1
Robotics and Embedded Systems / রোবটের বায়োলজিকাল ব্রেইন কি তবে সত্যিই হুমকি আমাদের জন্য?
« on: January 07, 2019, 04:13:22 PM »
এলান টিউরিং যেদিন থেকে "Can machine Think?" প্রশ্নের উত্থাপন করেন সেদিন থেকেই মানবজাতির জন্য হুমকির প্রশ্ন উঠে। আস্তে আস্তে শুরু হয় কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার যুগ। বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত হয়ে পরেন বিভিন্ন এলগরিদম নিয়ে।
বহুদিন পর্যন্ত মেশিন মানুষের দেয়া বুদ্ধিমত্তার উপরে নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নিত। এই ধরনের বুদ্ধিমত্তাকে "Weak AI" বা দুর্বল বুদ্ধিমত্তা বলা হয়। এই মেশিন বা রোবটগুলো সাধারণত "hard Logic" এর উপর ভিত্তি করেই কাজ করত। কিন্তু, বিজ্ঞানীরা খুব দ্রুতই বুঝতে পারলেন, অতি বুদ্ধিমান কোন মেশিন বানাতে হলে প্রকৃতির কাছ থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। তাঁরা প্রকৃতির বিভিন্ন প্রানির জীবন নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিলেন। কেউ পিঁপড়ার সমষ্টিগত আচরণ অনুকরন করে তৈরি করে ফেললেন Ant Colony Optimization, কেউ পাখির ঝাঁকের খাবার খোঁজার প্রক্রিয়া অনুকরন করে তৈরি করে ফেললেন Particle Swarm Optimization, কেউ খাবারে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকে অনুকরন করে প্রস্তাব করলেন Bactria foraging Algorithm এর মত এলগরিদম গুলো। একই ভাবে বায়োলজি, কেমিস্ট্রি, ফিসিক্সের বিভিন্ন ঘটনাকে অনুকরন করে একে একে তাঁরা প্রতিষ্ঠা করলেন Bees Algorithm, Cuckoo Search, Simulated Annealing, Firefly Algorithm, Tabu Search, Harmony Search ইত্যাদি। এই এলগরিদমগুলো কিন্তু "Soft Logic" এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এরা প্রকৃতির দ্বারা অনুপ্রাণিত এলগরিদম। বিজ্ঞানীরা এই ধরনের এলগরিদম রোবটের বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে ব্যবহার করে বেশ সফলতা পেয়েছেন।
অন্যদিকে বিভিন্ন লার্নিং এলগরিদম যেমন, Neural Network, Support Vector Machine, Q-learning, Deep Adversarial Networks, Decision Trees গুলোর আবিষ্কার মেশিনকে নিজে নিজে শিক্ষা গ্রহনের উপযোগী করে তুলছে। এতদিন পর্যন্ত এই ধরনের মেশিনকেই "Strong AI" এর মধ্যে ধরা হত।
কিন্তু, রোবটের বায়োলজিকাল ব্রেইন এর সফল প্রয়োগ আমাদের কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে? সাম্প্রতিক সময়ে ইঁদুরের ব্রেইনকে কাজে লাগিয়ে ছোট রোবট নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং এর বিজ্ঞানীরা। রোবটের গায়ে থাকা বিভিন্ন সেন্সর থেকে সিগন্যাল নিয়ে সেটাকে পাঠানো হচ্ছে ইঁদুরের ব্রাইনে। সেই ব্রেইন সেন্সর সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে একটা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছে রোবটের মোটরকে। সেই অনুযায়ী রোবটের মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। অন্য দিকে বিটল পোকার পায়ের মুভমেন্ট কন্ট্রোল করতে পারছেন চীনের নাঞ্জিং এর বিজ্ঞানীরা। তাহলে মানুষের ব্রেইনকেও যদি এভাবে কাজে লাগানো যায় তবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জায়গায় কি সত্যিকারের বুদ্ধিমত্তা প্রতিস্থাপিত হতে যাচ্ছে? ছোটবেলার রোবোকপ কিংবা সাইবরগের (Cybernetic Organism) উত্থান কি খুব আসন্ন? মানবজাতি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবটকে পরাজিত করতে পারলেও সত্যিকারের বুদ্ধিমত্তার রোবটকে কি পরাজিত করতে পারবে?
ভিডিও দেখুনঃ
বহুদিন পর্যন্ত মেশিন মানুষের দেয়া বুদ্ধিমত্তার উপরে নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নিত। এই ধরনের বুদ্ধিমত্তাকে "Weak AI" বা দুর্বল বুদ্ধিমত্তা বলা হয়। এই মেশিন বা রোবটগুলো সাধারণত "hard Logic" এর উপর ভিত্তি করেই কাজ করত। কিন্তু, বিজ্ঞানীরা খুব দ্রুতই বুঝতে পারলেন, অতি বুদ্ধিমান কোন মেশিন বানাতে হলে প্রকৃতির কাছ থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। তাঁরা প্রকৃতির বিভিন্ন প্রানির জীবন নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিলেন। কেউ পিঁপড়ার সমষ্টিগত আচরণ অনুকরন করে তৈরি করে ফেললেন Ant Colony Optimization, কেউ পাখির ঝাঁকের খাবার খোঁজার প্রক্রিয়া অনুকরন করে তৈরি করে ফেললেন Particle Swarm Optimization, কেউ খাবারে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকে অনুকরন করে প্রস্তাব করলেন Bactria foraging Algorithm এর মত এলগরিদম গুলো। একই ভাবে বায়োলজি, কেমিস্ট্রি, ফিসিক্সের বিভিন্ন ঘটনাকে অনুকরন করে একে একে তাঁরা প্রতিষ্ঠা করলেন Bees Algorithm, Cuckoo Search, Simulated Annealing, Firefly Algorithm, Tabu Search, Harmony Search ইত্যাদি। এই এলগরিদমগুলো কিন্তু "Soft Logic" এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এরা প্রকৃতির দ্বারা অনুপ্রাণিত এলগরিদম। বিজ্ঞানীরা এই ধরনের এলগরিদম রোবটের বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে ব্যবহার করে বেশ সফলতা পেয়েছেন।
অন্যদিকে বিভিন্ন লার্নিং এলগরিদম যেমন, Neural Network, Support Vector Machine, Q-learning, Deep Adversarial Networks, Decision Trees গুলোর আবিষ্কার মেশিনকে নিজে নিজে শিক্ষা গ্রহনের উপযোগী করে তুলছে। এতদিন পর্যন্ত এই ধরনের মেশিনকেই "Strong AI" এর মধ্যে ধরা হত।
কিন্তু, রোবটের বায়োলজিকাল ব্রেইন এর সফল প্রয়োগ আমাদের কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে? সাম্প্রতিক সময়ে ইঁদুরের ব্রেইনকে কাজে লাগিয়ে ছোট রোবট নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং এর বিজ্ঞানীরা। রোবটের গায়ে থাকা বিভিন্ন সেন্সর থেকে সিগন্যাল নিয়ে সেটাকে পাঠানো হচ্ছে ইঁদুরের ব্রাইনে। সেই ব্রেইন সেন্সর সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে একটা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছে রোবটের মোটরকে। সেই অনুযায়ী রোবটের মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। অন্য দিকে বিটল পোকার পায়ের মুভমেন্ট কন্ট্রোল করতে পারছেন চীনের নাঞ্জিং এর বিজ্ঞানীরা। তাহলে মানুষের ব্রেইনকেও যদি এভাবে কাজে লাগানো যায় তবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জায়গায় কি সত্যিকারের বুদ্ধিমত্তা প্রতিস্থাপিত হতে যাচ্ছে? ছোটবেলার রোবোকপ কিংবা সাইবরগের (Cybernetic Organism) উত্থান কি খুব আসন্ন? মানবজাতি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবটকে পরাজিত করতে পারলেও সত্যিকারের বুদ্ধিমত্তার রোবটকে কি পরাজিত করতে পারবে?
ভিডিও দেখুনঃ