Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Fatema Tuz - Zohora on November 18, 2018, 12:12:42 PM

Title: টেলিপ্যাথির প্রথম ধাপে গবেষকেরা
Post by: Fatema Tuz - Zohora on November 18, 2018, 12:12:42 PM
আপনাকে মুখ ফুটে বলতে হবে না কিছুই। আপনার চিন্তা আরেকজনের মস্তিষ্কে ধরা পড়বে। মস্তিষ্কের সঙ্গে মস্তিষ্কের এ যোগাযোগ টেলিপ্যাথি বলে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা বলছেন, কারও মনের কথা পড়ার বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হতে পারে। তাঁরা এমন এক সিস্টেম বা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যাতে দুই মস্তিষ্কের ভেতর চিন্তাভাবনা বিনিময় করা যাবে। এ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ব্রেইন নেট।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেটসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষকেরা অবশ্য অনেক দিন ধরেই ব্রেইন নেট উদ্ভাবনে কাজ করছেন। এর আগে ২০১৫ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা একটি গিয়ার তৈরি করেছিলেন, যাকে ব্রেইন নেটের প্রাথমিক পর্যায় বলা যায়। ওই পদ্ধতিতে দুই ব্যক্তির মধ্যে ব্রেইন টু ব্রেইন ইন্টারফেসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হতো। এ পদ্ধতির উন্নয়নের ফলে এখন ব্রেইন নেট ব্যবহার করে তিনজন ব্রেইন-টু-ব্রেইন নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারেন।

সম্প্রতি ব্রেইন নেট ব্যবহারকারীদের নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। এতে মস্তিষ্কের ভাবনা কাজে লাগিয়ে টেটরিসের মতো গেম খেলেছেন অংশগ্রহণকারীরা। এ নেটওয়ার্কে ইলেকট্রো এনসেফলোগ্রামের সমন্বয় করা হয়, যাতে ইলেকট্রিক্যাল কার্যক্রম রেকর্ড করা হয় এবং ট্রান্সক্রানিয়াল চুম্বকীয় উদ্দীপনার তথ্য পাঠায়।

তবে ব্রেইন নেটের সঙ্গে টেলিপ্যাথির পার্থক্য রয়েছে। টেলিপ্যাথিতে কোনো বাহ্যিক উপাদান লাগে না। কিন্তু ব্রেইন নেটের ক্ষেত্রে বাইরের হস্তক্ষেপ লাগে। এটি একবারে এক বিট তথ্য পাঠাতে হবে। তবে এর আরও উন্নতি করা গেলে একদল মানুষের মধ্যে জটিল ভাবনা পাঠানো যাবে।

এর আগে ২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা শিগগিরই তাঁদের চিন্তাভাবনা বন্ধুদের সঙ্গে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন বলেই মন্তব্য করেছিলেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। তিনি তখন বলেন, যদিও বিষয়টি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির ছবির মতো শোনায়, তবে তা বাস্তব হতে চলেছে।

জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, একদিন আমাদের সব চিন্তাভাবনা প্রযুক্তির সাহায্যে একে অন্যের কাছে সরাসরি স্থানান্তর করতে পারব। কেউ কোনো কিছু চিন্তা করে সেটি শেয়ার করতে চাইলে তাঁর বন্ধুরা সে চিন্তাটির তৎক্ষণাৎ অভিজ্ঞতা লাভ করবে। ভবিষ্যতের যোগাযোগ পদ্ধতি এ রকমই হবে।’
Title: Re: টেলিপ্যাথির প্রথম ধাপে গবেষকেরা
Post by: Mir Kaosar Ahamed on November 18, 2018, 04:40:39 PM
wow
Title: Re: টেলিপ্যাথির প্রথম ধাপে গবেষকেরা
Post by: protima.ns on November 19, 2018, 01:54:05 PM
Thanks for sharing.