Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Useful Videos on Islamic Topics => Topic started by: yousuf miah on June 24, 2013, 11:08:48 AM

Title: পবিত্র শবেবরাত
Post by: yousuf miah on June 24, 2013, 11:08:48 AM
রাতে পবিত্র শবেবরাত। পরম রহমত ও ফজিলতের রাত। মহান আল্লাহর কাছ থেকে কোনো কিছু চেয়ে নেওয়ার এই যে অদম্য বাসনা, সেটি এরাতে অর্জন করা সম্ভব।
এ রাতটি মুসলমানদের কাছে ইবাদতের রাত হিসেবে পরিচিত। এ রাতে ইবাদতের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে তাঁদের আকুতি জানান। শবেবরাত অর্থ 'সৌভাগ্যের রজনী'। মর্যাদাপূর্ণ এ রাতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালা সবার ভাগ্য নির্ধারণ করেন বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন।
হিজরি ক্যালেন্ডার অনুসারে মধ্য শাবানের মধ্যরাত বা ১৪ তারিখের রাতটিকেই শবেবরাত বা মুক্তির রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। আরবিতে এ রাতকে বলা হয় লাইলাতুল বরাত। পাপকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে গুনাহ থেকে মুক্তিলাভ ও আগামীর সৌভাগ্যময় প্রস্তুতির রাতও বলা হয় শবেবরাতকে।
এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে, বরকতময় এ রজনীতে মুমিনদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয় মানুষের আমলনামা। নির্ধারিত হয় সব মানুষের আগামী এক বছরের রিজিক।
এই রাত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। রমজান মাসের আগের মাস শাবান। রমজানের সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি হিসেবে শাবান মাসকেও বরকতময় মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে হাদিস শরিফে। এ রাতকে ইবাদতের জন্য উত্তম সময় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্ষমাপ্রার্থীদের এ রাতে আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করেন। যাঁরা আল্লাহর কাছে রহমত ও বরকত প্রার্থনা করেন, তাঁরা তা পান। মহান আল্লাহ চান, মানুষ পাপ-কাজ থেকে মুক্ত হয়ে সুখ-সমৃদ্ধিতে জীবন যাপন করুক। তিনি চান মানুষ সত্য ও কল্যাণের পথে এসে সৌভাগ্য লাভ করুক।
এই রাত মানুষের মধ্যে শুভবোধের উন্মেষ ঘটায়, শুভচিন্তা ও সৎকর্মের আদর্শে তাকে নতুন করে উজ্জীবিত করে। শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে যা কিছু শুভ ও সুন্দর, তার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়। সমাজে যে অন্যায়-অবিচার-অনাচার, তা দূর করা এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট ও দুঃখ লাঘবের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি জানানো হয়।
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
শবে বরাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সব মসজিদে ওয়াজ মাহফিল, ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
তাৎপর্যপূর্ণ এ রাতের বিশেষ বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে বিশ্বের মুসলমানরা রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করেন।