Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Shahrear.ns

Pages: 1 [2] 3 4 ... 9
16
আজকে থেকে কয়েক হাজার বছর আগে যখন মানুষ কৃষি কাজ শিখতে শুরু করেছে তখন থেকেই মানুষের মনে ভাবনার উদয় হয়েছে যে আমার যদি অনেক বেশি ছেলে-মেয়ে থাকে তাহলে অনেক বেশি উৎপাদন করতে পারবো, নিজেদের খাবার নিয়ে আর কোন চিন্তা করতে হবে না, ঘুরতে হবে না জঙ্গলে জঙ্গলে। তখন মানুষ বেশি করে সন্তান জন্ম দিতে লাগলো।

তারপর অনেক ধীরে ধীরে এই ধারণার পরিবর্তন আসতে শুরু করল, মানুষ বুঝতে পারলো এক মৌসুমে ফসল ফলানোর জন্য সারা বছর এতগুলা ছেলে-মেয়ের খাবার দাবার, পোশাক সহ আরো সকল সুবিধা অসুবিধা দায়ভার নেয়াটা অনেকটা খাজনার চেয়ে বাজনা বেশির মতই।


 
অতপর মানুষ বিকল্প উপায়ের সন্ধানে ভাবতে লাগল তারপর প্রথমদিকে একই ধরনে কাজ যাদের আছে এরকম লোক খুঁজে তাদের সাথে এক সাথে কাজ করা শুরু করল। যেমন কারো ৫ জন ছেলে আছে আর ঐ একই রকম আছে এরকম অন্য কারো ৫ জন ছেলে আছে সবাই এক সাথে একই বাড়ির কাজ কয়েকদিন করে করতে লাগল। না এভাবেও মানুষের পুষল না। অতপর নতুন চিন্তার উদয় হল, মানুষ ভাড়া করে কাজ করানো, মানে আজকে যাকে দিন শ্রমিক বলে আর এর আপডেটেট নাম হল চাকুরীজীবি।

এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে সেই প্রাচীন কাল থেকেই। আর এই সব ধারণার উপর ভিত্তি করেই আজকের দিনের “ক্লাউড কম্পিউটিং” এর জন্ম। কী বিষয়টা পরিষ্কার হল না? তাহলে আসুন প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগে ফিরে আসি। এ যুগের উদাহারণের মধ্যে “উবার” বা “পাঠাও” উৎকৃষ্ট উদাহরণ। নিজের গাড়ী নেই তো কি হয়েছে! তাই কি গাড়ীর স্বাদ নিব না? ধরুন, আপনার দু’চারটা গাড়ীর প্রতিদিন দরকার হয় না তাই এত টাকা খরচ করে লাভ কি, যখন খুশি যতগুলো খুশি ডেকে নেন উবার বা পাঠাও এর গাড়ী।


 
হ্যাঁ! ক্লাউড কম্পিউটিং ও এই ধারণার প্রোটোটাইপ। ধরুন,গেম ডেভেলপমেন্ট করার জন্য আপনার অনেক ভা্লো কনফিগারেশনের পিসি দরকার, অনেক বড় বড় প্রিমিয়াম সফটওয়্যার দরকার যেগুলা আপনার পরবর্তীতে আর কাজে লাগবে না, তাহলে এত টাকা ব্যয় করে পিসি আর সফটওয়্যার না কিনে আপনি চাইলেই এখন অনলাইন থেকে যত খুশি, যত ভাল রিসোর্স(হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার) দরকার ভাড়া নিতে পারেন, আর এটাই হল ক্লাউড কম্পিউটিং। তবে হ্যাঁ! সবাইকে যে রিসোর্স ভাড়া করেই নিতে হবে বিষয়টা এমনও নয় আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব ক্লাউডও সেট-আপ করে নিতে পারেন এবং চাইলে নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে অন্যদের কাছে আপনিও ভাড়া দিতে পারেন। যেমনটা করছে গুগল, অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটের মত কোম্পানি।

বিষয়টা এখনো পরিষ্কার না হলে আরো একটা উদাহারণ দিচ্ছি। “হুয়াওয়ে টেকনোলোজি” পৃথিবীর অনেক দেশে তাদের টেলিকম সার্ভিস (ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক) দিয়ে থাকে যেমন বাংলাদেশেও রবি, বাংলালিংক, গ্রামীণফোন এদের সার্ভিস দিয়ে থাকে। ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক এর কাজে(৩জি ও ৪জি) প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের নেটওয়ার্ক এনালাইসিস করতে হয় যাদের সবার কাছেই আলাদা আলাদা লাইসেন্সড সফটওয়ার থাকতে হয় এবং এতে কাজও হয় অনেক ধীর গতিতে। তাই সময় ও খরচ বাচানোর জন্য হুয়াওয়ে এখন ক্লাউড বেইসড এমন সব ওয়েব এপ্লিকেশন বানিয়েছে যেগুলো দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হুয়াওয়ের কর্মকর্তারা একই সময়ে একই এপ্লিকেশন ব্যাবহার করে খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি নেটওয়ার্ক এনালাইসিস এর কাজ করতে পারে। যার জন্য তাদের প্রতিবছর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার সেইভ হচ্ছে- এটাও ক্লাউড কম্পিউটিং এর একটা বড় উদাহরণ। তাই সহজ কথায় ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে বুঝায়- ইন্টারনেট ভিত্তিক কোন হ্যার্ডওয়ার বা সফটওয়ার সেবা ব্যবহার করা।


 
এর আরো সহজ একটা উদাহরণ হচ্ছে- ‘গুগলের জিমেইল’। সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ গুগলের ইন্টারনেট ভিত্তিক এই সফটওয়ার বা এপ্লিকেশন সেবা ভোগ করছে ইন্টারনেট ব্যবহারযোগ্য যে কোন ডিভাইস থেকে।

17
জীবন জুড়ে আমাদের বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। অপছন্দের পরিস্থিতি ও লোকেদের মাঝে বাস করতে হয়। আমরা সেই সমস্ত পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। আসুন জেনে আসি প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারি।

১. শরীরের যত্ন নিন

শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক সুস্থতার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। এর জন্যে আপনি পুষ্টিকর খাবার খান, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, এবং শরীরের যত্ন নিন। এর ফলে আপনার শরীর রোজকার ধকলের সাথে যুঝে উঠতে পারবে। ভিটামিন বি-১২ ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার আপনার মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলিকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত বিশ্রামও খুবই প্রয়োজনীয়; কারণ ঘুমের সময় আমাদের শরীর সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে সারিয়ে তোলে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে আপনি ক্লান্ত ও খিটখিটে হয়ে পড়বেন।

২.শারীরিক ব্যায়াম করুন

কায়িক পরিশ্রম সুস্থ মনের জন্যে জরুরি। ব্যায়ামের ফলে শরীরে স্ফূর্তি আসে, ক্লান্তি ও মানসিক চাপ হ্রাস পায়। মনকে চাঙ্গা রাখতে নিজের পছন্দের কোনও কাজ করুন। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার খিদে বাড়াতে সাহায্য করবে; ফলে আপনার ভাল ঘুম হবে, এবং সব মিলিয়ে আপনি মানসিক ভাবে সুস্থ থাকবেন।

৩. নিজের যত্ন নিন

মানসিকভাবে সুস্থতা থাকতে নিজের যত্ন নেওয়া দরকার। মনের মধ্যে আবেগ চেপে রাখবেন না। অবদমিত আবেগ প্রকাশের ফলে মানসিক চাপ ও জটিলতা কমে যায়। নিজের জন্যে কিছুটা সময় আলাদা রাখুন; নিজের মনের কথা শুনুন, বই পড়ুন, ব্যক্তিগত শখ-আহ্লাদ মেটান, বা এমনি হাত-পা ছড়িয়ে সব কাজ ভুলে একটু আরাম করুন।

৪. পছন্দের লোকজনের সাথে সময় কাটান

পছন্দের লোকের সাথে সময় কাটালে নিজের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জন্মায়। বন্ধুবান্ধব, পরিবার, সহকর্মী এবং প্রতিবেশীদের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখুন। এর ফলে আপনি সবার সাথে নিজেকে যুক্ত অনুভব করবেন। সহকর্মীদের সাথে একদিন খেতে যান, বা অনেকদিন বাদে কোনও পুরানো বন্ধুর সাথে দেখা করুন। একটি মিষ্টি হাসি ও স্নেহের আলিঙ্গনের বিকল্প কোনও প্রযুক্তি হতে পারে না।

৫. কোনও শখ গড়ে তুলুন বা নতুন কিছু করুন

পছন্দ অনুযায়ী কাজ করলে পরে মনও ভাল থাকে। এর ফলে মাথায় দুশ্চিন্তা আসে না এবং অবদমিত আবেগগুলিও প্রকাশ পায়। তাছাড়া শখের কাজকর্ম করলে আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। নতুন কাজের সঙ্গে যুক্ত হলে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও তৈরি হয়, ফলে বাইরের জগতে আপনি নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সাথে মেলে ধরতে শেখেন। নতুন জিনিস শিখলে মনের একঘেয়ে চিন্তা কেটে যায়, মনঃসংযোগ বাড়ে, এবং নতুন কিছু শেখার আনন্দে মন ভাল থাকে।

৬. দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন

আমাদের সবারই বিভিন্ন লোকজন বা পরিস্থিতির কারণে দুশ্চিন্তা হয়। এই কারণগুলিকে প্রথমে চিহ্নিত করুন, তারপর সেগুলির উপর পুনরায় বিচার করুন। আপনি সেগুলি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে পারেন, যদি তা সম্ভব হয়। অনেক সময় সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আপনি সেই ব্যক্তিদের বা পরিস্থিগুলিকে সামলাতে পারেন না। এই জন্যেই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট শেখা জরুরি।

৭. নিজের উপরে ভরসা হারাবেন না

আমরা সকলেই আলাদা, এবং আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই নিজস্ব ক্ষমতা এবং দুর্বলতা ররেছে। নিজের দুর্বলতাকে মেনে নিয়ে নিজের ক্ষমতার উপরে ভরসা রাখলে জীবনে এগিয়ে চলার সাহস পাওয়া যায়। সবারই কোনও না কোনও দুর্বলতা থাকে, আপনারও আছে; কেউই নিখুঁত নয়। আপনি নিজের দুর্বলতাকে দূর করার প্রয়াস করতে পারেন, অথবা সেগুলোকে নীরবে মেনে নিতে পারেন। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত আপনিও নিখুঁত নন, এটা মেনে নেওয়াটাই কিন্তু সুস্থ মানসিকতার পরিচয়। নিজের ক্ষমতা বুঝে বাস্তবসম্মত লক্ষ্য তৈরি করুন। সর্বপরি না বলতে শিখুন। এটা কোনও অন্যায় নয়।

৮. নিজেকে মেলে ধরুন

অনেক সময়ই আমরা নিজের আবেগ মেলে ধরতে লজ্জা পাই। নিজের মনোভাব মেলে ধরতে পারা, মনকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই নিজের ইচ্ছা বা ভাবনা চেপে রাখেন, যা খুবই ক্ষতিকর। এর ফলে সেই মানসিকতা আরও বেড়ে যায়। ফলে দুশ্চিন্তাও পাল্লা দিয়ে বাড়ে। ফলে অন্য কোনও দিকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবেগ চেপে রাখার ফলে গুরুতর রকম ডিপ্রেশন আর অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার দেখা দিতে পারে। সামান্য রাগ বা দুঃখও চেপে রাখা উচিত নয়। শুধু জানতে হবে যে সবদিক বজায় রেখে আবেগের বহিঃপ্রকাশের উপায় কী।

৯.সাহায্য চান

এই দুনিয়াতে আক্ষরিক অর্থে সুখী ও নিশ্চিন্ত জীবন কেউ কাটান না। কাজেই মন খারাপ হলে, বিপদে পড়লে, হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়লে, বিচলিত হলে, রেগে গেলে, অথবা পরিস্থিতির সাথে খাপ না খাওয়াতে পারলে, বিশ্বাসযোগ্য কোনও ব্যক্তি যেমন – আপনার জীবনসঙ্গী, বন্ধু, অভিভাবক, ভাই-বোন বা আত্মীয়ের সাথে কথা বলুন। তাতেও না হলে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। দেরি করবেন না। এতে লজ্জার কিছুই নেই; বরং একে আশার আলো হিসেবে দেখুন। জীবনের বাঁধা বিপত্তিতে একলা চলতে হবে না। প্রাণোচ্ছল জীবনের এটাই একমাত্র রাস্তা।

18
‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নাল সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিরাপদ, এক ডোজেই ৯০% মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। প্রায় ১,০৭৭ মানুষের ওপর পরীক্ষার পর দেখা গেছে ৯০ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারার অবস্থায় আছে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন ।

অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এপ্রিল থেকেই। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অক্সফোর্ড। প্রথম পর্যায়ের রিপোর্ট প্রকাশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ও সন্তোষজনক। ২০১৩ সালে যখন আফ্রিকা থেকে ইবোলা ভাইরাসের যাত্রা! মহামারী আকার ধারণ করে। সেসময় আলোর দিশারী হিসেবে, ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন অক্সফোর্ড বিজ্ঞানী অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট।

20
১. জিভ দেখে অনেক কিছু বুঝা যায়। জিভের নমুনা একেবারে অনন্য। তাই কাউকে জিভ দেখানোর সময় এটি মনে রাখবেন।

২. একটি চুল ঝুলন্ত আপেলের ওজন ধরে রাখতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা আপেলের মাত্রা নির্দিষ্ট করেন নি।

৩. কোনও ব্যক্তির মুখে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা পৃথিবীর মোট লোক সংখ্যার সমান বা তারও বেশি।

৪. ব্যক্তির নখগুলো নরম ও ভঙ্গুর এবং চাঁদহীন হলে তা অতিরিক্ত থাইরয়েডের নির্দেশ করতে পারে।

৫. মস্তিস্কের স্পন্দনের গতি ঘন্টায় প্রায় ৪০০ কিলোমিটার।

৬.আমাদের ধারণা চার ধরণের রক্ত রয়েছে আমাদের দেহে। আসলে রক্তের ধরন ২৯ টি। তাদের মধ্যে বিরলতম হচ্ছে বোম্বাই সাব টাইপ।

৭. মাত্র একদিনে আমাদের রক্ত ​​১৯৩১২ কিলোমিটার দূরত্ব দৌড়ায়।

৮. মানবদেহের সকল স্নায়ুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৫ কিলোমিটার।

৯. একজন মানুষ প্রতিদিন প্রায় ২০০০০ বার শ্বাস নেয়।

১০. বিশ্বের প্রায় সকল লোকের চোখের পাতায় ডেমোডেক্স নামের একটি বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে।

১১. মানুষের চোখ ১ কোটি পর্যন্ত নানা রংয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক এর সবগুলো মনে রাখতে পারে না।

১২. আমাদের কান প্রায় অবিশ্বাস্য গতিতে জীবনব্যাপী বাড়তে থাকে। কান প্রতি বছর এক মিলিমিটারের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

১৩. আমাদের হৃদপিণ্ড বছরে ৩৫ মিলিয়ন বার বিট দেয়।

১৪. মানবদেহ প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন ত্বকের কোষ হারিয়ে ফেলে, যার পরিমাণ বছরে ২ কিলোগ্রাম হয়।

১৫. আপনার ত্বকের প্রতি ১ বর্গ সেন্টিমিটারে প্রায় শতাধিক ব্যথা সংবেদক রয়েছে।

১৬. ছেলেদের জিহ্বার পৃষ্ঠে মেয়েদের চেয়ে স্বাদের কুঁড়ি(টেষ্ট বাট) কম থাকে।

১৭. একজন ব্যক্তি তার জীবনে গড়পড়তায় প্রায় ৩৫ টন খাদ্যগ্রহণ করে।

১৮. একজন মানুষ তার জীবনের প্রায় পাঁচ বছর দারুণ সক্রিয় থাকে।

১৯. আমাদের মস্তিস্কে প্রতি সেকেন্ডে ১০০০০০ রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে।

২০. আপনার হাঁচির গতি ঘন্টায় ১৬০ কিমি।

২১. হাসিতে মুখের ১৭টি পেশিকে ট্রিগার করে। অন্যদিকে কান্নায় ৪৩ টি পেশি সক্রিয় হয়ে উঠে। তাই আরও হাসুন।

21
বেঁচে থাকুক পৃথিবী, বেঁচে থাকুক মানবতা, বেঁচে থাকুক ভালবাসা! মানুষ কুৎসিত, বিভৎস, পশুর চেয়ে অধম, মনুষ্যত্বহীন আরো কত কিছু বলি! এই ইট, কাঠের শহর জানে কত বিভৎস মানুষের মন; এই আবেগের শহরে বিবেকহীন মানুষের অভাব নেই! মানুষ আর মানুষ নেই। আছে মনুষ্যত্ব ও বিবেকহীন আবেগে টইটুম্বুর মানুষের খোলস। মৃত্যুর আর্তনাদও এই আবেগের কাছে বড়ই তুচ্ছ। তবে যে যাই বলুক, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’- এর উপরে আর কোন সত্যি নেই! তিনটে ঘটনা বলি, মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
https://www.natunbarta.com/%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%98%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%93/

22
আপনাদের মনে কখনো প্রশ্ন জাগেনি যে, ফেসবুক তো আমাদেরকে তাদের কোনো সার্ভিস ইউজ করার জন্য কোনো রকম চার্জ করে না, তাহলে ফেসবুক এত বিলিয়ন ডলার কোম্পানি কিভবে হয়ে গেল? ইউটিউব, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এরা কি বিক্রি করে? গুগল কেন আপনার পুরো ফোনের এক্সেস নেয়?
https://www.natunbarta.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8b%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%ae/

23
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পৃথিবীজুড়ে লাখো ঝুঁকিপূর্ণ বা সন্দেহভাজন মানুষকে ঘরে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগও গত সপ্তাহের শেষ থেকে জোরেশোরে কেন্দ্রীয়ভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিচ্ছে। এ সময় বিদেশফেরত সবাইকে ঘরে বা স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে।

বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এসব জানানো হয়েছে।


এতে বলা হয়েছে:


কোয়ারেন্টিনে বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। তা সম্ভব না হলে অন্যদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঘুমানোর জন্য পৃথক বিছানা ব্যবহার করতে হবে। আলো–বাতাস ঢোকে, এমন ঘরে থাকতে হবে।

সম্ভব হলে পৃথক গোসলখানা এবং শৌচাগার ব্যবহার করতে হবে। সম্ভব না হলে ওই স্থানগুলোতে জানালা খুলে রেখে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়, এমন স্থানের সংখ্যা কমাতে হবে।

বুকের দুধ খাওয়ান এমন মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। শিশুর কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক পরতে হবে এবং ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

কোয়ারেন্টিনে থাকা শিশুকে তার জন্য প্রযোজ্যভাবে বোঝাতে হবে। তাদের পর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী দিতে হবে। খেলার আগে ও পরে খেলনাগুলো জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

কোয়ারেন্টিনে কোনো পশুপাখি রাখা যাবে না।

বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে একই ঘরে অবস্থান করলে, বিশেষ করে এক মিটারের মধ্যে আসার সময় মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক পরে থাকার সময় এটি হাত দিয়ে ধরা যাবে না। মাস্ক ব্যবহারের সময় সর্দি, থুতু, কাশি, বমি ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে নতুন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহৃত মাস্ক ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলে সাবান–পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।

বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এসব জানানো হয়েছে।

একজনের ব্যক্তিগত সামগ্রী আরেকজন ব্যবহার করবেন না। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির থালা, গ্লাস, কাপসহ বাসনপত্র, তোয়ালে, বিছানার চাদর অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। এসব জিনিসপত্র ব্যবহারের পর সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত বা তার পরিচর্যায় ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, টিস্যু ইত্যাদি অথবা অন্য আবর্জনা ওই ঘরে রাখা ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলতে হবে। এসব আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

দৈনন্দিন রুটিন, যেমন খাওয়া, হালকা ব্যায়াম ইত্যাদি মেনে চলতে হবে। সম্ভব হলে বাসা থেকে অফিসের কাজ করতে হবে।

বই পড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা অথবা ওপরের নিয়মগুলোর পরিপন্থী নয় এমন যেকোনো বিনোদনমূলক কাজে যুক্ত হওয়া যাবে।

পরিবারের কোনো সুস্থ সদস্য অর্থাৎ যাদের দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, অ্যাজমা ইত্যাদি নেই, এমন একজন ব্যক্তি পরিচর্যাকারী হিসেবে নিয়োজিত হতে পারেন। তিনি ওই ঘরে বা পাশের ঘরে থাকবেন। অবস্থান বদল করবেন না। কোয়ারেন্টিনে আছেন, এমন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো অতিথিকে দেখা করতে দেওয়া যাবে না।

পরিচর্যাকারী খালি হাতে ওই ঘরের কোনো কিছু স্পর্শ করবেন না।

কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা তার ঘরে ঢুকলে, খাবার তৈরির আগে ও পরে, খাবার আগে, শৌচাগার ব্যবহারের পরে, গ্লাভস পরার আগে ও খোলার পরে বা যখনই হাত দেখে নোংরা মনে হবে, তখনই দুই হাত পরিষ্কার করতে হবে।

ঘরের মেঝে, আসবাব, শৌচাগার ও বাথরুম প্রতিদিন অন্তত একবার পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কারের জন্য এক লিটার পানির মধ্যে ২০ গ্রাম বা ২ টেবিল চামচ ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে তা দিয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে। ওই দ্রবণ সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।

কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে নিজের কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি গুঁড়া সাবান বা কাপড় কাঁচার সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে বলতে হবে। কাপড় ভালোভাবে শুকাতে হবে।

নোংরা কাপড় একটি লন্ড্রি ব্যাগে আলাদা রাখতে হবে। মলমূত্র বা নোংরা লাগা কাপড় ঝাঁকানো যাবে না এবং নিজের শরীর বা কাপড়ে যেন না লাগে, তা খেয়াল করতে হবে।

কোয়ারেন্টিনের সময় ফোন, ইন্টারনেটের সাহায্যে যোগাযোগ রাখতে হবে।

কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় কোনো উপসর্গ যেমন ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর, কাশি, সর্দি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা দিলে অতি দ্রুত আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে পরবর্তী করণীয় জেনে নিতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোয়ারেন্টিন শেষ হবে। চিকিৎসকের সিদ্ধান্তমতে একজন থেকে অন্যজনের কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা আলাদা হতে পারে। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ সময়সীমা ১৪ দিন।

24
বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাস ঘিরে বেশির ভাগ আলোচনা মাস্ক ও গ্লাভস পরা ও হাত ধোয়ার বিষয়টিকে ঘিরে।


স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের মতো ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলো জীবাণুমুক্ত করার দিকেও নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্য গবেষকরা বিভিন্ন সময় স্মার্টফোনে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিষয়ে সতর্ক করেছেন, যা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। যদি ডিভাইসে ব্যাকটেরিয়া থাকে, তবে বারবার হাত ধুয়েও কোনো কাজ হবে না।

এক গবেষণায় জানা গেছে, শৌচাগারের চেয়ে তিনগুণ বেশি জীবাণু থাকে স্মার্টফোনের পর্দায়। ইনস্যুরেনসটুগো নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই গবেষণা চালায়। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, স্মার্টফোনের পর্দায় থাকা এসব জীবাণু ত্বকের রোগসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ হতে পারে। পরীক্ষা করা স্মার্টফোনগুলোর পর্দার প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে গড়ে ৮৪ দশমিক ৯ ইউনিট জীবাণু পাওয়া গেছে। অন্যদিকে কমোড ও এর হাতলে থাকে সর্বোচ্চ ২৪ ইউনিট জীবাণু।

আরো পড়ুন: জি কে শামীমের জামিন জানে না রাষ্ট্রপক্ষ

ইনস্যুরেন্সটুগো নামের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা গ্যারি বিস্টোন বলেন, ‘আমরা সাধারণত সব সময় স্মার্টফোন সঙ্গে নিয়েই ঘুরি। এভাবেই নানা জায়গা থেকে ঐ ফোনে বাসা বাঁধে জীবাণু।’

বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। মূলত ভার্চ্যুয়াল জগতে সার্বক্ষণিক থাকার উপায় হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে স্মার্টফোন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক গবেষণায় জীবাণুর বিস্তারে স্মার্টফোনের ভূমিকার বিষয়টি জোরালো হয়েছে।

স্মার্টফোন ও অন্য ডিভাইস থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে যা করবেন :

* একই পকেটে স্মার্টফোন ও রুমাল রাখবেন না। এতে আপনার ডিভাইসে থাকা জীবাণু রুমালের মাধ্যমে সহজে মুখে পৌঁছে যেতে পারে।

* ফোন কল করার সময় সরাসরি ফোন কানে ধরার বদলে হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভাইরাস ফোন থেকে মুখে পৌঁছাবে না। n যে কম্পিউটার একাধিক ব্যক্তি বারবার ব্যবহার করেন, সেগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। ক্যাফেতে বসে বা পাবলিক কম্পিউটারে বসতে হলে স্টেরিল গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন। n আপনার স্মার্টফোন যদি আইপি ৬৮ মানের বা পানিরোধী হয়, তবে তা সাবান ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ফোন পরিষ্কারের আগে অবশ্যই তা বন্ধ করে নেবেন।

* হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা পরিষ্কারক কোনো উপাদানের সঙ্গে অ্যালকোহল মিশিয়ে গ্যাজেট পরিষ্কার করার কথা ভাবা যেতে পারে। যদিও এ প্রক্রিয়ায় ডিভাইস পরিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয় না।

* ল্যাপটপ পরিষ্কারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে টিস্যু দিয়ে ল্যাপটপের প্রতিটি কোনা পরিষ্কার করতে হবে। এ জন্য শুরুতে ল্যাপটপ বন্ধ রাখতে হবে।

* এয়ারফোনও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার কাজে লাগাতে পারে। n ফোন ও ল্যাপটপ পরিষ্কারের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন। n দিনে অন্তত একবার আপনার ব্যবহূত ডিভাইসগুলো পরিষ্কার রাখুন। n অসুস্থ বা সন্দেহভাজন কারও ডিভাইস ধরার আগে সতর্ক থাকুন। নিজের ডিভাইস অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়ার আগেও সচেতন হন। তথ্যসূত্র : গ্যাজেটস নাউ

ইত্তেফাক/এএএম

25
করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এখন বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই ভাইরাস মোকাবেলায় লড়ে যাচ্ছে মানুষ।


তবে অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি ভয়াবহ নয়, কিন্তু এতে আবার অনেকেই মারা যায়।

ভাইরাসটি কীভাবে দেহে আক্রমণ করে, কেন করে, কেনই বা কিছু মানুষ এই রোগে মারা যায়, তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। আর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

‘ইনকিউবেশন’ বা প্রাথমিক লালনকাল :

এই সময়ে ভাইরাসটি নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে। শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর শুরু হয় তার কাজ।

করোনা ভাইরাস নিশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। যেটা আশপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে, ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেওয়ার পর মুখে হাত দেওয়ার মাধ্যমে তা দেহে প্রবেশ করতে পারে।

শুরুতে গলা, শ্বাসনালী, এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে।

এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না। এছাড়া কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না।

করোনা অনেকের কাছে নিরীহ বলে মনে হবে :

১০ জনের মধ্যে আটজনের জন্যই কোভিড-১৯ একটি নিরীহ সংক্রমণ। যার প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর। শরীরে ব্যথা, গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথাও হতে পারে। তবে এগুলো যে হবেই এমন কোনো কথা নেই।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে। এরপর বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই। এর ফলে শরীরে ব্যথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়।

প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। তবে একটা পর্যায়ে অনেকের কাশির সঙ্গে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করে। যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে।

এই ধাপটি এক সপ্তাহের মত স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে। কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে ফেলে।

তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরো ক্ষতিকর একটি সংস্করণ তৈরি হয়। এই রোগ সম্পর্কে নতুন গবেষণায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে, রোগটির এই ধাপে আক্রান্তদের সর্দিও লাগতে পারে।

ভয়াবহ ব্যাধি :

এই ধাপের পর যদি রোগ অব্যাহত থাকে, তাহলে যেই কেমিক্যালগুলো শরীরে বার্তা পাঠাতে থাকে সেগুলোর প্রতিক্রিয়া তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ তৈরি করে।

লন্ডনের কিংস কলেজের ডক্টর নাথালি ম্যাকডরমেট বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ভাইরাসটি। ফলে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলে যায়।’

অতি জটিল রোগ :

এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় ৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ অতি জটিল পর্যায়ে যায়। এই ধাপে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে অক্ষম হয় এবং মৃত্যুর বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

এই ধাপে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে এবং সারা শরীরেই বিভিন্ন রকম ক্ষয়ক্ষতি তৈরি করে।

রক্তচাপ যখন মারাত্মকভাবে নেমে যায় তখন এই ধাপে সেপটিক শক পেতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি। এমনকি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র সমস্যা হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয় ফুসফুসে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়লে, কারণ সেসময় শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পুরো শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে কিডনি রক্ত পরিশোধন ছেড়ে দিতে পারে এবং অন্ত্রের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

চিকিৎসক ভারত পঙ্খানিয়া বলেন, ‘ভাইরাসটি এত বড় পরিসরে প্রদাহ তৈরি করে যে, শরীর পুরো ভেঙ্গে পড়ে। একসাথে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফেল করে।’

তবে ক্ষতির মাত্রা বেশি হলে কখনো কখনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শরীরকে আর বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও অনেকসময় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের উহান শহরের জিনইনতান হাসপাতালে মারা যাওয়া প্রথম দুজন আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবান ছিলেন। যদিও তারা দুজনই দীর্ঘসময় ধরে ধূমপান করতেন।

প্রথম যিনি মারা যান, তিনি ছিলেন ৬১ বছর বয়সী এক পুরুষ। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তার তীব্র নিউমোনিয়া ছিল। তার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল। ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও তার ফুসফুস বিকল হয়ে যায় এবং হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে ১১ দিন থাকার পর ঐ ব্যক্তি মারা যান।

৬৯ বছর বয়সী দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মারা যান তারও শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাপক সমস্যা ছিল। সূত্র: বিবিসি

26
Title:  Numerical analysis of natural convective heat transport of copper oxide-water nanofluid flow inside a quadrilateral vessel.

Abstract:
Nanofluid based heat transfer approaches have a tremendous prospect to develop novel cost-effective cooling technologies. In response to this potential development, a problem of unsteady copper oxide-water nanofluid flow and natural convective heat transfer within a quadrilateral vessel with uniform heating of bottom wall using modified Buongiorno model are investigated. The sloping wall of the vessel is maintained at constant low temperature and the uniform thermal condition on the bottom heated wall is considered, whereas the upper horizontal wall is regarded as adiabatic. The governing equations along with boundary conditions are solved using the Galerkin finite element method. Partial differential equation solver COMSOL Multiphysics with Matlab interface is used in the simulation. The results of the present problem of a certain situation as a special case have been verified by the previously published standard numerical investigations. The flow, thermal and concentration fields, local and average Nusselt number for various pertinent parameters entered into the problem have been analyzed. The time evolutions for a steady-state solution are also examined. The results show that the adjustment factor with the optimal nanoparticle volume fraction and the thermal Rayleigh number controls the optimal heat transfer. The trapezoidal vessel having higher sloping angles with the vertical axis exhibits higher heat transfer. Heat transfer decreases rapidly in 1–10 nm size nanoparticles for a nanofluid solution.




https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S2405844019320432
https://doi.org/10.1016/j.heliyon.2019.e01757

27
পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) জানিয়েছে, তাদের পরীক্ষাগারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফরসাকারী ১৩টি স্কিন ক্রিম পরীক্ষা করার পর ৬টিতে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ (মার্কারি) পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দুটি ব্র্যান্ডের ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত পারদের পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত হাইড্রোকুইনোন পাওয়া যায়। আটটি ব্র্যান্ডই পাকিস্তানি।

মাত্রার চেয়ে বেশি পারদ ও হাইড্রোকুইনোন মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছে বিএসটিআই। তারা বলছে, এসব স্কিন ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হতে পারে।
বিএসটিআই আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তাদের নিয়মিত পরিদর্শন দলের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য কিনে পরীক্ষা করা হয়। স্কিন ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান (বিডিএস ১৩৮২:২০১৯) অনুযায়ী মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম। আর হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম।


পরীক্ষায় পাকিস্তানের গোরি কসমেটিকস (প্রাইভেট) লিমিটেডের গোরি ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৭৫৬ পিপিএম, এস জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনি ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৬৩০ পিপিএম, কিউ সি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৫৯০ পিপিএম, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ২৮৬ পিপিএম, গোল্ডেন পার্ল কসমেটিকসের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৬৫৪ পিপিএম ও পুনিয়া ব্রাদার্সের ফাইজা ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে ৫৯০ পিপিএম পারদ পাওয়া যায়।


এ ছাড়া পাকিস্তানের নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ১৯৪ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮১ পিপিএম এবং পাকিস্তানের হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে পারদের মাত্রা ৯৪৯ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৫ পিপিএম পাওয়া গেছে।

বিএসটিআই জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রং ফরসাকারী ক্রিম বিক্রি ও বিতরণ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় আমদানিকারক/সরবরাহকারী/বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে বিএসটিআইর অনুমোদনহীন এসব স্কিন ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য ক্রেতাসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিএসটিআইর লোগো, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা দেখে পণ্য কেনার অনুরোধ জানানো হয়।

https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1642732/%E0%A7%AE-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A6

28
প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ: ডেঙ্গুর কোনো ভ্যাক্সিন নেই। যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাস চার টাইপের, তাই এই চারটি ভাইরাসের প্রতিরোধে কাজ করে, এমন ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হয়নি। তাই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। মনে রাখতে হবে, এডিস একটি ভদ্র মশা, অভিজাত এলাকায় বড় বড় সুন্দর সুন্দর দালান কোঠায় এরা বাস করে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সাথে মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং এডিস মশা প্রতিরোধ।

ব্যক্তিগত সর্তকতা: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সতর্কতার গুরুত্ব অপরিসীম। মনে রাখতে হবে এডিস মশা মূলত দিনের বেলা, সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়, তবে রাত্রে উজ্জ্বল আলোতেও কামড়াতে পারে। তাই –
➡️দিনের বেলা যথাসম্ভব শরীর ভালোভাবে কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে, পায়ে মোজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
➡️বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট বা পায়জামা পড়াতে হবে।
➡️ মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য দিনে ও রাতে মশারী ব্যবহার করতে হবে। দরজা-জানালায় নেট লাগাতে হবে।
➡️প্রয়োজনে মসকুইটো রিপেলেন্ট, স্প্রে, লোশন বা ক্রিম, কয়েল, ম্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে।

বসতবাড়ির মশা নিধন: যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই-
➡️ ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, বাড়িঘরে এবং আশপাশে যেকোনো পাত্র বা জায়গায় জমে থাকা পানি ৩ থেকে ৫ দিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মারা যাবে।
➡️ পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে পরিষ্কার করলে ভালো ।
➡️ ঘরের বাথরুমে কোথাও জমানো পানি ৫ দিনের বেশি যেন না থাকে।
➡️ একুরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচে এবং মুখ খোলা পানির ট্যাংকে যেন পানি জমে না থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
➡️ বাড়ির ছাদে অনেককে বাগান করতে দেখা যায়, সেখানে টবে বা পাত্রে যেনো জমা পানি ৫ দিনের বেশি না থাকে, সেদিকেও যত্নবান হতে হবে।
➡️ বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

 বসতবাড়ির বাইরে মশার বংশ বিস্তার রোধ: এই কাজগুলোর দ্বায়িত্ব বর্তায় প্রশাসনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের।
➡️ ঘরের বাইরে মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হওয়ার ফলে পানি জমতে পারে। যেমন: ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারির শেল, পলিথিন/চিপসের প্যাকেটে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করতে হবে।
➡️ মশা নিধনের জন্য স্প্রে বা ফগিং করতে হবে।
➡️ বিভিন্ন রাস্তার আইল্যান্ডে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফুলের টব, গাছপালা, জলাধার ইত্যাদি দেখা যায়। এখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকতে পারে। সেগুলোতেও যেনো পানি জমে না থাকে, সে ব্যপারে যত্নবান হতে হবে।

পরিশেষে বলা যায়, ডেঙ্গু জ্বর হয়তো নির্মূল করা যাবেনা, এর কোনো ভ্যাক্সিন কিংবা কার্যকরী ঔষধও আবিষ্কৃত হয়নি। ডেঙ্গু জ্বরের মশাটি আমাদের দেশে আগেও ছিল, এখনও আছে, মশা প্রজননের এবং বংশবৃদ্ধির পরিবেশও আছে। তাই ডেঙ্গু জ্বর ভবিষ্যতেও থাকবে। একমাত্র সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে মুক্তি সম্ভব।

29
ধুলাবালি, যানবাহনের কালো ধোঁয়া—নানান কিছুতে শহরের বাতাস এখন দূষিত। ভোগান্তিতে পথাচারীরা। ঢাকার দূষণ কতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটি তুলে ধরেছে বৈশ্বিকভাবে বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর।

বায়ু দূষণ থেকে বাঁচার উপায়: এই দূষণ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য সচেতন শহরবাসী মুখ ঢেকে নিচ্ছেন মাস্কে। বসন্তে যেমন একটানা পাতা ঝরতে থাকে, আবার অতর্কিত ঝড়ে উড়তে থাকে ধুলা। এই ধুলা, এই শুকনো পাতায় ভর করে রোগজীবাণু ঘুরে বেড়ায় শহরে। আর বায়ুদূষণের অন্য উপাদানগুলো তো রয়েছেই। বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধে এই মাস্ক হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ ফ ম হেলাল উদ্দিন জানান, যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে কিংবা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাঁরা ধুলাবালির সংস্পর্শে এলে দ্রুত উপসর্গগুলোর প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে মাস্ক ব্যবহার করাটা ভালো। এ ছাড়া গণপরিবহনে চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করলে অনেক সংক্রামক রোগ এড়ানো সম্ভব। দূষিত বাতাস এবং ধুলাবালি একদিকে যেমন ফুসফুসের সংকোচন–প্রসারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, অন্যদিকে ফুসফুসের বায়ু ধারণক্ষমতা কমাতে থাকে। এসব এড়াতে অনেকেই এখন মাস্ক ব্যবহার করেন। তবে সঠিক মাস্কটি কি ব্যবহার করছেন? অস্বাস্থ্যকর এবং প্রায় বায়ুরোধী মাস্কে উল্টো না ক্ষতি হয়ে যায়।

আ ফ ম হেলাল উদ্দিন বলেন, বাজারে যেসব কাপড়ের তৈরি মাস্ক পাওয়া যায়, তার চেয়ে ডিসপোজিবল সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা ভালো। চাইলে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে মাস্কটি কী ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি, সেটি যাচাই করে নিন। প্রতিদিন সেটি গরম পানিতে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। সোয়াইন ফ্লু কিংবা বার্ড ফ্লুর মতো রোগের সংক্রমণ এড়াতে কিন্তু এই মাস্কগুলো যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন ফিল্টারযুক্ত মাস্ক। সাধারণ সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত সার্জিক্যাল মাস্কগুলো দেশের প্রায় প্রতিটি ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়।

সূত্রঃ প্রথম আলো

30
প্রথমে রাজধানীর আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রবাড়ী পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে ২০২০ সালের মধ্যেই সারাদেশে চালু হবে এই পাসপোর্ট সেবা। প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। নতুন প্রযুক্তির এই পাসপোর্ট কিভাবে পাওয়া যাবে? আসুন জেনে আসি।

ই-পাসপোর্টের আবেদন: অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে নতুন পাসপোর্টের জন্য। সেক্ষেত্রে আগেই ব্যাংকের অনলাইন মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে সরবরাহ করা রেফারেল নম্বর কোডটি ব্যবহার করতে হবে অনলাইন আবেদন ফরমে। আবার কেউ চাইলে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়েও পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে সাবমিট করার পর প্রিন্ট কপি নিতে হবে। সেই কপি স্ব-শরীরে গিয়ে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদন ফরমে ছবি ও সত্যায়ন করা না লাগলেও পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে।


 
অনলাইনে পূরণ না করে PDF ফরম ডাউনলোড করে হাতেও পূরণ করা যাবে। ফরম পূরণের সময় ছবি সত্যায়ন করতে হবে না। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় ই-পাসপোর্টের জন্য ডেমোগ্রাফিক তথ্য, ১০ আঙুলের ছাপ, চোখের কর্নিয়ার ছবি ও ডিজিটাল সই সংগ্রহ করবে পাসপোর্ট অফিস। এসব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টার ও ডিজ্যাস্টার রিকভারি সেন্টারের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি পাসপোর্টের আবেদনকারীদের পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য পার্সোনালাইজেশন সেন্টারে পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের পর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও দূতাবাসগুলোয় পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। সব তথ্য চিপে যুক্ত থাকবে। ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ যন্ত্রের সামনে পাসপোর্টের পাতাটি ধরতেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।

কত টাকা ও কত দিনে পাবেন ই-পাসপোর্ট? নিম্নোক্ত হারে পাসপোর্ট ফি প্রযোজ্য হবে (ভ্যাটসহ) : ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার পাসপোর্ট বইঃ সাধারণ (২১ কর্মদিবস), ৪০২৫/- টাকা জরুরী (১০ কর্মদিবস) ৬৩২৫/- টাকা অতি-জরুরী (২ কর্মদিবস) ৮৬২৫/- টাকা ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার পাসপোর্ট বইঃ সাধারণ (২১ কর্মদিবস), ৫,৭৫০/- টাকা জরুরী (১০ কর্মদিবস) ৮,০৫০/- টাকা অতি-জরুরী (২ কর্মদিবস) ১০,৩৫০/- টাকা ৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতার পাসপোর্ট বইঃ সাধারণ (২১ কর্মদিবস), ৬৩২৫/- টাকা জরুরী (১০ কর্মদিবস) ৮৬২৫/- টাকা অতি-জরুরী (২ কর্মদিবস) ১২০৭৫/- টাকা ১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতার পাসপোর্ট বইঃ সাধারণ (২১ কর্মদিবস), ৮,০৫০/- টাকা জরুরী (১০ কর্মদিবস) ১০,৩৫০/- টাকা অতি-জরুরী (২ কর্মদিবস) ১৩,৮০০/- টাকা।


 
তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতি জরুরি পাসপোর্ট দু’দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট সাত দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 9