তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর সংখ্যা ১০ শতাংশের কম
দেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী কর্মীদের অংশগ্রহণ ১০ শতাংশের বেশি নয়। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক দেশীয় প্রতিষ্ঠান প্রেনিউর ল্যাবের এক গবেষণা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত ‘গার্লস ইন আইসিটি ডে’র সমাপনী আয়োজনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন, ব্র্যাক, আমরা টেকনোলজিস ও প্রেনিউর ল্যাবের উদ্যোগে দেশে এই দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, কম্পিউটার প্রকৌশল বিষয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেয়েরা যে অনুপাতে পড়াশোনা করছেন, সে তুলনায় প্রায়োগিক কর্মক্ষেত্রে তাঁদের অংশগ্রহণ কম। তথ্যপ্রযুক্তিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে ভবিষ্যতে বেসিসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলোতে বিনা প্রতিযোগিতায় নারী আবেদনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতেআরও বলা হয়, সরকারের আইসিটি বিভাগ, বেসিস ও অন্যান্য অংশীদারদের যৌথ প্রচেষ্টায় কয়েক বছরে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এ ছাড়া দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের অংশগ্রহণের যে হার তা সন্তোষজনক নয় বলে মত প্রকাশ করেন এই অনুষ্ঠানের আলোচকেরা। এতে প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবন বদলে যাওয়ার গল্প শোনান মোরশেদা নামের গাইবান্ধার এক নারী উদ্যোক্তা।
বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক মার্ক পিয়ার্স বলেন, আন্তর্জাতিক এই দিবস লিঙ্গবৈষম্য দূর করার পাশাপাশি নারীদের প্রযুক্তিভিত্তিক কাজে উৎসাহিত করবে, যা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে। বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনে বক্তৃতা করেন আমরা টেকনোলজিসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শরিফুল আলম, প্রেনিউর ল্যাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ নিজামী ও ব্র্যাকের আইসিটি বিভাগের পরিচালক কে এম মোরশেদ।