Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Shahrear.ns

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 9
31
পাসপোর্ট কোনো দেশের  নাগরিকদের বিদেশে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত দলিল। জন্মসূত্রে বা অভিবাসনসূত্রে স্ব স্ব দেশের সরকার এটি নাগরিকদের প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পাসপোর্ট অফিস  বা বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ইসরাইল ব্যতীত পৃথিবীর সব দেশে যাওয়ার  অনুমতি রয়েছে।
পাসপোর্ট করার নিয়ম কিছুটা জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী। সাথে দালালদের দৌরাত্ম্যের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করতে অনেক সময় লাগে ও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আগে পাসপোর্ট করতে ঢাকার পাসপোর্ট অফিসই ছিল শেষ ভরসা।এখন সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রায় সব জেলায় তৈরি হয়েছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। সেখান থেকে অতি সহজেই পাসপোর্ট করা যায়।
১ম ধাপ – ফর্ম পূরণ ও টাকা জমা দেওয়া :
গুগল থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে নিজেই পূরণ করা যায়। সেক্ষেত্রে, ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে ফর্ম পূরণ করতে চাইলে চলে যেতে পারেন পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশের কোন দোকানে। প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসের পাশেই থাকে ব্যাংক ও ফর্ম পূরণের দোকান।৩০০/- টাকার বিনিময়ে সেখান থেকে ফর্ম পূরণ করে প্রিন্ট করিয়ে নিতে পারেন।
ফর্ম পূরণ করতে যে জিনিসগুলো লাগবে :
* জাতীয় পরিচয় পত্রের মূলকপি ও দুটি ফটোকপি।পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম সনদ লাগবে।
*২-৪ টি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
*সরকারি কর্মকর্তা হলে NoC এর কপি।
* ছাত্র হলে ছাত্র আইডি কার্ডের কপি দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ- ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া :
এবার ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পালা। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ফি ৩৫০০/- টাকার মতো এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য কিছু টাকা বেশি ফি দিতে হবে। তারপর ব্যাংক থেকে ফর্মে কিছু সিল এবং স্লিপ দিবে।
তৃতীয় ধাপ – সত্যায়িত করা :
ফর্মের মোট দুটি কপি করতে হবে।প্রতি কপিতে লাগাতে হবে একটি ছবি।এবার ফর্ম দুটির সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি স্ট্যাপল করে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কোন অফিসারের মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ – ফর্ম জমা দেওয়া :
এবার কাজ পাসপোর্ট অফিসে। সেখানে নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দিতে হবে।তারপর অপেক্ষার পালা।
পঞ্চম ধাপ – ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ :
ফর্ম জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।ভেতর থেকে নাম ডাকলে আবার তাদের কাছে যেতে হবে।সেখানে কর্মরত ব্যক্তি কিছু প্রশ্ন করতে পারে পাসপোর্টের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করতে।সব ঠিক থাকলে তারা একটি রুম নম্বর বলে দিবে।যেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে, ডিজিটাল যন্ত্রে সাক্ষর করতে হবে, আইরিশ দিতে হবে এবং ছবি তুলতে হবে।খেয়াল করতে হবে, অবশ্যই সাদা রঙের জামাকাপড় পরা যাবে না।গাঢ় রঙের মার্জিত পোশাক পরা যুক্তিসঙ্গত। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা আবার একটি ফর্ম প্রিন্ট করে দিবে।সেটা সংরক্ষণ করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ- পুলিশ ভেরিফিকেশন :
ফর্ম জমা দেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে থানা থেকে ফোন আসবে। আগে উৎকোচ ছাড়া কাজ হতোনা, তবে এখন থানা থেকে বারবার উৎকোচ প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হয়। পুলিশ বাসায় এসে পাসপোর্টের তথ্যসমূহ মিলিয়ে দেখবে।
সপ্তম ধাপ – অপেক্ষা :
পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে মোবাইলে পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট জানিয়ে মেসেজ আসবে।এছাড়া অফিস থেকে দেওয়া স্লিপেও আইডি পাসওয়ার্ড থাকে যাতে ক্লিক করে পাসপোর্টের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। নির্দিষ্ট দিনে অফিসে স্লিপ প্রদান করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।

32
আজ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে (কভিক১৯) মৃতের সংখ্যা ২৭৭০, চীন ছাড়িয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ৩৯ টিরও বেশী দেশে, প্রতিদিন নতুন নতুন শহর, দেশ, মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারী হিসেব মতেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা আজ পর্যন্ত ৮১,১৯৪।

https://www.natunbarta.com/national/2020/02/27/210485/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95/

34
কোথায় নেই গুগল! গুগল কিংবা গুগলের কোনো পণ্য বা সেবা ছাড়া একটি দিন পার করার কথা কল্পনা করাও দিন দিন প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। গুগল ম্যাপ থেকে শুরু করে ইউটিউব—উঠতে–বসতে আমরা গুগলের কোনো না কোনো কিছু ব্যবহার করছিই।

গুগল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কতটা প্রভাব ফেলছে, তার প্রমাণ মিলবে পরিসংখ্যানেও। প্রতি মাসে ১০০ কোটির বেশি মানুষ গুগলে কিছু না কিছু সার্চ করছেন, মাসে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করছেন, একই সময়ে প্রায় ১২০ কোটি লোক জিমেইল ব্যবহার করছেন। বিশাল এই ব্যবহারকারীর সংখ্যাই জানান দিচ্ছে, মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা দিন দিন সহজ থেকে সহজতর হয়ে পড়ছে গুগলের জন্য। কিন্তু যাঁরা গুগল বা গুগলের পণ্য ব্যবহার করছেন, গুগল কি শুধু তাঁদের তথ্যই সংগ্রহ করছে? নাকি যাঁরা গুগল ব্যবহারকারী নন, তাঁদের তথ্যও জমা হয়ে যাচ্ছে গুগলের তথ্যভান্ডারে? ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডগলাস সি স্মিডট চেষ্টা করেছেন এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার।

এ প্রশ্নের উত্তর পেতে প্রথমে জানতে হবে গুগল কীভাবে তাদের ব্যবহারকারী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। যখন একজন ব্যবহারকারী জিমেইল, ইউটিউব কিংবা গুগলের অন্য যেকোনো সেবায় তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলছেন বা লগ ইন করছেন, তখনই গুগলের তথ্যভান্ডারে তাঁর ব্যক্তিগত সব তথ্য জমা হয়ে যাচ্ছে। এটি হলো গুগলের তথ্য সংগ্রহের সক্রিয় পদ্ধতি।

তবে গুগলের তথ্য সংগ্রহ করার আরও একটি ‘পরোক্ষ’ পদ্ধতি রয়েছে, যেটি কিনা অনেক ব্যবহারকারীই জানেন না। মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকা অ্যাপস কিংবা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে গুগল। এই দুই উপায়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অনলাইনের তো বটেই, মানুষের বাস্তব জীবনের তথ্যও চলে যাচ্ছে গুগলের হাতে। আর জমা করা এসব তথ্য দিয়ে প্রত্যেকের জন্য আলাদা প্রোফাইলও বানিয়ে ফেলছে তারা।

Eprothom Alo
গবেষণা বলছে, গুগল সারা দিনে যত তথ্য সংগ্রহ করে, তার দুই–তৃতীয়াংশই করে এই ‘পরোক্ষ’ উপায়ে। ধরুন, আপনি গুগল বা গুগলের কোনো পণ্য ব্যবহার করছেন না, কিন্তু এরপরও গুগল আপনার ব্যক্তিগত তথ্য খুব সহজেই তাদের ভান্ডারে জমা করে ফেলতে পারে। কীভাবে করে, সেটিই গবেষণা করে দেখাতে চেয়েছেন স্মিডট।

ধরুন, আপনি কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে কিংবা অনলাইনে কোনো সংবাদের লিংকে ঢুকে সংবাদটি পড়তে পড়তে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হলেন। আপনার ফোনে যদি কোনো কারণে জিপিএস প্রযুক্তিটি চালু করা থাকে, তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন, এই অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ–অপছন্দের তথ্য জমা হয়ে গেছে গুগলের তথ্যভান্ডারে। জিপিএস ব্যবহার করে গুগল ম্যাপ আপনার লোকেশন জেনে নেবে এবং আপনার ফোনের আইপি অ্যাড্রেসটিও তাদের জানা হয়ে যাবে।

এরপর আপনি যে সংবাদটিতে ক্লিক করলেন, সেটিকে ভিত্তি করে গুগল আপনার পছন্দ কিংবা রুচি সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা দাঁড় করাবে। এরপর থেকে আপনি যখনই অনলাইনে সংবাদ খোঁজার জন্য ঢুকবেন, দেখবেন আশ্চর্যজনকভাবে সেই ধরনের সংবাদগুলো ঘুরেফিরে আপনার সামনে আসছে। এটি সম্ভব হয়, কারণ আপনার অজান্তেই গুগল আপনার পছন্দ–অপছন্দ মিলিয়ে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করে ফেলেছে।

শুধু তা–ই নয়, আপনি যে গানটি শুনলেন, সেটিকে ভিত্তি করেও গুগল আপনার প্রোফাইল সমৃদ্ধ করবে। এরপর থেকে আপনি যখনই কোনো গান শুনতে যাবেন, দেখবেন আপনার সামনে সেই একই ধরনের গান কিংবা সেই গানসংক্রান্ত বিজ্ঞাপন এসে হাজির হচ্ছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে গুগল আপনার তথ্য সংগ্রহ করে রাখছে বলে।

এবার ধরুন, আপনি অফিসে বসে ভাবছেন দুপুরে কী খাবার খাওয়া যায়। কষ্ট করে বাইরে না গিয়ে আপনি মোবাইলের অ্যাপের মাধ্যমে কোনো একটি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করলেন। ব্যস, গুগল আবারও আপনার সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করে ফেলল। কোন দোকান থেকে খাবার কিনলেন, কোন ধরনের খাবার কিনলেন—সবকিছুই রেকর্ড করে রাখবে গুগল। এরপর থেকে আপনি যখনই অনলাইনে খাবার অর্ডার করতে যাবেন, দেখবেন ওই একই ধরনের খাবারের সাজেশনই আসছে আপনার সামনে। আর যদি কোনো কারণে খাবারের দামটা গুগল পে সার্ভিস দিয়ে পরিশোধ করে থাকেন, তাহলে আপনার ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড–সংক্রান্ত তথ্যও জমা হয়ে থাকবে গুগলের কাছে।

এরপর ধরুন, অফিস থেকে ফেরার পথে আপনি মোবাইলের অ্যাপের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি থেকে কোনো গাড়ি ডেকে আনলেন এবং গাড়িতে বসে ইউটিউবে ফুটবল ম্যাচের ভিডিও দেখতে দেখতে বাড়ি ফিরলেন। এতে করে আরও একবার আপনি গুগলের কাছে নিজের তথ্য জানান দিয়ে দিলেন। এরপর থেকে যখনই আপনি ভিডিও দেখতে ঢুকবেন, দেখবেন আপনার সামনে বারবার ফুটবল ম্যাচের নানা রকম ভিডিও চলে আসছে।

গবেষক ডগলাস সি স্মিডট এ কারণেই বলছেন, ‘গুগলের তথ্য সংগ্রহের বেশির ভাগটাই ঘটে যখন একজন ব্যবহারকারী সরাসরি গুগলের কোনো পণ্যের সঙ্গে সংযুক্ত থাকেন।’

গুগলের তথ্য সংগ্রহের অন্যতম বড় মাধ্যম হলো গুগল ক্রোম। আজকাল অনেকেই নিজেদের স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপে গুগল ক্রোম ব্যবহার করছেন। পরিসংখ্যান বলছে, মাসে ২০০ কোটির বেশি মানুষ গুগল ক্রোম ব্যবহার করে। এই গুগল ক্রোম অনলাইনে ব্যবহারকারীদের গতিবিধির সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ করে এবং সেগুলো গুগলের তথ্যভান্ডারে জমা করে। এমনকি যেসব ফোনে গুগল অপারেটিং সিস্টেম নেই (যেমন অ্যাপলের আইওএস), সেগুলোতেও নিজস্ব উপায়ে তথ্য সংগ্রহ করে নেয় গুগল।

অর্থাৎ আপনি গুগল ব্যবহার করুন বা না করুন, গবেষণা বলছে, গুগলের হাত থেকে আপনার নিস্তার নেই!

তথ্যসূত্র: https://www.prothomalo.com/technology/article/1587211/%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87

38
Faculty Sections / Water stress poses greatest threat
« on: March 19, 2018, 02:47:56 PM »
This year, World Water Day, celebrated annually on 22 March, is themed "Nature for Water", examining nature-based solutions (NBS) to the world's water problems.
The campaign - "The Answer is in Nature" - promotes a sustainable way to normalize the cycle of water, reduce harms of climate change and improve human health through planting trees to replenish forests, reconnecting rivers to floodplains, and restoring wetlands.
An estimated 2.1 billion people have no access to drinkable water because of the polluted ecosystems affecting quantity and quality of water available for human consumption. At the same time, the number of individuals living in the water-scarce areas equals 1.9 billion and may reach 3 billion by 2050, while about 1.8 billion people drink water coming from an unimproved source which puts them at risk of water-borne diseases. All of these negatively influence human health, education and livelihoods.
The most water-scarce region in the world is the Middle East and North Africa (MENA) where more than 60% of the population has little or no access to drinkable water and over 70% of the region's GDP is exposed to high or very high water stress.
Water scarcity in MENA involves multiple factors such as climate change leading to droughts and floods, low water quality, and poor water management in the context of fragility, conflict, and violence. This is one of the reasons why at the World Economic Forum 2015, experts on the MENA region stated that the water crisis is "the greatest threat to the region-greater even than political instability or unemployment".
Poor water quality in the region is caused by unsustainable water consumption, pollution and untreated wastewater. The cost of these in the region represents 0.5-2.5% of the GDP annually. This causes multiple problems, ranging from waterborne diseases to the pollution of fresh water necessary for ecosystem services such as fisheries. For this reason, according to the International Union for Conservation of Nature, 17% of freshwater species in the region are on the brink of extinction.
Globally, MENA reports to have the highest loss of freshwater in its food supply chain. Some MENA countries lose from 80 to 177 cubic meters per capita of freshwater resources in the food supply annually. At the same time, MENA does not collect half of the wastewater and returns 57% of the collected wastewater to the environment untreated, causing health problems and high level of wasted water resources.
Climate change is one of the main factors leading to the increased water stress. It causes decreased rainfalls (in some parts of the world) and an increase in temperatures which influence water supply and demand. Climate change also increases surface water stress in the countries with political and environmental problems.
For this reason, regarding MENA, scientists predict that Iraq, Lebanon, Jordan, Morocco, and Syria will experience high "surface water stress" in the following years. At the same time, climate change leads to the sea level rise that increases possibility of floods which are the most frequent natural disasters in MENA. It should also be recognized that the most vulnerable group of people to the "weather-related shocks" is the poor part of the population.
Precisely planned water management is needed to sustainably solve water problems and to propose water services affordable for both consumers and governments. At the same time, water management is necessary to reduce costs and social instability followed after floods, droughts and water scarcity as water problems can contribute to the economic, social and political unrest in the countries. In 2016, World Bank estimated that MENA will lose 6-14% of its GDP because of water scarcity caused by climate change by 2050.
As climate change and damaged ecosystems play an important role in water-related problems, NBS would represent a sustainable way for solving the challenges. The main goals of NBS are the following: 1) increasing water supply and availability; 2) improving water quality; and 3) managing risks.
Hence it follows that NBS can contribute to the following SDGs: zero poverty and hunger, good health, increased employment, affordable and clean energy, industry, infrastructure and innovation, sustainable cities and communities, and responsible consumption and production.
One of the main contributors to the solution of water-related problems is the World Water Council, an international organization which leads World Water Forums every three years. On 18-23 March 2018, WWC organizes the 8th World Water Forum in Brazil to lead the decision-making process on water in order to achieve sustainable management of the resource.
The organization's political and institutional scope transforms the Forum into democratic dialogue between people from different sectors of international community.

39
Faculty Sections / “Six Billion Dollar Man” set for 2019 release
« on: March 04, 2018, 05:44:35 PM »
Warner Bros. has set an early summer release date of May 31, 2019, for Mark Wahlberg's sci-fi action movie “The Six Billion Dollar Man”. The company made the announcement Friday.

Warner Bros. bought the rights to the project late last year from the Weinstein Company, which had been developing the movie with “Wild Tales” director Damian Szifron. It is the second title to land on the date after an untitled Blumhouse project.

 “The Six Billion Dollar Man” is based on the science-fiction television series “The Six Million Dollar Man”, about a former astronaut, Colonel Steve Austin, portrayed by Lee Majors. Austin's character had superhuman strength due to bionic implants and was employed as a secret agent. The series ran for five seasons on ABC between 1973 and 1978 and was based on the Martin Caidin novel “Cyborg”.

In November, 2016, Wahlberg and Bob Weinstein made a presentation of the project to buyers at the American Film Market. Wahlberg had asserted that he was not interested in most superhero projects, adding, “I don't care what it is, how much I'm getting paid, I'm not leaving my trailer in a cape.”

Warner Bros. also said its romance drama “The Sun Is Also a Star” would be released two week earlier on May 17, 2019. Additionally, the studio set the Melissa McCarthy-Tiffany Haddish mob drama “The Kitchen” for release by New Line on Sept. 20, 2019.

40
Faculty Sections / Thalassaemia in Bangladesh: Prevention strategy
« on: March 04, 2018, 05:41:05 PM »
Treatment facilities are limited due to the high cost of medicine and limited availability of blood for transfusion. Furthermore, medicines are not available readily other than in specialised thalassaemic centres in Dhaka and Chittagong. As treatment is expensive and lifelong, majority of the patients hardly afford proper treatment and thus suffer from the complications of the disease.

Awareness of the disease and carrier detection has been partially successful in some countries of the world, especially, where abortion is not legal. Prevention of births of thalassaemic children is the best solution. But prevention of births of thalassaemic children by creating awareness, dissuasion of marriage between carriers or identify carrier couples before marriage and to offer counselling to separate has limited success.

Prenatal diagnosis and abortion of affected fetus have been most successful in preventing the births of thalassaemic children in many countries of the world like Cyprus, Greece and Iran. Prenatal diagnosis is the way to know before birth whether the fetus has thalassaemia or not.

Bangladesh government has taken note of the magnitude of problem of thalassaemia and is recently creating awareness of the disease, which is a very commendable step. It is very important that besides creating awareness of the disease and carrier detection, the government must also simultaneously make facilities for prenatal diagnosis. DNA lab should be immediately set up in each division with proper training of gynaecologists for collection of samples and training of molecular biologists or biochemists for DNA analysis.

Prenatal diagnosis is done for determining the status of the fetus if the fetus is normal, carrier or thalassaemic. It is done by two methods described here.
Chorionic villus sampling (CVS)

A small sample is obtained from the developing placenta which has the same genetic makeup as the fetus. The tissue from the placenta is obtained by means of a needle inserted through the abdominal wall under ultrasound guidance. A small amount of chorionic villi material is aspirated. The technique can be used at any stage from 11 weeks onwards.

CVS is preferable as it is done in the first trimester of pregnancy within the limits laid down by abortion law in many countries. It also reduces the emotional stress associated with late pregnancy diagnosis where there are complications.
Amniocentesis

Amniocentesis is an analysis of amniotic fluid. This procedure is normally done after 15th weeks of pregnancy.

The procedure is an aspiration of about 15-20 ml of fluid from the amniotic cavity surrounding the fetus through the help of a small needle inserted through the abdomen under ultrasound guidance.

The main disadvantage in this method is the lateness of the procedure and diagnosis. Abortion here is psychologically traumatic for the mother. After collection of sample, DNA analysis is done to determine whether the fetus is affected, a carrier or normal. If the fetus is affected which means that s/he will be born with thalassaemia, the choice is with the parents to abort or carry on with the pregnancy.

Dhaka Shishu Hospital Thalassaemia Centre has recently started a DNA lab for analysis of chorionic villus and amniotic fluid sample to detect the status of fetus where the parents are carriers of the thalassaemia or has a previous affected child.

Young couples should test their blood to know the carrier status and if both are carriers of thalassaemia they should go prenatal diagnosis to assess the status of their fetus preferably in early pregnancy (from 11 weeks onwards) and if affected, they may opt for abortion as birth of a thalassaemic child leads to great financial and mental strain.

41
অনেকে বলেন কোটবাড়ি ঢিবি, অনেকে বলেন রাজা হরিশচন্দ্রের প্রাসাদ। স্থানীয় লোকজনের কাছে এই প্রাচীন প্রত্নকেন্দ্রটি হরিশচন্দ্র রাজার বাড়ি হিসেবে পরিচিত। ঢাকার সাভারে নদীর তীরে গড়ে ওঠা প্রাচীন বসতির একটি অন্যতম নিদর্শন এই রাজা হরিশচন্দ্রের ঢিবি বা প্রাসাদ। বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুসারে, বর্তমানে ব্যাপকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত মাটির দেয়ালঘেরা বৃহৎ ঢিবিটি আয়তাকার। কমপক্ষে তিনটি এলাকায় বৌদ্ধ মঠের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এর একটি রাজা হরিশচন্দ্রের ঢিবি বা প্রাসাদ। সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব দিকে মজিদপুর গ্রামে এর অবস্থান। এটিকে সার্বিকভাবে সাত-আট শতকের নিদর্শন বলে ধরে নেওয়া হয়। নব্বইয়ের দশকে খননের পর দেয়ালবেষ্টিত বর্গাকার একটি স্তূপের সন্ধান মেলে। আরও পাওয়া যায় একটি ‘হরিকেল’ রৌপ্যমুদ্রা, একটি স্বর্ণমুদ্রা এবং ব্রোঞ্জের তৈরি বেশ কয়েকটি বুদ্ধমূর্তি। ছবিগুলোর জন্য নিচের লিংকে যান।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1349691/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A2%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF

42
Faculty Forum / বেশি ভালো নয় ভালো!
« on: October 23, 2017, 01:00:55 PM »
ধরুন, কারও কাছে শুনলেন ব্যায়াম করা ভালো। সঙ্গে সঙ্গে শুরু করে দিলেন ব্যায়াম। দিন নেই, রাত নেই—চলতে থাকল শারীরিক কসরত। পরিণামে এক সময় হাতে-পায়ে ব্যথা নিয়ে বিছানার সঙ্গে সখ্য! এই চারটি লাইনের সার সংক্ষেপ হলো, ভালো কাজ বেশি করা কিন্তু ভালো নয়। এতে অনেক সময় ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে। আসুন জেনে নিই এমনই কিছু ভালো কাজের কথা যেগুলো বেশি করলে আর থাকে না ভালো—

ঘুম
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। অনেকে মনে করেন, এর চেয়ে বেশি ঘুমালে হয়তো বেশি সতেজ থাকা যাবে। কিন্তু জানেন কি—দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি ঘুম আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়? এতে করে আপনার হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা ৩৪ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। এ ছাড়া মনোযোগ, ওজন ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কমতে পারে।

ব্যায়াম
ব্যায়াম করা ভালো—সে সবাই জানে। কিন্তু বেশি ব্যায়াম করলে তা শরীরের সন্ধিস্থলে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে টেন্ডন ও লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি আপনার হৃদ্‌যন্ত্রেও সমস্যা হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যায়াম অস্টিওপরোসিস রোগের কারণ হতে পারে। কিন্তু কতটুকু ব্যায়াম করলে তা বেশি হবে? যদি ব্যায়ামের কারণে আপনার বিরক্তির উদ্রেক হয়, তবেই মনে করবেন বেশি হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ব্যায়াম বেশি হয়ে গেলে ঘুমাতে ও কাজে মনোযোগী হতেও সমস্যা হয়। সুতরাং এমনটা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়ামের পরিমাণ কমিয়ে আনুন।

অ্যান্টিবায়োটিক
আমাদের দেশে কিছু হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার চল আছে। কিন্তু বেশি বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া মোটেই ভালো কিছু নয়। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া মেরে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। কিন্তু বারবার অ্যান্টিবায়োটিকের সংস্পর্শে এলে ব্যাকটেরিয়া নিজেদের ধরন পরিবর্তন করার সুযোগ পায়। ফলে আগের অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না। সুতরাং অ্যান্টিবায়োটিক তখনই খেতে হবে, যখন আসলেই সেটির প্রয়োজন হবে।

ভালো খাবার
কেউ কেউ মনে করেন ভালো ও পুষ্টিকর খাবার খেলেই ভালো থাকা যায়। তা থাকা যায় বৈকি। কিন্তু তাই বলে পুষ্টিকর খাবার মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। কারণ বেশি খেলে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টরল, ডায়াবেটিস, হাড় ও ঘুমের সমস্যা। আবার বেশি খেলে শরীরের ওজনও বাড়বে। তাতে আবার হৃদ্‌রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

পানি
পানি কম পান করলে নানা শারীরিক সমস্যা হয়। আবার খুব বেশি পান করলেও হতে পারে এক বিরল রোগ। এতে কিডনি অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বের করে দিতে পারে না। ফলে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। এ অবস্থাকে বলে হাইপোনেট্রিমিয়া। এতে করে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে, মাথা ব্যথা হবে এবং অবস্থা বেশি খারাপ হলে মৃত্যুও হতে পারে।

ভিটামিন
অসুস্থতার সময় আমরা ভিটামিন ট্যাবলেট খাই সবল হওয়ার জন্য। কিন্তু যদি মনে করে থাকেন ভিটামিনের এই ট্যাবলেটই আপনাকে সতেজ-সবল রাখবে, তবে ভুল ভাবছেন। অতিরিক্ত ভিটামিনও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বেশি আয়রন বমির কারণ হতে পারে। আবার ভিটামিন সি বেশি খেলে তাতে ডায়রিয়া হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ সৃষ্টি করতে পারে চোখের সমস্যা। বেশি বেশি ভিটামিন ডি আপনার মাংসপেশিকে দুর্বল করে দিতে পারে। সুতরাং শুধু ভিটামিন বেশি খেলে হবে না।

43
Faculty Forum / সমস্যা যখন হজমে
« on: October 23, 2017, 01:00:00 PM »
আমাদের মুখ থেকে অন্ত্র অবধি গোটা জায়গায়ই সক্রিয় থাকে অনেক এনজাইম, হরমোন আর রাসায়নিক। খাবার চিবানো বা গেলার পর তাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে অণু-পরমাণুতে ভেঙে অবশেষে রক্তে মেশানোই এসব রাসায়নিকের কাজ। এই কাজটা ঠিকমতো না করতে পারলে খাবার হজম হয় না, অর্থাৎ খাবারের কোনো পুষ্টি উপাদান রক্তে মেশে না। ফলে ধীরে ধীরে দেহে নানা ধরনের উপাদানের অভাব দেখা দেয়। রক্তশূন্যতা, ভিটামিন ও খনিজের অভাব, আমিষের অভাব, হাড়ক্ষয় ইত্যাদি হলো এর পরিণতি। হজমজনিত এই সব সমস্যার নাম ম্যালঅ্যাবসরপসন সিনড্রোম।

নানা কারণে এই ম্যালঅ্যাবসরপসন হতে পারে। যেহেতু প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয় হজমের মূল এনজাইমগুলো নিঃসরণ করে, তাই প্যানিক্রিয়াসের প্রদাহ, পাথর বা টিউমারে হজমশক্তি রহিত হয়। কারও কারও দেহে বিশেষ এনজাইমের কার্যকারিতা কম থাকতে পারে, যেমন ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স যাঁদের আছে, তাঁরা দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার হজম করতে পারেন না। যদি কোনো কারণে পাকস্থলী বা অন্ত্রের একটি অংশ অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেওয়া হয়, তবে হজমশক্তি কমে যাবে। আবার অন্ত্রে নানা ধরনের সংক্রমণ হলেও এমন সমস্যা হতে পারে। সিলিয়াক ডিজিজ নামক রোগে গ্লুটেন আছে, এমন খাবারের বিপরীতে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় ও সে খাবার হজম হয় না।

যেকোনো ডায়রিয়া বা বদহজম মানেই কিন্তু ম্যালঅ্যাবসরপসন নয়। সাময়িকভাবে নানা কারণে (সংক্রমণ বা অ্যালার্জি) বদহজম হতেই পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে ডায়রিয়া, পিচ্ছিল দুর্গন্ধযুক্ত মল, মলত্যাগের পর যা টয়লেট ফ্ল্যাশ করার পরও চলে যায় না, সেই সঙ্গে দিনে দিনে ওজন হ্রাস, ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, মুখে-জিবে বা ঠোঁটের কোণে ঘা, চুল পড়া, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া—এই সব হলো ম্যালঅ্যাবসরপসনের লক্ষণ। শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, আমিষের অভাবে দেহে পানি জমা ও বারবার সংক্রমণে ভোগাও হতে পারে উপসর্গ। ম্যালঅ্যাবসরপসন বা হজমের সমস্যা মনে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্যে রোগ নির্ণয় করতে হবে ও চিকিৎসা নিতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। কখনো কখনো কিছু খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আধুনিক ইমিউনো মডুলেটর দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাব পূরণ করতে সাপ্লিমেন্ট খেতে হয়।

ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

Curtsy: Prothom Alo

44
Faculty Forum / ‘কফি’ আয়ু বাড়ায়
« on: July 15, 2017, 05:38:26 PM »
দশটি ইউরোপীয় দেশের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের উপর চালানো এক গবেষণার ভিত্তিকে গবেষকরা এই দাবি করছেন যে, আপনি যদি দিনে তিন কাপ কফি পান করেন, তা আপনার আয়ু বাড়াবে।
 
এ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন এর গবেষণায় বলা হয়, এক কাপ অতিরিক্ত কফি মানুষের আয়ু বাড়াতে পারে। এই কফি যদি ডিক্যাফিনেটেড বা ক্যাফেইন বিহীনও হয়।লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষকরা বলেন, বেশি কফি পানের সাথে মৃত্যু ঝুঁকি কমার, বিশেষ করে হৃদরোগ এবং পাকস্থলীর রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমার সম্পর্ক আছে।
 
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যার ডেভিড স্পিগেলহালটার বলেন, যদি এই গবেষণা সঠিক হয়, তাহলে প্রতিদিন এক কাপ অতিরিক্ত কফির কাণে একজন পুরুষের আয়ু তিন মাস এবং একম মহিলার আয়ু এক মাস বেড়ে যেতে পারে।
 
তবে এই গবেষণার ব্যাপারে অনেকের প্রশ্ন আছে। তাঁরা বলেন, কফি মানুষের আয়ু বাড়াচ্ছে, নাকি কফি পানকারীদের জীবন প্রণালীর কারণে তারা বেশিদিন বাঁচছেন সেটা পরিস্কার নয়।
 
এর আগের গবেষণাগুলোতে অবশ্য মানবদেহের উপর কফির প্রভাব সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী ফল পাওয়া গিয়েছিল।কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে, তা সাময়িক সময়ের জন্য মানুষকে অনেক বেশি সময় উত্তেজিত রাখতে পারে।কিন্তু বিভিন্ন মানুষের ওপর ক্যাফেইনের প্রভাব বিভিন্ন রকমের হয়।
 
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সন্তান সম্ভবা নারীদের দিনে ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করতে নিষেধ করে। কফি বেশি পান করলে নবজাতক শিশুর আকার খুব ছোট হতে পারে বলে আশংকা করা হয়।
এ বিষয়ে নিউজ হাব এবং বিবিসি দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

45
আম পছন্দ করেন না কে? এখন জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। মধু মাস জৈষ্ঠও যাই যাই করছে। বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও বর্তমানে মানুষের নিত্য দিনের পছন্দ, উৎপাদন ও বাণিজ্যের তালিকায় সম্ভবত আম-ই রয়েছে প্রথমে।
 
এই আমের মৌসুম আসলে মোট পাঁচ মাস। এর মধ্যে জুন থেকে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হচ্ছে সবচেয়ে রমরমা। এখন আমাদের দেশে বাণিজ্যক ভিত্তিতে প্রায় ২৫ জাতের আম উৎপাদন হয়। কিন্তু তার মধ্যে উন্নত জাতের আম আছে মাত্র ১০টির মত।
 
প্রতিদিনের খাবার টেবিলে পছন্দের তালিকায় আম; বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকবে তাতে সন্দেহ নেই। ছেলে-বুড়ো, কার না পছন্দ এই রসালো ফলটি! বাংলাদেশের সকল বয়সের প্রায় ৯৯% জন মানুষই কিন্তু আম পছন্দ করেন। কিন্তু কতজন মানুষ আমের সঠিক সময় সম্পর্কে সচেতন? নিজে যেমন সচেতন নন তেমনি অন্যকেও সচেতন করতে সচেতন করতে সহায়তা করতে পারছেন না।
 
সঠিক সময়ে সঠিক জাতের আম খাওয়ার বিষয়ে তাঁদের সচেতনতা যথেষ্ট নয়। এই সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে অসাধু ফল ব্যবসায়ীরা। নিজের স্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও স্বাস্থ্যনিরাপত্তা অনেকটাই নির্ভর করে ক্রয়সংক্রান্ত সতর্কতা ও সচেতনতার উপর।
 
সাধারন মানুষকে সাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো আম থেকে রক্ষা করর উদ্দেশ্যে আম গবেষক জনাব মাহবুব সিদ্দিকী ‘কোন আমটি কখন খাবেন’ নামের একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি কিছু নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন।
 
জাতের দিক থেকে তিন ভাগে বিভক্ত বাংলাদেশের আম যথা- আগাম জাত, মধ্য মৌসুমি জাত এবং নাবি জাত।মে মাসের মধ্য থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে পাকে আগাম জাতের আম।এগুলোর মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, রাণী-পছন্দ, বৃন্দাবনি, গুলাবখাশ ও বারি-১(বাংলাদেশ কৃষি গবেষণগারে উদ্ভাবিত)।
 
জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পাকতে শুরু করে মধ্য-মৌসুমি আম। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো ল্যাংড়া।এর সাথেই আছে লক্ষণভোগ, হিমসাগর, ক্ষীরসাভোগ(ক্ষীরশাপাতও বলে), খুদিক্ষীরসা, হাঁড়িভাঙ্গা, বোম্বাই, বারি-২(বাংলাদেশ কৃষি গবেষণগারে উদ্ভাবিত)ইত্যাদি।
 
আর জুলাইয় মাসের প্রথম থেকে সেপ্টেম্বর মাসর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাকে পাওয়া যায় নাবি জাতের আম যথা ফজলি, আম্রপালি, মোহনভোগ, গৌড়মতি, বারি-৪(বাংলাদেশ কৃষি গবেষণগারে উদ্ভাবিত), আশ্বিনী’সহ আরে কয়েক জাতের আম।
 
যে আমগুলো বাজারে দেখা যাচ্ছে সেগুলো প্রাকৃতিক নিয়মেই নির্দিষ্ট সময়ে পুষ্ট হচ্ছে, পাকছে। আমচাষিরা এটা জেনে এবং মেনে যদি গাছ থেকে আম পাড়েন তাহলে ভোক্তা সাধারণ নিশ্চিন্ত থাকতে পারতেন।দেশটা তো বাংলাদেশ! বাজারে পাওয়া মাত্রই বিচার বিচার-বিবেচনা না করে খাওয়ার লোভ, বাণিজ্যিক প্রতিযোগতা এবং অতি মুনাফা লোভের আশায় তা আর হচ্ছে কই। ফলে সচেতন হতে হবে ভোক্তাদেরকেই। তাঁরা যদি সময়টা জেনে-বুঝে আম কেনেন, তাহলে বদলে যেতে পারে বর্তমান বাজারচিত্র।
 
আমাদের দেশের স্থানীয় জাতের আম ছাড়া  উন্নত জাতের আমগুলো পাকলে লাল, হলুদ বা কমলা রঙ ধারণ করে না। স্বাভাবিক সবুজের সাথে লাল/হলুদ/কমলা রঙের আভাযুক্ত হয়। আশ্বিনী জাতের আম গাড় সবুজ বা কালচিটে সবুজ রঙ ধারণ করে। 
 
জেনে নিন বিশেষ কয়েকটি জাতের আম কেনার সঠিক সময়-
*গোবিন্দভোগ – মে মাসের ১৫ থেকে ৩০ তারিখ পর্য্ন্ত।
*গোপালভোগ – মে মাসের ২৫ থেকে জুন মাসের ১০ তারিখ পর্য্ন্ত।
*ক্ষীরসাভোগ ও হিমসাগর – জুন মাসের ১০ থেকে ৩০ তারিক পর্য্ন্ত।
*ল্যাংড়া, বারি–২, লক্ষণভোগ, বোম্বাই – জুনে মাসের ১৫ থেকে জুলাইয়ের ১৫ তারখ পর্য্ন্ত। 
*আম্রপালি – জুন মাসের ২৮তারিখ থেকে জুলাইয়ের২৫ তারিক পর্য্ন্ত।
*ফজলি – জুলাই মাসের ৫ তারিখ থেকে আগস্টের ১৫ তারিক পর্য্ন্ত।
*আশ্বিনী – জুলাই মাসের ৭ তারিথ থেকে সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ পর্য্ন্ত।  দিনাজপুরের সূ্র্যপুরি আমও এসময়ে পাকে।
 
নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও সচেতন হতে সহায়তা করুন। সকলের সম্মিলিত সচেতনতা ও প্রচেষ্টাই পারে অসাধু চক্রকে রুখতে।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 9