Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Shahrear.ns

Pages: [1] 2 3 ... 9
1
করোনা আর দীর্ঘ লকডাউনে জীবনযাত্রার ধরনই বদলে গেছে। আর এই পরিস্থিতির শিকার ঘরের ছোটো সদস্যরাও। এই পুরো বছরটাই প্রায় ভার্চুয়াল ক্লাস আর ইনডোর গেমে কেটে গেল তাদের। আর এই সূত্রে টেক-গেজেটসগুলির সঙ্গেও তাদের সখ্যতা বেড়েছে। মোবাইল, ভিডিও গেম বা ল্যাপটপ-ডেস্কটপের স্ক্রিনেই অধিকাংশ সময় কাটছে তাদের। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় বাবা-মায়েরা।  তবে এই পরিস্থিতি সহজে বদলে যাবে বলে বলছে এক সমীক্ষা।

ছেলে-মেয়েরা যদি একটু বেশি সময় ফোন বা কম্পিউটারে কাটায়, তা নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই। কারণ ছেলে-মেয়েদের এই আকর্ষণ দীর্ঘস্থায়ী নয়। সময়ের সঙ্গে এটিও বদলে যাবে। সামগ্রিক পরিস্থিতিকে খুবই সহজভাবে সামালানো যাবে। সম্প্রতি এমনই জানাচ্ছে এক সমীক্ষা।

মহামারির সময় তথ্য সংগ্রহ করার পর দেখা যায়, নানা ধরনের টেক গেজেটের ব্যবহার বেড়েছে । বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। স্কুল, কলেজ, টিউশন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা সব বন্ধ হওয়ার জেরে আপাতত ভার্চুয়াল দুনিয়াতেই বাড়ির ছেলে-মেয়েদের গোটা একটা বছর কেটেছে। এক্ষেত্রে অনেকেই ছেলে-মেয়েদের জন্য একটা টাইম লিমিট বেঁধে দেন। অনেকে খুব বকাবকি করেন। ফোন কেড়ে নেন। কিন্তু প্যানডেমিকে শিশু থেকে শুরু করে যুবকদের এই টেক অ্যাডিকশনের মধ্যেও একটা আশার আলো দেখাচ্ছে এই সমীক্ষা। গবেষকদের দাবি, বাবা-মায়েরা যতটা চিন্তায় রয়েছেন বা যতটা গভীরে ভাবছেন, ততটাও খারাপ প্রভাব পড়েনি তাদের ছেলে-মেয়েদের উপর। অধিকাংশক্ষেত্রেই এই ভয় ভিত্তিহীন।

সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকদের কথায়, কমিক বুক, সাইলেন্ট মুভি থেকে শুরু করে রেডিও টিভি কিংবা এই স্মার্ট ফোন। প্রযুক্তির উদ্ভাবন আর ক্রমবিকাশ প্রতিবারই পুরোনো প্রজন্মের মধ্যে একটা ভীতির সঞ্চার করেছে, যা বাস্তবে ততটাও গুরুতর নয়। প্রতিবারই সবাই মনে করেছে, একটি নির্দিষ্ট টেক ডিভাইজের প্রতি সবাই আকৃষ্ট হচ্ছে। এর জেরে যুবকরা শেষ হয়ে যাবে বা ভুল পথে চলে যাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব বদলে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে, তবে সময়ের নিরিখে সেই প্রবণতা বদলে গেছে। আজকাল নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন প্রজন্মরা এক ডিভাইজ থেকে অন্য ডিভাইজে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। টিভির বদলে ইউটিউবকে বেছে নিয়েছে। ফোনে কথা বলার বদলে সোশাল মিডিয়া সাইটগুলিতে চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই নির্দিষ্ট কোনও ডিভাইজের প্রতি আকর্ষণ স্থায়ী নয়।

সমীক্ষা জুড়ে দেখানো হয়েছে, কিভাবে মার্কিন যুবকদের উপর প্রভাব ফেলেছে মোবাইল ইন্টারনেটের রমরমা। এক্ষেত্রে ১৮-৩০ বছরের যুবকদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। প্রায় ১,২০০ জনের সার্ভে ডাটার উপর চলেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা । অ্যাডভান্স ইন লাইফ কোর্স রিসার্সে সমীক্ষার লেখক ও  ইনস্টিটিউট অফ বিহেভিয়ারল সায়েন্সের সোসিওলজির অধ্যাপক স্টিফ্যানি মলবর্নও একই কথা জানিয়েছেন। তার কথায়, প্রযুক্তির উদ্ভাবনের পাশাপাশি প্রযুক্তির স্বাদ পরিবর্তনও জারি রয়েছে। তাই বাবা-মায়েদের অধিক চিন্তা করে কোনও লাভ নেই। কারণ কোন কিছুর প্রতিই গুরুতরভাবে আকৃষ্ট হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। এই অ্যাডিকশন বা বিশেষ টেকনোলজির প্রতি আকর্ষণও একসময় বদলে যাবে। আর এদিক থেকেই বাবা-মায়েদের স্বস্তি দিতে পারে পুরো বিষয়টি।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/24/978933

2
পানি খাওয়া আর হাইড্রেট থাকা সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পানির বিকল্প নেই। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তবে পানি পান খাওয়ারও সঠিক সময় আছে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে:

প্রতিদিন সকালে উঠে অবশ্যই এক গ্লাস পানি খেতে হবে। এটি কেবলমাত্র আপনার অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি এবং আপনার সংবহনতন্ত্রকে সক্রিয় করে না, তবে ঘুমের সময় আপনি যে পানি শরীর থেকে হারিয়েছিল তা আবার শরীরে যোগ হয়।

ওয়ার্কআউটের পর:

পরিশ্রমের পর স্বাভাবিকভাবেই শরীরে ক্লান্তিভাব আসে। শরীরচর্চার পর পানি খেতে হবে। এতে করে শরীরে শক্তি আবার ফিরে আসবে। সেই সাথে হার্টের রেট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে।

খাবারের আগে পানি:

খাবারের আগে পানি খাওয়া কেবল স্বাস্থ্যকরাই নয়, ওজন কমাতেও অত্যন্ত উপকারী এবং কার্যকর। এটি হজম ভালো রাখার সাথে সাথে শরীরকে তৃপ্তি দেয় এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি খাওয়া থেকে বাঁধা দেয়।

গোসলের আগে পানি:

গোসলের আগে পানি খেলে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক থাকে। পানি গরম হলে রক্তনালী প্রসারিত করে যার ফলে রক্তচাপ কমে।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে:

ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানি খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে। শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। যদি আপনি পেটের ব্যাথা নিয়ে ঘুমাতে যান তবে পানি খেলে ব্যাথা রাতের মধ্যে সেরে যাবে।

অসুস্থ বোধ করলে:

হঠ্যাৎ করে অসুস্থ বোধ করলে পানি খাওয়া উচিত। পানি শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে।

ক্লান্তি মোকাবেলায়:

যদি আপনি ভারী পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন সেক্ষেত্রে শরীরের ফ্লুয়িড পূরণ করতে পানির ভূমিকা অনেক বেশি। আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
Source: https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/24/978936

3
আমাদের খাওয়াদাওয়ার ধরন এবং রকম, দুটোই নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপরে। তার সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যক্তিগত পছন্দ আর অপছন্দ। কেউ নিরামিষাশী, আবার কেউ মাংসাশী হন। অনেকে আবার এই দুটোর মেলবন্ধনে বিশ্বাস করেন। তবে একটি গবেষণায় এই নিয়ে উঠে এসেছে যা আমাদের অনেকের অজানা ছিলো। যারা শতভাগ নিরামিষ খাবার খান তাদের হাড়ের সমস্যা বেশি এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও অনেক বেশি।

অক্সফোর্ড ও ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ ভাবে এই গবেষণা চালিয়েছে। এর জন্য তারা প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের উপরে একটি সমীক্ষা করেছিল। সমীক্ষার গভীরে প্রবেশ না করেও এটুকু সহজেই বোঝা যায় যে যারা শুধুই নিরামিষ খান তাদের শরীরে অনেক কিছুর ঘাটতি দেখা যায়। যার ফলস্বরূপ তাদের অস্থি বা হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তবে, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ।

 দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তাই এই সমীক্ষায় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল যে কি ভাবে নিরামিষ ও আমিষ ডায়েট শরীরে তার প্রভাব বিস্তার করছে। দেখা গিয়েছে যে যারা নিরামিষ খান এবং যারা পশুজাত কোনও খাবারই খান না তাদের কবজি, হিপ, গোড়ালি, পা ইত্যাদি জায়গায় বেশি ফ্র্যাকচার হয়েছে বা চিড় ধরেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অফ পপুলেশন হেল্থ বিভাগের নিউট্রিশনাল এপিডেমিওলজিস্ট ডক্টর ট্যামি টং বলেছেন যে এ রকম হওয়ার কারণ হল ক্যালসিয়াম আর প্রোটিনের অভাব। বিশেষ করে ভেগানদের শরীরে এই দুই উপাদানই এত কম মাত্রায় থাকে যে তাদের হাড় ভঙ্গুর হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।

তবে এই গবেষণায় সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। গবেষকরা বুঝতে পারছেন না যে কোন ফ্র্যাকচার পড়ে গিয়ে হয়েছে আর কোনটা দুর্ঘটনা থেকে হয়েছে। তা ছাড়া আরও একটি বিষয় মাথায় না রাখলেই নয়- সম্পূর্ণ গবেষণাই করা হয়েছে শ্বেতাঙ্গ ইউরোপিয়ানদের উপর। তাই অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে হাড়ে উপস্থিত খনিজের ঘনত্ব এবং হাড় ভাঙার প্রবণতা কতটা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তাই অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন যে এই গবেষণা বিভিন্ন অঞ্চল ও জাতিভিত্তিক ভাবে এবং নারী ও পুরুষ ভেদে করেই সিদ্ধান্তে আসতে।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/25/979304

4
শীতের সময় স্কিন, চুল দুটোই রুক্ষ হয়ে যায়। শীতে গ্লোয়িং স্কিন ও ঝলমলে চুল পেতে চাই বাড়তি যত্ন। সেই সাথে খাবারের তালিকায়ও আনতে হবে পরিবর্তন। এজন্য বছরের এই সময়টাতে উচিত একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা এবং খাবার তালিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা।

বাদাম:

বাদামের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বাদাম এমন একটি খাবার যা সবাই ডায়েটে যোগ করতে পারে। বাদামে যে উপাদান আছে তা স্কিনকে হাইড্রেট করে। বাদাম আপনার নখ, ত্বক এমনকি চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে। সেই সাথে বাদামের  ভিটামিন বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো প্রতিরোধ করে স্কিন ময়েশ্চারাইজার করে।

গাজর:

গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আর এই ভিটামিন ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে যা স্কিন টানটান রাখে। বলিরেখা প্রতিরোধ করতে, স্কিন টোন বাড়াতে গাজরের বিকল্প নেই।

অ্যাভোকাডো:

অ্যাভোকাডো শুধুমাত্র আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না বরং এতে যে ভিটামিন ই, স্বাস্থ্যকর তেল রয়েছে তা স্কিনকে পুষ্টি জোগায়। অ্যাভোকাডোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্কিনকে ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

টমেটো:

টমেটোতে লাইকোপেন নামক একটি রঙ্গক রয়েছে যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। টমেটোতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কোলাজেনের উৎপাদনকে বাড়িয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। রান্না করা টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ লাইকোপিনের দ্রুত শোষণ ক্ষমতা রয়েছে।

গ্রিন টি:

গ্রিন টির উপকারের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে পুষ্টি জোগায়। ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ভিতর থেকে ত্বক ভালো হয়ে ওঠে।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/25/979320

5
বাড়তি ওজন অনেক রকম বিপদ ডেকে আনে। একাধিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বাড়তি ওজন কমানো অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই মনে করেন, ওজন কমাতে কম খেলেই চলবে। তবে চিকিৎসকরা বলেন, এমন করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। শরীর সুস্থ হওয়ার বদলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে মেদ আরও বাড়তে পারে। তাই খাবারে কাটছাঁট না করে, খাবারের উপকরণে কাটছাঁট করলে ভালো থাকা যায়। পাশাপাশি ওজন কমানোর সব চেয়ে সহজ উপায় হলো ওয়ার্ক আউট করা।

কাজের ব্যস্ততার জন্য যারা জিমে গিয়ে ওয়র্ক-আউট করতে পারেন না, তারা হাঁটতে পারেন। হাটলেও খুব সহজেই ওজন কমতে পারে। তবে, এর জন্য কিছু সঠিক নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

১. আরামদায়ক জামা পরা:

যে জামা পরে হাঁটলে অস্বস্তি হবে, তা না পরে যা আরাম দেবে তেমন কিছু পরা ভালো। এতে শারীরিক অস্বস্তি হবে না। একবার অস্বস্তি হলে পরের বার হাঁটতে যেতে কিন্তু ইচ্ছে না-ও করতে পারে। তাই এ বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। আর অবশ্যই কোনও আরামদায়ক ট্র্যাকপ্যান্ট পরলে ভালো।

২. হালকা স্নিকার্স পরলে ভালো:

শরীরের পুরো ভার যেহেতু পায়ের উপরে পড়ে, তাই জুতো বাছার দিকে একটু নজর দিকে হবে। যে কোনও জুতো পরলে পায়ে সমস্যা হতে পারে। তাই হালকা কোনও স্নিকার্স পরা ভালো। তাতে পায়ে কোনও রকম ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে।

৩. পানির বোতল সাথে রাখা:

হাঁটার সময়ে অবশ্যই একটা পানির বোতল সাথে রাখা ভালো। তেষ্টা পেলে হাঁটার মাঝে অল্প অল্প পানি খেলে সমস্যা হয় না। উলটে তা শরীর হাইড্রেটেড রাখে। আর বাড়তি ওজন কমাতে জলের গুরুত্ব রয়েছে।

৪. ধীরে ধীরে হাঁটার গতি বাড়াতে হবে:

হাঁটা শুরু করেই প্রথমে অনেকে ভাবেন যে তাড়াতাড়ি হাঁটলে ভালো হয়। তাতে পায়ে সমস্যা হতে পারে। ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে শুরু থেকেই। তাই হাঁটার স্পিড বা গতি ধীরে ধীরে বাড়ালে ভালো। প্রথমের দিকে একটু কম রেখে, যত দিন যাবে তত গতি বাড়াতে হবে।

৫. হাঁটার ভঙ্গিতে নজর দেওয়া জরুরি:

শিরদাঁড়া সোজা রেখে হাঁটতে হবে। কাঁধ ও হাতও সোজা রাখতে হবে, তবে রিল্যাক্স করে।

Source: kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/27/979957

7
দেশে ১৮ ধরনের মসলার গুঁড়া, স্লাইস কিংবা পেস্ট, সস–আচার ইত্যাদি তৈরি ও মোড়কজাত করার নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে।

মসলাগুলো হচ্ছে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, রসুন, আদা ও অলস্পাইসের (চায়নিজ মসলা) গুঁড়া, কাঁচা মরিচের পেস্ট ও আচার, শুকনা মরিচের আচার ও সস, কাঁচা মরিচ খাদ্যজাতকরণ (অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায়), রসুনের আচার, কেচাপ ও চাটনি, আদার আচার ও জ্যাম, হলুদের পেস্ট, অলস্পাইসের পেস্ট এবং অ্যানাটো পাউডার।

https://www.prothomalo.com/business/market/%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8

8
বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ববাসী অধীর আগ্রহে করোনার টিকার জন্য অপেক্ষা করছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান করোনার টিকা পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। এখন অপেক্ষা টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে ফলাফল জানার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান টিকার ফল জানিয়ে দিতে পারে। করোনার টিকা নিয়ে বেশ কিছু হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, নিরাপদ ও কার্যকর করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ সম্ভবত ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে কিছু উচ্চ-ঝুঁকিযুক্ত মার্কিনরা পাবেন।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষামূলক টিকাটি করোনা টিকার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। বিশ্বজুড়ে সংস্থা ও সরকারগুলোর সঙ্গে সরবরাহ ও উৎপাদনসংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অক্টোবরে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, টিকাটি বৃদ্ধ, যুবক উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা আশা করছে, তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য আসন্ন সপ্তাহে প্রকাশ করবে।

গত এপ্রিলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষকেরা টিকাটি প্রস্তুত করেন। এরপর থেকে টিকাটি নিয়ে পরীক্ষা চলছে। শিগগির এটি নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে অনুমোদন পেতে পারে।
অক্সফোর্ডের টিকাটির পাশাপাশি ফাইজার ও বায়ো এন টেকের টিকার ফলাফলও শিগগির জানা যাবে। টিকাগুলোও এ বছরের মধ্যেই নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা করছেন এর উৎপাদনকারীরা।

এর আগে ৩ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের আগেই টিকা আনার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। চলতি মাসেই কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের টিকার ফল জানাতে পারে।

করোনার টিকা নিয়ে আরেকটি সুখবর দিচ্ছে জার্মান প্রতিষ্ঠান কিওরভ্যাক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কিওরভ্যাকের পরীক্ষামূলক টিকাটি মানুষের শরীরে প্রতিরোধী সক্ষমতা দেখিয়েছে। গতকাল সোমবার জার্মান প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে। এ বছরেই টিকাটির পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে কিওরভ্যাক।

জার্মানির জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ফ্রানজ-ওয়ার্নার হ্যাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, টিকা পরীক্ষার প্রথম ধাপের অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল আমাদের উৎসাহ জোগাচ্ছে। তারা এমআরএনএ ভিত্তিক যে টিকাটি তৈরি করছে তার নাম সিভিএনকোভ। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ৩০ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

কিওরভ্যাকের টিকাটি তৈরিতে সহায়তা করছেন বিনিয়োগকারী দিমিতার হপ। তাঁর সঙ্গে রয়েছে গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন। টিকাটির পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, তা রোগটি থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডির সমান।

রাশিয়ার করোনার টিকা নিয়েও সুখবর পাওয়া গেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস নাগাদ রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকাটির এক কোটি ডোজ নিচ্ছে আর্জেন্টিনা। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।

আর্জেন্টিনা সরকার বলছে, আগামী মাসের শুরুতেই দুই ডোজের টিকাটি দেশে আসবে। আর্জেন্টিনার জন্য পাঠানো টিকাটি তৈরি হচ্ছে ভারত, কোরিয়া ও চীনে। আর্জেন্টিনার পাশাপাশি ব্রাজিলেও টিকাটি দেওয়ার জন্য প্রাথমিক নথিপত্র জমা দিয়েছে টিকায় অর্থায়ন করা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)।

9
এখনকার দিনে কাশি শুনলে একটু দুশ্চিন্তা হওয়ারই কথা। কোভিড-১৯–এর উপসর্গ হিসেবে কাশি থাকতে পারে। কিন্তু এ কাশি শুনেই কি করোনা শনাক্ত করা যায়? শিগগিরই এর উত্তর জানা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন, যা করোনায় সংক্রমিত রোগীর কাশি শনাক্ত করতে সক্ষম। কেউ যদি উপসর্গহীন রোগীও থাকেন, তবে তাঁর কাশি শুনেও এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, গবেষকেরা এআইভিত্তিক প্রোগ্রাম তৈরিতে একাধিক নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছেন। প্রোগ্রামে গবেষকেরা একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছেন, যা কণ্ঠস্বরের শক্তিমত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আরেকটি নিউরাল নেটওয়ার্ক স্নায়ুতান্ত্রিক পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। তৃতীয় আরেকটি নেটওয়ার্ক শ্বাসতন্ত্রের পারফরম্যান্স বিবেচনা করতে পারে। এসব বিশেষ অ্যালগরিদমে ফেলে কারও স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত পূর্ণ চিত্র পাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘আইট্রিপলই ওপেন জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিং ইন মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজি’ সাময়িকীতে।

গবেষকেরা দাবি করেছেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় তাঁদের তৈরি এআই প্রোগ্রাম নিখুঁত ফলাফল দেখিয়েছে। গবেষকেরা তাঁদের তৈরি মডেলটিকে হাজারো কাশি ও কথোপকথনের নমুনা শিখিয়েছেন। এ প্রযুক্তি এখন সাড়ে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে কোভিড রোগীর কাশি শুনে তা শনাক্ত করতে পারে। উপসর্গহীন রোগী শনাক্তে শতভাগ সফল হয়েছে এআই মডেলটি।

অবশ্য গবেষকেরা বলছেন, এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। প্রযুক্তিটি লক্ষণগত রোগীদের জন্য রোগ শনাক্তের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নয়।

গবেষকেরা এ প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী করতে ব্যবহারবান্ধব একটি অ্যাপ তৈরি করছেন, যা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার আগে প্রাথমিক শনাক্তের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করতে স্মার্টফোনের অ্যাপটি চালু করে কাশি শোনাতে হবে। এতে বাইরে যাওয়া ঠিক হবে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

10
অনলাইনে আয়োজিত গ্লোবাল ই-কম্পিটিশন অন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকসে (জিইসিএএ) বাংলাদেশ পেয়েছে সাতটি পদক।

https://www.prothomalo.com/feature/shapno/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A7%AD%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95

11
Title: Natural convective heat transfer in a nanofluid-filled square vessel having a
wavy upper surface in the presence of a magnetic field

Authors: M.J. Uddin, S.K. Rasel, M.M. Rahman, K. Vajraveluc

Abstract: Copper oxide makes an excellent nanomaterial for various efficient heat transfer devices because of its high
specific surface area, lightweight, high specific heat capacity, and high thermal conductivity. Heat transfer intensification
using nanofluids has strong potential to improve innovative cost-efficient chilling technologies. The
present study aims to analyze the heat transfer intensifications for various parameter settings in a practical
application. In recognition of possible applications, the problem of natural convective heat transfer in a copper
oxide nanofluid-filled square vessel having the wavy upper wall in the presence of a uniform magnetic field using
a nonhomogeneous dynamic model is analyzed. The temperature of both the bottom and the near walls of the
vessel are hot, while the upper wavy surface is cold. The remaining vertical wall is considered adiabatic. A
Galerkin finite element method is applied to the governing equations, along with suitable boundary conditions.
The effects of a wide range of control parameters, such as the Hartmann number, magnetic field inclination
angle, gravity inclination angle, solid-volume fraction, nanoparticle diameter, and dimensionless time, on the
flow and thermal fields, are studied. The results show that early steady-state heat transfer occurs and that the
flow, thermal, and concentration fields become suitable for enhanced heat transfer with increases in the Rayleigh
number, wall wavenumber, nanosolid volumetric ratio, and geometry inclination angle, and with decreases in
the Hartmann number and the nanoparticle diameter. A 20% improvement in heat transfer can be achieved by
increasing the number of waves on the upper surface of heat transfer devices.

Journal: Thermal Science and Engineering Progress, Issue-19, 28/08/2020.

12
মহাকাশ মানুষের জন্য অনেক আগে থেকেই খুব রহস্যের একটি বিষয়। মানুষ চাঁদ তারার দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতো সেই আদিকাল থেকে। এই মহাকাশকে ঘিরে মানুষের জল্পনাকল্পনা এবং সেই কল্পনাগুলো থেকে তৈরি বিভিন্ন মিথ আমাদের সবারই জানা। মানুষ চাঁদকে নিয়েও কল্পনা করতো অনেক কিছু। আধুনিক বিজ্ঞান মানুষের কৌতুহলের অবসান ঘটায় এবং জানান দেয় যে চাঁদ পৃথিবীর উপগ্রহ। মহাকাশে অনেক ধরনের স্যাটেলাইট রয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানের ছোয়ায় মানুষও মহাকাশে নিজের তৈরি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। আমরা মূলত কৃত্রিম উপগ্রহের কিছু কাজ সম্পর্কে জানবো।
১৯৫৭ সালের চৌঠা অক্টোবর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের সর্বপ্রথম স্যাটেলাইট স্পুটনিক ১ স্থাপন করে। এরপর প্রায় ৪০টি দেশ থেকে সর্বমোট ৮১০০টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হয়। ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী এখনো প্রায় ৪৯০০টি স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপিত আছে এবং বাকিগুলোর ধ্বংসাবশেষ কক্ষপথগুলোতে রয়েছে। প্রায় ৫০০টি অপারেশনাল স্যাটেলাইট পৃথিবীর সর্বনিম্ন কক্ষপথে আছে, ৫০টি স্যাটেলাইট মধ্যম কক্ষপথে আছে এবং ৫০টি স্যাটেলাইট আছে জিয়োস্টেশনারি অরবিটে।

যেভাবে কাজ করে

এখন আসা যাক স্যাটেলাইটের কাজ প্রসঙ্গে। স্যাটেলাইট এর কাজ নির্ভর করে মুলত সেটি কোন উদ্দেশ্যে বানানো এবং উঠক্ষেপণ করা তার উপরে। যেমনঃ স্যাটেলাইট ব্যবহৃত হতে পারে তারকাপুঞ্জির ম্যাপিং করার জন্য অথবা তারকার গতিপথ নির্ণয়ের জন্য। আবার একটি গ্রহের উপরিতলের মানচিত্র কেমন হবে তা বুঝার জন্য স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। যে গ্রহে স্যাটেলাইট প্রেরণ করা হয় সেই গ্রহের বিভিন্ন বস্তুর বা স্থানের ছবি তুলতে এটি ব্যবহার করা হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্যাটেলাইট বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ

আর্থ রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট: এই স্যাটেলাইট মূলত অসামরিক স্যাটেলাইট যেটি তৈরির উদ্দেশ্য হচ্ছে কক্ষপথ থেকে পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করা। এটি পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এর পরিবেশকে দেখে, পৃথিবীর ম্যাপিং করে। প্রথম আর্থ রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট হচ্ছে স্পুটনিক ১। স্পুটনিক ১ যে রেডিও সিগন্যাল পাঠাতো তা দিয়ে বিজ্ঞানীরা আয়নমন্ডল অধ্যয়ন করতো।

কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট: কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট হচ্ছে সেই ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ ট্রান্সপন্ডারের মাধ্যমে রেডিও টেলিযোগাযযোগ মাধ্যমের সিগন্যাল স্থাপন করে। এটির একটি উৎস থাকে যেটি হচ্ছে ট্রান্সমিটার এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে এর বিভিন্ন গ্রাহক থাকে এবং স্যাটেলাইটটি উৎস ও গ্রাহকের মধ্যে যোগাযোগের চ্যানেল তৈরি করে দেয়। এই স্যাটেলাইট টেলিভিশন, ডিশ মিডিয়া, টেলিফোন, রেডিও, ইন্টারনেট এবং সামরিক বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।

নেভিগেশন স্যাটেলাইট: এই স্যাটেলাইট দ্বারা ব্যক্তির অবস্থান নির্ণয় করা যায়। কোনো বস্তু ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে তা খুজে বের করতেও এই স্যাটেলাইট সাহায্য করে। তাছাড়া বৈশ্বিক সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়, কোনো স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ে এটি ব্যবহৃত হয়। মূলত জিপিএস এর কার্যক্রম পরিচালিত হয় নেভিগেশন স্যাটেলাইট দিয়ে।

ওয়েদার স্যাটেলাইট: এটি ব্যবহৃত হয় মূলত পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু পর্যবেক্ষণের জন্যে। এটি ধুলি ঝড়, বায়ু দুষণ, মেরু অঞ্চলের বরফের গলন, সমুদ্রে পানির উচ্চতা, বৃষ্টিপাত,বায়ুর আদ্রতা, বৃষ্টিতে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাণ, পৃথিবীতে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাণ, বায়ুতে গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ, বজ্রপাত, মেঘের অবস্থান, দেশের কোন স্থানে কখন তাপমাত্রা কেমন হতে পারে, দিনের তাপমাত্রা কেমন হতে পারে, রাতের তাপমাত্রা কেমন হতে পারে ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে। ওয়েদার স্যাটেলাইট আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য দেয় সেটি হচ্ছে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত। এটি একটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত এর ফলে যে মেঘ তৈরি হয় তার সাথে অন্যান্য আগ্নেয়গিরির উপরের মেঘের তুলনা করে তথ্য সংগ্রহ করে।

ইনভার্নমেন্ট স্যাটেলাইট: ওয়েদার স্যাটেলাইট আর ইনভার্নমেন্ট স্যাটেলাইট এর কাজ এক নয়। ইনভার্নমেন্ট স্যাটেলাইট পৃথিবীর অভ্যন্তরে যে গাছপালা আছে তার যে পরিবর্তন সেটি পর্যবেক্ষণ করে, সমুদ্রের অবস্থা, সমুদ্রের পানির রঙ পরিবর্তন, আইস ফিল্ড ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে।

স্যাটেলাইট মূলত রকেট দ্বারা মহাকাশে প্রেরণ করা হয় এবং একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথের গতির সাথে তাল মিলিয়ে একে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এই হলো মোটা দাগে স্যাটেলাইট সমূহের কাজ।

সুতরাং বলা যায় যে, স্যাটেলাইট আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নানা কাজে বহুল ব্যবহৃত এবং আমাদের নানা কাজের সাথে যুক্ত।

13
গাড়ি হল শখের জিনিস। ধনী-গরীব সকলের মনে একটি গাড়ি কেনার স্বপ্ন থাকে, যেটি তারা তাঁদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করবেন। সেই স্বপ্ন অনেকের পূরণ হয়। আবার কারও পূরণ হয়ও না। আজকের প্রতিবেদনে আপনারা জানবেন পৃথিবীর সেরা পাঁচটি গাড়ির গল্প।

ফেরারী মিলেনিয়ো: ফেরারীর এই গাড়িটি দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক তেমনি গাড়িটির দামও অনেক বেশি। এটি ফেরারী ব্র্যান্ডের সবচেয়ে দামি ও স্মার্ট গাড়িগুলোর মধ্যে একটি। এই মডেলের মাত্র পাঁচটি গাড়ি পৃথিবীতে আছে। যে সময় গাড়িটি তৈরী করা হয়েছে তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত গাড়িটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম গাড়ি হিসেবে ধরা হয়। রেসিংয়ে গাড়িটি কয়েকবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে।



 

বেঞ্জ F015: এটি মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি। গাড়িটির মূল্য ৩০ কোটি টাকা। এই গাড়িটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যার সব জায়গায় বাটনের পরিবর্তে LCD স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটিকে পার্কিং করার কোন প্রয়োজন হয় না। গাড়িটিকে কমান্ড করলেই তা অটোমেটিক পার্ক হয়ে যাবে। কোন পথচারী রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকলে গাড়িটি অটোমেটিক থেমে রাস্তা পার হওয়ার জন্য পথচারীকে সময় দিবে। বর্তমানে এই মডেলের ১০টি গাড়ি পৃথিবীতে রয়েছে।



 

মার্সিডিজ বেঞ্জ সিলভার: মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের এই গাড়িটিতে যে ধরনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা গাড়িটিকে অন্য সব সুপার কারগুলো থেকে আলাদা করেছে। গাড়িটির ডিজাইন অত্যন্ত সুন্দর হওয়ায় হলিউডের সিনেমাগুলোতে গাড়িটি ব্যবহৃত হয়। গতির ঝড় তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে বেঞ্জ সিলভার অন্যতম। গাড়িটি কেনার সামর্থ্য না থাকায় অনেকে ভাড়া নিয়েও নিজের শখ মেটায়।



 

ল্যাম্বোরগিনি ফেরেসিয়ো: এই গাড়িটি মার্ক হোসলে নামের একজন ব্যক্তি ডিজাইন করেছেন। এ গাড়িটি তাঁর ডিজাইনের জন্য পুরো পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়েছে। গাড়িটির গতি বুলেট ট্রেনের চেয়েও অনেক বেশি। তাছাড়াও ডিজাইনের দিক থেকে গাড়িটিতে কোন কমতি রাখা হয়নি। গাড়িটি চালানোর স্বপ্ন অনেক মানুষেরই থাকে। কিন্তু গাড়িটির দাম অনেক বেশি হওয়ায় শুধুমাত্র উচ্চবিত্তরাই চালানোর সুযোগ পায়।



 

শেভ্রোলেট এফএনআর: এই কোম্পানির অনেক উন্নতমানের গাড়ি আছে, যেগুলো রেসিংয়ে অনেক ভালো করবে। কিন্তু কোম্পানি গাড়িটিকে রেসিংয়ের জন্য দেয়নি। বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা গাড়িটির মূল্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

https://www.natunbarta.com/category/technology/page/4/

14
স্মার্টফোনের জগতে অতি সুপরিচিত এক নাম অ্যান্ড্রয়েড। স্মার্টফোন মানেই যেনো অ্যান্ড্রয়েড! মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছেে এটি। বর্তমানে বাজারের প্রায় ৭৫ শতাংশ ফোনেই অ্যান্ড্রয়েড সেবা। আর অন্য সবাই মিলে বাকি ২৫ শতাংশ! একাই চার তৃতীয়াংশ বাজার দখল করে আছে; ভাবা যায়! অথচ বহুল ব্যবহৃত এই অপারেটিং সিস্টেমটি মোবাইল ফোনে ব্যবহারের কথাই ছিলো না। ব্যবহার করার কথা ছিলো ক্যামেরায়! নতুন বার্তার পাঠকদের জন্য থাকছে অ্যান্ড্রয়েড আবিষ্কারের ইতিবৃত্ত।

অ্যান্ড্রয়েড মূলত একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। যেটি মোডিফাইড লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। অনেকের ধারণা অ্যান্ডয়েড গুগলের আবিষ্কার। কথাটি আসলে পুরো সত্য নয়। ২০০৩ সালে অ্যান্ডি রুবিন নামক মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও ইঞ্জিনিয়ারের হাত ধরে অ্যান্ডয়েডের গোড়াপত্তন হয়। তবে অ্যান্ডি স্মার্টফোনে ব্যবহারের জন্য এটি তৈরি করেননি। তার আবিষ্কারটি ছিলো মূলত ক্যামেরায় ব্যবহারের জন্য। ডেটা কপি সহজ করা-ই ছিলো মূল উদ্দেশ্য। ২০০৫ সালে টেক জায়ান্ট গুগল এটিকে কিনে নেয়। এরপর টানা তিন বছর এর ডেভেলপিংয়ের কাজ করে গুগল। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ২০০৮ সালে গুগল এটিকে বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাজারে আনার আগেই গুগল একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়। অ্যান্ডয়েডকে সকলের জন্য মুক্ত প্লাটফর্ম ঘোষণা করে গুগল। যে কেউ চাইলে এটিকে ব্যবহার করতে পারবে। লঞ্চ করার বছরই অ্যান্ডয়েড ব্যবহার করে এইচটিসি প্রথম স্মার্টফোন বাজারে আনে। তারপর থেকে আর অ্যান্ড্রয়েডকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ফ্রি অপারেটিং সিস্টেম হওয়ায় দিন দিন অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার দিন দিন বাড়তে থাকে। অন্যদিকে অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের জন্য লাইসেন্সের ঝামেলা থাকায় তুলনামূলক অ্যান্ডয়েডের চাহিদাই বাড়তে থাকে।

শুরু থেকেই অ্যান্ডয়েডের নজর কাড়তে শুরু করে। ২০০৮ সালে রিলিজের পর এর নাম দেয়া হয় অ্যান্ডয়েড ১.০। পরবর্তী সংস্করণের নাম ১.১ দেয়া হলেও পরবর্তী নাম গুলো বদলে যায়। মিষ্টিজাতীয় বিভিন্ন খাবারের নামে বাজারে আসতে শুরু করে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সব সংস্করণ। কিটক্যাট, জেলিবিন,ললিলপ নামগুলো যেনো আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলে অ্যান্ড্রয়েডকে। তবে এই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর গুগল নিয়ে আসে অ্যান্ডয়েডের ১৭তম সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ১০। যেটি ব্যবহার করে বাড়তি স্বাচ্ছন্দ পাবেন ব্যবহারকারীরা। বেশকিছু নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে অ্যান্ডয়েড ১০ এ।

অ্যান্ড্রয়েড ১০- ডার্ক থিম ব্যবহার করা যাবে। এই থিমের ফলে ফোনের ইউজার ইন্টারফেসে কালো আবহ পাওয়া যাবে। যেটি চোখে আরাম দেয়ার পাশাপাশি ব্যাটারির স্থায়ীত্ব বাড়াবে। এছাড়া সাউন্ড অ্যামপ্লিফায়ার যুক্ত করা হয়েছে। পডকাস্ট শোনা, ভিডিও দেখার পাশাপাশি ফোনে কথা বলার সময়ও সুবিধা পাওয়া যাবে। ভয়েজ কলের সময় বাড়তি শব্দ কমিয়ে পরিষ্কার শব্দ শোনাবে। এছাড়া নতুন ৬৫টি ইমোজি যুক্ত হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড ১০-এ। যার মধ্যে ৫৩টি লিঙ্গভেদে ব্যবহৃত হবে! তবে অ্যান্ড্রয়েড ১০- এর সেবা এখন কেবল গুগল পিক্সেল স্মার্টফোনের জন্য।

15
অর্থ উপার্জনের কতো শত মাধ্যম আছে তা হয়তো গুনে শেষ করা যাবেনা। সময়ের পরিক্রমায় নতুন নতুন সব পেশা যোগ হয়েছে মানুষের জীবনে। তথ্য প্র্রযুক্তির বিকাশের ফলে উপার্জনের মাধ্যমগুলোতে যুক্ত হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। বর্তমানে শুধু অনলাইনে-ই আয় করার হাজার হাজার মাধ্যম রয়েছে। যার মধ্যে ইউটিউব সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। কয়েকটি বিশেষ উপায় অবলম্বন করলে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যমকে আয়ের উৎস বানাতে পারেন আপনিও। চলুন জেনে আসি ইউটিউব থেকে আয় করার নিয়মাবলী সম্পর্কে।

ইউটিউবের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ভিডিও শেয়ার করার জন্য। শুরুর দিকে এর কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম ছিলো না। তবে শুরুতে কোন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য না থাকলেও বর্তমানে তা অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেকেই ইউটিউব থেকে টাকা আয় করাকে হিমালয় জয় করা ভেবে থাকেন। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে তেমন নয়। বিশেষ কয়েকটি শর্ত অবলম্বন করলে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে। ২০১৮ সালে ইউটিউবে খেলনার ভিডিও দেখিয়ে, সাত বছরের শিশু রায়ান ইউটিউব থেকে কোটি টাকা আয় করে সর্বোচ্চ আয় করার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাহলে আপনি কেনো পারবেন না ?

 
ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। যার জন্য প্রথমেই দরকার হবে একটি  জিমেইল অ্যাকাউন্টের। নিজের সঠিক তথ্য, মানে নাম, বয়স ও ফোন নম্বর দিয়ে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা ইউটিউব চ্যানেল খোলার পূর্বশর্ত। এরপর ইউটিউবে ঢুকে Sign In এ ক্লিক করে জিমেইল দিয়ে ইউটিউবে লগ ইন করতে হবে। Create Channel অপশনে ক্লিক করলে চ্যানেল তৈরির জন্য সব তথ্য চাওয়া হবে। প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেয়ার পাশাপাশি একটি ভালো প্রোফাইল ফটো ও একটি কভার ফটো যুক্ত করতে পারেন। এরপর নিজের তৈরি একটি ভিডিও আপলোড করুন। ব্যস হয়ে গেলো প্রায় অর্ধেক কাজ!

ইউটিউবে আয়ের মূল উৎসই ভিডিও। আপনার আপলোড করা ভিডিও এক অর্থে আপনার পণ্য! যার বদৌলতে আপনি অর্থ উপার্জন করবেন সেটি অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে। আপনার চ্যানেলটিতে সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ভিডিও আপলোড করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ; সে বিষয়ের ভিডিও ধারণ করে আপলোড করতে পারেন। ধরুন, আপনি ঘুরতে পছন্দ করেন। ট্রেকিং করা আপনার শখ। তবে বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ভিডিও। তাহলে ভ্রমণ সংক্রান্ত ভিডিও দেখার জন্য দর্শকরা আপনার চ্যানেলটিতে আসবে। আবার ধরুন, আপনি ভালো নাচ জানেন, তাহলে নাচের ভিডিও কিংবা টিউটোরিয়াল শেয়ার করতে পারেন ইউটিউবে। মজার মজার ভিডিও ধারণ করেও আপলোড করতে পারেন। আসলে যে কোন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ভিডিও নির্মাণ করলে আপনার চ্যানেলটির জন্যই ভালো।



২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত ইউটিউবে অর্থ উপার্জনের জন্য সহজ ছিলো। ভালো মানের ভিডিও আর জনপ্রিয় চ্যানেল হলেই ইউটিউবের অ্যাডসেন্স পার্টনারশিপ পাওয়া যেতো। পার্টনার হয়ে গেলেই প্রতি মাসে ২০০ ডলার পাওয়া যেতো। কিন্তু নতুন নীতিমালা প্রনয়নের কারণে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে হলে অবশ্যই চ্যানেলটিকে মনিটাইজেশন করতে হবে। ভিডিওতে অ্যাড বসানো এবং এর মাধ্যমে আয় করাকে মনিটাইজেশন বলে। ইউটিউবের আয় মূলত পরোক্ষ। ভিডিওতে বিজ্ঞাপন বাবদ যে টাকা ইউটিউব আয় করে তা থেকে একটি অংশ ভিডিও নির্মাতাকে দেয়া হয়।

এছাড়া, যেহেতু অ্যাড থেকেই সকল লভ্যাংশ আসে তাই অর্থ উপার্জনের জন্য অ্যাডসেন্স চালু করতে হবে। অ্যাডসেন্স চালুর জন্য চ্যানেলটিকে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। চ্যানেলটির শেষ ১ বছরের মধ্যে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘণ্টা ওয়াচটাইম হতে হবে। যে জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করবেন সেটির ব্যাবহারীর বয়স ১৮ হতে হবে। এছাড়া চ্যানেলের চ্যানেল আইকন থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার ও ভিউ বেশি থাকলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সর জোগাড় করেও ইউটিউবে আয় করা সম্ভব।


 
সাবস্ক্রাইবার ও ভিউ বাড়লে আয়ের পথ সুগম হতে থাকে। তাই এগুলো বাড়াতে বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। ব্যবহারকারী যেনো আপনার ভিডিওটি খুঁজে পায় সেজন্য যথাযথ ও আকর্ষণীয় শিরোনাম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া থাম্বনেইলেও জুড়ে দিতে পারেন যথাযথ ছবি। ফেসবুক-টুইটারসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের ভিডিওটি শেয়ার করতে পারেন। আর হ্যাঁ, ইউটিউবের কপিরাইট ও কমিউনিটি আইন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কপিরাইট কিংবা কমিউনিটি আইন বহিভূর্ত কোনো কিছু করলে আপনার আয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনকি ইউটিউব আপনার চ্যানেলটিও বন্ধ করে দিতে পারে!

Pages: [1] 2 3 ... 9