31
Faculty Sections / পাসপোর্ট করার যত নিয়ম কানুন
« on: March 02, 2020, 03:56:05 PM »
পাসপোর্ট কোনো দেশের নাগরিকদের বিদেশে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত দলিল। জন্মসূত্রে বা অভিবাসনসূত্রে স্ব স্ব দেশের সরকার এটি নাগরিকদের প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পাসপোর্ট অফিস বা বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ইসরাইল ব্যতীত পৃথিবীর সব দেশে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে।
পাসপোর্ট করার নিয়ম কিছুটা জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী। সাথে দালালদের দৌরাত্ম্যের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করতে অনেক সময় লাগে ও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আগে পাসপোর্ট করতে ঢাকার পাসপোর্ট অফিসই ছিল শেষ ভরসা।এখন সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রায় সব জেলায় তৈরি হয়েছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। সেখান থেকে অতি সহজেই পাসপোর্ট করা যায়।
১ম ধাপ – ফর্ম পূরণ ও টাকা জমা দেওয়া :
গুগল থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে নিজেই পূরণ করা যায়। সেক্ষেত্রে, ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে ফর্ম পূরণ করতে চাইলে চলে যেতে পারেন পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশের কোন দোকানে। প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসের পাশেই থাকে ব্যাংক ও ফর্ম পূরণের দোকান।৩০০/- টাকার বিনিময়ে সেখান থেকে ফর্ম পূরণ করে প্রিন্ট করিয়ে নিতে পারেন।
ফর্ম পূরণ করতে যে জিনিসগুলো লাগবে :
* জাতীয় পরিচয় পত্রের মূলকপি ও দুটি ফটোকপি।পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম সনদ লাগবে।
*২-৪ টি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
*সরকারি কর্মকর্তা হলে NoC এর কপি।
* ছাত্র হলে ছাত্র আইডি কার্ডের কপি দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ- ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া :
এবার ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পালা। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ফি ৩৫০০/- টাকার মতো এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য কিছু টাকা বেশি ফি দিতে হবে। তারপর ব্যাংক থেকে ফর্মে কিছু সিল এবং স্লিপ দিবে।
তৃতীয় ধাপ – সত্যায়িত করা :
ফর্মের মোট দুটি কপি করতে হবে।প্রতি কপিতে লাগাতে হবে একটি ছবি।এবার ফর্ম দুটির সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি স্ট্যাপল করে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কোন অফিসারের মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ – ফর্ম জমা দেওয়া :
এবার কাজ পাসপোর্ট অফিসে। সেখানে নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দিতে হবে।তারপর অপেক্ষার পালা।
পঞ্চম ধাপ – ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ :
ফর্ম জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।ভেতর থেকে নাম ডাকলে আবার তাদের কাছে যেতে হবে।সেখানে কর্মরত ব্যক্তি কিছু প্রশ্ন করতে পারে পাসপোর্টের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করতে।সব ঠিক থাকলে তারা একটি রুম নম্বর বলে দিবে।যেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে, ডিজিটাল যন্ত্রে সাক্ষর করতে হবে, আইরিশ দিতে হবে এবং ছবি তুলতে হবে।খেয়াল করতে হবে, অবশ্যই সাদা রঙের জামাকাপড় পরা যাবে না।গাঢ় রঙের মার্জিত পোশাক পরা যুক্তিসঙ্গত। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা আবার একটি ফর্ম প্রিন্ট করে দিবে।সেটা সংরক্ষণ করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ- পুলিশ ভেরিফিকেশন :
ফর্ম জমা দেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে থানা থেকে ফোন আসবে। আগে উৎকোচ ছাড়া কাজ হতোনা, তবে এখন থানা থেকে বারবার উৎকোচ প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হয়। পুলিশ বাসায় এসে পাসপোর্টের তথ্যসমূহ মিলিয়ে দেখবে।
সপ্তম ধাপ – অপেক্ষা :
পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে মোবাইলে পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট জানিয়ে মেসেজ আসবে।এছাড়া অফিস থেকে দেওয়া স্লিপেও আইডি পাসওয়ার্ড থাকে যাতে ক্লিক করে পাসপোর্টের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। নির্দিষ্ট দিনে অফিসে স্লিপ প্রদান করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।
পাসপোর্ট করার নিয়ম কিছুটা জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী। সাথে দালালদের দৌরাত্ম্যের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করতে অনেক সময় লাগে ও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আগে পাসপোর্ট করতে ঢাকার পাসপোর্ট অফিসই ছিল শেষ ভরসা।এখন সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রায় সব জেলায় তৈরি হয়েছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। সেখান থেকে অতি সহজেই পাসপোর্ট করা যায়।
১ম ধাপ – ফর্ম পূরণ ও টাকা জমা দেওয়া :
গুগল থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে নিজেই পূরণ করা যায়। সেক্ষেত্রে, ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে ফর্ম পূরণ করতে চাইলে চলে যেতে পারেন পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশের কোন দোকানে। প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসের পাশেই থাকে ব্যাংক ও ফর্ম পূরণের দোকান।৩০০/- টাকার বিনিময়ে সেখান থেকে ফর্ম পূরণ করে প্রিন্ট করিয়ে নিতে পারেন।
ফর্ম পূরণ করতে যে জিনিসগুলো লাগবে :
* জাতীয় পরিচয় পত্রের মূলকপি ও দুটি ফটোকপি।পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম সনদ লাগবে।
*২-৪ টি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
*সরকারি কর্মকর্তা হলে NoC এর কপি।
* ছাত্র হলে ছাত্র আইডি কার্ডের কপি দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ- ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া :
এবার ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পালা। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ফি ৩৫০০/- টাকার মতো এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য কিছু টাকা বেশি ফি দিতে হবে। তারপর ব্যাংক থেকে ফর্মে কিছু সিল এবং স্লিপ দিবে।
তৃতীয় ধাপ – সত্যায়িত করা :
ফর্মের মোট দুটি কপি করতে হবে।প্রতি কপিতে লাগাতে হবে একটি ছবি।এবার ফর্ম দুটির সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি স্ট্যাপল করে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কোন অফিসারের মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ – ফর্ম জমা দেওয়া :
এবার কাজ পাসপোর্ট অফিসে। সেখানে নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দিতে হবে।তারপর অপেক্ষার পালা।
পঞ্চম ধাপ – ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ :
ফর্ম জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।ভেতর থেকে নাম ডাকলে আবার তাদের কাছে যেতে হবে।সেখানে কর্মরত ব্যক্তি কিছু প্রশ্ন করতে পারে পাসপোর্টের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করতে।সব ঠিক থাকলে তারা একটি রুম নম্বর বলে দিবে।যেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে, ডিজিটাল যন্ত্রে সাক্ষর করতে হবে, আইরিশ দিতে হবে এবং ছবি তুলতে হবে।খেয়াল করতে হবে, অবশ্যই সাদা রঙের জামাকাপড় পরা যাবে না।গাঢ় রঙের মার্জিত পোশাক পরা যুক্তিসঙ্গত। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা আবার একটি ফর্ম প্রিন্ট করে দিবে।সেটা সংরক্ষণ করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ- পুলিশ ভেরিফিকেশন :
ফর্ম জমা দেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে থানা থেকে ফোন আসবে। আগে উৎকোচ ছাড়া কাজ হতোনা, তবে এখন থানা থেকে বারবার উৎকোচ প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হয়। পুলিশ বাসায় এসে পাসপোর্টের তথ্যসমূহ মিলিয়ে দেখবে।
সপ্তম ধাপ – অপেক্ষা :
পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে মোবাইলে পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট জানিয়ে মেসেজ আসবে।এছাড়া অফিস থেকে দেওয়া স্লিপেও আইডি পাসওয়ার্ড থাকে যাতে ক্লিক করে পাসপোর্টের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। নির্দিষ্ট দিনে অফিসে স্লিপ প্রদান করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।