Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - 710002189

Pages: [1]
1
Allied Health Science / মাথাব্যথা
« on: September 05, 2020, 11:56:30 PM »
মাথাব্যথা নিয়ে প্রচলিত কথাটা অনেকের জানা, মাথা থাকলে মাথাব্যথা থাকবেই! জীবনে মাথাব্যথা হয়নি, এমন মানুষ বিরল। ৯৫ শতাংশের ক্ষেত্রে মাথাব্যথার কারণ প্রাথমিক পর্যায়ের, যার মধ্যে মাইগ্রেন অন্যতম। সারা বিশ্বে প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষের মাথাব্যথা মাইগ্রেনজনিত। শিক্ষা ও কর্মস্থলে অনুপস্থিতি এবং কর্মক্ষমতা হ্রাসের জন্যও মাইগ্রেন অনেকাংশে দায়ী।
মাইগ্রেন কী? কেন হয়?
মাইগ্রেন বিশেষ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যথা। গ্রিক ‘হেমিক্রেনিয়া’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি, যার অর্থ আধকপালি ব্যথা। তবে এতে মাথার দুপাশেই ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া ব্যথার সঙ্গে অন্যান্য স্নায়বিক উপসর্গ থাকতে পারে। মাইগ্রেনের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, সেরোটোনিন ও সিজিআরপি নামের রাসায়নিকের প্রভাবে মস্তিষ্কের বহিরাবরণের রক্তনালির অস্বাভাবিক প্রসারণ ঘটে এবং সংলগ্ন ট্রাইজেমিনাল নার্ভ উদ্দীপ্ত হয়। এর ফলে মাথাব্যথা শুরু হয়।
 
কাদের বেশি হয়?
মাইগ্রেন সাধারণত বংশগত ও পরিবেশগত কারণে হয়ে থাকে। ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। বয়ঃসন্ধিকালের পর পুরুষের চেয়ে নারীদের আক্রান্ত হওয়ার হার তিন গুণ। বিশেষত মাসিকের সময় এটি বাড়ে। অনেক সময় শিশুরা বা বয়স্ক লোকজনও এতে আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইগ্রেনের প্রকোপ কমে যায়।
কী কী কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে?
•   অনিদ্রা, অতিরিক্ত ঘুম বা ঘুমের সময় পরিবর্তন।
•   অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক চাপ।
•   দীর্ঘ ভ্রমণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন।
•   অতি উজ্জ্বল আলো, উচ্চ শব্দ, তীব্র সুগন্ধি।
•   দীর্ঘ সময় টেলিভিশন দেখা, কম্পিউটার বা মুঠোফোন ব্যবহার।
•   চকলেট, পনির, কফি, অ্যালকোহল, টেস্টিং সল্ট অতিমাত্রায় গ্রহণ।
•   অনিয়মিত আহার, কোষ্ঠকাঠিন্য।
•   জন্মবিরতিকরণ পিল ও নাইট্রেট-জাতীয় ওষুধ সেবন ইত্যাদি।
যেভাবে বুঝবেন মাইগ্রেন হয়েছে
মাইগ্রেন রোগীদের মাথাব্যথার কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে। দুই-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে নিচের লক্ষণগুলো পাওয়া যায়, যা ‘কমন মাইগ্রেন’ নামে পরিচিত।
•   সাধারণত আধকপালি মাথাব্যথা।
•   মাথা দপদপ করা।
•   মাঝারি থেকে তীব্র মাথাব্যথা।
•   বারবার মাথাব্যথা হওয়া।
•   বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
•   আলো বা শব্দ সহ্য করতে না পারা।
•   পরিশ্রমে ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
•   ব্যথার স্থায়িত্বকাল ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা।
এক-তৃতীয়াংশ রোগীর এসব বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মাইগ্রেনের কিছু পূর্বলক্ষণ থাকতে পারে। ব্যথা শুরুর আগে রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম বা চোখের সামনে আলোর ঝলকানি হতে পারে। কখনো কখনো মুখে বা হাতে-পায়ে ঝিমঝিম অনুভূতি অথবা কথা বলতে অসুবিধা হয়, যা ‘ক্ল্যাসিক্যাল মাইগ্রেন’ নামে পরিচিত।
এর বাইরেও মাইগ্রেন রোগীদের বিরল কিছু উপসর্গ পরিলক্ষিত হতে পারে; যেমন মাথাব্যথা চলাকালে দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া (রেটিনাল মাইগ্রেন), মাথা ঘোরানো ও ভারসাম্যহীনতা (ব্যাসিলার মাইগ্রেন), শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া (হেমিপ্লেজিক মাইগ্রেন), শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায়শই পেটব্যথা ও বমি করা (অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন) ইত্যাদি।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা কতটুকু প্রয়োজনীয়?
সাধারণত বিশেষ কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। সঠিক বিস্তারিত ইতিহাস এবং শারীরিক লক্ষণ বিশ্লেষণ করেই মাইগ্রেন শনাক্ত করা যায়। তবে যদি মাথাব্যথার ধরন হঠাৎ পরিবর্তিত হয় অথবা সব সময় মাথার একই স্থানে ব্যথা হয় কিংবা মারাত্মক কোনো স্নায়বিক উপসর্গ, যেমন অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি বা হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা, যেমন মাথার সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করে জটিলতা আছে কি না, তা যাচাই করতে হবে।
মাইগ্রেনের চিকিৎসা কী?
মাইগ্রেনের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন ও নিয়মিত ওষুধ সেবন রোগ নিরাময় ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূলত দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়; ব্যথানাশক ও প্রতিরোধক। মাথাব্যথা শুরু হলে প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন-জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। বমিভাব কমানোর জন্য মেটোক্লোপ্রামাইড, ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুধ কার্যকর। এতেও মাথাব্যথা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শে নানা ওষুধ সেবন করা যাবে। এসব ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, তাই পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করবেন না। যাঁদের বারবার মাথাব্যথার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, তাঁদের জন্য প্রতিরোধকারী কিছু ওষুধ আছে। দীর্ঘমেয়াদি মাইগ্রেন রোগী, যাঁদের ক্ষেত্রে ওষুধ কম কার্যকর, তাঁরা মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, আকুপাংচার ইত্যাদিতে উপকার পেতে পারেন। এ ছাড়া বোটুলিনাম টক্সিন, সিজিআরপি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ও ‘সেফালি’ নামক ডিভাইস মাইগ্রেন চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
 
মাইগ্রেন প্রতিরোধে
•   যেসব কারণে মাইগ্রেন ব্যথা শুরু হয়, সেগুলো শনাক্ত করুন ও এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে মাথাব্যথার লক্ষণ উল্লেখসহ একটি ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করুন।
•   প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও পরিমিতভাবে আহার করবেন ও ঘুমাবেন।
•   তীব্র অথবা কম আলোতে কাজ করবেন না। কড়া রোদ ও তীব্র ঠান্ডা পরিহার করুন।
•   উচ্চ শব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
•   অনেক সময় ধরে কম্পিউটার, টিভি বা মুঠোফোন ব্যবহার করবেন না।
•   প্রতিদিন নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস করুন।
•   বেশি বেশি পানি পান করুন। সবুজ ও হলুদ শাকসবজি, আলু, খেজুর, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খান।
•   মাথাব্যথা শুরু হলে অন্ধকার ও নীরব কোনো কক্ষে বিশ্রাম নিন এবং প্রয়োজনে মাথায় বরফের প্যাক বা ঠান্ডা কাপড় জড়িয়ে রাখুন।

Source: https://www.prothomalo.com/feature/pro-health/%E0%A6%89%E0%A6%AB-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A5%E0%A6%BE

2
Clinical Nutrition / সুস্থ সবল জীবনাচরণ
« on: September 05, 2020, 11:45:01 PM »
কোভিড-১৯ বদলে দিচ্ছে মানুষের জীবনাচরণ। পরিবর্তন এসেছে খাদ্যাভ্যাসে, স্বাস্থ্যভাবনায়। মানুষের সত্যিই উপলব্ধি করছে, অর্থবিত্ত নয়, সুস্বাস্থ্যই সম্পদ। অদৃশ্য জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে তাই স্বাস্থ্যকর জীবনাচরণ চাই। যে জীবনাচরণে বাড়ে ইমিউনিটি বা নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যই কেউ হয়তো সাধারণ জ্বর, কাশি, গলাব্যথা থেকে দিব্যি সুস্থ হয়ে উঠছেন, আবার অনেকে আইসিইউতে মরণপণ লড়াই করছেন।
কয়েক মাস আগেও যাঁদের অতিভোজন বা একেবারেই না খেয়ে থাকা, খাদ্য গ্রহণে সময়সূচি না মেনে চলার মতো অভ্যাস ছিল, তাঁদের অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এনেছে কোভিড-১৯। যে বাড়িতে আগে ঝুড়িভর্তি কোমল পানীয় আসত, সে বাড়িতেই আসছে ঝুড়িভর্তি তাজা ফল। যে মানুষ ওজন কমানোর জন্য দিনের বেশির ভাগ সময় না খেয়ে কাটাতেন, তিনিই এখন ঘড়ি ধরে সকালের খাবারসহ অন্য বেলার খাবার খাচ্ছেন। আসলে আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া বা মেটাবলিজম–ব্যবস্থা একদিনের ব্যাপার নয়, হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে এই সিস্টেম। এই স্বাভাবিক বিপাকক্রিয়ার বিপরীতে হাঁটলেই শরীর গড়বড় করে, তার ফলস্বরূপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমে গলদ দেখা দেয়। তাই বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা জোর দিচ্ছেন সুষম বা ব্যালান্সড খাদ্যব্যবস্থার দিকে। শুধু তা–ই নয়, আমাদের কায়িক শ্রম, ঘুম ও বিশ্রাম এবং আরও নানা দৈনন্দিন অভ্যাসের প্রভাব পড়ে এই ইমিউন সিস্টেমের ওপর। আসুন, জেনে নিই কেমন হওয়া উচিত সেই সুষ্ঠু জীবনাচরণ।
 
সুস্থতার জন্য খাবার তালিকায় রোজ রঙিন ফল রাখুন
সুষম ডায়েট
সুষম বা ব্যালান্সড ডায়েট হলো সেই খাদ্যব্যবস্থা, যেখানে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের সব কটি উপাদান দরকারি মাত্রায় বিদ্যমান। শরীরের জন্য পরিমিত শর্করা (৪০-৫০ শতাংশ), আমিষ (২০-৩০ শতাংশ), ফ্যাট (১০-২০ শতাংশ), প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, খাদ্য আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সঠিক সমন্বয় হলো সুষম খাবার। তাই নো কার্ব, লো কার্ব, লো ফ্যাট, হাই প্রোটিন, কিটো, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ইত্যাদি নানা কিসিমের অভিনব ডায়েটের বদলে বরং সুষম বা ব্যালান্সড ডায়েটে ফিরে যাওয়াই উত্তম। কিন্তু শর্করা, আমিষ বা ফ্যাট–জাতীয় খাবার বাছাইয়ের বেলায় হতে হবে সতর্ক, দরকার হবে সঠিক ও উপকারী উপাদানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠা। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরামর্শও দিয়েছে।
১. প্রচুর পানি পান করুন। দিনে ৩-৩.৫ (১০ গ্লাসের মতো) লিটার পানি পান করুন। কম মিষ্টি বা টক স্বাদের ফলের রস পান করা যেতে পারে। ডাবের পানি, লেবু পানি, তাজা ফলের রস, লেবু–চাসহ ভেষজ চা পান, স্যুপ ইত্যাদি ভালো। তবে বাজার থেকে কেনা চিনিযুক্ত জুস, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত কফি নয়।
যেসব খাবারে বেশি জলীয় অংশ আছে, সেগুলো গ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। যেমন কম চর্বিযুক্ত বা ননিমুক্ত এমন দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য বেছে নিতে পারেন পানীয় হিসেবে।
 
২. রোজ তাজা অপ্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে হবে। রঙিন ফল, শাকসবজি, ডাল-বিচিজাতীয় খাবার (শিম, মসুর, মাষকলাই ইত্যাদি), বাদাম, শস্যদানা—ভুট্টা, জোয়ার, গম, লাল চাল; কাণ্ড বা মূলজাতীয় শ্বেতসারযুক্ত শাকসবজি—কচু, মিষ্টি আলু; প্রাণিজ খাদ্য—মাছ, মাংস, দুধ, ডিম খান প্রতিদিন।
প্রতিদিন কমপক্ষে ২ কাপ ফল, আড়াই কাপ শাকসবজি, ১৮০ গ্রাম শস্য, ১৬০ গ্রাম মাছ, মাংস ও ডালজাতীয় খাদ্য খাবেন। লাল মাংস (গরু, ভেড়া, ছাগল) সপ্তাহে ২-৩ বার, মুরগির মাংস সপ্তাহে ৩-৪ বার এবং ডিম প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে।
হালকা খাবার বা স্ন্যাক্স হিসেবে চিনি-লবণ-চর্বিযুক্ত খাদ্য না খেয়ে তাজা ফল বেছে নিন। শাকসবজি বা ফল অতিরিক্ত রান্না করবেন না। টিনজাত বা শুকনো খাবার বর্জন করুন।
৩. ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় খাবার পরিমিত খেতে হবে। অসম্পৃক্ত চর্বি আছে মাছের তেল, অলিভ অয়েল, সয়া, সানফ্লাওয়ার অয়েল, বাদাম—এসবে। চেষ্টা করুন এ ধরনের ফ্যাট খেতে। সম্পৃক্ত চর্বি যেমন ঘি, মাখন, মার্জারিন, ডালডা ও মাংসের সঙ্গে লেগে থাকা চর্বি খারাপ। প্রক্রিয়াজাত মাংসে অতিরিক্ত লবণ থাকে, তাই না খাওয়াই ভালো। ট্রান্স ফ্যাট, যা থাকে বেকারির খাবারে, ফাস্ট ফুড, পিৎজা, ফ্রাই খাবারে—এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. অতিরিক্ত লবণ ও অতিরিক্ত চিনি—দুটিই পরিহারযোগ্য। দৈনিক লবণের পরিমাণ ৫ গ্রামের বেশি হবে না। সয়া সস, কেচাপ বা ফিশ সস ইত্যাদি দিয়ে রান্না করা খাবারে লবণ বেশি থাকে। আবার চিনিযুক্ত খাবার, চকলেট, পেস্ট্রি, কেক, কুকিজ, কোমল পানীয় যত কম খাওয়া যায়, তত ভালো।
৫. বাড়িতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি সতেজ খাবার গ্রহণ করুন। বাইরে খেতে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৬. মাইন্ডফুল ইটিং বা মনোযোগসহকারে খাওয়ার অভ্যাস করুন। অন্তত ৩০ মিনিট ধরে ভালো করে চিবিয়ে একটা খাবার খাবেন। চলতে–ফিরতে খাবেন না, বসে সুন্দর করে সময় নিয়ে খান। খাবার সময় অন্য কাজ, যেমন (টিভি দেখা, ফোনে কথা বলা) করবেন না। আমরা কী খাই, তার মতো কীভাবে খাই, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
৭. নিরাপদ খাবার গ্রহণ করুন। যেকোনো খাবার তৈরি বা পরিবেশনের আগে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবানপানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ফলমূল ও শাকসবজি ভালো করে চলমান পানিতে পরিষ্কার করবেন। যে বোর্ড, যন্ত্রপাতি দিয়ে কাঁচা মাছ মাংস কাটা হয়, সেগুলো ভালো করে জীবাণুমুক্ত করবেন। যে টেবিলে বা তলে খাবার রাখা হবে বা পরিবেশন করা হবে, সেটা জীবাণুমুক্ত করে পরিষ্কার করুন। খাবার ঠিকভাবে গরম করে খেতে হবে।
চাই ফিটনেস ও কায়িক শ্রম
গবেষণা প্রমাণ করেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফিট থাকতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম করতে হবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট বরাদ্দ রাখুন এই ব্যায়ামের জন্য। বাইরে যেতে না পারলে বাড়িতে বা ছাদে হাঁটতে পারেন, যন্ত্রপাতির সাহায্যে, ট্রেডমিল বা সাইক্লিং যন্ত্রে বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। বাগান করা, ঘরের কাজকর্ম করা ইত্যাদিতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
পর্যাপ্ত ঘুম দরকার
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার। ঘুম না হওয়া বা রাত জাগার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ঘুমের নির্দিষ্ট সময়সূচি (ছুটির দিনেও) মেনে চলুন। ঘুমের আগে চা-কফি পান করবেন না, ইলেকট্রনিক ডিভাইস হাতে ঘুমাতে যাবেন না। ঘুমের সমস্যা হলে ওষুধ না খেয়ে স্লিপ হাইজিন মেনে চলুন বা রিলাক্সেশন, মেডিটেশন ইত্যাদি করুন।
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমান
স্থূলতা কোভিড-১৯-এর জটিলতা বাড়ায় বলে প্রমাণিত। তাই ওজন ঠিক রাখতে চেষ্টা করুন। তবে এর জন্য চটকদার খাদ্যপ্রণালির দিকে ঝুঁকে যাবেন না। সুষম খাদ্যই আপনাকে রক্ষা করবে; কিটো ডায়েট, নো কার্ব ডায়েট, ফাস্টিং বা এরূপ আরও কিছু বিজ্ঞাপিত খাদ্য ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সুষম খাদ্যকাঠামোর মধ্যেই ক্যালরি কমিয়ে নিতে হবে আর শারীরিক শ্রমের মাত্রা বাড়িয়ে ক্যালরি গ্রহণ ও ক্যালরি খরচের মধ্যে একটি ঋণাত্মক সমন্বয় দাঁড় করাতে হবে।


তথ্যসূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের পুষ্টিভাবনা।

Source: https://www.prothomalo.com/feature/pro-health/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%A3

3
Human Nutrition / মাছ সবজি সবই খাব!
« on: September 05, 2020, 11:32:26 PM »
মাছ সবজি সবই খাব!


না! খাব না! খাব না!... এটা যেন আজকালকার বাচ্চাদের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মাছ আর সবজিতে তো প্রায় সব শিশুরই অনীহা। কিন্তু বাড়ন্ত বয়সে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য সব ধরনের খাবারই তো খেতে হবে। শিশুদের তাদের রুচি, পছন্দ অনুযায়ী সবজি, মাছ এসব খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে—বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোরশেদা বেগম।

জেনে নিন
l শিশুকে পরিবারের সবার সঙ্গে একটু একটু করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
l টিফিনের সময় বাচ্চারা খেলার তালে থাকে। অনেক সময় বন্ধুদের সঙ্গে মিলে বাচ্চারা খেতে চায়। সবার সঙ্গে ভাগ করে যাতে খেতে পারে, এমন খাবার দিন।
l সরাসরি সবজি, মাছ পছন্দ না করলে তাদের একটু ভিন্নভাবে যেমন সবজির কাটলেট, স্যুপ, মাছ ভাজা, মাছের কাটলেট, ফিশ বল তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে ।
l সবজি তেমন পছন্দ না করলেও অনেক সময় তারা আলু খেতে ভালোবাসে। তাই বিভিন্ন ধরনের সবজির সঙ্গে আলু মিশিয়ে বলের মতো করে চপ কিংবা রোলের মতো করে দেওয়া যায়।

l পরিবারের বড়রা যে খাবার খাচ্ছে, সেটাকে কম ঝাল দিয়ে একটু নরম করে শিশুদের খেতে দিতে হবে। এভাবে বাচ্চাদের খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

l অনেক সময় বাচ্চারা ভাত খেতে পছন্দ করে না, তাই মাঝেমধ্যে সবজি দিয়ে রান্না করে খিচুড়ি খাওয়ানো যায়।

বাচ্চারা একই খাবার সাধারণত বারবার খেতে পছন্দ করে না। সে ক্ষেত্রে তাদের একই উপাদানের খাবার নানাভাবে রান্না করে দেওয়া যেতে পারে। এর নানা উপায় জানালেন রান্নাবিদ ফাতিমা আজিজ।

জেনে নিন

l অনেক সময় বাচ্চারা দুধ খেতে বা ফল খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে দুধ আর কিছু ফল দিয়ে কাস্টার্ড করে দেওয়া যেতে পারে। স্বাদ পরিবর্তনের জন্য একটু ভ্যানিলা দিতে পারেন কাস্টার্ডে।

l আবার দুধের সঙ্গে স্পঞ্জ কেক, পেস্ট্রি টুকরা করে কেটে কাস্টার্ড করে দেওয়া যেতে পারে বাচ্চাদের।

l পুডিংয়ের সঙ্গে ভ্যানিলা, চকলেট ফ্লেভার, কোকো পাউডার মিশিয়ে দিলে স্বাদে ভিন্নতা আসবে, বাচ্চারাও খেতে পছন্দ করবে।

l অনেক সময় বাচ্চারা প্রতিদিন ডিম পোচ খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে ডিমের হালুয়া, পুডিং, বরফি, স্যান্ডউইচ বাসায় তৈরি করে দিলে বাচ্চারা খেতে পছন্দ করবে।

l যেকোনো মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে সামান্য গোলমরিচ, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে গোল গোল বল করে তেলে ভেজে নিন। এভাবে ফিশ বল, মাছের চপ, স্যান্ডউইচ তৈরি করা যেতে পারে।

l চিংড়ি মাছের সঙ্গে টমেটো সস, লবণ, গোলমরিচ মিশিয়ে নিন। পাউরুটি কিউব করে কেটে সেটা বল আকার করে ডুবোতেলে ভেজে দিন।

l বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, রুই মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে তাতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, সেদ্ধ সবজি, শসা, মরিচ, টমেটো, ক্যাপসিকাম কেটে দিয়ে হালকা তেলে ভেজে মাছের বল তৈরি করতে পারেন। এটি পরোটা কিংবা ছোট ছোট রুটির মধ্যে দিয়ে রোল করে বাচ্চাদের পরিবেশন করতে পারেন।

l ডালটা কোনো দিন ঘন আবার কোনো দিন পাতলা করে রান্না করে বাচ্চাদের দেওয়া যেতে পারে।

l এ ছাড়া মাংসের কিমা, সবজি দিয়ে ডাল রান্না করা যেতে পারে।

l পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে একটু আদার রস দিন। এবার পছন্দমতো সবজি দিয়ে ভাজি করে ফেলুন। সবজি রান্নার সময় একটু লেবুর রস, চিনি, সামান্য গোলমরিচ দেওয়া যেতে পারে।

l নুডলসের সঙ্গে সবজি মিশিয়ে দিলে বাচ্চারা মজা করে খেতে পারে।

l ময়দা দিয়ে পাটিসাপটার মতো করে বানিয়ে নিন। বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন গাজর, ফুলকপি সেদ্ধ করে বাগার দেওয়ার সময় ডিম দিয়ে নামিয়ে নিন। তারপর পাটিসাপটার মধ্যে সবজি দিয়ে ভেজে বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে।

l আলুর চপ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বাচ্চারা খেতে পছন্দ করে। বাইরে থেকে না কিনে বাড়িতেই বানিয়ে দিন। তেলের বদলে মাখনে ভেজে দিলে ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যাবে।

l লবণ দিয়ে হাড় ছাড়া মুরগির মাংস সেদ্ধ করে নিন। এবার ফ্রাই প্যানে মাখন গলানো দিয়ে লবণ না দিয়ে সেদ্ধ মুরগি ভাজা ভাজা করে নিন। এবার গোলমরিচ, লেবুর রস দিয়ে ভাতের সঙ্গে বাচ্চাদের খেতে দেওয়া যেতে পারে।

Source: https://www.prothomalo.com/life/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%87-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC-

4
 :'(

7
Committees / Re: Self Assessment Committee (SAC)
« on: March 14, 2020, 05:02:13 PM »
Initiative.  :)

12
Allied Health Science / Re: List of Food Companies in Bangladesh
« on: March 11, 2020, 04:34:58 PM »
Thank you mam.

13
Allied Health Science / Re: Prevention and Treatment of Coronavirus
« on: March 11, 2020, 04:33:17 PM »
Thank You Mam.

14
Helpful for us, thank you.

Pages: [1]