Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - saima rhemu

Pages: 1 ... 13 14 [15] 16
213
Welcome  :)

216
পরিবেশ দূষণ, ধুলা-বালি ইত্যাদি কারণে প্রায় অনেকেরই চোখ চুলকানো বা চোখে জ্বালা-পোড়া হওয়ার সমস্যা হতে দেখা যায়। যারা অতিরিক্ত চোখে হাত দিয়ে থাকেন বা চোখ ঘষাঘষি করেন তাদের এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

ডাক্তারি সমাধান থাকলেও চটজলদি ঘরোয়া কিছু উপায়েই চোখের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চোখ চুলকানোর সমস্যার ঘরোয়া কিছু সহজ সমাধান উল্লেখ করা হয়। এই প্রতিবেদনে সেসব তুলে ধরা হল।

শসা –

শসায় আছে ‘অ্যান্টি-ইরিটেশন প্রোপার্টিজ’ যা জ্বালা-পোড়া, ফোলাভাব, চুলকানো ইত্যাদি সমস্যায় দারুণ কার্যকর। তাই চোখে চুলকানো বা যেকোনো সমস্যায় একটি শসা ভালোভাবে ধুয়ে, পাতলা টুকরা করে কেটে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে দু’চোখের উপর দিয়ে ১০ মিনিট রাখতে হবে। দিনে পাঁচবার এইভাবে শসা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।

ঠাণ্ডা দুধ –

ঠাণ্ডা দুধে এক টুকরো পরিষ্কার তুলার প্যাড বা বল ভিজিয়ে চোখের চারপাশে আলতো ঘষে নিতে হবে। অথবা ভেজা প্যাডটি চোখের উপর দিয়ে রাখতে হবে। এতে চোখ ঠাণ্ডা হবে এবং চুলকানো কমবে। সকালে এবং সন্ধ্যায়, দিনে দুবার ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে।

গোলাপজল –

চোখের সমস্যায় দারুণ একটি ঘরোয়া সমাধান হল বিশুদ্ধ গোলাপ জল। চোখের জ্বলাপোড়াভাব দূর করে চোখ ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে এই পানি। চোখ পরিষ্কারের জন্য গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে দুবার গোলপজল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করলে উপকার পাওয়া যাবে।

তাছাড়া, তাৎক্ষণিক উপকার পেতে ড্রপ হিসেবেও চোখে গোলাপজল দেওয়া যেতে পারে। যে চোখে সমস্যা সেই চোখে তিন ফোঁটা গোলাপজল ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে।

লবণ পানি –

চোখের চুলকানোভাব এবং জ্বলাপোড়া কমাতে অত্যন্ত কার্যকর হল লবণ পানি। লবণ পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কারের ফলে চোখে জমে থাকা যে কোনো ক্ষতিকর উপাদান পরিষ্কার হয়ে যায়। আর লবণে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যেকোনো জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

এক কাপ বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে এক চা-চামচ লবণ মিশিয়ে অল্প সময় গরম করতে হবে যেন লবণ ভালোভাবে মিশে যায়। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে চোখ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করতে হবে। দিনে একাধিকবার ব্যবহারে ভালো উপাকার পাওয়া যাবে।

গ্রিন টি –

স্বাস্থ্য এবং ত্বক, দুয়ের জন্যই দারুণ উপকারি গ্রিন টি। চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও গ্রিন টি ব্যবহার করা যায়। চোখ পরিষ্কারের জন্য এক কাপ পানিতে দু’টি গ্রিন টি’র ব্যাগ দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এই মিশ্রণ দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যাবে।

ঘৃত কুমারী বা অ্যালোভেরা –

ঘৃত কুমারী ত্বক আর্দ্র রাখতে দারুণ উপকারী। শুষ্ক ত্বক, ত্বকের চুলকানোভাব এবং ফোলাভাব কমাতেও দারুণ কার্যকর। একটি পাতা থেকে অ্যালোভেরা জেল বের করে এর সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে সঙ্গে আধা কাপ ‘এল্ডারবেরি ব্লসম টি’ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। যতদিন সমস্যা পুরোপুরি না ভালো হবে ততদিন দিনে দু’বার মিশ্রণটি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে, দিনে দুবার।

আলু –

আলুতে থাকা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান চোখ চুলকানোর সমস্যা দ্রুত উপশমে সাহায্য করে। তাছাড়া চোখের ফোলাভাব ও লালচেভাব কমাতেও সাহায্য করে আলু। একটি আলু পরিষ্কার করে ধুয়ে পাতলা করে কেটে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে।

এরপর ঠাণ্ডা টুকরাটি চোখের উপর দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। দিনে দুই থেকে তিনবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার এভাবে আলু ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

217
সিগারেটের মূল উপাদান নিকোটিন। নিকোটিন একটি আসক্তিকর রাসায়নিক। তাই ধূমপান ত্যাগ করা খুব কঠিন। নিকোটিন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে যা নার্ভ  ও মাসেল সেল ব্লক করে দেয় ফলে এরা সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেনা।
নিকোটিন হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান নিষিদ্ধ করা, স্বাস্থ্য সতর্কতা এবং বৈজ্ঞানিক ভাবে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো প্রমাণ হওয়ার পরও মানুষ বিশেষ করে পুরুষরা ধূমপান পছন্দ করে।যারা ধূমপান করেন তাদের জন্য এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে শরীর থেকে নিকোটিন বাহির হয়ে যায়। আসুন তাহলে জেনে নেই সেই খাবার গুলো সম্পর্কে।

১। ব্রোকলি

ব্রোকলিতে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন বি৫ ও ভিটামিন সি থাকে। বি ভিটামিন শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রোকলি খেলে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় এবং ফুসফুস কে টক্সিন থেকে রক্ষা করে। ব্রোকলিতে NRF2 জীন থাকে যা ফুসফুসের কোষকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

২। কমলা

কমলা বলশালী সাইট্রাস ফল, নিকোটিন ভিটামিন সি হ্রাস করে এবং চাপ বৃদ্ধি করে। কমলা খেলে ভিটামিন সি এর স্তর পরিপূর্ণ হয় এবং স্ট্রেস ও উদ্বিগ্নতা কমে।

৩। পালংশাক

গবেষণায় দেখা গেছে যে, ধূমপায়ীদের ফলিক এসিডের সাপ্লাই কম থাকে। এই এসিড মাংসপেশি, স্নায়ু এবং ব্রেইন হেলথ ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন। সৌভাগ্যক্রমে পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড থাকে।

পালংশাক ভিটামিনে ভরপুর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা সার্বিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্য রক্ষা করে। আপনি হয়তো জানেননা যে, পালং শাক খেলে স্মোকিং এর স্বাদ নষ্ট হয়! যদি আপনি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চান তাহলে পালং শাক খান।

৪। গাজর

ধূমপান ছাড়ার জন্য গাজর অনেক উপকারী। গাজরের জুস খেলে কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় বেশি। প্রতি দিন এক কাপ গাজরের জুস পান করলে আপনার শরীর ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে দিয়ে পরিপূর্ণ হবে। যা আপনার শরীর থেকে নিকোটিন বাহির করে দিতে সাহায্য করে।

৫। পানি

পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড পানীয় হচ্ছে পানি। নিকোটিনের দ্বারা শরীরের অভ্যন্তরের যে ক্ষতি হয় তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পানি। আপনি কি জানেন নিকোটিন আপনাকে পানিশূন্য করে? প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করলে শরীর রিহাইড্রেট হয় এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য বাহির হয়ে যায়।

এছাড়াও আদা, লেবু, ডালিম, কিউই ইত্যাদি খেলে নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়। মনে রাখবেন নিকোটিন ত্বকের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা খুব সহজ নয়।

মারাত্মক কোন স্বাস্থ্য সমস্যা না হলে এটা ছাড়ার কথা চিন্তা করেননা অনেকেই। আপনার খাদ্যাভ্যাসের সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি আপনার এই বদ অভ্যাসটি ত্যাগ করতে পারেন। আপানর জন্য কোনটি কার্যকর তা খুঁজে বাহির করুন এবং চেষ্টা শুরু করুন।

218
মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে খাবার থাকে। উভয় ক্ষেত্রেই খাবারের পর অনেক সময় চায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। আবার কেউ কেউ অভ্যাসের কারণেই দুপুর কিংবা রাতের খাবারের পর চা পান করে থাকেন। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ঠিক পরপরই চা পান করা উচিত নয়। এতে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দেখা যায়, চায়ের মধ্যকার ট্যানিন খাবারের প্রোটিনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এক ধরনের জটিল রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে। এই রাসায়নিক যৌগ হজমে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং আয়রন শোষণে বাধা দেয়।

কাজেই নিয়মিত উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ঠিক পরপরই চা পান করলে অদূর ভবিষ্যতে তা হজমে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আর হজমের সমস্যা হওয়া মানেই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হওয়া। এতে একসময় শরীর অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে।

এ বিষয়ে ইঁদুরের ওপর গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক দেখেছেন, প্রোটিনজাতীয় খাবারের সঙ্গে চা গ্রহণ করলে খাদ্য হজমের প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে।

তবে এ সমস্যা শুধু দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবার গ্রহণ করলেই হবে সেটি নয়, অন্যান্য সময়ও যদি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত নাশতা খান, যেমন মাংসের কাবাব কিংবা মাংস দিয়ে তৈরি এমন কিছু খাওয়ার ঠিক আগে কিংবা ঠিক পরেই চা পান করলে একই ধরনের বিপত্তি হবে।

মাংস ও মাছের মধ্যে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকে। তবে মাংসের সঙ্গে চা পানেই সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। আবার চায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যানিনের উপস্থিতির কারণে শুধু লিকার চায়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো বেশি হয়।

তবে কারো কারো ক্ষেত্রে প্রোটিন বা আমিষযুক্ত খাবারের সঙ্গে চা পানের কারণে তেমন কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও নীরব অপুষ্টি তাদের ক্রমান্বয়ে গ্রাস করতে থাকে। তাদের শরীর প্রয়োজনীয় মিনারেল থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। একপর্যায়ে মিনারেলের ঘাটতি এবং অপুষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

সুতরাং প্রোটিন ভোজনের পরপরই চা পানের অভ্যাস থাকলে সেটি ত্যাগ করতে হবে। আর খাবারের পর চা পান যদি করতেই হয়, তাহলে অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে তার পর করুন।

219
বুকে অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভূত হলে অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান হৃদরোগ হয়ে গেল কি না। কিন্তু ভেবে দেখতে হবে, বুকে হৃৎপিণ্ড ছাড়াও ফুসফুস, শ্বাসনালি, খাদ্যনালি, পাঁজরের হাড়-মাংস ইত্যাদি থাকে।
এগুলোর যেকোনো একটিতে সমস্যা হলেই আপনি বুকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। তাই বুকে ব্যথা হলেই তা হৃদ্রোগ বলে ধরে নেওয়া ঠিক নয়।

বুকে ব্যথার নানা কারণ পাঁজরের হাড়ের সন্ধিস্থলে প্রদাহ, বুকের মাংসপেশির প্রদাহ, অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম বা ভারী কাজ, বুকে আঘাত, গলা থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত খাদ্যনালির যেকোনো জায়গায় ক্ষত বা প্রদাহ, পাকস্থলীর প্রদাহ ও ক্ষত, অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ ইত্যাদি কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে।

মানসিক সমস্যায় শতকরা ৪০ ভাগ ক্ষেত্রে একজন রোগী বুকে ব্যথার সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। হিস্টিরিয়া নামে সমধিক পরিচিত এসব মানসিক রোগীর সাধারণ সমস্যাই হলো বুকে ব্যথা।

কী করে বুঝবেন হৃদ্রোগ অনেক রোগীই হৃদ্রোগ হওয়ার কিছুদিন বা সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই সামান্য বুকে ব্যথা বা চাপ চাপ ভাব অনুভব করেন। পরিশ্রম বা হাঁটাচলা, এমনকি খাওয়ার সময়ও বুকে ব্যথা বা চাপ বাড়ে।

আবার বিশ্রাম নিলে কমে যায়। হঠাৎ বুকের মাঝে খুব বেশি ব্যথা অনুভূত হওয়া, বিশ্রাম নিলে ব্যথা না কমা, হঠাৎ কাশি বা তীব্রতর শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি হলো হৃদ্রোগের উপসর্গ।

বুকে ব্যথা হলেই আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়। তবে এ ধরনের সমস্যায় অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

220
খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধিতে জিরা অতুলনীয়। কিছুটা ঝাঁঝালো স্বাদ হলেও এর রয়েছে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগুণ। জিরার পানি শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয় ত্বকের জন্যও বেশ ভাল। এটি ডায়াবেটিস, টিউমার এবং মাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন দূর করে থাকে।

প্রাচীনকালে অনেক রোগের চিকিৎসা হিসেবে এই পানি পানের পরামর্শ দেওয়া হত। পানি ১০ মিনিট ফুটতে দিন, তারপর এতে জিরা দিয়ে দিন। জিরা দিয়ে আবার ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা করে এটি পান করুন। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই জিরা পানির স্বাস্থ্যগুণ।

১। হজমক্ষমতা বৃদ্ধি

জিরার থাইমল এবং অন্যান্য উপাদান খাবার হজম করার শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এটি পাচনশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এক চা চামচ জিরা এক গ্লাস পানিতে জ্বাল দিন। বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি পান করুন। এটি দিনে তিনবার পান করুন। এটা পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করবে।

২। রক্তস্বল্পতা দূরীকরণ

জিরাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের জন্য জরুরী অন্যতম মিনারেল আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে যা অক্সিজেন পরিবহন করতে সাহায্য করে। নিয়মিত জিরা পানি পান রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

৩। ক্যান্সার প্রতিরোধে

বেস্ট ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, পাকস্থলি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে জিরা পানি। Cancer Research Laboratory of Hilton Head Island, South Carolina, USA এর মতে জিরার উপাদানসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনের রান্নায় কিছু পরিমাণের জিরা মিশিয়ে নিন।

৪। অনিদ্রা দূর করতে

আপনি কি অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন? তবে জিরা হতে পারে এর সমাধান। জিরা গুঁড়ো এবং একটি কলা মিশিয়ে নিন। এটি নিয়মিত রাতে খান। এটি ভাল ঘুমাতে সাহায্য করবে।

৫। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে

কিছু পরিমানের জিরা ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এবার এটি পানি অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। এছাড়া জিরার চা পান করতে পারেন। এমনকি জিরা পানিও আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে দিবে।

৬। গলা ব্যথা দূর করতে

গলা ব্যথা কমাতে জিরা পানি সাহায্য করে থাকে। কিছু পরিমাণে জিরা পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলিকুচি করুন। এটি আপনার গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

৭। ওজন হ্রাস করতে

জিরা মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে খাবারের রুচি হ্রাস করে থাকে। শুধু তাই নয় এটি রক্তে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। নিয়মিত জিরা পানি পানে  ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।

222
Public Health / বয়স্কদের কোমর ব্যথা
« on: February 24, 2016, 04:51:51 PM »
কোমরে ব্যথার কারণ অনেক। নড়াচড়া বা চলাফেরা করার সময় কোমরের অবস্থান সঠিক না থাকলে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। তবে কোমরে ব্যথা বয়স বাড়লে সাধারণত লাম্বার স্পনডাইলোসিসের জন্য হয়ে থাকে। মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের ফলেই এ রোগের সূত্রপাত হয়। তরুণাস্থির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মেরুদণ্ডের নিচের দিকে সংবেদনশীল পরিবর্তনসাধিত হয়। সাধারণত এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগের উপসর্গও বাড়তে থাকে।

রোগের উপসর্গ
কোমরে ব্যথা। প্রথম দিকে এ ব্যথা কম থাকে এবং ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে এ ব্যথা কিছুটা কমে আসে। ­কোমরে সামান্য নাড়াচাড়া হলেই এ ব্যথা বেড়ে যায়।
অনেক সময় ব্যথা পায়ের দিকে নামতে পারে এবং অবশ ভাব বা ঝিনঝিন অনুভূতিও হতে পারে।
কোমরের মাংসপেশি কামড়ানো ও শক্ত ভাব হয়ে যাওয়া­ এ ধরনের উপসর্গও রোগে দেখা দিতে পারে।
প্রাত্যহিক কাজে, যেমন­ নামাজ পড়া, তোলা পানিতে গোসল করা, হাঁটাহাঁটি করা ইত্যাদিতে কোমরের ব্যথা বেড়ে যায়।

কোমরের ব্যথা রোগের চিকিৎসা
বিশ্রামঃ এ রোগী শক্ত ও সমান বিছানায় বিশ্রামে থাকবেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের বিশ্রামে ব্যথা উপশম হয়। ব্যথা উপশমক ওষুধ ব্যথা থাকা অবস্থায় এবং মাংসপেশি শিথিলকরণ ওষুধ দেয়া যেতে পারে। সব ক্ষেত্রে একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক নির্দিষ্ট মাত্রায় সঠিক নিয়মে ওষুধ খেতে হবে।

ফিজিক্যাল থেরাপিঃ
ক) বিভিন্ন প্রকার তাপ এ রোগে চিকিৎসকরা প্রয়োগ করে থাকেন। যেমন­ ডিপ হিট সুপারফিসিয়াল হিট রোগীর কোন অবস্থায় কোন ধরনের থেরাপি প্রয়োগ করতে হবে তা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নির্ধারণ করে দেন।
খ) লাম্বার ট্রাকশনঃ লাম্বার ট্রাকশনে সাধারণত ২৫-৫০ পাউন্ড ওজন দেয়া হয়। তবে রোগীর অবস্থা, ওজন, বয়স ও পুরুষ/মহিলা ভেদে ওজন কম-বেশি হয়। লাম্বার ট্রাকশন বিশেষ সতর্কতার সাথে চিকিৎসকের (ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ) পরামর্শ অনুযায়ী দেয়া উচিত।
গ) লোকাল স্পাইনাল সাপোর্টঃ কোমরের ব্যথায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা লোকাল স্পাইনাল সাপোর্ট হিসেবে কোমরের বেল্ট বা করসেট ব্যবহার করতে উপদেশ দিয়ে থাকেন। লাম্বোসেকরাল করসেট শুধু চলাফেরা ও কাজের সময় ব্যবহার করা উচিত।
ঘ) ইলেকট্রোথেরাপিঃ ইলেকট্রোথেরাপি হিসেবে ট্রান্সকিউটেনাস ইলেকট্রিক নার্ভ স্টিমুলেশন কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে রোগীর অবস্থা ও প্রকারভেদে চিকিৎসকরা এসব চিকিৎসা প্রয়োগের উপদেশ দিয়ে থাকেন।

ব্যায়ামঃ কোমরে ব্যথায় বিভিন্ন ব্যায়াম দেয়া হয়। এ ধরনের ব্যায়াম রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকরা ধাপে ধাপে দিয়ে থাকেন।
ক) ব্যায়াম মাংসপেশির স্পাজম বা কামড়ানো কমিয়ে দিয়ে ব্যথামুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
খ) এ ব্যায়াম বিভিন্ন মাংসপেশির দুর্বলতা দূর করে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
গ) এই ব্যায়াম মাংসপেশির শক্ত ভাব দূর করে সাধারণ শিথিল ভাব আনতে সাহায্য করে।
ঘ) এ ব্যায়াম বিভিন্ন মাংসপেশির মধ্যে সমতা এবং নিয়ন্ত্রিত যোগাযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ঙ) এ ধরনের ব্যায়াম মাংসপেশির সাধারণ চরিত্র ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে এ চিকিৎসা সর্বদা একজন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী নেয়া উচিত।

কোমরের ব্যথা রোগীর জন্য কিছু পরামর্শঃ
কাজ করার সময় করসেট ব্যবহার করুন।

সব সময় শক্ত সমান বিছানায় ঘুমাবেন।

কোনো জিনিস তোলার সময় সোজা হয়ে বসে তুলবেন।

চেয়ারে বসার সময় ঘাড় ও পিঠ সোজা রেখে বসবেন।

ফোমের বিছানায় ঘুমাবেন না এবং ফোমের (নরম সোফা) সোফায় অনেক্ষণ বসবেন না।

একই সাথে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকবেন না।

ঝুঁকে বা মেরুদণ্ড বাঁকা করে কোনো কাজ করবেন না।

ভারী কোনো জিনিস, যেমন­ বেশি ওজনের থলি, পানিভর্তি বালতি ইত্যাদি বহন করবেন না।

পিঁড়িতে বসে কোনো কাজ যেমন­ মাছ কাটা, শাকসবজি কাটা ইত্যাদি করবেন না।

টিউবওয়েল চেপে পানি উঠাবেন না।

ঝরনায় অথবা সোজা হয়ে বসে তোলা পানি দিয়ে গোসল করবেন।

সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে ধীরে ধীরে উঠবেন ও নামবেন।

হাই হিল জুতা ব্যবহার পরিহার করুন।

মোটা ব্যক্তিদের শরীরের ওজন কমাতে হবে।

যানবাহনে চড়ার সময় সামনের আসনে বসবেন, কখনো দাঁড়িয়ে থাকবেন না।

ঘুম থেকে ওঠার সময় যেকোনো একদিকে কাত হয়ে উঠবেন।

সূত্রঃডা. এম এ শাকুর
বাতব্যথা রোগ ও প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ,ইবনে সিনা।

223
 বাড়তি ওজনের জন্য অনেকেই শর্করাজাতীয় খাবারকে দায়ী করেন। ভাবেন, ‘নো কার্ব’ বা শর্করা বর্জন ওজন কমানোর চাবিকাঠি। আসলে তা নয় এবং সেটা সম্ভবও নয়। কারণ, শকর্রাবর্জিত খাবার দিনের পর দিন খেতে থাকলে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হয়তো দু-চার দিন এ ধরনের খাবার গ্রহণ করা যায়, দিনের পর দিন নয়। যেমন—মাছ, মাংস, ডিম, তেল, ঘি, মাখন এগুলো একেবারেই শর্করাবর্জিত খাবার। ভাবুন তো, এসব খাবার খেয়ে কি জীবন কাটাতে পারবেন? আসলে সবই খেতে হবে, তবে তা হওয়া উচিত পরিমিত।

শর্করাজাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া যাবে বা যাবে না সে ব্যাপারে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান আখতারুন নাহার বলেন, শর্করা শক্তির অন্যতম উৎস। পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে, মানুষের প্রতিদিনের খাবারে মোট ক্যালরির ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা থাকা উচিত। তবে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে শর্করার অংশটি ভাত-রুটি ইত্যাদি মিলে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ হলেই ভালো হয়।

আখতারুন নাহারের মতে, শিশুদের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে তাদের খাবারে অবশ্যই শরীর গঠনকারী উপাদান বা দুধ থাকতেই হবে। যদিও দুধে আছে পর্যাপ্ত শর্করা। খাবারের মধ্যে শর্করা থাকে বিভিন্ন রূপে। যেমন—গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্যালাক্টোজ, সুক্রোজ, মল্টোজ। আমাদের দেহের কার্যপ্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ প্রয়োজনীয় উপাদান। ফ্রুক্টোজ হলো ফলের চিনি। সুক্রোজ প্রায় সব উদ্ভিদেই কমবেশি থাকে। তবে আখ ও বিটে থাকে উচ্চমাত্রায়। এ জন্য এই দুটো দিয়ে সহজেই চিনি তৈরি করা যায়। ল্যাক্টোজ হলো দুধের চিনি। অঙ্কুরিত শস্যের মধ্যে মল্টোজ থাকে। গ্লুকোজ একাই স্নায়ুতন্ত্রের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এ কারণে শর্করাজাতীয় খাবারের অভাবে শরীরে দহন ক্রিয়া থেমে যায়। এর ফলে কিটোন বডি নামে শরীরে ক্ষতিকর পদার্থ উৎপন্ন হয়। শর্করা বাদ দেওয়া যেমন খারাপ, তেমনি অতিরিক্ত শর্করা খাওয়াও ক্ষতিকর। কেননা অতিরিক্ত শর্করা শরীরে চর্বি তৈরি করে। ফলে ওজন বেড়ে যায় ও অন্ত্রকে উত্তেজিত করে। এ জন্য শর্করা খেতে হবে সীমিত পরিমাণে, তবে একেবারে বর্জন নয়।

শিশু, কিশোর ও বয়স্কদের বেলায় একইভাবে জাঙ্ক ফুড অর্থাৎ পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, কোমলপানীয় বন্ধ করে সুষম খাবার গ্রহণ করা উচিত। কারণ, জাঙ্ক ফুডে ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। সুষম খাবার গ্রহণ করতে গেলে খাবারের সব কয়টি উপাদান যেমন—আমিষ, শর্করা, চর্বি যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খেতে হবে।
মোদ্দা কথা হলো, কোনোটাই বাদ দেওয়া যাবে না আবার কোনোটাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।

 :) :) :)

224
Welcome Madam  :)

225
Public Health / শীতে ত্বকের যত্ন
« on: November 30, 2015, 09:30:56 AM »
শীতকালে শুষ্ক শীতল হাওয়া ও বাতাসে বেড়ে যাওয়া ধুলাবালুর কারণে ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। এর ফলে দেখা দেয় নানা সমস্যা, যেমন ত্বক ফেটে যাওয়া, ত্বকে চুলকানি ইত্যাদি। তাই শীতকালে ত্বকের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় দরকার বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা।

ত্বকের শুষ্কতা

শীতে শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে ফেলে। তাই শীতকালে গোসলে সাবান কম ব্যবহার করুন। আর করলেও ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে খসখসে ভাব কমে আসবে।
রাতে ঘুমানোর আগে ও গোসলের পর নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে। ফলে চুলকানিও হবে না এবং ত্বকও ফাটবে না। ত্বকের আর্দ্রতা ও ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে রোজ গোসলের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল অথবা লিকুইড প্যারাফিন মাখতে পারেন।

চুলের যত্ন

শীতের সময় চুলে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায়। খুশকিমুক্ত থাকতে নিয়মিত সপ্তাহে দুই দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
হাতের তালু ও পায়ের তলার যত্ন
এ সময় ১০ ভাগ ইউরিয়া, ভেসলিন লাগালে হাতের তালু অনেকটা মসৃণ হয়ে আসে। শীতে অনেকের পায়ের তলা ফেটে যায়।
৫ ভাগ সেলিসাইলিক অ্যাসিড অয়েন্টমেন্ট অথবা ভেসলিন নিয়মিত মাখতে পারেন।

হাতের তালু ও পায়ের তলার যত্ন

এ সময় ১০ ভাগ ইউরিয়া, ভেসলিন লাগালে হাতের তালু অনেকটা মসৃণ হয়ে আসে। শীতে অনেকের পায়ের তলা ফেটে যায়।
৫ ভাগ সেলিসাইলিক অ্যাসিড অয়েন্টমেন্ট অথবা ভেসলিন নিয়মিত মাখতে পারেন।

মুখের যত্ন

ভালো ময়েশ্চা-রাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা ক্রিমের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।
শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

ঠোঁটের যত্ন

ঠান্ডা বাতাসে ঠোঁট বারবার ফেটে যায়। কখনো এতটাই ফেটে যায় যে চামড়া উঠে আসে ও রক্ত বের হয়। কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়।
কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ঠোঁটে হালকা করে তিন-চারবার চাপ দিন। তারপর ভেসলিন বা গ্লিসারিন পাতলা করে লাগিয়ে নিন। ঠোঁটের জন্য ভালো কোনো প্রসাধনী ব্যাগে রাখুন এবং দিনে তিন-চারবার লাগাতে পারেন।
যাঁদের পুরোনো চর্মরোগ যেমন সোরিয়াসিস, একজিমা, ইকথায়সিস ইত্যাদি আছে, তাঁদের ত্বকের সমস্যা এই সময় বেড়ে যেতে পারে। তাই তাঁদের হতে হবে আরও সচেতন। প্রয়োজনে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: অধ্যাপক রাশেদ মো. খান
চর্ম ও যৌন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

Pages: 1 ... 13 14 [15] 16