166
Faculty Forum / ভালো অভ্যাস, মন্দ অভ্যাস
« on: May 10, 2018, 12:31:11 PM »
কথিত আছে ভারত উপমহাদেশে চায়ের প্রচলন করেছিল ব্রিটিশরা। শুরুর দিকে বিনামূল্যে চা পান করানো হতো। ধীরে ধীরে চায়ের স্বাদ বসে গেল জিহ্বায়। এরপর আর থামায় কে? এখন, গোটা ভারত উপমহাদেশে চা আর চা। এমন কোনো জায়গা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ, যেখানে চায়ের দোকান নেই। স্বাদ যেমনি হোক, চায়ের কেটলি নিয়ে বান্দা হাজির।
বাংলাদেশের কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও অসংখ্য চায়ের দোকান। কারো সাথে দেখা হলেই চা, ক্যাম্পাসে গেলে চা, ক্যাম্পাস থেকে ফিরলে চা, সকালে চা, বিকেলে চা, সন্ধায় চা, মধ্যরাতে চা… চা ছাড়া যেন কিছুতেই কিছু হয় না।
কিন্তু বিশ্বাস করুন, এখনও অনেক মানুষ আছে, যাদের চা ছাড়াও দিনটা ভাল যায়, শরীরটা ম্যাজম্যাজ করে না, কাজে মনোযোগ আসে, জমিয়ে আড্ডাও দিতে পারে। অবাক ব্যাপার তো। তার মানে, চা পান করা আরো একটা ‘অভ্যাস’ যেটা কারো মধ্যে গড়ে উঠেছে, কারো মধ্যে উঠেনি। যার মধ্যে গড়ে উঠেছে, সে তার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ চা সেই ব্যক্তির শরীর বিশেষকরে, মুড মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে।
২০০৪ এর দিকে ফেসবুকের আবির্ভাব। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা ও বৃদ্ধি করে একে অপরের উপকার করাই মূল লক্ষ্য। ভালো কথা। এরকম আরো অনেকগুলো অনলাইনভিত্তিক সামাজিকীকরণ উপায় চালু হলো। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ল, সারা বিশ্বে। ফ্রি’তে ব্যবহার করা যায়, মানুষ তাই হুমরি খেয়ে পড়েছে। কিন্তু সেটা শুধু নেহায়েত সামাজিকতা রক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। একজন ব্যক্তির মেজাজ-মর্জি, ভালো মন্দ অনেকটাই এখন এর হাতে বন্দি। ঘুম থেকে উঠার পর থেকে শুরু করে ঘুমানোর ঠিক আগ পর্যন্ত হাতের ফোনটা গুতোগুতি করেন না, এরকম কত জন আছেন? হাত তোলেন। অর্থাৎ সেই সামাজিক করা ফেসবুক এখন একজনকে এক পর্যায়ের গৃহবন্দীই করে ফেলেছে। এটাকে বলা হয় কমপালসিভ বিহেভিয়ার।
পৃথিবীতে ভালো অভ্যাস, মন্দ অভ্যাস বলে কিছু নেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, নিয়ন্ত্রণটা কার হাতে আছে। আপনি যাই করেন না কেন, কোনো অসুবিধা নেই, যতক্ষণ সেটা আপনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অর্থাৎ চা হলে ভালো, না হলেও চলবে। থেমে থাকবে না। তেমনি, ফেসবুক ব্যবহার করলাম, ভালো লাগল। আবার করছি না, কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আমি মানসিকভাবে স্থির থাকছি। কিন্তু যেই আচরণটা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটাই ভয়ানক। আপনি সেটা করতে বাধ্য হচ্ছেন, সচেতনভাবে হোক আর অবচেতনভাবেই হোক।
বাংলাদেশের কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও অসংখ্য চায়ের দোকান। কারো সাথে দেখা হলেই চা, ক্যাম্পাসে গেলে চা, ক্যাম্পাস থেকে ফিরলে চা, সকালে চা, বিকেলে চা, সন্ধায় চা, মধ্যরাতে চা… চা ছাড়া যেন কিছুতেই কিছু হয় না।
কিন্তু বিশ্বাস করুন, এখনও অনেক মানুষ আছে, যাদের চা ছাড়াও দিনটা ভাল যায়, শরীরটা ম্যাজম্যাজ করে না, কাজে মনোযোগ আসে, জমিয়ে আড্ডাও দিতে পারে। অবাক ব্যাপার তো। তার মানে, চা পান করা আরো একটা ‘অভ্যাস’ যেটা কারো মধ্যে গড়ে উঠেছে, কারো মধ্যে উঠেনি। যার মধ্যে গড়ে উঠেছে, সে তার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ চা সেই ব্যক্তির শরীর বিশেষকরে, মুড মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে।
২০০৪ এর দিকে ফেসবুকের আবির্ভাব। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা ও বৃদ্ধি করে একে অপরের উপকার করাই মূল লক্ষ্য। ভালো কথা। এরকম আরো অনেকগুলো অনলাইনভিত্তিক সামাজিকীকরণ উপায় চালু হলো। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ল, সারা বিশ্বে। ফ্রি’তে ব্যবহার করা যায়, মানুষ তাই হুমরি খেয়ে পড়েছে। কিন্তু সেটা শুধু নেহায়েত সামাজিকতা রক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। একজন ব্যক্তির মেজাজ-মর্জি, ভালো মন্দ অনেকটাই এখন এর হাতে বন্দি। ঘুম থেকে উঠার পর থেকে শুরু করে ঘুমানোর ঠিক আগ পর্যন্ত হাতের ফোনটা গুতোগুতি করেন না, এরকম কত জন আছেন? হাত তোলেন। অর্থাৎ সেই সামাজিক করা ফেসবুক এখন একজনকে এক পর্যায়ের গৃহবন্দীই করে ফেলেছে। এটাকে বলা হয় কমপালসিভ বিহেভিয়ার।
পৃথিবীতে ভালো অভ্যাস, মন্দ অভ্যাস বলে কিছু নেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, নিয়ন্ত্রণটা কার হাতে আছে। আপনি যাই করেন না কেন, কোনো অসুবিধা নেই, যতক্ষণ সেটা আপনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অর্থাৎ চা হলে ভালো, না হলেও চলবে। থেমে থাকবে না। তেমনি, ফেসবুক ব্যবহার করলাম, ভালো লাগল। আবার করছি না, কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আমি মানসিকভাবে স্থির থাকছি। কিন্তু যেই আচরণটা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটাই ভয়ানক। আপনি সেটা করতে বাধ্য হচ্ছেন, সচেতনভাবে হোক আর অবচেতনভাবেই হোক।