Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - mahmud_eee

Pages: 1 ... 15 16 [17]
241
গায়ে পিঠে হঠাৎই ৠাশ দেখতে পাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন না কেন এমন হলো। আপনার আইপ্যাডটি চেক করে দেখুন। জানা গেছে, জনপ্রিয় এই ট্যাবলেট কম্পিউটারে নিকেল রয়েছে, আর সেই নিকেল থেকেই শরীরে অ্যালার্জি।

একাধিক মেডিকেল জার্নালের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ল্যাপটপ, সেলফোনের মতো ব্যক্তিগত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলো থেকে নিঃসৃত নিকেল থেকেই মানব শরীরে অ্যালার্জির সৃষ্টি হচ্ছে।

এই তালিকা থেকে বাদ পড়ছে না গোটা বিশ্বজুড়ে খ্যাত আই-প্যাডও। বিষয়টি সামনে আসে যখন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্যানডিয়াগোর এক ১১ বছরের শিশুর আই-প্যাডের কারণে সৃষ্ট অ্যালার্জি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মেডিকেল জার্নাল মানডে পেডায়াট্রিকস এই রিপোর্ট প্রকাশ করে।

নিকেলে সৃষ্ট ৠাশ জীবনের জন্য ঝুঁকির নয়, কিন্তু এর ফলে জীবন অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। আর কোনো কারণে যদি চামড়া ইনফেকশন দেখা দেয় তখন অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরইডে চিকিৎসা নিতে হয়। শিশুটির চিকিৎসক ড. শ্যারন জ্যাকব বললেন এই কথা। ৠাডি চিলড্রেন’স হসপিটালের ডারমেটোলজিস্ট এই ড. জ্যাকব।

তিনি জানালেন, শিশুটির শরীরে ৠাশের জন্য স্কুল কামাই দিতে হয়েছে। ওর সারা শরীর জুড়ে এমনভাবে ৠাশ উঠেছে যা সাধারণ চিকিৎসায় ভালো হচ্ছে না।

ত্বক পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে তার শরীরে নিকেল থেকে সৃষ্ট অ্যালার্জি প্রকট। এবং চিকিৎসকরা নিশ্চিত আই প্যাড থেকেই এসেছে এই নিকেল। ২০১০ সালে শিশুটির পরিবারে প্রথম আই প্যাড আসে। তখন থেকেই এটি তার অন্যতম সঙ্গী। 

পরে আইপ্যাডটির বাইরে যে আবরণ তা পরীক্ষা করে তাতে নিকেল ধরা পড়ে।  শিশুটি প্রতিদিনই আই প্যাডটি ব্যবহার করতো।

তবে, অ্যাপেলের মুখপাত্র ক্রিস গেথার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কিছু অলঙ্কার, চশমার ফ্রেম থেকেও এই অ্যালার্জির সৃষ্টি হতে ‍পারে।

জ্যাকব বলেন, প্রায় ২৫ শতাংশ শিশুর ত্বক পরীক্ষা করে দেখা গেছে নিকেল থেকে তাদের শরীরে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়েছে।

242
Faculty Sections / বৃষ্টিতে ভিজলে
« on: July 18, 2014, 11:58:50 PM »
আজকাল প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে, এসময়ে বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। আর অনেক সময়ই আমরা বৃষ্টিতে ভিজে যাই। আমাদের সঙ্গে থাকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়  চামড়ার কিছু পণ্য। যেমন ব্যাগ, জুতা, ঘড়ির বেল্ট, চাবির রিং, ওয়ালেট আর বেল্ট।

বৃষ্টির পানি লেগে এবং স্যাঁতসেতে আবহাওয়ায় চামড়ার পণ্যে ছত্রাক পড়ে, পন্যগুলো নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হতে পারে। তাই এসময় পন্যগুলোর চাই একটু যত্ন। যা করতে হবে:

চামড়ার পণ্য ব্যবহারের পর অবশ্যই তা ব্রাস বা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন চামড়াজাত পণ্যটি ভিজে গেলে টিসু দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে ফেলুন পরে রোদে শুকিয়ে নিন

তবে খেয়াল রাখবেন বেশি সময় চামড়ার পণ্য কড়া রোদে রাখবেন না ব্যাগ, জুতা, বেল্ট একটি ব্যবহার না করে কয়েকটি ব্যবহার করলে পণ্যগুলো অনেক দিন ভালো থাকে

বাজারে প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় সিলিকা জেল পাওয়া যায়, চামড়াজাত পণ্যের পাশে থাকলে এটি পণ্য থেকে দ্রুত পানি শুষে নেয়। ফলে পণ্যটি ভালো থাকে ও টেকসই হয়।

আর সঙ্গে থাকা সবচেয়ে প্রিয় মোবাইল ফোনটি যদি ভিজে যায়? তবে তাত্ক্ষণিকভাবে সেটটি বন্ধ করে দিন, সিমকার্ড ও ব্যাটারি খুলে ফেলুন, প্রয়োজনে কেসিংও খুলে ফেলুন এবং শুকনো কোনো কাপড় বা টিসু দিয়ে ডিসপ্লে মনিটর, সার্কিট ব্যাটারি, কি প্যাড, কেসিং খুব ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে ফেলুন। বৃষ্টির মধ্যে বাইরে গেলে ফোনটি একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে রাখুন।

243
Faculty Sections / টাক সমস্যার সমাধান
« on: July 18, 2014, 11:57:53 PM »
মাথার প্রিয় চুলগুলো যখন পড়তে শুরু করে। সামনের দিকে চুল কমে নিজেকে টাক-টাক মনে হতে থাকে, তখন মন খারাপ আর দুশ্চিন্তা দুটোই আমাদের পেয়ে বসে। চুল পড়া ও টাক সমস্যা থেকে পরিত্রাণে কিছু ঘরোয়া সমাধান। চেষ্টা করে দেখতে পারেন কোনটি আপনার জন্য ভালো কাজ দেয়: 

নারকেল দুধ এবং তেল
আমাদের চুল ও মাথার স্ক্যাল্প ভালো রাখতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে নারকেলের দুধ। নিয়মিত নারকেলের দুধ ব্যবহারে চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নারকেল কুরিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেকে দুধ বের করে নিতে হবে।

এবার ২০ মিলি নারকেল তেল, ১০ মিলি আমলকি তেল এবং দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিলিয়ে নিন। কিছুক্ষণের জন্য রেখে নিন। এই তেল সপ্তাহে দুই দিন ভালো ভাবে মেখে ১ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। এতে যেমন চুল পড়া কমে যাবে তেমনি খুশকির যন্ত্রণা থেকেও রেহাই দেবে।

আমলা তেল, নারকেল তেল, বাদাম তেল বা এমনকি জলপাই তেল দশ মিনিটের মাসাজ আপনার চুল  মজবুত করবে।
আর তেল মাসাজের ফলে আমরা মাথা ব্যথা ও মানসিক চাপ থেকেও পরিত্রাণ পেতে পারি।

মেথি ও তেল
মেথি কয়েক মিনিট ভেজে গুঁড়ো করে নারকেল তেলের মধ্যে দিন। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন এই তেল মাথায় নিয়মিত দিয়ে ভালো করে মাসাজ করুন। আপনার চুল পড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে এই তেল।

মেহেদি
 চুল পড়া বন্ধে, রং করা, চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বহু আগে থেকেই আমরা মেদেহি ব্যবহার করে আসছি।

সরিষা তেলে মেহেদির পাতা মিলিয়ে বেল্ড করে নিন। এই তেল সপ্তাহে দুইবার ব্যবহারে কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন।

মধু ও অলিভ ওয়েল
সমপরিমাণ মধু এবং অলিভ ওয়েল নিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ সপ্তাহে দুইবার পুরো মাথায় মেখে ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। ৩ থেকে ৪ মাস এটা ব্যবহার করুন।

পেঁয়াজ
পেঁয়াজ মাঝ থেকে কেটে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় মাথার যে ‍অংশে চুল নেই সেখানে ঘষে ঘষে রসটুকু লাগিয়ে নিন। তারপর মধু মাখুন।
 

আমলকি
শুকনো আমলকি টুকরো করে কেটে নারকেল তেলে দিয়ে জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা হলে একটি বোতলে রেখে দিন। এই তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া যেমন কমবে, তেমনি চুলের বৃদ্ধিও দ্রুত হবে।

পেয়ারার পাতা
পানির মধ্যে কয়েকটি পেয়ারা পাতার দিয়ে জ্বালিয়ে পানি গাঢ় রং করে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই পানি দিয়ে আপনার মাথা মাসাজ করুন।

ডিম
ডিম এবং অলিভ ওয়েল মিশিয়ে মাথায় লাগালে আপনার মাথার চুল বৃদ্ধি পাবে, আর নতুন চুলও গজাবে। সপ্তাহে অন্তত একবার মাথায় ডিম দিন। - See more at:

245
কোরিয়ান জায়ান্ট স্যামসাং নমনীয় পর্দার কাজ করছে নতুন খবর নয়। এ নিয়ে কিছুদিন পর্যায়ক্রমে খবরও আসতে শুরু করে। এমনকি নমনীয় পর্দা্র কার্যপদ্ধতিও কার্যকরভাবে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এ প্রযুক্তির পণ্য বাজারে আনার বিষয়টি এখনও চুড়ান্ত করেনি স্যামসাং। প্রায় কয়েকমাস পর কোরিয়ান জায়ান্টের ফোল্ডেবল ডিসপ্লে সংক্রান্ত প্রযুক্তির খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে। প্রতিবেদনের তথ্য হিসেবে আসছে বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালেই বাজারে থাকবে দুই ভাঁজে ভাজ করা যায় এমন স্মার্টফোন সদৃশ ফ্যাবলেট। এফএইচডি ওএলইডি প্রযুক্তির এ পণ্যের আকার হতে পারে ৮ থেকে ৯ ইঞ্চি। যেটি হতে পারে বিশ্বের প্রথম ফোল্ডিং ফ্যাবলেট।

এদিকে ‘ডিজিট’ জানিয়েছে, স্যামসাং তাদের নজরকাড়া ফোল্ডিং ফ্যাবলেট তৈরির জন্য ইতিমধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ছাড়ার চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। মাধ্যমটি এটাও জানায় যে স্যামসাং এখন বিজ্ঞাপনের কৌশল নির্ধারণ করছে। কিন্তু পণ্যটির আকার বেশ বড় এবং আকাশ্চুম্বী দাম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাউথ কোরিয়াসহ নির্বাচিত কিছু বাজারে ফ্যাবলেটটি ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে কোরিয়ান জায়ান্টের।

আর ধারণাকৃত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের নাম থাকলেও আধুনিক সব পণ্যের গঠনের সাথে মিল রেখে যাতে ভালভাবে কাজ করা যায় এজন্য পছন্দের ভার্সন ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। চমক হিসেবে ফোল্ডিং গঠন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট অ্যাপসের ব্যবস্থাও থাকতে পারে। পর্দার রেজ্যুলেশন ১৪৪০ বাই ২৫৬০, ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, প্রসেসর কোয়ালকম স্লাপড্রাগন ৮০৫, তিন জিবি ৠাম এবং ভাঁজ করার পর এর আকার হবে ৫.৩ ইঞ্চি।

উল্লেখ্য, ছয়মাস আগে স্যামসাং দুই পর্দা বিশিষ্ট (ডুয়েল ডিসপ্লে) ডিভাইসের প্যাটেন্ট নথিভুক্ত করে। তবে পণ্যটি নিয়ে স্যামসাং এর অগ্রগতি কতদূর তা এখনও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিশ্চিত না করলে গুজব তথ্য বলছে আসছে বছরেই বাজারে দেখা যাবে ফোল্ডিং ডিসপ্লের ডিভাইসটি।

246
ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্রকে আরো সহজলভ্য করতে মোবাইলের উপযোগী করে একটি অ্যাপলিকেশন বানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ, সংশোধনসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ সহজেই পাওয়া যাবে।

ইসির সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর কাজটি করছে সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

মোবাইলে অ্যাপসটি চালু হলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো নাগরিক জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, সংশোধন করার জন্য, নতুন পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য বা এলাকা স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পাবেন।

বতর্মানে ইসির ওয়েরসাইটের মাধ্যমে এ সেবা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগ। ওয়েবসাইটের এই সেবাগুলোই এখন মোবাইলে দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট অ্যাপলিকেশন তৈরি করা হচ্ছে।

সম্প্রতি সরকারের আইসিটি বিভাগে এজন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য সরবরাহ করে তাদের কাছে কিছু প্রস্তাব করেছে ইসি। মন্ত্রণালয় তা গ্রহণও করেছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে কী কী সেবা এই অ্যাপস এর মাধ্যমে দেওয়া যাবে।

স্বাধীন এ সংস্থাটির সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সেবাটি চালু করার লক্ষ্যেই আইসিটি বিভাগ সহায়তা করছে। তাদের চাহিদা মোতাবেক আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেছি।

অ্যাপসটি মানুষের হাতে পৌঁছালে তারা যে কোনো জায়গায় বসে মোবাইল ফোনেই জেনে নিতে পারবেন কিভাবে কী  করতে হবে। এছাড়া শর্ট কোড নম্বরে ক্ষুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে বা ফোনকলের মাধ্যমেও এ সেবা প্রদানের চিন্তা ভাবনা চলছে।

এতে যে কোনো ব্যক্তি তার জাতীয় পরিপয়পত্র হারিয়ে গেলে, সংশোধনের জন্য বা এলাকা পরিবর্তন সম্পর্কিত বিষয়ে যাবতীয় করণীয় ওই শর্ট কোড বা নির্দিষ্ট নম্বরে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে বা ফোন করে জেনে নিতে পারবেন।

এছাড়া ইসির তথ্যভাণ্ডারের তথ্য কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগে যাতে নষ্ট হয়ে গেলেও বিকল্প ব্যবস্থায় কার্যক্রম চালানো যায় সেজন্য গঠন করা হচ্ছে ডাটা রিকভারি সাইট।

এটি খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে বলে ইসির সংস্থাপন শাখার এক উপ-সচিব জানিয়েছেন - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/296995.html#sthash.bEFr9t9g.dpuf

247
Faculty Sections / যাদুর পৃথিবী
« on: July 17, 2014, 01:59:55 PM »
থিবী গোলাকার নয়, কমলা লেবুর মতো উত্তর দক্ষিণে খানিকটা চাপা। এর পেছনে যে কারণ লুকিয়ে আছে তার কারণটা খুব মজার। আর সেটা হলো, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির যাদু।   

মাধ্যাকর্ষণ শক্তি মহাশুন্যে এক ফোঁটা পানি থেকে শুরু করে বিশাল নক্ষত্র, প্রতিটি বস্তুরই পুরো ভর তার মধ্যাকর্ষণ কেন্দ্রের দিকে টান অনুভব করে।

বিশাল বিশাল বস্তু যেমন নক্ষত্র বা গ্রহের ভর এতই বেশি যে এই টান পুরো বস্তুটির চার পাশে সমান করে দিতে বস্তুর পদার্থকে মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র থেকে সমান দুরত্বে ছড়িয়ে দেয়,  মানে প্রায় গোলক আকৃতি দিয়ে দেয়।

ছোট-খাট বস্তু যেমন, গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ড, কিংবা যেমন আপনার কম্পিউটার, এগুলোর ভর এতই কম যে পদার্থের অবস্থান পাল্টে নিজেকে গোলকের আকৃতি দিতে পারে না, বরং অন্য বিশাল কোন বস্তুর মধ্যাকর্ষণের আয়ত্তে পড়ে ঘুরতে থাকে বা আপাত একটা স্থির অবস্থান নেয়।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে তো পৃথিবী গোলাকার হবার কথা, কিন্তু বিজ্ঞানীরা যে বলেন তা আসলে কমলা-লেবুর মত? এর কারণ কী? এর কারণ হল, কেন্দ্রাভিমুখী বল।

সূর্যের চারপাশে ঘুরতে গিয়ে পৃথিবীকে নিজের অক্ষকে কেন্দ্র করেও ঘুরতে হয়, ফলে এই বিশাল ভরের বস্তুটির পদার্থগুলো কেন্দ্রের যথাসম্ভব কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে। এটি সম্পর্কে সম্পুর্ণ ধারণা এখনো পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা এখনো এসব পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন।

248
Faculty Sections / চালকবিহীন গাড়ি
« on: July 17, 2014, 01:54:13 PM »
এতদিন চালক ছাড়া  বিমানের কথা শুনলেও খুব শিঘ্রই বাজারে আসছে চালক ছাড়া গাড়ি।

অবাক করার মতো হলেও  সত্যি সত্যি গুগল এধরণের গাড়ি তৈরি করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গুগল ঘোষণা দিয়েছে যে তারা যে গাড়িটি তৈরি করতে যাচ্ছে সেটি চালানোর জন্য কোনরকম চালক বা মানুষের প্রয়োজন হবে না।

গুগল এ গাড়িটির নাম দিয়েছে 'সেল্ফ ড্রাইভিং কার'। 

এ গাড়িটিতে স্টিয়ারিং বা কোনরকম পেডেল থাকবে না। শুধুমাত্র একটি সুইচ থাকবে যেটি দিয়ে গাড়ি চালু ও বন্ধ করা যাবে। এই গাড়িটি নিজে নিজেই চলতে পারবে এবং যাত্রীকে তার জায়গায় পৌঁছে দিতে পারবে। শুধু নির্দেশনা দিয়ে দিলেই হবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সভায় গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা সারজে ব্রিন এই পরিকল্পনার কথা জানান। সেলফ ড্রাইভিং প্রজেক্টের ডিরেক্টর ক্রিস আরমসন জানান তারা এই গাড়িটি নিয়ে খুবই রোমাঞ্চিত ও আশাবাদী।

গাড়িটি দেখতে অনেকটা কার্টুনের মতো। সাধারণ গাড়ির মতো এই গাড়ির সামনে কোন বনেট থাকবে না এবং চাকাগুলো থাকবে একদম সাইডে। এই গাড়িতে দুজন মাত্র বসতে পারবে। গাড়িটি চলবে বৈদ্যুতিক শক্তিতে এবং শুরুতে এর গতি হবে ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার।

যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গাড়িটির সামনের অংশ ডিজাইন করা হয়েছে পাতলা ও নরম ফোমের আবরণ দিয়ে। যেখানে সাধারণ গাড়িতে থাকে শক্ত ধাতবজাতীয় পদার্থের আবরণ। এটি যাত্রীদের দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে। 

গাড়িটিতে স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিংয়ের জন্য রয়েছে ক্যামেরা ও লেজার সেন্সর। গুগল ম্যাপের উপর ভিত্তি করে এর সফ্‌টওয়্যারটি তৈরি করা হবে। 

গুগল জানায় প্রাথমিক ভাবে তারা মাত্র ১০০টি গাড়ি বাজারে আনবে এবং আগামী বছরের মধ্যেই এই সেলফ ড্রাইভিং কার পুরোপুরি বাজারে আসবে বলে তারা আশা করছেন।

249
রূপগঞ্জের পরিবার হারা শিশু সাদিক। বয়স দশ এগার বছর। কাজের খোঁজে এখান থেকে ওখানে ঘুরে বেড়ায় তবু খাবার জোটেনা তার। 

কখনও ক্ষেত-ক্ষামারে  কখনও কারো বাড়িতে কাজ করে। তাতে ঠিক মতো খাবার জোটেনা। কোনদিন একবেলা কোনদিন অনাহার।

সাদিক জানায়, তার স্কুলে যেতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু বাপ মা নাই তাই নিজের খাবার নিজেকেই জোগাড় করতে হয়। ঘুরে বেড়াতে হয় সারাদিন। 

সাদিক রোজা রাখে কি না জানতে চাইলে সে বলে “আমাগো তো বেবাগ বেলাই রোজা”।

খাবারই জোটেনা টিকঠাক তাই সব দিনই সাদিকের রোজা। 

ওর পায়ে কালশিটের দাগ কেন জানতে চাইলে সে জানায়, কাজে দেরি করে যাওয়ায় মালিক কাঠ দিয়ে পায়ে মেরেছে। 

বাংলাদেশে অতি সম্প্রতি পাস হয়েছে শিশু আইন ২০১৩। এতে বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি যদি তার দায়িত্বে থাকা শিশুকে আঘাত, উৎপীড়ন বা অবহেলা করে তাহলে ঐ ব্যক্তির অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। 

কিন্তু অসহায় সাদিক এ সব নিয়ম বা আইন সম্পর্কে কিছুই জানে না।

সাদিকের বাবা মা পরিবার কিছুই নাই। হয়ত কোনদিনই স্কুলের পথ মাড়ানোর সুযোগ হবে না তার তবু সে বলে, "বড় অইয়্যা পেলেন চালামু।"

250

এখন যেন কেবল পিসি বা ম্যাকে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও চলে না। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টটিভি থেকে শুরু করে গেইমিং কনসোল এমনকি ঘরের স্মার্ট হিটিং সিস্টেমের জন্যেও লাগে নেট কানেকশন।

ঘরে বসে ইচ্ছেমতো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে অনেকেই এখন নির্ভর করেন ওয়াই-ফাই রাউটারের উপর। আসবাবপত্র থেকে করে প্রতিবেশীর ওয়াই-ফাই সিগনাল ঝামেলা পাকাতে পারে নিজের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে। তবে সহজ কিছু পদক্ষেপে অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব দূর্বল ওয়াই-ফাই সমস্যার।

ওয়াই-ফাই সিগনালের পারফর্মেন্স চেক করুন: প্রথমেই যে কাজটা করা প্রয়োজন সেটা হলো নিজের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পারফর্মেন্স যাচাই করে দেখা। প্রতিবেশীও যতি ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যবহার করেন তবে একে অপরের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে নেটওয়ার্ক দুটি।

ওয়াই-ফাই সিগনাল পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ‘inSSIDer’ অ্যাপটি। অ্যাপটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে কার্যকর সবগুলো ওয়াই-ফাই সিগনাল সম্পর্কে জানিয়ে দেবে আপনাকে। এছাড়াও স্পিড টেস্ট ফিচার আছে অ্যাপটিতে, যা জানিয়ে দেবে ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি।

ঘরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার পরীক্ষা চালানোই হবে শ্রেয়। রাউটার থেকে দূরত্ব আর ঘরের আসবাবপত্রের উপর নির্ভর করে পরিবর্তন আসবে স্পিড টেস্টে। 

সম্ভাব্য সমাধান: ঘরের কোথায় ওয়াই-ফাই সিগনাল দুর্বল সেটি একবার বের করে ফেললে সেই সমস্যার সমাধানটাও করা যাবে সহজে। ওয়াই-ফাই সিগনালের জন্য আরও শক্তিশালী ওয়াইফাই রাউটার লাগানো যেতে পারে যে কোনো সময়। কার্যকর বিকল্প হতে পারে নেটওয়ার্ক রিপিটার। একাধিক নেটওয়ার্ক রিপিটার বসিয়ে সমাধান করা যেতে পারে দুর্বল ওয়াই-ফাই সিগনালের।

আর আপনার বাসায় যদি দুটি একাধিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক থাকে তবে নেটওয়ার্ক দুটিকে একই এসএসআইডি দিয়ে জুড়ে দিতে পারেন একসঙ্গে। ফলে এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেকটিতে পরিবর্তন সহজ হয়ে যাবে।

হার্ডওয়্যার: সোজা কথায় বলতে গেলে শক্তিশালী ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চাইলে কিছুটা বেশি করে হলেও খরচ করতে হবে গাঁটের পয়সা। সম্প্রতি নতুন একটি ডুয়াল-ব্যান্ড ওয়াই-ফাই রাউটার বাজারজাত করছে লিংকসিস। লিংকসিস ডব্লিউআরটি১৯০০এসিতে আছে ১.২ গিগাহার্টজের প্রসেসর, চারটি অ্যান্টেনা, ই-সাটা এবং ইউএসবি ২ ও ইউএসবি ৩ পোর্ট।

এ ছাড়াও আছে গিগাবিট ওয়ান পোর্ট এবং গিগাবিট ল্যান পোর্ট। লিংকসিস এবং বেলকিন দুটি প্রতিষ্ঠানেরই আছে ‘এক্সটেন্ডার’। সিগনাল শক্তিশালী করার পাশাপাশি ডেটা ট্রান্সফারের গতিও বাড়ায় এক্সটেন্ডারগুলো।

বাজেটে ওয়াই-ফাই: ওয়াই-ফাইয়ের পেছনে বাড়তি পয়সা খরচ করতে না চাইলেও সমস্যা নেই। সহজে ওয়াই-ফাই সিগনাল পাবার জন্য রাউটারটি বসাতে হবে বাসার কেন্দ্রিয় কোনো উঁচু স্থানে। আর কর্ডলেস ফোন থেকেও দূরে রাখতে হবে রাউটারটি।

আর ঘন ঘন নেটওয়ার্ক পাসওয়ার্ডও বদলে নিতে হবে। অন্যথায় প্রতিবেশী যদি বিনে পয়সায় আপনার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালাতে থাকে, তবে সিগনাল দুর্বল হয়ে পরবে সিগনাল।

251
Faculty Sections / স্মৃতি মুছে দেওয়া
« on: July 17, 2014, 01:31:18 PM »
স্মৃতি মুছে দেওয়ার বা হারানো স্মৃতি ফিরে পাওয়ার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেছেন ইনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা। ল্যাবরেটরিতে ইঁদুরের স্মৃতি মুছে আবার তা ফিরিয়েও দিয়েছেন তারা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের শুরু হতে পারে বিজ্ঞানীদের এই অর্জন থেকে।

প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিভিন্ন মানসিক রোগের সমাধান মিলতে পারে স্মৃতি মুছে ফেলার বা ফিরে পাওয়ার গবেষণায় বিজ্ঞানীদের এই অর্জন থেকে। পিটিএসডির মতো মানসিক অসুস্থতা এবং ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ ব্যাধির চিকিৎসার নতুন উপায় সৃষ্টি হতে পারে এই আবিষ্কার থেকে।

এ ব্যাপারে স্যান ডিয়েগো স্কুল অফ মেডিসিনের ওই বিজ্ঞানী দলের প্রধান ড. রবার্টো ম্যালিনাও বলেন, “আমরা নতুন স্মৃতি তৈরি করতে পেরেছি। উদ্দীপ্ত করে সিন্যাপ্টিক সংযোগ আরও দৃঢ় আবার দুর্বল করার মাধ্যমে সেই স্মৃতি মুছে দিয়ে আবার ফিরিয়েও আনতে পেরেছি।”

প্রথমে ল্যাবরেটটির ইঁদুরগুলোর মধ্যে ভয়ের অনুভূতি সৃষ্টি করেনি বিজ্ঞানীরা। আলোর প্রতি সংবেদনশীল স্নায়ু উদ্বীপ্ত করে একই সময়ে ইঁদুরগুলোর পায়ে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে ইলেকট্রিক শক দেন বিজ্ঞানীরা। এতে ভয় ও ব্যাথ্যার অনুভূতি সৃষ্টি হয় ইঁদুর গুলোর মধ্যে।

এরপর ওই ভয় আর ব্যাথার স্মৃতি মুছে দেওয়ার কাজ শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। ধীর গতিতে নিউরাল সংযোগে লো-ফ্রিকোয়েন্সি অপটিকাল পালস দিয়ে ওই স্মৃতি মুছে দেন বিজ্ঞানীরা। আর সবশেষে নিউরাল সংযোগে হাই-ফ্রিকোয়েন্সি অপটিকাল পালস প্রয়োগ করে আবারও সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হন বিজ্ঞানীরা।

252
টিভি গুটিয়ে রাখা যাবে পোস্টারের মতো


কাগজের মতো পাতলা দুটি টিভি প্যানেল নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলজি। এগুলো এতটাই নমনীয় হবে যে সেগুলো অনায়াসে এক ইঞ্চি টিউবের ভেতরে রোল করে রাখা যাবে।

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল নাগাদ ভিন্নধর্মী এই টিভি বাজারে নিয়ে আসার আশা করছে।

এলজির বিবৃতি অনুসারে, নতুন ধরনের এই আল্ট্রা এইচডি ‘রোলএবল’ টিভির পর্দার মাপ হবে ৬০ ইঞ্চি। এ বছরের শুরুর দিকের কনজিউমার ইলেকট্রনিক শো’তে এলজি প্রথম তাদের নমনীয় টিভির একটি নমুনা দেখিয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নমনীয় স্ক্রিনের টিভিকে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজেও ব্যবহার করা যাবে। নতুন নমনীয় প্যানেলের টিভিতে ১২০০ বাই ৮১০ রেজুলিউশন থাকবে ও স্ক্রিনে নমনীয়তার জন্য প্লাস্টিকের বদলে ‘উচ্চমাত্রার আণবিক-পদার্থভিত্তিক পলিইমিড ফিল্ম’ ব্যবহার করা হবে বলেই জানিয়েছে এলজি।

আর দ্বিতীয় প্যানেলের টিভির স্ক্রিনে নমনীয়তার পাশাপাশি থাকবে স্বচ্ছতা। এলজি নিজেদের ‘ট্রান্সপারেন্ট পিক্সেল ডিজাইন প্রযুক্তি’ প্রয়োগ করে স্বচ্ছ ডিসপ্লের অস্পষ্টতা কমিয়েছে।

এলজি’র ভিন্নধর্মী এই টিভি তৈরির বিষয়টিকে অনেকেই সাধুবাদ জানালেও ট্রাস্টেডরিভিউস সম্পাদক ইভান কাইপ্রেসোস জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে এই টিভি বাজারে আসলেও সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এর মূল্য যথেষ্টই বেশি হবে।

253
Faculty Sections / সুস্থ্ থাক কিডনি
« on: July 14, 2014, 05:19:28 PM »
সুস্থ্ থাক কিডনি

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নয়। ফলে কিডনি বা বৃক্ক সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত এই বিষয়ে খেয়াল রাখারও প্রয়োজন হয় না।


অনেকেই মনে করেন বয়স বাড়লে কিডনির অসুখে ভোগার সম্ভাবনা বেশি। বাস্তবতা হচ্ছে যে কোনো বয়সেই এই অঙ্গ বিকল হতে পারে।

কিডনি বিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিশু কিডনি রোগের ডাক্তার আ.ন.ম. সাইফুল হাসান বলেন “শিশু থেকে যেকোনো বয়সের মানুষই কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।”

সাইফুল হাসানের তথ্য অনুসারে, বংশানুক্রমিকভাবে এবং অনিয়ম দুটি কারণেই কিডনি রোগে মানুষ আক্রান্ত হন।

বংশানুক্রমিক কারণে এই রোগে আক্রান্ত না হলে— পর্যাপ্ত পানি পান না করা, বেশি পরিমাণে লবণ খাওয়া, প্রস্রাব আটকে রাখা, অতিরিক্ত ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করা, অধিক মদ্যপান, ওষুধ গ্রহণে অনিয়ম, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব ইত্যাদি কারণে কিডনি রোগ হতে পারে।

জ্বর, কোমরে ব্যথা, দুর্বলতা অনুভব করা, অতিরিক্ত বা অল্প প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, অরুচি, ওজন কমে যাওয়া, শরীরের পানি আসা এবং ফুলে যাওয়া ইত্যাদি কিডনি রোগের লক্ষণ বলেই জানালেন ডা. সাইফুল।

এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিলেন এই ডাক্তার।

ডা. সাইফুল বলেন, "তবে একটু সচেতন হলেই এড়ানো সম্ভব কিডনি রোগ।"

তার পরামর্শ অনুযায়ী— পর্যাপ্ত পানি পান করা, বেশিমাত্রায় লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকা, ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া, মদ্যপান পরিহার করা, নিয়ম অনুসারে ওষুধ খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া, ইত্যাদি মেনে চললেই অনেকাংশে কিডনি রোগের ঝুঁকি কমে আসে বলেই জানান ডা. সাইফুল হাসান।

এক কথায় বলা যায়, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন সেই সঙ্গে রোগের লক্ষণ দেখা মাত্র প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা শুরু করা গেলে কিডনি সুস্থ্য রাখা সম্ভব।

Pages: 1 ... 15 16 [17]