Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - farjana aovi

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 9
46
Pharmacy / কালো আঙ্গুরের অজানা গুণ
« on: September 17, 2018, 01:07:37 PM »
ছোট-বড় সবাই কালো আঙ্গুর খেতে পছন্দ করে। তবে কালো আঙ্গুরের গুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। কালো আঙ্গুরের গুণ শুনলে সত্যি অবাক হতে হয়। স্বাস্থ্য, ত্বক, চুল বা চোখ সব কিছুর জন্যই উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ছোট এই কালো ফলটি। আর এ জন্যই আঙ্গুরকে ফলের রানী “কুইন অব ফ্রুট” বলা হয়।

আসুন জেনে নেই কালো আঙ্গুরের কয়েকটি গুণের অজানা কথা।

ক্যানসার প্রতিরোধ

ব্রেস্ট, লাং, প্রোস্টেট ক্যানসারের মতো রোগেরও প্রতিরোধ করে কালো আঙ্গুর।

হার্ট ভালো রাখে

কালো আঙ্গুর খেলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল ভালো হয়। এর ফাইটোকেমিক্যাল হার্টের পেশিকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত আঙ্গুর খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ

শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কালো আঙ্গুর।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা

কালো আঙ্গুরের ফ্ল্যাবনয়েডস, খনিজ, অরগ্যানিক অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা দূর করে। দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ত্বক

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর কালো আঙ্গুর ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে বলিরেখা, কালো ছোপ, শুষ্ক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় কালো আঙ্গুর খান ও ত্বকে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য লক্ষ করুন।

চুলের জন্য বেস্ট!

কালো আঙুরের বীজ পেস্ট করে, অলিভ অয়েলে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। এই তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই চুল পড়ার সমস্যা কমায় ও চুল সাদা হয়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।
Source: jugantor

48
 
 

জে কে রাওলিংজে কে রাওলিং
‘হ্যারি পটার’ সিরিজের জন্য দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাওলিং। পড়ুন তাঁর সাফল্যের সূত্র:


ব্যর্থতা থেকে নিজেকে আবিষ্কার করা যায়
এ কথা এখন অনেকেরই জানা যে প্রায় ১২ জন প্রকাশক জে কে রাওলিংকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখেছিল ‘হ্যারি পটার’। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে রাওলিং বলেন, পাণ্ডুলিপি হাতে প্রকাশকদের দ্বারে দ্বারে ঘোরার সময়টাতেই আদতে তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘ব্যর্থতা মানুষের জীবন থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ছেঁটে ফেলে দেয়। আমি যা হতে চাই, সেটা না হতে পারলেও জীবনে একটা না একটা পথ হয়েই যাবে—নিজেকে আমি এ কথা বলে সান্ত্বনা দিতে চাইনি। বরং সব শক্তি এক করে শেষ দেখতে চেয়েছি। হয়তো সত্যিই অন্য কোনো কাজে গেলেও আমি সফল হতাম। কিন্তু একাগ্রতা নিয়ে লেগে থাকলে যে নিজের পছন্দের জায়গাটাতে পৌঁছানো যায়, এই শিক্ষা তো আমার পাওয়া হতো না।’


শুধু ভাবলে চলবে না
হ্যারি পটারের স্রষ্টা বিশ্বাস করেন, ভাবনাটা শুধু মাথার ভেতর লালন করলেই সফল হওয়া যাবে না। সেটা কার্যকর করতে হবে। আপনার কাজের ক্ষেত্র যা-ই হোক, কোনো ‘আইডিয়া’ মাথায় এলে সেটা পর্যালোচনা করুন এবং কাজে লাগান। জে কে রাওলিংয়ের মাথায় যখন হ্যারি পটারের ভাবনা প্রথম এল, তিনি তখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ভাবনাটা তাঁকে এতই রোমাঞ্চিত করেছিল যে দেরি না করে তিনি ঝটপট সেটা টুকে রেখেছিলেন। পরের ৫ বছর ধরে তিনি হ্যারি পটারের প্রতিটি বইয়ের ভাবনা সাজিয়েছেন এবং সেগুলোকে উপন্যাসে রূপ দিয়েছেন।


সমালোচনার জন্য তৈরি থাকুন
হ্যারি পটার যেমন তুমুল প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি সমালোচিতও হয়েছে। জে কে রাওলিং এই সমালোচনা সহজভাবে নিয়েছেন। একবার তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘আপনি কি নিজের জন্য লেখেন, নাকি পাঠকের জন্য?’ উত্তরে ব্রিটিশ লেখক সিরিল কোনোলিকে উদ্ধৃত করে রাওলিং বলেছেন, ‘নিজস্বতা হারিয়ে স্রেফ পাঠকের জন্য লেখার চেয়ে পাঠক হারিয়ে নিজেকে ধরে রাখা ভালো।’


শেকড়ের কথা মনে রাখুন
একটা তথ্যচিত্রে দেখা যায়, নিজের পুরোনো ঠিকানায় (যে বাড়িতে বসে তিনি হ্যারি পটার লিখেছিলেন) ফিরে আবেগপ্রবণ হয়ে রাওলিং কাঁদছেন। এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী লেখক হওয়া সত্ত্বেও শুরুর দিনগুলো তিনি ভুলে যাননি। রাওলিং বিশ্বাস করেন, শেকড়ের কথা মনে রাখলে মানুষ বিনয়ী হয়।


আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না
‘এটা অনেক বড়!’—এই অভিযোগে প্রকাশকেরা বারবার ফিরিয়ে দিয়েছেন হ্যারি পটারের পাণ্ডুলিপি। কিন্তু রাওলিং তাঁর বিশ্বাসে অনড় ছিলেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবী বদলে দেওয়ার শক্তি আমাদের ভেতরে আছে, সে জন্য জাদু জানার প্রয়োজন নেই। একটা আরও সুন্দর পৃথিবী আমরা কল্পনা করতে পারি।’


দিন শুরু হোক খুব সকালে
জে কে রাওলিং একজন সাহিত্যিক। অথচ তিনি কিন্তু ৯টা-৫টা অফিসের মতোই নিজের সময়টাকে বেঁধে নিয়েছেন। তাঁর ওয়েবসাইটে এক পাঠকের দেওয়া প্রশ্নের উত্তরে রাওলিং লিখেছেন, ‘সকাল ৯টায় আমার কাজ শুরু হয়। পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো আমার লেখার ঘর। যত আগে দিনটা শুরু হয়, সময়টা ততই কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারি। মাঝে কয়েকবার বিরতি নিয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত লেখালেখি করি। ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস অ্যান্ড হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম ছবির সংলাপ লিখতে গিয়ে কয়েক রাত জাগতে হয়েছিল। এর বাইরে গত কয়েক বছরের প্রতিটি দিন আমি খুব সকালে উঠতে চেষ্টা করেছি।’


আপনার জীবনের দায়িত্ব আপনারই
ছেলেবেলায় আমরা পুরোপুরি মা-বাবার ওপর নির্ভরশীল থাকি। বড় হওয়ার পথেও আমরা তাঁদের পরামর্শ, উপদেশ প্রত্যাশা করি। কিন্তু তাই বলে জীবনের ব্যর্থতার দায় মা-বাবা কিংবা অন্য কারও ওপর চাপানোর সুযোগ নেই। নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে শিখলেই আপনার মধ্যে জয়ী হওয়ার ক্ষুধা তৈরি হবে। জে কে রাওলিং বলেন, ‘আমার জীবনের ব্যর্থতার জন্য দায়ী আমার মা-বাবা—এই অভিযোগ একদিন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। যখন থেকে আপনি নিজেই আপনার জীবনের চালকের আসনে বসবেন, তখন দেখে সব দায়িত্ব আপনার।’


বেঁচে থাক কল্পনা
‘অদেখাকে দেখার একটা অনন্য সুযোগ করে দেয় কল্পনাশক্তি। এই শক্তির জোরেই নতুন নতুন আবিষ্কার হয়, উদ্ভাবন হয়,’ বলেছেন জে কে রাওলিং। বিভিন্ন বক্তৃতায়, লেখায় তিনি সব সময় কল্পনাশক্তির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, অসম্ভব কোনো কিছুকে অর্জন করতে হলে আগে কল্পনাপ্রবণ হতে হয়। বড় স্বপ্ন দেখার সাহস করতে হয়।


অর্জন মানেই আনন্দ নয়
অনেক কিছু থাকা সত্ত্বেও কারও কারও জীবনে আনন্দ নেই। আবার ছোট্ট কোনো অর্জনও কখনো কখনো মানুষের মনে অদ্ভুত প্রশান্তি দেয়। জে কে রাওলিং বলেন, ‘একের পর এক অর্জনই জীবনের সব নয়, এটা যখন বুঝবেন, তখনই আপনি ব্যক্তিজীবনে সুখী হতে পারবেন। আপনার জীবন, আপনার যোগ্যতার প্রতিফলন নয়।’ রাওলিং মনে করেন, জীবনটা হলো একটা গল্পের মতো। ‘গল্পটা কত বড়, তাতে কিছু যায় আসে না। বরং গল্পটা কতখানি ভালো, দিন শেষে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

১০
যা ভালোবাসেন, তা-ই করুন
‘আমার খুব সৌভাগ্য, আমি যা সবচেয়ে ভালোবাসি, সেটাই আমার কাজ। সব সময় জানতাম, আমি একজন লেখকই হতে চাই।’ বলছেন জে কে রাওলিং। যা ভালোবাসেন, তা নিয়ে কাজ করলেই আপনি নিজের সেরাটা দিতে পারবেন। আনন্দের সঙ্গে পরিশ্রম করবেন।
সূত্র: নো স্টার্টআপ

49
আমাদের দেশে দুই রকম কুমড়া পাওয়া যায়। একটি মিষ্টিকুমড়া আরেকটি চালকুমড়া। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত মিষ্টি ও চালকুমড়ার উপস্থিতি আপনাকে রাখতে পারে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে।
 
 


আমাদের দেশে দুই রকম কুমড়া পাওয়া যায়। একটি মিষ্টিকুমড়া আরেকটি চালকুমড়া। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত মিষ্টি ও চালকুমড়ার উপস্থিতি আপনাকে রাখতে পারে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী মিষ্টিকুমড়া ও চালকুমড়ার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

মিষ্টিকুমড়া

মিষ্টিকুমড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ার ফলে ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে।

মিষ্টিকুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদ্‌রোগও প্রতিরোধ করা যায়।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় এর অভাবজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে মিষ্টিকুমড়া। সবজিটি তাই চোখের জন্য খুবই ভালো। বয়সজনিত রোগ বিশেষ করে রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টিকুমড়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। বিটা-ক্যারোটিন থাকার কারণে শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধে মিষ্টিকুমড়া ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন দূষণ, চাপ ও খাবারে যেসব রাসায়নিক ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে, সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। মিষ্টিকুমড়া ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে পারে।

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

মিষ্টিকুমড়ার ভিটামিন এ ও সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে। তাই চকচকে উজ্জ্বল চুল ও সুন্দর ত্বকের জন্য নিয়মিত মিষ্টিকুমড়া খেতে পারেন।

মিষ্টিকুমড়া সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টিকুমড়ার জুড়ি নেই।
 


আমাদের দেশে দুই রকম কুমড়া পাওয়া যায়। একটি মিষ্টিকুমড়া আরেকটি চালকুমড়া। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত মিষ্টি ও চালকুমড়ার উপস্থিতি আপনাকে রাখতে পারে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী মিষ্টিকুমড়া ও চালকুমড়ার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

মিষ্টিকুমড়া

মিষ্টিকুমড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ার ফলে ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে।

মিষ্টিকুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদ্‌রোগও প্রতিরোধ করা যায়।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় এর অভাবজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে মিষ্টিকুমড়া। সবজিটি তাই চোখের জন্য খুবই ভালো। বয়সজনিত রোগ বিশেষ করে রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টিকুমড়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। বিটা-ক্যারোটিন থাকার কারণে শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধে মিষ্টিকুমড়া ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন দূষণ, চাপ ও খাবারে যেসব রাসায়নিক ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে, সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। মিষ্টিকুমড়া ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে পারে।

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

মিষ্টিকুমড়ার ভিটামিন এ ও সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে। তাই চকচকে উজ্জ্বল চুল ও সুন্দর ত্বকের জন্য নিয়মিত মিষ্টিকুমড়া খেতে পারেন।

মিষ্টিকুমড়া সহজেই হজম হয়। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টিকুমড়ার জুড়ি নেই।

চালকুমড়া

চালকুমড়া একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার রয়েছে। যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসেবে পেট ও অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি আলসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

চালকুমড়া মস্তিষ্কের স্নায়ু ঠান্ডা রাখে। প্রতিদিন চালকুমড়ার রস খেলে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ কেটে যায়।

যাদের কাশের সঙ্গে রক্ত বের হয়, চালকুমড়ার রস খেলে ভালো হয়। চালকুমড়া শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে অনেক উপকারী একটি সবজি। চালকুমড়া অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়। চালকুমড়ার রস নিয়মিত চুল ও ত্বকে মাখলে চুল চকচকে হয় এবং ত্বক সুন্দর হয়। বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও চালকুমড়া সাহায্য করে।

Source: Prothom Alo

50
কোনো শিশু বড় হয়ে কতটা লম্বা হবে তা জন্মের পরপরই সঠিকভাবে বলে দেয়া না গেলেও মা-বাবার উচ্চতা মেপে চিকিৎসকরা একটা আন্দাজ করতে পারেন। ষোল-সতেরো বছর পর্যন্ত কারও লম্বা হওয়ার সময়। এরপর পঁচিশ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২/১ সেন্টিমিটার উচ্চতা বাড়তে পারে; এরপর আর নয়।

সাবালক হওয়ার পর লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। কোনো শিশু জন্মের সময় ২০ ইঞ্চি লম্বা হলে প্রাপ্ত বয়সে যদি ৬ ফুট (৭২ ইঞ্চি) উচ্চতা হতে হয় তবে তাকে ১৪ বছরে আরও ৫০ ইঞ্চি লম্বা হতে হবে। গড়ে প্রতি বছর ৪ ইঞ্চি করে। বাস্তবে সবসময় একই হারে উচ্চতা বৃদ্ধি পায় না।

জন্মের পরপর কয়েক বছর ও সাবালক হওয়ার সময় দ্রুত উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। অভিজ্ঞ মা-বাবারা অনেকেই তা জানেন। মানুষের উচ্চতা কমবেশি হওয়ার কারণ সাধারণত বংশগত।

অনেক রোগ বিশেষ করে হরমোনজনিত রোগে কারও কারও উচ্চতা অস্বাভাবিকরকম কম বা বেশি হয়। পৃথিবীতে জানামতে সবচেয়ে খর্বাকৃতি মানুষের উচ্চতা মাত্র ২১ ইঞ্চি এবং সবচেয়ে লম্বা মানুষের ১০৭ ইঞ্চি প্রায় পাঁচগুণ তফাৎ! আশ্চর্যজনক বটে। কেন এমন হয় তা নিয়ে গবেষণা হয়েছে।

জানা যায়, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে পিটুইটারি নামক হরমোন নিঃসরণকারী গ্রন্থি থেকে গ্রোথ হরমোন নামক এক প্রকার হরমোন কমবেশি হওয়ার কারণেই কেউ অস্বাভাবিকরকম খাটো বা লম্বা হয়ে থাকে। এই হরমোন কেন কমবেশি হয় তা চিকিৎসকরাই নির্ণয় করতে পারেন। গ্রোথ হরমোন ছাড়াও আরও কিছু কারণে শৈশবাবস্থায় কারও উচ্চতা বিঘ্নিত হতে পারে।

এর মধ্যে সুষম খাদ্যের অভাব, থাইরয়েড হরমোনের অভাব, কিডনির রোগ, ভিটামিন ডির অভাব, পরিপাকতন্ত্র ও ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি অসুখ ইত্যাদি। চিকিৎসকরা এসব নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করলে সাধারণত প্রাপ্ত বয়সে স্বাভাবিক উচ্চতা লাভ করা যায়। তবে কম উচ্চতা নিয়ে কেউ ১৪-১৫ বছর পার হলে চিকিৎসা করেও উচ্চতা আর বাড়ানো সম্ভব হয় না।

স্বাস্থ্যগত দিক থেকে যে রোগের জন্য কেউ অস্বাভাবিক খাটো বা লম্বা হয়ে থাকে তার গুরুত্বই বেশি। সামাজিক ক্ষেত্রে অতি লম্বা বা অতি খাটো হওয়া নানাবিধ কারণে বিব্রতকর হওয়ায় উচ্চতার জন্য অনেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে দেখা যায়, দেহের উচ্চতা বাড়ার প্রধান অঙ্গ হাতপায়ের লম্বা অস্থিগুলোর প্রান্তের কাছাকাছি অবস্থিত গ্রোথ প্লেট নামক অপেক্ষাকৃত নরম কার্টিলেজগঠিত অংশ হতেই উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। অস্থির এই গ্রোথ প্লেট নামক অংশেই গ্রোথ হরমোনের ক্রিয়ার ফলে অস্থি বৃদ্ধি পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে দেহের উচ্চতা বাড়তে থাকে।

মস্তিষ্কে অবস্থিত ক্ষুদ্রাকার পিটুইটারি গ্রন্থির হরমোন যাকে গ্রোথ হরমোন বলা হয় ইহাই মূলত আইজিএফ নামক অপর একটি হরমোনের মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধির কাজটি করে থাকে। উচ্চতা বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া ১৪-১৫ বছর বয়সে সাবালক হওয়ার পর আর থাকে না কারণ তখন অস্থির গ্রোথ প্লেট অস্থির সঙ্গে মিলিয়ে যায়।

উচ্চতার সঙ্গে অন্যান্য হরমোনের যোগসূত্র থাকলেও গ্রোথ হরমোনের প্রভাবই সবচেয়ে বেশি। গ্রোথ হরমোন বাইরে থেকে ওষুধের আকারে প্রয়োগ করে উচ্চতা বৃদ্ধি করা যায়, তবে এখানে শর্ত হল যত কম বয়সে প্রয়োগ করা যায় ততই ফল ভালো হয়ে থাকে। দশ বছরের পরে এর প্রয়োগে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

এ ব্যাপারে অজ্ঞতার কারণে বেশি বয়সে অনেকেই লম্বা হওয়ার জন্য চিকিৎসা করাতে চান যা প্রায় অসম্ভব। বেশি বয়সে কেবলমাত্র শল্যচিকিৎসার (সার্জারি) মাধ্যমেই কিছুটা লম্বা হওয়া সম্ভব।

কোনো শিশুর রক্তে গ্রোথ হরমোন কম থাকলে শিশুটি তার সমবয়স্ক স্বাভাবিক বাচ্চার তুলনায় অনেক কম উচ্চতাপ্রাপ্ত হয়। মা-বাবারা অনেক সময় তা খেয়াল করেন না বা বুঝতে দেরি করেন। শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক হচ্ছে কিনা তা গুরুত্বসহকারে লক্ষ্য করা উচিত।

অন্তত প্রতি তিন মাস পরপর শিশুর উচ্চতা মেপে লিখে রাখা প্রয়োজন। কোনো শিশু বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক কিনা তা পরীক্ষা করে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। অতীতে গ্রোথ হরমোন ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা যেত না এর মূল্যও অনেক বেশি ছিল তাই এর ব্যবহারও ছিল সীমিত।

আজকাল গ্রোথ হরমোন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি হয়, মানও ভালো এবং সব দেশেই পাওয়া যায় অথচ সচেতনতার অভাবে এর সুফল থেকে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন বলে ধারণা করা যায়। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এখনও এর দাম কিছুটা বেশি মনে হতে পারে।

তবে সঠিক সময়ে অর্থাৎ আগেভাগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শানুযায়ী ব্যবহার করা গেলে উচ্চতা নিয়ে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে এরূপ অনেক শিশুই পরিণত বয়সে এ সমস্যাকে এড়াতে পারেন। গ্রোথ হরমোন দিয়ে চিকিৎসায় আর্থিক ব্যায় বেশি হওয়া ছাড়াও কিছু শারীরিক সমস্যা কদাচিৎ লক্ষ্য করা যায় তাই চিকিৎসাকালীন কোনো হরমোন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকা বাঞ্ছনীয়।

লেখক : বিভাগীয় প্রধান, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

51
তামাকের ধোঁয়ায় চার হাজারের বেশি উপাদান থাকে। এগুলোর মধ্যে যেসব কণা রয়েছে তা হল- আলকাতরা, নিকোটিন, বেনজিন ও বেনজোপাইরিন। আর গ্যাসীয় উপাদানগুলো রয়েছে কার্বন মনোক্সাইড, অ্যামোনিয়া, ডাই-মিথাইল নাইট্রোস অ্যামাইন, ফরমালডিহাইড, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ও অ্যাক্রোলিন।

তামাকের ধোঁয়ায় অন্তত ৬০ রকমের উপাদান রয়েছে, যেগুলো ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। শ্বাসনালির জন্য উত্তেজক যে কত উপাদান রয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। ধূমপানরত ব্যক্তির বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি গ্রহণ করলে সেটাকে পরোক্ষ ধূমপান বলা হয়।

এটা দু’ভাবে আসতে পারে, ধূমপানরত ব্যক্তির জ্বলন্ত বিড়ি কিংবা সিগারেটের পাশ থেকে নির্গত ধোঁয়া কিংবা ধূমপায়ী ধোঁয়া গ্রহণের পর নিঃশ্বাসের সঙ্গে পরিত্যক্ত ধোঁয়া। ৩০ মিনিট পরোক্ষ ধূমপান করলে হৃৎপিণ্ডের মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ করার জন্য তা যথেষ্ট। হাঁপানির রোগীর হাঁপানির প্রকোপ বাড়ানোর জন্য পরোক্ষ ধূমপান বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের ফলে হৃদরোগ এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। আর কর্মস্থল এবং পথেঘাটে পরোক্ষ ধূমপানের ফলে হৃদরোগের হার বেড়ে যায় ৫০-৬০ শতাংশ। অধূমপায়ীদের ফুসফুসের ক্যান্সার এবং হৃদরোগের কারণ পরোক্ষ ধূমপান।

ধূমপায়ী মা-বাবার শিশুদের মধ্যে শ্বাসনালির রোগব্যাধির প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি। উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ একটি ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখন আমাদের পরোক্ষ ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে।

ঘরের ভেতর ধূমপান করলে তা ধূমপায়ীর জন্য তো বটেই, সঙ্গে সঙ্গে তা তার পরিবারের অন্যদের, বিশেষত শিশুদের জন্যও ক্ষতিকর।
Source: Jugantor

52
ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত ভাইরাস রোগ। জনসচেতনতা বৃদ্ধিই এর প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
মশা : এডিস ইজিপ্টি মশা জঙ্গলে থাকে না। রাতে কামড়ায় না। গায়ে দাগকাটা মশাগুলো একবারে অনেককে কামড়াতে পারে। ম্যালেরিয়ার মশার মতো একজনের রক্ত খেয়েই পরে থাকে না।

গৃহপালিত এ মশা ঘরে, চৌকির নিচে, পর্দার ভাঁজে, বেসিনের নিচে লুকিয়ে থাকে। বংশবিস্তার করে পানিতে। ছোট পাত্রে ৫ দিনের কম জমে থাকা পানিতে। নর্দমায় নয়, ডোবায় দিনের পর দিন জমে থাকা ময়লা পানিতে নয়, নদী, সাগর, বিলের পরিষ্কার বহমান পানিতে নয়। এই মশা বংশবিস্তার করে ফুলের টবের নিচের জলকান্দার পানিতে, বৃষ্টির দিনে রাস্তার ধারে জমা পানি, নির্মাণসামগ্রীতে থাকা পানি, পেপসির ক্যান, নারিকেলের খোলায় জমা পানিতে।

উপসর্গ : জ্বরই প্রধান উপসর্গ। চামড়ায় দানা (র‌্যাশ), রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে কারও কারও।

জ্বর : অন্য ভাইরাস জ্বরের মতো ডেঙ্গুজ্বর সাত দিনের বেশি থাকে না। প্রথমদিন থেকেই বেশি জ্বর নিয়েই রোগীরা আসে। একটানা উচ্চ তাপমাত্রা থেকে ছয় দিনের দিন জ্বর চলে যেতে পারে। দু’দিন পর একদিন জ্বর না থেকে আবার দু’দিনের জ্বর থাকলে তারপর জ্বর চলে গেল তাও হতে পারে। অন্য ইনফেকশন না হলে, এক্সটেন্ডেড না হলে ডেঙ্গুজ্বর ছয় দিনের বেশি থাকে না।

ব্যথা : সব জ্বরে বিশেষ করে ভাইরাস জ্বরে গা ম্যাজম্যাজ করে, ব্যথা করে। ডেঙ্গুতে ব্যথা বেশি হয়। অনেকের এত বেশি হয় যে এটাকে হাড় ভাঙার ব্যথার (ব্রেকিং বোন ডিজিস) সঙ্গে তুলনা করে। ডেঙ্গুতে চোখের পেছনে (রেট্রাঅরবিটাল পেইন) হয়।

রক্তক্ষরণ : চামড়ায়, মুখে, খাদ্যনালিতে, চোখে হতে পারে। তবে বেশি যেটা হয় সেটা হল মেয়েদের। মাসিক একবার হয়ে গেলেও একই মাসে আবার মাসিক হয়।

দানা (র‌্যাশ) : ডেঙ্গুর টিপিক্যাল রাশ বেরোয় জ্বরের ষষ্ঠ দিনে। তখন জ্বর থাকে না। এজন্য এটাকে কনভালেসেন্ট কনফ্লুয়েন্ট পেটিকিয়াল রাশ বলে। পায়ে বা হাত থেকে শুরু হয়- দেখলেই চেনা যায়, খুঁজতে হয় না। ডেঙ্গুতে অন্য র‌্যাশ হতে পারে সেগুলো টিপিক্যাল নয়। আরেকটা জিনিস হয় জ্বরের প্রথমদিকে- গায়ে চাপ দিলে আঙুলে ছাপ পড়ে অর্থাৎ ফ্লাশিং হয়।

ডেঙ্গুকে তিনটা ফেইজে বলা হয়।

ফেব্রাইল ফেইজে জ্বর ও জ্বরের উপসর্গগুলো থাকে।

এফেব্রাইল ফেইজে জ্বর চলে যায়। তবে এটাকে ক্রিটিক্যাল ফেইজও বলে। কারণ ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভারে এই স্টেজটা মারাত্মক সব জটিলতা হতে পারে। ডেঙ্গু তাই অন্য জ্বর থেকে আলাদা কারণ জ্বর চলে যাওয়ার পরই আসল সমস্যা হয়। এটা ২ দিন থাকে। জ্বর না থাকলেও এ সময় সতর্ক থাকতে হয়।

কনভালেসেন্ট ফেইজ- অধিকাংশই ভালো হয়ে গেলেও কেউ কেউ ভীষণ দুর্বল হয়। বিষণ্ণতায় ভোগে।

ডেঙ্গু দুই ধরনের

ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার : আর দশটা ভাইরাল ফিভারের মতো ভয় না পেলে কোনো সমস্যা নেই।

ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার : ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুর সবকিছুই থাকে। রক্তনালির লিকিং হয় বলে বাড়তি কিছু সমস্যা হয়। ঠিকমতো হ্যান্ডলিং না করলে জীবনের ঝুঁকি আসতে পারে।

জ্বরের সঙ্গে যদি প্লটিলেট কাউন্ট এক লাখের কম হয় এবং হিমাটক্রিট ২০% ভ্যারিয়েশন হয় সেটা ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার। লিকিংয়ের অন্য উপসর্গ যেমন পেটে বা ফুসফুসে পানি আসতে বা রক্তে প্রোটিন কমে যেতে পারে।

ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভারকে চারটা গ্রেডে ভাগ করা হয় :

গ্রেড -১ : টুনিকেট টেস্ট পজিটিভ হওয়া ছাড়া রক্তক্ষরণের আর কোনো আলামত থাকে না।

গ্রড-২ : দৃশ্যত রক্তক্ষরণ থাকে। তাই রক্তক্ষরণ দেখা না গেলেও জ্বরের সঙ্গে লিকিংয়ের উপসর্গ থাকলে সেটা ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার।

গ্রেড-৩ : ১ বা ২ এর সঙ্গে ব্লাডপ্রেসার কমে, পালস বাড়ে।

গ্রেড-৪ : ১ বা ২ এর সঙ্গে ব্লাডপ্রেসার, পালস রেকর্ড না করা যায়।

গ্রেড ৩ ও ৪-কে একসঙ্গে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম বলে। ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম বিশেষ করে গ্রেড-৪ প্রতিরোধ করতে না পারলে পরিণতি খারাপ হয়।

ল্যাবরেটরি পরীক্ষা

খুব টক্সিক না হলে কোনো জ্বরের রোগীরই তিনদিন আগে কোনো পরীক্ষা করা দরকার নেই।

টিসি ডিসি হিমগ্লোবিন ইএসআর, এসজিপিটি: ভাইরাল ফিভারে কাউন্ট বাড়ে না। টাইফয়েড ম্যালেরিয়ায়ও তাই। যদি কাউন্ট কমে বিশেষ করে তিন হাজারের নিচে যায় সেটা নিশ্চিত ডেঙ্গু, সত্যি বলতে কি এটাই সহজলভ্য সস্তা টেস্ট। এসজিপিটি খুব বেশি হলে সেটা ভাইরাল হেপাটাইটিস। অন্য জ্বরে এটা বাড়ে তবে ১/২ গুণের বেশি না। ডেঙ্গু হেপাটট্রপিক ভাইরাস নয়।

এনএস ১ অ্যান্টিজেন : এটাই জ্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গুর নিশ্চিত পরীক্ষা। জ্বর থাকাকালীন এটা পজিটিভ হয়। জ্বর চলে গেলে অর্থাৎ ছয়দিন পর এটা করা দরকার নেই।

ভাইরাস আইসোলেসন : জ্বর থাকা অবস্থায় এটাও কার্যকরী পরীক্ষা তবে রিসার্চ ল্যাব ছাড়া এটা করা হয় না।

অ্যান্টিবডি পরীক্ষা : সাত দিন পরে পজিটিভ হয় বলে এটা কার্যকরী নয়। এনএস-১ অ্যান্টিজেন করা গেলে এটার দরকারও নেই।

প্লাটিলেট কাউন্ট ও হিমাটক্রিট : প্লাটিলেট আতঙ্ক না থাকলে এটা অত্যাবশ্যকীয় নয়। হিমোরেজিক ফিভার ডায়াগনোসিস ও ফলোআপের জন্য করা লাগে।

হিমোরেজিক ফিভার হলে পেটে ও ফুসফুসে পানি নিশ্চিত করার জন্য পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও বুকের এক্স-রে করা লাগে।

চিকিৎসা

প্যারাসিটামল : অন্য জ্বরের মতো প্যারাসিটামল দিয়ে জ্বর নামিয়ে রাখতে হবে। জ্বর নামিয়ে ১০০ রাখলেই চলবে। ৯৭ করার দরকার নেই। প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ওষুধ ব্যবহার করা উচিত না। এনএসআইডি (ডাইক্লোফেনাক, ইন্ডোমেথাসিন) দ্রুত জ্বর নামিয়ে, ঘাম ঝরিয়ে শকে নিতে পারে, কিডনির ক্ষতি করতে পারে। খাদ্যনালিতে রক্তক্ষরণ ত্বরান্বিত করে জীবনের ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে। সাপোজিটরি নিলে শুধু প্যারাসিটামল, অন্য কিছু নয়। চার ডোজে ভাগ করে প্রতিবারে পাঁচশ’ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত তার পরেও ১০২-এর বেশি থাকলে একবারে তৎক্ষণাৎ এক হাজার মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে।

পানি : কয়েকদিন তিন লিটার পানি পান করতে হবে। প্রয়োজনে স্যালাইন নিতে পারলে ভালো।

প্যারাসিটামল ও পানিই ডেঙ্গুর আসল চিকিৎসা।

নিউট্রিশন : জ্বরের সময় ক্ষুধামন্দা হয়, বমি লাগে। ফলের রস উপকারী পানি এবং অল্পতে বেশি ক্যালরি পাওয়া সম্ভব। স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে।

ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু এবং গ্রেড-১ হিমোরেজিকে এর চেয়ে বেশি কিছু লাগে না এবং বাসায়ই চিকিৎসা করা উচিত। গ্রেড-২-তে বাড়তি সমস্যা হল প্রথমদিকেই ধরতে না পারলে চিকিৎসা না দিলে গ্রেড-৩ বা গ্রেড-৪ অর্থাৎ শকে চলে যেতে পারে। আসলে ডেঙ্গু চিকিৎসকের দায়িত্ব একটাই; তা হল শক ঠেকানো। ব্লাডপ্রেসার মনিটর করতে হবে যাতে পালস প্রেসার ২০-এর বেশি থাকে। সিস্টলিক প্রেসার ৯০-এর বেশি রাখতে হবে। এটা করতে হলে পানি দিতে হবে, স্যালাইন দিতে হবে। ব্লাড প্রেসার ও প্রস্রাবের পরিমাণ দেখে মনিটর করতে হবে। গ্রেড-২-তে যদি এমন দেখা যায় পেটের ব্যথা কমছে না, বমি হচ্ছে অথবা প্রেসার ঠিক থাকছে না তাহলে হাসপাতালে নিতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়। ইন্ডোমেথাসিন, ডাইক্লোফেনাক সাপোজিটরি নিলেও এটা হয়।

মশা নিধন/প্রতিরোধ : মশা মারতে স্প্রে করতে হবে ঘরের মধ্যে, টেবিলের নিচে, দরজার আড়ালে, পর্দার ভাঁজে, বেসিনের নিচে। সকালে দিনের কাজটা স্প্রে দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। কোনো চেম্বারে, কোচিং সেন্টারে বসে থাকতে ফুল হাতা কাপড়, মোজা পরে থাকুন, টেবিলের নিচে মোজা পরা পা রাখুন। ঘরে মশার ওষুধের মেশিন রাখুন। দিনের বেলায় মশারি দিয়ে ঘুমান।

লারভা নিধন : মশার ডিম থেকে লারভা হয়। থাকে পাত্রের ভেতরে পানির ধারে। তাই এই পাত্র মশার বংশবিস্তার রোধ করতে জলকান্দায়, নির্মাণসামগ্রীতে জমে থাকা পানি, বৃষ্টির মৌসুমে স্বল্পকালীন জমে থাকা রাস্তার এবং পাত্রের পানিতে স্প্রে করা জরুরি।

ভ্যাকসিন : ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন নেই।

লেখক : মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা

53
Pharmacy / মার্স সংক্রমণ
« on: September 04, 2018, 10:40:08 AM »
 মার্স-কোভির সংক্রমণের উপসর্গ হলো:
 আক্রান্ত ব্যক্তির সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
 অনেক ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় রোগী।
 কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও হতে পারে।

উট থেকে সাধারণত মানুষের দেহে মার্স-কোভির সংক্রমণ ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে অন্য ব্যক্তিরও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই ভাইরাস মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। সামান্য সর্দি-জ্বর থেকে শুরু করে সার্স বা সিস্টেমিক ইনফ্লেমেটরি রেসপন্স সিনড্রোমের মতো মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে এটি। সার্সে আক্রান্ত হলে কিডনি, ফুসফুসসহ বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
মার্স-কোভির সংক্রমণের উপসর্গ হলো আক্রান্ত ব্যক্তির সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় রোগী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও হতে পারে। অত্যন্ত বয়স্ক বা ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে জটিলতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রায় ৩৫ শতাংশ রোগীর মৃত্যুঝুঁকি দেখা দেয়।
Source: ডা. এ হাসনাত শাহীন, মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ, ইমপালস হাসপাতাল, তেজগাঁও, ঢাকা

54
 
জাম্বুরাজাম্বুরাবাজারে এখন চোখে পড়বে নানা আকারের জাম্বুরা। এটি বাতাবি লেবু নামেও পরিচিত। ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন আর ভিটামিন বি-তে ভরপুর এ জাম্বুরা। এর রস শরীরের বাড়তি আমিষ ও চর্বিকে ভেঙে ওজন কমাতে সাহায্য করে। শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমতে বাধা দেয়।

বার্ধক্য দূরে ঠেলতে ও ইনফেকশনের সমস্যা (প্রধানত ত্বক, মুখ, জিব) দূর করতে এই ফল রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। খাবার হজমের সাহায্যকারী এনজাইম হিসেবে কাজ করে এই লেবুর রস। অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীরে ফোড়া হয়। যেকোনো চর্মরোগ, ফোড়া ও ঘায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই ফল।

পুষ্টিবিদ আলেয়া মাওলার তথ্য অনুযায়ী, প্রচুর ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়ামসহ শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছে এতে। তাই কখনো রোগ নিরাময়ে, কখনো রোগ প্রতিরোধে এবং শরীরের ঘাটতি পূরণের জন্য জাম্বুরা খুব কার্যকর।

Source: Prothom Alo

55
৭-৮ মাস বয়সে বা-দা-মা ইত্যাদি অর্থহীন শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে শিশুর মুখে প্রথম বোল ফোটে। এরপর ক্রমে ভাষাজ্ঞান অর্জনের ধাপগুলো বিকশিত হয়। জীবনের প্রথম ৩ বছর কথা ও ভাষা বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। শ্রবণপ্রতিবন্ধিতা, অটিজম, ঠোঁটকাটা-তালুকাটাজাতীয় সমস্যা কথা বলার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

শিশুর কথা বলার নৈপুণ্য অর্জনে মা-বাবার ভূমিকা অনেক। শিশুর কথা শেখার সময় আপনি যেভাবে সাহায্য করতে পারেন।
* প্রতিদিন শিশুকে কিছুটা সময় দিতে চেষ্টা করুন। তার যেকোনো কথার প্রতি আগ্রহ দেখান। শিশু কিছু বলতে চেষ্টা করলে উৎসাহিত করুন।
* খেলা ও ছবির বই দিয়ে শিশুকে শেখান; যেমন বলের ছবি দেখিয়ে ‘এটি বল’ বলুন।
* শিশুরা সাধারণত ছন্দ ও সংগীত ভালোবাসে। তাই ছড়াগান, ছড়া, কবিতা, গানের মাধ্যমে খেলা করতে শেখান।
* শব্দ হয় এ ধরনের খেলা যেমন—পুতুল, ঝুনঝুনি, গাড়ি ইত্যাদি দিয়ে খেলতে খেলতে এ সম্পর্কে বলুন।
* বাইরের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হতে দিন। যেমন—রাস্তায় গাড়ি, আকাশে বিমান, পার্কে গাছপালা, মাটিতে পড়ে থাকা পাতা দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে দিন।
* নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যেমন—থালা-বাসন, গ্লাস-চামচ ইত্যাদির সঙ্গেও পরিচিত করান। খাওয়ার সময় শিশুকে কী খাওয়াচ্ছেন, খেতে কেমন স্বাদ সে সম্পর্কেও কিছু বলুন।
* ইশারার চেয়ে মুখে চাইতে শেখান। যেমন—শিশু যদি হাত দিয়ে বেলুন দেখায়, আপনি বলবেন—এটা হলো বেলুন, তুমি কি বেলুন চাও?
* দুই বছরের কম বয়সী শিশুর টেলিভিশন না দেখাই ভালো। দুই থেকে ছয় বছর বয়সে কেবল ২ ঘণ্টার জন্য মা-বাবার সঙ্গে বসে বোধগম্য ভাষার অনুষ্ঠান দেখবে।
Source: বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

56
 
 


ওমিপ্রাজল-জাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বছরের পর বছর খাওয়া বিপজ্জনকওমিপ্রাজল-জাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বছরের পর বছর খাওয়া বিপজ্জনকপেটে গ্যাস, বমি ভাব, পেট ফুলে ওঠে বা চিনচিন করে ব্যথা করে—এমন সমস্যা হলেই মুঠো মুঠো গ্যাস্ট্রিকের বড়ি খান, অথবা অ্যাসিডিটির সিরাপ খান। তাতে খানিকটা আরাম মেলে অবশ্য, কিন্তু সমস্যা থেকেই যায়। আপনি হয়তো জানেন না, পেটে একধরনের জীবাণু সংক্রমণ এর জন্য দায়ী হতে পারে। হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের এই জীবাণু পাকস্থলী এবং পাকস্থলীর পূর্ববর্তী অংশ ডিওডেনামে বাসা বাঁধে, দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ সৃষ্টি করে, যাকে বলে গ্যাস্ট্রাইটিস। কখনো কখনো পাকস্থলীতে ক্ষত বা আলসার সৃষ্টি করে। পেপটিক আলসার ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য এই জীবাণুর একটি বিশেষ ভূমিকা আছে। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর জনসংখ্যার অর্ধেকই এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত।

পেট ফাঁপা, অরুচি, পেটব্যথা, বমি ভাব, গলা জ্বলা ইত্যাদি সাধারণ উপসর্গ ছাড়াও হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি সংক্রমণের জন্য পাকস্থলীতে ক্ষত হয়ে বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত, রক্তশূন্যতা ইত্যাদিও হতে পারে। জীবাণুর অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য রক্তে অ্যান্টিবডি দেখা হয়, নিশ্বাসের ইউরিয়া ব্রেথ টেস্ট করা হয়, কখনো এনডোস্কোপি করে টিস্যু নিয়ে তাতে জীবাণু পাওয়া যায়। কয়েক ধরনের ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকের মিশেল বেশ কিছুদিন ব্যবহার করার পর জীবাণু নির্মূল হয়, তবে আবারও হতে পারে। এই জীবাণু দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিকের বিপরীতে রেসিসট্যান্স তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে। ফলে নির্মূল করা কঠিন। এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কোনো টিকা কার্যকর নয়। তাই সতর্কতাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা।

    ওমিপ্রাজল-জাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বছরের পর বছর খাওয়া বিপজ্জনক। এতে পাকস্থলীর পিএইচ পরিবর্তিত হয়ে যায়, ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা লেগেই থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
    খাবার প্রস্তুত, পরিবেশন ও খাওয়ার সময় স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখুন। হাত ধোয়ার গুরুত্ব শিখুন। জীবাণুটি সাধারণত পানিবাহিত।
    ধূমপান বর্জন করুন। কফি না খাওয়াই ভালো। চট করে ব্যথার ওষুধ খাবেন না। এগুলো পেপটিক আলসারের সমস্যা বাড়ায়।
    গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ উপসর্গ পাকস্থলীর ক্যানসারেরও উপসর্গ। তাই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই ভালো।
Source: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

57
 
 
অস্ত্রোপচারে জন্ম নেওয়া শিশুর যত্ন

গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইদানীং বিশ্বব্যাপী এমন অস্ত্রোপচারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন শিশুর জন্মের পর একজন মায়ের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে প্রায় চার-পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আর স্বাভাবিক প্রসবের পর মা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন।

নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুর জন্মের অস্ত্রোপচার করা হলে সেই নবজাতক প্রিম্যাচিওর হয়ে থাকে। এই প্রিটার্ম ও স্বল্প ওজনের নবজাতক নানা রকমের রোগ ও জটিলতায় পড়তে পারে। স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নেওয়া নবজাতকের তুলনায় অস্ত্রোপচারে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। যেমন

■ অস্ত্রোপচারে জন্ম নেওয়া শিশুর প্রথম ২৮ দিন বয়সের মধ্যে জন্ডিস, খাওয়ানোর সমস্যা ও শীতল হয়ে যাওয়ার হার অধিক।
 
 
অস্ত্রোপচারে জন্ম নেওয়া শিশুর যত্ন

গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইদানীং বিশ্বব্যাপী এমন অস্ত্রোপচারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন শিশুর জন্মের পর একজন মায়ের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে প্রায় চার-পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আর স্বাভাবিক প্রসবের পর মা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন।

নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুর জন্মের অস্ত্রোপচার করা হলে সেই নবজাতক প্রিম্যাচিওর হয়ে থাকে। এই প্রিটার্ম ও স্বল্প ওজনের নবজাতক নানা রকমের রোগ ও জটিলতায় পড়তে পারে। স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নেওয়া নবজাতকের তুলনায় অস্ত্রোপচারে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। যেমন

■ অস্ত্রোপচারে জন্ম নেওয়া শিশুর প্রথম ২৮ দিন বয়সের মধ্যে জন্ডিস, খাওয়ানোর সমস্যা ও শীতল হয়ে যাওয়ার হার অধিক।Eprothomalo

■ স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নেওয়া শিশুর তুলনায় ডায়াবেটিস, ওবিসিটির (স্থূলতা) হার বেশি।

■ অস্ত্রোপচারে জন্ম নেওয়া শিশুদের নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস উচ্চ হারে ঘটে, তাদের মধ্যে একজিমা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

অস্ত্রোপচারে জন্ম নেওয়া শিশুর ঝুঁকি কমাতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

: মায়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে শিশুকে আলাদা রাখা উচিত নয়। যদি শিশুর সবকিছু ঠিক থাকে তবে দ্রুত তার তাপমাত্রা নিশ্চিত করে কাপড়ে জড়িয়ে মায়ের বুকে দেওয়া উচিত। মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

: যতটা সম্ভব মায়ের গর্ভে প্রায় সম্পূর্ণ সময় অতিবাহিত হয়, সে চেষ্টা করাই ভালো।

: নিয়মিত টিকাদান ও স্বাস্থ্য দেখভাল এসব ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 


Source: বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

58


    নীড়পাতা »
    সৌন্দর্য পরামর্শ »
    প্রসাধনী সম্পর্কে »
    খাদ্য ও স্বাস্থ্য »
    সোনামনি »
    অন্যান্য »
    ভিডিও(DIY)
    ক্র্যাফট(DIY)
    SHOP

অন্যান্য, ফিটনেস, সুস্বাস্থ্য   

    নীড়পাতা
    অন্যান্য
    কর্মক্ষেত্রে অ্যাসিডিটির কারণ ও সমাধান

কর্মক্ষেত্রে অ্যাসিডিটির কারণ ও সমাধান July 30, 2018অন্যান্য, ফিটনেস, সুস্বাস্থ্যOff

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অফিসে চেয়ারে বসে কাজ করেন। এর ফলে তাঁদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, অ্যাসিডিটি তার মধ্যে একটি। অ্যাসিডিটি বলতে পাকস্থলি বা অন্ত্রের ক্ষত বা ঘাকে বোঝানো হয় যা সাধারণত পাকস্থলি হতে অ্যাসিড নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়। এটা আসলে কোন রোগ না। এটা সাধারণত কিছু বদভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। তবে অন্য যেকোন রোগের চেয়েও এটা মাঝে মাঝে খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কর্মক্ষেত্রে অ্যাসিডিটির কারণ ও এর সমাধানের উপায় সম্পর্কে।

 
কর্মক্ষেত্রে অ্যাসিডিটি-এর কারণ

    কর্মক্ষেত্রে একই জায়গায় দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা এবং চলাফেরার অভাব অ্যাসিডিটির মূল কারণগুলোর একটি।
    কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত ফাস্টফুড ও রাস্তার খাবার খাওয়ার অভ্যাস অ্যাসিডিটি-এর অন্যতম কারণ।
    অনেকেরই একটা বাজে অভ্যাস থাকে, সকাল বেলার নাস্তা না করে সারাদিন কাজ করা। সাধারণত চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পেট যদি খালি থাকে তাহলে তা অ্যাসিডিটি ঘটায়।
    অনেকেই খাবার শেষ করার সাথে সাথেই আবার কাজ করা শুরু করেন। এর ফলে যে খাবার খাওয়া হয় সেগুলো ভালভাবে হজম হতে পারে না। ফলে হজমক্রিয়া সঠিকভাবে হয় না এবং তা অ্যাসিডিটি সৃষ্টির কারণ হয়।
    সাধারণত ভাঁজা-পোড়া ও মসলাজাতীয় খাবার বেশি খেলে তা পেটে অ্যাসিডিটি-এর সৃষ্টি করে।
    কর্মক্ষেত্রে থাকাকালীন অতিমাত্রায় চা বা কফি পান অ্যাসিডিটি-এর অন্যতম কারণ।
    কর্মক্ষেত্রে অতিমাত্রায় কোমল পানীয় ও অ্যালকোহল পান করার ফলেও আমাদের শরীরে অ্যাসিডিটি হয়।
    ধূমপানের কারণেও অ্যাসিডিটি হয়।

কর্মক্ষেত্রে অ্যাসিডিটি সমস্যা সমাধানের উপায়

    যেহেতু কর্মক্ষেত্রে একই জায়গায় দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকতে হয়, তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝে দাঁড়ান।
    কর্মক্ষেত্রে অ্যাসিডিটি-এর আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে হাঁটাহাটির অভাব, তাই অফিসে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর হাঁটাহাটি করার অভ্যাস তৈরি করুন যা আপনার অ্যাসিডিটি-এর সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে।
    অফিসের লিফট ব্যবহার না করে সিড়ি দিয়ে নামার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
    অফিসে যখনই আপনার পানির পিপাসা পাবে অফিস বয়-কে না বলে সবসময় নিজে গিয়ে পানি আনার চেষ্টা করুন। এতে আপনার হাঁটাচলার কাজটাও হয়ে যাবে।
    অফিসে যদি অনেকগুলো ওয়াশরুম থাকে তাহলে ওয়াশরুম ব্যবহার করার সময় সবচেয়ে দূরের ওয়াশরুম-টি ব্যবহার করবেন। এতেও আপনার হাঁটাচলার কাজটা হয়ে যাবে।
    কর্মক্ষেত্রে আমরা যখন মোবাইলে কথা বলি তখন বসেই কথা বলা সাধারণত আমাদের অভ্যাস। কিন্তু অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করতে হলে সবসময় দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলার অভ্যাস করতে হবে।
    সহকর্মীদের সাথে মোবাইল-এ বা ইমেইল-এ যোগযোগ না করে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তাদের সাথে যোগযোগ করুন।
    অফিসে আপনার ডেক্স-টি এমনভাবে স্থাপন করুন যাতে করে ক্লায়েন্ট-এর সাথে দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারেন।
    খাবার শেষ করার সাথে সাথেই আবার কাজ করা শুরু না করে কিছুক্ষণ হাঁটুন।
    অফিসে ফাস্টফুড, রাস্তার খাবার, ভাঁজা-পোড়া, মসলাজাতীয় খাবার, চা ও কফি পান, কোমল পানীয় ও অ্যালকোহল পান এবং ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।
Courtesy: হসিয়া খংপডা
Consultant

59
Pharmacy / জিহ্বা পুড়ে গেলে...!!!!
« on: August 08, 2018, 10:07:43 AM »
গরম খাবার খাওয়ার সময় অনেকের সতর্কতাবশত জিহ্বা পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া জিহ্বায় প্রচুর জ্বালাপোড়া হয়। এ সময় কিছু খেতেও পারেন না আপনি। জিহ্বায় ব্যথা, খড়খড়ে ভাবও হয়। তাই গরম খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আর যদি জিহ্বা পুড়ে যায়, তবে এর জন্য রয়েছে কিছু ঘরোয়া টিপস। আর পুড়ে যাওয়া জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমাতে দেরি করলে চলবে না, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

জিহ্বা পুড়ে যাওয়ার কারণে মুখে শুকনো ভাব, পানিশূন্যতা, মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁত ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জিহ্বা জ্বালাপোড়ায় কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

আসুন জেনে নিই জিহ্বা জ্বালাপোড়ায় থেকে স্বস্তি পেতে ঘরোয়া পদ্ধতি-

বরফ

পুড়ে যাওয়া জিহ্বা জ্বালাপোড়া কমাতে বরফের টুকরো লাগানো যেতে পারে। এ ছাড়া মুখের মধ্যে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কয়েকবার কুলিকুচি করা যেতে পারে। এতে জ্বালাপোড়া কমবে। আপনি মুখে আরাম বোধ করবেন।

মধু

মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহরোধী উপাদান, যা জ্বালাপোড়া ভাব ও প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি এটি পরবর্তী সময়ে মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করবে।

দই

পুড়ে যাওয়া জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমাতে মধু বেশ উপকারী।এ সময় ঠাণ্ডা জিনিস খাবেন। এটি দ্রুত শীতলতা প্রদান করে।

ঠাণ্ডা পানি মুখে দিয়ে কুলি

জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমাতে ঠাণ্ডা পানি মুখে নিয়ে কুলি করুন। এটি কয়েকবার করতে হবে। দেখবেন আরাম পাবেন।

অ্যালোভেরা

এই উদ্ভিতটি ব্যথা কমাবে এবং জিহ্বার ভেতরে একটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব আনবে। অ্যালোভেরা জেল মুখের মধ্যে ২৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। দিনে কয়েকবার এটি করা যেতে পারে। তবে এতেও যদি ব্যথা না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Source: https://www.jugantor.com/lifestyle

60
Anatomy & Physiology / Treating Heart Failure with a Parachute Device
« on: August 08, 2018, 10:01:50 AM »
Please follow the link to see the amazing feature of modern technology
[embed=425,349]https://youtu.be/7uSdJZvRZek[/embed]

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 9