Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - effatara

Pages: 1 2 [3]
31
লেটুস পাতার বৈজ্ঞানিক নাম লাকটুসা স্যাটিজ এল। লেটুস একটি পাতা জাতীয় সবজী। লেটুসপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন আছে। এ দুটি উপাদান কোলেস্টেরলের অক্সিডেশনকে বাধা দেয় এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।

ফলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। শুধু তাই নয় হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এ পাতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম লেটুসে রয়েছে ১৫ ক্যালোরি, ২৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৯৪ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ২.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম। লেটুস পাতায় সেসব গুণ রয়েছে, তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

* লেটুসপাতা সোডিয়াম ভিটামিন-বি ওয়ান, বি টু থ্রি শরীরের যে কোনো অঙ্গে পানি জমে যাওয়া রোধ করে। এ পাতায় নিয়মিত খেলে বার্ধক্য আসে দেরিতে ত্বকের বলিরেখাও পড়ে না। ঠাণ্ডাজনিত অসুখ হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে সালাদে প্রতিদিন লেটুসপাতা খেতে পারেন।

* কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতার সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে, হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। লেটুসপাতায় ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে লেটুসপাতার গুরুত্ব অনেক বেশি। এছাড়া ওজন কমাতে এ পাতা দারুন কাজ করে।

* ত্বকের কোথাও কেটে বা ছিঁড়ে গেলে এ পাতা থেঁতলে ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা কমে যায়। লেটুসপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। লেটুসপাতা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যানমিয়া বা রক্তশূন্য রোগীদের জন্য লেটুসপাতা উত্তম খাবার।

* লেটুসপাতা ভিটামিন কে আছে। ভিটামিন কে হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়। লেটুসপাতা দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

* লেটুসপাতার পুষ্টি উপাদান হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায় লেটুসপাতা উপকারী।

* লেটুসপাতা খুশকি কমাতে সাহায্য করে। শ্যাম্পুতে লেটুসপাতা গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। রোদে পোড়াভাব দূর করতে লেটুপসাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়।

* গর্ভবতী নারীরা কাঁচা লেটুসপাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ের শরীরেই রক্তের মাত্রা বাড়ে। চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা কমায় লেটুসপাতা।

32
 ১) প্রতিবার গোসলের সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না
চুল পরিষ্কার রাখা জরুরী, কিন্তু তা বলে প্রতিবার গোসলের সময় চুলে শ্যাম্পুর ব্যবহার চুলের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক তেল চলে যায়, যার ফলে চুল সহজে বাড়তে চায় না। তাই অন্তত ১ দিন পরপর চুল শ্যাম্পু করুন।

২) ভেজা চুল তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন না
চুল শুকানোর জন্য অনেকেই গোসল শেষে ভেজা চুল তোয়ালেতেই পেঁচিয়ে রাখেন যা চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে চুলের গোঁড়া একেবারেই নরম হয়, যার কারণে চুল পড়া বাড়ে। চুল বৃদ্ধি একেবারেই কমে যায়। গোসল সেরে ফ্যানের বাতাসে চুল ছড়িয়ে শুকিয়ে নিন। এবং অবশ্যই চুল ঝাড়ার কাজটিও করবেন না।

৩) তেলের ব্যবহার করুন
চুলের ঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধির জন্য তেলের অন্য কোনো বিকল্প নেই। চুলের বৃদ্ধিতে তেল যতোটা কাজ করে অন্য কোনো কেমিক্যাল সমৃদ্ধ উপাদান তা করতে পারে না। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন তেল গরম করে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসেজ করা উচিত। এছাড়াও সপ্তাহ অন্তত ১ দিন ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল ও আমন্ড অয়েল সমপরিমাণে মিশিয়ে চুলে লাগানো উচিত। এতেও চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়।

৪) খাবারের দিকে নজর দিন
শুধু বাহ্যিকভাবেই নয় চুলের বৃদ্ধি হয় ভেতরের পুষ্টিগুণ থেকে। আপনি যদি খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক খাবার রাখেন তাহলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুতই হবে। দ্রুত চুল বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ই, এ, ফলিক অ্যাসিড, ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।

৫) চুল আঁচড়ানোর সময় মনোযোগ দিন
চুল অনেক জোরে ঘষে আঁচড়ানো, চুলে টান লাগা, চুলের জট এক টানে ছাড়িয়ে ফেলার মতো ভুল করবেন না। এতে করে চুলের গোঁড়া নরম হয়, চুল পড়া বাড়ে এবং চুল ভেঙেও যায়। চুল খুব ভালো করে সময় নিয়ে আঁচড়ান।

৬) কেঁচিকে হ্যাঁ বলুন
অনেকেই ভাবেন চুল লম্বা করতে বা চুলের ঘনত্ব ঠিক রাখতে গেলে চুল একেবারেই কাটা ঠিক নয়। কিন্তু ৬ থেকে ১০ সপ্তাহ পরপর অন্তত ১ ইঞ্চি চুল কাটা চুলের জন্য খুবই জরুরী। এতে চুলের আগা ফাটা দূর হবে যা চুল বাড়তে সহায়তা করবে।

33
সন্তানের মনে রাখার ক্ষমতা যদি ভালো হয়, তাহলে যেকোনো কিছু দ্রুত শিখতে ও মনে রাখতে পারবে। সন্তানের স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে কী করতে পারেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ জেনে নিন।

কোনো কিছু ভিজ্যুয়ালাইজ করানো
আপনার সন্তান যখনই কোনো কিছু ভাবছে বা শিখছে, তখন সে চোখের সামনের বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে তা আঁকতে বলুন। তাহলে দেখবেন, সে যা পড়ছে, জানছে, সেটি সহজে ভুলবে না। এ ধরনের কিছু গেম পাওয়া যায়। অবসর সময়ে খেলতে দিতে পারেন সন্তানকে।
অন্যকে শেখানোর দক্ষতা তৈরি করা
সন্তানকে শিক্ষকের ভূমিকায় আর আপনি শিক্ষার্থী—এই খেলা তার সঙ্গে খেলুন। বলুন, আজ যা কিছু শিখেছে তা যেন আপনাকে শেখায়। এটি করলে খেলার ছলে সন্তান পড়া তো শিখবেই। ভুলেও যাবে না। স্মৃতিশক্তির প্রখরতা বাড়বে।
গল্প বলানো
সাধারণ বিষয়গুলো তাকে গল্পের মতো করে বলতে বলেন। যেমন ধরা যাক, আজ স্কুলে কী করেছে, বন্ধুরা কী করল, টিফিনে কী খেল, শিক্ষকেরা কী কী বললেন। এভাবে মনে করে বললে স্মৃতিশক্তি ভালো কাজ করবে।
শুনে লেখার অভ্যাস
শিশুকে একটি কবিতা শোনান আর বলুন, সেটা সঙ্গে সঙ্গে লিখে ফেলতে। এভাবে মনে করে লিখতে বা বলতে পারার মধ্য দিয়ে দক্ষতা তৈরি হবে।

34
 কোনো কারণে বমি হলে বাবা-মা বা নিকট-আত্মীয়ের চিন্তিত হওয়ারই কথা। অনেক কারণেই শিশুর বমি হতে পারে। এর পেছনে বেশির ভাগ সময়ই খুব সাধারণ কারণ থাকে তবে অনেক জটিল কারণ/রোগ ও হতে পারে।

নবজাতকের বমির সাধারণ কারণ:

জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যে শিশু পরিমাণে কম, পানির মতো ফেনা ফেনা বমি করে। এর কারণ নবজাতকের পেটে মায়ের পেটে থাকাকালীন সময়ের পানি থাকে। আর তা অনেক সময় জন্মের পরপর বমি করে বের করে দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দু-একবার বমি করার পর আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। বারবার বমি করলে অবশ্যই শিশুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

মায়ের দুধ খাওয়ানোর পর খাড়া কোলে ঢেঁকুর তোলার সময় সুস্থ শিশুও কিছুটা দুধ বমি করে ফেলে, যা গাল বেয়ে পড়ে যায়। এটি আসলে বমি নয়। মুরব্বিরা একে বলে থাকেন ‘দুধ তোলা’। এর কারণ শিশু মায়ের বুকের দুধ টানার সময় বাতাসও খেয়ে ফেলে, এই বাতাস পেট থেকে বের করার সময় কিছুটা দুধ তুলে ফেলে। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। এ জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এ সময় শিশুর বুকের দুধ টানার ইচ্ছা প্রবল থাকবে। তবে শিশু দৈনিক ছয়বার বা এর বেশি পরিমাণে প্রস্রাব করলে, দুধ গাল বেয়ে পড়ায় কোনো ক্ষতি নেই। তবে বাচ্চা জন্মের পরপর প্রথম তিন-চার দিন মায়ের বুকে দুধ কম আসে বলে শিশুর প্রস্রাবও কম হয়।

অনেক সময় নবজাতক কোনো কারণে অতিরিক্ত কান্না করলে বমি করে ফেলে। সে ক্ষেত্রে শিশুকে শান্ত করার চেষ্টা করতে হবে এবং তার কান্নার কারণ খুঁজতে হবে। এ ছাড়া পেটে গ্যাস জমে পেটব্যথা হলেও শিশু কান্না করে। যাকে ডাক্তারি ভাষায় ‘ইনফেন্টাইল কলিক’ বলে। এ সময় শিশুকে খাড়া কোলে রাখলে সামান্য বমি করে ফেলে, ফলে পেট থেকে বাতাস মুখ ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যায় এবং কিছুটা শান্ত থাকে। এ ক্ষেত্রে সিমেথিকন ড্রপ ডাক্তারের পরামর্শে খাওয়ালে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়।

অনেক সময় দেখা যায়, মায়ের দুধ খাওয়ানোর পর বাড়ির অন্য লোকজন শিশুকে আদর করছে। তবে বেশি আদর করতে গিয়ে কেউ কেউ শিশুকে ঝাঁকাঝাঁকি শুরু করে, ফলে শিশু বমি করে দেয়। এ জন্য শিশুর বুকের দুধ খাওয়া শেষ হলে তাকে খাড়া কোলে রেখে পেটের বাতাস বের করে দিতে হবে এবং আস্তে করে বিছানায় শুইয়ে দিতে হবে।

মনে রাখবেন, জন্মের পর থেকে শিশুর পূর্ণ ছয় মাস পর্যন্ত (১৮০ দিন) বুকের দুধই যথেষ্ট। অনেক মা-বাবা বুকের দুধ খাওয়ানোর পরও ভাবেন হয়তো তার সন্তান পরিমাণমতো দুধ পায়নি। তখন একটা কৌটার দুধ খাওয়ানো শুরু করলে প্রায় সময় দেখা যায়, বুকের দুধের ওপর কৌটা বা অন্য যে কোনো দুধ দেওয়ার পর শিশু বারবার বমি করছে। সঠিক সিদ্ধান্ত হলো, আপনার নবজাতককে শুধু বুকের দুধ খাওয়াবেন। মনে রাখবেন, আপনার শিশু যদি ২৪ ঘণ্টায় ছয় বা তার অধিক পরিমাণে প্রস্রাব করে, তবে বুঝতে হবে শিশুর জন্য বুকের দুধই যথেষ্ট।

বমির খারাপ কারন:

যদি নবজাতক মায়ের দুধ না টানতে চায় বা অল্প টেনে বারবার বমি করে, বমি লাল (রক্ত মেশানো) বা হলুদ (পিত্তরস মেশানো) বর্ণের হয়, সেই সঙ্গে শিশু যদি নেতিয়ে পড়ে, জ্বর দেখা দেয় বা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের (৯৮.৪০ ডিগ্রী) কম হয় কিংবা পেট ফেঁপে ওঠে, তবে বুঝতে হবে আপনার নবজাতকটি মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ছাড়া কোনো কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মস্তিষ্কের চাপ বেড়ে গেলে; জন্মের পর শিশু না কাঁদলে; নবজাতকের ইনফেকশন বা নিওনেটাল সেপসিস কিংবা মস্তিষ্কে ইনফেকশন হলে, হার্ট ফেইলিওর অথবা মেটাবলিক ডিসঅর্ডার যেমন গেলাকনোসেমিয়া ইত্যাদি হলেও নবজাতকের বমি হতে পারে।

সংখ্যায় খুব অল্প হলেও নবজাতকের পেটের অন্ত্রে কোনো জন্মগত ত্রুটির কারণে অন্ত্রের পথ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলে শিশু দু-তিন সপ্তাহ বয়সে খাওয়ার পরপরই বমি করে দেয়। বমি ছিটকে গিয়ে বেশ দূরে পড়ে এবং বমি করার পরপরই আবার দুধ খেতে চায় এবং খাবার কিছুক্ষণ পর আবারো একইভাবে বমি করে দেয় এবং শিশুর ওজন কমতে থাকে। এ ক্ষেত্রে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আল্টাসনোগ্রাম করেই এই রোগ নির্নয় করা যায়।

35
 ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি হওয়া শিশুদের জন্য একটি নিয়মিত সাধারণ ঘটনা।
ঠাণ্ডা লেগে শিশুর নাক বন্ধ থাকলে দুধ টানতে কষ্ট হয়। নাক বন্ধ থাকার কারণে দু’এক টান দিয়েই দুধ ছেড়ে দিয়ে মুখে শ্বাস নিতে হয়, যার জন্য শিশু বিরক্ত হয় এবং বুকের দুধ খেতে চায়না এবং সারাক্ষণ ঘ্যান-ঘ্যান করে, কান্না করে।

গরম-ঠাণ্ডার আবহাওয়ার পরিবর্তনে (বিশেষ করে শীতকালে) শিশুদের প্রায়ই ঠাণ্ডা লেগে নাক দিয়ে পানি/সর্দি পড়ে, হাঁচি হয়। অনেক সময় এইসাথে হালকা জ্বর এবং কাশি থাকে। তখন বুকে ঘড়ঘড় শব্দ করে বা শ্বাসকষ্টও হতে পারে।

শিশুকে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে গিয়ে একগাদা জামাকাপড় পরালে ঘেমে উল্টো ঠাণ্ডা লাগে। সাধারণ সর্দি কাশিতে বিশেষ কিছু করার নেই। আপনা আপনিই তা কমে যায়। নাক বন্ধ থাকলে কুসুম গরম লবণ পানিতে বা নরসল ড্রপে তুলা ভিজিয়ে বা পরিষ্কার সুতি কাপড় পানিতে ভিজিয়ে ৩/৪ বার নাকের ভিতর লাগানো যায়, যা শিশুর নাক খুলতে সাহায্য করে।

আপনার করণীয়:

* নরসল বা জীবাণুমুক্ত কুসুম গরম লবণ-পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিবেন। বিশেষ করে দুধ খাওয়ানোর ১৫/২০ মিনিট আগে।
* অযথাই ভারি কাপড় পরাবেন না। লক্ষ্য রাখুন শিশু যাতে ঘেমে না যায়।
* কাশি থাকলে, শিশুকে আদা-চা, মধু, তুলসি পাতার রস ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন।

কখন শিশুর ডাক্তার দেখাবেন:

* ঠাণ্ডা লাগার সাথে খুব বেশি কাশি হলে বা বুকের মধ্যে গরগর শব্দ হলে বা শ্বাসকষ্ট হলে বা ঘনঘন শ্বাস নিলে।
* খুব জ্বর থাকলে।
* ৪/৫ দিনের মধ্যে যদি ভালো না হয়।
* প্রথম থেকেই শিশুকে অসুস্থ মনে হলে।
* সর্দির সাথে যে কোনো সময় (বিশেষ করে রাতে) হঠাৎ করেই খুব বেশি কান্না করলে (কানে ব্যথা/কান পাকা হতে পারে)।

36
 শিশুর সামগ্রিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে আমরা কয়েকভাগে ভাগ করতে পারি, যেমন- শারিরিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, সামাজিক বিকাশ। শারিরিক বিকাশ দৃশ্যমান এবং সহজেই বোধগম্য, শিশুর ওজন ও উচ্চতা দিয়ে আমরা শারিরিক বিকাশ বুঝতে পারি, জন্মের পর শিশুর বয়সের সাথে সাথে নির্দিষ্ট হারে ওজন বাড়তে থাকে এবং উচ্চতাও বৃদ্ধি পায়।

জন্মের পর পর প্রথম সপ্তাহে বাচ্চা ওজন হারায় এবং ২-৩ এ ওজন স্থির থাকে তার পর ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। প্রথম ৩ মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে। তারপর পরবর্তী মাসগুলোতে আর একটু কম হারে ওজন বাড়তে থাকে, ৩-১২ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসে গড়ে ৪০ গ্রাম ওজন বাড়ে। ৫-৬ মাস বয়সে শিশুর ওজন জন্ম ওজনের দ্বিগুন হয় ১ বৎসরে ৩ গুন, ২ বছরে চারগুন, ৩ বছরে পাঁচগুন, ৫ বছরে ছয়গুন এবং ১০ বছর বয়সে ১০ গুন হয়।

তবে জন্ম ওজনের পার্থক্যের কারনে একই বয়সী দুটি শিশুর ওজনের কিছু তারতম্য ঘটতে পারে। তবে এ তারতম্য শিশুর সঠিক পরিচর্যা ও পুষ্টি পেলে স্বাভাবিক ওজনে পৌছে যায়, কারন প্রতি শিশুর স্বাভাবিক ওজনে পৌছার সুপ্ত ক্ষমতা থাকে।

তিন বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসেই শিশুর ওজন নেয়া উচিত। পর পর দুইমাস শিশুর ওজন যদি না বাড়ে, তবে খেয়াল করতে হবে শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কিনা। পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার পরও যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সুষম খাদ্য সঠিক পুষ্টি পেলে শিশু ওজনে ও উচ্চতায় সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে।

জন্মের সময় শিশুর দৈর্ঘ্য থাকে সাধারণত ৫০ সেঃ মিঃ, ৩ মাসে এ দৈর্ঘ্য গিয়ে দাড়ায় ৬০ সেঃ মিটার, ৯ মাসে হয় ৭০ সেঃ মিঃ, ১ বছরে ৭৫ সেঃ মিঃ, ২ বছরে ৮৫ সেঃমিঃ, ৩ বছরে ৯৫ সেঃ মিঃ এবং ৪ বছরে ১০০ সেঃ মিঃ তার পর প্রতিবছর ৫ সেঃ মিঃ করে বাড়তে থাকে বয়ঃ সন্ধিকাল পর্যন্ত। সাধারণত একজন মেয়ে শিশু ২ বছর বয়সে বয়স্ক মানুষের উচ্চতার অর্ধেক উচ্চতা অর্জন করে এবং ছেলে শিশু এ উচ্চতা অর্জন করে ২ ১/২ বছর বয়সে। ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুর ওজন ও উচ্চতায় কিছুটা তারতম্য থাকে। এ ক্ষেত্রে ছেলে শিশুরা মেয়ে শিশুর চেয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকে।

শিশুর বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা বুঝতে হলে নিয়মিত ওজন, উচ্চতা নিয়ে তাকে গ্রোথ চার্টের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। গ্রোথ চার্ট হচ্ছে বৈজ্ঞানিক ভাবে তৈরী করা একটি চার্ট যাতে বয়স অনুযায়ী ওজন,উচ্চতা,মাথার পরিধি গ্রাফের সাহায্যে সন্নিবেশিত থাকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যারা শিশু স্বাস্থ্য ও পুস্টি নিয়ে গবেষণা করেন তারা শিশুর বৃদ্ধি পরিমাপের জন্য এই গ্রোথ চার্ট তৈরী করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রনীত গ্রোথ চার্টটি সর্বজন স্বীকৃত। তাছাড়া বর্তমানে CDC(Centre for Disease Control and prevention) কর্তৃক প্রনীত ও প্রকাশিত গ্রোথ চার্টটি বেশ জনপ্রিয়। শিশু চিকিৎসকেরা বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন, উচ্চতা ও মাথার পরিধি পরিমাপ করে এই চার্টের সাথে মিলিয়ে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ এবং পুস্টির অবস্থা নিরুপন করেন। ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুর জন্য আলাদা আলাদা চার্ট তৈরী করা হয়েছে। এই সব চার্টে বয়স অনুযায়ী ওজন (weight for age), বয়স অনুযায়ী উচ্চতা (Height for age) এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন (weight for height) দেখার ব্যবস্থা আছে।

37
দৈনন্দিন বিভিন্ন অভ্যাসের মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারেন ছোটখাট অসুস্থতা থেকে। তাই জেনে নিন সুস্থতার জন্য কোন কোন অভ্যাস জরুরি-
১. প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এটি। অনেক ক্ষেত্রে বমি বমি ভাবও দূর করে।
২. প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি করে আপেল খেতে পারেন। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
৩. হজমে গণ্ডগোল দেখা দিলে এক গ্লাস সোডা মেশানো পানি পান করুন। উপকার পাবেন। তবে এটি যেন আসক্তিতে পরিণত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
৪. বাটারমিল্ক খাবার দ্রুত হজমে সহায়তা করে।
৫. গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন আঙুর খেলে ব্রেন ভালো থাকে।
৬. পানিশূন্যতা দেখা দিলে এক গ্লাস লেবু পানি পান করুন।
৭. প্রতিদিন সকালে জিরা পানি পান করুন। ওজন কমাতে সাহায্য করবে এটি৷

38
১. প্রস্রাব আটকে রাখা।
.
২. পর্যাপ্ত পানি পান না করা।
.
৩. অতিরিক্ত লবন খাওয়া।
.
৪. যেকোন সংক্রমনের দ্রুত চিকিৎসা না করা।
.
৫. মাংস বেশি খাওয়া।
.
৬. প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া।
.
৭. অপরিমিত ব্যথার ওষুধ সেবন।
.
৮. ওষুধ সেবনে অনিয়ম।
.
৯. অতিরিক্ত মদ খাওয়া।
.
১০. পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া।

Pages: 1 2 [3]