Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Zubayar

Pages: [1]
1
যারা রাত্রে বা ভোরে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন তাদের জন্য ডাক্তারদের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ:

আমরা প্রায়ই শুনতে পাই একেবারে সুস্থ একজন মানুষ রাতের বেলা হঠাৎ মারা গেছেন। এটার একটা কারন হচ্ছে রাতে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা তাড়াহুড়ো করে
হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হঠাত কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্নও বদলে দেয়।

হুট করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার দরুন আপনার ব্রেইনে সঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌছাতে পারেনা, যার ফলে হতে পারে হার্ট এ্যাটাকের মত ঘটনাও।

ডাক্তাররা ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাবার আগে সবাইকে 'দেড় মিনিট' সময় নেয়ার একটি ফর্মুলা দিয়েছেন।

এই দেড় মিনিট সময় নেয়াটা জরুরি কারন এটা কমিয়ে আনবে আপনার আকস্মিক মৃত্যুর সম্ভাবনা।

হঠাত এই উঠে পড়ার সময়ে এই দেড় মিনিটের ফর্মুলা বাঁচিয়ে দিতে পারে আমাদের জীবন।

১। যখন ঘুম থেকে উঠবেন, হুট করে না উঠে মিনিমাম তিরিশ সেকেন্ড বিছানায় শুয়ে থাকুন।

২। এরপর উঠে বিছানায় বসে থাকুন তিরিশ সেকেন্ড।

৩। শেষ তিরিশ সেকেন্ড বিছানা থেকে পা নামিয়ে বসুন।

এই দেড় মিনিটের কাজ শেষ হবার পর আপনার ব্রেইনে পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন পৌছাবে যা আপনার হার্ট এ্যাটার্ক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি একদম কমিয়ে আনবে।

খুবই গুরুত্বপুর্ন এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যটি‌ ছড়িয়ে দিন আপনার পরিবার,বন্ধু এবং পরিচিত লোকজনের মাঝে। নিজে এই ফর্মুলাটি মেনে চলুন এবং অন্যদেরকেও মানতে বলুন।

মনে রাখবেন যেকোন বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সাবধান থাকতে হবে সবাইকেই।

2
দৈনন্দিন জীবনের চক্করে নিয়ম করে জিমে যাওয়া তো দূরের ব্যাপার, ঠিক মতো খাওয়াদাওয়াই করা হয়ে ওঠে না। ফলে, রোগা হওয়াই শুধু নয়, অল্প বয়সেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম। বাজারে প্রচলিত এমন বেশ কিছু ওষুধ ও খাবার রয়েছে, যা খেলে নাকি রোগা হওয়া যায়। সঙ্গে এমনও দাবি যে, এই খাবারগুলি স্বাস্থ্যকর এবং কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই।

এমনই এক পরিচিত খাবার হল ‘ডাইজেস্টিভ বিস্কুট’। প্রচলিত ধারণা, এই বিস্কুট স্বাস্থ্যকর। এবং এই বিস্কুট খেলে ওজনও বাড়ে না। কিন্তু, এ তথ্য সম্পূর্ণ ঠিক নয় বলেই জানিয়েছে এক গবেষণা। ডাইজেস্টিভ বিস্কুট মূলত তৈরি হয়েছিল সেই সব মানুষকে মাথায় রেখে, যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। সহজে হজম হয়ে যাওয়া এই বিস্কুট, চায়ের সঙ্গে এক-আধটা খেলে খুব একটা সমস্যা নেই।

কিন্তু জেনে রাখুন, এই বিস্কুট প্রসেস্‌ড ফুডের একটি আদর্শ উদাহরণ। এবং চিকিৎসকরাই বারণ করছেন এই বিস্কুট খেতে, মূলত ৩টি কারণে—

উপকরণ-ডাইজেস্টিভ বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু তার সঙ্গে থাকে সুগার, ফ্যাট, সোডিয়াম ও রিফাইন্ড ময়দাও। যা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে।

প্রসেস্‌ড ফুড-কখনও দেখেছেন ডাইজেস্টিভ বিস্কুট পচে গিয়েছে বা তাতে ছাতা পড়েছে? না তো! এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে এই ধরনের বিস্কুটে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভ জাতীয় জিনিস।

ক্যালোরি-ডাইজেস্টিভ বিস্কুটে অন্তত পক্ষে ৫০ ক্যালোরি থাকে, যা খুব সহজেই শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। সুগার, ফ্যাট, সোডিয়াম, ময়দায় থাকে ‘আনহেলদি’ ক্যালোরি

3
কোনো খাবার বা এ জাতীয় জিনিস দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য সচরাচর তা ফ্রিজে রেখে দেয়া হয়। তবে কোন জিনিস রাখা যাবে বা যাবে না তা আমরা অনেকেই জানি না। এর ফলে না জেনেই অামরা অনেক কিছু ফ্রিজে রেখে দেই। ফলে যা হবার তা-ই হয়। তাই কোন কোন জিনিস ফ্রিজে রাখা যাবে না সেসব নিয়েই নিচে আলোচনা করা হলো :

টমেটো : সতেজ রাখার জন্য অনেকেই টমেটো ফ্রিজে রাখেন। কিন্তু ফ্রিজে রাখলে টমোটোর বর্ণ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। তাই বাইরেই রাখুন। পরিষ্কার  কোনো পলিথিন ব্যাগে কিংবা কাগজের প্যাকেটেও রাখতে পারেন। এভাবে সংরক্ষণ করলে টমেটো ৩ দিন পর্যন্ত ফ্রেশ থাকে।

রসুন : রসুন বাইরে রাখাই ভালো। বাইরেই এটি ২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে এমন জায়গায় রাখুন যেন রসুনে বাতাস লাগে।

পেঁয়াজ : পেঁয়াজ কেনার পর বাইরে খোলা স্থানে রাখুন কিংবা এমন কোনো জায়গায় রাখুন যেন বাতাস লাগে। তবে পেঁয়াজ সবসময় আলু থেকে দুরে রাখুন। কারণ আলু থেকে আর্দ্রতা ও গ্যাস নির্গত হয়ে থাকে যার জন্য পেঁয়াজ পচে যায়।

পাউরুটি : পাউরুটি ফ্রিজে রাখবেন না। কারণ ফ্রিজে রাখলে তা দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়, খেতেও ভালো লাগেনা। বাইরেই পাউরুটি ৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

আলু : আলু ফ্রিজে রাখলে এর গন্ধ নষ্ট হয়ে যায়। আলু বাইরে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। তাই বাইরে খোলা জায়গায় রাখুন।

হট সস : হট সস ফ্রিজে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ এটি ৩ বছর পর্যন্ত বাইরে নিশ্চিন্তে রাখা যায়।

কুমড়া : কুমড়া একটি সুস্বাদু সবজি। আমাদের দেহের জন্যও খুব ভালো এই সবজিটি। এটি ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কারণ বাইরেই এটি কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন রাখা যায়।

কফি : নষ্ট না হওয়ার জন্য অনেকেই কফি কিনে ফ্রিজে রেখে দেন। এতে কফি জমে ঘন হয়ে যায় এবং এর গন্ধ নষ্ট হয়। তাই কফি ভালো একটি পাত্রে রেখে ঢাকনা দিয়ে ভালোভাবে আটকে রাখুন। এটি অনেকদিন ভালো থাকবে।

নেইলপলিশ : নেইলপলিশ ঘন করতে অনেকেই এটি ফ্রিজে রাখেন। তবে এটি ফ্রিজে না রাখাই ভালো। সাধারণ তাপমাত্রায় রাখলে নেইলপলিশ অনেকদিন ভালো থাকবে।

ব্যাটারি : ব্যাটারির পাওয়ার শেষ হয়ে গেলে অনেকেই মনে করেন ফ্রিজে রেখে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা করলে এটি আবারও চলবে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ব্যাটারি সবসময় ড্রয়ারে সাধারণ তাপমাত্রায় রাখুন। কারণ বেশি ঠাণ্ডায় ব্যাটারির সমস্ত কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।

4
বিভিন্ন খাবারে এলাচ মশলা হিসেবে ব্যবহার হলেও এলাচের রয়েছে বহু অসুখ নিরাময়ের গুণ। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন এলাচের সেই গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত-

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়। চায়ের সঙ্গে মধু মেশানো এলাচ খেলে কমতে পারে সর্দি-কাশির উপদ্রব। নিয়মিত এলাচ খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। এলাচ ওজন কমাতে সাহায্য করে। এলাচের মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকে ছাপ, বলিরেখা পড়তে বাধা দেয়। মুখের দুর্গন্ধ হাত থেকে বাঁচতে মুখে রাখুন দু-তিনটে এলাচ। নিয়মিত এলাচ খেলে কমতে পারে ক্যানসারের সম্ভবনা। মুখের ঘা, মাড়ির ক্ষত ইত্যাদিতে এলাচ অব্যর্থ ওষুধের কাজ করে।

5


মুলার ঝাঁঝ ওয়ালা গন্ধের কারণে অনেকে নাক কুঁচকে ফেলেন। তাই আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। অথচ এই সবজিটি হতে পারে আপনার অসংখ্য রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

সহজলভ্য এবং পর্যাপ্ততা থাকায় আপনিও অনায়াসে খেতে পারেন অসাধারণ উপকারী এই সবজি। প্রতি ১০০ গ্রাম মুলাতে প্রোটিন আছে ০.৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৩.৪ গ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ০.০ আইইউ, ফ্যাট ০.১ গ্রাম, আঁশ ০.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২২ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘সি’ ১৫ মিলিগ্রাম।

বাজারে পাওয়া সাদা ও লাল দুই ধরনের মুলাতে আছে সমান পুষ্টিগুণ। মজার বিষয় হল, মুলার চেয়ে এর পাতার গুণ অনেক বেশি। কচি মুলার পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায় এবং খুবই মজাদার।

পাতাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি পাওয়া যায়। খাবার উপযোগী ১০০ গ্রাম মুলাপাতায় আছে আমিষ ১.৭ গ্রাম, শ্বেতসার ২.৫ গ্রাম, চর্বি ১.০০ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৫৭ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৪৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ বা ক্যারোটিন ৯ হাজার ৭০০ মাইক্রোম ভিটামিন বি-১০.০০৪ মিলিগ্রাম, বি-২০.১০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ৩.৬ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১২০ মিলিগ্রাম।

6
খন মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে লালন-পালন করা ব্রয়লার মুরগী সহ সব ধরনের পশুকেই নিয়মিত ভাবে প্রায় প্রতিদিনই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ানো হয়। প্রতি বছর বিশ্বে এই উদ্দেশে প্রায় ৬৩ হাজার ১৫১ টন অ্যান্টিবায়োটিক লাগে। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে যে খাদ্য গ্রহণ করে পশুরা তা থেকে সহজেই তাদের দেহে মাংসপেশি উৎপাদিত হয়। আগেভাগে প্রয়োগ করা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে সহজে রোগবালাইয়ে আক্রান্ত না হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটে। কিন্তু এভাবে কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদিত এই মাংসই বেশিরভাগ খাদ্যবাহিত রোগের সংক্রমণ এবং আমাদের দেহকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী করে তোলার প্রধান কারণ। এখন আর মানুষের দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না এই কারণেই। অথচ বিশ্বের বেশিরভাগ পশু মাংসই উৎপাদিত হয় এখন এই উপায়ে। দেহে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যকারিতার অভাবে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অন্তত ৭ লাখ মানুষ অকালে মারা যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে মারা যায় ২৩ হাজার, ইউরোপে মারা যায় ২৫ হাজার আর ভারতে শুধু ৬৩ হাজার শিশু মারা যায় এই কারণে। এ থেকেই ধারণা পাওয়া যেতে পারে বাংলাদেশের মতো স্বাস্থ্য অসচেতন দেশে কত মানুষ মারা যাচ্ছে এই কারণে।

ওই মৃত্যু ছাড়াও দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে নানা ধরনের রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ২০ লাখ মানুষ এই কারণে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। বিজ্ঞানিরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার কারণে বিশ্বের ক্ষতি হবে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার। এবং অকাল মৃত্যু হবে ১ কোটি মানুষের। নানা রোগের জীবাণুরা অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। ১৯৪০ সালে আবিষ্কৃত হয় পেনিসিলিন। অথচ মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই এর কার্যকারিতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তোলে জীবাণুরা। এইসব জীবাণু আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এখন বছরে ৭ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয় এই কারণে।

টেট্রাসাইক্লিন এসেছিল ১৯৪৮ সালে কিন্তু ১৯৫০ সালের শেষদিকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধী শক্তি গড়ে তোলে জীবাণুরা। ইরিথ্রোমাইসিন এসেছে ১৯৫২ সালে কিন্তু ১৯৫৫ সালের মধ্যেই এটির কার্যকারিতা নষ্ট হতে থাকে। পেনিসিলিনের কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে মেথিসিলিন আসে ১৯৬০ সালে। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই স্ট্যাফ ব্যাকটেরিয়া এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।

শুধু পেনিসিলিন এবং এর সমগোত্রীয় অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধেই নয় বরং সেফালোসপোরিন নামের অ্যান্টিবায়োটিক এবং তার সমগোত্রীয়দের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে জীবাণুরা। এরপর আসে আরো নতুন অ্যান্টিবায়োটিক কিন্তু সেসবও পরাজিত হয়। যতবারই নতুন ওষুধবিদ্যাগত রসায়ন, নতুন আণবিক আকৃতি এবং নতুন কার্যকারিতার পদ্ধতি সম্বলিত অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করা হয়েছে ততবারই জীবাণুরা তাদের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার কৌশল রপ্ত করে ফেলছে। এমনকি এখন যেন প্রতিটি দশকে জীবাণুরা আরো দ্রুত গতিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করছে। জীবাণুদের এই নাছোড়বান্দার মতো অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠার ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে চিরদিনের মতোই বুঝি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ এর কার্যকারিতা হারাবে। যার ফলে এখন সাধারণ কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যাও মৃত্যু ডেকে আনবে হয়তো। সাধারণ কোনো আঁচড়, দাঁত তোলা বা কোনো অঙ্গ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো ছোট জখম থেকেও প্রাণ হারানোর মতো ঝুঁকি তৈরি হবে হয়তো।

এখন যুক্তরাষ্ট্রে যত অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয় তার ৮০ শতাংশই ব্যয় হয় পশু মাংস উৎপাদনে। আর বিশ্বব্যাপী যত অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয় তার অর্ধেকেরও বেশি ব্যয় হয় ব্রয়লার মুরগীসহ অন্যান্য পশু মাংস উৎপাদনে। এসব অ্যান্টিবায়োটিক কোনো রোগ সারাতে খাওয়ানো হয় না। বরং দ্রুত তাদের মোটা-তাজা করণেই শুধু ব্যবহৃত হয়। অথবা খামারে গাদাগাদি করে বসবাসের কারণে সম্ভাব্য যেসব রোগে আক্রান্ত হতে পারে তা থেকে রক্ষার জন্য আগাম প্রয়োগ করা হয়।
আর ওই মাংস খাওয়ার ফলে মানুষের দেহে আর নতুন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও কাজ করে না। ওই অ্যান্টিবায়োটিকযুক্ত মাংস খাওয়ার ফলে রোগের জীবাণুরা দেহে মিশে যাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন বসবাসের ফলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠে। নতুন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগেও তাদের আর হত্যা করা যায় না। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে উৎপাদিত মাংস খাওয়ার ফলে মানুষের দেহকোষগুলোর এমন জিনগত পরিবর্তন ঘটে যায়, যার ফলে জীবাণুরা কোষের মধ্যে নতুন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করতে দেয় না বা নতুন অ্যান্টিাবায়োটিক আসলে তাকে বের করে দেয়। যদি পরিমিতভাবে এবং নিয়ম মেনে- সঠিক ডোজ এবং সময়ের দূরত্ব ঠিক রেখে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হত, শুধু কোনো রোগের জীবাণুকে মারার জন্য তাহলে জীবাণুরা কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হতে পারতো না। কিন্তু কৃষি বা মাংস উৎপাদনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের এই নিয়ম-নীতি মানা হয় না; সেখানে রোগের জীবাণুকে মারার জন্য নয় বরং দ্রুত মোটা-তাজাকরণের উদ্দেশেই ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক। রোগের জীবাণুদের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন বিশ্ব জলবায়ু সংকটের মতোই ভয়াবহ। দশকের পর দশক ধরে কোটি কোটি ছোট ছোট চিকিৎসাগত সিদ্ধান্তের সম্মিলিত ফল এটি। যা আরো বিপর্যয়কর রুপ ধারণ করেছে কৃষি ও পশুপালনে শিল্পায়নের ফলে। তেমনি এর মোকাবিলাও মাত্র একটা-দুইটা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সম্ভব নয়। তবে তা একেবারে অসম্ভবও নয়। এর প্রমাণ নেদারল্যান্ডের কৃষকরা তাদের সব ধরনের চাষাবাদে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারডিউ ফার্ম এবং অন্যান্য কম্পানিও অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় কারখানা ভিত্তিক উৎপাদনেও অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও সফল হওয়া সম্ভব।

এছাড়া যেসব প্রজাতিতে অ্যান্টিবায়োটিক দরকার হয় না এবং প্রাকৃতিকভাবেই হৃষ্টপুষ্ট সেসব প্রজাতির পশুর মাংস উৎপাদন করলেও এই বিপর্যয় থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এতে প্রাণবৈচিত্রও রক্ষা পাবে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, Source : http://chikitsha24.com/2033

7
ধনেপাতা, এক কথায় বিপদজনক!
নিত্যদিনের বিভিন্ন খাবারে ধনেপাতা ব্যবহার করে থাকেন খাবারের গন্ধ এবং স্বাদে একটা পরিবর্তন আনার জন্য। ধনেপাতার বৈজ্ঞানিক নাম হল কোরিয়ানড্রাম স্যাটিভাম। কিন্তু কখনও কি কল্পনা করেছেন যে এই সুস্বাদু খাবারটির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি কথা হল, এই সুপরিচিত সবুজ সবজিটির অনেক ঔষধি গুণাগুণের পাশাপাশি অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বিদ্যমান। যা নিয়মিত খেলে আমাদের শরীর দিনদিন অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। লিভারের ক্ষতিসাধন অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে এটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এতে থাকা এক ধরনের উদ্ভিজ তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে ফেলে। এছাড়া এটাতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে কিন্তু দেহের মাঝে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতিসাধন করে। নিম্ন রক্তচাপ অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে দেহের হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য নষ্ট
করে ফেলে, যার ফলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নিম্ন রক্তচাপের উদ্ভব ঘটতে পারে। এছাড়া এটি হালকা মাথাব্যথারও উদ্রেক করতে পারে। পেট খারাপ স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে থাকে কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা সেবন পাকস্থলীতে হজমক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এক সপ্তাহে ২০০ এমএল ধনেপাতা আহারে গ্যাসের ব্যথা ওঠা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে ওঠা, বমি হওয়া হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা যায়। ডায়রিয়া ধনেপাতা অল্প খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে থাকে। ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাটি হতেই থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ধনেপাতা কম পরিমাণে ব্যবহার করুন। নিঃশ্বাসের সমস্যা আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এই ধনেপাতা আহার থেকে বিরত থাকুন। কেননা এটি আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা করে থাকে যার ফলে ফুসফুসে অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। এই ধনেপাতা খেলে মাঝে মাঝে ছোট ছোট নিশ্বাস নিতেও সমস্যা তৈরি হয়।বুকে ব্যথা অতিরিক্ত ধনেপাতা আহারে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না তা দীর্ঘস্থায়ীও  হয়ে থাকে। এজন্য এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম করে এই ধনেপাতা খেতে পারেন। ত্বকের সংবেদনশীলতা সবুজ ধনেপাতাতে মোটামুটিভাবে কিছু ঔষধি অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যেটি ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ফলে ত্বক ভিটামিন কে থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া ধনেপাতা ত্বকের ক্যান্সার প্রবণতাও তৈরি করে থাকে। অ্যালার্জীর সমস্যা ধনেপাতার প্রোটিন উপাদানটি শরীরে আইজিই নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে সমানভাবে বহন করে থাকে। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। ফলে অ্যালার্জীর তৈরি হয়। এই অ্যালার্জীর ফলে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, র্যা শ ওঠা এই ধরনের নানা সমস্যা হয়ে থাকে। প্রদাহ অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবনের আরেকটি বিশেষ পার্শ্ব প্রতক্রিয়া হল মুখে প্রদাহ হওয়া। এই ঔষধিটির বিভিন্ন এসিডিক উপাদান যেটি আমাদের ত্বককে সংবেদনশীল করে থাকে পাশাপাশি এটি মুখে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে এর ফলে ঠোঁট, মাড়ি এবং গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এর ফলে সারা মুখ লাল হয়েও যায়। ভ্রূণের ক্ষতি গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়া ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধনেপাতাতে থাকা কিছু উপাদান মহিলাদের প্রজনন গ্রন্থির কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে যার ফলে মহিলাদের বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা লোপ পায় এবং বাচ্চা ধারণ করলেও গর্ভকালীন ভ্রূণের মারাত্মকক্ষতি করে থাকে।

Pages: [1]