Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mohammad Nazrul Islam

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 12
31
Common Forum / আমি যেন কে স্যার !!!
« on: December 07, 2021, 01:43:40 PM »
জীবনের হিসাব বড়ই কঠিন। কারও কারও জীবন, সময়ে মানদন্ডে-বায়ুবিক। আবার কারও জীবন এ ভব-সাগরে সোনার তরী। জীবন গঠণ-পঠনে ভাবের প্রয়োজন আছে বৈকি! ভাবনা মানুষকে ভাবায়, আদি-অন্তের প্রশ্ন জিজ্ঞায়। এ কারণে জগতের অধিকাংশ মানুষই ভাবতে ভালবাসে। তবে, কথায় কথায় আমরা ভাববাদী উদাহরণ তুলে ধরলেও সুবিধা বুঝে-স্রোতে চলা শ্যাওলা আমরা
 
সুফিষ্টরা বলেছেন- ভাবনার সাথে মনের সংযোগ আর বস্তুর সাথে দেহের সংযোগ। বস্তুনিষ্ঠ ভাবনা  সকলেরই ভাবতে ভাল লাগে। কিন্তু বাস্তবতা সর্ম্পন-তরলার্থতায় ভরপুর। যত তেল তত গেল.. অবস্থা।

আমার কেবলি মনে হয়েছে সমাজে বস্তুবাদি মানুষের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ –পতিতা শ্রেণী।  কিন্তু তারা সমাজে ঘৃনিত । এর কারণ তারা আধুনা- সমাজকে চিনে এবং জানে।
ছোট বেলা থেকেই আমার খুব আগ্রহ ছিল বস্তুবাদি মানুষের সাথে সঙ্গ পাতানো। কিন্তু কেন জানি হয়ে উঠেনি। একবার আমি, পতিতাদের সাথে সঙ্গ করতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু  সামাজিক বাধাঁ-বিপত্তির কারণে তা হয়ে উঠেনি। এই জন্য  আক্ষেপের সীমা ছিলনা.....।

কিন্ত পরক্ষণে তথাকথিত ভদ্র সমাজে বাস করে আমার মনে হয়েছে- আধুনিক ভদ্র সমাজে অঘোষিত পতিতাদের নিবৃত্ত-পদচারণা রয়েছে যার সংখ্যা অগনণিয়। কিন্তু তারা সর্বক্ষেত্রেই বিনিময়ে-সমাজ শুদ্ধ

হিসাব করে দেখেছি আমার ৪০ বছর জীবনের প্রাপ্তি; শুধু বিনিময়ের হিসাব মাত্র। পদে পদে ধাঁক্কা খাওয়া মানুষগুলো অবশ্যই বুঝেছেন সমাজে- কেউ কাউরে ভালবাসতে চায় না যদি সেখানে লোকসানের চেয়ে লাভের পাল্লা ভারি না হয়। এখন অতিমাত্রার তরলার্থিকতায় সমাজে  স্বার্থহীণ প্রাণীরা পানশে-অটুস, বিষন্ন প্রায়

একটু খেয়াল করে দেখবেন- সংসারে সবচেয়ে ছোট অবুঝ ছেলেটি দৌড়িঁয়ে এসে তার বাবার কাছে আবদার ধরে - বাবা আমার জন্য কি এনেছো ? সুন্দরী ষোড়শী নব-যৌবনা তরুনীটি জীবনের হিসাব গড়-মিলে হীনমান্য পুরুষের শস্য সঙ্গী হয়-দেনা-পওনার দায়ে। এ গুলো আমাদের সমাজের বাস্তব ধারাপদ।

আমার কর্মজীবনের মোট ১৮ বছরে খুব কম মানুষকেই দেখেছি যারা মানবিক। চিরা-চরিৎ ধরা বাধাঁ নিয়ম ভেঙ্গে জীবনের কথা বলেছেন। তবে ব্যতিক্রম যে হয়নি তা নয়। অনেকেই আবার গায়ে পড়ে নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে মানুষের কল্যাণে এগিয়ে এসেছেন। সর্বতো ভাবে বিশ্বাস করেছেন মানবতাই পরম-ধর্ম

চেখের সামনে দেখেছি –অমানবিক মানুষ গুলো সমাজের চোখ ফাকিঁ দিয়ে তরল-গড়ল কাজে- তর তর করে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করছেআত্ম-জ্ঞানী- চোখ বুঝা মানুষ গুলো, মাথা নিচু করে তাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছে

আপনি একটু খেয়াল করে দেখবেন,  আমরা সারা জীবন যে ইমামের পিছনে নামাজ পড়ছি-ভাল ভাল কথা শুনছি, সেই ইমাম অন্যে বাড়ীর খাবারে অবস্থ্য । যাকে নিয়ে ঘরে করছি, জীবনের অর্ধাঙ্গীনি ভাবছি সেই কথায় কথায় বলছে- ‘শুধু আমি দেখে তোমার সংসার করে গেলাম…….।

নদীর মাছ সাগরে খৈই হারায় তার অভিযোজনিক সমস্যার কারণে। অবস্থার বিচারে আমরা ও আপনারা হয়তো তাই। কিন্তু বেচেঁ থাকার ইচ্ছা সবারই আছে? আর ভাল ভাবে বাচাঁর ইচ্ছা তো সার্বজনীন।

ছোট ঘরের সন্তানদের বড় হবার দূরন্ত ইচ্ছা থাকে। কিন্তু আমাদের সমাজ অভি-তান্ত্রিক। এখানে রাজার ছেলে রাজা হয়, মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী হয়, এমপির ছেলে এমপি হয়। এই অভি-তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বিপরিতে অবস্থান নিতে চাওয়া সত্যিকার অর্থেই চ্যালেন্ঞ্জিং।

আমাদের কেবলই মনে হতে পারে- আবুল মিয়া কেরানীর চাকুরী করে বাড়ী-গাড়ী করলো? আমি কি করলাম? একটা কথা মরে রাখা প্রয়োজন- দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের সৎ পথে বড় হাবার ভাবনার চাদেরঁ বুড়িমার সূতাকাটাঁ গল্প..। দুই একজন বড় হতে পারে তা কদাচিৎ…..!

আমাদের ভাবনা হওয়া উচিৎ- পাশের বাড়ীর দরিদ্র কলিমুদ্দীনের একমাত্র মেধাবী ছেলে সলিমুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে হতাশায় ভোগে এখন গাজাঁ টানেছে কেন ?

মনে রাখবেন, আপনি যেটা/যাকে বেশী কাঙ্গিত মনে করেন আসলে সে/সেটা অত-সহজলভ্য নয়। আপনাকে বুঝতে হবে- এখন সমাজের মানুষ অনেক চালাক –তারা কিলিয়ে কাঠালঁ পাঁকাতে জানে। গাছ পাকিয়ে কাঁঠাল খওয়ার দিন শেষ। তাই বলে ‘প্রকৃত রস-আহরণে কাঁঠাল খাবার আশা ত্যাগ করা উচিৎ কি?

২০০১ সালের অক্টোম্বর মাসের ঘটনা, তারিখ মনে নাই। আমাদের এম.এ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনার দিন। আমাদের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক জনাব প্রফেসর ড. মন্জুর মোরশেদ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) ক্লাসে এসে নাম ডাকলেন-আরশেদ আলী। আরশেদ আলী বুক টান টান করে উত্তর দিল- ইউয়েস স্যার। স্যার পকেট হতে দুইটা পাচঁ টাকার নোট বাহির করে বললেন-তুমি বিভাগে প্রথম হয়েছ নাও এটি তুমার পুরষ্কার।

পরে নাম ডাকলেন-মোহাম্মদ নজরূল ইসলাম ? আমি অত্যন্ত ভয়ে ভয়ে উত্তর দিয়ে ছিলাম- আমি যেন কে স্যার?? ক্লাস সমবেত সকলেই উচ্চ স্বরে হাসাঁহাসি করে উঠলে স্যার সকলকে থামিয়ে দিয়ে পকেট হতে পাচঁশত টাকার একটা নোট বাহির করে বললেন-এটি তোমার দ্বিতীয় হবার পুরষ্কার নয়‘ আমি যেন কে স্যার? এই  উত্তরে পুরস্কার।

সেই দিন মাথায় হাত রেখে তিনি বলেছিলেন-যেখানেই থাক, যে অবস্থায় থাক; দিনে একবার হলেও নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করিও –আমি যেন কে স্যার???




32
Common Forum / বনবালা
« on: December 01, 2021, 01:42:05 PM »
ওগো, মায়াবিনী বনবালা
কেন তোমাকে লেগেছিনু ভাল?
দেখেছিনু কুমারীর বুকে-
রাগ-রাঙ্গা আলো।।

জীবনের যত গীত গেয়েছিনু-সংগোপনে
ভেবে ছিনু কত কথা,
নিমিষে উঁড়ে গেছে-শূণ্যবাতায়নে-
অশ্রু ভাঙ্গা ভাষায়।।

আজ, নিঃস্ব রিক্ত আমি
রক্ত ঝড়া প্রাণ রাঙ্গা,
অশ্রু জলে সিক্ত হয়ে
বনে যাই বাঁধ ভাঙ্গা।।

হে অভিসারী, বনবালা মোর
কার লাগি গেথেঁছিনু মালা,
লোলুপ-কামনায় জেগে উঠে ছিল
-এই ভিখারীর মরা প্রাণ ।।


33
Common Forum / মনের মানুষ !
« on: November 28, 2021, 09:40:57 AM »
যে যা মনে বাঞ্চা করে
তার কাছে সে হয় উদিয়,
মন ছাড়া কি?
মনের মানুষ রয়।।

মনের মানুষ মনহরা
রসময় রুপ তার রসে ভরা,
তারে দেখলে হবি আত্মহারা
অধরা যে ধরা দেয়।।

ভবে বিশুদ্ধ মানুষের করণ
চন্ডিদাস-রজকিনীর মতন,
তাদের এক-মরণে, দুইজন মরণ
আত্মায় আত্মায় মিশে রয়।।

গোসাঁই মাতাম কাদেঁ ভবে
মানুষ ধরা মানুষেতে,
আমি পাব কি আর এই ভূবন
সহজ মানুষ অসময়।।

34
নান্দিক সৌন্দর্য্যের চারণভূমি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ড্যাফোডিল র্স্মাট সিটি-আশুলিয়ার) এইচআরডিআই (Executive Director) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে নিয়োগ পেলেন দেশের সুনামধণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান।

জনাব ড.মিজানুর রহমান ৭ই নভেম্বর ২০২১ইং সাল, রোজ রবিবার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনিবার্হী আদেশে উক্ত পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান এর আগেও অত্যন্ত দক্ষতাও যোগ্যতার সাথে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ক্রমে রেজিষ্ট্রার ও ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করেন।

বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী এই জ্ঞান-তাপস  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Master of Science (MS) সম্পূর্ণ করেন। অতঃপর ইন্ডিয়ার জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Master of Philosophy (MPhil) ডিগ্রী লাভ করেন। শিক্ষা জীবনের সর্বোচ্চ ডিগ্রী Doctor of Philosophy (PhD) সম্পন করেন University Kebangsaan Malaysia থেকে।

শিক্ষা জীবন শেষ করে ১৯৮৯ সালে তিনি Lecturer হিসাবে Geography and Environmental Studies বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দান করেন। সফলতার স্বীকৃতি স্বরুপ (অতি অল্প সময়ে) ১৯৯২ সালে Assistant Professor এবং ২০০১ সালে তিনি ‍Associate Professor পদোন্নতি লাভ করেন। তৎপর ২০০৬ সালে তিনি শিক্ষকতা জীবনের সর্বোচ্চ পদবী Professor পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

জনাব, রহমান আজীবন জ্ঞান সাধনায় অন্বেষী। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অসংখ্য International Research –এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার উল্লেখ্যযোগ্য প্রকাশিত কর্মগুলোর মধ্যে “Levels of Urbanization and Spatial Development in Bangladesh between 1974 and 1991 এবং Functional Master Plan and Detailed Area Plan under Rajshahi অন্যতম।

https://banglatopnews24.com/daffodil-bessobidaloier/

35
Common Forum / চির সনাতন
« on: October 22, 2021, 02:56:06 PM »

বাজিছে ব্রহ্মশির, পশুপত, বাসবী, তোমর ধ্বণি
উচ্চ স্বরে, বীর-বারুন, শকুনী-তরুনের গর্জনী।

অন্যায়-এ, শানিত ত্রিশূলের ধার-
খর্ব করিব, নিলাম দেবতার বর ।

সেনাপতি অর্জুন দম্ভ করি ; হাকিল সৈন্য দল,
প্রজ্ঞা লহ; বীনাপানির স্বরণে-
আদেশ লহ শিরে, তব ভগবান রামে,
সীতা উদ্ধারে, ধীক রাবনের হীন কামে।

ভগবান রাম স্থীর, স্তদ্ধ; তব প্রাণ-বিষন্ন পত্নী শোকে-
কি করে রাখিবে আজ তব সত্যের মান ।

অর্ন্তযামি দিব্য দৃষ্টিতে দেখিলেন-মহাভারতরণ
সত্যের বিজয়ে আজ হনুমানের সাহায্য প্রয়োজন ।

সভাসদ নারাজ, বনের পশু- ক্ষুদ্র-অতি নগন্য,
তার কি প্রয়োজন? থাকতে মহাবীর-বরেণ্য ।

চলিল, সৈন্যদল আগে-পিছে লয়ে মহারথীবল
লংকার শুচি, রাবন-মস্তক ছাড়িল বিষাদ-বারি/জল।

সৈণ্যদল দেখে, অসীম জল রাশি চৌ-দিকে ঘেরা
সতী মাতা সীতাসাধবী বন্দি তব দুর্যর্ধন দ্বারা।

নাই কূল-পথ-পার, আর কি উপায় ?
উঠিল ক্রন্দন সৈণ্যদলে ভিতরে হায় হায়!!
বড়-ধড়, বড় বাহু; অসস্থি দরবার-
সকলেই বিফল, বিষন্ন উপায় নাই আর!

পিছন হতে সহসা হনুমান করিল রাম-ধ্বনি
মিলল স্বদলে বানর, অরণ্যে হতে লতাপাতা আনি-
ফেলিছে সিন্ধুসম জলে!! নিমিষেই হইল রাস্তা-

চলিল, সৈণ্যদল বীরর্দপে করিতে লংকাজয়
দেখিল, সীতাবন্দি দ্বি-তলায়, চৌ-দিক অগ্নিময় ।

কেউ না পারে যেতে হেথা, হয়ে অগ্নি-পার
সকলেরই চিৎকার বানরের বড়ই দরকার ।

জীবন বাজি রেখে হনুর দল-
সীতাকে উদ্ধার করিল হইতে দ্বি-তল’
হইল জয়-জয়কার:  অশুভ বারন পরাজিত;
বীর সেনাপতিরা পুরস্কার নিতে রাজগীরে আগত ।

সকলেই পাইল মনি-মানিক্য আর গজ-মতিহার
সীতা উদ্ধারে হনুমানের রয়েছে কি পাইবার-??

রাজ সভায় উঠিল সহসা ধ্বনি!!
অংগুলি নির্দেশে ভগবান বলিলে-সীতা গুণমনি।

তৎক্ষণিক মাতা সীতা নিজ গলার হার
ছুড়িয়া ফেলিলেন বানরের গলে তার ।

হনুর দল পাইয়া বীরের পুরস্কার-
শুকিয়া-চিবাইয়া ছিড়িয়া ফেলিল সকলই তার ।

সভাসদ দলে হাসে সকলে, এর কি প্রয়োজন!!
বানরের গলে- কেন মুক্তার আয়োজন??

হনুমান ছড়িয়া চোখে পানি বলিল- বীনাপানি
বলিতে চাহি আজ কিছু, খুলে দাও জবান খানি ।

ভগবানের বড় কৃপা; সহসা খুলিল জবান-
বলিল হনু,-অমূল্য রত্নে আমার নাই প্রয়োজন?

আমি ভালবাসি মোর আদি পিতা-
জপি তব- রাম, রাম -ভালবাসার প্রয়োজনেই
-বাচাঁয়াছি মাতা সীতার প্রাণ ।

আমি অতি ক্ষুদ্র-নগন্য জানি-তব মোর ভালবাসা,
অতল অসীম -সিন্ধু সম দামি ।

বলিল সভাসদ দল-পরীক্ষা দিতে হবে ?
ভালবাসার অতল-অসীমতা-
যাতে রয়েছে পূর্ণ-ভক্তি, ব্রতা ।

হনু দেখাতে সে প্রেম-ভক্তি, ভালবাসা
নিজের পাজঁর ফারিয়া দেখাইল সেথা
-ভগবান রামের ছবি আকাঁ।

সভাসদ দলে, যত ছিল গুণি, মানি -
জয়ধ্বনি উঠিল- ভালবাসা-ই দামি ।

কাল জয়ী সেই ভালবাসা-জন্ম-জয়ন্তে ঘেরা
পবন-নন্দন হলেন, সনাতনের সেরা।












36
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় আনন্দ আয়োজন শারদীয় দূর্গোৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশাল জনগোষ্ঠীর অনেক আনন্দ, উল্লাস এবং বিনোদনের আনুষ্ঠানিকতা লক্ষ করা যায় এমন উৎসবে। শুভ মহালয়া থেকে চণ্ডীপাঠ, মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানায় ভক্তকুল।

অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠার করার লক্ষ্যে মর্ত্যে আসে দেবী দুর্গা। তাদের পূজা মণ্ডপে মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী এবং মহানবমীতে সকল হিন্দু সম্প্রদায় অর্থাৎ হাজার হাজার নারী-পুরুষ ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করে।

বলা দরকার, হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী দুর্গা পূজার দিন ক্ষণ গণনা শুরু হয় মহালয়ার দিনে অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবে আনন্দকে কেন্দ্র করে। তাই এ দূর্গোৎসব হিন্দুদের অবশ্যই বিশুদ্ধ পঞ্জিকার আলোকেই নির্ধারণ করা হয়। শারদীয় দুর্গোৎ​সবের শুভ দশমীটাই তাদের কাছে শেষ দিন।

আর এই শুভ বিজয়ার দশমীতে পূজা সমাপন করে এবং দেবী দুর্গাকে বিসর্জনে ব্যাস্ত সকল হিন্দু সম্প্রদায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে তারা এদেশ ও সারা বিশ্বে ৩০ সেপ্টেম্বর সনাতন ধর্মীয় জনগোষ্ঠী সকল মানবের চাহিদাকে পুরনের লক্ষে সর্ব বৃহৎ দেবী দুর্গাকে মণ্ডপে দাঁড় করানোর বাসনায় জাগ্রত হন।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তারা মহানবমী উপলক্ষে অনেক পূজা মণ্ডপে আরতি প্রতিযোগিতা এবং প্রসাদ বিতরণ করে। দশমীতে সব মণ্ডপে থাকে বিষাদের সুর। কারণ, তাদের শুভ বিজয়া দশমীর এই দিনে দূর্গাকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামী গৃহে ফিরে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা।

সুতরাং এই দিনে বাহির হয় ভক্তদের শোভাযাত্রা, দেবী দুর্গাকে বিদায়ের মাধ্যম হিসেবে জলে নৌকা নয়তো স্হলে রংবে রংয়ের ট্রাকে সাজ সজ্জা ঘটিয়ে আনন্দ উল্লাস করে হিন্দু সম্প্রদায়। বিদায় বেলায় শত সহস্র ভক্তদের আনন্দ-উল্লাসে আর বিজয়ার অশ্রুতে আকাশ বাতাস কম্পিত হয়ে উঠে।

দেবী দুর্গাকে স্বর্গালোকে এমন বিদায় দেয়ার আয়োজন সত্যিই সনাতন বিশ্বাসী ধর্মাবলম্বীদের গভীর আত্তায় শঙ্খ ধ্বনি এবং ঢাকের তালে তালে কম্পিত হয়। তাদের এমন দেবী দূর্গাকে বিদায়ের সুরের সাথে সঙ্গী সাথী করে গবীব দুখীকে।

তবে এবারে দূর্গা দেবীর বিদায় নেওয়াটা অবশ্যই ঘোটক বা ঘোড়া কেন্দ্রিক অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে দেবী দুর্গা গমন করবে স্বর্গালোকে। সেহেতু এমন বিদায়ের ফল শ্রুতিতে অনেক রোগ-ব্যাধি বাড়বে বৈকি এবং অনেক ফসল নাকি নষ্টও হবে। সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীদের এমন ধারনা এবং তাদের বিশুদ্ধ পঞ্জিকায় তার যথাযত সত্যতার প্রমাণ মিলে।

তবে দেবী দূর্গা এসেছিল নৌকায় চড়ে, ধর্মের আদর্শ বার্তা নিয়ে বছর ঘোরে বারংবার দেবী দূর্গা আসে মর্ত্যলোকে অর্থাৎ পৃথিবীতে। এজগতের মঙ্গল কামনায়, তাই বিশ্বাসী হিন্দু সম্প্রদায় বলেন, এমন আগমনের ফলেই অতি বৃষ্টি ও শস্য বৃদ্ধি হবে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ধর্মীয় এমন অনন্দে ঘরে ঘরে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে আপ্যা-য়নে তৈরী করে জল-তিল-অন্ন। এমন উৎসর্গ তাদের অনেক আনন্দ দান করে। তারা মনে করে, পিতৃ পক্ষে প্রয়াত আত্মারা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আসে। মৃত আত্মীয়-পরিজন এবং তাদের পূর্ব পুরুষদের আত্মার প্রতি মঙ্গল কামনা করার একটি শুভ দিন।

সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীরা এই দেবীপক্ষকে সবচেয়ে শুভ দিন মনে করেই নতুন নতুন পোষাক ও সামর্থ্য অনুযায়ী ভাল ভাল খাবার তৈবী করে। এ সময় তারা সব ধরনের শুভ কাজ সম্পন্ন করে থাকে। পুরাণের কথায় বলা যায়, অসুর শক্তির নিকট পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হয়েছিল। চারদিকে অশুভের প্রতাপ। তাই এ অশুভ শক্তিকে ধ্বংস বা বিনাশ করতেই একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হয়েই এক মহা শক্তির আবির্ভাব।

সুতরাং সেই দেবতাদের তেজরশ্মি থেকেই আবির্ভূত এক বৃহৎ শক্তি তিনিই হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। পুরাণ মতে বলা যায়, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেছিল। বসন্তে তিনি এ পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে শ্রীরামচন্দ্র দুর্গা পূজার আয়োজন করেছিল।

শরৎ কালের এ পূজাকে হিন্দুদের মতে বলা চলে, অকালবোধন। তাদের ধর্ম মতে, এ দিনেই দেব-দেবীকুল দুর্গা পূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করে। মহালয়ার দিনে সূর্য উদয়ের আগেই শঙ্খধ্বনি এবং চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে মন্দিরে মন্দিরে নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে সকল হিন্দু সম্প্রদায় দেবী দূর্গাকে আবাহন জানায় এবং উল্লসীত সুরেলা কন্ঠে জয়ধ্বনি তোলে, সবার বলো "দূর্গা মাইকি জয়"।

-মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম/বাংলাটপনিউজ২৪.কম

https://banglatopnews24.com/osobosoktir-benas-kora-sobo-sokter/

37
Common Forum / অচিন পাখী
« on: October 01, 2021, 12:55:20 PM »
দূর-আকাশে উড়িঁয়ে দিলাম
আমার সুপ্ত ভালবাসা,
শব্দহীন চোখের জলে
-খুজঁতে তারে ভাষা।।

উড়ঁছে মায়া, অন্তগিরি
ছুটছে জোরে গতি,
গগণভেদী আকাশ ছেদী
-ধ্রুব-তারা-জ্যোতি।।

সপ্তরেখার দূর-নীলিমায়,
দূরন্ত তার ছায়া,
দিক ছড়িয়ে মাঠ পেরিয়ে,
-দৃষ্টি কারা কায়া।।

শূন্যে উড়ে শূন্যে ঘুরে
শূন্যে তাহার বাস,
নীলপরীদের মন মাতিয়ে
-মিটে তাহার আশ।।

হৃদ-আকাশে বাধঁনছেদী
বিশাল ভূবন পেয়ে,
নাচে-পাখী, ফিরে ঘুরে
-সপ্ত রঙ্গ গেয়ে।।

আধাঁর কালো আমার আকাশ
নিত্য ঝড়ে বারি,
পুরনো সেই স্মৃতি কথা
-প্রেম-বিরহে তারই।।

ফিরি গেয়ে জগৎ ধেয়েঁ,
গীত বিরহী প্রাণ,
অচিন পাখীর অচিন ভাষা,
-অচিন ছিল-গান।।



https://banglatopnews24.com/ochin-phaki/

38
Common Forum / অবিনাশ !
« on: September 22, 2021, 10:37:04 AM »
স্বর্ণলতা কয়`না কথা
মুখটা কেন ভার ?
হৃদ সাগরে মানিক জ্বলে
প্রেম-তরঙ্গে তার।।

নিত্য আড়ি পাড়ে তারই
দিতে কমল দোলা,
পেখম মেলে নৃত্য করে
চিত্ত করে খোলা।।

সমিরনের তালে তালে
বুকের গভীর হতে,
ভালবাসার বান উঠে, তার
ইচ্ছা-গতি মতে।।

রশিক মাঝি, কাজের কাজী
বুঝে বাও-এর, ভাও-
দাড়ঁ ঘুরিয়ে নোঙ্গর খোলে,
সামাল সামাল নাও।।

আমি তৃর্ণ সুক্ষ্ম অতি
বুঝি কি আর মতি-গতি ?
তবু মনে এ-ভীমরতি !
সদ্কা পেতে ফাঁউ।।


https://banglatopnews24.com/obinas/

39
Common Forum / মিতুয়া-
« on: September 14, 2021, 09:56:25 PM »
গগণ জুড়ে মেঘ জমেছে
আধাঁর পড়িতে সাড়া,
-শুষ্ক মাঠের তপ্ত বালু
ভিজঁতে অঝোর ধারা।।

নৃত্যমগ্ন কালের চাঁতক
প্রিয়সী জনের আশে,
-সময় রীতে স্বরুপ গীতে
পেতে তারে পাশে।।

অসীম সুদূর বিজন ‘প্রিয়,
ধূধূঁরিয়া আশা,
-তৃষিত মনে সংগোপনে,
করবে ভালবাসা।।

হাসিঁ-কাঁন্না দোলাচলে
চলছে কালের ধরা,
-রশিক-সুজন বড়ই কু‘জন,
করে ছলা-কলা।।

অন্ধ-আশার বন্ধ-বেড়ী
প্রেম-বাসনা মনে,
-প্রনয় গীতের এই বরিষন
অলি-ফুলের সনে।।

https://banglatopnews24.com/mittoya/

40
Common Forum / হারানো সুর !
« on: September 02, 2021, 08:23:51 AM »
তোমার যত দান
বন্ধন-ভেরী- শৃংখল,
গিয়াছে আজ মুছেঁ-
নদের-নদিয়া পড়েছে টুঁটে।।

ভালবাসার যত কথা
অ‘মুখ ভাবনা-বিলাশ,
বিরাগ-রাগীনি তলে
হয়েছে বিনাশ।।

হাতে-সাথে, বুকে-মুখে
যত ছিল আশা-
সকলই সুদূর অতীত
মিছে ভালবাসা।।

যত ছিল প্রেম
হেরী; মম কল্পলোক
স্বরুপ, বাসনা-পরম
দু‘লোক-ভূ‘লোক।।

আজ, ছায়াহীন কায়ায়
চলছি জীবন রথে-
আগে-পিছে পাল্লা দিয়ে
মরনের পথে।।

ধরণীর রুপ-রস যত
ছিল, পথিক পরিজন-
সকলই আজ বিমুখ-বিষন্ন
কালের আয়োজন।।

যত ভাবনা, আশা-ভাষা
হৃদয়ের রক্ত ক্ষরন-
আপনি আপনাতে
করেছি সমর্পন।

তবু লীলা, ধূলি তলে
গড়িতে সিন্ধুগিরি-
জনম জনম ফিরিব, পিয়াসে
স্বর্গ-মর্ত্ত্য জুড়ি।।

যদিগো, কোন দিন
অসার অবেলায় প্রিয়
মনে পড়ে মোরে,
করিও ক্রন্দন গীত
নিরব নির্জনে।।

ভাবিব, আমি আছি
তব তুমা হিয়া তলে-
আসার জগত যদিও যাক
মোরে‘ ভুলে।।
https://banglatopnews24.com/harano-sor/

41
Common Forum / পাগলামী
« on: August 08, 2021, 01:42:56 PM »
জগপুঁরীতে বাঁজ ফাঁটিল
-আওয়াজ বিকট অতি
শব্দহীন মন আমার,
ডরে কি আর ক্ষতি?

সব হারিয়ে ভয় তাঁড়িয়ে
-চলছি পথে একা
নিজের সাথে আপনারে,
পাইনি কবু দেখা।।

নেশার তুরে চলছি ঘুরে
-অকূল ধারা গতি
তাল মাড়িয়ে ঝাঁল ছড়িয়ে,
ভাঁসিয়ালী মতি।।

আওয়াজ-ক্যাউয়াজ, লংকাপুরি
-যখন যেমন বাও
চলন, চলি আপন তালে,
বলন আমার ফাঁউ।।

এমনি চলা, চলছে এ-মন
-খিল খিলিয়ে হাসিঁ
মন্দ গনা, মন্দ শুনা,
মন্দ ভালবাসি।।

ফুটুক ভাজি, উঠুক জাগি
-মন, মহাজন-কাজী,
অধর বুঝি মরিচিকা
ধরতে মরন বাঁজি।।


42
‘দেনা-পাওনার জীবনে আনন্দ-মূখর আরও একটি দিন ‘পবিত্র ঈদ-উল আযহা-২০২১ ইং কেঁটে গেল গত ২১শে জুলাই রোজ বুধবার। যদিও এবারকার ঈদ-আনন্দ করোনা নামক মরণব্যাধির যাতাকলে চাপা পড়ে বিদীর্ণ, তবু হাসিঁ-কাঁন্নার দুনিয়ায় গরিবের ঈদআনন্দ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের শ্বাস-প্রশ্বাস। কর্ম-ব্যস্ত জীবনে, ঈদের এই ক্ষণিক আনন্দ নিম্ন কিম্বা নিম্ন-মধ্যবিত্তদের কাছেই স্বর্গময় সুখ তুল্য।

ঈদ পালনে কর্ম-ব্যস্ত প্রতিটি নিম্ন কিম্বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত শহরমূখী মানুষ তাদের ঘর্মাক্ত দেহ নিয়ে ছুটে চলে যান জন্মের শিকড়ে ‘শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রাম গুলোতে’ প্রিয়জনের মূখ দর্শনের জন্য। একযুগ-দুইযুগ পর দেখা অবহেলিত সেই মুখখানা কারও কাছে হয়ে উঠে স্বর্গের বাতায়নসম।

কোন কোন ক্ষেত্রে বয়োঃবৃদ্ধ বাবা-মা, দাদা-দাদী কিম্বা নানা-নানী তার একমাত্র সহায়কে কাছে পেয়ে নব-জাতক শিশুর মত সোহাগে কেঁদে উঠেন ‘-অত দিনে আমার খোঁজ নিলি বাবা-এই সুরে। শুরু হয় আদর-সোগাহের মান-ভাঙ্গানীর পালা। এই মান-ভাঙ্গানীর পালাবদলে আচ্ছ্বাশিত হয় ঈদ-আনন্দধারা।

ঈদের দুই-একদিনের এই আনন্দধারা যেন, খড়স্রোত নদীর প্রবাহে মলিন হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। আবার এই ক্লান্ত, পরিশ্রমী, সুবিধা বঞ্চিত, অনাথা শ্রেনীর মানুষ গুলোর মনের আবেগ ফুরাতে-না-ফুরাতেই পেটের টানে ফিরে আসতে হয় শহরের কর্মময় রোদ্রতপ্তের চির অব্যস্ত বাস্তবতায় ছায়ায়। এ যেন কবি কাজী নজরুলের ‘প্যাঁচার সুখ-দুঃখের কল্প-কাহিনী।

অন্যদিকে, অভিজাত শ্রেনীর কাছে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ‘পান্তা ভাতে ঘি ঢালার মত। এই শ্রেনীর মানুষেরা অনেকটাই টাকার ‘গোলাম। ওদের জীবনঘড়ি চলে- টাকার সেকেন্ডে। টাকার নেশায় তারা দয়া-মায়া বঞ্চিত। তারা অর্থের কাছে জীবন বিক্রি করে শূন্য পাত্র হাতে চাঁদের আলোয় সুখ-খোঁজে। এর ফলাফলে দেখা যায় কোটিপতি বয়োঃবৃদ্ধ পিতা-মাতাকে শেষ বয়সে আশ্রয় নিতে হয় অনাথ-আশ্রমে কিম্বা মেনে নিতে হয় পৃথিবীর নিকৃষ্ঠতম যন্ত্রণা দায়ক মৃত্যূকে। ছেলে-পিতা-মাতা, কিম্বা-পিতা-মাতা ছেলের মুখে দেখা থেকে বঞ্চিত হন মৃত্যু নামক কঠিন সময়টিতেও। তাদের কাছে ঈদ কেন? কোন আনন্দই প্রশান্তিময় নয়।

জীবন বঞ্চনার ইতিহসে নিম্ন কিম্বা নিম্ন-মধ্যবিত্তরা কালের স্বাক্ষী। ঈদ মানেই তাদের কাছে গ্রামে ফেলে আসা বয়োঃবৃদ্ধ মা-বাবা কাঁন্নাভরা আদর- সোহাগের সুরধ্বনি। কিম্বা ছোট বেলার মায়ের ‘আচঁলে মুখ মুছার গল্প’। তাই ঈদ মানেই আমার মায়ের স্বর্গময় সুখের হাসিঁ; মাগো আমি তোমায় ভালবাসি।

43
 

বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষা বিস্তারে ‘ড্যাফোডিল গ্রুপ একটি বিশ্বস্ত নাম। ড্যাফোডিল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জনাব সবুর খানের অনন্য অবদান ‘ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী স্থাপনায় বাংলাদেশে তথা বিশ্বে নামি-দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকরনীয় উদাহারণ। খুব অল্প সময়ে সুশীল শিক্ষা, সচেতন মনোভাব, নীতি-নৈতিকতা ও উৎকৃষ্ট ‘মান নিশ্চিত করে বর্তমানে এই ‘ড্যাফোডিল অন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়টি সমগ্র দেশ তথা বিশ্ব -ব্যাপী এক বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

গত ১১ জুলাই ২০২১ইং সালে, দেশের এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠটির দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন দেশের প্রথিতযশা, শিক্ষাবিদ, ও পন্ডিত ব্যক্তিত্ব জনাব প্রফেসর ডঃ মোঃ লুৎফর রহমান।

জনাবের এই দায়িত্ব গ্রহণে ড্যাফোডিল পরিবারের সকল অঙ্গ-সংগঠন বিশেষ করে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিভাগ গর্বিত, আনন্দিত, ও আবেগ-আপ্লুত।

ব্যক্তিগত জীবনে জনাব প্রফেসর ডঃ লুৎফর রহমান, বিনয়ী, স্বল্পভাষি, ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এক পন্ডিত ব্যক্তিত্ব। বরাবরই তার শিক্ষাও কর্ম জীবন ইতিহাস স্বরণীয়।

তিনি ১৯৬০ সালে রংপুর থেকে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন (Matriculation) পাশ করেন। তৎপর ১৯৬২ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টার সাইন্স (Inter Science) পাশ করেন।  ১৯৬৫ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি অনার্স (B.Sc. Honors) এবং ১৯৬৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম বিভাগে এমএসসি ,পদার্থ (M. Sc.) ডিগ্রী  লাভ করেন।

১৯৭২ সালে তিনি ইংল্যান্ডের Loughborough University থেকে M. Sc. (Dept. of Electronic and Electrical Eng. Loughborough University, England) এবং  একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি Ph.D. (Dept of Electronic and Electrical Eng. Loughborough University, England) লাভ করেন। জনাব লুৎফর রহমান সাহেব ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন Bangladesh Atomic Energy Commission-এ সায়েন্টিফিক অফিসার (Scientific Officer) হিসাবে তার কর্ম জীবন শুরু করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি পদোন্নতি লাভ করে সিনিয়ার সায়েন্টিফিক অফিসার (Senior Scientific Officer) পদে আসীন হন।

১৯৭৭ সালে তিনি লেকচারার (Lecturer) হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দান করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক (Assistant Professor) এবং ১৯৮৭ সালে তিনি নিজ কর্ম দক্ষতায় সহযোগী অধ্যাপক (Associate Professor) পদে পদোন্নতি পান। ১৯৯২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স (Computer Science) বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি শিক্ষকতা জীবনের সর্বোচ্চ ‘অধ্যাপক’ (Professor) পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

২০০৮ সালে তিনি গণ-প্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারের নিবার্হী আদেশে রংপুরে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের’ প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর (Founder Vice Chancellor) পদে যোগদান করেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে অবসর লাভ করে ২০১১ সালে তিনি ‘ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (Vice Chancellor) (প্রথম মেয়াদ) যোগদান করেন।

তার কর্মদক্ষতা আর অসীম পান্ডিত্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির উত্তোরত্তর সাফল্য রচিত হলে পুনরায় ১১ই জুলায় ২০২১ সালে পুনরায় (দ্বিতীয় মেয়াদে) ভাইস চ্যান্সেলর (Vice Chancellor) পদে যোগ দান করেন।

জনাব লুৎফর রহমান কর্মজীবনে সফলতার স্বাক্ষর হিসাবে তিনি দেশ-বিদেশী বহু পুরস্কার লাভ করেন।  তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ১৯৯২ সালে “Halima-Sharfuddin Science Writer Prize” ১৯৯২ সালে, “Adhunik Computer Biggan ”- ২০০৫ সালে, রফিকুল ইসলাম ফাউন্ডেশন হতে “Best IT specialist of the year (2005)”, ২০১২ সালে বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষন সোসাইটি হতে “Begum Rokeya Memorial Award 2012”, ২০১২ সালে Rapport Bangladesh হতে “12th Rapport Award for Excellence in Human Resource Development 2012, ।  Aimity University, Noida,-India হতে ‘Global Academic Excellence Award”, ওয়াল্ড ইডুকেশন কংগ্রেস সিএমও (এশিয়া)- হতে World Education Congress, CMO, Asia পুরস্কার সহ অসংখ পুরস্কার প্রাপ্ত হন। তিনি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি সোসাইটির (Dhaka University IT Society) আজীবন সদস্য।

জনাব মোঃ প্রফেসর ড. লুৎফর রহমানের দায়িত্ব গ্রহনে সাধুবাদ জানিয়েছেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মোঃ জনাব সবুর খান, প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম মাহবুব-উল-হক মজুমদার, ট্রেজারার-মমিনূল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার-প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফজলুল হক পিএইচডি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব ড. মোঃ ইসমাইল জাবিউল্লাহ্ (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) ও উপ- পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আখতাবুলসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

সকলেরই আশা, জনাব প্রফেসর ড. মোঃ লুৎফর রহমান সাহেবের নেতৃত্বে  ‘ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়ে উঠবে অপ্রতিরুদ্ধ ও অনুকরনীয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ।


     

44
Common Forum / দাগি -
« on: June 26, 2021, 10:33:24 AM »
ওরে, ও.. মুটে-মুজুর
উঠরে আজি জাগি;
বিপ্লবের এক ডাক তুলে ধর
হৃদয়ে নিয়ে রাগি।।

জ্বালাও-পুড়াও নীতি নিয়ে
জ্বালিয়ে দেহ-মন;
কার..রে তুরা, দু‘হাতে আজি
কংস রাজার ধন ।।

সারা দিনের অনাহারে
শ্রমের মুজুরদারী;
তাও দেবে না তবে কেন?
খাটিঁস শ্রমদারী ।।

পিতার মুখে ভাত জুঁটে না
মায়ের পরন খালি;
বোনের গায়ে আধঁ-খানা কাপড়
শত ছিন্ন তালি ।।

রক্ত চুষা বাদর ওরা
অর্থ কারি কারি:;
আমরা তাপি অনাহারি
কেন? করি সমুদ্দারী ।।

ভঙ্গরে তুরা ঐ পুজিঁবাদ
সাম্য নিয়ে ভাগি;
চেটিয়াদের নিমূর্লে আজ
হস‘না তুরা দাগি ।।

জীবন পাতের শেষের বেলায়
দাড়িঁ ভাঙ্গা কূলে;
জীবনমূখী ডাক তুলে ধর
সংগ্রামী এক বুলে।।

45
Common Forum / কুলনাশা-
« on: June 22, 2021, 11:30:44 AM »
তোমার যত দান-
অর্ঘ্য, প্রভা, কিরণ, জ্যোতি;
সময় বিবসন, বিভাবরী-
সুনাম, সুশীল সুখ্যাতি।।

প্রাণ মাঝে হর্ষ
বিনোদ-বণিতা;
চয়ণ-বিযোজন-
অসৎ-শুচিতা।।

নিত্য মনস, মণিষা
-প্রভাত কুঞ্জ বারি;
বিরহ- লহরি –বিনাষ
লোব্ধ ফুল মঞ্জুরী।।

বিষাদ- স্বপ্ন -আশা
নিত্য- গীত- ভাষা;
অসার, আষাঢ়-র্পূবাশা
অন্ধ-বন্ধু –ভালবাসা।।

আমাতেই তুমি, বিকাশিত-
প্রকাশিত, যতগুণ ধারা-
আমি-তুমি কে কোন জন?
ভিন্ন কি তোমার ধারা ।।

তবু, অবকাশে, বিষ্ণু বাতাসে
শিরদার উচ্চু করি,
পারিনি, অসহিষ্ণুতায়-
- ‘অধর’ কে ধরি-।।

সকল- সমতল, সমতায়
তুমি উঠ জাগি:
কোথা তুমা পাই? কোথাও যে নাই;
-তাই খুজিঁ জগৎ জুড়ি।।




Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 12