৈ না করে অস্থিরতা না দেখায়। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে লড়াই করে সে যেন বলে দেয় আমি রোযাদার। বুখারী ও মুসলিম

 

    যাকাতঃ  অনুরূপভাবে অন্তরকে পবিত্র করে, আত্মাকে পরিমার্জিত করে এবং তাকে কৃপণতা, লোভ ও অহংকারের ব্যধি হতে মুক্ত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন,“তাদের সম্পদ হতে আপনি সাদকাহ গ্রহণ করুন যার মাধ্যমে আপনি তাদেরকে পবিত্র ও পরিমার্জিত করবেন।” [সূরা তাওবাহ ১০৩ আয়াত ]

 

    হজ্জঃ আর হজ্জ হচ্ছে একটি বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণশালা আত্মশুদ্ধি এবং হিংসা বিদ্ধেষ ও পঙ্কিলতা থেকে আত্মাকে পরিশুদ্ধি ও পরিমার্জনের জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, “যে এ মাস গুলোতে নিজের উপর হজ্জ ফরয করে নিল সে যেন অশ্লীলতা, পাপাচার ও ঝগড়া বিবাদ হজ্জের মধ্যে না করে।” [সূরা আল বাকারাহ : ১৯৭ ]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

    “যে ব্যক্তি অশ্লীল কথা-বার্তা ও পাপ কর্ম না করে হজ্জ পালন করল, সে তার পাপ রাশি হতে তার মা যেদিন জন্ম দিয়েছে সে দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এল।” [বুখারী ও মুসলিম]

 
ইসলামী চরিত্রের মৌলিক বিষয়সমূহ
১ সত্যবাদিতা:

আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের যে সকল ইসলামী চরিত্রের নির্দেশ দিয়েছেন, তার অন্যতম হচ্ছে সত্যবাদিতার চরিত্র। আল্লাহ তাআলা বলেন,

    “হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা সত্যবাদীদের সাথী হও।” সূরা আত-তাওবাহ : ১১৯

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

    “তোমরা সততা অবলম্বন গ্রহণ কর, কেননা সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায় আর পূণ্য জান্নাতের পথ দেখায়, একজন লোক সর্বদা সত্য বলতে থাকে এবং সত্যবাদিতার প্রতি অনুরাগী হয়, ফলে আল্লাহর নিকট সে সত্যবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।” মুসলিম

     

২ আমানতদারিতা :

মুসলমানদের সে সব ইসলামী চরিত্র অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার একটি হচ্ছে আমানতসমূহ তার অধিকারীদের নিকট আদায় করে দেয়া। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

    “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার হকদারদের নিকট আদায় করে দিতে।” সূরা আন নিসা : ৫৮

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট আল আমীন উপাধি লাভ করেছিলেন, তারা তাঁর নিকট তাদের সম্পদ আমানত রাখত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার অনুসারীদের মুশরিকরা কঠোর ভাবে নির্যাতন শুরু করার পর যখন আল্লাহ তাকে মক্কা হতে মদীনা হিজরত করার অনুমতি দিলেন তিনি আমানতের মালসমূহ তার অধিকারীদের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা না করে হিজরত করেননি। অথচ যারা আমানত রেখেছিল তারা সকলেই ছিল কাফের। কিন্তু ইসলাম তো আমানত তার অধিকারীদের নিকট ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে যদিও তার অধিকারীরা কাফের হয়।

 
৩ অঙ্গীকার পূর্ণ করা:

ইসলামী মহান চরিত্রের অন্যতম হচ্ছে অঙ্গীকার পূর্ণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন :

    “আর অঙ্গীকার পূর্ণ কর, কেননা অঙ্গীকার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হবে।” সূরা ইসরা : ৩৪

     

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিশ্রতি ভঙ্গকরা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে গণ্য করেছেন।

 
৪ বিনয় :

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে একজন মুসলমান তার অপর মুসলিম ভাইদের সাথে বিনয়ী আচরণ করবে। সে ধনী হোক বা গরীব। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

    “তুমি তোমার পার্শ্বদেশ মুমিনদের জন্য অবনত করে দাও।” সূরা আল হিজর : ৮৮

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

    “আল্লাহ তাআলা আমার নিকট ওহী করেছেন যে, ‘তোমরা বিনয়ী হও যাতে একজন অপরজনের উপর অহংকার না করে। একজন অপর জনের উপর সীমালংঘন না করে।” -মুসলিম।

     

৫ মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার:

মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার উত্তম চরিত্রের অন্যতম। আর এটা তাদের অধিকার মহান হওয়ার কারণে, যে অধিকার স্থান হল আল্লাহর হকের পরে।আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

    ‘আর আল্লাহর ইবাদত কর, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না, এবং মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর।” [সূরা আন-নিসা : ৩৫ আয়াত]

 

আল্লাহ তাআলা তাদের আনুগত্য, তাদের প্রতি দয়া ও বিনয় এবং তাদের জন্য দু’আ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন :

    “তাদের উভয়ের জন্য দয়ার সাথে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, হে আমার রব! তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে আমাকে তারা লালন-পালন করেছেন।” [ সূরা আল ইসরা : ২৪ ]

 

এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল,

    ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার সবচেয়ে বেশী অধিকারী ব্যক্তি কে ? তিনি বললেন, ‘তোমার মা।’ অত:পর জিজ্ঞেস করল তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমার মা।’ অতঃপর জিজ্ঞেস করল তার পর কে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমার মা।’ অতঃপর জিজ্ঞেস করল তার পর কে? উত্তর দিলেন, ‘তোমার পিতা।’ [বুখারী ও মুসলিম]

 

মাতা-পিতার প্রতি এ সদ্ব্যবহার ও দয়া অনুগ্রহ অতিরিক্ত বা পূর্ণতা দানকারী বিষয় নয় বরং তা হচ্ছে সকল মানুষের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ফরযে আইন।

 
৬ আত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখা :

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামী চরিত্রের অন্যতম। আর তারা হচ্ছে নিকটাত্মীয়গণ যেমন, চাচা, মামা, ফুফা, খালা, ভাই, বোন প্রমূখ।

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ওয়াজিব, আর তা ছিন্ন করা জান্নাত হতে বঞ্চিত ও অভিশাপের কারণ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

    “ যদি তোমরা ক্ষমতা পাও, তাহলে কি তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে? তারা তো ঐ সব লোক যাদের প্রতি আল্লাহ অভিশাপ করেছেন। এতে তিনি তাদেরকে বধির করে দিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টি অন্ধ করে দিয়েছেন।” [সূরা মুহাম্মাদ : ২২-২৩]

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

    “আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী বেহেশ্তে প্রবেশ করবে না।” [বুখারী ও মুসলিম]

     

৭ প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দরতম ব্যবহার:

প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দরতম ব্যবহার হচ্ছে ইসলামী চরিত্রের অন্যতম। প্রতিবেশী হচ্ছে সে সব লোক যারা আপনার বাড়ীর আশে পাশে বসবাস করে। যে আপনার সবচেয়ে নিকটবর্তী সে সুন্দর ব্যবহার ও অনুগ্রহের সবচেয়ে বেশী হকদার। আল্লাহ তাআলা বলেন,

    “আর মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর, নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকীন নিকটতম প্রতিবেশী ও দূরবর্তী প্রতিবেশীর প্রতিও।” [সূরা আন-নিসা : ৩৬]

 

এতে আল্লাহ নিকটতম ও দূরবর্তী প্রতিবেশীর প্রতি সদ্ব্যবহার করতে ওসিয়ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ

    ‘জিবরীল আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে ওসিয়ত করতেছিল এমনকি আমি ধারণা করেনিলাম যে, প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকার বানিয়ে দেয়া হবে।’ [বুখারী ও মুসলিম]

 

অর্থাৎ আমি মনে করেছিলাম যে ওয়ারিশদের সাথে প্রতিবেশীর জন্য মিরাসের একটি অংশ নির্ধারিত করে দেবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু যর রা. কে লক্ষ্য করে বলেন,

    ‘হে আবু যর! যখন তুমি তরকারী পাক কর তখন পানি বেশি করে দাও, আর তোমার প্রতিবেশীদের অঙ্গীকার পূরণ কর।” [ মুসলিম]

 

প্রতিবেশীর পার্শ্বাবস্থানের হক রয়েছে যদিও সে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি অবিশ্বাসী বা কাফের হয়।

 
৮ মেহমানের আতিথেয়তা:

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে মেহমানের আতিথেয়তা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী,

    “যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।” [বুখারী ও মুসলিম]

     

৯ সাধারণভাবে দান ও বদান্যতা:

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম দিক হচ্ছে দান ও বদান্যতা। আল্লাহ তাআলা ইনসাফ, বদান্যতা ও দান কারীদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

    “যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে অতঃপর যা খরচ করেছে তা থেকে কারো প্রতি অনুগ্রহ ও কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য করে না, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রতিদান রয়েছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাও করবে না।”   [সূরা আল বাকারাহ : ২৬২]

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

‘যার নিকট অতিরিক্ত বাহন থাকে সে যেন যার বাহন নেই তাকে তা ব্যবহার করতে দেয়। যার নিকট অতিরিক্ত পাথেয় বা রসদ রয়েছে সে যেন যার রসদ নেই তাকে তা দিয়ে সাহায্য করে।”  [মুসলিম]

 
১০ ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা:

ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা হচ্ছে ইসলামী চরিত্রের অন্যতম বিষয়। অনুরূপভাবে মানুষদের ক্ষমা করা, দুর্ব্যবহারকারীকে ছেড়ে দেয়া ওজর পেশকারীর ওজর গ্রহণ করা বা মেনে নেয়াও অন্যতম। আল্লাহ তাআলা বলেন :

    “আর যে ধৈর্য্য ধারণ করল এবং ক্ষমা করল, নিশ্চয়ই এটা কাজের দৃঢ়তার অন্তর্ভূক্ত।”   [সূরা আশ শুরা : ৪৩]

     

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

    ‘তারা যেন ক্ষমা করে দেয় এবং উদারতা দেখায়, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দেয়া কি তোমরা পছন্দ কর না?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “দান খয়রাতে সম্পদ কমে যায় না। আল্লাহ পাক ক্ষমার দ্বারা বান্দার মার্যাদাই বৃদ্ধি করে দেন। যে আল্লাহর জন্য বিনয় প্রকাশ করে আল্লাহ তার সম্মানই বৃদ্ধি করে দেন।” [মুসলিম ] তিনি আরো বলেন, “দয়া কর, তোমাদের প্রতি দয়া করা হবে। ক্ষমা করে দাও তোমাদেরও ক্ষমা করে দেয়া হবে।”   [আহমাদ]

     

     

১। ১  মানুষের মাঝে সমঝোতা ও সংশোধন:

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে মানুষের মাঝে সমঝোতা ও সংশোধন করে দেয়া, এটা একটি মহান চরিত্র যা ভালবাসা সৌহার্দ প্রসার ও মানুষের পারষ্পারিক সহযোগিতার প্রাণের দিকে নিয়ে যায়।আল্লাহ তাআলা বলেন:

    “তাদের অধিকাংশ শলাপরামর্শের মধ্যে কল্যাণ নেই। কেবল মাত্র সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সাদকাহ, সৎকর্ম ও মানুষের মাঝে সংশোধনের ব্যাপারে নির্দেশ দেয়। যে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এসব করে অচিরেই আমরা তাকে মহা প্রতিদান প্রদান করব।” [সূরা আন নিসা : ১১৪]

     

১।২  লজ্জা:

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম আরেকটি চরিত্র হচ্ছে লজ্জা। এটা এমন একটি চরিত্র যা পরিপূর্ণতা ও মর্যাদাপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের দিকে আহবান করে। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা হতে বারণ করে। লজ্জা আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে। ফলে মুসলমান লজ্জা করে যে, আল্লাহ তাকে পাপাচারে লিপ্ত দেখবে। অনুরূপভাবে মানুষের থেকে এবং নিজের থেকেও সে লজ্জা করে। লজ্জা অন্তরে ঈমান থাকার প্রমাণ বহন করে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

    ‘লজ্জা ঈমানের বিশেষ অংশ।’ [বুখারী ও মুসলিম]

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “লজ্জা কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই নিয়ে আসে না।” [বুখারী ও মুসলিম]

     

১।৩  দয়া ও করুণা:

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হচ্ছে দয়া বা করুণা। এ চরিত্রটি অনেক মানুষের অন্তর হতে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ফলে তাদের অন্তর পাথরের মত অথবা এর চেয়েও শক্ত হয়ে গেছে। আর প্রকৃত মু’মিন হচ্ছে দয়াময়, পরোপকারী, গভীর অনুভূতি সম্পন্ন উজ্জল অনুগ্রহের অধিকারী। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

    “অত:পর সে তাদের অন্তর্ভূক্ত হয় যারা ঈমান এনেছে পরস্পর পরস্পরকে ধৈর্য্য ও করুণার উপদেশ দিয়েছে। তারা হচ্ছে দক্ষিণ পন্থার অনুসারী।”  [সূরা আল-বালাদ : ১৭- ১৮]

     

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

    “মুমিনদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, করুণা, অনুকম্পার উপমা হচ্ছে একটি শরীরের মত। যখন তার একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় গোটা শরীর নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।”  [মুসলিম]

     

১।৪  ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা:

ন্যায় পরায়ণতা ইসলামী চরিত্রের আরেকটি অংশ। এ চরিত্র আত্মার প্রশান্তি সৃষ্টি করে। সমাজে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন প্রকার অপরাধ বিমোচনের দিকে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন:

    “নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ইহসান ও নিকটাত্মীয়দের দান করতে নির্দেশ দেন।”   [সূরা আল নাহাল : ৯০]

 

আল্লাহ তাআলা বলেন :

    “ইনসাফ কর, এটা তাক্বওয়ার অতীব নিকটবর্তী।”   [সূরা আল মায়িদা : ৮]

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

    “ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিরা আল্লাহর নিকট নূরের মিম্বরের উপর বসবে। তারা হল সে সব লোক, যারা বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে, পরিবার-পরিজনের ক্ষেত্রে এবং যে দায়িত্বই পেয়েছে তাতে ইনসাফ করে।”

     

১।৫  চারিত্রিক পবিত্রতা:

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম বিষয় হচ্ছে চারিত্রিক পবিত্রতা। এ চরিত্র মানুষের সম্মান সংরক্ষণ এবং বংশে সংমিশ্রন না হওয়ার দিকে পৌঁছে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন :

    “যাদের বিবাহের সামর্থ নেই, তারা যেন চারিত্রিক পবিত্রতা গ্রহণ করে। যতক্ষণ না আল্লাহ তার অনুগ্রহে তাকে সম্পদশালী করেন।” [ সুরা আন নূর-৩৩ ]

     

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন,

    “তোমরা আমার জন্য ছয়টি বিষয়ের জিম্মাদার হও। তাহলে আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হব। যখন তোমাদের কেউ কথা বলে সে যেন মিথ্যা না বলে। যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় তখন যেন খেয়ানত না করে। যখন প্রতিশ্র“তি দেয় তা যেন ভঙ্গ না করে। তোমরা তোমাদের দৃষ্টি অবনত কর। তোমাদের হস্তদ্বয় সংযত কর। তোমাদের লজ্জাস্থান হেজাফত কর।” [ হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন এবং হাদীসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন ]
 
ইসলামের এ সব চরিত্রে এমন কিছু নেই যা ঘৃণা করা যায়। বরং এসব এমন সম্মান যোগ্য মহৎ চারিত্রাবলী যা প্রত্যেক নিষ্কলুষ স্বভাবের অধিকারীর সমর্থন লাভ করে। মুসলমানগণ যদি এ মহৎ চরিত্র ধারণ করত তাহলে সর্বস্থান থেকে তাদের নিকট মানুষ আগমন করত এবং দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে তারা প্রবেশ করত যেভাবে প্রথম যুগের মুসলমানদের লেন-দেন ও চরিত্রের কারণে সে সময়ের মানুষ ইসলামে প্রবেশ করেছিল।

                                                                                                                                    সমাপ্ত

101
Faculty Sections / যাহা ঘটছে
« on: September 12, 2012, 12:40:09 PM »
শেষমেশ মেডিকালে ভর্তির ব্যাপারেও আদালতে যেতে হয়েছে।   এথেকে যেটা বুজা যায়  তা হল ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারেও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব স্বাধীনতা নেই । যেটা বুজতে পারছি না তা হল কি কি পড়ান হবে সে বিষয়ে  প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ভবিষ্যতে  থাকবে তো !
ধরা যাক কোন প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচীতে পরিবর্তন আনা হল এবং কোন সহজ বিষয়ের পরিবর্তে খুব কঠিন একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হল । সব সম্ভবের এই দেশে তখন হয়ত দেখা যাবে যে পাঠ্যসূচি পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কেউ আদালতে মামলা ঠুকে দেবে। অতঃপর আদালত কি বলবে সেটা পরের কথা। কিন্তু যে কোন বিষয় নিয়ে এভাবে আদালতে যাওয়া উচিত কি না সেটা আদালতই ভাল বলতে পারে ।


102
Faculty Forum / ছড়া
« on: July 19, 2012, 12:05:15 PM »
ছড়া আমার খুব প্রিয় । অংকের কাঠিন্য যখন পীড়া দেয় তখন ছড়াতে ক্লান্তি দূর করি । কিছু প্রিয় ছড়া তুলে দিলাম । আশা করি আনন্দ পাবেন ।

আবু সালেহ (জুলাই ২২, ১৯৪৮) বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত ছড়াকার। ষাট দশক থেকে তার ছড়া বাংলাদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রাখে। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় একশত।১৯৬২, ১৯৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯,৭০ ও ৭১ এর অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ৬২, ৬৭, ৬৮, ৬৯,৭০ এর আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসে আহত হন। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং এদেশীয় পাকিস্তানের চাটুকার বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়াতে কবীর চৌধুরীসহ এইরকম আরও পাকিস্তানের মতলব হাসিল কারিদের বিরুদ্ধে এক ধরণের জনমত তৈরিতে তখন কাজ করেন।
তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত আছেন। ইত্তেহাদ, দৈনিক দেশ, হক কথা, দৈনিক খবর, জনতা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাসহ আরো অনেক সংবাদপত্রে তিনি কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহুবার পুলিশি এবং রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বাংলা মোটরে স্বৈরাচারী এরশাদের পেটোয়া বাহিনী তার হাতের কব্জি এবং পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে দেয়। বাংলা একাডেমী (২০০২) ও একুশে পদক (২০০৫) ছাড়াও ১৫ টির বেশী পুরষ্কারের অধিকারী ׀
আবু সালেহ-এর ছড়া
আমার পতাকা
আমার পতাকা নিরাপদ নয় কেন
আমার পতাকা ওদের শত্রু যেন
আমার পতাকা সীমান্তে খায় গুলি
আমার পতাকা দেখছে মাথার খুলি,
আমার পতাকা টেনে ছিঁড়ছে কারা
আমার পতাকা কেড়ে নিতে চায় তারা
আমার পতাকা সাগরসীমাতে নেই
আমার পতাকা বেরুবাড়ীকেও দেই!

আমার পতাকা কেন উড্ডীন নয়
আমার পতাকা ফেলানীর লাশ হয়
আমার পতাকা ছিটমহলে কাঁদে
আমার পতাকা কেন রয় না কাঁধে
আমার পতাকা তালপট্টিতে লুট
আমার পতাকা পিষছে ওদের বুট
আমার পতাকা নেই পদ্মার বুকে
আমার পতাকা হেলছে টিপাইমুখে !

আমার পতাকা প্রফুল্ল কেন নয়
আমার পতাকা ভয় ও ভীতিতে রয়
আমার পতাকা সংসদে থাবা খায়
আমার পতাকা লাঞ্ছনা শুধু পায়।
আমার পতাকা শান্তি পায় না ওরে
আমার পতাকা ব্যথার আগুনে পোড়ে
আমার পতাকা জাতির কাছে বোবা
আমার পতাকা হারিয়েছে তার শোভা।

আমার পতাকা কেন হয় ছারখার
আমার পতাকা কবিতা লেখে না আর
আমার পতাকা বিনা বিচারে মরে
আমার পতাকা শত্রুপক্ষের ঘরে
আমার পতাকা কোমরে দেখছে দড়ি
আমার পতাকা দেখছে স্বৈর ছড়ি
আমার পতাকা অশ্রু মাহমুদের
আমার পতাকা দেখছে কোথায় জের!

আমার পতাকা প্রতিবাদী কেন নয়
আমার পতাকা ‘মুখ্যমন্ত্রী’ হয়
আমার পতাকা বন্দরে কালিমাখা
আমার পতাকা ওদের চাদরে ঢাকা
আমার পতাকা দস্যুর ট্রানজিট
আমার পতাকা দেয়ালে ঠেকায় পিঠ
আমার পতাকা আমারই হওয়ার কথা
আমার পতাকা পেলো না স্বাধীনতা!

আমার পতাকা একুশে ফেব্রুয়ারি
আমার পতাকা চুয়ান্নর জয়ভারি
আমার পতাকা ভাসানীর সেই সালাম
আমার পতাকা বাষট্টির সংগ্রাম
আমার পতাকা আসাদের লাল জামা
আমার পতাকা এক দফা দাবিনামা
আমার পতাকা ঊনসত্তর ধরে রাখে
আমার পতাকা কেন রে দুর্বিপাকে!

আমার পতাকা সত্তরের জলোচ্ছ্বাস
আমার পতাকা লক্ষ লোকের লাশ
আমার পতাকা একাত্তরের ছবি
আমার পতাকা বিদ্রোহী সেই কবি
আমার পতাকা কালুর ঘাটের জিয়া
আমার পতাকা টেকনাফ তেঁতুলিয়া
আমার পতাকা দিল্লির দাস নয়
আমার পতাকা আমারই পরিচয়।

আমার পতাকা পলাশীর কথা বলে
আমার পতাকা তিতুমীর হয়ে জ্বলে
আমার পতাকা মুক্তিযুদ্ধের ঘর
আমার পতাকা ষোলোই ডিসেম্বর
আমার পতাকা বাংলাদেশীর প্রাণ
আমার পতাকা ধান কাউনের ঘ্রাণ
আমার পতাকা নকশিকাঁথার মাঠ
আমার পতাকা সোজন বেদের ঘাট।

আমার পতাকা মুটে ও মজুর চাষীর
আমার পতাকা ভাটিয়ালি বারোমাসির
আমার পতাকা লাল-সবুজের মুখ
আমার পতাকা চাঁদ জোছনার সুখ
আমার পতাকা জীবনের চেয়ে বড়
আমার পতাকা কেন হচ্ছে জড়
আমার পতাকা আমাকে শক্তি দেয়
আমার পতাকা কে সে কেড়ে নেয়?





সেই বাহাত্তর / আবু সালেহ

সেই বাহাত্তর সেই পচাত্তর সেই হত্যা গুম
সেই ভয়ঙ্কর দমন পীড়ন লুট লোপাটের ধুম
সেই দাউ দাউ অগ্নিকান্ড আজো দেখি চলে
সেই প্রশাসন বাকশালিদের পায়ে পিষে ঐ দলে
সেই কুটনীতি দিল্লি তোষন প্রতিরক্ষা কাড়ে
সেই ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে এই জনতার ঘাড়ে।


ছড়া/ আবু সালেহ

আবার কেনো রক্ত ঝরে আবার কেনো হত্যা
আবার কেনো বিঘ্নিত হয় জাতির নিরাপত্তা
আবার কেনো স্বৈরাচারের পাগলা ঘোড়া ছোঁটে
আবার কেনো জনগনের জীবন ওঠে ঠোঁটে
আবার কেনো আধিপত্যের শিকল পড়াও পায়
আবার কেনো স্বাধীনতার সূর্য ডুবে যায়!

কোথায় গেলো ভাটিয়ালি জারি সারি
কোথায় গেলো সেই পুরাতন কালিবাড়ি
কোথায় গেলো আলোভরা ভোরের ডাক
কোথায় গেলো কোথায় গেলো পাখির ঝাঁক
কোথায় গেলো মায়ের আদর স্নেহরাশি
কোথায় গেলো বাশ বাগানের চাঁদের হাসি
কোথায় গেলো সেই আমাদের পুতুল বউ
কোথায় গেলো কোথায় গেলো ফুলের মৌ
কোথায় গেলো কাজল চোখের স্বপ্ননীড়
কোথায় গেলো সেই সাহসী যোদ্ধাবীর
কোথায় গেলো অগ্রগামী ছেলের দল
কোথায় গেলো কোথায় গেলো আমায় বল
কোথায় গেলো রাতের জোনাক আলোর দূত
কোথায় গেলো শেওড়া গাছের পেত্নীভূত
কোথায় গেলো টেংরা,পুটিঁ, শোল , বোয়াল
কোথায় গেলো কোথায় গেলো হাল জোয়াল
কোথায় গেলো টুন্টুনিদের ঝোঁপের বাঁশ
কোথায় গেলো শিশির ভেঁজা দুর্বাঘাস
কোথায় এলো সেই দিগন্তের বিন্দু রেখা
কোথায় গেলো কোথায় গেলো যায় কি দেখা


আবু সালেহর  সবচে বিখ্যাত  ছড়াটি

ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা!

যার পিছনে জানটা দিলাম যার পিছনে রক্ত
সেই রক্তের বদল দেখো বাঁচাই কেমন শক্ত,

ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার মরার স্বাধীনতা!

বাঁচতে চেয়ে খুন হয়েছি বুলেট শুধু খেলাম
উঠতে এবং বসতে ঠুঁকি দাদার পায়ে সেলাম,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা!

103
Common Forum/Request/Suggestions / ছড়া
« on: July 19, 2012, 11:57:30 AM »
ছড়া আমার খুব প্রিয় । অংকের কাঠিন্য যখন পীড়া দেয় তখন ছড়াতে ক্লান্তি দূর করি । কিছু প্রিয় ছড়া তুলে দিলাম । আশা করি আনন্দ পাবেন ।

আবু সালেহ (জুলাই ২২, ১৯৪৮) বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত ছড়াকার। ষাট দশক থেকে তার ছড়া বাংলাদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রাখে। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় একশত।১৯৬২, ১৯৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯,৭০ ও ৭১ এর অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ৬২, ৬৭, ৬৮, ৬৯,৭০ এর আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসে আহত হন। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং এদেশীয় পাকিস্তানের চাটুকার বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়াতে কবীর চৌধুরীসহ এইরকম আরও পাকিস্তানের মতলব হাসিল কারিদের বিরুদ্ধে এক ধরণের জনমত তৈরিতে তখন কাজ করেন।
তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত আছেন। ইত্তেহাদ, দৈনিক দেশ, হক কথা, দৈনিক খবর, জনতা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাসহ আরো অনেক সংবাদপত্রে তিনি কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহুবার পুলিশি এবং রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বাংলা মোটরে স্বৈরাচারী এরশাদের পেটোয়া বাহিনী তার হাতের কব্জি এবং পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে দেয়। বাংলা একাডেমী (২০০২) ও একুশে পদক (২০০৫) ছাড়াও ১৫ টির বেশী পুরষ্কারের অধিকারী ׀
আবু সালেহ-এর ছড়া
আমার পতাকা
আমার পতাকা নিরাপদ নয় কেন
আমার পতাকা ওদের শত্রু যেন
আমার পতাকা সীমান্তে খায় গুলি
আমার পতাকা দেখছে মাথার খুলি,
আমার পতাকা টেনে ছিঁড়ছে কারা
আমার পতাকা কেড়ে নিতে চায় তারা
আমার পতাকা সাগরসীমাতে নেই
আমার পতাকা বেরুবাড়ীকেও দেই!

আমার পতাকা কেন উড্ডীন নয়
আমার পতাকা ফেলানীর লাশ হয়
আমার পতাকা ছিটমহলে কাঁদে
আমার পতাকা কেন রয় না কাঁধে
আমার পতাকা তালপট্টিতে লুট
আমার পতাকা পিষছে ওদের বুট
আমার পতাকা নেই পদ্মার বুকে
আমার পতাকা হেলছে টিপাইমুখে !

আমার পতাকা প্রফুল্ল কেন নয়
আমার পতাকা ভয় ও ভীতিতে রয়
আমার পতাকা সংসদে থাবা খায়
আমার পতাকা লাঞ্ছনা শুধু পায়।
আমার পতাকা শান্তি পায় না ওরে
আমার পতাকা ব্যথার আগুনে পোড়ে
আমার পতাকা জাতির কাছে বোবা
আমার পতাকা হারিয়েছে তার শোভা।

আমার পতাকা কেন হয় ছারখার
আমার পতাকা কবিতা লেখে না আর
আমার পতাকা বিনা বিচারে মরে
আমার পতাকা শত্রুপক্ষের ঘরে
আমার পতাকা কোমরে দেখছে দড়ি
আমার পতাকা দেখছে স্বৈর ছড়ি
আমার পতাকা অশ্রু মাহমুদের
আমার পতাকা দেখছে কোথায় জের!

আমার পতাকা প্রতিবাদী কেন নয়
আমার পতাকা ‘মুখ্যমন্ত্রী’ হয়
আমার পতাকা বন্দরে কালিমাখা
আমার পতাকা ওদের চাদরে ঢাকা
আমার পতাকা দস্যুর ট্রানজিট
আমার পতাকা দেয়ালে ঠেকায় পিঠ
আমার পতাকা আমারই হওয়ার কথা
আমার পতাকা পেলো না স্বাধীনতা!

আমার পতাকা একুশে ফেব্রুয়ারি
আমার পতাকা চুয়ান্নর জয়ভারি
আমার পতাকা ভাসানীর সেই সালাম
আমার পতাকা বাষট্টির সংগ্রাম
আমার পতাকা আসাদের লাল জামা
আমার পতাকা এক দফা দাবিনামা
আমার পতাকা ঊনসত্তর ধরে রাখে
আমার পতাকা কেন রে দুর্বিপাকে!

আমার পতাকা সত্তরের জলোচ্ছ্বাস
আমার পতাকা লক্ষ লোকের লাশ
আমার পতাকা একাত্তরের ছবি
আমার পতাকা বিদ্রোহী সেই কবি
আমার পতাকা কালুর ঘাটের জিয়া
আমার পতাকা টেকনাফ তেঁতুলিয়া
আমার পতাকা দিল্লির দাস নয়
আমার পতাকা আমারই পরিচয়।

আমার পতাকা পলাশীর কথা বলে
আমার পতাকা তিতুমীর হয়ে জ্বলে
আমার পতাকা মুক্তিযুদ্ধের ঘর
আমার পতাকা ষোলোই ডিসেম্বর
আমার পতাকা বাংলাদেশীর প্রাণ
আমার পতাকা ধান কাউনের ঘ্রাণ
আমার পতাকা নকশিকাঁথার মাঠ
আমার পতাকা সোজন বেদের ঘাট।

আমার পতাকা মুটে ও মজুর চাষীর
আমার পতাকা ভাটিয়ালি বারোমাসির
আমার পতাকা লাল-সবুজের মুখ
আমার পতাকা চাঁদ জোছনার সুখ
আমার পতাকা জীবনের চেয়ে বড়
আমার পতাকা কেন হচ্ছে জড়
আমার পতাকা আমাকে শক্তি দেয়
আমার পতাকা কে সে কেড়ে নেয়?





সেই বাহাত্তর / আবু সালেহ

সেই বাহাত্তর সেই পচাত্তর সেই হত্যা গুম
সেই ভয়ঙ্কর দমন পীড়ন লুট লোপাটের ধুম
সেই দাউ দাউ অগ্নিকান্ড আজো দেখি চলে
সেই প্রশাসন বাকশালিদের পায়ে পিষে ঐ দলে
সেই কুটনীতি দিল্লি তোষন প্রতিরক্ষা কাড়ে
সেই ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে এই জনতার ঘাড়ে।


ছড়া/ আবু সালেহ

আবার কেনো রক্ত ঝরে আবার কেনো হত্যা
আবার কেনো বিঘ্নিত হয় জাতির নিরাপত্তা
আবার কেনো স্বৈরাচারের পাগলা ঘোড়া ছোঁটে
আবার কেনো জনগনের জীবন ওঠে ঠোঁটে
আবার কেনো আধিপত্যের শিকল পড়াও পায়
আবার কেনো স্বাধীনতার সূর্য ডুবে যায়!

কোথায় গেলো ভাটিয়ালি জারি সারি
কোথায় গেলো সেই পুরাতন কালিবাড়ি
কোথায় গেলো আলোভরা ভোরের ডাক
কোথায় গেলো কোথায় গেলো পাখির ঝাঁক
কোথায় গেলো মায়ের আদর স্নেহরাশি
কোথায় গেলো বাশ বাগানের চাঁদের হাসি
কোথায় গেলো সেই আমাদের পুতুল বউ
কোথায় গেলো কোথায় গেলো ফুলের মৌ
কোথায় গেলো কাজল চোখের স্বপ্ননীড়
কোথায় গেলো সেই সাহসী যোদ্ধাবীর
কোথায় গেলো অগ্রগামী ছেলের দল
কোথায় গেলো কোথায় গেলো আমায় বল
কোথায় গেলো রাতের জোনাক আলোর দূত
কোথায় গেলো শেওড়া গাছের পেত্নীভূত
কোথায় গেলো টেংরা,পুটিঁ, শোল , বোয়াল
কোথায় গেলো কোথায় গেলো হাল জোয়াল
কোথায় গেলো টুন্টুনিদের ঝোঁপের বাঁশ
কোথায় গেলো শিশির ভেঁজা দুর্বাঘাস
কোথায় এলো সেই দিগন্তের বিন্দু রেখা
কোথায় গেলো কোথায় গেলো যায় কি দেখা


আবু সালেহর  সবচে বিখ্যাত  ছড়াটি

ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা!

যার পিছনে জানটা দিলাম যার পিছনে রক্ত
সেই রক্তের বদল দেখো বাঁচাই কেমন শক্ত,

ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার মরার স্বাধীনতা!

বাঁচতে চেয়ে খুন হয়েছি বুলেট শুধু খেলাম
উঠতে এবং বসতে ঠুঁকি দাদার পায়ে সেলাম,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা!

104
Faculty Sections / ছড়া
« on: July 19, 2012, 11:30:32 AM »
ছড়া আমার খুব প্রিয় । অংকের কাঠিন্য যখন পীড়া দেয় তখন ছড়াতে ক্লান্তি দূর করি । কিছু প্রিয় ছড়া তুলে দিলাম । আশা করি আনন্দ পাবেন ।

আবু সালেহ (জুলাই ২২, ১৯৪৮) বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত ছড়াকার। ষাট দশক থেকে তার ছড়া বাংলাদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রাখে। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় একশত।১৯৬২, ১৯৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯,৭০ ও ৭১ এর অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ৬২, ৬৭, ৬৮, ৬৯,৭০ এর আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসে আহত হন। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং এদেশীয় পাকিস্তানের চাটুকার বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়াতে কবীর চৌধুরীসহ এইরকম আরও পাকিস্তানের মতলব হাসিল কারিদের বিরুদ্ধে এক ধরণের জনমত তৈরিতে তখন কাজ করেন।
তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত আছেন। ইত্তেহাদ, দৈনিক দেশ, হক কথা, দৈনিক খবর, জনতা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাসহ আরো অনেক সংবাদপত্রে তিনি কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহুবার পুলিশি এবং রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বাংলা মোটরে স্বৈরাচারী এরশাদের পেটোয়া বাহিনী তার হাতের কব্জি এবং পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে দেয়। বাংলা একাডেমী (২০০২) ও একুশে পদক (২০০৫) ছাড়াও ১৫ টির বেশী পুরষ্কারের অধিকারী ׀
আবু সালেহ-এর ছড়া
আমার পতাকা
আমার পতাকা নিরাপদ নয় কেন
আমার পতাকা ওদের শত্রু যেন
আমার পতাকা সীমান্তে খায় গুলি
আমার পতাকা দেখছে মাথার খুলি,
আমার পতাকা টেনে ছিঁড়ছে কারা
আমার পতাকা কেড়ে নিতে চায় তারা
আমার পতাকা সাগরসীমাতে নেই
আমার পতাকা বেরুবাড়ীকেও দেই!

আমার পতাকা কেন উড্ডীন নয়
আমার পতাকা ফেলানীর লাশ হয়
আমার পতাকা ছিটমহলে কাঁদে
আমার পতাকা কেন রয় না কাঁধে
আমার পতাকা তালপট্টিতে লুট
আমার পতাকা পিষছে ওদের বুট
আমার পতাকা নেই পদ্মার বুকে
আমার পতাকা হেলছে টিপাইমুখে !

আমার পতাকা প্রফুল্ল কেন নয়
আমার পতাকা ভয় ও ভীতিতে রয়
আমার পতাকা সংসদে থাবা খায়
আমার পতাকা লাঞ্ছনা শুধু পায়।
আমার পতাকা শান্তি পায় না ওরে
আমার পতাকা ব্যথার আগুনে পোড়ে
আমার পতাকা জাতির কাছে বোবা
আমার পতাকা হারিয়েছে তার শোভা।

আমার পতাকা কেন হয় ছারখার
আমার পতাকা কবিতা লেখে না আর
আমার পতাকা বিনা বিচারে মরে
আমার পতাকা শত্রুপক্ষের ঘরে
আমার পতাকা কোমরে দেখছে দড়ি
আমার পতাকা দেখছে স্বৈর ছড়ি
আমার পতাকা অশ্রু মাহমুদের
আমার পতাকা দেখছে কোথায় জের!

আমার পতাকা প্রতিবাদী কেন নয়
আমার পতাকা ‘মুখ্যমন্ত্রী’ হয়
আমার পতাকা বন্দরে কালিমাখা
আমার পতাকা ওদের চাদরে ঢাকা
আমার পতাকা দস্যুর ট্রানজিট
আমার পতাকা দেয়ালে ঠেকায় পিঠ
আমার পতাকা আমারই হওয়ার কথা
আমার পতাকা পেলো না স্বাধীনতা!

আমার পতাকা একুশে ফেব্রুয়ারি
আমার পতাকা চুয়ান্নর জয়ভারি
আমার পতাকা ভাসানীর সেই সালাম
আমার পতাকা বাষট্টির সংগ্রাম
আমার পতাকা আসাদের লাল জামা
আমার পতাকা এক দফা দাবিনামা
আমার পতাকা ঊনসত্তর ধরে রাখে
আমার পতাকা কেন রে দুর্বিপাকে!

আমার পতাকা সত্তরের জলোচ্ছ্বাস
আমার পতাকা লক্ষ লোকের লাশ
আমার পতাকা একাত্তরের ছবি
আমার পতাকা বিদ্রোহী সেই কবি
আমার পতাকা কালুর ঘাটের জিয়া
আমার পতাকা টেকনাফ তেঁতুলিয়া
আমার পতাকা দিল্লির দাস নয়
আমার পতাকা আমারই পরিচয়।

আমার পতাকা পলাশীর কথা বলে
আমার পতাকা তিতুমীর হয়ে জ্বলে
আমার পতাকা মুক্তিযুদ্ধের ঘর
আমার পতাকা ষোলোই ডিসেম্বর
আমার পতাকা বাংলাদেশীর প্রাণ
আমার পতাকা ধান কাউনের ঘ্রাণ
আমার পতাকা নকশিকাঁথার মাঠ
আমার পতাকা সোজন বেদের ঘাট।

আমার পতাকা মুটে ও মজুর চাষীর
আমার পতাকা ভাটিয়ালি বারোমাসির
আমার পতাকা লাল-সবুজের মুখ
আমার পতাকা চাঁদ জোছনার সুখ
আমার পতাকা জীবনের চেয়ে বড়
আমার পতাকা কেন হচ্ছে জড়
আমার পতাকা আমাকে শক্তি দেয়
আমার পতাকা কে সে কেড়ে নেয়?





সেই বাহাত্তর / আবু সালেহ

সেই বাহাত্তর সেই পচাত্তর সেই হত্যা গুম
সেই ভয়ঙ্কর দমন পীড়ন লুট লোপাটের ধুম
সেই দাউ দাউ অগ্নিকান্ড আজো দেখি চলে
সেই প্রশাসন বাকশালিদের পায়ে পিষে ঐ দলে
সেই কুটনীতি দিল্লি তোষন প্রতিরক্ষা কাড়ে
সেই ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে এই জনতার ঘাড়ে।


ছড়া/ আবু সালেহ

আবার কেনো রক্ত ঝরে আবার কেনো হত্যা
আবার কেনো বিঘ্নিত হয় জাতির নিরাপত্তা
আবার কেনো স্বৈরাচারের পাগলা ঘোড়া ছোঁটে
আবার কেনো জনগনের জীবন ওঠে ঠোঁটে
আবার কেনো আধিপত্যের শিকল পড়াও পায়
আবার কেনো স্বাধীনতার সূর্য ডুবে যায়!

কোথায় গেলো ভাটিয়ালি জারি সারি
কোথায় গেলো সেই পুরাতন কালিবাড়ি
কোথায় গেলো আলোভরা ভোরের ডাক
কোথায় গেলো কোথায় গেলো পাখির ঝাঁক
কোথায় গেলো মায়ের আদর স্নেহরাশি
কোথায় গেলো বাশ বাগানের চাঁদের হাসি
কোথায় গেলো সেই আমাদের পুতুল বউ
কোথায় গেলো কোথায় গেলো ফুলের মৌ
কোথায় গেলো কাজল চোখের স্বপ্ননীড়
কোথায় গেলো সেই সাহসী যোদ্ধাবীর
কোথায় গেলো অগ্রগামী ছেলের দল
কোথায় গেলো কোথায় গেলো আমায় বল
কোথায় গেলো রাতের জোনাক আলোর দূত
কোথায় গেলো শেওড়া গাছের পেত্নীভূত
কোথায় গেলো টেংরা,পুটিঁ, শোল , বোয়াল
কোথায় গেলো কোথায় গেলো হাল জোয়াল
কোথায় গেলো টুন্টুনিদের ঝোঁপের বাঁশ
কোথায় গেলো শিশির ভেঁজা দুর্বাঘাস
কোথায় এলো সেই দিগন্তের বিন্দু রেখা
কোথায় গেলো কোথায় গেলো যায় কি দেখা


আবু সালেহর  সবচে বিখ্যাত  ছড়াটি

ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা!

যার পিছনে জানটা দিলাম যার পিছনে রক্ত
সেই রক্তের বদল দেখো বাঁচাই কেমন শক্ত,

ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার মরার স্বাধীনতা!

বাঁচতে চেয়ে খুন হয়েছি বুলেট শুধু খেলাম
উঠতে এবং বসতে ঠুঁকি দাদার পায়ে সেলাম,
ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা
রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা!

Pages: 1 ... 5 6 [7]